06.04.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
শ্রীমতে চলে যারা খুব ভালো সার্ভিস করে, তারাই রাজত্বের প্রাইজ প্রাপ্ত করে,
বাচ্চারা, তোমরা এখন বাবার সাহায্যকারী হয়েছো, তাই তোমরা অনেক বড় প্রাইজ পাও"
প্রশ্নঃ -
বাবার জ্ঞান
ডান্স কোন্ বাচ্চাদের সামনে খুব ভালো হয়?
উত্তরঃ
যাদের জ্ঞানের
শখ আছে, যাদের যোগের নেশা আছে, তাদের সামনে জ্ঞান ডান্স খুব ভালো হয় l স্টুডেন্টরা
নম্বরের ক্রমানুসারে হয় কিন্তু এ হলো এক আশ্চর্য স্কুল, কারো কারো মধ্যে
সামান্যতমও জ্ঞান নেই, কেবল ভাবনা আছে, সেই ভাবনার আধারে অবিনাশী উত্তরাধিকারের
অধিকারী হয়ে যায় l
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী
বাচ্চাদের আত্মাদের বাবা বোঝান যে, একে বলা হয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান বা স্পিরিচুয়াল
নলেজ l এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান একমাত্র বাবার মধ্যেই থাকে, আর কোনো মনুষ্যমাত্রের
মধ্যেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান থাকে না l এই রুহানী জ্ঞান দানও করেন একজন, যাঁকে জ্ঞানের
সাগর বলা হয় l প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই তাদের নিজের নিজের বিশেষত্ব থাকে, তাই না
l ব্যরিস্টার, ব্যরিস্টারই হয়, আবার ডাক্তার, ডাক্তারই l প্রত্যেকেরই কর্তব্য বা
পার্ট আলাদা - আলাদা l প্রত্যেক আত্মাই তার নিজের - নিজের পার্ট পেয়েছে আর এই পার্ট
হলো অবিনাশী l আত্মা কতো ছোটো l এ তো আশ্চর্যের, তাই না l এমন গীতও আছে, ভ্রুকুটির
মাঝে ঝলমলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র - এমন গীতও আছে যে, নিরাকার আত্মার এই শরীর হলো আসন
l এ হলো এক ছোটো বিন্দু l আর সমস্ত আত্মাই হলো অ্যাক্টর l এক জন্মের চেহারা অন্য
জন্মের সঙ্গে মেলে না, এক জন্মের পার্টও অন্য জন্মের সঙ্গে মেলে না l কেউই জানে না
যে আমরা অতীতে কি ছিলাম আবার ভবিষ্যতে কি হবো l এইসব কথা বাবা এই সঙ্গম যুগে বসেই
বোঝান l ভোরে বাচ্চারা, তোমরা যখন স্মরণের যাত্রায় বসো, তখন তোমাদের নিভন্ত আত্মা
প্রজ্জ্বলিত হতে থাকে, কেননা আত্মায় অনেক জং লেগে আছে l বাবা স্যাকরার কাজও করেন l
পতিত আত্মা, যাদের মধ্যে খাদ জমা হয়ে আছে, তাদের তিনি পিওর বা স্বচ্ছ করেন l খাদ তো
পড়েই, তাই না l রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি নামও এমনই l স্বর্ণ যুগ, রৌপ্য যুগ -
সতোপ্রধান, সতোঃ, রজঃ, তমঃ -- এইসব কথা আর কোনো মানুষ বা গুরু বোঝাবেন না l এক
সদ্গুরুই তা বোঝাবেন l তারা তো সদ্গুরুর অকাল আসনের কথাই বলে l ওই সদ্গুরুরও তো আসন
চাই, তাই না l যেমন আত্মারা, তোমাদেরও তো নিজের নিজের আসন আছে, তাঁকেও তেমনই আসন
নিতে হয় l তিনি বলেন, আমি কোন্ আসন নিই - সে কথা এই দুনিয়ার কেউই জানে না l ওরা তো
