02.11.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
স্মরণ রূপী ওষুধের দ্বারা নিজেকে নিরোগী বানাও, স্মরণ আর স্বদর্শন চক্র ঘোরানোর
অভ্যাস করো, তাহলেই বিকর্মজিত হতে পারবে"
প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চাদের
সর্বদা নিজের উন্নতির খেয়াল থাকে, তাদের নিদর্শন কি?
উত্তরঃ
তাদের প্রতিটি
কাজ শ্রীমতের আধারে হবে l বাবার শ্রীমৎ হলো -- বাচ্চারা, দেহ - ভাবে এসো না,
স্মরণের যাত্রার চার্ট রাখো l নিজের হিসেব - নিকেশের পোতামেল (রেকর্ড) রাখো l চেক
করো - কতটা সময় আমি বাবার স্মরণে থেকেছি, কতটা সময় কাকে বুঝিয়েছি?
গীতঃ-
তুমি প্রেমের
সাগর...
ওম্ শান্তি ।
এখানে যখন বসো,
তখন বাবার স্মরণে বসতে হবে l মায়া অনেককেই স্মরণ করতে দেয় না কেননা দেহ - ভাব থাকে
l কারোর আত্মীয় পরিজন, কারোর আবার খাওয়া - দাওয়া ইত্যাদির কথা স্মরণে আসতে থাকে l
এখানে যখন সবাই আসো তখন বাবার আহ্বান করা উচিত l লক্ষ্মীর পূজা হলে যেমন লক্ষ্মীকে
আহ্বান করে, কোনো লক্ষ্মী কিন্তু আসে না l এ কথা শুধুই বলা হয়, তেমন তোমরাও বাবাকে
স্মরণ করো অথবা আহ্বান করো, এ একই কথা l এই স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে l
অনেকের ধারণা হয় না, কারণ বিকর্ম তো অনেক করেছে, যেই কারণে বাবাকেও স্মরণ করতে পারে
না l বাবাকে যতো স্মরণ করবে, ততই বিকর্মজিত হবে, সুস্বাস্থ্য পাবে l এ খুবই সহজ
কিন্তু মায়া বা পূর্বের বিকর্ম বাধা দেয় l বাবা বলেন যে, তোমরা অর্ধকল্প অযথার্থ
স্মরণ করেছো l এখন তো প্রত্যক্ষভাবে আহ্বান করো, কারণ তোমরা জানো যে তিনি আসবেন এবং
মুরলী শোনাবেন l এই স্মরণের অভ্যাস কিন্তু হয়ে যাওয়া চাই l নিজেকে এভার নিরোগী
বানানোর জন্য সার্জন ওষুধ দেন যে, আমাকে স্মরণ করো l এরপর তোমরা আমার সঙ্গে এসে
মিলিত হবে l আমাকে স্মরণ করলেই অবিনাশী উত্তরাধিকার পাবে l বাবা এবং সুইট হোমকে
স্মরণ করতে হবে l যেখানে যেতে হবে, তা বুদ্ধিতে রাখতে হবে l বাবা এসেই এই প্রকৃত
খবর দেন, আর কেউই প্রকৃত ঈশ্বরের খবর দেয় না l ওরা তো এখানে স্টেজে অভিনয় করতে আসে,
আর ঈশ্বরকে ভুলে যায় l তারা ঈশ্বরের সন্ধান রাখেন না l বাস্তবে তাদের পয়গম্বর বা
ম্যাসেঞ্জার বলা যাবে না l এই নাম তো মানুষ দিয়েছে l তাঁরা তো এখানে আসে, তাঁদের তো
এই ভূমিকা পালন করতেই হবে l এখন তাহলে স্মরণ কিভাবে করবে? এই ভূমিকা পালন করতে করতে
পতিত হতেই হবে l অবশেষে অন্তিম সময়ে পবিত্র হতে হবে l পবিত্র তো বাবা এসেই বানান l
বাবার স্মরণেই পবিত্র হতে হবে l বাবা বলেন যে, পবিত্র হওয়ার একটাই উপায় - দেহ সহ,
দেহের যা কিছু সম্বন্ধ আছে, তা ভুলে যেতে হবে l
তোমরা জানো যে, আমরা
আত্মারা স্মরণের আদেশ (ফরমান) পেয়েছি l সেই নির্দেশে চললেই আজ্ঞাকারী বলা হবে l যে
যতটা পুরুষার্থ করে, ততটাই আজ্ঞাকারী হয় l স্মরণ কম করলে কম আজ্ঞাকারী হয় l
