09.06.2022
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা হলে ব্রাহ্মণ কুলভুষণ, বিষ্ণুকুলের হতে চলেছো, সেইজন্য তোমাদেরকে পাক্কা
বৈষ্ণব হতে হবে, কোনও বেনিয়মের জিনিস যেরকম পিঁয়াজ ইত্যাদিও খাওয়া যাবে না”
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা তোমরা
কোন্ পরীক্ষাকে ভয় পাবে না বা বিমর্ষ হবে না ?
উত্তরঃ
যদি চলতে চলতে
এই পুরানো জুতো অর্থাৎ শরীরে কোনো কষ্ট অনুভব হয়, অসুখ ইত্যাদি হয় তখন এই কারণে
ভয় পেয়ো না বা বিমর্ষ হয়ো না, পরিবর্তে আরোই খুশি হতে হবে, কেননা তোমরা জানো যে -
এটাই হল কর্ম ভোগ। পুরানো হিসেব-নিকাশ পরিশোধ হচ্ছে। আমরা যোগবলের দ্বারা
হিসেব-নিকেশ পরিশোধ করতে পারিনি তাই কর্মভোগের দ্বারা সমাপ্ত হচ্ছে। এটা তাড়াতাড়ি
সমাপ্ত হয়ে গেলে তো ভালই হয়।
গীত
:-
আমাদের তীর্থ
হল অনুপম...
ওম্ শান্তি ।
নিরাকার
ভগবানুবাচ। তাঁর তো একটাই নাম - শিব ভগবানুবাচ, এটা বলতে হয় বোঝানোর জন্য, পাক্কা
নিশ্চয় করানোর জন্য। বাবাকে বলতে হয় যে, আমি যেরকমই হই, আমার নাম কখনো পরিবর্তন
হয় না। সত্যযুগে যে দেবী-দেবতারা থাকে তারা তো পুনর্জন্মে আসে। বাবা এই শরীরের
দ্বারা বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। তোমরা এখন আধ্যাত্মিক যাত্রাতে আছো, বাবাও হলেন
গুপ্ত, দাদাও হলেন গুপ্ত। কেউই জানেনা যে ব্রহ্মার শরীরে পরমপিতা আসেন। বাচ্চারাও
হল গুপ্ত। সবাই বলে যে আমরা হলাম শিব বাবার সন্তান, তাই তাঁর থেকে উত্তরাধিকার নিতে
হবে। তাঁর শ্রীমতে চলতে হবে। এটা তো নিশ্চয় আছেই যে তিনি হলেন আমাদের সুপ্রিম বাবা,
টিচার এবং সদ্গুরু। কত মিষ্টি-মিষ্টি কথা। আমরা হলাম নিরাকার শিব বাবার স্টুডেন্ট,
তিনি আমাদেরকে রাজযোগ শেখাচ্ছেন। ভগবানুবাচ হে বাচ্চারা, আমি তোমাদেরকে রাজযোগ
শেখাই। মেয়র তো এইরকম বলতে পারেনা - ‘হে বাচ্চারা’। সন্ন্যাসীরাও এইরকম বলতে পারবে
না। বাচ্চা বলা তো বাবারই কর্তব্য। বাচ্চারাও জানে যে আমরা হলাম নিরাকার বাবার
বাচ্চা, তাঁর সম্মুখে বসে আছি। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা। প্রজাপিতা শব্দটি
না দেওয়ার কারণে মানুষ বিমর্ষ হয়ে পড়ে। মনে করে ব্রহ্মা তো হলেন সূক্ষ্ম বতনবাসী
দেবতা। তিনি পুনরায় এখানে কোথা থেকে আসবেন ? বলে যে ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, শংকর
দেবতায় নমঃ আবার গুরুও বলে গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু। এখন বিষ্ণু বা শংকর তো গুরু
হতে পারেন না। মনে করে যে শংকর পার্বতীকে অমরকথা শুনিয়েছিলেন তাই তিনি হয়ে গেলেন
গুরু। গুরু বিষ্ণুও নেই। সত্য যুগে লক্ষ্মী-নারায়ণ গুরু হন না। কৃষ্ণকেও বড় গুরু
গীতার ভগবান বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভগবান হলেন এক, এই কথাটিকে বাচ্চারা
তোমাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।
তোমরা হলে গুপ্ত সেনা।
রাবণের বিরুদ্ধে জয় প্রাপ্ত করছো অর্থাৎ মায়া জিৎ জগৎজিৎ হচ্ছো। ধনকে মায়া বলা
যায়না। ধনকে সম্পত্তি বলা যায়। তো বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন যে - হে বাচ্চারা
এখন মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এ হল সেই পাঁচ হাজার বছর পূর্বের কথা। কেবল
নিরাকার ভগবানুবাচের পরিবর্তে সাকার কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। বাবা বলেন এই জ্ঞান
যা তোমাদের এখন প্রাপ্ত হচ্ছে, তা হলো ভবিষ্যতের প্রালব্ধের জন্য। প্রালব্ধ পাওয়া
গেলে তখন আর নলেজের দরকার নেই। এই জ্ঞানই হলো পতিত থেকে পাবন বানানোর জন্য। পবিত্র
দুনিয়াতে পুনরায় কারোর গুরু করার দরকার নেই। বাস্তবে গুরু তো হলেন এক পরমপিতা
পরমাত্মা। আহ্বানও করে যে হে পতিত-পাবন এসো, তো বোঝাতে হবে তাই না। তিনিই হলেন
সুপ্রিম গুরু। সকলের সদ্গতি দাতা রাম গাওয়া হয়ে থাকে। তো তিনি অবশ্যই তখন আসবেন
যখন সবাই দুর্গতিতে থাকবে। সেখানে তো হলো ক্ষীর সাগর, সুখের সাগর। বিষয় বৈতরণী নদী
সেখানে হয়না। বিষ্ণু ক্ষীর সাগরে থাকবেন তো অবশ্যই তার বাচ্চারাও সাথে থাকবেন। এখন
তোমরা ব্রাহ্মণ কুলের হয়েছো পুনরায় বিষ্ণুকুলের হবে। তারাই হল কমপ্লিট বৈষ্ণব
তাইনা। দেবতাদের সামনে কখনো বেনিয়মের জিনিস যেমন পিঁয়াজ ইত্যাদি রাখে না। পুনরায়
এরকম দেবতা হতে হলে তো এই সব কিছু ত্যাগ করতে হবে। এটা হল সঙ্গম যুগ। বোঝানো হয়েছে
যে তোমরা ব্রাহ্মণেরাই সঙ্গমযুগে আছো, বাকি সবাই কলিযুগে আছে। যতক্ষণ ব্রাহ্মণ না
হবে ততক্ষণ বুঝতে পারবে না। বাবা বলেন যে আমি কল্পের সঙ্গমে আসি। তারা বোঝেই না -
এটা কোন্ সঙ্গম। দুনিয়া পরিবর্তিত হয়ে যাবে তাই না। গাইতেও থাকে কিন্তু কীভাবে
পরিবর্তন হবে, এটা কেউই জানেনা। এই রকমই কেবল মুখে বলে দেয়। তোমরা ভালোভাবে বুঝতে
পারো যে, শ্রীমতে চললেই শ্রেষ্ঠ হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। দেহ সহ দেহের সকল
সম্বন্ধে গুলিকে ভুলে যেতে হবে। বাবা অশরীরী আমাদের পাঠিয়েছিলেন পুনরায় সেই রকমই
আমাদেরকে যেতে হবে। এখানে এসেছো ভূমিকা পালন করতে। এটা হল গুপ্ত পরিশ্রম, বাবা আর
উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা প্রতিমুহূর্তে এটা ভুলে যাও। বাবাকে ভুলে
যাওয়ার কারণে মায়ার থাপ্পড় লেগে যায়। এটাও হল এক ধরনের খেলা, আল্লাহ্ অবলদীনের (আলাদীনের)
আশ্চর্য প্রদীপ... দেখায়, তাই না! আল্লাহ্ অবল অর্থাৎ প্রথম ধর্ম স্থাপন করেছেন।
হাতে তালি দিলেন আর স্বর্গ মিলে গেল । এই ধর্ম কে স্থাপন করছেন ? আল্লাহ্ প্রথম
নম্বর ধর্ম স্থাপন করেছেন। হাতমতাই এরও খেলা দেখায়। মুখের মধ্যে চুষিকাঠি না রাখলে
