08.01.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদেরকে এই নেশা রাখতে হবে যে, আমি ব্রাহ্মণ তথা দেবতা হচ্ছি, আমাদের
ব্রাহ্মণদেরই বাবার শ্রেষ্ঠ মত প্রাপ্ত হয়েছে”
প্রশ্নঃ -
যাদের নিউ
ব্লাড (তরুণ) তাদের কি এমন শখ আর কি এমন আনন্দ হওয়া উচিত?
উত্তরঃ -
এই দুনিয়া যেটা পুরানো আয়রন এজ্ড হয়ে গেছে তাকে নতুন গোল্ডেন এজ্ড বানানোর,
পুরানো থেকে নতুন বানানোর শখ হওয়া চাই। কন্যাদের হল নিউ ব্লাড, তাই নিজেদের
সমবয়সীদেরকেও ওঠাতে হবে। এই নেশা সর্বদা বজায় রাখতে হবে। ভাষণ করার সময়ও অনেক
আনন্দ হওয়া চাই ।
গীতঃ-
হে নিশিথের
যাত্রী...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা তো
এই গানের অর্থ বুঝতে পেরেছে। এখন ভক্তিমার্গের ঘোর অন্ধকারের রাত তো সম্পূর্ণ হচ্ছে।
বাচ্চারা বুঝতে পেরেছে যে আমাদের উপরে এখন মুকুট আসতে চলেছে । এখানে বসে আছে,
লক্ষ্য-উদ্দেশ্যও আছে মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার। যেরকম সন্ন্যাসীরা বোঝায় যে তোমরা
নিজেকে মোষ মনে করো তাহলে সেইরূপ হয়ে যাবে। সেটা হল ভক্তি মার্গের দৃষ্টান্ত।
যেরকম এই দৃষ্টান্তও আছে যে রাম বানরদের সেনা নিয়েছিলেন। তোমরা এখানে বসে আছো। জানো
যে আমরা দেবী-দেবতা ডবল মুকুটধারী হব। যেমন স্কুলে পড়ার সময় বলে, আমি এটা পড়ে
ডাক্তার হয়ে যাব, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যাব। তোমরা বুঝতে পারো যে এই পড়াশোনা করে আমরা
দেবী-দেবতা হচ্ছি। এই শরীর ত্যাগ হলেই আর আমাদের মাথার উপর মুকুট হবে। এটা তো হল
অত্যন্ত নোংরা ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, তাই না। নতুন দুনিয়া হল first-class দুনিয়া।
পুরানো দুনিয়া হল একদম থার্ড ক্লাস দুনিয়া। এ তো বিনাশ হয়ে যাবেই। নতুন বিশ্বের
মালিক নির্মাণকারী অবশ্যই বিশ্বের রচয়িতাই হবে। অন্য কেউ পড়াতে পারবেন না। শিববাবাই
তোমাদেরকে পড়িয়ে শেখাচ্ছেন। বাবা বুঝিয়েছেন যে - সম্পূর্ণরূপে আত্ম-অভিমানী হয়ে
গেলে তাে আর কি চাই। তোমরা ব্রাহ্মণ তো আছোই। তোমরা জানো যে আমরা এখন দেবতা হচ্ছি।
দেবতারা কত পবিত্র ছিলেন। এখানে তো অনেক পতিত মানুষ আছে। চেহারা যদিও মানুষেরই মতো
কিন্তু চরিত্র দেখো কি রকম আছে! যারা দেবতাদের পূজারী তারা নিজেরাই তাঁদের কাছে এই
মহিমা করে যে - আপনি সর্বগুণ সম্পন্ন, ষোলোকলা সম্পূর্ণ..... আর আমরা হলাম বিকারী
পাপী। চেহারা তো তাদেরও মানুষেরই মতোই কিন্তু তাঁদের কাছে গিয়ে মহিমা গাইতে থাকে,
নিজেদেরকে নোংরা বিকারী বলে পরিচয় দেয়। আমাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই। আছে তো মানুষ
অর্থাৎ মানুষ। এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ যে এখন তো আমরা পরিবর্তন হয়ে দেবতা হব।
