09.04.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এখন তোমাদের সবদিক থেকে সকল তার ছিন্ন হওয়া উচিত, কেননা ঘরে ফিরে যেতে হবে, এমন কোনো
বিকর্ম যেন না হয়, যাতে ব্রাহ্মণ কুলের নাম বদনাম হয়ে যায়"
প্রশ্নঃ -
বাবা কোন্
বাচ্চাদের দেখে খুশী হন? কোন্ বাচ্চারা বাবার নয়নে সমাহিত হয়ে আছে?
উত্তরঃ
যে বাচ্চারা
অনেককে সুখদায়ী বানিয়ে তোলে, যারা সেবাপরায়ণ, তাদের দেখে বাবাও খুশী হন l যে
বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকে যে, এক বাবার কথাই শুনবো, বাবার সাথেই কথা বলবো... এমন
বাচ্চারা বাবার নয়নে সমাহিত হয়ে থাকে l বাবা বলেন - যে বাচ্চারা আমার সার্ভিস করে়,
তারা আমার অতি প্রিয় l এমন বাচ্চাদের আমি স্মরণ করি l
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা জানে যে, আমরা বাবার সামনে বসে আছি, সেই বাবা আমাদের
টিচারের রূপেও পড়ান l সেই বাবা পতিত - পাবন আবার সদগতি দাতাও l তিনি আমাদের সাথে
করেও নিয়ে যান আবার সহজ রাস্তাও বলে দেন l তিনি আমাদের পতিত থেকে পবিত্র করার জন্য
কোনো পরিশ্রম করান না l যেখানেই যাও না কেন, ঘুরতে - ফিরতে, বিদেশে গিয়েও কেবলমাত্র
নিজেকে আত্মা মনে করো l যেভাবেই হোক বোঝো। কিন্তু তবুও বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা
নিশ্চয় করো, দেহ - ভাব ত্যাগ করে আত্ম - অভিমানী হও l আমরা আত্মা, এই শরীর ধারণ করি
পার্ট প্লে করার জন্য l এক শরীরের দ্বারা পার্ট প্লে করে আবার অন্য শরীর ধারণ করি l
কারোর পার্ট ১০০ বছরের, কারোর ৮০ বছরের, কারোর আবার ২ বছরের, আবার কারোর ৬ মাসের l
কেউ কেউ আবার জন্মেই মারা যায় l কেউ আবার জন্ম নেওয়ার পূর্বেই গর্ভেই মারা যায় l
এখন এখানকার পুনর্জন্ম আর সত্যযুগের পুনর্জন্মের মধ্যে রাতদিনের তফাত l এখানে গর্ভে
জন্ম নেয় তো একে গর্ভজেল বলা হয় l সত্যযুগে গর্ভজেল হয় না l ওখানে বিকর্ম হয় না
কারণ ওখানে রাবণ রাজ্য নেই l বাবা সব কথা বুঝিয়ে বলেন l অসীম জগতের বাবা বসে এই
শরীরের দ্বারা বুঝিয়ে বলেন l এই শরীরের আত্মাও শোনে l জ্ঞানের সাগর বাবাই শোনান,
যাঁর নিজের কোনো শরীর নেই l তাঁকে সর্বদা শিবই বলা হয় l তিনি যেমন পুনর্জন্ম রহিত,
তেমনই নাম - রূপ রহিত l তাঁকে বলা হয় সদাশিব l সর্বদার জন্য তিনি শিবই, তাঁর
শরীরের কোনো নাম হয় না l এনার মধ্যেও যখন প্রবেশ করেন, তখনও এনার শরীরের নামও তাঁকে
দেওয়া হয় না l এ হলো তোমাদের অসীম জগতের সন্ন্যাস, ওরা হয় জাগতিক সন্ন্যাসী l
তাঁদের নামও মানুষের মুখে মুখে থাকে l বাবা তোমাদেরও কতো ভালো ভালো নাম রেখেছেন l
ড্রামা অনুসারে যাকে নাম দেওয়া হয়েছে তারাও উধাও হয়ে গেছে l বাবা মনে করেন, যদি
আমার হয়, তাহলে অবশ্যই থাকবে, বাবাকে কখনোই তালাক দেবে না, কিন্তু তবুও যদি দিয়ে