মায়া এসে যায়। তোমাদেরও এখন এই অবস্থা। বাবাকে ভুলে গিয়ে অন্যান্য সবাইকে স্মরণ করছো।
এখন বাচ্চারা তোমরা
জানো যে আমরা শান্তিধামে যাচ্ছি, পুনরায় সুখধামে আসবো। দুঃখধামকে ভুলে যাওয়ার
পুরুষার্থ করো। এইসব তো শেষ হয়ে যাবে। আমি লাখপতি বা এইরকম কিছু... এইসব বুদ্ধিতে
রাখবে না। আমরা তো হলাম-ই নগ্ন অর্থাৎ অশরীরী, এ তো হল পুরানো জিনিস। এই পুরানো জুতো
অনেক দুঃখ দিয়েছে। অসুখ যত বেশি হবে ততই খুশি হতে হবে। নাচতে হবে। এটা হল কর্মভোগ,
হিসেব-নিকেশ তো সমাপ্ত করতেই হবে, এর থেকে ভয় পেও না। বুঝতে হবে যে আমরা যোগ বলের
দ্বারা বিকর্ম বিনাশ করতে পারিনি তাই কর্ম ভোগের দ্বারা সমাপ্ত করতে হচ্ছে, এতে
বিমর্ষ হওয়ার কোনও কথাই নেই। এই শরীর তাে হলো পুরানো। এই হিসেব-নিকেশ শীঘ্রই
সমাপ্ত হয়ে গেলে তো ভালোই হয়। আবার তোমাদের সাত দিনের ভাট্টিও সুপরিচিত। ৭ দিন
ভালোভাবে বুঝে বুদ্ধিতে ধারণ করে পুনরায় তোমরা যেখানে খুশি যেতে পারো। মুরলী তো
প্রাপ্ত হতেই থাকবে, সেটাই হলো সব। বাবাকে স্মরণ করে চক্র ঘোরাতে থাকো। সাত দিনে
স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে। সাতদিনের পাঠও রাখে। সাতদিন সুপরিচিত। গ্রন্থও সাত
দিনের রাখে। ভাট্টিও সাতদিনের হয়। এইরকম নয় যে, যে-ই আসবে তাকে সাতদিনের জন্য বলতে
হবে। মানুষের নাড়িও দেখতে হবে। প্রথমেই ৭ দিনের কোর্স বলে দিলে কেউ তো ভয় পেয়ে
যায়। মনে করে যে আমি তো থাকতে পারবো না তো কি করবো, চলে যায় এইজন্য মানুষকে দেখতে
হয়। প্রত্যেকের নাড়ি দেখতে হবে। প্রথমে তো বিচার করতে হবে। কতদিনের জন্য আসতে পারবে।
শীঘ্রই সাতদিনের জন্য বলে দিলে ভয় পেয়ে যেতে পারে। সাতদিন কেউ দিতে পারেনা। কোনো
কোনো সার্জেনও (বৈদ্য) এমন আছে যারা নাড়ি দেখে শীঘ্রই বলে দেয় যে এই এই অসুখ তোমার
মধ্যে আছে। ইনিও তো হলেন তোমাদের অবিনাশী জ্ঞান সার্জেন। তোমরা বাচ্চারাও হলে
মাস্টার সার্জেন। এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। তোমরা বলে থাকো যে এক সেকেন্ডে মানুষের
জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত হয়, তো কেউ বলে যে যখন এক সেকেন্ডে জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত হতে
পারে, তো সাত দিন কেন বলো ? সেকেন্ডের কথা বলো। ভয় পেয়ে যায়। আমরা তো থাকতে
পারবো না, এইজন্য প্রথমে নাড়ি দেখতে হবে। সকলের জন্য একই কথা হতে পারে না। অনেক
বাচ্চা ডিস-সার্ভিস করে দেয়। ফর্ম পূরণ করার সময় নাড়ি দেখে জিজ্ঞাসা করতে হয়।
কতদিন আসতে পারবে, সেটাও জিজ্ঞাসা করতে হয়। আচ্ছা এটা তো বলো যে সকলের ভগবান এক
তাইনা। পরমপিতার সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ। প্রথমে তো এই কথাটিকে বোঝাতে হবে যে তিনি
