02.02.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
ঈশ্বর (খুদা ) হলেন তোমাদের বন্ধু, আর রাবণ হলো শত্রু, তাই তোমরা ঈশ্বরকে (খুদা )
ভালোবাসো, আর রাবণকে জ্বালিয়ে দাও"
প্রশ্নঃ -
কোন্ বাচ্চারা
শীঘ্রই অনেকের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করে ?
উত্তরঃ -
যে বাচ্চারা স্মরণে থেকে নিজেও পবিত্র হয়, আর অন্যদেরও নিজের সমান তৈরী করে । তারা
অনেকেরই আশীর্বাদ প্রাপ্ত করে, তারা অনেক উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে । বাচ্চারা, বাবা
তোমাদের শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য একই শ্রীমৎ প্রদান করেন -- বাচ্চারা, কোনো দেহধারীকেই
স্মরণ না করে একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো ।
গীতঃ-
অবশেষে আজ সেই
দিন এলো...
ওম্ শান্তি ।
ওম্ শান্তির
অর্থ তো আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেছেন । ওম্ এর অর্থ - আমি
আত্মা, আর এই হলো আমার শরীর । আত্মাকে তো দেখা যায় না । আত্মার মধ্যেই ভালো বা
মন্দ সংস্কার থাকে । আত্মার মধ্যেই মন এবং বুদ্ধি আছে । শরীরে কোনো বুদ্ধি নেই ।
মূখ্য হলো আত্মা । শরীর তো আমার । আত্মাকে কেউই দেখতে পায় না । শরীরকে আত্মা দেখে
। আত্মাকে শরীর দেখতে পায় না । আত্মা নির্গত হয়ে গেলে শরীর জড় হয়ে যায় । আত্মাকে
দেখা যায় না । শরীরকে দেখা যায় । তেমনিই আত্মার যে বাবা, যাঁকে গড ফাদার বলা হয়,
তাঁকেও দেখা যায় না, তাঁকে বোঝা যায় বা জানা যায় । আমরা আত্মারা হলাম সব ভাই -
ভাই । শরীরে এলে তখন বলা হবে, এ ভাই - ভাই, এ ভাই - বোন । আত্মারা তো সকলেই ভাই -
ভাই । আত্মাদের বাবা হলেন - পরমপিতা পরমাত্মা । শরীরের যারা ভাই - বোন, তারা একে
অপরকে দেখতে পারে । আত্মাদের বাবা হলেন একজন, তাঁকে দেখা যায় না । বাবা তাই এখন
এসেছেন পুরানো দুনিয়াকে নতুন বানাতে । নতুন দুনিয়া ছিলো সত্যযুগ । এখন পুরানো দুনিয়া
হলো কলিযুগ, একেই এখন পরিবর্তন করতে হবে । পুরানো দুনিয়া তো শেষ হয়ে যাওয়া উচিত,
তাই না । পুরানো ঘর যেমন ভেঙ্গে ফেলে নতুন ঘর তৈরী করা হয়, তেমনই এই পুরানো
দুনিয়াও এখন শেষ হয়ে যেতে হবে । সত্যযুগের পরে আবার ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ, তারপর
অবশ্যই আবার সত্যযুগ আসবে । এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হতে হবে সত্যযুগে
দেবী - দেবতার রাজ্য থাকে । সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী, তাকে বলা হয় লক্ষ্মী -
নারায়ণের সম্রাজ্য, রাম - সীতার সাম্রাজ্য । এ তো সহজ, তাই না । এরপর দ্বাপর আর
কলিযুগে অন্য অনেক ধর্ম আসে । এরপর দেবতারা, যাঁরা পবিত্র ছিলেন, তাঁরা অপবিত্র হয়ে
যান, একে বলা হয় রাবণ রাজ্য রাবণকে বছর বছর জ্বালিয়ে এসেছে, তবুও মরে না, তখন আবার
জ্বালাতে থাকে । এই হলো সকলের বড় শত্রু, তাই তাকে জ্বালানোর উৎসব শুরু হয়েছে ।
ভারতের এক নম্বর শত্রু কে ? আর এক নম্বর বন্ধু, সদা খুশী প্রদানকারী ঈশ্বর । খুদা
বা ঈশ্বরকে তো বন্ধু বলা হয় (খুদা দোস্ত), তাই না । এর উপর একটি কাহিনীও আছে । তাই