আজ্ঞাকারী সন্তান উঁচু পদ পায় l বাবার নির্দেশ হলো - এক তো আমি তোমাদের বাবা, আমাকে
স্মরণ করো, দ্বিতীয় এই জ্ঞানকে ধারণ করো l স্মরণ না করলে অনেক সাজা ভোগ করতে হবে l
স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে থাকলে অনেক সম্পদ পাবে l ভগবান উবাচঃ - আমাকে স্মরণ করো আর
স্বদর্শন চক্র ঘোরাও অর্থাৎ ড্রামার আদি - মধ্য এবং অন্তকে জানো l আমার দ্বারা আমাকে
জানো আর সৃষ্টির সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তের চক্রও জানো l এই দুটি বিষয়ই মুখ্য l
এর উপরেই অ্যাটেনশন দিতে হবে l শ্রীমতে সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিলে উঁচু পদ পাবে l
তোমাদের দয়ালু হতে হবে, সবাইকে পথ বলে দিতে হবে, সকলের কল্যাণ করতে হবে l মিত্র -
সম্বন্ধী ইত্যাদিদের প্রকৃত যাত্রায় নিয়ে যাওয়ার যুক্তি রচনা করতে হবে l সে হলো
শরীরের যাত্রা আর এ হলো রুহানী যাত্রা l এই ঈশ্বরীয় জ্ঞান কারোর কাছেই নেই l ওগুলো
হলো সব শাস্ত্রের ফিলসফি l এ হলো রুহানী ঈশ্বরীয় জ্ঞান l সুপ্রীম আত্মা এই জ্ঞান
দেন, আত্মাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য l
কোনও কোনো বাচ্চা
এখানে এসে বসে, কেউ আবার বাধ্য হয়েও বসে l নিজের উন্নতির কোনো খেয়ালই নেই l দেহ -
ভাব অনেক বেশী l দেহী - অভিমানী হলে দয়ালু হবে এবং শ্রীমতেও চলবে l অনেকেই আজ্ঞাকারী
নয় l বাবা বলেন যে - নিজেদের চার্ট লেখো, তোমরা কতটা সময় স্মরণ করো ? কোন্ - কোন্
সময়ে স্মরণ করো l আগে তোমরা চার্ট রাখতে l আচ্ছা, বাবাকে না দিলে, নিজেদের কাছে তো
চার্ট রাখো l নিজেদের মুখ দেখতে হবে - আমরা লক্ষ্মীকে বরণের যোগ্য হয়েছি কি?
ব্যবসায়ী মানুষেরা নিজেদের কাছে রেকর্ড (পোতামেল) রাখে, কোনো - কোনো মানুষ নিজেদের
সারাদিনের দিনচর্যা লেখে l এই লেখার একটা ইচ্ছা রাখে l এই হিসেব - নিকেশ রাখা তো
খুব ভালো কথা যে, কতটা সময় আমরা বাবাকে স্মরণ করি ? কতটা সময় কাকে বুঝিয়েছি ? এমন
চার্ট রাখলে অনেক উন্নতি হবে l বাবা মত দেন যে, এমন - এমন করো l বাচ্চাদের নিজেদের
উন্নতি করতে হবে l মালার দানা যারা হবে, তাদের অনেক পুরুষার্থ করতে হবে l বাবা
বলেছিলেন - ব্রাহ্মণদের মালা এখন তৈরী হবে না, অন্তিম সময় তৈরী হবে, যখন রুদ্রের
মালা তৈরী হবে l ব্রাহ্মণদের মালার দানার পরিবর্তন হতে থাকে l আজ যারা তিন বা চার
নম্বরে আছে, কাল তারা শেষের দিকে চলে যায় l কত তফাত হয়ে যায় l কারোর যদি অধোগতি হয়
তো, দুর্গতি হয়ে যায় l মালায় তো স্থান পায় না, এমনকি প্রজাতেও সম্পূর্ণ চণ্ডাল হয়ে
যায় l মালাতে যদি গ্রথিত হতে হয়, তাহলে তারজন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে l বাবা খুব
ভালো রায় দেন - নিজের উন্নতি কিভাবে করবে ? তিনি সবার জন্য বলেন l কেউ যদি বাকহীনও
হয়, তবুও ইশারাতেই কাউকে বাবার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে l যারা মুখে বলবে অনেকসময়