হলেন বাবা আমরা হলাম তাঁর বাচ্চা। বাবা তো উত্তরাধিকার প্রদান করেন। স্বর্গের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া চাই। স্বর্গের রচয়িতা হলেন তিনি। এখন তো হলো নরক। ভারত
স্বর্গ ছিল। বিশ্বের মালিক ছিল। দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। তো মায়া রাজ্য ছিনিয়ে
নিয়েছে। এখন পুনরায় মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করে রাজ্য নিতে হবে। পুরানো পতিত
কলিযুগী দুনিয়ার বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাই অবশ্যই পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করতে
হবে। একটু আধটু ইশারা দেওয়া উচিত । তারপর তারা সেই কথাগুলিকে পরে বুঝতে পারবে। আজ
নয়তো কাল এসে যাবে। যাবে আর কোথায় ? হাট তো হল একটাই সদ্গতি প্রাপ্ত হওয়ার জন্য।
পরমপিতা পরমাত্মা শিব বাবার একটাই হাট। এক সেকেন্ডে জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত হয়। হাটও
দেখো কিরকম, যার তোমরা হলে সেলসম্যান। যে ভালো সেলসম্যান হবে সে পদও ভালো প্রাপ্ত
করবে। সেল করারও যোগ্যতা চাই। যদি যোগ্য না হয় তাহলে সে কি সেবা করবে। প্রথমে তো
নিশ্চয় বসাও। তারপর সাত দিনের কথা। আরে বাবা তো উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন। ভারত
সুখধাম ছিল, এখন ভারত দুঃখধাম হয়ে গেছে। পুনরায় সুখধাম কিভাবে হবে, কে বানাবেন ?
প্রথমে রাস্তা বলে দিতে হবে - আমরা আত্মারা হলাম শান্তিধামের অধিবাসী তারপর আমরা আসি
ভূমিকা পালন করতে।
এখন বাবা বলছেন,
বাচ্চারা বাড়ি ফিরে এসো। বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমাদের
ওড়ার পাখা যেগুলো ভেঙে গেছে সেগুলো আবার প্রাপ্ত হতে থাকবে। তোমরা চলে আসবে আমার
কাছে। বাবা-ই এসে কড়ি থেকে হীরের মত তৈরী করছেন। এই উপার্জন অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ। বাবাকে
স্মরণ করলে ২১ জন্মের জন্য তোমরা নিরোগী হয়ে যাবে। চক্রকে স্মরণ করলে তোমরা
চিরসুস্থ এবং চির সম্পত্তিবান হবে। এখন তো কোনোটাই নেই। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের
ক্রম আছে। যে একটু কাঁচা তাকে মায়া শীঘ্রই খেয়ে নেয়। তথাপি পরবর্তীকালে স্মৃতি
আসবে। পরবর্তীকালে রাজারাও আসবে, সন্ন্যাসী প্রমুখেরাও আসবে। তোমরা কন্যারা,
মাতারাই বাণ নিক্ষেপ করেছো। এখানে মন্দিরও অ্যাকুরেট তৈরি হয়েছে। কুমারী কন্যাদেরও
মন্দির আছে। অধর কুমারীর অর্থ থোড়াই কেউ বুঝতে পারে। যে গৃহস্থী ব্যবহারে থেকেও বিকে
হয় তাদেরকে অধর বলা যায়। কুমারী তো কুমারীই হয় । তোমাদের স্মরণিক রূপে পুরো
মন্দির তৈরি হয়। কল্প পূর্বেও তোমরা সার্ভিস করেছিলে। তোমাদের কত খুশি হওয়া উচিত
। তোমাদের হল কত উচ্চ এবং শ্রেষ্ঠ পরীক্ষা। পড়াচ্ছেন স্বয়ং ভগবান।
(দিল্লির পার্টি
বাবার থেকে ছুটি নিয়ে নিজের নিজের স্থানে ফিরে যাচ্ছে) বাচ্চারা ভালোই রিফ্রেশ হয়ে
