03.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার স্মরণে সর্বদা উৎফুল্ল থাকো, পুরানো দেহের ভাব ছাড়তে থাকো, কারণ তোমাদের যোগবলের দ্বারা বায়ুমন্ডলকে শুদ্ধ করার সেবা করতে হবে"

প্রশ্নঃ -
স্কলারশিপ নিতে গেলে অথবা নিজেই নিজেকে রাজ-তিলক দেওয়ার জন্য কেমন পুরুষার্থ চাই?

উত্তরঃ  
রাজ তিলক তখন প্রাপ্ত হবে যখন স্মরণের যাত্রার পুরুষার্থ করবে। নিজেদের মধ্যে ভাই-ভাই মনে করার অভ্যাস করলে নাম-রূপের ভাব চলে যাবে। ফালতু কথা কখনো শুনো না। বাবা যা শোনান সেটাই শোনো, দ্বিতীয় কোনো কথায় কান বন্ধ করে নাও। পড়াশুনার উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দাও তবে স্কলারশিপ প্রাপ্ত হতে পারে।

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা জানে আমরা শ্রীমতের আধারে নিজেদের জন্য রাজধানী স্থাপন করছি। যে যত সার্ভিস করে, মনসা-বাচা-কর্মে নিজেরই কল্যাণ করে থাকে। এতে ঝামেলার কোনো ব্যাপার নেই। ব্যস্, এই পুরোনো দেহের ভাব ছাড়তে ছাড়তে তোমরা ওখানে গিয়ে পৌঁছাও। বাবাকে স্মরণ করলে খুশীও অনেক হয়। সর্বদা স্মরণে থাকলে খুশী আর খুশী। বাবাকে বিস্মৃত হলে বিষন্নতা চলে আসে। বাচ্চাদের সর্বদা উৎফুল্ল থাকা চাই। আমরা হলাম আত্মা। আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা এই (ব্রহ্মা বাবার) মুখ এর দ্বারা বলেন আর আমরা আত্মারা এই কান এর দ্বারা শুনি। নিজেদের এইরকম সব অভ্যাস রপ্ত করার জন্য পরিশ্রম করতে হয়। বাবাকে স্মরণ করতে করতে পরমধাম গৃহে ফিরে যেতে হবে। এই স্মরণের যাত্রাই ভীষণ ভাবে শক্তি প্রদান করে। তোমাদের এতোই শক্তি প্রাপ্ত হয় যে তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠো। বাবা বলেন তোমরা মামেকম্ স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা চাই। পরিশেষে এই বশীকরণ মন্ত্রটিই কাজে আসবে। সবাইকে ঈশ্বরীয় বার্তাও এখানেই দিতে হবে- নিজেকে আত্মা মনে করো, এই শরীর হলো বিনাশী। বাবার আদেশ হলো আমাকে স্মরণ করলে পবিত্র হয়ে যাবে। বাচ্চারা, তোমরা বাবার স্মরণে বসেছো। সাথে জ্ঞানও আছে, কারণ তোমরা রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকেও জানো। নিজের আত্মাতে সমস্ত জ্ঞান রয়েছে । তোমরা তো হলে স্বদর্শন চক্রধারী। তোমাদের এখানে বসে বসে অনেক উপার্জন হচ্ছে। তোমাদের দিন আর রাত শুধুই উপার্জন। তোমরা এখানে আসোই প্রকৃত উপার্জন করতে। সত্যিকারের উপার্জন আর কোথাওই হয় না, যা সঙ্গে যাবে। তোমাদের তো কিছু জীবিকা অর্জনের জন্য কর্ম ইত্যাদি এখানে (মধুবনে) নেই। বায়ুমন্ডলও তেমনি সুন্দর। তোমরা যোগবলের দ্বারা বায়ুমন্ডলকেও শুদ্ধ করো। তোমরা অনেক সার্ভিস করছ। যারা নিজেদের সেবা করে তারাই ভারতের সেবা করে। আবার এই পুরানো দুনিয়াও থাকবে না। তোমরাও থাকবে না। দুনিয়াই নতুন হয়ে যাবে। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সমস্ত জ্ঞান আছে। এটাও জানো যে - পূর্ব কল্পে যে সার্ভিস করেছিল সেই এখন করতে থাকে। প্রত্যেক দিন অনেককে নিজের সমান বানাতেই থাকে। এই জ্ঞান শুনে খুব খুশী হয়। রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে । বলে এই জ্ঞান কখনো কারোর থেকে শুনিনি। তোমাদের ব্রাহ্মণদের থেকেই শুনছি। ভক্তি মার্গে তো পরিশ্রম কিছুই নেই। এতে সমস্ত পুরোনো দুনিয়াকে ভুলে যেতে হয়। এই অসীম জগতের সন্ন্যাস বাবা-ই করান। তোমাদের বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী হয়। খুশীও নম্বর অনুযায়ী হয়, একরকম নয়। জ্ঞান-যোগও একরকম না। আর সব মানুষ তো দেহধারীদের কাছে যায়। এখানে তোমরা তাঁর কাছে আসো যার নিজের দেহ নেই।

