02.04.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
অন্যান্য সঙ্গ পরিত্যাগ করে একজনের সঙ্গতে যুক্ত হয়ে যাও, ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টিতে
দেখো তাহলে দেহকে দেখবে না, দৃষ্টি বিগড়ে যাবে (খারাপ) না, বাণীতে জোর থাকবে"
প্রশ্নঃ -
বাবা
বাচ্চাদের কাছে ঋণী নাকি বাচ্চারা বাবার কাছে?
উত্তরঃ
বাচ্চারা,
তোমরা হলে অধিকারী, বাবা তোমাদের কাছে ঋণী। বাচ্চারা, তোমরা যখন দান করো তখন
তোমাদের এক এর শতগুণ বাবাকে দিতে হয়। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে তোমরা যা দাও পরজন্মে তার
রিটার্ন পাও। তোমরা এক মুঠো চাল দিয়ে বিশ্বের মালিক হয়ে যাও, তাহলে তোমাদের কতখানি
উদার মনের হওয়া উচিত। আমি বাবাকে দিয়েছি, এই চিন্তাও কখনো আসা উচিত নয়।
ওম্ শান্তি ।
মিউজিয়াম,
প্রদর্শনীতে বোঝাতে হবে যে এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। সমঝদার হলে কেবল তোমরাই,
তাহলে সকলকে কতখানি বোঝাতে হবে যে এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। সবথেকে বেশি সেবা
করার জায়গা হলো মিউজিয়াম। সেখানে অনেকেই আসে। ভালো সার্ভিসেবেল বাচ্চা কম রয়েছে।
সমস্ত সেন্টারগুলো হলো সার্ভিস স্টেশন। দিল্লিতে লেখা রয়েছে স্পিরিচুয়াল
মিউজিয়াম। এরও সঠিক অর্থ বেরোয় না। অনেক লোকেরাই প্রশ্ন করে তোমরা ভারতের কি সেবা
করছো? ভগবানুবাচ রয়েছে, তাইনা ! এ হলো ফরেস্ট (জঙ্গল)। তোমরা এই সময় সঙ্গমে রয়েছো।
না হলে ফরেস্টের, না হলে বাগিচার। এখন বাগিচায় যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। তোমরা
এই রাবণরাজ্যকে রামরাজ্যে পরিণত করছো। তোমাদেরকে প্রশ্ন করে - এত খরচ কোথা থেকে আসছে?
বলো, আমরা বি.কে-রাই করি। রাম রাজ্যের স্থাপনা হচ্ছে। তোমরা কিছুদিনের জন্য এসে বোঝো
যে আমরা কি করছি, আমাদের এইম অবজেক্ট কি? ওরা সার্বভৌমত্বকে মানেই না, সেইজন্য
রাজাদের রাজত্ব সমাপ্ত করে দিয়েছে। এইসময় ওরাও তমোপ্রধান হয়ে পড়েছে, সেইজন্য
তাদের ভালো লাগেনা। ওদেরও ড্রামা অনুসারে দোষ নেই। যা কিছু ড্রামাতে হয় সেই ভূমিকা
আমরাই পালন করে থাকি। প্রতিকল্পে বাবার দ্বারা স্থাপনার এই পার্ট চলতে থাকে।
বাচ্চারা, খরচাও তোমরাই করো, নিজেদের জন্য। শ্রীমৎ অনুসারে নিজেই খরচ করে নিজের
জন্য সত্যযুগীয় রাজধানী তৈরি করছো, আর কারোর জানাও নেই। তোমাদের নাম প্রসিদ্ধ --
আননোন ওয়ারিয়ার্স (অজ্ঞাত যোদ্ধা)। বাস্তবে ওই সেনার মধ্যে আননোন ওয়ারিয়ার কেউ
হয় না। সিপাইদের রেজিস্টার থাকে। এইরকম হতে পারে না যে কারোর নাম, নম্বর রেজিস্টার