খুদা বা ঈশ্বর হলেন বন্ধু আর রাবণ হলো শত্রু । ঈশ্বর, যিনি বন্ধু, তাঁকে কখনোই
জ্বালানো হবে না । রাবণ হলো শত্রু, তাই দশ মাথার রাবণ তৈরী করে তাকে বছর বছর
জ্বালানো হয় । গান্ধীজীও বলতেন, আমাদের রামরাজ্য চাই । রামরাজ্যে সুখ আছে, আর রাবণ
রাজ্যে দুঃখ আছে । এই কথা এখন কে বসে বোঝান ? পতিত পাবন বাবা । শিব বাবা, আর ব্রহ্মা
হলেন দাদা । বাবা সর্বদা সঠিকই বলেন, বাপদাদা । প্রজাপিতা ব্রহ্মাও তো সকলের হয়ে
গেলো । ব্রহ্মাকে এডমও বলা হয় । তাঁকে গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার বলা হয় ।
মনুষ্য সৃষ্টির কারণে প্রজাপিতা হয়েছেন । প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা
করা হয়, তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হয় । দেবতারা আবার ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র
হয় । এনাকে বলা হয় প্রজাপিতা ব্রহ্মা, মনুষ্য সৃষ্টির পূর্বপুরুষ । প্রজাপিতা
ব্রহ্মার কতো সন্তান । তারা বাবা - বাবা বলতে থাকে । ইনি হলেন সাকার বাবা । শিববাবা
হলেন নিরাকার বাবা । এমন গায়নও আছে যে - প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন মনুষ্য
সৃষ্টি রচনা করা হয় এখন তোমাদের এই শরীর রূপী খোলস হলো পুরানো । এ হলো পতিত দুনিয়া,
রাবণ রাজ্য । এখন এই রাবণের আসুরী দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে । এর জন্যই এই মহাভারতের
লড়াই । এরপর সত্যযুগে এই শত্রু রাবণকে কেউ জ্বালাবেই না । রাবণ সেখানে থাকবেই না ।
রাবণই এই দুঃখের দুনিয়া তৈরী করেছে । এমন নয় যে, যাদের কাছে অনেক অর্থ আছে, বড় বড়
মহল আছে, তারাই স্বর্গে আছে ।
বাবা বোঝান, কারোর কাছে যদি কোটি টাকাও থাকে, তবুও তা তো মাটিতেই মিশে যাবে । নতুন
দুনিয়াতে আবার নতুন খনি বের হয়, যার থেকে নতুন দুনিয়ার মহল ইত্যাদি সমস্ত কিছু
বানানো হয় । এই পুরানো দুনিয়া এখন শেষ হয়ে যাবে । মানুষ সদ্গতির জন্য ভক্তি করে,
আমাকে পবিত্র করে দাও, আমি বিকারী হয়ে গেছি । বিকারীকে পতিত বলা হয় । সত্যযুগে হলো
বিকার রহিত, সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া । ওখানে যোগবলের দ্বারা সন্তানের জন্ম হয়,
ওখানে বিকার থাকেই না । না দেহ - বোধ, আর না কাম - ক্রোধ । ওখানে পাঁচ বিকার থাকেই
না, তাই ওখানে রাবণকে জ্বালায় না । এখানে তো রাবণ রাজ্য আছে । বাবা এখন বলছেন, তোমরা
পবিত্র হও । এই পতিত দুনিয়া এখন শেষ হতে হবে, যারা বাবার শ্রীমতে পবিত্র থাকে,
তারাই বাবার মতে চলে বিশ্বের বাদশাহীর উত্তরাধিকার পায় । সত্যযুগে এই লক্ষ্মী -
নারায়ণের রাজ্য ছিলো, তাই না । এখন তো রাবণ রাজ্য, যা শেষ হতে হবে । সত্যযুগী
রামরাজ্য স্থাপন হতে হবে । সত্যযুগে অনেক অল্প মানুষ থাকে । দিল্লীই রাজধানী থাকে,
যেখানে লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব হয় । সত্যযুগে দিল্লী পরীস্থান ছিলো । দিল্লীতেই
সিংহাসন ছিলো । রাবণ রাজ্যেও দিল্লীই রাজধানী, আবার রামরাজ্যেও দিল্লীই রাজধানী থাকে
। রামরাজ্যে কিন্তু হীরে - জহরতের মহল ছিলো । সেখানে অগাধ সুখ ছিলো । বাবা এখন বলেন,
তোমরা বিশ্বের রাজত্ব হারিয়ে ফেলেছো, আমি আবার তোমাদের ফিরিয়ে দিই । তোমরা আমার মতে
