04.01.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা হলে মুক্তো চয়নকারী হংস, তোমাদের হলো হংসমন্ডলী, তোমরা ভাগ্যবান তারকা, স্বয়ং
জ্ঞান সূর্য বাবা তোমাদের সম্মুখে এসে পড়াচ্ছেন"
প্রশ্নঃ -
বাবা এসে
বাচ্চারা তোমাদের কোন্ আলো দিয়েছেন, যার ফলে পুরুষার্থ আরও তীব্র হয়ে গেছে?
উত্তরঃ
বাবা আলোকপাত
করেছেন, বাচ্চারা এখন এই ড্রামা শেষ, তোমাদের নতুন দুনিয়াতে যেতে হবে। এমন নয় যে যা
পাওয়ার সেটা প্রাপ্ত হবে। পুরুষার্থ হলো ফার্স্ট । পবিত্র হয়ে অন্যদের পবিত্র করে
তোলা, অনেক বড় সেবা। এই আলো আসাতেই তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের পুরুষার্থ তীব্র হয়ে
গেছে।
গীতঃ-
তুমি হলে
ভালোবাসার সাগর....
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা জানে
প্রেমের সাগর, শান্তির সাগর, আনন্দের সাগর অসীমের পিতা সামনে বসে আমাদের পড়াচ্ছেন।
কত ভাগ্যবান তারকা আমরা, যাদের সামনে জ্ঞান সূর্য বাবা এসে পড়াচ্ছেন। যারা বকের
দলভুক্ত ছিল, তারাও এখন হাঁসের দলভুক্ত হয়ে গেছে। মুক্ত চয়ন করতে শুরু করেছে। এখানে
ভাই-বোন সবাই হংস, একে হংস মন্ডলীও বলা যায়। কল্প পূর্বের যারা তারা এই সময় এই
জন্মেও একে অপরকে চিনতে পারছে। আত্মিক পারলৌকিক মা বাবা আর ভাই বোন নিজেদের মধ্যে
একে অপরকে চেনে। স্মরণ আছে যে ৫ হাজার বছর আগেও আমরা নিজেদের মধ্যে এই নাম রূপে
মিলিত হয়েছিলাম? এইকথা তোমরা এখন বলতে পারো, আর কখনও কোনো জন্মে এমন বলতে পারবে না।
যারাই ব্রহ্মাকুমার কুমারী হয়, তারাই একে অপরকে চিনতে পারবে। বাবা তুমিও সেই আর আমরা
তোমার বাচ্চারাও তাই, আমরা ভাই-বোন আবারও নিজেদের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি।
এখন বাবা আর বাচ্চারা সামনে বসে আছে তারপর এই নাম-রূপ সব বদলে যাবে। সত্যযুগে
লক্ষ্মী-নারায়ণ কখনো এমন বলবে নাকি যে আমরাই কল্প পূর্বের সেই লক্ষী-নারায়ণ,
নাকি প্রজারা এমন বলবে
যে এরাই কল্প পূর্বের লক্ষ্মী-নারায়ণ। না। এটা শুধু এই সময় তোমরা বাচ্চারাই জানো।
এই সময় তোমরা অনেক কিছুই জানতে পারো। প্রথমে তোমরা কিছুই জানতে না। আমিই কল্পের
সঙ্গম যুগে এসে নিজের পরিচয় দিই। এইকথা শুধু অসীমের বাবাই বলতে পারেন। নতুন দুনিয়ার
স্থাপনা হচ্ছে সুতরাং পুরানো দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে। এই সময় হচ্ছে দুইয়ের সঙ্গম
যুগ। খুব কল্যাণকারী এই যুগ। সত্যযুগ বা কলিযুগকে কল্যাণকারী বলা যায় না। তোমাদের
এখনকার এই জীবনকেই অমূল্য বলা হয়েছে। এই জীবনে কড়ি থেকে হীরা তুল্য হয়ে উঠতে হবে।
তোমরা বাচ্চারা সত্যি-সত্যি ঈশ্বরের সহযোগী। ঈশ্বরের সেলভেসন আর্মি তোমরা। ঈশ্বর এসে
মায়া থেকে তোমাদের মুক্ত করেন। তোমরা জানো বিশেষ করে আমাদের আর দুনিয়াকে ইনজেনারেল
(সাধারণভাবে) মায়ার শিকল থেকে মুক্ত করেন। এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। এখন বাহবা কাকে