এও না, ওটাও না, এমনই বলে এসেছে l আমরা জানতাম না l বাচ্চারা, তোমরাও বুঝতে পারো,
প্রথমে আমরা কিছুই জানতাম না l যে কিছুই বোঝে না, তাকে অবুঝ বলা হয় l ভারতবাসী মনে
করে, আমরা খুবই বুঝদার ছিলাম l এই বিশ্বের রাজ্য - ভাগ্য আমাদেরই ছিলো l এখন অবুঝ
হয়ে গেছি l বাবা বলেন যে, তোমরা শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছুই পড়ো না কেন, সে সব এখন
ভুলে যাও l যদিও গৃহস্থ জীবনে থাকো তবুও কেবলমাত্র এক বাবাকে স্মরণ করো l
সন্ন্যাসীদের ফলোয়াররা তাদের নিজের - নিজের ঘরেই থাকে l কেউ কেউ সত্যিকারের
ফলোয়ার হলে তারা তাদের সঙ্গে থাকে l বাকি কেউ কোথায়, কেউ বা অন্য কোথাও থাকে l তো
এইসব কথা বাবা বসে বোঝান l একে বলা হয় জ্ঞান ডান্স l যোগ তো হলো সাইলেন্স l
জ্ঞানের হয় ডান্স l যোগে তো সম্পূর্ন শান্ত থাকতে হয় l ডেড সাইলেন্স বলা হয় l
তিন মিনিট ডেড সাইলেন্স। কিন্তু এর অর্থও কেউ জানে না l সন্ন্যাসীরা শান্তিলাভের
জন্য জঙ্গলে যায় কিন্তু ওখানে শান্তি পাওয়াও যায় না l এমন এক গল্পও আছে --- রাণীর
হার গলায় ছিলো আর তা সে খুঁজে বেড়াচ্ছিল, এই উদাহরণও শান্তির বিষয়েই l বাবা এই সময়
যে বিষয় বোঝান, সেই দৃষ্টান্তই ভক্তিমার্গে চলতে থাকে l বাবা এই সময় পুরানো দুনিয়ার
পরিবর্তন করে নতুন দুনিয়া বানান l তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান বানান l এ তো তোমরাই
বুঝতে পারো l বাকি এই দুনিয়াই হলো তমোপ্রধান, পতিত কেননা সবারই জন্ম হয় বিকার থেকে
l দেবতাদের জন্ম তো বিকার থেকে হয় না l তাকে বলা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া l
নির্বিকারী শব্দটি বলা হয় কিন্তু এর অর্থ কেউই জানে না l তোমরাই পূজ্য থেকে পূজারী
হয়েছো l বাবার জন্য কখনোই এমন কথা বলা হয় না l বাবা কখনোই পূজারী হন না l মানুষ তো
প্রতিটি কণায় - কণায় পরমাত্মা আছেন -- এমনও বলে দেয় l বাবা তখন বলেন, যখন যখন
ভারতে ধর্মের এমন গ্লানি হয়.... l ওরা তো এমন শ্লোক এমনিই পড়ে থাকে, এর অর্থ কিছুই
জানে না l ওরা বলে, শরীর তো পতিত হয়, কিন্তু আত্মা হয় না l
বাবা বলেন, প্রথমে
আত্মা পতিত হয়, তখন শরীরও পতিত হয় l সোনাতেও যখন খাদ দেওয়া হয় তখন গয়নাও তেমনই
তৈরী হয় কিন্তু এ সবই হলো ভক্তিমার্গের l বাবা বোঝান, প্রত্যেকের মধ্যেই আত্মা
বিরাজিত, বলাও হয় জীব আত্মা l জীব পরমাত্মা, এমন কথা বলা হয় না l মহান আত্মা বলা
হয় কিন্তু মহান পরমাত্মা বলা হয় না l আত্মাই ভিন্ন - ভিন্ন শরীর নিয়ে পার্ট প্লে
করে l তাহলে যোগ হলো সম্পূর্ন সাইলেন্স l এ হলো জ্ঞান ডান্স l বাবার জ্ঞান ডান্সও
তাদের সামনেই হবে, যাদের এই বিষয়ে শখ থাকবে l বাবা জানেন যে, কার মধ্যে কতটা জ্ঞান
আছে, যোগের নেশা কার মধ্যে কতটা আছে l টিচার তো জানাবেনই তাই না l বাবাও জানেন, কোন্
