08.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এই চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছো - সেসব শেষ হয়ে যাবে, তাই এসবের প্রতি অসীমের (বেহদের) বৈরাগ্য প্রয়োজন, বাবা তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া বানাচ্ছেন"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, তোমাদের সাইলেন্সে কোন্ রহস্য-টি সমাহিত আছে?

উত্তরঃ  
যখন তোমরা সাইলেন্সে বসো তখন শান্তিধামকে স্মরণ করো। তোমরা জানো সাইলেন্স অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় মৃত হওয়া। এখানে বাবা তোমাদের সদ্গুরু রূপে সাইলেন্সে থাকা শেখাচ্ছেন। তোমরা সাইলেন্সে থেকে বিকর্ম গুলি দগ্ধ করো। তোমাদের এই জ্ঞান আছে যে এখন ঘরে (পরম ধামে) ফিরতে হবে। অন্য সৎসঙ্গে শান্তিতে বসে কিন্তু তাদের শান্তিধামের জ্ঞান নেই ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি আত্মা রূপী (রূহানী ) বাচ্চাদেরকে শিববাবা বলছেন। গীতায় আছে শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, কিন্তু আসলে হলো শিববাবা বলছেন, কৃষ্ণকে বাবা বলা যাবে না। ভারতবাসীরা জানে যে পিতা হলেন দু'জন, লৌকিক ও পারলৌকিক। পারলৌকিককে পরম পিতা বলা হয়। লৌকিককে পরম পিতা বলা যাবে না। তোমাদের কোনও লৌকিক পিতা বোঝাচ্ছেন না। পারলৌকিক পিতা পারলৌকিক সন্তানদের বোঝাচ্ছেন। সর্ব প্ৰথমে তোমরা যাও শান্তিধাম, যাকে তোমরা মুক্তিধাম, নির্বাণধাম বা বাণপ্রস্থও বলো। এখন বাবা বলছেন - বাচ্চারা, এবার শান্তিধাম যেতে হবে। শুধুমাত্র তাকেই বলা হয় টাওয়ার অফ সাইলেন্স। এখানে বসে প্ৰথমে শান্তিতে বসতে হবে। সব সৎসঙ্গে প্ৰথমে শান্তিতে বসানো হয়। কিন্তু তাদের শান্তিধামের জ্ঞান থাকে না। বাচ্চারা জানে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের এই পুরানো শরীর ছেড়ে ঘরে (পরমধাম) ফিরতে হবে। যে কোনও সময়ে শরীর ত্যাগ করতে হবে, তাই এখন বাবা যা পড়াচ্ছেন সেসব ভালো ভাবে পড়তে হবে। সুপ্রিম টিচারও হলেন তিনি। সদ্গতি দাতা গুরুও হলেন তিনি, তাঁর সঙ্গেই যোগ যুক্ত হতে হবে। এই একজন-ই তিনটি সার্ভিস করেন। এমন ভাবে অন্য কেউ তিনটি সার্ভিস করতে পারে না। একমাত্র শিববাবা সাইলেন্সও শেখান। জীবিত অবস্থায় মৃত তাকেই সাইলেন্স বলা হয়। তোমরা জানো আমাদের এখন শান্তিধাম ঘরে ফিরতে হবে। যতক্ষণ আত্মারা পবিত্র নয়, ততক্ষণ ঘরে ফিরতে পারে না। ফিরতে তো সবাইকে হবে তাই শেষ কালে পাপ কর্মের সাজা প্রাপ্ত হয়, তাতেই পদভ্রষ্ট হয়ে যায়। কষ্ট যন্ত্রণা সবই সহ্য করতে হয় কারণ মায়ার কাছে হেরেছে। বাবা তো আসেন মায়াকে পরাজিত করাতে। কিন্তু গাফিলতি করে বাবাকে স্মরণ করে না। এখানে তো এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। ভক্তিমার্গেও অনেকে চতুর্দিকে ঘুরে বেড়ায়, যেখানে মাথা নোয়ায় তার পরিচয় জানে না। বাবা এসে এমন ভ্রমণ বন্ধ করেন। বোঝান জ্ঞান হলো দিন, ভক্তি হলো রাত। রাতের অন্ধকারেই ধাক্কা খেতে হয়। জ্ঞানের দ্বারা দিন অর্থাৎ সত্যযুগ-ত্রেতা। ভক্তি অর্থাৎ রাত, দ্বাপর-কলিযুগ। এই হল সম্পূর্ণ ড্রামার সময় অবধি বা ডিউরেশন। অর্ধেক সময় দিন, অর্ধেক সময় রাত। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের দিন ও রাত। এ হল অসীম জাগতিক কথা। অসীম জগতের পিতা অসীমের সঙ্গমে আসেন, তাই বলা হয় শিবরাত্রি। মানুষ এই কথা জানে না যে শিবরাত্রি কাকে বলে? তোমাদের ছাড়া আর একজনও শিব রাত্রির গুরুত্ব জানে না কারণ এই সময়টি হলো মাঝখানে। যখন রাত পুরো হয়ে, দিন শুরু হয়, একেই বলা হয় পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। পুরানো দুনিয়া ও নতুন দুনিয়ার মধ্যিখানের সময়। বাবা আসেন পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে -যুগে। এমন নয় যুগে-যুগে। সত্যযুগ-ত্রেতার সঙ্গম কালকেও সঙ্গম যুগ বলে দেয়। বাবা বলেন এই কথাটি ভুল।

শিববাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো, তাহলে পাপ বিনষ্ট হবে, একেই যোগ অগ্নি বলা হয়। তোমরা সবাই হলে ব্রাহ্মণ। যোগ শেখাও পবিত্র হওয়ার জন্য। ওই ব্রাহ্মণরা কাম চিতায় বসায়। ওই ব্রাহ্মণ এবং তোমরা যে ব্রাহ্মণ, দুই ব্রাহ্মণদের মধ্যে রাত-দিনের তফাৎ আছে। ওরা হল কুখ বংশী (গর্ভে জন্ম হয়), তোমরা হলে মুখ বংশী। প্রত্যেকটি কথা ভালো ভাবে বুঝতে হবে। যদিও কেউ আসলে তাকে বোঝানো হয়, অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে এবং বেহদের বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে। তারপরে যত যত দৈবী গুণ ধারণ করবে ও করাবে ততই উঁচু পদের প্রাপ্ত হবে। বাবা আসেন পতিতদের পবিত্র করতে। অতএব তোমাদেরও এই সার্ভিস করতে হবে। পতিত তো সবাই । গুরু কাউকে পবিত্র করতে পারেন না। পতিত-পাবন নাম হল শিববাবার। তিনি আসেনও এখানে। যখন সবাই পুরোপুরি পতিত অবস্থায় পৌঁছে যায় ড্রামা প্ল্যান অনুযায়ী, তখন বাবা আসেন। সর্ব প্ৰথমে বাচ্চাদের অল্ফ বুঝিয়ে দেন। আমাকে স্মরণ করো। তোমরা বল তাইনা উনি হলেন পতিত-পাবন। আত্মিক বাবাকে বলা হয় পতিত-পাবন। বলা হয় - হে ভগবান্ বা হে বাবা। কিন্তু পরিচয় কেউ জানে না। এখন তোমাদের অর্থাৎ সঙ্গমবাসীদের পরিচয় প্রাপ্ত হয়েছে। তারা হলো নরক বাসী। তোমরা নরক বাসী নও। হ্যাঁ, কেউ যদি হেরে গিয়ে একেবারে নীচে পড়ে যায়। তার অর্জিত জমা ধন শেষ হয়ে যায়। মুখ্য কথা হলো পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার। এ হলো পাপময় দুনিয়া। ওটা হলো পাপমুক্ত দুনিয়া, নতুন দুনিয়া, যেখানে দেবতারা রাজত্ব করেন। এখন তোমরা বাচ্চারা জানতে পেরেছ। সর্ব প্ৰথমে দেবতারা-ই সবচেয়ে বেশি জন্ম নেন। তার মধ্যেও যারা প্ৰথমে সূর্যবংশী হয় তারা প্ৰথমে আসেন, ২১ জন্মের অবিনাশী উত্তরাধীকার প্রাপ্ত করেন। এই অসীমিত উত্তরাধিকার হলো - পবিত্রতা-সুখ-শান্তির । সত্যযুগকে পূর্ণ সুখধাম বলা হয়। ত্রেতা হলো সেমি স্বর্গ, কারণ দুই কলা কমে যায়। কলা বা কোয়ালিটি কম হলে উজ্জ্বলতা কম হতে থাকে। চাঁদের কলা কম হলে আলোও কম হয়। শেষে একটি রেখা বাকি থেকে যায়। একদম নিল (Nil) হয়ে যায় না। তোমাদেরও এইরকম হয় - নিল (Nil) হয় না। আটায় লবণ (খুবই অল্প পরিমাণ) ।