দেওয়া হবে? যার অ্যাক্টিং ভালো হয়, তারই নাম হয়। সুতরাং বাহবাও পরমপিতা পরমাত্মাকেই
দেওয়া হয়। ধরিত্রীতে এখন পাপ আত্মাদের অনেক বোঝা হয়ে গেছে। সরষের মতো অসংখ্য মানুষ।
বাবা এসে বোঝ নামান। ওখানে তো কিছু লক্ষ মানুষ থাকে, অর্থাৎ কোয়ার্টার পার্সেন্টও (এক
চতুর্থাংশ) নয়। এই ড্রামাকে যথার্থ রীতিতে বুঝতে হবে। পরমাত্মাকে সর্বশক্তিমান বলা
হয়। ড্রামাতে ওঁনারও পার্ট আছে। বাবা বলেন আমিও ড্রামায় বাঁধা। যদা যদাহি ধর্মস্য
.... লিখিত আছে। এখন সেই ধর্মের গ্লানিও ভারতেই প্রকৃতপক্ষে হয়। আমারও গ্লানি হয়,
দেবতাদেরও গ্লানি করে, সেইজন্যই অসংখ্য পাপ আত্মা হয়ে গেছে। ওদেরও এটাই হওয়ার ছিল।
সতোঃ, রজোঃ, এরপর তমোঃ হতেই হবে। তোমরা এই ড্রামাকে বুঝতে পেরেছ। তোমাদের বুদ্ধিতে
চক্র ঘুরতেই থাকে। বাবা এসে তোমাদের আলো দিয়েছেন। এখন এই ড্রামা শেষ হয়ে আসছে। এখন
তোমরা আবার নতুন দুনিয়ার জন্য পুরুষার্থ করো। এমন নয় যে যা পাওয়ার সেটা প্রাপ্ত হবে।
না। ফার্স্ট হলো পুরুষার্থ। সম্পূর্ণ শক্তি পবিত্রতার মধ্যে। পবিত্রতার প্রতি
বলিপ্রদত্ত হতে হবে। দেবতারা পবিত্র তবেই অপবিত্র মানুষ তাদের সামনে গিয়ে মাথা নত
করে। সন্ন্যাসীদের কাছেও মাথা ঠেকায়। মৃত্যুর পরে তাদের স্মারক তৈরি করা হয় কেননা
ওরা পবিত্র। কেউ-কেউ শারীরিক কাজও অনেক করে। হাসপাতাল খোলে বা কলেজ তৈরি করে তখন
তাদেরও নাম বেরিয়ে আসে। সবচেয়ে বড় নাম হয় তাদের যিনি সবাইকে পবিত্র করে তোলেন আর
যারা তাঁর সহযোগী হয়ে ওঠে। তোমরা পবিত্র হয়ে উঠছ, ঐ চির-পবিত্রের সাথে যোগযুক্ত
হওয়ার জন্য। যত তোমরা যোগযুক্ত হবে ততই তোমরা পবিত্র হবে এবং শেষে অন্তিম কালে যেমন
মতি তেমনই গতি প্রাপ্ত করবে। বাবার কাছে চলে যাবে। ওরা যখন তীর্থ যাত্রায় যায় তখন
এমন মনে করে না যে বাবার কাছে যেতে হবে। তবুও পবিত্র (শুদ্ধ)থাকে। এখানে তো বাবা
সবাইকে পবিত্র করে তোলেন। ড্রামাকে বোঝাও কত সহজ। অনেক পয়েন্টস দিয়ে বাবা বোঝাতেই
থাকেন। তিনি বলেন শুধু বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ কর। মৃত্যুর সময় সবাই ভগবানকে
স্মরণ করার কথা মনে করিয়ে দেয়। আচ্ছা ভগবান কি করবে ? তারপর কেউ শরীর ত্যাগ করলে বলে
যে স্বর্গবাসী হয়েছে। যদিও পরমাত্মার স্মরণে শরীর ত্যাগ করলে বৈকুন্ঠে যেতে পারবে।
ওরা তো বাবাকেই জানে না। এটাও কারো বুদ্ধিতে নেই যে বাবাকে স্মরণ করলে আমরা বৈকুন্ঠে
পৌঁছে যাব। ওরা শুধু বলে পরমাত্মাকে স্মরণ করো। ইংরেজিতে গডফাদার বলা হয়। এখানে
তোমরা বল পরমপিতা পরমাত্মা। ওরা প্রথমে গড তারপর ফাদার বলে। আমরা প্রথমে পরমপিতা
তারপর পরমাত্মা বলি। তিনি হলেন সবার পিতা। যদি সবাই ফাদার হয় তবে ও গডফাদার বলতে
পারে না। সামান্য কথাটাও বোঝে না। বাবা তোমাদের কত সহজ করে বুঝিয়েছেন। মানুষ যখন