- কোন্ বাচ্চা খুব ভালো গুণবান l ভালো - ভালো বাচ্চাদেরই এখানে ওখানে ডাকা হয় l
বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে l প্রজাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তৈরী
হয় l এ তো হলো স্কুল অথবা পাঠশালা l পাঠশালাতে সবসময় নম্বরের ক্রমানুসারেই বসে l
তোমরা বুঝতে পারো যে, এ খুবই তুখোর, এ মিডিয়াম l এ তো হলো অসীম জগতের ক্লাস, এখানে
কাউকে নম্বর অনুসারে বসানো যায় না l বাবা জানেন যে, আমার সামনে এ যে বসে আছে, এর
মধ্যে কিছুই জ্ঞান নেই l কেবল ভাবনা আছে l বাকি তো না আছে জ্ঞান আর না স্মরণ l এতটা
নিশ্চয় থাকা উচিত যে - ইনি বাবা, এঁনার থেকে আমাদের অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে l
এই অবিনাশী উত্তরাধিকার তো সবাইকেই পেতে হবে। কিন্তু রাজত্বে তো নম্বরের ক্রমানুসারে
পদ l যে খুব ভালো সার্ভিস করে সে খুব ভালো প্রাইজ পায় l এখানেও তাদেরকে প্রাইজ দেওয়া
হয়। যে মূল্যবান মতামত রাখে বা বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু করে, তাদেরকে খুব ভালো প্রাইজ
দেওয়া হয় । এখন তোমরা জানো যে, এই বিশ্বে প্রকৃত শান্তি কিভাবে আসবে? বাবা বলেছেন,
ওদের জিজ্ঞেস করো তো, কবে বিশ্বের প্রকৃত শান্তি ছিলো? কখনো শুনেছো বা দেখেছো কি?
তোমরা কোন্ প্রকারের শান্তি চাও? তা কবে ছিলো? তোমরা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারো কারণ
তোমরা জানো যে, যারা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে অথচ উত্তর নিজেরাই জানে না তাদের কি বলা হবে?
তোমরা খবরের কাগজের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করো যে, তোমরা কোন্ প্রকারের শান্তি চাও?
শান্তিধাম তো আছেই, যেখানে আমরা সব আত্মারা থাকি l বাবা বলেন যে, তোমরা এক তো
শান্তিধামকে স্মরণ করো আর দ্বিতীয় সুখধামকে স্মরণ করো l সৃষ্টিচক্রের সম্পূর্ণ
জ্ঞান না থাকার কারণে মানুষ কতো গালগল্প বলে দিয়েছে l
বাচ্চারা, তোমরা জানো
যে আমরা ডবল মুকুটধারী হই l আমরা পূর্বে দেবতা ছিলাম, এখন আবার মানুষ হয়েছি l
দেবতাদের দেবতাই বলা হয়, মানুষ নয়, কেননা তাঁরা তো দৈবী গুণ সম্পন্ন l যার মধ্যে
অপগুণ আছে সে বলে, আমি নির্গুণ, হেরে যাওয়ার মধ্যে কোনো গুণ নেই l মানুষ শাস্ত্রে
:যে কথা শুনেছে তাই এতকাল গেয়ে এসেছে - অচ্যুতম্ কেশবম্... l যেমনভাবে তোতাকে শেখানো
হয় l ওরা বলে, বাবা এসে আমাদের সবাইকে পবিত্র বানাও l ব্রহ্মলোককে বাস্তবে দুনিয়া
বলা হবে না l ওখানে তোমরা আত্মারা থাকো l বাস্তবে ভূমিকা পালন করার জন্য হলো এই
দুনিয়া l সেটা হলো শান্তিধাম l বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা আমি বসে তোমাদের নিজের
পরিচয় দিই l আমি তাঁর মধ্যেই আসি যে নিজের জন্মকে জানে না l ইনিও এখনই শোনেন l আমি
এনার মধ্যে প্রবেশ করি l পুরানো পতিত দুনিয়া হলো রাবণের দুনিয়া l যিনি এক নম্বর