নেই। বাস্তবে আননোন ওয়ারিয়ার্স হলে তোমরা। তোমাদের কোনো রেজিস্টারে নাম নেই,
তোমাদের কোনো অস্ত্রশস্ত্রের ক্ষমতা নেই, এখানে শারীরিক হিংসা তো নেই। যোগবলের
দ্বারা তোমরা বিশ্বের উপর বিজয় প্রাপ্ত করো। ঈশ্বর হলেন সর্বশক্তিমান। স্মরণের
দ্বারা তোমরা শক্তি গ্রহণ করছো। সতোপ্রধান হওয়ার জন্য তোমরা বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত
হচ্ছো। তোমরা সতোপ্রধান হলে তখন রাজ্যও সতোপ্রধান চাই। তা তোমরা শ্রীমতানুসারে
স্থাপন করছো। ইনকগনিটো (গুপ্ত) তাদেরকে বলা হয়, যারা আছে কিন্তু নজরে আসে না। তোমরা
শিববাবাকেও এই চোখ দ্বারা দেখতে পারো না। তোমরাও হলে গুপ্ত, সেইজন্য শক্তিও তোমরা
গুপ্তভাবে নিচ্ছো। তোমরা বোঝো যে আমরা পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছি আর পবিত্রতার মধ্যেই
শক্তি রয়েছে। তোমরা সকলেই সত্যযুগে পবিত্র হবে। তাদেরই ৮৪ জন্মের কাহিনী বাবা বলেন।
তোমরা বাবার থেকে শক্তি নিয়ে, পবিত্র হয়ে, তারপর পবিত্র দুনিয়ায় রাজ্য ভাগ্য
করবে। বাহুবলের দ্বারা কেউ বিশ্বের উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে পারে না। এও হলো যোগবলের
কথা। ওরা লড়াই করে, রাজ্য তোমাদের হাতে আসবে। বাবা হলেন সর্বশক্তিমান সেইজন্য
ওঁনার থেকে শক্তি পাওয়া উচিত। তোমরা বাবাকে আর রচনার আদি মধ্য অন্তকেও জানো।
তোমরা জানো যে আমরাই
হলাম স্বদর্শন চক্রধারী। এ'কথা সকলের স্মৃতিতে থাকেনা। বাচ্চারা, তোমাদের স্মৃতিতে
থাকা উচিত কারণ তোমরাই অর্থাৎ বাচ্চারাই এই নলেজ পেয়ে থাকো। বাইরের কেউই বুঝতে পারে
না, সেইজন্য সভায় বসানো হয় না। পতিত-পাবন বাবাকে তো সকলেই ডাকে, কিন্তু নিজেকে
পতিত কেউই মনে করে না। এমনিই গাইতে থাকে, পতিত-পাবন সীতারাম। তোমরা সকলেই হলে
ব্রাইডস্ (বধু), বাবা হলেন ব্রাইডগ্রুম (বর)। তিনি আসেনই সকলের সদগতি করতে। বাচ্চারা,
তোমাদেরকে শৃঙ্গার করান। তোমাদের ডবল ইঞ্জিন প্রাপ্ত হয়েছে। রোলস রয়েল্সের (দামী
গাড়ি) ইঞ্জিন অত্যন্ত ভালো হয়ে থাকে। বাবাও হলেন তেমনই। মানুষ বলে যে পতিত-পাবন
এসো, আমাদের পবিত্র করে সাথে নিয়ে যাও। তোমরা সকলেই শান্তিতে বসে রয়েছো। কোনও
কাসর ঝাঁঝর ইত্যাদি বাজাও না। কষ্টের কোনো কথা নেই। চলতে-ফিরতে বাবাকে স্মরণ করতে
থাকো, যাকেই পাবে তাকেই রাস্তা বলতে থাকো। বাবা বলেন আমার বা লক্ষ্মী-নারায়ণ,
রাধা-কৃষ্ণ ইত্যাদির যারা ভক্ত রয়েছে তাদেরকে এই দান দিতে হবে, ব্যর্থ নষ্ট করোনা।
পাত্রকেই দান দেওয়া হয়ে থাকে। পতিত মানুষ পতিতকেই দান করতে থাকে। বাবা হলেন
সর্বশক্তিমান, ওঁনার থেকে শক্তি নিয়ে উত্তম হয়ে যাও। রাবণ যখন আসে সেই সময়ও