দুঃখী হয় তখন পরমাত্মাকে স্মরণ করে। মানুষ হচ্ছে দেহ-অভিমানী আর স্মরণ করে দেহী (
আত্মা) যদি পরমাত্মা সর্বব্যাপী হয় তবে আত্মা (দেহী) কেন স্মরণ করে? যদি আত্মা
নির্লেপ হয় তারপরও কেন দেহী অথবা আত্মা কি স্মরণ করে? ভক্তি মার্গে আত্মাই
পরমাত্মাকে স্মরণ করে কেননা দুঃখী হয়ে পড়েছে। যত সুখ পেয়েছে ততটাই স্মরণ করতে হয়।
এ হলো (ঈশ্বরীয়) পড়া,
এইম অবজেক্টও ক্লিয়ার। এর মধ্যে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো ব্যাপার নেই। তোমরা সকল ধর্ম
সম্বন্ধে জেনেছ - এই সময় সবাই উপস্থিত আছে। এখন আবারও দেবী-দেবতা ধর্মের
হিস্ট্রি-রিপিট হবে। এটা কোনো নতুন বিষয় নয়। কল্পে-কল্পে আমরা রাজ্য নিয়ে থাকি।
যেমন হদের (সীমিত) খেলা রিপিট হয় তেমনি এটা হলো বেহদের (অসীমের) খেলা। অর্ধেক কল্প
ধরে আমাদের শত্রু কে হয়? রাবণ। আমরা কোনো লড়াই করে রাজ্য নিই না। না কোনো হিংসার
লড়াই করি, না বিজয় প্রাপ্ত করার জন্য কোনো সেনাবাহিনী নিয়ে লড়াই করি। এ হলো হার
জিতের খেলা। কিন্তু এখানে হারও (পরাজয়) সূক্ষ্ম, জিতও সূক্ষ্ম। মায়ার কাছে হেরে
যাওয়া পরাজয়, মায়াকে জয় করা জয়ী হওয়া। মানুষ মায়ার পরিবর্তে মন শব্দ ব্যবহার করেছে
সুতরাং উল্টো হয়ে গেলো। এই ড্রামার খেলা আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে। বাবা স্বয়ং বসে
পরিচয় দেন। রচয়িতাকে মানুষ জানেই না, সুতরাং পরিচয় কিভাবে দেবে। রচয়িতা একমাত্র বাবা,
আমরা হলাম তাঁর রচনা। অবশ্যই আমাদের রাজ্য-ভাগ্য পাওয়া উচিত। মানুষ তো বলে থাকে
পরমাত্মা সর্বব্যাপী সুতরাং সবই তাঁর রচনা হয়ে গেল। রচনাকেই উড়িয়ে দিয়েছে, কত
পাথরবুদ্ধি, দুঃখী হয়ে গেছে। শুধু নিজেদের মহিমা করে যে আমরা বৈষ্ণব অর্থাৎ আমরা
হলাম অর্ধ দেবতা। ওরা মনে করে দেবতারা বৈষ্ণব ছিল। বাস্তবে ভেজিটেরিয়ান এর মুখ্য
অর্থ হলো অহিংসা পরম ধর্ম। দেবতাদের সম্পূর্ণ বৈষ্ণব বলা হয়। এমনিতে তো নিজেকে
বৈষ্ণব বলে এমন লোক অনেক আছে। কিন্তু লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে বৈষ্ণব সম্প্রদায়
পবিত্রও ছিল। এখন ঐ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের রাজ্য কোথায়? তোমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো,
তোমরা হলে ব্রহ্মাকুমার কুমারী, তবে তো নিশ্চয়ই ব্রহ্মাও থাকবেন, সেইজন্যই তো নাম
রাখা হয়েছে শিব বংশী প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান। গায়নও আছে শিববাবা এসেছিলেন, তিনি
ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় রচনা করেছিলেন, যে ব্রাহ্মণরা দেবতা হয়েছিল। এখন তোমরা শূদ্র
থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছো তবেই ব্রহ্মাকুমার কুমারী বলা হয়। বিরাট রূপের চিত্র দিয়ে
বোঝানো ভালো। বিষ্ণুরও বিরাট রূপ দেখিয়েছে। বিষ্ণু এবং তার রাজধানীই (এখানে
