02.04.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
জ্ঞানের সাগর বাবা এসেছেন - তোমাদের সামনে জ্ঞান ডান্স করতে, তোমরা দক্ষ সেবাধারী
হও তো জ্ঞানের ডান্সও ভালো হবে”
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা
সঙ্গমযুগে তোমরা নিজেদের মধ্যে কোন্ সংস্কার ধারণ করো ?
উত্তরঃ -
যোগযুক্ত থাকার। এটাই হল আধ্যাত্মিক সংস্কার। এই সংস্কারের সাথে-সাথে তোমাদেরকে
দিব্য আর অলৌকিক কর্মও করতে হবে। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ, তোমাদেরকে অবশ্যই সবাইকে এই
সত্য কথা শোনাতে হবে। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে সেবা করারও শখ থাকা চাই।
গীতঃ-
ধৈর্য ধরো হে মানব ...
ওম্ শান্তি ।
যেরকম কোনো
হাসপাতালে কোনো রোগী অসুস্থ থাকলে তো সে এই দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার আশা রাখে।
ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে যে, শারীরিক অবস্থা কেমন ? কবে এই রোগ থেকে মুক্ত হবে ?
সেসব তো হল লৌকিক জগতের কথা। এটা হল অসীম জগতের কথা। বাবা এসে বাচ্চাদেরকে শ্রীমত
প্রদান করেন। এটা তো বাচ্চারা জেনে গেছে যে, বরাবর এই হল সুখ আর দুঃখের খেলা। এমনিতে
তো বাচ্চারা তোমাদের সত্যযুগে যাওয়ার থেকেও অধিক সুবিধা এখানে আছেকেননা জানো যে এই
সময় আমরা ঈশ্বরীয় ক্রোড়ে আছি, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। এইসময় আমাদের মহিমা হল
অনেক উঁচুর থেকেও উঁচু এবং গুপ্ত। মানুষ মাত্রই বাবাকে শিব, ঈশ্বর, ভগবানও বলে ডাকে
কিন্তু জানে না। ডাকতে থাকে। ড্রামা অনুসারেই এইরকম হয়েছে। জ্ঞান আর অজ্ঞান, দিন আর
রাত। গাইতেও থাকে কিন্তু তমোপ্রধান বুদ্ধি এমন হয়ে গেছে যে নিজেকে তমোপ্রধান মনেই
করে না। বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া যদি কারো ভাগ্যে থাকে তবে অবশ্যই তার
বুদ্ধিতে ধারণ হবে। বাচ্চারা জানে যে, আমরা একদমই ঘোর অন্ধকারে ছিলাম। এখন বাবা
এসেছেন তাই কতই না জ্ঞানের আলোর প্রকাশ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাবা যে জ্ঞান বুঝিয়ে
দেন সেসব কোনও বেদ, শাস্ত্র, গ্রন্থ কোনও কিছুতেই নেই। সেটাও বাবা প্রমাণ করে বলে
দেন। বাচ্চারা তোমাদেরকে রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞানের প্রকাশ দিই,
সেটাও আবার প্রায়ঃলোপ হয়ে যায়। পুনরায় আমি ছাড়া আর কারোরই এই জ্ঞান প্রাপ্ত হতে পারে
না, পুনরায় এই জ্ঞান প্রায়ঃলোপ হয়ে যায়। বোঝা যায় যে, কলিযুগ অতীত হয়ে গেলে পুনরায়
৫ হাজার বছর পর পুনরাবৃত্তি হবে। এটা হল নতুন কথা। এটা তো শাস্ত্রতে নেই।
বাবা তো এই জ্ঞান সবাইকে একইরকম ভাবে পড়ান, কিন্তু ধারণ করার ক্ষেত্রে নম্বরের
ক্রমানুসারে হতে থাকে। যদি কোনও ভালো সেবাধারী বাচ্চা আসে তো বাবার ডান্সও এইরকম
চলতে থাকে। ছোট বাচ্চারা (ডান্সিং গার্ল) যখন নাচে, অনেকেই তার নাচ দেখে আনন্দ পায়,