তাদের থেকেও ভালো বোঝাতে পারে l অন্ধ, প্রতিবন্ধী যাই হোক না কেন, সুস্থদের থেকেও
ভালো পদ পেতে পারে l এক সেকেন্ডেই ইশারা দেওয়া যেতে পারে l সেকেন্ডে জীবনমুক্তির
গায়ন তো আছে, তাই না l বাবার হলেই অবিনাশী বর্সা তো পেয়েই যাবে, তাই না l এরপর তাতে
নম্বর অনুসারে পদ তো অবশ্যই আছে l বাচ্চার জন্ম হলেই সম্পত্তির অধিকারী হয়ে যায় l
এখানে তোমরা আত্মারা তো হলেই পুত্র সন্তান l তাই বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার
নিতে হবে l এখানে সবকিছুই পুরুষার্থের উপরে নির্ভর করে l এরপর বলবে, আগের কল্পেও
এমনই পুরুষার্থ করেছিলাম l এ হলো মায়ার সঙ্গে যুদ্ধ l পাণ্ডবদের তো মায়া রাবণের
সঙ্গেই লড়াই ছিলো l কেউ তো পুরুষার্থ করে বিশ্বের মালিক, ডবল মুকুটধারী হয়, কেউ
আবার প্রজাতে চাকর - বাকরও হয় l সকলেই এখানে পড়ছে l এখন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে,
অ্যাটেনশন অবশ্যই সামনের দানার দিকেই যাবে l আট দানাতে কিভাবে আসে, তা পুরুষার্থের
দ্বারাই জানা যায় l এমন নয় যে, তিনি অন্তর্যামী তাই সকলের মনের কথা পড়তে পারেন l তা
নয়, অন্তর্যামী মানে, যিনি সব জানেন l এমন নয় যে, তিনি বসে সকলের মনের কথা জানতে
পারেন l 'জানি জানানহার' অর্থাৎ নলেজফুল l তিনি এই সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তকে
জানেন l এক একজনের মনকে তিনি থোড়াই বসে জানবেন l আমাকে কি থট রিডার মনে করেছো ? আমি
'জানি - জানানহার' অর্থাৎ নলেজফুল l অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎকেই সৃষ্টির আদি -
মধ্য এবং অন্ত বলা হয় l এই চক্র কিভাবে রিপিট হয়, আমি সেই রিপিটেশনকে জানি l
বাচ্চারা, সেই জ্ঞানই আমি তোমাদের পড়াতে আসি l প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে, কে কতটা
সার্ভিস করছে আর কতটা পড়ছে ? এমন নয় যে, বাবা বসে এক একজনের কথা জানতে পারেন l বাবা
থোড়াই বসে এমন কাজ করবেন l তিনি তো সর্বজ্ঞ, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, নলেজফুল l তিনি
বলেন যে, তিনি মনুষ্য সৃষ্টির আদি - মধ্য, অন্ত আর যারা মুখ্য অভিনেতা তাদের জানেন
l বাকি তো অনন্ত রচনা l এই 'জানি - জানানহার' অক্ষর তো পুরানো l আমি তো যে জ্ঞান
জানি তাই তোমাদের পড়াই l বাকি তোমরা কি কি করো তা সারাদিন বসে দেখবো কি ? আমি তো
সহজ রাজযোগ আর জ্ঞান শেখাতে আসি l বাবা বলেন, বাচ্চারা তো অনেকই, আমি বাচ্চাদের
সামনে প্রত্যক্ষ হয়েছি l আমার সমস্ত কাজই বাচ্চাদের সঙ্গে l যে আমার সন্তান হয়, আমি
তারই বাবা হই l তারপর সে নামমাত্র সন্তান নাকি প্রকৃত সন্তান, তা আমি বুঝতে পারি l
এ প্রত্যেকের জন্য পড়া l শ্রীমৎ অনুযায়ী ভূমিকা পালনের জন্য আসতে হবে l কল্যাণকারী
হতে হবে l বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বৃহস্পতিকে বৃক্ষপতি ডে বলা হয় l বৃক্ষপতি বা