দেয় তাহলে নাম রেখে আর কি লাভ হবে l সন্ন্যাসীরাও যদি ঘরে ফিরে আসে তখন পুরানো
নামই চলতে থাকে l ঘরেও তো আসে, তাই না l এমনও নয় যে, সন্ন্যাসী হলে তাঁদের মিত্র -
সম্বন্ধী ইত্যাদি স্মরণে আসে না l কারোর তো তাঁদের মিত্র-সম্বন্ধীদের কথা খুবই
স্মরণে আসে l তারা মোহতে ফেঁসে মরে l সুতোর বাঁধনে আটকে থাকে l কারোর আবার চট্ করেই
কানেকশন ছিন্ন হয় l এই তার ছিন্ন তো করতে হবেই l বাবা বুঝিয়েছেন যে, এখন তো ঘরে
ফিরে যেতে হবে l বাবা নিজে বসেই বলেন, ভোরবেলাও তো বাবা বলছিলেন, তাই না l দেখে দেখে
মনে সুখের অনুভব হয়.... কেন? বাচ্চারা বাবার নয়নে সমাহিত হয়ে আছে l আত্মারা তো
নয়নেরই আলো l বাবাও তো বাচ্চাদের দেখে খুশী হন, তাই না l কেউ কেউ তো খুব ভালো
বাচ্চা হয় যারা সেন্টারের দেখাশোনা করে, কেউ আবার ব্রাহ্মণ হয়েও বিকারে চলে যায়,
তারা অবাধ্য সন্তান হয় l তাই এই বাবাও সেবাপরায়ণ বাচ্চাদের দেখে খুশী হন l অসীম
জগতের বাবা বলেন, ওদের তো কুল কলঙ্কিত বলা হবে l ওরা ব্রাহ্মণ কুলের নাম বদনাম করে
l বাবা বাচ্চাদের বোঝাতে থাকেন - কারোর নাম - রূপে আটকে যেও না, তাহলে তাদেরও সেমি
কুল কলঙ্কিত বলা হবে l সেমির থেকে আবার ফাইনালও হয়ে যায় l তারা নিজেরাই লেখে যে -
বাবা আমরা নেমে গেছি, আমরা মুখ কালো করে দিয়েছি l মায়া আমাদের ধোঁকা দিয়ে দিয়েছে l
মায়ার ঝড় অনেক আসে l বাবা বলেন, কাম কাটারি চালালে এও একে অপরকে দুঃখ দেওয়া হয়,
তাই প্রতিজ্ঞা করান, তারা রক্ত দিয়েও বড় বড় পত্র লেখে l আজ তারা আর নেই l বাবা
বলেন, অহো মায়া ! তুমি জবরদস্ত l এমন বাচ্চারা, যারা রক্ত দিয়েও লিখে দিত, তুমি
তাদেরও খেয়ে ফেলে থাকো l বাবা যেমন সমর্থ (শক্তিশালী), মায়াও তেমনই সমর্থ) l তোমরা
অর্ধেক কল্প বাবার শক্তির অবিনাশী উত্তরাধিকার পাও, অর্ধেক কল্প মায়া সেই শক্তিকে
খুইয়ে দেয় l এ হলো ভারতের কথা l দেবী - দেবতা ধর্মের মানুষরাই বিত্তবান থেকে
দেউলিয়া হয়ে যায় l এখন তোমরা লক্ষ্মী - নারায়ণের মন্দিরে যাবে l তোমরা তো আশ্চর্য
হয়ে যাবে l আমরা তো এই কুলের (ঘরানার) ছিলাম, এখন আমরা আবার পড়ছি l এনার আত্মাও
বাবার কাছ থেকে পড়ছে l পূর্বে তো তোমরা যেখানে - সেখানে মাথা ঠুকতে l এখন তোমাদের
জ্ঞান হয়েছে, তোমরা প্রত্যেকেরই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের কাহিনী জানো l প্রত্যেকেই তার
নিজের নিজের ভূমিকা পালন করে l
বাবা বলেন - বাচ্চারা,
সর্বদা খুশীতে থাকো l এখানকার এই খুশীর সংস্কার তোমরা সাথে করে নিয়ে যাবে l তোমরা
জানো যে, আমরা কি হই ? বেহদের বাবা আমাদের এই অবিনাশী উত্তরাধিকার দিচ্ছেন আর কেউই
তা দিতে পারে না l একজন মানুষও নেই যে জানে যে, এই লক্ষ্মী - নারায়ণ কোথায় গেলেন ?