বাবা আত্মাদের বসে বোঝান। এ হলো আত্মা এবং পরমাত্মার মেলা। বুদ্ধি দিয়ে এই কথাটি বুঝে নিতে হয়। পরমাত্মা কখন আসেন? যখন অনেক আত্মারা অথবা সংখ্যায় অনেক মানুষ হয় তখন পরমাত্মা মেলায় আসেন। আত্মা ও পরমাত্মার মিলন মেলা কেন আয়োজিত হয়? ওই মেলা তো ময়লা হওয়ার জন্যে। এই সময় তোমরা বাগানের মালিকের দ্বারা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছো। কিভাবে হও? স্মরণের শক্তি দ্বারা। বাবাকে বলা হয় সর্বশক্তিমান। যেমন বাবা হলেন সর্বশক্তিমান তেমনই রাবণও কোনও কম শক্তিমান নয়। বাবা নিজেই বলেন মায়া খুব শক্তিশালী, খুব প্রবল। বাচ্চারা বলে বাবা আমরা আপনাকে স্মরণ করি, মায়া আমাদের বিস্মৃত করে দেয়। একে অপরের শত্রু হলো তাইনা। বাবা এসে মায়াকে জয় করতে শেখান, মায়া আবার হারিয়ে দেয়। দেবতা ও অসুরের যুদ্ধ দেখানো হয়। কিন্তু এমন কিছু হয়নি। যুদ্ধ তো হলো এটাই। তোমরা বাবাকে স্মরণ করলে দেবতা হও। মায়া স্মরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, পড়াশোনাতে নয়। স্মরণেই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ক্ষণে ক্ষণে মায়া বিস্মৃত করে। দেহ-অভিমানী হলে মায়া চড় লাগিয়ে দেয়। কাম বিকার গ্রস্ত দের জন্যে কঠিন শব্দ ব্যবহার করা হয়। এ হলো রাবণের রাজ্য। এখানেও বোঝানো হয় পবিত্র হও তবুও পবিত্র হয় না। বিকার গ্রস্ত হয়ো না, মুখ কালো কোরো না। তা সত্ত্বেও বাচ্চারা লেখে বাবা মায়া হারিয়ে দিয়েছে অর্থাৎ মুখ কালো হয়েছে। গৌর আর শ্যাম বর্ণ আছে তাই না। বিকারী হলো শ্যাম বর্ণ আর নির্বিকারী গৌর বর্ণের হয়। শ্যাম-সুন্দর কথাটির অর্থ তোমরা ছাড়া দুনিয়ায় কেউ জানে না। কৃষ্ণকেও শ্যাম-সুন্দর বলা হয়। বাবা তাঁরই নামের অর্থ বুঝিয়ে দেন। কৃষ্ণ স্বর্গের ফার্সি নম্বর প্রিন্স ছিলেন। সৌন্দর্যে নম্বর ওয়ানে ইনিই পাশ করেছিলেন। তারপরে পুনর্জন্ম নিয়ে নীচে নেমে শ্যাম বর্ণে পরিণত হন। তখন নাম রাখা হয় শ্যাম-সুন্দর। এই অর্থটিও বাবা-ই বোঝান। শিববাবা তো হলেন এভার সুন্দর । তিনি এসে বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের সুন্দর করেন। পতিত কালো, পবিত্র-রা সুন্দর হয়। ন্যাচারাল বিউটি থাকে। তোমরা বাচ্চারা এসেছো যাতে আমরা স্বর্গের মালিক হই। গায়নও আছে শিব ভগবানুবাচ, মাতা'রা স্বর্গের দুয়ার খোলেন তাই বন্দে মাতরম্ গাওয়া হয়। বন্দে মাতরম্ বলা হলে পিতাও আছেন সেকথা বোঝা যায়। বাবা মাতাদের মহিমা মন্ডিত করেন। প্ৰথমে লক্ষ্মী, পরে নারায়ণ। এখানে যদিও প্ৰথমে মিস্টার, পরে মিসেস। ড্রামার রহস্য এমনই নির্ধারিত রয়েছে । বাবা হলেন রচয়িতা প্ৰথমে নিজের পরিচয় দেন । এক হলো জাগতিক, দেহের লৌকিক পিতা, দ্বিতীয় হলেন অসীম জগতের (আত্মার) পারলৌকিক পিতা। অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করা হয়, কারণ তাঁর কাছ থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। দেহের দুনিয়ার প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করা হয়। বাবা আপনি এলে আমরা অন্য সব সঙ্গ ত্যাগ করে একমাত্র আপনার সঙ্গেই যুক্ত থাকবো। এই কথাটি কে বলছে? আত্মা । আত্মা-ই এই অর্গান দ্বারা পার্ট প্লে করে। প্রতিটি আত্মা যেমন যেমন কর্ম করে তেমনই জন্ম গ্রহণ করে। ধনী গরিব হয়। এ হলো কর্ম, তাইনা। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন বিশ্বের মালিক। তাঁরা কি করেছেন, এই কথা তো তোমরা জানো এবং তোমরাই বোঝাতে পারো।

