09.11.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
দেহ অভিমানে আসার কারণেই মায়ার চড় লাগে, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকলে বাবার প্রতিটি
শ্রীমতের পালন করতে পারবে"
প্রশ্নঃ -
বাবার কাছে
দুই রকমের পুরুষার্থী বাচ্চারা আছে, তারা কারা?
উত্তরঃ
এক রকমের
বাচ্চা আছে যারা বাবার কাছে উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্যে পুরোপুরি পুরুষার্থ করে,
প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার পরামর্শ নেয়। দ্বিতীয় রকম এমনও বাচ্চারা আছে যারা বাবাকে
ত্যাগ করার পুরুষার্থ করে। কেউ দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে বাবাকে স্মরণ করে, কেউ দুঃখে
থাকার জন্য, এও ওয়ান্ডার তাইনা !
গীতঃ-
জলসাঘরে জ্বলে
ওঠে ঝাড়বাতির শিখা, পিঁপীলিকার পুড়ে মরা, তাহাতেই লিখা...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা গীত
তো অনেক বার শুনেছে। নতুন বাচ্চারা নতুন করে শুনবে যখন বাবা এসে নিজের পরিচয় দেন।
বাচ্চারা পরিচয় পেয়েছে। তারা জানে এখন আমরা অসীম জগতের মাতা-পিতার সন্তান হয়েছি।
মনুষ্য সৃষ্টির রচয়িতা অবশ্যই মাতা-পিতা হবেন। কিন্তু মানুষের বুদ্ধিকে মায়া একেবারে
ডেড করে দিয়েছে। এত সাধারণ কথা বুদ্ধিতে ঢোকে না। সবাই বলে যে ভগবান আমাদের জন্ম
দিয়েছেন। সুতরাং নিশ্চয়ই মাতা-পিতা হবেন ! ভক্তিমার্গে স্মরণও করে। প্রত্যেক ধর্মের
মানুষ গড ফাদারকে অবশ্যই স্মরণ করে। ভক্ত নিজেই ভগবান হতে পারেনা। ভক্ত ভগবানের পূজা
অর্চনা করে, সাধনা করে। গড ফাদার তো নিশ্চয়ই সবার একই হবে অর্থাৎ সব আত্মাদের পিতা
হবেন একজন। সব শরীরের পিতা এক হতে পারে না। সে তো অনেক পিতা হয়। তারা শরীরের পিতা
থাকা সত্ত্বেও 'হে ঈশ্বর' বলে স্মরণ করে। বাবা বসে বোঝান - মানুষ বুদ্ধিহীন হয়েছে
ফলে বাবার পরিচয় ভুলে গেছে। তোমরা জানো স্বর্গের রচয়িতা হলেন অবশ্যই একজন, তিনি
হলেন বাবা। এখন হলো কলিযুগ। নিশ্চয়ই কলিযুগের বিনাশ হবে । 'লুপ্ত প্রায়' শব্দটি সব
কথাতেই আসে। বাচ্চারা জানে - সত্যযুগ এখন লুপ্ত প্রায়। আচ্ছা, তাহলে প্রশ্ন ওঠে যে
সত্যযুগে আত্মারা কি জানবে যে এই সত্যযুগ লুপ্ত হয়ে ত্রেতা আসবে ? না, সেখানে তো এই
জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। এই কথা কারো বুদ্ধিতে নেই - সৃষ্টির চক্র কিভাবে পরিক্রমা করে,
আমাদের পারলৌকিক পিতা কে ? এইসব তোমরা বাচ্চারাই জানো। মানুষ গায়ন করে তুমি
মাতা-পিতা আমরা বালক তোমার ..... কিন্তু জানেনা। সুতরাং বলা না বলা সমান হয়ে যায়।
বাবাকে ভুলে গিয়ে অনাথ হয়ে গেছে। বাবা প্রত্যেকটি কথা বোঝান। পদে পদে শ্রীমৎ অনুযায়ী
চলো। তা নাহলে মায়া খুব ধোঁকা দেবে । মায়া হলো ধোঁকাবাজ (প্রতারক) । মায়ার হাত থেকে
লিবারেট করা হলো বাবার কর্তব্য। রাবণ তো হলো দুঃখ দাতা । বাবা হলেন সুখ দাতা। মানুষ
এইসব কথা বোঝেনা। তারা তো ভাবে দুঃখ সুখ সব ভগবান দেন। বাবা বোঝান - মানুষ দুঃখী
হওয়ার জন্য বিবাহ ইত্যাদিতে কত টাকা খরচ করে ! যারা পবিত্র চারা গাছ থাকে তাদের
অপবিত্র করার পুরুষার্থ (প্রচেষ্টা) করা হয়। এই কথাও তোমরা বুঝতে পারো, দুনিয়া বুঝতে
পারে না। তারা বিষয় সাগরে ডুবে থাকার জন্য কত অনুষ্ঠান করে। তারা এই কথা জানেনা যে
সত্যযুগে বিষ বা বিকার থাকেনা। সত্যযুগ হল-ই ক্ষীরসাগর। একেই বলা হয় বিষয় সাগর।
সত্যযুগ হলো নির্বিকারী দুনিয়া। যদিও ত্রেতায় দুই কলা কম হয়ে যাবে, তবুও তাকে
নির্বিকারী দুনিয়া বলা হয়। সেখানে বিকার হতে পারেনা, কারণ রাবণের রাজ্য দ্বাপর থেকে
আরম্ভ হয়। অর্ধেক অর্ধেক কিনা। জ্ঞান সাগর এবং অজ্ঞানতার সাগর। অজ্ঞানতারও সাগর হয়
তাইনা।
মানুষ কত অজ্ঞানী ।
বাবাকেও জানেনা। শুধু বলে যে এই এই করলে ভগবানকে পাওয়া যাবে। প্রাপ্তি তো কিছুই হয়না।
মাথা ঠুকে দুঃখী, অনাথ হয়ে যায় তখনই আমি, সকলের নাথ দুনিয়ায় আসি। নাথ না থাকায় মায়া
অজগর সবাইকে গ্রাস করেছে। বাবা বোঝান মায়া খুব শক্তিশালী, অনেকের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
কারও কাম বিকারের, কারও মোহ রূপী বিকারের চড় লেগে যায়। দেহ-অভিমানে এলেই চড় লাগে।
দেহী-অভিমানী হতেই তো পরিশ্রম, তাই বাবা ক্ষণে ক্ষণে সাবধান করেন, বলেন মন্মনাভব ।
বাবাকে স্মরণ না করলে মায়া চড় মারবে সেইজন্য নিরন্তর স্মরণ করার অভ্যাস করো। তা
নাহলে মায়া উল্টো কর্ম করিয়ে দেবে। রং-রাইটের বুদ্ধি তো এখন তোমরা পেয়েছো । কোথাও
বুঝতে না পারলে বাবাকে জিজ্ঞাসা করো। টেলিগ্রাম, চিঠি বা ফোন করেও জিজ্ঞাসা করতে
পারো। ফোনের লাইন ভোরবেলায় একদম ক্লিয়ার থাকে, কারণ সেইসময় তোমরা ছাড়া সবাই ঘুমায়।
তখন তোমরা ফোন করে জিজ্ঞাসা করতে পারো। দিন দিন ফোন ইত্যাদির আওয়াজের সংশোধন হচ্ছে।
কিন্তু গভর্নমেন্ট হলো গরিব, তাই খরচও সেইরকম করে। এই সময় তো সব কিছু জরাজীর্ণ
অবস্থায় তমোপ্রধান হয়েছে তবুও বিশেষ করে ভারতবাসীদের রজো-তমোগুণ যুক্ত কেন বলা হয় ?