সঙ্গম থাকে -- ত্রেতা আর দাপরের। এই সঙ্গম হলো কলিযুগ আর সত্যযুগের। জ্ঞান কতটা সময়
আর ভক্তি কতটা সময় ধরে চলে, এই সমস্ত কথা তোমাদের বুঝে বোঝাতে হবেন। মুখ্য কথা হলো
বাবাকে স্মরণ করো। যখন অসীম জগতের বাবা আসেন তখন বিনাশ হয়। মহাভারতের লড়াই কবে
হয়েছিল? যখন ভগবান রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। বোঝা যায় নতুন দুনিয়ার আদি, পুরোনো
দুনিয়ার অন্ত অর্থাৎ বিনাশ হবে। দুনিয়া ঘোর অন্ধকারে পড়ে রয়েছে। এখন তাদেরকে
জাগাতে হবে। অর্ধেক কল্প ধরে শুয়ে রয়েছে। বাবা বোঝান নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই
ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখো। তাহলে তোমরা যখন কাউকে জ্ঞান দান করবে তখন তোমাদের কথায়
শক্তি আসবে। আত্মাই পবিত্র এবং পতিত হয়। আত্মা যখন পবিত্র হবে তখন শরীরও পবিত্র
পাবে। এখন তো পেতে পারো না। পবিত্র তো সকলকেই হতে হবে। কেউ যোগবলের দ্বারা, কেউ
সাজাভোগের দ্বারা। পরিশ্রম রয়েছে স্মরণের যাত্রায়। বাবা প্র্যাকটিসও করাতে থাকেন।
কোথাও গেলে তখন বাবাকে স্মরণ করে যাও। যেভাবে পাদ্রীরা শান্তিতে খ্রাইস্টের স্মরণে
যায় আর খ্রাইস্টকে স্মরণ করতে থাকে। ভারতবাসিরাও অনেককে স্মরণ করে থাকে। বাবা বলেন
একজন ব্যতীত আর কাউকে স্মরণ করো না। অসীম জগতের বাবার থেকে আমরা মুক্তি এবং
জীবনমুক্তির অধিকারী হই। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়। সত্যযুগে সকলেই
জীবনমুক্তিতে ছিলে, কলিযুগে সকলেই জীবনবন্ধে রয়েছে। এইসমস্ত কথা বাবা বাচ্চাদেরকে
বুঝিয়ে থাকেন। বাচ্চারা আবার বাবার শো করে। সবদিকেই চক্কর কাটতে থাকে। তোমাদের
কর্তব্য হলো মানুষমাত্রকেই এই সংবাদ দেওয়া যে এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। অসীম
জগতের বাবা অসীম জগতের উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য এসেছেন। বাবা বলেন মামেকম্ (একমাত্র
আমাকেই) স্মরণ করো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। পাপ দূর হয়ে যাবে। এ হলো সত্যিকারের গীতা
যা বাবা শিখিয়ে থাকেন। মানুষের মতানুসারে পতনে গেছো, ভগবানের মতানুসারে তোমরা
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছো। মূল কথা হলো - উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে বাবাকে স্মরণ করতে
থাকো আর পরিচয় দিতে থাকো। ব্যাচ তো তোমাদের কাছে রয়েছে। ফ্রি-তে দিতে বাঁধা নেই।
কিন্তু পাত্র দেখে।
বাবা বাচ্চাদের
উদ্দেশ্যে অনুযোগ করেন যে তোমরা লৌকিক বাবাকে স্মরণ করো আর আমাকে অর্থাৎ পারলৌকিক