বাবা বলেন এই চোখ দিয়ে তোমরা যা কিছু দেখছো, সেসবের প্রতি বৈরাগ্য । এইসব তো শেষ হয়ে যাবে। নতুন বাড়ি তৈরি হলে পুরানো বাড়ির প্রতি বৈরাগ্য অনুভব হয়। বাচ্চারা বলবে বাবা নতুন বাড়ি করেছেন, আমরা সেখানে যাব। এই পুরানো বাড়ি তো ভেঙে যাবে। এই হল অসীম জগতের কথা। বাচ্চারা জানে বাবা এসেছেন স্বর্গের স্থাপনা করতে। এই হলো পুরানো ছিঃ ছিঃ দুনিয়া।

তোমরা বাচ্চারা এখন ত্রিমূর্তি শিবের সামনে বসে আছো। তোমরা বিজয়ী হও। বাস্তবে তোমাদের এই ত্রিমূর্তি হলো কোট অফ আর্মস (প্রতীক চিহ্ন) । তোমাদের ব্রাহ্মণদের এই কুল হলো সর্বোচ্চ। শিখরে। এই রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে। এই কোট অফ আর্মস সম্বন্ধে তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো। শিববাবা আমাদের ব্রহ্মার দ্বারা পড়ান, দেবী-দেবতায় পরিণত করার জন্য। বিনাশ তো হবেই। দুনিয়া তমোপ্রধান হয় তখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সাহায্য করে। বুদ্ধির দ্বারা বিজ্ঞানের কত আবিষ্কার বের হতে থাকে। পেট থেকে মিসাইল বের হয়নি। এ হলো বিজ্ঞানের আবিষ্কার, যার দ্বারা সম্পূর্ণ কুল ধ্বংস করে দেয়। বাচ্চাদের বোঝানো হয় উঁচু থেকে উঁচু হলেন শিববাবা। পূজা অর্চনা করা উচিত একমাত্র শিববাবার এবং দেবতাদের। ব্রাহ্মণদের পূজা হতে পারে না, কারণ তোমাদের আত্মা যতই পবিত্র হোক না কেন কিন্তু শরীর তো পবিত্র নয়, তাই পূজন যোগ্য হতে পারো না। তোমরা হলে মহিমা যোগ্য। যখন তোমরা আবার দেবতায় পরিণত হও তখন আত্মাও পবিত্র, শরীরও নতুন পবিত্র প্রাপ্ত কর। এই সময় তোমরা মহিমা যোগ্য হও। বন্দে মাতরম্ গাওয়া হয় । মাতাদের সেনা বাহিনী কি করেছিল? মাতারা শ্রীমৎ অনুযায়ী জ্ঞান প্রদান করেন। তারা সবাইকে জ্ঞান অমৃত পান করান। এইসব যথার্থ ভাবে তোমরাই বুঝতে পারো। শাস্ত্রে অনেক কাহিনী লেখা আছে, সেসব বসিয়ে শোনায়। তোমরা সত্য-সত্য করতে থাকো। তোমরা এইসব বসে শোনাও তাহলে তারা সত্য সত্য বলবে। মানুষ তো এমন পাথরবুদ্ধি হয়েছে