কারণ ভারতই সবথেকে বেশি সতোপ্রধান ছিল। অন্য ধর্মের মানুষ না এত সুখ দেখেছে, না বেশি
দুঃখ দেখবে। তারা এখনই সুখে আছে, তাইতো এত অন্ন ইত্যাদি ভারতে রপ্তানী করে। তাদের
বুদ্ধি হলো রজোপ্রধান। বিনাশের জন্য কতো ইনভেনশন করতে থাকে । কিন্তু তারা এইসব কথা
জানা নেই । তাই তাদের অনেক চিত্র ইত্যাদি পাঠাতে হবে, যাতে তারা জানতে পারে, অবশেষে
তারাও বুঝবে এ তো ভালো জিনিস। সে'গুলির উপরে লেখা থাকবে গড ফাদারলি গিফ্ট।
বিপর্যয়ের সময় যখন চারিদিকে এই সংবাদ ধ্বনিত হবে তখন বুঝবে যে, আমরা এই খবর
পেয়েছিলাম। এই চিত্র গুলি দিয়ে অনেক কাজ হবে। বাবাকে তারা জানেনা। সুখ দাতা তো হলেন
তিনিই, একমাত্র বাবা। সবাই তাঁকেই স্মরণ করে থাকে। চিত্রের দ্বারা ভালো ভাবে বুঝতে
পারবে। এখন তিন পা পৃথিবীটুকু পাওয়া যায়না আর তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়ে যাও
! এই চিত্র গুলি বিদেশে অনেক সার্ভিস করবে। বাচ্চাদের এই চিত্রের প্রতি ততখানি
শ্রদ্ধা নেই । খরচ তো হবেই। রাজধানী স্থাপনের কাজে ঐ গভর্মেন্টের কোটি টাকা খরচ
হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ মরেছে । এখানে তো মরবার কোনো ব্যাপার নেই। শ্রীমৎ অনুসারে
পুরো পুরুষার্থ করতে হবে, তবেই শ্রেষ্ঠ পদ প্রাপ্ত হবে। নাহলে তো শেষে দন্ড ভোগ
করার সময় খুব দুঃখ হবে। ইনি হলেন বাবা, তার সাথে ধর্মরাজও তিনি। পতিত দুনিয়ায় এসে
বাচ্চাদের ২১ জন্মের জন্য স্বরাজ্য প্রদান করি। যদি আবার কোনো বিনাশকারী কর্ম করো
তাহলে পুরো সাজা ভোগ করবে। এমন নয়, যা হবে দেখা যাবে, পরের জন্মের কথা কে বসে চিন্তা
করে! মানুষ দান পুণ্য সব করে পরের জন্মের জন্য। তোমরা এখন যা করো সেসব হলো ২১
জন্মের জন্য। তারা যা কিছু করে, অল্পকালের জন্য। ফল তবুও নরকেই প্রাপ্ত হবে ।
তোমাদের তো স্বর্গের পুরষ্কার প্রাপ্ত হয় । রাত-দিনের তফাৎ । তোমরা স্বর্গে ২১
জন্মের জন্য প্রালব্ধ প্রাপ্ত করো। প্রতিটি কথায় শ্রীমৎ অনুযায়ী চললে ভবসাগর পার হবে।
বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের চোখের পাতায় বসিয়ে খুব আরামে নিয়ে যাই। তোমরা অনেক দুঃখ
ভোগ করেছো। এখন আমি তোমাদেরকে বলি আমাকে স্মরণ করো। তোমরা অশরীরী এসেছিলে, এখানে
পার্ট প্লে করেছো, এখন ফিরে যেতে হবে। এ হলো তোমাদের অবিনাশী পার্ট। এইসব কথা
অহংকারী সায়েন্স বুঝবে না। আত্মা খুব সূক্ষ্ম স্টার, তাতে অবিনাশী পার্ট সদাকালের
জন্যে ভরা আছে, যা কখনও শেষ হয়না। বাবাও বলেন আমিও হলাম ক্রিয়েটর ও অ্যাক্টর । আমি
কল্পে-কল্পে আসি পার্ট প্লে করতে। বলা হয় পরমাত্মা হলেন মন-বুদ্ধি সহ চৈতন্য,
নলেজফুল, কিন্তু কি জিনিস তা কেউ জানেনা। যেমন তোমরা হলে আত্মা স্টারের মতো, আমিও
হলাম স্টার । ভক্তিমার্গে আমাকে স্মরণ করে কারণ দুঃখে আছে, আমি এসে বাচ্চারা