চলো । শ্রেষ্ঠ হতে হলে কেবল আমাকে স্মরণ করো, আর কোনো দেহধারীকে স্মরণ ক'রো না ।
তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো তাহলে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে
যাবে । তোমরা আমার কাছে চলে আসবে । আমার গলার মালা হয়ে তারপর বিষ্ণুর মালা হয়ে
যাবে । মালাতে উপরে আমি থাকি, তারপর দুই হলো ব্রহ্মা আর সরস্বতী । তাঁরাই সত্যযুগের
মহারাজা - মহারানী হয় । তাঁদেরই আবার সম্পূর্ণ মালা, যারা নম্বর অনুযায়ী সিংহাসনে
বসে । আমরা এই ভারতকে এই ব্রহ্মা - সরস্বতী আর ব্রাহ্মণদের দ্বারা স্বর্গ বানাই ।
যারা পরিশ্রম করে, পরে তাঁদেরই স্মরণ হয়ে থাকে । এ হলো রুদ্র মালা, আর ও হলো বিষ্ণু
মালা । রুদ্র মালা হলো আত্মাদের, আর বিষ্ণু মালা হলো মনুষ্যদের । আত্মাদের থাকার
জায়গা হলো ওই নিরাকারী পরমধাম, যাকে ব্রহ্মাণ্ড বলা হয় । আত্মা কোনো অণ্ডের মতো নয়,
আত্মা হলো বিন্দুর মতো । আমরা সকল আত্মারা ওখানে ওই সুইট হোমে থাকবো । বাবার সঙ্গে
আমরা আত্মারা ওখানেই থাকি । সে হলো মুক্তিধাম । সমস্ত মানুষই চায়, আমরা মুক্তিধামে
যাই, কিন্তু একজনও ফিরে যেতে পারে না । সকলকেই এই অভিনয়ে আসতেই হবে, ততক্ষণ বাবা
তোমাদের তৈরী করাতে থাকেন । তোমরা যখন তৈরী হয়ে যাবে, তখন আর যতো আত্মারা আছে, তারা
সব এসে যাবে । তারপর সব মুক্ত । তোমরা গিয়ে নতুন দুনিয়াতে রাজত্ব করবে, তারপর
নম্বরের ক্রমানুযায়ী চক্র চলতে থাকবে । গীতাতে তো শুনেছো - অবশেষে সেই দিন এলো আজ....।
তোমরা জানো, যে ভারতবাসী এখন নরকবাসী, তারা আবার স্বর্গবাসী হবে । বাকি সমস্ত
আত্মারা শান্তিধামে চলে যাবে । তোমাদের খুব সামান্যই বোঝাতে হয়। অল্ফ হলো বাবা, আর
বে হলো বাদশাহী । বাবা বাদশাহী পায় । বাবা এখন বলছেন -- আমি ওই রাজ্যই আবার স্থাপন
করছি । তোমরা এখন ৮৪ জন্ম ভোগ করে পতিত হয়ে গেছো । রাবণ তোমাদের পতিত করেছে । এখন
পবিত্র কে করেন ? ভগবান করেন, যাঁকে পতিত - পাবন বলা হয়, তোমরা কিভাবে পতিত থেকে
পবিত্র, আবার পবিত্র থেকে পতিত হও, এই সম্পূর্ণ হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি আবার রিপিট হবে
। এই বিনাশ এর জন্যই । বলা হয়, শাস্ত্রে ব্রহ্মার আয়ু ১০০ বছর বলা হয়েছে । এই যে
ব্রহ্মা, বাবা যাঁর মধ্যে বসে উত্তরাধিকার দান করেন, এর শরীরও শেষ হয়ে যাবে ।
আত্মাদের বাবা যিনি, তিনি বসে আত্মাদের বোঝান । মানুষ, মানুষকে পবিত্র করতে পারে না
। দেবতাদের জন্ম কখনোই বিকারের দ্বারা হয় না । পুনর্জন্ম তো সবাই নিয়ে এসেছে, তাই
না । বাবা কতো ভালোভাবে বোঝান যে, কিভাবে ভাগ্য জাগ্রত হয়ে যায় । বাবা আসেনই
মনুষ্য মাত্রের ভাগ্য জাগাতে । সকলেই তো পতিত আর দুঃখী, তাই না । ত্রাহি - ত্রাহি
করে বিনাশ হয়ে যাবে, বাবা তাই বলেন, ত্রাহি - ত্রাহি করার পূর্বে আমি অসীম জগতের
বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো । এ যা কিছুই দুনিয়াতে দেখছো, এ সবই শেষ হয়ে
যাবে । ভারতের উত্থান এবং ভারতের পতন - এরই খেলা । পৃথিবীর উত্থান । স্বর্গে কে কে
রাজ্য করেন, একথা বাবা বসেই বোঝান । ভারতের উত্থান, দেবতাদের রাজ্য, ভারতের পতন,