পবিত্র ছিলেন, তিনিই আবার এক নম্বর পতিত হয়েছেন l আমি তাঁকে নিজের রথ বানাই l প্রথমে
যিনি ছিলেন তিনিই শেষে এসেছেন l তাঁকেই আবার প্রথমে যেতে হবে l ছবিতেও বোঝানো হয়েছে
- ব্রহ্মার দ্বারা আমি আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের স্থাপন করি l এমন তো বলেন না
যে, আমি দেবী - দেবতা ধর্মে আসি l তিনি যে শরীরে এসে অবস্থান করেন, তিনিই গিয়ে
নারায়ণ হন l বিষ্ণু অন্য কেউ নয় l লক্ষ্মী - নারায়ণ বা রাধা - কৃষ্ণের যুগল বলো l
বিষ্ণু কে - এ কথাও কেউ জানে না l বাবা বলেন, আমি তোমাদের বেদ শাস্ত্র, সব চিত্র
ইত্যাদির রহস্য বুঝিয়ে বলি l আমি যাঁর মধ্যে প্রবেশ করি, তিনিই আবার এমন হন l এ তো
প্রবৃত্তি মার্গ, তাই না l এই ব্রহ্মা, সরস্বতীই আবার লক্ষ্মী - নারায়ণ হন l আমি এই
ব্রহ্মার মধ্যে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণদের জ্ঞান দান করি l তাই এই ব্রহ্মাও শোনেন l ইনি
প্রথম নম্বর যিনি এই জ্ঞান শোনেন l ইনি হলেন বড় নদী ব্রহ্মপুত্র l মেলাও সাগর আর
ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরেই হয় l যেখানে সাগর আর নদীর সঙ্গম সেখানে বড় মেলা বসে l আমি
এনার মধ্যে প্রবেশ করি l ইনিই নারায়ণ তৈরী হন l এনার ব্রহ্মার থেকে বিষ্ণু হতে এক
সেকেণ্ড সময় লাগে l এনার সাক্ষাৎকার হয়ে যায় আর চট্ করে নিশ্চয় এসে যায় যে -
আমিই এমন তৈরী হবো l আমিই বিশ্বের মালিক হবো l তাহলে এই গাধার বোঝার গদি নিয়ে কি
করবো? তিনি সব ছেড়ে দিলেন l তোমরাও প্রথম জানতে পেরেছো যে, বাবা এসেছেন, এই দুনিয়া
শেষ হয়ে যাবে, তাই সাথে সাথে ছুটে যাবো l বাবা তোমাদের ভাগিয়ে আনেননি l হ্যাঁ,
ভাট্টি তৈরী হতো l বলা হয় কৃষ্ণ ভাগিয়ে নিয়ে এসেছিলো l আচ্ছা, কৃষ্ণ যদি ভাগিয়ে আনে
তাহলে পাটরানী তো বানিয়েছিলো l তাহলে এই জ্ঞানে তোমরা এই বিশ্বের মহারাজা - মহারানী
হও l এ তো ভালোই l এতে গালি খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই l আবার এও বলে, কলঙ্ক যখন লাগে
তখনই কলঙ্কীধর তৈরী হয় l কলঙ্ক তো লাগে শিববাবার উপর l মানুষ তাঁর কতো গ্লানি করে
l মানুষ বলে আমি আত্মাই পরমাত্মা আবার বলে পরমাত্মাই আত্মা l বাবা এখন বোঝাচ্ছেন -এমন
হয় না l আমরা আত্মা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছি l ব্রাহ্মণ হলো সবথেকে উঁচু কুল l একে
সাম্রাজ্য বলা হবে না l সাম্রাজ্য অর্থাৎ যেখানে রাজত্ব থাকে l এ হলো তোমাদের কুল l
এ হলো খুবই সহজ, আমরা ব্রাহ্মণ থেকেই দেবতা হই তাই অবশ্যই দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে l
সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদি কি দেবতাদের ভোগে দেওয়া হয়? শ্রীনাথ দ্বারে অনেক ঘিয়ের
প্রসাদ প্রস্তুত হয় l এতো ভোগ দেওয়া হয় যে তার দোকানও তৈরী হয় l যাত্রীরা গিয়ে