যে সত্য সত্য বলতে থাকে। গায়নও আছে পাথরবুদ্ধি ও পারশ বুদ্ধি। পারশবুদ্ধি অর্থাৎ পারস নাথ। নেপালে বলা হয় পরশনাথের চিত্র আছে। পরশপুরীর নাথ হলেন এই লক্ষ্মী-নারায়ণ। তাঁদের ডিনায়েস্টি আছে। এখন মুখ্য কথা হলো রচয়িতা ও রচনার রহস্য জানা, যার বিষয়ে ঋষি-মুনিরা নেতি-নেতি (এটাও নয়, ওটাও নয়) বলে গেছে, সেটাই প্রখ্যাত হয়ে আছে। এখন তোমরা বাবার দ্বারা সবকিছু জানছো অর্থাৎ ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েছো। মায়া রাবণ নাস্তিক অর্থাৎ ঈশ্বরে অবিশ্বাসী করে দেয়। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সর্বদা স্মৃতিতে যেন থাকে যে, আমরা হলাম ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণ, আমাদের কুল হলো সর্বোচ্চ। আমাদের পবিত্র হতে হবে এবং পবিত্র করতে হবে। পতিত-পাবন বাবার সহযোগী হতে হবে।

২ ) স্মরণে কখনও গাফিলতি করবে না। দেহ-অভিমানের জন্যই মায়া স্মরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তাই সর্ব প্ৰথমে দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে। যোগ অগ্নি দ্বারা পাপ বিনষ্ট করতে হবে।

বরদান:-
সাধন গুলির প্রবৃত্তিতে থেকে কমল ফুলের সমান পৃথক আর প্রিয় থাকা অসীম জগতের বৈরাগী ভব

সাধন প্রাপ্ত হয়েছে তো সেগুলিকে খুব ভালোভাবে অবশ্যই ইউজ করো, এই সাধন হলোই তোমাদের জন্য, কিন্তু সাধনাকে মার্জ করো'না। সম্পূর্ণ ব্যালেন্স রাখো। সাধনকে ব্যবহার করা কোনও খারাপ জিনিস নয়, সাধন তো হলো তোমাদের কর্মের, যোগের ফল। কিন্তু সাধন গুলির প্রবৃত্তিতে থেকে কমল ফুলের সমান পৃথক আর বাবার প্রিয় হও। ইউজ করার সময় সেগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়ো না। সাধনের জন্য বৈরাগ্য বৃত্তি যেন মার্জ না হয়ে যায়। প্রথমে নিজের মধ্যে একে ইমার্জ করো তারপর সমগ্র বিশ্বে বায়ুমন্ডল ছড়িয়ে দাও।

স্লোগান:-
উদ্বিগ্ন (পরেশান) হওয়ার পরিবর্তে নিজেকে আত্মিক মর্যাদায় (শান এ) স্থিত করে দেওয়াই হলো সবথেকে ভালো সেবা।