রাবণ রাজ্য । এখন নতুন দুনিয়া তৈরী হচ্ছে । তোমরা বাবার কাছ থেকে নতুন দুনিয়ার
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য পড়ছো । এ কতো সহজ । এ হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার
পড়া । এও খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে । কোন - কোন ধর্ম কখন আসে, দ্বাপরের পরেই অন্য সব
ধর্ম আসে । প্রথমে সুখ ভোগ করে, তারপর দুঃখ । এই সম্পূর্ণ চক্র বুদ্ধিতে বসাতে হয়
। যাতে তোমরা চক্রবর্তী মহারাজা - মহারানী হও ।কেবল অল্ফ (বাবা ) আর বে (বাদশাহী
)কে বুঝতে হবে । এখন বিনাশ তো হতেই হবে । এতো হাঙ্গামা হয়ে যাবে যে, বিলেত থেকে
কেউ আসতেও পারবে না, তাই বাবা বোঝান যে - ভারত ভূমি হলো সবথেকে উত্তম । জোরদার লড়াই
লেগে যাবে, তখন ওখানেই থেকে যাবে । ৫০ - ৬০ লাখ টাকা দিলেও ফেরা খুব মুশকিল হবে ।
ভারত ভূমি সবথেকে উত্তম, বাবা যেখানে এসে অবতার নেন । শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন করা
হয় । কেবলমাত্র কৃষ্ণের নাম দেওয়াতে সম্পূর্ণ মহিমাই শেষ হয়ে গেছে । সর্ব
মানুষের উদ্ধারকর্তা এখানে এসেই অবতার নেন । শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয় । গড
ফাদার এসেই সকলকে উদ্ধার করেন । তাই এমন বাবাকেই নমন করা উচিত, তাঁর জয়ন্তীই পালন
করা উচিত । ওই বাবাই এখানে এই ভারতে এসে সবাইকে পবিত্র বানান । তাহলে এ হলো সবথেকে
বড় তীর্থ । তিনি সবাইকে দুর্গতি থেকে মুক্ত করে সদগতি প্রদান করেন, এই ড্রামা তৈরীই
আছে । এখন তোমরা আত্মারা জানো, আমাদের বাবা আমাদের এই শরীরের দ্বারা এই রহস্য
বোঝাচ্ছেন, আমরা আত্মারা এই শরীরের দ্বারাই শুনি । তোমাদের আত্ম - অভিমানী হতে হবে
। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে জং দূর হতে থাকবে, আর পবিত্র হয়ে
তোমরা বাবার কাছে চলে আসবে । তোমরা যতো স্মরণ করবে, ততই পবিত্র হবে । অন্যদেরও যদি
নিজের সমান বানাতে পারো তাহলে অনেকের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করবে । তোমরা উচ্চ পদ
প্রাপ্ত করবে, তাই গায়ন আছে যে, সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত
। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
শ্রীমতে থেকে পবিত্র হয়ে, প্রতি পদে বাবার মতে চলে বিশ্বের বাদশাহী নিতে হবে ।
বাবার সমান দুঃখহর্তা, সুখকর্তা হতে হবে ।
২) মনুষ্য থেকে দেবতা
হওয়ার এই পড়া সদা পড়তে হবে । সকলকে নিজের সমান বানানোর সেবা করে আশীর্বাদ প্রাপ্ত
করতে হবে ।
বরদান:-
অধিকারী
ভাবের স্মৃতির দ্বারা বাবাকে নিজের সাথী বানিয়ে সদা বিজয়ী ভব
বাবাকে সাথী বানানোর
সহজ উপায় - অধিকারী ভাবের স্থিতি । যখন অধিকারী ভাবের স্থিতিতে স্থিত থাকো, তখন
ব্যর্থ সংকল্প বা অশুদ্ধ সংকল্পের দোলাচলে বা অনেক রসে বুদ্ধি টলমল করে না ।
বুদ্ধির একাগ্রতার দ্বারা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার, যাচাই করার এবং নির্ণয় করার
শক্তি এসে যায়, যা সহজেই মায়ার অনেক প্রকার আঘাত থেকে বিজয়ী বানিয়ে দেয় ।
স্লোগান:-
সে-ই
রাজযোগী, যে সেকেণ্ডে সার থেকে বিস্তারে আর বিস্তার থেকে সারে যাওয়ার অভ্যাসী ।