তারা মনে করে, ওনারা যেখান থেকে এসেছিলেন, সেখানেই চলে গেছেন l বাবা এখন বলছেন,
তোমরা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করো, ভক্তিমার্গেও তোমরা বেদ শাস্ত্র পড়তে, এখন আমি
তোমাদের জ্ঞান শোনাচ্ছি l তোমরা বিচার করো - ভক্তি সঠিক নাকি আমরা সঠিক? বাবা, অর্থাৎ
রাম হলেন সঠিক, রাবণ হলো বেঠিক l প্রতি কথায়ই অসত্য বলে l এ কেবল জ্ঞানের কথার
জন্যই বলা হয় l তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, প্রথমে আমরা সবই অসত্য বলতাম l দান -
পুণ্য ইত্যাদি করেও সিঁড়িতে নেমে এসেছি l তোমরা আত্মাদেরই দাও l যে পাপাত্মা, সেই
পাপাত্মাকে দিলে পুণ্য আত্মা কিভাবে হবে ? ওখানে আত্মাদের এই দেওয়া - নেওয়া হয় না
l এখানে তো লাখ টাকারও ধার নিতে থাকে l এই রাবণ রাজ্যে প্রতি পদে মানুষের দুঃখ l
এখন তোমরা সঙ্গম যুগে আছো l তোমাদের তো এখন প্রতি পদে পদ্ম l দেবতারা পদ্মপতি কিভাবে
হয়েছে? এ কথা কেউই জানে না l স্বর্গ তো অবশ্যই ছিল l তার নিদর্শনও আছে l বাকি ওরা
তো জানেই না যে, তারা পূর্বজন্মে কি এমন কর্ম করেছে যে রাজ্যভাগ্যের অধিকারী হয়েছে
l সেটা তো হল নতুন সৃষ্টি l ওখানে অপ্রয়োজনীয় চিন্তা হয় না l ওই দুনিয়াকে সুখধাম
বলা হয় l এ হলো পাঁচ হাজার বছরের কথা l তোমরা এই পড়া পড়ো সুখের জন্য, পবিত্র হওয়ার
জন্য l বাবা অনেক যুক্তি বলেন l তিনি কত ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন, শান্তিধাম হলো
আত্মাদের থাকার জায়গা, তাকে সুইট হোম বা মিষ্টি ঘর বলা হয় l বিদেশ থেকে ফিরলে যেমন
মনে করবে, এখন আমরা আমাদের সুইট হোমে ফিরে যাচ্ছি l তোমাদের সুইট হোম হলো শান্তিধাম
l বাবাও তো শান্তির সাগর, যাঁর পার্ট পরের দিকে হবে l তিনি কতো সময় শান্তিতে থাকেন
l বাবার খুবই অল্প সময়ের পার্ট l এই ড্রামাতে তোমাদের হলো হিরো - হিরোইনের পার্ট l
তোমরা এই বিশ্বের মালিক হও l এই নেশা কখনো আর কারোরই হওয়া সম্ভব নয় l আর কারোর
ভাগ্যে এই স্বর্গের সুখই নেই l এ তো তোমরা, বাচ্চারাই পাও l যেই বাচ্চাদের বাবা
দেখেন, তারা বলে, বাবা, তোমার কথাই বলবো, তোমার সাথেই কথা বলবো l বাবাও বলেন,
বাচ্চারা, আমি তোমাদের দেখেও খুবই খুশী হই l আমি পাঁচ হাজার বছর পরে এসেছি, আমি
বাচ্চাদের দুঃখধাম থেকে সুখধামে নিয়ে যাই কেননা কাম চিতায় বসে সকলেই জ্বলে ভস্ম হয়ে
গেছে l এখন তাদের কবর থেকে বের করতে হবে l আত্মারা তো সবাই এখানে হাজির l তাদের
পবিত্র হতে হবে l
বাবা বলেন - বাচ্চারা,
বুদ্ধির দ্বারা এক সদ্গুরুকে স্মরণ করো আর সবাইকেই ভুলে যাও l এক এর সাথেই সম্পর্ক
রাখতে হবে l তোমরা বলেছিলে, তুমি এলে, তুমি ছাড়া আর কেউই নয় l একমাত্র তোমার মতেই
চলবো l আমরা শ্রেষ্ঠ হবো l এমন মহিমাও আছে যে, উঁচুর থেকে উঁচু হলেন ভগবান l তাঁর
মতও উঁচুর থেকেও উঁচু l বাবা নিজেই বলেন, এই জ্ঞান যা আমি তোমাদের দিই, তা প্রায়
লোপ হয়ে যাবে l ভক্তিমার্গের শাস্ত্র তো পরম্পরা ধরে চলে আসছে l এমনও বলা হয় যে,
রাবণও চলে আসে l তোমরা জিজ্ঞেস করো, রাবণকে তোমরা কবে থেকে জ্বালাও, কেন জ্বালাও?