স্মরণের পুরুষার্থ যত করতে থাকবে ততই সতোপ্রধান হতে থাকবে। খুশী বাড়তে থাকবে। এ হলো আত্মা আর পরমাত্মার শুদ্ধ লভ। তিনি হলেন নিরাকার। তোমাদের মরচে যত উঠে যেতে থাকবে, আকর্ষণ ততই হবে। নিজেদের ডিগ্রী তোমরা দেখতে পারো - আমরা কতো খুশীতে থাকি। এতে আসনে বসা ইত্যাদির ব্যাপার নেই। হঠযোগ নয়। আরাম করে বসে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। শুয়ে শুয়েও স্মরণ করতে পারো। অসীম জগতের পিতা বলেন আমাকে স্মরণ করলে তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে আর পাপ খন্ডন হবে। অসীম জগতের পিতা তোমাদের টিচারও বটে, সদ্গুরুও, তাঁকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে হবে। এতেই মায়া বিঘ্ন ঘটায়। দেখতে হবে আমি কি বাবার স্মরণে থেকে প্রফুল্লতার সাথে আহার প্রস্তুত করেছি? দয়িতার যদি দয়িতের সাথে মিলন হয় তবে অবশ্যই খুশী হবে। স্মরণে থাকার জন্য তোমাদের অনেক জমা হতে থাকে। লক্ষ অনেক বড়। তোমরা কি থেকে কি হও। প্রথমে তো অবুঝ ছিলে, এখন তোমরা অনেক বুঝদার হয়েছ। তোমাদের এইম-অবজেক্ট কতো ফার্স্টক্লাস। তোমরা জানো, আমরা বাবাকে স্মরণ করতে করতে এই পুরানো দুনিয়ার চামড়াটি ছেড়ে গিয়ে নতুন নিই। কর্মাতীত অবস্থা হলে আবার এই খোলস ছেড়ে দেবো। বাড়ির কাছাকাছি এলে বাড়ির কথাই তো স্মরণে আসে তাই না ! বাবার জ্ঞান অত্যন্ত মধুর। বাচ্চাদের কতো নেশা থাকা উচিত। ভগবান এই রথে (ব্রহ্মা বাবার দেহে) বসে তোমাদের পড়াচ্ছেন। তোমাদের এখন হলো (চড়তি কলা) ঊর্ধ্ব গতিতে চলার সময়। তোমাদের চড়তি কলায় সকলের মঙ্গল হয়। তোমরা কোনো নতুন কথা শুনছো না। জানো যে অনেক বার আমরা শুনেছি, সেটাই আবার শুনছি। শুনে ভিতরে ভিতরে বিগলিত হতে থাকবে। তোমরা হলে আননোন ওয়ারিয়র্স, যারা কিনা ভেরি ওয়েলনোন। তোমরা সমগ্র বিশ্বকে হেভেন করে তোলো, তাই দেবীদের এতো পূজা হয়। যে করে আর যিনি করান দুইয়েরই পূজা হয়। বাচ্চারা জানে দেবী-দেবতা ধর্মের যারা তাদেরকলম সারিবদ্ধ হচ্ছে। এই নিয়ম এখন শুরু হলো। তোমরা নিজেদের তিলক লাগাও। যে ভালো করে পড়াশুনা করে সে নিজেকে স্কলারশিপের যোগ্য করে তোলে। বাচ্চাদের স্মরণের যাত্রার অনেক পুরুষার্থ করা উচিত। নিজেদেরকে ভাই-ভাই মনে করলে নাম-রূপের ভাব বেরিয়ে যাবে, এতেই পরিশ্রম। অনেক মনোযোগ দিতে হবে। ব্যর্থ কথা কখনো শুনো না। বাবা বলেন আমি যা শোনাবো, সেটা শোনো। ঝগড়া-ঝাঁটির কথা শুনো না। কান বন্ধ করো। সবাইকে শান্তিধাম আর সুখধামের রাস্তা বলতে থাকো। যে যত বেশী জনকে রাস্তা বলে, সে ততই লাভবান হয়। উপার্জন হয়। বাবা এসেছেন সকলকে সুসজ্জিত করতে আর গৃহে নিয়ে যেতে। বাবা সর্বদা বাচ্চাদের সহযোগী হন। যারা বাবার সহযোগী হয়েছে, বাবা তাদেরও ভালোবাসার সাথে দেখেন। যারা অনেককে রাস্তা বলে, বাবাও তাদের খুব স্মরণ করেন। তাদেরও বাবার স্মরণের প্রতি আকর্ষণ বোধ হয়। স্মরণের দ্বারাই মরচে ঝড়ে যায়, বাবাকে স্মরণ করা মানে গৃহের স্মরণ করা। সর্বদা বাবা-বাবা করতে থাকো। এ হলো ব্রাহ্মণদের আত্মিক যাত্রা। সুপ্রিম আত্মাকে স্মরণ করতে করতে গৃহে পৌঁছে যাবে। যত দেহী-অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ করবে ততো কর্মেন্দ্রীয় বশ হতে থাকবে। কর্মেন্দ্রীয়কে বশ করার একটাই উপায় হলো- স্মরণ। তোমরা হলে আধ্যাত্মিক (রুহানী) স্বদর্শন চক্রধারী ব্রাহ্মণ কুল ভূষণ। এটা হলো তোমাদের সর্বোত্তম শ্রেষ্ঠ কুল। ব্রাহ্মণ কুল দেবতাদের কুলের থেকেও উচ্চ, কারণ তোমাদের বাবা পড়ান। তোমরা বাবার হয়েছ, বাবার থেকে বিশ্বের বাদশাহীর উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য। বাবা উচ্চারণ করলেই উত্তরাধিকারের সুগন্ধ আসে। শিবকে প্রায়ই বাবা-বাবা বলা হয়। শিববাবা হলেনই সদ্গতি দাতা আর কেউ সদ্গতি দিতে পারে না। খাঁটি সদ্গুরু হলেন একজনই নিরাকার, যিনি অর্ধ-কল্পের জন্য রাজ্য দিয়ে যান। তাই মূল কথাই হলো স্মরণ। শেষ সময় কোনো শরীরের ভাব অথবা ধন-দৌলত স্মরণে যেন না আসে। নয়তো পুনর্জন্ম নিতে হবে। ভক্তিতে কাশী-কলবটে বলিদান হয়, তোমরাও কাশী কলবটে বলি হয়েছো অর্থাৎ বাবার হয়ে গেছো। ভক্তি মার্গেও কাশী কলবটে বলিদান হয়ে মনে করে সব পাপ খন্ডন হয়ে গেল। কিন্তু কেউ ফিরে যেতে পারে না। যখন সবাই উপর থেকে চলে আসবে আবার বিনাশ হবে। বাবাও যাবেন, তোমরাও যাবে। সকলে বলে পান্ডব পাহাড়ের উপরে গলে গেছিল। ওটা তো যেন অপঘাত হয়ে গেল। বাবা ভালো করে বোঝান। বাচ্চারা, সকলের সদ্গতি দাতা এক আমিই, কোনো দেহধারী তোমাদের সদ্গতি করতে পারে না। ভক্তির সময় থেকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমেছো, শেষে বাবা এসে জোর করে তোলেন। একে বলা হয় হঠাৎ অসীম জগতের সুখের লটারী পাওয়া। সেটা হয় ঘোড় দৌড়। এটা হলো আত্মাদের দৌড়। কিন্তু মায়ার কারণে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায় বা সম্পর্কচ্ছেদ ঘটায়। মায়া বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে। কামনার উপর পরাজয় হলে উপার্জন ঝড়ে যায়। কামনা অনেক বড় ভূত, কামনার উপর বিজয় প্রাপ্ত করলে জগতজিৎ হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ জগতজীত ছিল। বাবা বলেন এই অন্তিম জন্ম অবশ্যই পবিত্র হতে হবে, তবে বিজয় হবে। তা না হলে পরাজিত হবে। এটা হলো মৃত্যুলোকের অন্তিম জন্ম। অমরলোকের ২১ জন্মের আর মৃত্যু লোকের ৬৩ জন্মের রহস্য বাবা-ই বোঝান। এখন হৃদয় থেকে জিজ্ঞাসা করো আমি কি লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার যোগ্য? যত ধারণা হতে থাকবে ততই খুশীও হবে। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে মায়া স্থির হতে দেয় না।