তোমাদেরকে নিজের সাথে নিয়ে যাই। আমিও হলাম পান্ডা। আমি পরমাত্মা আত্মাদের অর্থাৎ
তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাই। আত্মা মশার চেয়েও ক্ষুদ্র। এই বোধও বাচ্চারা তোমাদের এখনই
হয়। বাবা কত ভালো করে বোঝান। বাবা বলেন তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক করি, যদিও দিব্য
দৃষ্টির চাবি নিজের কাছেই রাখি। এটি কাউকে প্রদান করিনা। এটি ভক্তি মার্গে আমার কাজে
লাগে। বাবা বলেন আমি তোমাদের পবিত্র, পূজ্য করি, মায়া পতিত, পূজারী করে । বাবা
বোঝান তো অনেক, কিন্তু যে বুদ্ধিমান সেই বুঝবে।
এই টেপ রেকর্ডার
মেশিন হলো খুব ভালো জিনিস । মুরলী তো বাচ্চাদের অবশ্যই শুনতে হবে। অনেক অনেক
হারানিধি বাচ্চা রয়েছে । বাঁধেলি (যারা বন্ধনে রয়েছে), গোপীকাদের জন্য বাবার দয়া
হয়। বাবার মুরলী শুনে তারা খুশি হয়। বাচ্চাদের খুশীর জন্য কিই না করা উচিত। গ্রামের
গোপীকাদের জন্য রাত দিন বাবার চিন্তা হয় । ঘুমও আসেনা, কি যুক্তি বের করা যায়,
বাচ্চারা কিভাবে দুঃখ থেকে মুক্তি পাবে। কেউ আবার দুঃখে ফেঁসে যাওয়ার জন্য
প্রস্তুতি নেয়, কেউ তো অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্তির পুরুষার্থ করে, তো কেউ বাবাকে
ত্যাগ করার পুরুষার্থ করে। দুনিয়া তো আজকাল খুবই খারাপ। কোনো কোনো বাচ্চারা বাবাকে
মারতে দেরি করে না। অসীম জগতের বাবা কতো ভালো করে বোঝান। আমি বাচ্চাদের এত ধন
প্রদান করি যে তারা কখনও দুঃখে থাকবে না। সুতরাং বাচ্চাদেরও এতটাই দয়ালু হয়ে সবাইকে
সুখের রাস্তা বলে দিতে হবে। আজকাল তো সবাই দুঃখ দেয়, যদিও টিচার কখনও দুঃখের রাস্তা
বলবে না। তারা তো পড়ান। পড়াশোনা হলো সোর্স অফ ইনকাম। পড়াশোনা করলে শরীর নির্বাহ
করার উপযুক্ত হওয়া যায়, মা বাবার কাছে যতই সম্পত্তি প্রাপ্ত হোক না কেন তা কোন্
কাজের। যত বেশি ধন, ততই বেশি পাপ করে। তীর্থ যাত্রায় খুব নম্র হয়ে যায়। কিন্তু অনেকে
তীর্থ করতে গিয়েও মদ ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে যায়, লুকিয়ে পান করে। বাবা দেখেছেন - মদ
ছাড়া থাকতে পারেনা অনেকে। কিছু বলার নেই। যুদ্ধে যাওয়ার আগেও খুব মদ খেয়ে যায়।
যুদ্ধের সৈন্যিকদের নিজেদের প্রাণের চিন্তা থাকেনা। তারা ভাবে আত্মা এক শরীর ছেড়ে
অন্য দেহ ধারণ করবে। তোমরা বাচ্চারাও এখন জ্ঞান প্রাপ্ত করো। এই ছিঃ ছিঃ দেহ ত্যাগ
করতে হবে। তাদের কোনো জ্ঞান নেই। কিন্তু অভ্যাসে আছে - মরতে হবে, মারতে হবে। এখানে
তো আমরা নিজেরাই বসে বসে বাবার কাছে যেতে চাই। এই শরীর হলো পুরানো বস্ত্র । যেমন
সর্প পুরানো খোলস ত্যাগ করে। শীতে শুকিয়ে গেলে ছেড়ে দেয়। তোমাদের এই শরীর তো খুব
ছিঃ ছিঃ পুরানো বস্ত্র, পার্ট প্লে করে এবারে এই বস্ত্র ত্যাগ করতে হবে, বাবার কাছে
