06.11.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
দেহী-অভিমানী হওয়াতেই তোমাদের সেফ্টি (সুরক্ষা) রয়েছে, তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে
আধ্যাত্মিক (রুহানি) সার্ভিস করতে লেগে পড়ো, তাহলে দেহ-অভিমান রূপী শত্রু আক্রমণ
করবে না”
প্রশ্নঃ -
মাথায়
বিকর্মের বোঝা থাকলে তার লক্ষণ কেমন হবে? সেই বোঝাকে হাল্কা করার পদ্ধতি বলো?
উত্তরঃ
যতক্ষণ
পর্যন্ত বিকর্মের বোঝা রয়েছে, ততক্ষণ জ্ঞানের ধারণা হবে না। এমন সব কর্ম করা হয়েছে,
যেগুলো বারবার বাধা দেয়, আগে এগোতে দেয় না। এই বোঝাকে হাল্কা করার জন্য নিদ্রাকে জয়
করে নিদ্রাজিৎ হও। রাত্রি জেগে বাবাকে স্মরণ করলে বোঝা হাল্কা হয়ে যাবে।
গীতঃ-
মাতা ও মাতা
তুমিই বিশ্বের ভাগ্য বিধাতা…
ওম্ শান্তি ।
এটা আসলে জগৎ
অম্বার মহিমা। কারণ এ হলো নুতন রচনা। একেবারে নুতন রচনা তো কখনো হয় না। পুরাতন থেকে
নুতন হয়। মৃত্যুপুরী থেকে অমরপুরীতে যেতে হবে। এটা হলো জীবন-মরণের প্রশ্ন। হয়
মৃত্যুপুরীতে মরে গিয়ে বিনাশ হবে, অথবা জীবিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে(জীবন মুক্তি)
অমরপুরীতে যাবে। জগতের মাতা অর্থাৎ যিনি জগৎ রচনা করেছেন। বাবা-ই হলেন স্বর্গের
রচয়িতা, যিনি ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের রচনা করেন। বাবা বলেন, আমি সূর্যবংশী এবং
চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন করি। আমাকে এই সঙ্গমযুগেই আসতে হয়। প্রতিকল্পের
সঙ্গমযুগেই তিনি আসেন। ক্লিয়ার ভাবে বোঝাতে হবে। কেবল মানুষ ভুল করে নামটা পাল্টে
দিয়েছে। ওরা যখন সর্বব্যাপী-র জ্ঞান শোনায়, তখন ওদেরকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে এই
জ্ঞান কে কবে শুনিয়েছে? এইসব কথা কোথায় লেখা আছে? আচ্ছা, গীতার ভগবান কে? তিনি কি
এইরকম কথা বলেন? কিন্তু কৃষ্ণ তো দেহধারী। তার পক্ষে সর্বব্যাপী হওয়া সম্ভব নয়।
কৃষ্ণের নাম বদলে গেলেই এইসব কথা বাবার জন্যই বলা হবে। কিন্তু বাবাকে তো
উত্তরাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, আমি সূর্যবংশের উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য রাজযোগ
শেখাই। নাহলে তাকে ২১ জন্মের উত্তরাধিকার কে দিয়েছিল? লেখাও আছে, ব্রহ্মার মুখ থেকে
ব্রাহ্মণের রচনা হয়েছিল এবং তারপর তাদেরকে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শুনিয়েছিল।
যিনি জ্ঞান শোনান, তিনি নিশ্চয়ই বোঝানোর জন্য ছবিও বানিয়েছিলেন। বাস্তবে এইসব ছবির
মধ্যে লেখাপড়া করার কোনো ব্যাপার নেই। কিন্তু এইসব কথা সহজভাবে বোঝানোর জন্য এইসব
ছবি বানানো হয়েছে। এইসব ছবিগুলো দিয়ে অনেক কাজ হতে পারে। তাই জগৎ অম্বারও অনেক মহিমা।
শিবশক্তিও বলা হয়। শক্তি কার কাছ থেকে পাওয়া যায়? ওয়ার্ল্ড অলমাইটি বাবার কাছ থেকে।
