03.11.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
জ্ঞান যোগের শক্তির দ্বারা বায়ুমন্ডলকে শুদ্ধ বানাতে হবে, স্বদর্শন চক্রের দ্বারা
মায়ার উপরে বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
কোন্ একটি
কথায় প্রমাণিত হয়ে যায় যে আত্মা কখনও জ্যোতিতে লীন হয় না?
উত্তরঃ
বলা হয় যা তৈরি
রয়েছে তাই আবার তৈরি হচ্ছে..... সুতরাং আত্মা নিশ্চয়ই নিজের পার্ট রিপিট করে। যদি
জ্যোতি, জ্যোতিতে লীন হয়ে যায়, তাহলে তো পার্ট শেষ হয়ে গেল। তখন অনাদি ড্রামা বলাটা
ভুল হবে। আত্মা এক পুরানো দেহ ত্যাগ করে অন্য ধারণ করে, লীন হয় না ।
গীতঃ-
ও দূরের পথিক....
ওম্ শান্তি ।
এখন যে যোগী ও
জ্ঞানী বাচ্চারা আছে, যারা অন্যদের বোঝাতে পারে, তারা এই গীতের অর্থ যথার্থ ভাবে
বুঝবে। মানুষ মাত্রই সবাই এখন কবরে আছে। কবরে থাকা তাদের বলা হয় যাদের জ্যোতি
অনুজ্জ্বল, যারা তমোপ্রধান হয়েছে। যারা স্থাপনা করেছে এবং জন্ম জন্ম রক্ষণাবেক্ষণের
কার্যে নিমিত্ত হয়েছে, তারা সবাই নিজের জন্ম পূর্ণ করেছে। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত
কোন্ কোন্ ধর্মের স্থাপনা হয়েছে - তার হিসেব করা যায়। জাগতিক নাটকে ড্রামার মুখ্য
ক্রিয়েটর, ডাইরেক্টর, অ্যাক্টরদের বেশি মান থাকে। কত কত প্রাইজ দেওয়া হয় তাদের।
তাদের সেরাটা তারা দেখায় কিনা। তোমাদের হলো জ্ঞান-যোগের নাটক। এখন মানুষ তো জানে না
যে মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে, আমরা এই ড্রামায় কত গুলি জন্ম গ্রহণ করি, কোথা থেকে
আসি? সব জন্মের ডিটেল কাহিনী আমরা তো জানতে পারি না। যদিও এই সময়ে আমাদের পুরুষার্থ
চলছে ভবিষ্যতের জন্য। দেবতা পদ তো প্রাপ্ত হবেই কিন্তু পদ মর্যাদা কি হবে তার জন্য
পুরুষার্থ করতে হবে। তোমরা জানো এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছেন। এবারে এনারা
নিশ্চয়ই রাজা-রানী হবেন। ফিচার্সও জানা আছে। প্রাক্টিক্যালে সাক্ষাৎকার করানো হয়।
ভক্তি মার্গেও সাক্ষাৎকার হয়। তারা তো যার ধ্যান করে তারই সাক্ষাৎকার হয়। কৃষ্ণের
শ্যামল চিত্র দেখে, তাঁরই ধ্যান করলে সাক্ষাৎকার হয়ে যাবে। যদিও কৃষ্ণ এমন শ্যাম
বর্ণ নন। এইসব কথার জ্ঞান মানুষের তো নেই। এখন তোমরা প্রাক্টিক্যালে আছো। সূক্ষ্ম
বতনেও দেখো, বৈকুণ্ঠেও দেখে থাকো। আত্মা ও পরমাত্মার জ্ঞান আছে। আত্মার-ই
সাক্ষাৎকার হয়। এখানে তোমরা যে সাক্ষাৎকার কর তোমাদের কাছে সেই সবের জ্ঞান আছে।
বাইরে যারা থাকে তাদেরও আত্মার সাক্ষাৎকার যদিও বা হয় তবুও নলেজ নেই। তারা তো আত্মা