যেতে হবে। বাবা যুক্তি তো বলে দিয়েছেন - মন্মনাভব। আমাকে স্মরণ করো ব্যস্, এমন ভাবে
বসে বসে শরীর ত্যাগ করবে। সন্ন্যাসীদের এমনই হয় - বসে বসে দেহ ত্যাগ হয়। কারণ তারা
ভাবেন আত্মাকে ব্রহ্মে লীন হতে হবে, তাই যোগে বসে। কিন্তু যেতে পারে না। যেমন কাশী
কালবট খায়, তাতে জীবঘাত হয়। সন্ন্যাসীরা এইভাবে বসে বসে দেহ ত্যাগ করে, বাবা
দেখেছেন, সেসব হলো হঠ যোগ সন্ন্যাস।
বাবা বোঝান তোমাদের
৮৪ জন্ম কীভাবে হয়? তোমাদের অনেক নলেজ দেওয়া হয়, খুব কমই আছে যারা শ্রীমৎ অনুসারে
চলে। দেহ অভিমানে এসে তখন বাবাকেও নিজের মত দিতে শুরু করে দেয়। বাবা বোঝান
দেহী-অভিমানী হও। আমি আত্মা, বাবা তুমি হলে জ্ঞানের সাগর। বাবা আমি তোমার রায়
অনুসারেই চলব। পদে পদে খুব সাবধান হতে হবে। ভুল তো হতেই থাকবে তবুও পুরুষার্থ করতে
হবে। যেখানেই যাও বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। বিকর্মের অনেক বোঝা মাথায় রয়েছে ।
কর্মভোগও তো ভোগ করে মেটাতে হবে তাইনা। শেষ পর্যন্ত এ কর্ম ভোগ পিছু ছাড়বেনা।
শ্রীমতের অনুসারে চলেই পারস বুদ্ধি হতে হবে। সাথে ধর্মরাজও আছেন । সুতরাং তিনি হলেন
রেস্পন্সিবল। বাবা বসে আছেন, তোমরা কেন বোঝা নিজের উপরে রাখছো । পতিত - পাবন বাবাকে
পতিতদের সভায় আসতেই হয়। এটা কোনো নতুন কথা নয়। অনেক বার পার্ট প্লে করেছো, রিপিট
প্লে করতে থাকবে। একেই ওয়ান্ডার বলা হয়। আচ্ছা !
পারলৌকিক বাপদাদার
হারানিধি বাচ্চাদেরকে স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা
রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন বাচ্চাদের নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবার সমান সবাইকে দুঃখ থেকে লিবারেট করার করুণা করতে হবে। সকলকে সুখের রাস্তা বলে
দিতে হবে।
২ ) কোনো রকম
বিনাশকারী (উল্টো) কর্তব্য করবে না। শ্রীমতের আধারে ২১ জন্মের জন্য নিজের প্রালব্ধ
তৈরি করতে হবে। পদে - পদে সাবধান হয়ে চলতে হবে।
বরদান:-
প্রতিজ্ঞার স্মৃতির মাধ্যমে লাভ গ্রহণকারী সর্বদা বাবার ব্লেসিংস এর পাত্র ভব
মন থেকে, বাণীর
মাধ্যমে অথবা লেখার মাধ্যমে যে প্রতিজ্ঞাই গ্রহণ করে থাকো - তা স্মৃতিতে স্মরণ রাখো,
তবেই সেই প্রতিজ্ঞার সম্পূর্ণ লাভ নিতে পারবে। চেক করো যে, কতবার প্রতিজ্ঞা করেছো
আর তা কতবার পালন করেছো! প্রতিজ্ঞা আর ফায়দা এই দুইয়ের ব্যালেন্স রাখলে, তবেই
বরদাতা বাবার থেকে ব্লেসিংস (আশীর্বাদ) প্রাপ্ত হতে থাকবে। যেমন ভাবে শ্রেষ্ঠ
সংকল্প করে থাকো, ঠিক তেমনভাবেই যখন কর্ম শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে - তবেই সফলতার
প্রতিমূর্তি হয়ে উঠতে পারবে।
স্লোগান:-
নিজেকে
এমন দিব্য দর্পণ (আয়না) বানাও যার মধ্যে শুধু বাবাকেই দেখা যাবে - তবেই তাকে বলা
যাবে সত্যিকারের সেবা।