সন্তানদের কথা বলা হয়েছে) বিরাট চক্রে আসে। এ'সব বাবার (ব্রহ্মা) বিচার চলে। তোমরাও
বিচার সাগর মন্থন করার অভ্যাস করলে রাতে ঘুম আসবে না। এই চিন্তন চলতেই থাকবে।
ভোরবেলা উঠে কাজকর্মে লেগে পড়বে। বলাও হয় ভোরবেলার সাঁই.... তোমরাও যদি কাউকে বসে
বোঝাও তো বলবে - আহা! এ তো আমাকে মানুষ থেকে দেবতা, বেগর থেকে প্রিন্স বানাতে এসেছে।
প্রথমে অলৌকিক সেবা করা উচিত, স্থূল সার্ভিস পরে। আগ্রহ থাকা উচিত। বিশেষ করে
মাতা'রা ভালোভাবে সার্ভিস করতে পারে। মাতাদের কেউ ধিক্কার দেবে না। সবজি
বিক্রেতা,আনাজ বিক্রেতা, ভৃত্য ইত্যাদি যারা আছে সবাইকেই বোঝাতে হবে। কেউ-ই যেন বাদ
না পড়ে, যাতে দোষ দিতে না পারে। সার্ভিস করার জন্য অন্তরে সত্যতা প্রয়োজন। বাবার
সাথে সম্পূর্ণ যোগ থাকা চাই তবেই ধারণা হবে। অনেকেই সামগ্রী নিয়ে স্টিমার ভর্তি করে
এবং তারপর পোর্টে (বন্দরে) ডেলিভারি করতে যায়। বাড়ি ফিরেও তারা সুস্থির হতে পারে
না, ছুটোছুটি করতে থাকে। এই চিত্রও অনেক সাহায্য করবে। কত পরিষ্কার বিষয় - শিববাবা
ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরী স্থাপনা করাচ্ছেন। এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, কৃষ্ণ জ্ঞান
যজ্ঞ নয়। এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞেই বিনাশের লাভা প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল। শ্রীকৃষ্ণ যজ্ঞ
রচনা করতে পারে না। সে ৮৪ জন্ম নেবে সুতরাং নাম-রূপ তো বদলে যাবে অতএব কোনো রূপেই
শ্রীকৃষ্ণ হতে পারে না। শ্রীকৃষ্ণের পার্ট তো তখনই হবে যখন সেই রূপে আসবে আর তখনই
রিপিট হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সত্যতা সততার সাথে ঈশ্বরের সহযোগী হয়ে অথবা ঈশ্বরীয় সেলভেশন আর্মি হয়ে সবাইকে মায়ার
থেকে মুক্ত করতে হবে। এই জীবনে কড়ি থেকে হীরা তুল্য হয়ে উঠতে হবে আর অন্যদের করে
তুলতে হবে।
২ ) বাবা যেমন বিচার
সাগর মন্থন করেন, তেমনি জ্ঞানের বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। কল্যাণকারী হয়ে অলৌকিক
সেবায় তৎপর হতে হবে। অন্তরে সততার সাথে সেবা করতে হবে।
বরদান:-
ছোট-ছোট জিনিসকে অমান্য (অবজ্ঞা) করার বোঝাকে সমাপ্ত করে সদা সমর্থ শ্রেষ্ঠ
চরিত্রবান ভব
যেমন অমৃতবেলায় ওঠার
আজ্ঞা আছে সুতরাং উঠে বসে যাও কিন্তু বিধি পূর্বক সিদ্ধি প্রাপ্ত করতে পারো না,
সুইট সাইলেন্সের সাথে নিদ্রার সাইলেন্স মিক্স হয়ে যায়। ২- বাবার আজ্ঞা হলো কোনো
আত্মাকে না দুঃখ দেবে, না দুঃখ নেবে, দুঃখ তো এখানে দাও না কিন্তু নিয়ে নাও। ৩-
ক্রোধ করো না কিন্তু কর্তৃত্ব দেখাও, এমনই ছোট-ছোট অবজ্ঞা মনকে ভারি করে দেয়। এখন
একে সমাপ্ত করে আজ্ঞাকারী চরিত্রের চিত্র তৈরি করো তবেই বলা হবে সদা সমর্থ
চরিত্রবান আত্মা।
স্লোগান:-
সম্মান
চাওয়ার পরিবর্তে সবাইকে সম্মান দাও তবেই সকলের সম্মান পেতে থাকবে।