কৃষ্ণের পূজা করে-ই এই জন্য যাতে কৃষ্ণ পুরীতে যেতে পারে। কিন্তু এটা জানা নেই যে
কবে যাবে। ভক্তি করতে থাকে যে ভগবান এসে ভক্তির ফল দেবেন। প্রথমতঃ তোমাদেরকে এটা
নিশ্চয় করতে হবে যে, আমাদেরকে কে পড়াচ্ছেন! এটা হল শ্রী শ্রী শিববাবার মত। শিব
বাবা তোমাদেরকে শ্রীমৎ প্রদান করছেন। যাদের এটা জানা নেই তারা শ্রেষ্ঠ কিভাবে হতে
পারবে। এতসব ব্রাহ্মণ শ্রী শ্রী শিববাবার মতানুসারে চলছে। পরমাত্মার মতই শ্রেষ্ঠ
বানায়, যার ভাগ্যে থাকবে, তার বুদ্ধিতে বসবে। না হলে তো কিছুই বুঝতে পারবে না। যখন
বুঝতে পারবে তখন খুশি হয়ে সাহায্য করতে লেগে যাবে। কেউ-কেই তো আবার জানেইনা, তাদের
জানাই নেই যে ইনি কে, এজন্য বাবা কারো সাথে সাক্ষাৎকার করেন না। তারা তো আরোই
নিজেদের মত বের করবে। শ্রীমৎ-কে না জানার কারণে তারাও নিজের মত দিতে শুরু করে দেবে।
এখন বাবা এসেইছেন বাচ্চারা তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য। বাচ্চারা জানি যে, পাঁচ
হাজার বছর পূর্বের ন্যায় বাবা আমাদের সাথে এসে মিলন করেছেন। যাদের জানা নেই তারা
এইরকম সাড়া দিতে পারবেনা। পড়াশোনার প্রতি বাচ্চাদের খুব নেশা থাকতে হবে। এটা হল বড়
উঁচু পড়া কিন্তু মায়াও প্রবল বিরোধী। তোমরা জানো যে, আমরা সেই পড়া পড়ছি যার
দ্বারা আমাদের মাথার উপর ডবল মুকুট আসবে। ভবিষ্যতের জন্ম-জন্মান্তরের জন্য ডবল
মুকুটধারী হব। তাই এর জন্য পুনরায় এইরকম সম্পূর্ণরূপে পুরুষার্থ করতে হবে, তাই না!
একে বলা হয় রাজযোগ। বড়ই আশ্চর্য পূর্ণ। বাবা সর্বদাই বোঝাচ্ছেন যে -
লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরে যাও। পূজারীদেরকেও তোমরা বোঝাতে পারো। পূজারীরাও কাউকে
বসে বোঝাবে যে এই লক্ষ্মী- নারায়ণ কিভাবে এই পদ প্রাপ্ত করেছেন, এঁনারা বিশ্বের
মালিক কিভাবে হয়েছেন? এইরকম-এইরকম কথা বসে শোনালে পূজারীরা মেনে নেবেন। তোমরা বলতে
পারো যে, আমরা আপনাকে বোঝাচ্ছি যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণও এই রাজ্য কিভাবে প্রাপ্ত
করেছেন? গীতাতেও ভগবানুবাচ আছে তাই না। আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শিখিয়ে রাজাদেরও রাজা
বানাচ্ছি। স্বর্গবাসী তো তোমরাই হও তাই না! তাই বাচ্চাদেরকে অনেক নেশায় থাকতে হবে
- আমরা এই রকম তৈরি হচ্ছি! যদিও নিজেদের চিত্র আর রাজার চিত্র এখানে একসাথে বের করো।
নিচে তোমাদের চিত্র, উপরে রাজার চিত্র হবে। এতে বেশী খরচা তো হবে না, তাই না। রাজার
পোষাক তো শীঘ্রই তৈরী হতে পারে। তাই প্রতিমুহূর্ত স্মরণ রাখ - আমরা দেবতা হতে চলেছি।
উপরে শিববাবার চিত্রও রাখতে পারো। এইরকম চিত্রও বের করতে পারো। তোমরা মানুষ থেকে
দেবতা তৈরি হচ্ছ। এই শরীর ছেড়ে আমরা গিয়ে দেবতা হব কেননা এখন আমরা এই রাজযোগ শিখছি।
তাই এই চিত্রও সহায়তা করবে। উপরে শিববাবা, পরে রাজা রূপের চিত্র। নিচে তোমাদের