সেই উৎসাহে সে আরো ভালো করে নাচতে থাকে। অল্প সংখ্যক দর্শক থাকলে সাধারণ রীতিতে
অল্প ডান্স করবে। যদি বাহবা দেওয়ার লোক অনেক থাকে তাহলে তার উৎসাহও বৃদ্ধি পাবে।
এখানেও একইরকম। মুরলী সমস্ত বাচ্চারাই শোনে, কিন্তু সম্মুখে শোনার আনন্দ একটু আলাদা,
তাই না। এটাও দেখায় যে কৃষ্ণ ডান্স করেছিলেন। ডান্স বলতে অন্য কিছু না। বাস্তবে হল
জ্ঞানের ডান্স। শিববাবা নিজে বলেন যে আমি জ্ঞানের ডান্স করতে আসি, আমি হলাম জ্ঞানের
সাগর। তাই ভালো ভালো পয়েন্টস্ বেরিয়ে আসে। এটাই হল জ্ঞান মুরলী। কাঠের মুরলী নয়।
পতিত-পাবন বাবা এসে সহজ রাজযোগ শেখাবেন নাকি বাঁশের বাঁশী বাজাবেন? এটা কারোরই জানা
নেই যে, বাবা এসে এইরকম রাজযোগ শেখান। এটা এখন তোমরা জানো কিন্তু অন্যান্য মানুষের
বুদ্ধিতে এটা আসে না। আগতরাও নম্বরের ক্রমানুসারে পদ প্রাপ্ত করবে। যেরকম কল্প
পূর্বে করেছিল, সেইরকমই পুরুষার্থ করতে থাকবে। তোমরা জানো যে কল্প পূর্বের ন্যায়
বাবা এসেছেন, এসে বাচ্চাদেরকে সকল রহস্য খুলে বলছেন। তিনি বলছেন যে, আমিও বন্ধনে
বাঁধা পড়ে আছি। প্রত্যেকে এই ড্রামার বন্ধনে বাঁধা আছে। যা কিছু সত্য যুগে হয়েছিল,
সেটাই পুনরায় হবে। অনেক প্রকারের যোনি আছে। সত্য যুগে এত যোনি থোড়াই হবে! সেখানে
তো অল্প এবং ভিন্ন প্রকারের হবে। তারপর আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যে রকম
ধর্মও বৃদ্ধি হতে থাকে তাইনা! সত্যযুগে তো ছিল না। যেটা সত্য যুগে ছিল, সেটা পুনরায়
সত্যযুগেই দেখতে পাবে। সত্যযুগে কোন ছি: ছি: নোংরা জিনিস হতেই পারে না।
দেবী-দেবতাদের বলেই থাকে ভগবান-ভগবতী। আর কোনও খন্ডে কখনো কাউকে গড্-গডেজ্ বলতে
পারবে না। সেই দেবতারা অবশ্যই স্বর্গে রাজত্ব করেছিলেন। তাদের দেখো কত গায়ন আছে!
বাচ্চারা তোমাদের এখন ধৈর্য এসে গেছে। তোমরা জানো যে আমাদের লক্ষ্য কত উঁচু বা কম।
আমি এত নম্বর নিয়ে পাশ হব। প্রত্যেকেই নিজেকে বুঝতে তো পারে তাই না যে অমুকে ভালো
সার্ভিস করছে। হ্যাঁ চলতে-চলতে মায়ার তুফানও এসে যায়। বাবা তো বলেন যে বাচ্চাদের
কাছে কোনো গ্রহচারী বা তুফান যেন না আসে। মায়া ভালো ভালো বাচ্চাদেরকেও নিচে নামিয়ে
দেয়। তাই বাবা ধৈর্য ধরতে বলেন, আর অল্প কিছু সময় বাকি আছে। তোমাদেরকে সেবাও করতে
হবে। স্থাপনা হয়ে গেলে তারপর তো যেতেই হবে। এতে এক সেকেন্ডও আগে পিছু হতে পারে না।
এই রহস্য বাচ্চারাই বুঝতে পারে। আমরা হলাম ড্রামার অভিনেতা, এতে আমাদের প্রধান
পার্ট আছে। ভারতেই হার-জিতের খেলা তৈরি হয়ে আছে। ভারতই পবিত্র ছিল। কতো শান্তি এবং
পবিত্রতা ছিল! এটা কালকেরই কথা। কাল আমরাই পার্ট অভিনয় করে গিয়েছিলাম। ৫ হাজার
বছরের পার্ট সবকিছুই পূর্ব নির্ধারিত হয়ে আছে। আমরা চক্র লাগিয়ে এসেছি। এখন
পুনরায় বাবার সাথে যোগ লাগাচ্ছি, এর দ্বারাই খাদ বেরিয়ে যাবে। বাবা স্মরণে আসলে
তো উত্তরাধিকারও অবশ্যই স্মরণে এসে যায়। সর্ব প্রথম তো অল্ফ অর্থাৎ বাবাকে জানতে