শিব, হলো তো একই l গুরুবারের দিন স্কুলে গেলে গুরু করে l যেমন সোমনাথের দিন সোমবার,
শিববাবা সোমরস পান করান l এমনিতে তাঁর নাম তো শিব কিন্তু পড়ান, তাই সোমনাথ বলে
দিয়েছে l রুদ্রও সোমনাথকেই বলা হয় l রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের রচনা করেছেন তাই জ্ঞান দাতা
হয়ে গেছেন l অনেক নামই রেখে দিয়েছে l তাই এই কথাই বোঝানো হয় l শুরুর থেকেই এই এক
যজ্ঞ চলে, কেউই জানে না যে, সম্পূর্ণ পুরানো সৃষ্টির সামগ্রী এই যজ্ঞে স্বাহা হয়ে
যাবে l যাই মানুষ আছে, যা কিছুই আছে, তত্ব সহিত সব কিছুরই পরিবর্তন হতে হবে l এও
বাচ্চাদের দেখতে হবে,যারা দেখবে তাদের অনেক মহাবীর হতে হবে l যা কিছুই হবে, ভুলবে
না l মনুষ্য তো হায় - হায়, ত্রাহি - ত্রাহি করতে থাকবে l প্রথমে তো বোঝাতে হবে -
তোমরা সামান্য এইটুকু তো বোঝো, সত্যযুগে একই ভারত ছিলো, মানুষ খুব অল্প ছিলো, এক
ধর্ম ছিলো, এখন কলিযুগের অন্ত পর্যন্ত কত ধর্ম হয়েছে l এ কত পর্যন্ত চলবে ?
কলিযুগের পরে অবশ্যই সত্যযুগ হবে l এখন এই সত্যযুগের স্থাপনা কে করবেন ? রচয়িতা তো
একমাত্র বাবাই l সত্যযুগের স্থাপনা এবং কলিযুগের বিনাশ হয় l এই বিনাশ সামনে উপস্থিত
l এখন তোমরা বাবার কাছে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জ্ঞান পেয়েছো l এই স্বদর্শন
চক্র তোমাদের ঘোরাতে হবে l বাবা এবং বাবার রচনাকে স্মরণ করতে হবে l এ কত সহজ কথা l
গীত :-- তুমি প্রেমের
সাগর.... ছবিতে জ্ঞানের সাগর, খুশীর সাগর লেখা হয়, সেখানে ভালোবাসার সাগর অক্ষর
অবশ্যই আসা উচিত l বাবার মহিমা সম্পূর্ণ আলাদা l সর্বব্যাপী বলে সেই মহিমাকেই
সম্পূর্ণ শেষ করে দেয় l তাই ভালোবাসার সাগর এই অক্ষর অবশ্যই লিখতে হবে, এ হলো
বেহদের মা - বাবার ভালোবাসা, যাঁর জন্য গাওয়া হয়, তোমার কৃপাতেই চরম সুখ, কিন্তু
কিছুই জানে না l বাবা এখন বলছেন, তোমরা আমাকে জানলে সবকিছুই জেনে যাবে l আমিই
তোমাদের সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান বুঝিয়ে বলবো l এক জন্মের কথা নয়,
সমস্ত সৃষ্টির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কথা জানেন, তাহলে বুদ্ধিতে কতটা আসা
উচিত l যারা দেহী - অভিমানী হয় না, তাদের ধারণাও হয় না l সমস্ত কল্প ধরে দেহ বোধ চলে
আসছে l সত্যযুগেও পরমাত্মার জ্ঞান থাকে না l এখানে অভিনয় করতে এসে পরমাত্মার জ্ঞান
ভুলে গেছে l এ তো বুঝতেই পারো যে, আত্মা এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করে l সত্যযুগে
কিন্তু দুঃখের কোনো কথা নেই l এ হলো বাবার মহিমা, তিনি জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর
l এক ফোঁটাই হলো মনমনাভব, মধ্যাজী ভব... এটা প্রাপ্ত হলেই আমরা বিষয় সাগর থেকে
ক্ষীর সাগরে চলে যাই l কথিত আছে যে - স্বর্গে দুধ - ঘিয়ের নদী বয়ে চলে l এ সবই হলো
মহিমা l বাকি থোড়াই দুধ - ঘিয়ের নদী হতে পারে l বর্ষায় তো জলই বেরোবে l ঘি কোথা থেকে