এই মধুবনের প্রভাব দিনে দিনে ক্রমশঃ আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে । মুখ্য ব্যাটারি হলো এখানে, যে সার্ভিসেবেল বাচ্চা, তাকে বাবার খুব প্রিয় মনে হয়। যারা ভালো সার্ভিসেবেল বাচ্চা তাদের বেঁছে বেঁছে বাবা সার্চলাইট দেন। তারাও অবশ্যই বাবাকে স্মরণ করে। সার্ভিসেবেল বাচ্চাদের বাপদাদা দু'জনে স্মরণ করেন, সার্চলাইট দেন। বলেন যা দেবে সেটাই ঘুরে ফিরে আসবে... স্মরণ করলে স্মরণের রেসপন্স পাবে। একদিকে সারা দুনিয়া আর একদিকে তোমরা খাঁটি ব্রাহ্মণ। তোমরা উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবার সন্তান, যে বাবা হলেন সকলের মোক্ষদাতা। তোমাদের এই দিব্য জন্ম হীরে তুল্য। আমাদের কড়ি থেকে হীরা উনিই করেন। অর্ধ কল্পের জন্য এতো সুখ দিয়ে দেন যে আবার ওনাকে স্মরণ করার প্রয়োজন হয় না। বাবা বলেন-- বাচ্চারা প্রচুর পরিমান ধন তোমাদের দিচ্ছি। তোমরা সব হারিয়ে বসেছ। কতো হীরে জহরতের আমারই মন্দিরে লাগাও। এখন দেখো হীরের কতো দাম। আগে হীরের কিনলে তার উপরও কিছু ছাড়িয়ে হতো এখন তো সব্জির উপরেও ছাড় পাওয়া যায় না। তোমরা জানো কিভাবে রাজ্য নিয়েছি, কি ভাবে হারিয়েছো? এখন আবার নিচ্ছো। এই জ্ঞান অনেক ওয়ান্ডারফুল। কারোর বুদ্ধিতে মুশকিল মনে হয়। রাজত্ব নিতে গেলে সম্পূর্ণ শ্রীমতে চলতে হবে। নিজের মৃত্যু কাজে আসবে না। জীবিত থেকে বাণপ্রস্থে যেতে গেলে সব কিছু ওঁনাকে দিতে হবে। ওয়ারিশ করতে হবে। ভক্তি মার্গেও ওয়ারিশ করে। দান করে কিন্তু কম সময়ের জন্য। এখানে তো ওঁনাকে (শিববাবা) ওয়ারিশ করতে হবে - জন্মজন্মান্তরের জন্য। কথায় আছে ফলো ফাদার। যে ফলো করে সে-ই উঁচু পদ প্রাপ্ত করে। অসীম জগতের পিতার হলে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হবে। শিববাবা হলেন দাতা। এই ভাঁড়ার হলো ওঁনার। ভগবানের নিমিত্তে যে দান করে, দ্বিতীয় জন্মে অল্প সময়ের সুখ পায়। সেটা (ভক্তি মার্গে) হলো ইনডায়রেক্ট। এটা (জ্ঞান মার্গে) হলো ডায়রেক্ট। শিববাবা তোমাদের ২১জন্মের জন্য দেন। কারোর মনে হয় আমি শিববাবাকে দিচ্ছি। এ যেন ইনসাল্ট। বাচ্চারা দেয় নেওয়ার জন্য। এটা হলো বাবার ভাঁড়ার। কাল কন্টক দূর হয়ে যায়। বাচ্চারা পড়াশুনা করে অমরলোকের জন্য। এটা হলো কাঁটার জঙ্গল। বাবা ফুলের বাগানে নিয়ে যান। তাই বাচ্চাদের অনেক খুশী হতে হবে। দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে। বাবা কতো ভালোবেসে বাচ্চাদের ফুল তৈরী করেন। বাবা অনেক ভালোবেসে বোঝান। নিজের কল্যাণ করতে চাইলে দৈবী গুণও ধারণ করো আর কারোর অবগুণ দেখো না। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) অসীম জগতের পিতার থেকে সার্চ লাইট নেওয়ার জন্য ওঁনার সহযোগী হতে হবে। মুখ্য ব্যাটারির সাথে নিজের কানেক্শন জুড়ে রাখতে হবে। কোনো কথায় সময় নষ্ট করতে নেই।