হবে। বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে জানলে, আমার দ্বারাই সবকিছু জেনে যাবে। জ্ঞান তো
খুবই সহজ, এক সেকেন্ডের ব্যাপার। তবুও বোঝাতে থাকেন। পয়েন্ট দিতে থাকেন। মুখ্য
পয়েন্ট হল মন্মনা ভব, এতেই বিঘ্ন পরে। দেহ অভিমান এসে যাওয়ার কারণে পুনরায় অনেক
প্রকারের মায়া এসে যায়, যোগে থাকতে দেয় না। যে রকম ভক্তি মার্গে কৃষ্ণের স্মরণে
বসে তো বুদ্ধি কোথায় না কোথায় চলে যায়। ভক্তির অনুভব তো সবারই আছে। এই জন্মেরই কথা।
এই জন্মকে জানলে কিছু না কিছু পাস্ট জন্মকেও বুঝতে পারবে। বাবাকে স্মরণ করা -
বাচ্চাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। যত স্মরণ করবে ততোই খুশি বৃদ্ধি হতে থাকবে। সাথে সাথে
দিব্য অলৌকিক কর্মও করতে হবে। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ। তোমরা সত্যনারায়ণের কথা, অমর কথা
শোনাচ্ছ। মূল কথা একটাই - যার মধ্যে সব কিছু এসে যায়। স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম
বিনাশ হয়। এটা হল একটাই আধ্যাত্মিক সংস্কার। বাবা বোঝাচ্ছেন যে, জ্ঞান তো খুবই সহজ।
কন্যাদের নামও গাওয়া হয়ে থাকে। অধর কুমারী, কুমারী কন্যা, কুমারদের নাম সবথেকে বেশি
বিখ্যাত। তাদের কোনও বন্ধন নেই। সেই পতি তো বিকারী বানিয়ে দেয়। এই বাবা তো স্বর্গে
নিয়ে যাওয়ার জন্য শৃঙ্গার করছেন। সুইট সাগরে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবা বলেন, পুরানো
দেহের সাথে এই পুরানো দুনিয়াকে একদম ভুলে যাও। আত্মা বলে, আমি তো ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ
করেছি। এখন পুনরায় আমি বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবো। সাহস রাখে,
তবুও মায়ার সাথে লড়াই তো করতেই হয়। সবার আগে তো এই বাবা আছেন। মায়ার ঝঞ্ঝা
সবথেকে বেশি এঁনার কাছে আসে। অনেকেই এসে জিজ্ঞাসা করে যে বাবা আমার এইরকম হয়। বাবা
বলেন যে বাচ্চারা - হ্যাঁ, এই তুফান অবশ্যই আসবে। প্রথমে তো আমার কাছে আসে। অন্তিম
সময়ে সবাই কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে। এটা কোনো নতুন কথা নয়। কল্প পূর্বেও
হয়েছিল। ড্রামাতে তোমার ভূমিকা পালন করেছো, এখন পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে।
বাচ্চারা জানে, এই পুরানো দুনিয়া হল নরক। তারা বলে যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ক্ষীর
সাগরে থাকতেন, এঁনাদের মন্দির কতো সুন্দর ভাবে তৈরি করে। প্রথম যখন মন্দির বানানো
হয়েছিল তখন ক্ষীরের (দুধের) পুকুর বানিয়ে বিষ্ণুর মূর্তিকে বসানো হয়েছিলো হয়ত।
খুব ভালো ভালো চিত্র বানিয়ে পুজা করতে থাকে। সেই সময় তো সবকিছু অনেক সস্তা ছিল।
বাবার সব কিছুই দেখা আছে। বরাবর এই ভারত কতো পবিত্র, ক্ষীর সাগর ছিল! যেন দুধ,
ঘীয়ের নদী ছিল। এ'সব মহিমা করা হয়েছে। স্বর্গের নাম নিতেই মুখে জল এসে যেত।
বাচ্চারা, তোমাদের এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে। তাই বুদ্ধিতে সবকিছু