বাবাকে ভুলে যাও। লজ্জা করে না! তোমরাই পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের গৃহস্থী জীবনে ছিলে,
এখন আবার হতে হবে। তোমরা হলে ভগবানের সওদাগর। নিজের ভেতরে দেখো, বুদ্ধি কোথাও
এদিকে-সেদিকে ঘুরতে থাকে না তো ? বাবাকে কতখানি সময় ধরে স্মরণ করেছো ? বাবা বলেন -
অন্য সঙ্গ পরিত্যাগ করে একের সঙ্গতে জুড়ে থাকো। ভুল কোরো না। এও বোঝানো হয়েছে যে
ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখো তাহলে দেহকে দেখবে না। দৃষ্টি খারাপ হবে না। লক্ষ্য
রয়েছে, তাই না ! এই জ্ঞান তোমাদের এখনই প্রাপ্ত হয়। ভাই-ভাই তো সকলেই বলে, মানুষ
বলে - ব্রাদারহুড। সে তো ঠিকই আছে। আমরা হলাম পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান। তাহলে এখানে
কেন বসে রয়েছো? বাবা স্বর্গের স্থাপনা করছেন তাহলে এমন-এমনভাবে বুঝিয়ে উন্নতি
প্রাপ্ত করতে থাকো। বাবার অনেক সার্ভিসেবেল কন্যা চাই। সেন্টার্স খুলতে থাকে।
বাচ্চাদের শখ রয়েছে, বোঝে অনেকের কল্যাণ হবে। কিন্তু দেখভাল করার জন্য টিচারস্ও
ভালো মহারথী চাই। টিচারদের মধ্যেও নম্বরের অনুক্রম রয়েছে। বাবা বলেন যেখানে
লক্ষী-নারায়ণের মন্দির রয়েছে, শিবের মন্দির রয়েছে, গঙ্গার উপকণ্ঠে যেখানে অনেক
ভিড় হয়, সেখানে গিয়ে সার্ভিস করা উচিত। বোঝাও - ভগবান বলেন কাম হলো মহাশত্রু।
তোমরা শ্রীমতানুসারে সার্ভিস করে থাকো। এ হলো তোমাদের ঈশ্বরীয় পরিবার। এখানে ৭ দিন
ভাট্টিতে এসে পরিবারের সাথে থাকো। বাচ্চারা, তোমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত। অসীম
জগতের বাবা, যার মাধ্যমে তোমরা পদ্মাপদম সৌভাগ্যশালী হয়ে যাও। দুনিয়া জানে না যে
ভগবান পড়াতে পারেন। এখানে তোমরা পড়ো, তাহলে তোমাদের কত খুশিতে থাকা উচিত। আমরা
উচ্চ থেকেও উচ্চে (সর্বোচ্চে) যাওয়ার জন্য পড়ছি। কত উদারচিত্তের হওয়া উচিত।
বাবার উপর তোমরা ঋণ চাপিয়ে দাও। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যা দাও, পরজন্মে তার রিটার্ন
নিয়ে নাও, তাই না ! বাবাকে তোমরা সব কিছু দিয়েছো তাই বাবাকেও সবকিছু দিতে হবে। আমি
বাবাকে দিয়েছি, এই চিন্তা কখনো আসা উচিত নয়। অনেকের ভিতরে চলতে থাকে -- আমি এত
দিয়েছি, আমার আদর-সম্মান কেন হয়নি? তোমরা এক মুঠো চাল দিয়ে বিশ্বের বাদশাহী নিয়ে
নাও। বাবা হলেন দাতা, তাই না ! রাজারা রয়্যাল হন, সর্বপ্রথমে যখন সাক্ষাৎ হয় তখন
আমরা উপহার দিয়ে থাকি, তিনি কখনো হাতে নেন না। সেক্রেটারীর দিকে ইশারা করবেন। তাহলে
শিববাবা, যিনি হলেন দাতা তিনি কিভাবে নেবেন। উনি হলেন অসীম জগতের বাবা, তাই না?