২) প্রকৃত উপার্জন করতে বা ভারতের প্রকৃত সেবা করার জন্য এক বাবার স্মরণে থাকতে হবে, কারণ স্মরণের দ্বারা বায়ুমন্ডল শুদ্ধ হয়। আত্মা সতোপ্রধান হয়ে ওঠে। অপার খুশীর অনুভব হয়। কর্মেন্দ্রিয় বশ হয়ে যায়।

বরদান:-
স্ব-পরিবর্তনের দ্বারা বিশ্ব-পরিবর্তনের কার্যে হৃদয়ের পছন্দ মতো সফলতা প্রাপ্তকারী সিদ্ধিস্বরূপ ভব

প্রত্যেকে স্ব-পরিবর্তন দ্বারা বিশ্ব পরিবর্তন করার সেবাতে রত আছে। সকলের মনে এই উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে যে এই বিশ্বকে পরিবর্তন করতেই হবে আর নিশ্চয়ও আছে যে পরিবর্তন হবেই। যেখানে সাহস থাকে সেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনাও আছে। স্ব-পরিবর্তনের দ্বারাই বিশ্ব পরিবর্তনের কাজে হৃদয়ের পছন্দ মতো সফলতা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু এই সফলতা তখন প্রাপ্ত হয় যখন একই সময়ে বৃত্তি, ভায়ব্রেশন আর বাণী তিনটিই শক্তিশালী হবে।

স্লোগান:-
যখন বাণীতে স্নেহ আর সংযম হবে তখন বাণীর এনার্জী জমা হবে।