বোধগম্য হয়ে গেছে। বুদ্ধি চলে যায় নিজের ঘর, পুনরায় স্বর্গে আসতে হবে। সেখানে সব
কিছু নতুনই নতুন হবে। বাবা, শ্রীনারায়ণের মূর্তি দেখে খুব খুশি হতেন, অত্যন্ত
ভালোবাসার সাথে কাছে রাখতেন। এটা জানতেন না যে, আমিই এটা হব। এই জ্ঞান তো এখন বাবার
থেকে প্রাপ্ত হয়েছে। তোমাদের কাছে এখন ব্রহ্মাণ্ড আর সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের
জ্ঞান আছে। তোমরা জানো যে আমরা কিভাবে চক্র পরিক্রমা করেছি। বাবা আমাদেরকে রাজযোগ
শেখাচ্ছেন। বাচ্চারা, তোমাদেরকে অত্যন্ত খুশিতে থাকতে হবে। আর অল্প কিছু সময়
অবশিষ্ট আছে। শরীরের তো কিছু না কিছু হতেই থাকে। এখন এটাই হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম।
ড্রামা প্ল্যান অনুসারে এখন তোমাদের সুখের দিন আসছে। তোমরা দেখতে পাবে যে বিনাশ
সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। তোমাদের এখন তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে। মূল বতন, সূক্ষ্ম
বতন, স্থূল বতনকে ভালো ভাবে তোমরা জেনে গেছ। এই স্বদর্শন চক্র তোমাদের বুদ্ধিতে যেন
ঘুরতে থাকে। খুশি হয়। এই সময় আমাদের অসীম জগতের বাবা, টিচার হয়ে পড়াচ্ছেন।
কিন্তু নতুন কথা হওয়ার কারণে বারবার ভুলে যায়। না হলে তো ‘বাবা’ বলার সাথে সাথেই
খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চাই। রামতীর্থ শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন। তাই কৃষ্ণের
দর্শনের জন্য কতো কিছুই না করতেন। তাঁর সাথে সাক্ষাৎকার হল আর খুশি হয়ে গেল। কিন্তু
তাতে কি হল? কিছুই তো প্রাপ্ত হলো না। এখানে তো বাচ্চারা তোমাদের খুশিও হয় কেননা
তোমরা জানো যে ২১ জন্মের জন্য আমরা এই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবো। তোমরা তো তিনভাগ সুখী
থাকবে। যদি অর্ধেক অর্ধেক হয় তাহলে তো লাভ হবে না। তোমাদের তো তিন ভাগ সুখে থাকতে
হবে। তোমাদের মত সুখ আর কেউ দেখতে পাবে না। তোমাদের জন্য তো হল অপার সুখ। মহান সুখে
তো দুঃখের অনুভবই পাবে না। সঙ্গম যুগে তোমরা এই দুটিকে জানতে পারো যে আমি এখন দুঃখ
থেকে সুখে যাচ্ছি। মুখ হলো দিনের দিকে আর পা হলো রাতের দিকে। এই দুনিয়াকে লাথি
মারতে হবে অর্থাৎ বুদ্ধির দ্বারা ভুলতে হবে। আত্মা জানে যে এখন পুনরায় বাড়ি ফিরে
যেতে হবে, অনেক পার্ট অভিনয় করা হয়ে গেছে। এইরকম-এইরকম নিজের সাথে কথা বলতে হবে।
এখন যত বাবাকে স্মরণ করবে, ততই জং বেরিয়ে যেতে থাকবে। যত বাবার সেবাতে তৎপর থেকে
বাবার সমান তৈরী করবে, ততই বাবার শো করাতে পারবে। বুদ্ধিতে আছে যে এখন ঘরে যেতে হবে।
তাই ঘরকেই স্মরণ করতে হবে। পুরানো মহল ভেঙে পড়তে থাকে। এখন কোথায় নতুন মহল আর
কোথায় পুরানো মহল! রাত-দিনের তফাৎ। এটাতো হলো একদমই বিষয়-বৈতরণী নদী। এক পরস্পরকে
মারতে, ঝগড়া করতে থাকে। তাছাড়াও বাবা এসে গেছেন তো অনেক লড়াই শুরু হয়ে গেছে। যদি