যাচ্ছ। নম্বরের ক্রম তো আছেই। যে ভালো বুঝতে পারে সে ভালো বোঝাতেও পারে। এটা তো
বাচ্চারা জানে যে বাবাও হলেন গুপ্ত, দাদাও হলেন গুপ্ত। আমরাও হলাম গুপ্ত। কেউই সেটা
জানেনা। ব্রাহ্মণেরাও জানে না। তোমরা বোঝাতে পারো যে তোমরা হলে কুখ বংশাবলী, আমরা
হলাম মুখ বংশাবলী। তোমরা হলে পতিত, আর আমরা পবিত্র তৈরি হচ্ছি। প্রজাপিতা ব্রহ্মার
সন্তান তাই অবশ্যই নতুন দুনিয়ারই হবে তাইনা। সত্যযুগের দেবতারা নতুন দুনিয়ার থাকে
নাকি ব্রাহ্মণেরা নতুন দুনিয়ার হবে ? ব্রাহ্মণদের চটি (টিকি)আছে তাই না। চটি (ব্রাহ্মণ
কুল) উপরে থাকে নাকি মাথা (দেবতা কুল) উপরে থাকে ? সেখানে পুনরায় শিব বাবাকেও উহ্য
করে দিয়েছে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে বাবা হলেন ফুলের বাগানের মালি। রাবণকে মালি
থোড়াই বলবে। রাবণ তো কাঁটা তৈরি করে, বাবা ফুল বানাচ্ছেন। এই সমস্ত হল কাঁটার জঙ্গল।
একে অপরকে দুঃখই দিচ্ছে। বাবা বোঝাচ্ছেন যে কাউকেই দুঃখ দিও না। ক্রোধের বশীভূত হয়ে
কথা বললে একশত গুণ শাস্তি ভোগ করতে হবে। পাপাত্মা হয়ে যাবে। তার জন্য শাস্তিও
অত্যন্ত কড়া। বাবার সাথে সহায়ক হওয়ার গ্যারান্টি করে পুনরায় ডিস-সার্ভিস করলে
তার জন্য অনেক কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে। বাচ্চা হয়ে পুনরায় বিকর্ম করলে তো একশত
গুণ শাস্তি প্রাপ্ত হবে। এই জন্য যদি সাহস থাকে তো শ্রীমতে চলো। নর থেকে নারায়ণ হতে
হবে। এমন নয় যে আচ্ছা, প্রজা তো প্রজাই ঠিক আছে। না, এ তো হল অনেক বড় মালা।
মার্জিন অনেক আছে। এতে হার্ট ফেল হয়ে যেও না। পড়ে গেলে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।
হার্ট ফেল হয়ে যেও না। শিব বাবার থেকে এক সেকেন্ডে জীবন্মুক্তি নেওয়ার জন্য হাট
হল এই একটাই। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য শিব বাবার হাটের (দোকানের) ভালো সেল্সম্যান হতে হবে।
প্রত্যেকের নাড়ি দেখে পুনরায় তাকে জ্ঞান শোনাতে হবে।
২ ) ক্রোধের বশীভূত
হয়ে মুখ থেকে দুঃখদায়ী কথা উচ্চারণ করবে না। বাবার সহায়ক হওয়ার গ্যারান্টি করে
কোনও ডিস-সার্ভিসের কাজ করবে না।
বরদান:-
নাথিং
নিউ - এই স্মৃতির দ্বারা বিঘ্নগুলিকে খেলা মনে করে অতিক্রমকারী অনুভাবী মূর্তি ভব
বিঘ্ন আসা - এটাও
ড্রামাতে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত নির্ধারিত আছে কিন্তু সেই বিঘ্ন অসম্ভব থেকে
সম্ভবের অনুভূতি করায়। অনুভাবী আত্মাদের জন্য বিঘ্নও খেলা মনে হয়। যে রকম ফুটবল
খেলাতে বল আসে, পায়ে করে আঘাত করে খেলা করতে মজা আসে। সেইরকম এই বিঘ্নের খেলাও হতে
থাকবে। নাথিং নিউ। ড্রামার খেলাও দেখায় আর সম্পন্নতা সফলতাকেও দেখায়।
স্লোগান:-
সকলের
গুণগুলিকে দেখে বিশেষত্বের সুগন্ধ ছড়িয়ে দাও তাহলে এই জগৎ সংসার সুখময় হয়ে যাবে।