তাঁর মহিমা বলার সময়ে ‘ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি’ কথাটির মহিমাও বলতে হবে। অথরিটি
মানে সকল শাস্ত্র ইত্যাদির নলেজ, সব তিনি জানেন। তাঁর বোঝানোর অথরিটি রয়েছে।
ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র দেখানো হয় এবং বলা হয় যে ব্রহ্মার মুখ দ্বারা সকল
বেদ-শাস্ত্রের সার কথা বোঝানো হয়। এটাই হল অথরিটি। তোমাদের মতো বাচ্চাদেরকে তিনি
সকল বেদ-শাস্ত্রের সারকথা বোঝান। দুনিয়ার মানুষ জানে না যে কাকে ধর্মশাস্ত্র বলা হয়।
বলা হয় যে ধর্ম আসলে চারটে। তার মধ্যে মুখ্য ধর্ম একটা, সেটা হল ফাউন্ডেশন।
এক্ষেত্রে বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছের উদাহরণ দেওয়া হয়। এর ফাউন্ডেশন (মূল) নষ্ট
হয়ে গেছে । কেবল শাখা-প্রশাখা দাঁড়িয়ে রয়েছে, এই উদাহরণ রয়েছে। দুনিয়ায়
বৃক্ষ তো অনেক রয়েছে। সত্যযুগেও বৃক্ষ থাকবে, তাই না ! কিন্তু জঙ্গল নয়, বাগান
থাকবে। কাজের জিনিসপত্রের জন্য জঙ্গলও থাকবে। কাঠ ইত্যাদি তো চাই, তাই না ! জঙ্গলেও
পশু-পক্ষী অনেক থাকে। কিন্তু সেখানে সমস্ত জিনিস ভালো ফলদায়ক হবে। পশু-পক্ষীও হলো
শোভা, কিন্তু নোংরা করার মতো হবে না। এই পশু-পক্ষীর সৌন্দর্য্যও তো চাই, তাই না !
যখন সৃষ্টিই হলো সতোপ্রধান তখন সব জিনিসপত্রও সতোপ্রধান হয়। তাহলে বহিস্ত (স্বর্গ)
আর কি ! সর্বপ্রথম মুখ্য কথা হলো -- উত্তরাধিকার নিতে হবে। চিত্র তৈরি হতে থাকে,
সেখানেও লিখতে হবে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, বিষ্ণুর দ্বারা পালনা - এই শব্দগুলি
মানুষ বোঝে না যে সেইজন্য বিষ্ণুর দুটি রূপ হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ, পালনকারী। এরা তো
বোঝে। কোটি-কোটির মধ্যে কেউই বুঝবে। তারপর এও লিখেছে -- আশ্চর্য হয়ে শুনন্তী(শোনে),
কথন্তী(বলে)... পুরুষার্থের নম্বরের অনুক্রমে আপন পদ প্রাপ্ত করে। কোথাও না কোথাও
এই কথা লেখা রয়েছে। ভগবানবাজ শব্দটিও সঠিক ভগবানের বায়োগ্রাফি যদি বিগড়ে যায়
তখন সব শাস্ত্র খন্ডন খন্ডিত হয়ে যায় দেখা যায় বাবদ দিনে দিনে ভালো ভালো বয়স
দিতে থাকেন। সর্ব প্রথমে তো নিশ্চয়ই করতে হবে যে ভগবান হলেন জ্ঞানের সাগর, মনুষ্য
সৃষ্টির বীজরূপ। চৈতন্য বীজের মধ্যে নলেজ কার হবে ? অবশ্যই বৃক্ষের(ঝাড়) হবে। তাহলে
বাবা এসে নলেজ বোঝান ব্রহ্মার দ্বারা। ব্রহ্মাকুমার-কুমারী নাম ভালো। প্রজাপিতা
ব্রহ্মার কুমার-কুমারী তো অগণিত রয়েছে। এখানে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো কথা নেই। এত হলো
রচনা, তাই না ! বাবা-মাম্মা অথবা তোমরা সকলেই মাতা-পিতা বলে থাকো। জগদম্বা হলেন
সরস্বতী, ব্রহ্মার কন্যা। বাস্তবে ইনি হলেন বি.কে.। কল্প পূর্বেও ব্রহ্মার দ্বারা
নতুন সৃষ্টি রচনা করেছিলেন। এখন পুনরায় অবশ্যই ব্রহ্মার দ্বারাই রচনা হবে। সৃষ্টির
আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বাবাই বুঝিয়ে থাকেন। সেইজন্য এঁনাকে নলেজ ফুল বলা হয়। বীজে
অবশ্যই সম্পূর্ণ বৃক্ষের নলেজ থাকবে। ওঁনার রচনা হলো চৈতন্য মনুষ্য সৃষ্টি। বাবা
রাজযোগ শিখিয়ে থাকেন। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা বসে ব্রাহ্মণদের শিখিয়ে
থাকেন। যে ব্রাহ্মণ পরে দেবতা হয়। শঞ্জনার সময় মজা তো সকলের আসে। কিন্তু দেহ
অভিমানের কারণে ধারণা হয় না। এখান থেকে বাইরে গেলে আর শেষ। অনেক প্রকারের দেহ
অভিমান আছে। এতে অনেক মেহনত চাই।
বাবা বলেন - নিদ্রার
উপরে বিজয় প্রাপ্তকারী হও। দেহ-অভিমান ত্যাগ করো, দেহী-অভিমানী হও। রাতে জেগে
স্মরণ করতে হবে কারণ তোমাদের মাথার উপর জন্ম-জন্মান্তরের বিকর্মের বোঝা অনেক রয়েছে
যা তোমাদেরকে ধারণা করতে দেয় না। এমন কর্ম করে রেখেছে, সেই কারণে দেহী-অভিমানী হয়
না। গাল-গল্প অনেক করে, বড় বড় গল্পের চার্ট লিখে পাঠায় যে আমরা ৭৫ শতাংশ সময়
স্মরণে থাকি। কিন্তু বাবা বলেন -- ইম্পসিবল (অসম্ভব)। সবথেকে আগে চলেন যিনি, তিনি
স্বয়ং বলেন -- কতই না প্রচেষ্টা করি স্মরণ করার কিন্তু মায়া ভুলিয়ে দেয়। ফলো করে
না সেই জন্য চার্ট পাঠায় না। সত্যিকারের চার্ট লেখা উচিৎ।বাবাও বলে থাকেন, তাই না!
তাহলে বাচ্চাদের ফলো করা উচিত । ফলো করে না, সেইজন্য চার্টও পাঠায় না। পুরুষার্থের
জন্য সময় ধার্য করা রয়েছে। এই ধারণা কোনো মাসির বাড়ি (সহজ) নয়। এতে ক্লান্ত হয়ে
পড়া চলবে না। কেউ বুঝতে সময় নেয়, আজ নয়তো কাল বুঝে যাবে। বাবা বলে দিয়েছেন যে
যারা দেবী-দেবতা ধর্মের হবে, আর অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে তারা চলে আসবে। একদিন
আফ্রিকান ইত্যাদিদেরও কনফারেন্স হবে। ভারত ভূখণ্ডে আসতে থাকবে। আগে কখনো আসতো না।
এখন সকল গণমান্যেরাই আসতে থাকে। জার্মানীর প্রিন্স ইত্যাদি এই সকলেরা কখনও বাইরে
বেরোতো না। নেপালের যিনি রাজা ছিলেন তিনি কখনো রেল দেখেননি, নিজের সীমার বাইরে
কোথাও যাওয়ার হুকুম ছিল না, পোপ কখনও বাইরে বেরোয়নি, এখন এসেছেন। আসবে সকলেই কারণ
এই ভারত হলো সকল ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক বড়র থেকেও বড় তীর্থ, সেইজন্য এই
অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়বে। তোমাদের সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের বলতে হবে,
নিমন্ত্রণ করতে হবে। তথাপি জ্ঞান তারাই ওঠাবে যে দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরা কনভার্ট
হয়ে গেছে। এরজন্য বোধশক্তি চাই। যদি বোঝে তাহলে শঙ্খধ্বনি অবশ্যই করবে। আমরা হলাম
ব্রাহ্মণ, তাই না ! আমাদের গীতাই শোনাতে হবে। অত্যন্ত সহজ, অসীম জগতের বাবা হলেন
স্বর্গের রচয়িতা। ওঁনার থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া আমাদের অধিকার। সকলের অধিকার