স্ত্রী বিকার না দেয় তাহলে কত বিরক্ত করতে থাকে। কতো বুদ্ধি খাটাতে থাকে! কল্প
পূর্বেও অত্যাচার হয়েছিল। সেটা এখনকার কথা গাওয়া হয়ে থাকে। তোমরা দেখো যে, কতই
না তারা আহ্বান করতে থাকে। সেই ড্রামার পার্ট এখন অভিনীত হচ্ছে। এটা বাবা জানেন আর
বাচ্চারা জানে আর জানে না কেউ। পরবর্তীকালে সবাই বুঝতে পারবে। গাইতেও থাকে যে -
পতিত-পাবন, সকলের সদ্গতি দাতা হলেন বাবা। তোমরা যে কোনও কাউকেই বোঝাতে পারো যে ভারত
স্বর্গ আর নরক কিভাবে হয়, এসো তাহলে আমরা তোমাকে সমগ্র বিশ্বের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি
বোঝাবো। এই অসীম জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি ঈশ্বর জানে আর ঈশ্বরের বাচ্চারা, তোমরা
জানো। পবিত্রতা, সুখ-শান্তি কিভাবে স্থাপন হয়, এই হিস্ট্রি-জিওগ্রাফিকে জানার কারণে
তোমরা সবকিছু জেনে যাবে। অসীম জগতের বাবার থেকে তোমরা অবশ্যই অসীম জগতের
উত্তরাধিকারই প্রাপ্ত করবে। এটা এসে বোঝো। টপিক অনেক আছে। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধি
তো এখন ভরপুর হয়ে গেছে। খুশির পারদ তো অনেক চরে গেছে। বাচ্চারা, সমগ্র নলেজ
তোমাদের কাছে আছে। নলেজফুল বাবার থেকে নলেজ প্রাপ্ত হচ্ছে। পুনরায় আমরাই গিয়ে
লক্ষ্মী-নারায়ণ হব। সেখানে আবার এই জ্ঞান কিছুই থাকবে না। কতো গুপ্ত কথা বোঝার আছে!
বাচ্চারা, সিঁড়িকে ভালো ভাবে বুঝে গেছে, তাই না! তো এই চক্র হল ৮৪ জন্মের। এখন
অন্যান্য মানুষকেও ক্লিয়ার করে বোঝাতে হবে। একে এখন স্বর্গ বা পবিত্র দুনিয়া
থোড়াই বলা যাবে! সত্যযুগ হলো আলাদা, কলিযুগ হলো আলাদা জিনিস। এই চক্র কিভাবে
পুনরাবৃত্তি হয়, এটা বোঝানো খুবই সহজ। বোঝাতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু পুরুষার্থ করে
স্মরণের যাত্রায় থাকা, এটা অনেকের দ্বারাই সম্ভব হয় না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
পুরানো দেহ আর দুনিয়াকে বুদ্ধির দ্বারা ভুলে গিয়ে বাবাকে আর ঘরকে স্মরণ করতে হবে।
সর্বদা এই খুশীতে থাকতে হবে যে এখন আমাদের সুখের দিন এলো কি এলো...
২ ) নলেজফুল বাবার থেকে যে নলেজ প্রাপ্ত হয়েছে তাকে চিন্তন করে বুদ্ধিকে ভরপুর রাখতে
হবে। দেহ-অভিমানে এসে কখনও কোনও প্রকারের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ো না।
বরদান:-
ঈশ্বরীয় ভাগ্যে লাইটের ক্রাউন (মুকুট) প্রাপ্তকারী সর্বপ্রাপ্তি স্বরূপ ভব
লৌকিক জগতে শ্রেষ্ঠ
ভাগ্যের প্রতীক হল রাজপদ আর রাজা হওয়ার প্রতীক চিহ্ন হল রাজমুকুট। এইরকম ঈশ্বরীয়
ভাগ্যের প্রতীক চিহ্ন হল লাইটের ক্রাউন বা মুকুট। আর সেই মুকুট প্রাপ্তির আধার হল
পবিত্রতা। সম্পূর্ণ পবিত্র আত্মারা লাইটের মুকুটধারী হওয়ার সাথে সাথে সকল প্রাপ্তি
দিয়েও সম্পন্ন হয়ে থাকে। যদি কোনও প্রাপ্তির অপ্রাপ্তি থাকে তবে লাইটের ক্রাউন
স্পষ্ট দেখা যাবে না।
স্লোগান:-
নিজের আত্মিক স্থিতিতে স্থিত থাকাই হল মন্সা মহাদানী হওয়া।