সাধারণ চিত্র। শিব বাবার থেকে রাজযোগ শিখে আমরা দেবতা ডবল মুকুটধারী তৈরি হচ্ছি।
চিত্র রাখা থাকলে, কেউ জিজ্ঞাসা করলে তো আমরা বলতে পারবো - আমাদের শিক্ষক হলেন এই
শিব বাবা। চিত্র দেখার সাথে সাথে বাচ্চাদের নেশা চড়ে যাবে। দোকানেও এই চিত্র রাখতে
পারো। ভক্তি মার্গে বাবা নারায়ণের চিত্র রাখতেন। পকেটেও থাকত। তোমরাও নিজেদের ফটো
রেখে দাও তাে স্মরণে থাকবে যে - আমরা দেবী দেবতা হচ্ছি। বাবাকে স্মরণ করার উপায়
খুঁজতে হবে। বাবাকে ভুলে গেলেই নিচের দিকে নামতে থাকবে। বিকারে পড়ে গেলে তখন আবার
লজ্জা আসবে। এখন তো আমি আর এই দেবতা হতে পারবো না। হার্ট ফেল হয়ে যাবে। এখন আমি
দেবতা কীভাবে হব ? বাবা বলছেন যে বিকারে যারা পড়ে যাচ্ছে তাদের ছবি বের করে দাও।
বলো, তোমরা স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য নও, তোমাদের পাসপোর্ট শেষ হয়ে গেছে। নিজেও অনুভব
করবে যে আমি তো পড়ে গেছি। এখন আমি স্বর্গে কি করে যাব? যেরকম নারদের উদাহরণ দেওয়া
হয়েছে। তাকে বলা হয়, তুমি আগে নিজের মুখ দেখো, লক্ষ্মীকে বরণ করার যোগ্য ? তখন
বাঁদরের মুখ দেখা গেল। তাই মানুষের মধ্যেও লজ্জা আসবে যে - আমার মধ্যে তো এই বিকার
আছে, পুনরায় আমরা শ্রী নারায়ণকে বা শ্রীলক্ষ্মীকে কীভাবে বরণ করব। বাবা যুক্তি তো
সবাইকেই বলে দেন, কিন্তু অনেকে বিশ্বাসই করে না। বিকারের নেশা এসে যায় তো মনে করে
যে এই হিসাবে আমরা রাজাদেরও রাজা ডবল মুকুটধারী কিভাবে হব ? পুরুষার্থ তো করতেই হবে,
তাই না! বাবা বোঝাচ্ছেন যে - এইরকম-এইরকম যুক্তি রচনা করো আর সবাইকে বোঝাতে থাকো।
এই রাজযোগের স্থাপনা হচ্ছে। এখন বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। দিন-প্রতিদিন তুফান আরো
প্রবল হতে থাকবে। বম্ব - ইত্যাদিও তৈরি হচ্ছে। তোমরা এই পড়াশোনা করছো ভবিষ্যতের
উঁচু পদ পাওয়ার জন্য। তোমরা একই বার পতিত থেকে পবিত্র তৈরি হচ্ছ। মানুষ থোড়াই বুঝতে
পারে না যে, আমরা নরকবাসী, কেননা বুদ্ধি পাথরসম হয়ে গেছে। এখন তোমরা পাথর বুদ্ধি
থেকে পরশ বুদ্ধি তৈরি হচ্ছ। ভাগ্যে থাকলে তো শীঘ্রই বুঝতে পারবে। না হলে তো তোমরা
যতই বুদ্ধি খাটাও, বুদ্ধিতে কিছুই বসবে না। বাবাকেই যদি না জানে তো নাস্তিক হয়ে
গেলো অর্থাৎ ধনী নয়। তাই তাদেরকে ধনী বানাতে হবে, তাই না! কারণ তারা হল শিব বাবার
বাচ্চা। এখানে যাদের মধ্যে জ্ঞান আছে, তারা নিজেের বাচ্চাদেরকে বিকারে যাওয়া থেকে
বাঁচাতে থাকবে। অজ্ঞানী লোক তো নিজের মতোই বাচ্চাদেরকেও ফাঁসাতে থাকে। তোমরা জানো
যে এখানে বিকারে যাওয়া থেকে বাঁচানো হয়। কন্যাদেরকে তো প্রথমে বাঁচাতে হবে। মা-বাবা
যেরকম বাচ্চাদেরকে বিকারে যাওয়ার জন্য ধাক্কা দেয়। তোমরা জানো যে এটা হল
ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া চায়। ভগবানুবাচ - আমি যখন আসি