কেই পরমাত্মা বলে দেয়। আত্মা স্টার তো বটেই। অনেক দেখা যায়। যত মানুষ ততই আত্মা।
মানুষের শরীর দেখা যায় এই চোখের দ্বারা। আত্মাকে দিব্য দৃষ্টি দ্বারা দেখা যায়।
মানুষের রঙ-রূপ ভিন্ন ভিন্ন হয়, আত্মা ভিন্ন হয়না, সবাই একরকম। শুধু পার্ট প্রতিটি
আত্মার ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন মানুষ ছোট বড় হয় তেমনই আত্মা ছোট-বড় হয়না। আত্মার সাইজ
এক। যদি আত্মা জ্যোতিতে বিলীন হয়ে যায় তাহলে পার্ট রিপিট করবে কিভাবে ? গায়নও আছে
যা তৈরি আছে তাই আবার তৈরি হচ্ছে..... এ হল অনাদি ওয়ার্ল্ড ড্রামা চক্র ঘুরতেই থাকে।
এই কথা বাচ্চারা, তোমরা জানো। মশার মতন আত্মারা ফিরে যায়। মশাদের এই চোখ দিয়ে দেখা
যায়। আত্মাকে দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখতে পারবেনা। সত্যযুগে তো আত্মার সাক্ষাৎকারের
দরকার থাকেনা। বুঝতে পারে যে আমরা আত্মা আমাদের এক শরীর ত্যাগ করে অন্য নতুন শরীর
ধারণ করতে হবে। পরমাত্মাকে তো জানেই না । যদি পরমাত্মাকে জানে তাহলে সৃষ্টি চক্রের
কথাও জানা উচিত।
সুতরাং গীতটিতে আছে -
আমাদেরও সাথে নিয়ে চলো। শেষ সময়ে সবার দুঃখ হবে । নিমন্ত্রণ সবাই পায়। নিমন্ত্রণ
দেওয়ার কত যুক্তি বের হচ্ছে।
পীস-পীস (শান্তি)
সবাই বলে কিন্তু শান্তির অর্থ কেউ বোঝে না। পীস কীভাবে হবে, তোমরা তা জানো। যেমন
ঘানিতে সর্ষে পেষাই হয় তেমনই সবার শরীর বিনাশে শেষ হয়। আত্মারা পিষবে না। তারা তো
ফিরে যাবে। এমন লেখাও আছে যে আত্মারা মশার মতন উড়ে যায়। এমন নয় সব পরমাত্মারা উড়ে
যাবে। মানুষ কিছু বোঝে না। আত্মা ও পরমাত্মার তফাৎ তারা জানে না। বলে আমরা হলাম
ভাই-ভাই তাহলে ভাই-ভাই হয়ে থাকা উচিত। তারা এই কথা জানেনা যে সত্যযুগে ভাই-ভাই অথবা
ভাই-বোন সবাই নিজেদের মধ্যে ক্ষীর খন্ড হয়ে চলে। সেখানে নোনা জল হওয়ার কথাই নেই।
এখানে দেখো এখনই ক্ষীর খন্ড, পরক্ষণেই নোনা জলে পরিণত হয়। এক দিকে বলে হিন্দু-চীনি
ভাই-ভাই তারপরে কাঠামো গড়ে আগুন দেয়। দৈহিক ভাইদের অবস্থা দেখো। রূহানী সম্পর্কের
কথা তো জানেনা। তোমাদের বাবা বোঝান নিজেকে আত্মা ভাবতে হবে। দেহ-অভিমানে আসবেনা।
অনেকে দেহ-অভিমানে ফেঁসে যায়। বাবা বলেন দেহ সহ দেহের যে সম্বন্ধ গুলি আছে, সব ছাড়তে
হবে। এই বাড়ি ইত্যাদি সবই ভুলে যেতে হবে। বাস্তবে তোমরা হলে পরম ধাম নিবাসী। এখনই
তোমাদের সেখানে যেতে হবে, যেখান থেকে পার্ট করতে এসেছো, তারপরে আমি তোমাদের সুখের
জগতে পাঠিয়ে দেবো। তাই বাবা বলেন উপযুক্ত হতে হবে। গড কিংডম স্থাপন করছেন।
খ্রাইষ্টের কোনো কিংডম ছিলনা। তিনি হয়তো পরে যখন সংখ্যায় লক্ষ লক্ষ খ্রীস্টান হয়েছে