রয়েছে নিজের বাপের বাড়ি(মুক্তিধামে) যাওয়ার। মুক্তি-জীবনমুক্তির অধিকার রয়েছে।
জীবনমুক্তি সকলেরই প্রাপ্ত হবে। জীবনবন্ধ থেকে মুক্ত হয়ে শান্তিতে যায় তারপর যখন
আসে তখন হলো জীবনমুক্ত। কিন্তু সকলেরই তো সত্যযুগে জীবনমুক্তি মেলেনা। সত্যযুগে
জীবনমুক্তিতে ছিল দেবী-দেবতারা। পরে যারা আসে কম সুখ, কম দুঃখ পায়। এ হলো
হিসেব-নিকেশ। সব থেকে কাঙাল ভারতই হয়েছে, যে ছিল সবচেয়ে উঁচু। বাবাও বলেন - এই
দেবী-দেবতা ধর্ম অত্যন্ত সুখ প্রদান করবে। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত, সকলেই নিজের
নিজের সময় অনুযায়ী আপন-আপন ভূমিকা পালন করে। হেভেনলি গডফাদারই হেভেন স্থাপন করেন
আর কেউ করতে পারে না। ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে অবশ্যই বলা হয়ে থাকে
হেভেন(স্বর্গ) ছিল, নতুন দুনিয়া ছিল। ক্রাইস্ট কি কখনো সেখানে থোড়াই আসবে ! সে তো
নিজের সময়ানুসারেই আসে। তারপর তাকে নিজের ভূমিকা রিপিট করতে হবে। এ'সব বুদ্ধিতে
বসলে তখন শ্রীমৎ অনুসারে চলবে। সকলের বুদ্ধি একই রকমের হয় না। শ্রীমতে চলার জন্য
হিম্মত চাই। তারপর শিববাবা তুমি যা খাওয়াও, যা পড়াও....... ব্রহ্মা এবং জগদম্বার
দ্বারা। ব্রহ্মার দ্বারাই সবকিছু করবেন, তাই না ! তাহলে দুজনেই হলো কম্বাইন্ড।
ব্রহ্মার দ্বারাই কর্তব্য করবেন। দু'টি শরীর তো একত্রে নেই। বাবা কোনো-কোনো
কম্বাইন্ড শরীরও দেখেছেন। সোল(আত্মা) তো দুজনের আলাদা-আলাদা হয়ে গেল। এঁনার মধ্যে
বাবা প্রবেশ করেন, উনি হলেন নলেজফুল। তাহলে নলেজ কার মাধ্যমে দেবেন ? শ্রীকৃষ্ণের
চিত্র তো আলাদা। এখানে তো ব্রহ্মাকে চাই। বাস্তবে ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা কত,এ কোনো
অন্ধশ্রদ্ধা তো নয়। অ্যাডপ্টেড চিলড্রেনদের ভগবান পড়ান। কল্প-পূর্বে যারা
অ্যাডপ্ট হয়েছিল তারাই এখন থাকে। বাইরে অফিসে তো কেউ বলবে না যে আমরা হলাম বি.কে।
এ হয়ে গেল গুপ্ত। শিববাবার সন্তান তো আছেই। এছাড়া রচনা নতুন সৃষ্টিরই করতে হয়।
পুরোনোর থেকে নতুন তৈরি হয়। আত্মায় খাদ পড়ার কারণে পুরোনো হয়ে যায়। সোনাতেই
খাদ পড়ে তখন আবার অশুদ্ধ হয়ে যায়। আত্মা অশুদ্ধ হলে তখন শরীরও অশুদ্ধ হয়ে যায়,
পুনরায় বিশুদ্ধ কিভাবে হবে ? অশুদ্ধ জিনিসকে আগুনে পোড়ায়, পবিত্র করার জন্য।
তাহলে কত বড় বিনাশ সংঘটিত হয়। এই উৎসবাদিও সব ভারতেরই। এ'সব কাদের আর কবেকার, কেউ
জানে না। নলেজ খুব কম তুলতে পারে। পরে যদি রাজত্ব প্রাপ্তও হয়, তাতে কি ? সুখ অনেক
কম হয়ে গেল, তাই না ! দুঃখ তো ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায় সেইজন্য ভালোভাবে
পুরুষার্থ করতে হবে। কত নতুন বাচ্চারা তীক্ষ্ণ হয়ে গেছে। পুরোনোরা অ্যাটেনশন দেয়
না। দেহ-অভিমান অনেক আছে, সেবাধারীরাই হৃদয়ে অধিষ্ঠান করবে। বলা হয়ে থাকে, তাই না