আসবে l এ কথা সুন্দর বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে l তোমরা এও জানো যে, স্বর্গ কাকে বলা
হয় l যদিও আজমীরে মডেল আছে, তবুও কিছুই বুঝতে পারে না l তোমরা যে কাউকেই বোঝাও না
কেন, ঝট করে বুঝে যাবে l বাবার যেমন আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান আছে তেমনি বাচ্চারা,
তোমাদের বুদ্ধিতেও এই কথা ঘোরা উচিত l তোমাদের, বাবার পরিচয় দিতে হবে, তাঁর প্রকৃত
মহিমা শোনাতে হবে, তাঁর মহিমা যে অপরমপার l সবাই এক সমান হতে পারে না l সবাই তার
নিজের নিজের পার্ট পেয়েছে l ভবিষ্যতে তোমরা দেখবে, দিব্য দৃষ্টির দ্বারা বাবা যা
দেখিয়েছেন, তা আবার প্রত্যক্ষ হতে হবে l স্থাপনা আর বিনাশের করাতে থাকেন l
অর্জুনকেও দিব্য দৃষ্টির দ্বারা সাক্ষাৎকার করিয়েছিলেন তারপর তারপর প্রত্যক্ষভাবে
দেখেছিলেন l তোমরাও এই চোখেই বিনাশ দেখবে l তোমরা বৈকুন্ঠের সাক্ষাৎকার করেছো, যখন
প্রত্যক্ষভাবে যাবে তখন সাক্ষাৎকার বন্ধ হয়ে যাবে l বাবা কতো ভালো - ভালো বিষয়
বোঝান যা বাচ্চারা, তোমাদের অন্যদের বোঝাতে হবে -- ভাই, বোনেরা, তোমরা এসে জ্ঞান আর
যোগের দ্বারা বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নাও l
বাবা নিরন্তর পত্র
গুলিকে সংশোধন করছেন l নীচে সই করেন, তন - মন - ধনের দ্বারা এই কাজে ঈশ্বরীয় সেবায়
উপস্থিত l ভবিষ্যতে মহিমা তো বের হবেই l আগের কল্পে যারা অবিনাশী উত্তরাধিকার
নিয়েছিল, তাদের আসতেই হবে l পরিশ্রম করতেই হবে l এরপর খুশির পারদ চড়তে চড়তে স্থায়ী
হয়ে যাবে l তখন আর মুহূর্মুহূ ঝিমিয়ে পড়বে না l ঝড়ঝঞ্ঝা তো অনেকই আসবে, তাকে পার
করতে হবে l তোমরা শ্রীমতে চলতে থাকো l ব্যবহারিক জীবনকেও নির্বাহ করতে হবে l যতক্ষণ
না সার্ভিসের প্রমাণ দেবে ততক্ষণ বাবা এই সার্ভিসে নিয়োজিত করবেন না l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
শ্রীমতের উপরে সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিয়ে অন্যের কল্যাণ করতে হবে l সবাইকে প্রকৃত
যাত্রা করাতে হবে, দয়ালু হতে হবে l
২ ) বাবার প্রতিটি
ফরমানকে পালন করতে হবে l স্মরণ বা সেবার চার্ট অবশ্যই রাখতে হবে l স্বদর্শন চক্র
ঘোরাতে হবে l
বরদান:-
সত্য
মনে সাহেবকে (বাবা) খুশী করিয়ে রাজযুক্ত (রহস্য), যুক্তিযুক্ত, যোগযুক্ত ভব
বাপদাদার টাইটেল হলো
দিলওয়ালা, দিলারাম l যারা স্বচ্ছ হৃদয়ের বাচ্চা হয়, তাদের উপরে সাহেব খুশী হয়ে যান
l মন থেকে যারা বাবাকে স্মরণ করে তারা সহজেই বিন্দু রূপ হতে পারে l তারা বাবার
বিশেষ আশীর্বাদের পাত্র হয়ে যায় l সত্যতার শক্তিতে সময় অনুযায়ী তাদের বুদ্ধি
যুক্তিযুক্ত এবং স্বতঃতই যথার্থ কার্য করে l ভগবানকে খুশী করেছে তাই প্রতিটি
সঙ্কল্প, বাণী এবং কর্ম যথার্থ হয় l তারা রাজযুক্ত, যুক্তিযুক্ত এবং যোগযুক্ত হয়ে
যায় l
স্লোগান:-
বাবার
লভ-এ সদা লীন থাকো, তাহলেই অনেক প্রকারের দুঃখ এবং ধোঁকার থেকে বেঁচে যাবে l