তখন কিংডম তৈরি করেছিলেন । এখানে তো নিমেষে সত্যযুগী রাজত্ব স্থাপন হয়। কতখানি সহজ
কথা। যথাযথভাবে ভগবান এসে স্থাপনা করেছেন। কৃষ্ণের নাম দিয়ে সব ভুল হয়ে গেছে। গীতায়
আছে প্রাচীন রাজযোগ ও জ্ঞান। সে তো প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। ইংরেজি ভাষার শব্দ গুলো
ভালো । তোমরা বলতে পারো বাবা ইংরেজি জানেন না। বাবা বলেন আমি বসে সব ভাষায় আর কত
বলবো। মুখ্য হলো হিন্দি। তাই আমি হিন্দিতে মুরলী বলি। যার শরীর ধারণ করি সেও হিন্দি
জানে। তাই যা এনার ভাষা সেই ভাষাতেই বলি। আর কোনো ভাষায় আড়াই বলবো। আমি ফ্রেঞ্চ
ভাষায় কথা বললে ইনি (ব্রহ্মা) কীকরে বুঝবেন? মুখ্য বিষয় তো এনার-ই (ব্রহ্মার) ।
এনাকেই তো প্ৰথমে বুঝতে হবে, তাই না ! অন্য কারো শরীর তো ধারণ করার নেই।
গীতেও বলছে আমাকে নিয়ে
চলো কারণ বাবা আর বাবার ঠিকানা তো কারো জানা নেই। নানান গালগল্প বলতে থাকে। বহু
মানুষের বহু মত আছে সেইজন্যেই এই সুতোর গোলায় জট লেগেছে। বাবা দেখো কিভাবে বসে আছেন।
এই চরণ দুটি কার ? সে তো আমার, তাই না ! আমি লোন দিয়েছি। শিববাবা টেম্পোরারি
ব্যবহার করেন। যদিও চরণ দুটি তো আমার (ব্রহ্মাবাবার) তাই না ! শিবের মন্দিরে চরণ
রাখা হয় না। চরণ রাখা হয় কৃষ্ণের। শিব তো হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু, তাহলে ওঁনার চরণ
আসবে কোথা থেকে। হ্যাঁ, শিববাবা ঋণ নিয়েছেন। চরণ তো হলো ব্রহ্মার। মন্দিরে ষাড়
দেখানো হয়েছে। ষাড়ের উপরে বসে যাত্রা হবে কিভাবে ? ষাড়ের উপরে শিববাবা বসবেন
কিভাবে ? শালগ্রাম আত্মা যাত্রা করে মনুষ্য দেহে বসে। বাবা বলেন আমি তোমাদের যে
জ্ঞান বলি সেসব প্রায় লুপ্ত হয়েছে। এই জগতে যে জ্ঞান রয়েছে, তা হলো আটায় নুনের মতন
। সেই জ্ঞান কেউ বুঝতে পারে না। আমি-ই এসে জ্ঞানের সার বোঝাই। আমি-ই শ্রীমৎ প্রদান
করে সৃষ্টি চক্রের রহস্য বুঝিয়েছি, তারা সেইসব নিয়ে দেবতাদের স্বদর্শন চক্র দেখিয়েছে।
তাদের কাছে তো জ্ঞান নেই। এ হলো সম্পূর্ণ জ্ঞানের কথা। আত্মা সৃষ্টি চক্রের নলেজ
প্রাপ্ত করে যার দ্বারা মায়ার মাথা কাটা পড়ে। তারা আবার স্বদর্শন চক্র অসুরের গলা
কাটা হয়েছে এমন দেখিয়েছে। এই স্বদর্শন চক্রের দ্বারা তোমরা মায়াকে পরাজিত করো।
কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে গেছে। তোমাদের মধ্যেও অনেক কমজন-ই এই কথা ধারণ করে অন্যদের
বোঝাতে পারবে। অনেক উচ্চ এই নলেজ। এরজন্য সময় লাগে। শেষের দিকে তোমাদের মধ্যে জ্ঞান
ও যোগের শক্তি থাকে। এই সব ড্রামায় নির্ধারিত রয়েছে । তাদের বুদ্ধিও নরম হতে থাকে।