! ভিতরে এক, বাইরে অন্য। ভালো ভালো বাচ্চাদের বাবা অন্তর থেকে ভালবাসবেন। কেউ বাইরে
থেকে ভালো, ভিতর খারাপ হয়। কেউ সার্ভিস করে না অন্ধের লাঠি হয় না। এখন হলো
মরা-বাঁচার প্রশ্ন। অমরপুরীতে উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে হবে। জানতে পারা যায়, কে-কে
কল্প-পূর্বে পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ পেয়েছে, সেসব দেখতে পাওয়া যায়। যতখানি
দেহী-অভিমানী হবে ততই সেফটিতে(সুরক্ষিতভাবে) চলতে থাকবে। দেহ-অভিমান পরাজিত করে।
বাবা তো বলবেন -- শ্রীমতানুসারে যতখানি রুহানী সার্ভিসে চলতে পারবে ততই ভালো। সকলকে
বাবা বুঝিয়ে থাকেন। চিত্রের উপরে বোঝানো অতি সহজ। ব্রহ্মাকুমার-কুমারী হলো সকলেই,
ওই শিববাবা হলেন বড় বাবা। পুনরায় নতুন সৃষ্টি রচনা করেন। গাওয়া হয়ে থাকে --
মানুষ থেকে দেবতা..... শিখ ধর্মাবলম্বীরাও সেই ভগবানের মহিমা করে, গুরু নানকের
অক্ষর(বাণী) অত্যন্ত ভালো। জপ করো সাহেবকে(ঈশ্বর), তবেই সুখ পাওয়া যাবে। এ হলো
মূলকথা(সারকথা), সত্য-সাহেবকে স্মরণ করলে তখন সুখ পাবে অর্থাৎ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত
হবে। মান্য তো করো, এক ওঙ্কার.... আত্মাকে কোনো কাল গ্রাস করতে পারে না। আত্মা ময়লা
হয় কিন্তু বিনাশ হয় না সেইজন্য অকালমূর্তি বলা হয়ে থাকে। বাবা বোঝান -- আমি হলাম
অকাল-মূর্তি, তাহলে আত্মারাও হলো অবিনাশী। হ্যাঁ, এছাড়া পুনর্জন্মে তো আসে। আমরা
হলাম একরস(সদা একের স্মরণে স্থির)। পরিস্কারভাবে বলেন -- আমি হলাম জ্ঞানের সাগর, আমি
হলাম রূপ-বসন্তও। সেইজন্য এ'সমস্ত কথা বুঝে নিয়ে বোঝাতে হবে। অন্ধের লাঠি হতে হবে।
জীবনদান করতে হবে। তাহলে কখনও অকালমৃত্যু হবে না। তোমরা কালের উপর বিজয়প্রাপ্ত করো।
আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
শ্রীমতানুসারে রুহানী সার্ভিস করতে হবে। অন্ধের লাঠি হতে হবে। শঙ্খধ্বনি অবশ্যই করতে
হবে।
২ ) দেহী-অভিমানী
হওয়ার জন্য স্মরণের চার্ট রাখতে হবে। রাতে জেগে থেকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে হবে।
স্মরণে ক্লান্ত হয়ে পড়া উচিত নয়।
বরদান:-
সদা
নিজের শ্রেষ্ঠ গরিমায় থেকে উদ্বিগ্নতা সমাপ্তকারী মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব
সর্বদা এই বরদান যেন
স্মৃতিতে থাকে যে আমরা হলাম নিজেদের শ্রেষ্ঠ গরিমায় থাকা অন্যান্যদের উদ্বিগ্নতা
সমাপ্তকারী মাস্টার সর্বশক্তিমান। দুর্বল নই। শ্রেষ্ঠ গরিমার সিংহাসনে অধীন। যারা
অকাল সিংহাসনাধীন হয়, বাবার হৃদয়-সিংহাসনে শ্রেষ্ঠ গরিমায় অবস্থান করে, তারা
স্বপ্নেও কখনও উদ্বিগ্ন হতে পারে না। কেউ যতই হয়রান করুক কিন্তু নিজের শ্রেষ্ঠ
গরিমাতেই থাকে।
স্লোগান:-
সর্বদা
নিজের স্বমানে থাকো, তাহলে সকলের মান-সম্মান প্রাপ্ত হতে থাকবে।