শ্রেষ্ঠাচারী বানানোর জন্য, তখন তো সবাই হল ভ্রষ্টাচারী। আমি এসে সকলকে উদ্ধার করি।
গীতাতেও লেখা আছে যে ভগবানকেই সাধু-সন্ত ইত্যাদি সবাইকে উদ্ধার করতে আসতে হয়। এক
ভগবান বাবা এসেই সকলের উদ্ধার করেন। এখন তোমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছ যে - মানুষ কতই
না পাথর বুদ্ধিসম হয়ে গেছে। এই সময় যদি সমাজের বড়-বড় ব্যক্তিরা জানতে পারে যে
গীতার ভগবান শিব তাহলে না জানি কি হয়ে যাবে। হাহাকার শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু তা হতে
এখনও দেরী আছে। না হলে তো সকলেরই গোষ্ঠী একদম আন্দোলিত হতে শুরু করে দেবে। অনেকেরই
সিংহাসন আন্দোলিত হয়, তাইনা! লড়াই যখন হয় তখন জানা যায় যে এর সিংহাসন আন্দোলিত হতে
শুরু করেছে, এখনই ভেঙে পড়বে। এখন এটা আন্দোলিত হলে তো খুবই দোলাচল শুরু হয়ে যাবে।
পরবর্তীকালে এটাই হবে। পতিত-পাবন সকলের সদ্গতি দাতা নিজে বলছেন যে - বরাবর ব্রহ্মার
শরীরে দ্বারা স্থাপনা করছেন। সকলের সদ্গতি অর্থাৎ উদ্ধার করছেন। ভগবানুবাচ - এটা হল
পতিত দুনিয়া, এদের সকলকে উদ্ধার আমাকেই করতে হবে। এখন সবাই হল পতিত। পতিত আবার
কাউকে পবিত্র কিভাবে বানাবে ? প্রথমে তো নিজে পবিত্র হবে তারপর অনুসরণকারীদেরকে
বানাবে। ভাষণ করার মধ্যেও অনেক নেশা চাই। কন্যাদেরকে হলো নিউ ব্লাড। তোমরা পুরাতন
থেকে নতুন বানাচ্ছ। তোমাদের আত্মা, যেটা পুরানো আয়রন এজ্ড হয়ে গেছে, এখন নতুন
গোল্ডেন এজ্ড তৈরি হচ্ছে। খাত বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই বাচ্চাদের খুব শখ রাখতে হবে। নেশা
বজায় রাখতে হবে। নিজের সমকক্ষদের ওঠাতে হবে। গাওয়া হয় যে, গুরু মাতা। মাতা গুরু
কবে হয়, সেটাও এখন তোমরা জেনে গেছ। জগদম্বাই পুনরায় রাজ-রাজেশ্বরী হন। তারপর তো
সেখানে কোনও গুরু-ই থাকবে না। গুরুদের পরম্পরা এখনই চলতে থাকে। বাবা এসে মাতাদের
উপর জ্ঞান অমৃতের কলষ রেখেছেন। শুরু থেকে এই রকম হয়। সেন্টারের জন্য বলে যে
ব্রহ্মাকুমারী চাই। বাবা তো বলেন যে, তোমরাই পরিচালনা করো। সাহস নেই? বলে, না বাবা,
টিচার চাই। এটাও ঠিক আছে, সম্মান দেয়।
আজকাল দুনিয়াতে একে অপরকে মেকী (দেখানো) সম্মান দেয়। আজ প্রধানমন্ত্রী আছে, কাল
তাকে সরিয়ে দেয়। স্থায়ী সুখ কারোরই প্রাপ্ত হয় না। এই সময়ে বাচ্চারা তোমাদের
স্থায়ী রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হচ্ছে। বাবা তোমাদেরকে কত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বোঝাচ্ছেন।
নিজেকে সর্বদা প্রফুল্লিত রাখার জন্য খুব ভালো ভালো যুক্তি বলে দেন। শুভ ভাবনা রাখতে
হবে, তাইনা! ওহো! আমরা এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে চলেছি, তথাপি যদি কারো ভাগ্যে না থাকে
তো প্রচেষ্টাও বা কি করবে। বাবা প্রচেষ্টা করার কৌশল তো বলে দেন, তাইনা ! প্রচেষ্টা