কেউ কিছুই জানে না l অর্থ না জানার কারণে কতো আনন্দ করে পালন করে l অনেক অতিথিকে
তারা ডাকে l যেন তারা রাবণ জ্বালানোর উৎসব পালন করে l তোমরা বুঝতেই পারো না, কবে
থেকে রাবণকে বানিয়ে আসছে l দিনে দিনে আরো বড় বানাচ্ছে, তারা বলে, এ পরম্পরা ধরে চলে
আসছে কিন্তু এমন তো হতেই পারে না l অবশেষে রাবণকে কতদিন পর্যন্ত জ্বালাতে থাকবে?
তোমরা তো জানো যে, বাকি অল্প সময় আছে, এরপর তো এর রাজ্য আর থাকবে না l বাবা বলেন
যে, এই রাবণ হলো সবথেকে বড় শত্রু, এর উপর বিজয় লাভ করতে হবে l মানুষের বুদ্ধিতে
অনেক কথা আসে l তোমরা জানো যে, এই ড্রামাতে সেকেণ্ড বাই সেকেণ্ড যা চলে এসেছে, তা
সবই নির্ধারিত আছে l তোমরা তিথি - তারিখ সম্পূর্ণ হিসেব বের করতে পারো - কত ঘণ্টা,
কত বছর, কত মাস আমাদের এই পার্ট চলে l এই সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধিতে থাকা উচিত l বাবা
আমাদের এইকথা বুঝিয়ে বলেন l বাবা বলেন, আমিই হলাম পতিত - পাবন l তোমরা আমাকে ডাকো
যে, তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও l পবিত্র দুনিয়া হলো শান্তিধাম আর সুখধাম l এখন
তো এখানে সবাই পতিত l তোমরা সবসময় বাবা - বাবা বলতে থাকো l একথা ভুলে যেও না তাহলে
সর্বদা শিববাবা স্মরণে আসবে l ইনি আমাদের বাবা l প্রথমে ইনি হলেন অসীম জগতের বাবা l
বাবা বললে অবিনাশী উত্তরাধিকার খুশীর অনুভব হয় l কেবল ভগবান বা ঈশ্বর বললে এমন
ভাবনা আসবে না l তোমরা সবাইকে বলো - অসীম জগতের বাবা আমাদের ব্রহ্মার দ্বারা বোঝান
l ইনি হলেন ওনার রথ l তিনি ওনার দ্বারা বলেন - বাচ্চারা আমি তোমাদের এমন বানাই l এই
ব্যাজে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরা আছে l পরের দিকে তোমাদের এটাই স্মরণে থাকবে - শান্তিধাম
আর সুখধাম l দুঃখধামকে তো তোমরা ভুলতে থাকো l তোমরা এটাও জানো যে, সবাই নম্বরের
ক্রম অনুসারে সবাই নিজের নিজের টাইমে আসবে l ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ইত্যাদি কতো
কতো আত্মা রয়েছে l অনেক অনেক ভাষা l প্রথমে ছিলো এক ধর্ম এরপর কতো বের হয়ে গেছে l
কতো লড়াই ইত্যাদি লেগেই আছে l সকলেই লড়াই করছে কারণ সকলেই এখন অনাথ হয়ে গেছে l বাবা
এখন বলছেন, আমি তোমাদের যে রাজ্যের অধিকার দিই তা কখনোই কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না l
বাবা স্বর্গের অবিনাশী উত্তরাধীকার দেন যা কেউই ছিনিয়ে নিতে পারে না l এতে তোমাদের
অখণ্ড, অটল, অটুট থাকতে হবে l মায়ার ঝড় তো অবশ্যই আসবে l যারা প্রথমদিকে থাকবে তারা
তো সবই অনুভব করবে l এই রোগ ব্যাধি সব চিরকালের জন্য শেষ হবে, তাই কর্মের হিসাবপত্র,
রোগ ব্যিধি ইত্যাদি বেশী এলে ভয় পেয়ো না l এ সবই পরের দিকের, এরপর তা আর হবে না l