ওঁনার সামনে তোমরা উপহার রাখো। কিন্তু বাবা তো শতগুণ ফেরত দিয়ে দেবেন। তাহলে আমি
দিয়েছি - এই চিন্তা কখনো আসা উচিত নয়। সর্বদা মনে করো আমরা তো গ্রহণ করছি। ওখানে
তোমরা পদ্মাপদমপতি (বিপুল ঐশ্বর্যশালী) হয়ে যাবে। বাস্তবে তোমরা পদ্মাপদম
সৌভাগ্যশালী হয়ে যাও। অনেক বাচ্চারা উদারচিত্তও হয়। আবার অনেকে কৃপণও হয়। বোঝেই
না যে আমরাই পদ্মাপদমপতি হয়ে যাই, আমরা অত্যন্ত সুখী হয়ে যাই। যখন পরমাত্মা বাবা
উপস্থিত থাকেন না তখন ইনডাইরেক্টলি অল্প সময়ের জন্য ফল দেন। যখন উপস্থিত থাকেন তখন
২১ জন্মের জন্য দিয়ে থাকেন। এ কথা গাওয়া হয় যে শিববাবার ভান্ডারা ভরপুর রয়েছে।
দেখো, অগণিত বাচ্চা রয়েছে, কারোর এ'কথা জানা নেই যে কে কি দিচ্ছে ? বাবা জানেন আর
বাবার পুটলি (ব্রহ্মা) জানেন, যাঁর মধ্যে বাবা থাকেন -- একদম সাধারণ। সেই জন্য
বাচ্চারা এখান থেকে বাইরে বেরিয়ে গেলে তখন সেই নেশা হারিয়ে যায়। জ্ঞান, যোগ না
থাকলে তখন ছোট ছোট সংঘর্ষ চলতে থাকে। ভালো ভালো বাচ্চাদেরকেও মায়া পরাস্ত করে দেয়।
মায়া বিমুখ করে দেয়। শিব বাবা, যার কাছে তোমরা আসো, তাঁকে তোমরা স্মরণ করতে পারো
না ! ভিতরে অগাধ খুশি থাকা উচিত। সেই দিন আজ এসেছে, যার উদ্দেশ্যে বলতে যে তুমি এলে
তখন আমরা তোমার হয়ে যাব। ভগবান এসে অ্যাডপ্ট করেন তাহলে কত সৌভাগ্যশালী (খুশনসীব)
বলবে। কত খুশিতে থাকা উচিত। কিন্তু মায়া খুশি নষ্ট করে দেয়। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
ভগবান আমাদের অ্যাডপ্ট করেছেন, তিনিই আমাদের টিচার হয়ে পড়াচ্ছেন, নিজের পদ্মাপদম
ভাগ্যকে স্মরণ করে খুশিতে থাকা উচিত।
২ ) আমরা হলাম আত্মা,
ভাই-ভাই, এই দৃষ্টি পাকা করতে হবে। দেহকে দেখা উচিৎ নয়। ভগবানের সঙ্গে সওদা করার
পর পুনরায় বুদ্ধিকে এদিকে-ওদিকে নিয়ে যাবে না।
বরদান:-
এই
অলৌকিক জীবনে সম্বন্ধের শক্তির দ্বারা অবিনাশী স্নেহ এবং সহযোগ প্রাপ্তকারী শ্রেষ্ঠ
আত্মা ভব
বাচ্চারা, এই অলৌকিক
জীবনে সম্বন্ধের শক্তি তোমাদের ডবল রূপে প্রাপ্ত হয়। এক, বাবার দ্বারা সর্ব
সম্বন্ধ, দ্বিতীয়টি দৈবী পরিবারের দ্বারা সম্বন্ধ। এই সম্বন্ধের দ্বারা সর্বদা
নিঃস্বার্থ স্নেহ, অবিনাশী স্নেহ আর সহয়তা প্রাপ্ত হতে থাকে। তাহলে তোমাদের কাছে
সম্বন্ধেরও শক্তি আছে। এইরকম শ্রেষ্ঠ অলৌকিক জীবনের অধিকারী শক্তিসম্পন্ন বরদানী
আত্মা হয়ে যাও, সেইজন্য প্রার্থনাকারী (আর্জি জানায় যে) নয়, সর্বদা সম্মতি/সন্তুষ্ট
(রাজী) হও।
স্লোগান:-
যেকোনও
প্ল্যান বিদেহী, সাক্ষী হয়ে ভাবো আর সেকেন্ডে প্লেন (সরল) স্থিতি তৈরী করতে থাকো।