তোমরা বায়ুমন্ডলকে শুদ্ধ করে থাকো । কতখানি গুপ্ত এই জ্ঞান। লেখা আছে অজামিল সম
পাপীদের উদ্ধার হয় কিন্তু এর অর্থ বোঝেনা। তারা ভাবে যে জ্যোতি, জ্যোতিতে সমাহূ হয়ে
গেলো। সাগরে লীন হয়ে যায়। পাঁচ পাণ্ডব হিমালয়ে গলে যায় । প্রলয় হয়। এক দিকে দেখানো
হয় তারা রাজযোগ শিখছে অন্যদিকে প্রলয় দেখানো হয়েছে আর তারপরে দেখানো হয়েছে কৃষ্ণ
অঙ্গুষ্ঠ মুখে নিয়ে অশ্বত্থ পাতায় শুয়ে আসছে। তার অর্থও বোঝেনা। কৃষ্ণ তো গর্ভ মহলে
ছিল। অঙ্গুষ্ঠ তো শিশুরা মুখে নেয়। কোথাকার কথা কোথায় বলে দিয়েছে। মানুষ তো যা কিছু
শোনে সত্য সত্য বলতে থাকে।
সত্যযুগের কথা কেউ
জানে না। মিথ্যা তাকে বলা হয় যে জিনিসের অস্তিত্ব থাকে না। যেমন বলা হয় পরমাত্মার
নাম-রূপ হয় না। কিন্তু তাঁর পূজা তো করা হয়। সুতরাং পরমাত্মা হলেন অতি সূক্ষ্ম।
তাঁর মতন সূক্ষ্ম কিছু হয় না। একদম বিন্দু স্বরূপ। সূক্ষ্ম হওয়ার জন্য কেউ তাঁর কথা
জানেনা। যদিও আকাশও সূক্ষ্ম কিন্তু সেইটি হল শূন্য। পাঁচ তত্ব আছে। পাঁচ তত্বের
শরীরে এসে প্রবেশ করে থাকে । সেটা কতো সূক্ষ্ম। একদম বিন্দু স্বরূপ। স্টার কত
ক্ষুদ্র। এখানে পরমাত্মা স্টার পাশে এসে বসলে তবেই তো বলবেন। কত সূক্ষ্ম কথা। স্থূল
বুদ্ধির মানুষ একটুও বুঝবেনা এই কথা। বাবা কত ভালো ভালো কথা বোঝান। ড্রামা অনুযায়ী
কল্প পূর্বে যে পার্ট প্লে করা হয়েছে, সেই পার্টই প্লে করা হয়। বাচ্চারা বোঝে বাবা
এসে প্রতিদিন নতুন কথা বলেন, সুতরাং এই জ্ঞান হলো নতুন। তাই রোজ পড়তে হবে। যে রোজ
ক্লাসে যায়না তো বন্ধুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে আজ ক্লাসে কি হয়েছে ? এখানে তো
পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। বলে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের বর্সা চাইনা। আরে, পড়া ছেড়ে দিলে
তোমাদের কি অবস্থা হবে ?))) বাবার কাছে কি বর্সা নেবে? ভাগ্যে নেই তাহলে। এখানে
স্থূল সম্পত্তির কোনো কথা নেই, জ্ঞানের খাজানা বাবার কাছে প্রাপ্ত হয়। সেই সম্পত্তি
ইত্যাদি তো সবকিছু বিনাশ হবে, সেই নেশা কেউ রাখতে পারবেনা। বাবার কাছেই অবিনাশী
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। তোমাদের কাছে যতই কোটি টাকার সম্পত্তি থাকুক, সেসব মাটিতে
মিশে যাবে। এই সময়েরই সব কথা। এও তো লেখা আছে কারও সম্পত্তি ধূলায় মিশবে, কারও আগুনে
পুড়বে ...... এই সময়ের কথা পরের দিকে প্রচলিত হয়। বিনাশ তো এখন হবে। বিনাশের পরে হবে
স্থাপনা। এখন সেই স্থাপনার কাজ চলছে। সেটা হলো আমাদের রাজধানী। তোমরা অন্যের জন্য