ব্যর্থ যায় না। এটা তো সর্বদাই সফল হয়। রাজধানী স্থাপন হয়েই যাবে। বিনাশও
মহাভারত লড়াই-এর দ্বারা হতেই হবে। পরবর্তীকালে পুরুষার্থ করে তোমরা যত শক্তিশালী
হবে, তখন এইসব আসবে। এখন বুঝতে পারবে না, পুনরায় তো তাদের রাজত্বই চলে যাবে। কতো
গুরু আছে, এমন কোনো মানুষ নেই যে কোনে গুরুর অনুগামী নয়। এখানে তোমাদের এক সদ্গতি
দাতা সদ্গুরু প্রাপ্ত হয়েছে। চিত্র বড়ই ভালো। এটা হল সদ্গতি অর্থাৎ সুখধাম, এটা
হল মুক্তিধাম। বুদ্ধিও বলে, আমরা সকল আত্মারা নির্বাণধামে থাকি। যেখান থেকে পুনরায়
এই আওয়াজের দুনিয়ায় আসতে হয়। আমরা হলাম সেখানকারই বাসিন্দা। এই খেলা ভারতেই তৈরি
হয়ে আছে। শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয়। বাবা বলেন, আমি এসেছি, কল্পের পরে
পুনরায় আসবো। প্রত্যেক ৫ হাজার বছর পর বাবা আসতেই স্বর্গ উদ্যান তৈরী হয়ে যায়।
তারা বলেও যে যীশুখ্রিস্টের এত বছর পূর্বে স্বর্গ উদ্যান ছিল, স্বর্গ ছিল। এখন নেই,
পুনরায় হবে। তো অবশ্যই নরকবাসীদের বিনাশ, স্বর্গবাসীদের স্থাপনা হতে হবে। তোমরাই
স্বর্গবাসী তৈরি হচ্ছ। নরকবাসীরা সকলেই বিনাশ হয়ে যাবে। তারা তো মনে করে যে এখনও
এত লক্ষ বছর বাকি আছে। বাচ্চারা বড় হলে তাদের বিবাহ দেয়.... তোমরা থোড়াই এইরকম
বলবে। যদি বাচ্চারা শ্রীমত অনুসারে না চলে, তাহলে পুনরায় শ্রীমৎ নিতে হবে যে
স্বর্গবাসী না হতে চাইলে কি করবো ! বাবা বলবেন - যদি আজ্ঞাকারী না হয় তাহলে যেতে
দাও। এতে পাক্কা মোহমুক্ত অবস্থা চাই। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
শ্রী শ্রী শিব বাবার শ্রেষ্ঠ মতে চলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ বানাতে হবে। শ্রীমতে মন-মত
মিক্সড ক'রো না। ঈশ্বরীয় পড়ার নেশায় থাকতে হবে।
২ ) নিজের সমবয়সীদের কল্যাণের যুক্তি তৈরী করতে হবে। সকলের প্রতি শুভকামনা রেখে
পরস্পরকে সত্যিকারের সম্মান দিতে হবে। অবিশ্বাসযোগ্য সম্মান নয়।
বরদান:-
আধ্যাত্মিক এক্সারসাইজ আর স্বনিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরিশোধনের অনুভব করে ফরিস্তা ভব
বুদ্ধির পরিশোধন বা
হালকা ভাব হল ব্রাহ্মণ জীবনের ব্যক্তিত্ব। পরিশোধনই হল প্রসিদ্ধি। কিন্তু এর জন্য
প্রতিদিন অমৃতবেলায় অশরীরী ভাবের আধ্যাত্মিক এক্সেসাইজ করো আর ব্যর্থ সংকল্পরূপী
ভোজনের প্রতি সতর্ক থাকো। সতর্ক থাকার জন্য স্ব-নিয়ন্ত্রণ চাই। যে সময়ে যে সংকল্প
রূপী ভোজন স্বীকার করতে হবে সেই সময় সেটাই করো। ব্যর্থ সংকল্পের অতিরিক্ত ভোজন করো
না, তবেই পরিশোধিত বুদ্ধি হয়ে ফরিস্তা স্বরূপের লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করতে পারবে।
স্লোগান:-
মহান
আত্মা সে-ই, যে প্রতি সেকেণ্ড, প্রতি পদক্ষেপ শ্রীমতের উপর যথাযথ ভাবে চলতে পারে।