তা গ্রহণও করে l মানুষের অনেক ভক্তির ভাবনা থাকে l সত্যযুগে তো এমন কথা হয়ই না l
এমন ভক্তিও সেখানে হবে না যে কোনো জিনিস খারাপ হবে l এখানের মতো অসুস্থতা সেখানে
থাকবে না l বড় মানুষদের কাছে অজুহাত অনেকই থাকে l ওখানে তো এমন কোনো কথাই থাকে না l
রোগ ইত্যাদিও হয় না l এই সব রোগ দ্বাপর যুগ থেকে শুরু হয় l বাবা এসে তোমাদের এভার
হেল্দী বানান l তোমরা বাবার স্মরণের পুরুষার্থ করো, যাতে তোমরা এভার হেল্দী হয়ে যাও
l তোমাদের আয়ুও অনেক বেশী হয় l এ তো কালকের কথা l তখন তো তোমাদের ১৫০ বছর আয়ু ছিলো,
তাই না l এখন তো গড় আয়ু ৪০ - ৫০ বছরের, কেননা ওরা ছিলো যোগী আর এরা ভোগী l
তোমরা হলে রাজযোগী এবং
রাজঋষি, তাই তোমরা পবিত্র l এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ l মাস বা বছর নয় l বাবা
বলেন, আমি কল্প - কল্প পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে আসি l বাবা আমাদের রোজ - রোজ বোঝাতে
থাকেন l তবুও একটা কথা রোজই বলেন, কখনো ভুলে যেও না - পবিত্র হতে হলে আমাকে স্মরণ
করো l নিজেকে আত্মা মনে করো l দেহের সমস্ত ধর্ম ত্যাগ করো l এখন তোমাদের ঘরে ফিরে
যেতে হবে l আমি এসেছি তোমাদের আত্মাকে স্বচ্ছ করতে, যাতে তোমরা শরীরও পবিত্র পাবে l
এখানে তো বিকারের দ্বারা জন্ম হয় l আত্মা যখন সম্পূর্ণ পবিত্র হয় তখন তোমরা এই
পুরানো শরীর রূপী জুতোকে ত্যাগ করো l এরপর আর পাবে না l তোমাদের মহিমা হয় - বন্দে
মাতরম্ l তোমরা এই ধরিত্রীকেও পবিত্র করো l তোমরা মায়েরা স্বর্গের দ্বার খোলো কিন্তু
এ কথা কেউই জানে না l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত l
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার l
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আত্মারূপী জ্যোতিকে প্রজ্জ্বলিত করার জন্য ভোরবেলা স্মরণের যাত্রায় বসতে হবে l এই
স্মরণেই জং দূর হবে l আত্মাতে যে খাদ জমা হয়েছে, সেই খাদ স্মরণের দ্বারা দূর করে
প্রকৃত সোনা হতে হবে l
২) বাবার থেকে উচ্চ
পদের প্রাইজ নেওয়ার জন্য ভাবনার সঙ্গে জ্ঞানবান এবং গুণবান হতে হবে l সেবা করে
দেখাতে হবে l
বরদান:-
চলন আর
চেহারার দ্বারা পবিত্রতার শৃঙ্গারের ঝলক দেখানো শৃঙ্গারিত মূর্তি ভব
পবিত্রতা হলো
ব্রাহ্মণ জীবনের শৃঙ্গার। চেহারা এবং চলনের দ্বারা সব সময় পবিত্রতার শৃঙ্গারের
অনুভূতি অন্যদের হবে। দৃষ্টিতে, মুখমণ্ডলে, হাতে, পায়ে সদা পবিত্রতার শৃঙ্গার
প্রত্যক্ষ হবে। প্রত্যেকে বর্ণনা করবে যে এর ফিচার্স থেকে পবিত্রতা দেখা যায়। নয়নে
পবিত্রতার ঝলক থাকবে, মুখে পবিত্রতার স্মিত হাসি থাকবে। অন্য কোনও কথা তার নজরে আসবে
না - একেই বলা হয় - পবিত্রতার শৃঙ্গারের দ্বারা শৃঙ্গারিত মূর্তি।
স্লোগান:-
ব্যর্থ
সম্বন্ধ-সম্পর্কও অ্যাকাউন্টকে খালি করে দেয়, সেইজন্য ব্যর্থকে সমাপ্ত করো।