করছো না, যা করো নিজের জন্যই করছো। যে শ্রীমৎ অনুযায়ী চলবে সে মালিক হবে। তোমরা তো
নতুন বিশ্বে নতুন ভারতের মালিক হও। নতুন বিশ্ব অর্থাৎ সত্যযুগে তোমরা মালিক ছিলে।
এখন এই হল পুরানো যুগ পুনরায় তোমাদের পুরুষার্থ করানো হয় নতুন দুনিয়ার জন্যে। কত
ভালো ভালো বিষয় আছে বুঝবার জন্য। আত্মা ও পরমাত্মার জ্ঞান, সেল্ফ রিয়েলাইজেশন অর্থাৎ
আত্ম বোধ । সেলফের (আত্মার) পিতা কে? বাবা বলেন আমি আসি তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের
শেখাতে। এখন ফাদারকে রিয়েলাইজ করা হয়েছে ফাদারের দ্বারা। বাবা বোঝান তোমরা হলে আমার
হারানিধি সন্তান। কল্প বাদে আবার এসে মিলিত হয়েছো উত্তরাধিকার নিতে। তাই পুরুষার্থ
তো করা উচিত তাইনা। তা নাহলে আফসোস হবে, অনেক দন্ড ভোগ করতে হবে। যারা সন্তান হয়ে
কুকর্ম ক'রে, তাদের কথা বলার নয়। ড্রামায় দেখো বাবার কত খানি পার্ট আছে। সবকিছু
প্রদান করেন। বাবা বলেন ভবিষ্যতে ২১ জন্মের জন্যে রিটার্ন দেব। প্ৰথমে তোমরা
ইন্ডাইরেক্ট দান করতে তখন এক জন্মের ফল প্রদান করতাম। এখন ডাইরেক্ট দান কর তাই
ভবিষ্যৎ ২১ জন্মের জন্যে ইনসিওর করি। ডাইরেক্ট, ইন্ - ডাইরেক্ট অনেক তফাৎ রয়েছে।
তারা দ্বাপর-কলিযুগের জন্য ইনসিওর করে ঈশ্বরের কাছে। তোমরা সত্যযুগ ত্রেতার জন্যে
ইনসিওর কর। ডাইরেক্ট হওয়ার দরুন ২১ জন্মের জন্যে প্রাপ্ত কর। আচ্ছা !
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
অবিনাশী বাবার কাছে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের খাজানা প্রাপ্ত করে ভাগ্যবান হতে হবে।
নতুন জ্ঞান, নতুন পাঠ রোজ পড়তে হবে। বায়ুমন্ডলকে শুদ্ধ বানানোর সেবা করতে হবে।
২ ) ভবিষ্যতের ২১
জন্মের জন্য নিজের সবকিছু ইনসিওর করে দিতে হবে। বাবার হয়ে যাওয়ার পরে কোনো কুকর্ম
করবে না।
বরদান:-
স্বউন্নতির যথার্থ চশমা পরে এক্সাম্পেল হয়ে উঠে অমনোযোগিতার থেকে মুক্ত ভব
যে বাচ্চারা নিজেকে
কেবল দাম্ভিকতার নজর দিয়ে চেক করে থাকে তাদের চশমা অমনোযোগিতার হয়ে থাকে। তারা
দেখতে পায় যে যতখানি করেছি অনেক করেছি। আমি এই এই আত্মাদের থেকে ভালো, একটু-আধটু
ঘাটতি তো নামিদামিদেরও রয়েছে। কিন্তু যারা সত্য হৃদয়ের দ্বারা নিজেকে চেক করবে
তাদের চশমা যথার্থ স্ব উন্নতির হওয়ার কারণে কেবল বাবা আর নিজেকেই তারা দেখবে অন্য
দ্বিতীয়, তৃতীয় ব্যক্তি কি করছে তা দেখবে না। আমাকে বদলাতে হবে, কেবল এই
একাগ্রতাতেই লেগে থাকবে। তারা অন্যদের কাছে এক্সাম্পল হয়ে ওঠে।
স্লোগান:-
সীমিত
সবকিছুকে সর্ব বংশ সহ সমাপ্ত করে দাও তবে অসীমিতের বাদশাহীর নেশা থাকবে।