এখন সবই উথলে উথলে আসবে l বৃদ্ধকেও মায়া যুবা করে দেবে l মানুষ যখন বাণপ্রস্থে যায়,
তখন সঙ্গে কোনও ফিমেল্স যায় না l সন্ন্যাসীরাও জঙ্গলে চলে যায় l সেখানেও কোনো
ফিমেল থাকে না l তারা কারোর দিকেই তাকায় না l ভিক্ষা নেয় আর চলে যায় l আগে তো
স্ত্রীর দিকেও তাকাতো না l তারা মনে করতো তাহলে বুদ্ধি সেই দিকে আকৃষ্ট হবে l ভাই -
বোনের সম্পর্কেও বুদ্ধি আকৃষ্ট করে, তাই বাবা বলেন ভাই - ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখো l
শরীরের নামের আকর্ষণও যেন না থাকে l এ হলো অনেক উঁচু লক্ষ্য l একদম উপরে শিখরে যেতে
হবে l এই রাজধানী এখন স্থাপন হচ্ছে l এতে অনেক পরিশ্রম l তোমরা বলো, আমরা তো লক্ষ্মী
- নারায়ণ হবো l বাবা বলেন, আচ্ছা, ঠিক আছে হও l আমার শ্রীমতে চলো l মায়ার ঝড় তো
আসবেই, কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কোনো খারাপ কাজ ক'রো না l দেউলিয়া তো এইভাবেই হয় l এমনও
নয় যে, জ্ঞানে এলো তো তারপর দেউলিয়া হয়ে গেলো l এ তো চলেই আসছে l বাবা বলেন, আমি
আসিই তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র করতে l কখনো কেউ খুব ভালো সেবা করে, অন্যদেরও বোঝায়
তারপর দেউলিয়া হয়ে নিজেই চলে যায়... মায়া খুবই জবরদস্ত l ভালো ভালো বাচ্চাদের পতন
হয় l বাবা বসে বোঝান, আমার সার্ভিস যারা করে এমন বাচ্চারাই আমার প্রিয় l তারা
অনেককেই সুখদায়ী করে, আমি এমন বাচ্চাদেরই স্মরণ করি l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত l
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার l
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কারোর নাম রূপে মোহিত হয়ে কুল কলঙ্কিত করবে না l মায়ার প্রভাবে এসে একে অপরকে দুঃখ
দেবে না l বাবার থেকে সমর্থী (শক্তিশালী হওয়ার) উত্তরাধিকার নিতে হবে l
২ ) সদা খুশীতে থাকার
সংস্কার এখান থেকেই ভরপুর করতে হবে l এখন পাপ আত্মাদের সঙ্গে কোনো প্রকারের দেওয়া -
নেওয়ার সম্পর্ক স্থাপন করবে না l রোগ ব্যাধি ইত্যাদিতে ভয় পেয়ো না, সব হিসাবপত্র
এখনই শোধ করতে হবে l
বরদান:-
উইল
পাওয়ারের দ্বারা সেকেণ্ডে ব্যর্থকে ফুলস্টপ লাগানো অশরীরী ভব
সেকেন্ডে অশরীরী
হওয়ার ফাউন্ডেশন হলো - এই অসীম জগতের বৈরাগ্য বৃত্তি। এই বৈরাগ্য এমনই যোগ্য ধরণী
যে, এখানে যাকিছু রোপন করো (যেমনই কর্ম করো) তার ফল অতিশীঘ্র বেরিয়ে আসে। তো এখন
এইরকম উইল পাওয়ার হবে যে, সংকল্প করলে - ব্যর্থ সমাপ্ত হোক তো সেকেন্ডে সমাপ্ত হয়ে
যাবে। যখন চাও, যেখানে চাও, যে স্থিতিতে চাও সেকেন্ডে সেট করে নাও, সেবা তার দিকে
যেন টানে না। সেকেন্ডে ফুলস্টপ লেগে যাবে, তবেই সহজেই অশরীরী হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
বাবার
সমান হতে হলে যা বিগড়ে গেছে তাকে সঠিক বানাও।