10.02.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এই ইউনিভার্সিটিতে এসেছো পুরানো দুনিয়া থেকে মরে নতুন দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য,
এখন তোমাদের প্রীতি ভালোবাসা এক বাবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে”
প্রশ্নঃ -
কোন্ বিধি
দ্বারা বাবার স্মরণ তোমাদের বিত্তবান বানিয়ে দেয় ?
উত্তরঃ -
বাবা হলেন বিন্দু। তোমরা বিন্দু রূপে বিন্দুকে স্মরণ করো তাহলে বিত্তবান হয়ে যাবে।
যেমন একের সাথে বিন্দু লাগালে ১০ আরেকটি লাগালে ১০০, আরেকটিতে ১০০০ হয়ে যায়।
সেইভাবেই বাবার স্মরণে বিন্দু যুক্ত হতে থাকে। তোমরা বিত্তবান হয়ে যাও। স্মরণের
দ্বারা প্রকৃত সত্য উপার্জন হয়।
গীতঃ-
আসরে জ্বলে উঠলো প্রদীপ শিখা ....
ওম্ শান্তি ।
এই গীতের অর্থ
খুবই বিচিত্র - প্রীতি ভালোবাসা কার জন্য? কার উদ্দেশ্যে এই ভালোবাসা? ভগবানের কারণ
এই দুনিয়া থেকে মরে তাঁর কাছেই যেতে হবে। এইভাবে কি কখনও কারো সঙ্গে ভালোবাসা হয় ?
মনে এই চিন্তন আসবে যে মরে যাবো ? তাহলে কি ভালবাসা থাকবে? গীতের অর্থ কত
ওয়ান্ডারফুল। দীপশিখার সঙ্গে বহ্নিপতঙ্গের এমনই ভালোবাসা যে শিখার চারিপাশে ঘুরে
ঘুরে পুড়ে মরে। তোমাদেরকেও বাবার ভালোবাসায় এই দেহ ত্যাগ করতে হবে অর্থাৎ বাবাকে
স্মরণ করতে-করতে দেহ ত্যাগ করতে হবে। এই গানটি কেবল একের উদ্দেশ্যে। অসীমের পিতা
যখন আসেন, তাঁর সঙ্গে যারা প্রীতি ভালোবাসা রাখে, তাদেরকে এই দুনিয়া থেকে মরতে হয়।
ভগবানের সঙ্গে প্রীতি রাখলে মৃত্যুর পরে কোথায় যাবে। নিশ্চয়ই ভগবানের কাছেই যাবে।
মনুষ্য দান - পুণ্য তীর্থ-যাত্রা ইত্যাদি করে ভগবানের কাছে যাওয়ার জন্য। শরীর ত্যাগ
করার সময়ও মানুষ বলে ভগবানকে স্মরণ করো। ভগবান হলেন নামী-গ্রামী অর্থাৎ সুবিখ্যাত।
তিনি এসে সম্পূর্ণ দুনিয়া টি শেষ করে দেন। তোমরা জানো আমরা এই ইউনিভার্সিটিতে আসি
পুরানো দুনিয়া থেকে মরে নতুন দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য। পুরানো দুনিয়াকে পতিত দুনিয়া,
নরক বা হেল বলা হয়। বাবা নতুন দুনিয়ায় যাওয়ার পথ বলে দেন। শুধুমাত্র আমাকে স্মরণ করো
, আমি হলাম হেভেনলী গড ফাদার। দেহের পিতার কাছে তোমাদের ধন প্রাপ্ত হয়, সম্পত্তি,
বাড়ি ইত্যাদি প্রাপ্ত করবে। কন্যা সন্তানদের তো কিছুই প্রাপ্ত হওয়ার কথা নয়। তাদেরকে
তো অন্যের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ সে উত্তরাধিকারী নয়। এই ভগবান হলেন সর্ব
আত্মাদের পিতা, তাঁর কাছে সবাইকে আসতে হবে। কোনো সময়ে বাবা নিশ্চয়ই আসেন সবাইকে ঘরে
(পরমধাম) ফিরিয়ে নিয়ে যান কারণ নতুন দুনিয়ায় খুব মানুষের সংখ্যা খুব অল্প থাকে।
পুরানো দুনিয়ায় থাকে অনেক। নতুন দুনিয়ায় মানুষ থাকে কম আর সুখ থাকে বেশী। পুরানো
দুনিয়ায় অনেক মানুষ তাই দুঃখও বেশী, তাই আহ্বান করে। বাপু গান্ধী বলতেন হে
পতিত-পাবন এসো। শুধুমাত্র তাঁকে জানতেন না। বুদ্ধিতে আছে পতিত-পাবন হলেন পরমপিতা
পরমাত্মা, তিনি হলেন বিশ্বের উদ্ধারকর্তা। রাম-সীতাকে তো সম্পূর্ণ দুনিয়া ভক্তি করবে
না। সম্পূর্ণ দুনিয়া পরম পিতা পরমাত্মাকে লিব্রেটর, গাইড বলে স্বীকার করে। লিবারেট
করেন অর্থাৎ উদ্ধার করেন দুঃখ থেকে। আচ্ছা, দুঃখ কে দেয়? বাবা তো দুঃখ দিতে পারেন
না কারণ তিনি তো হলেন পতিত-পাবন। পবিত্র দুনিয়ায় সুখধামে নিয়ে যান। তোমরা হলে
আত্মিক পিতার আত্মারূপী সন্তান। যেমন পিতা, তেমন সন্তান। লৌকিক পিতার লৌকিক অর্থাৎ
শারীরিক সন্তান হয়। এখন বাচ্চারা তোমাদের এই কথাটি বুঝতে হবে আমরা হলাম আত্মা,
পরমপিতা পরমাত্মা এসেছেন আমাদের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করতে। আমরা তাঁর সন্তান
হলে স্বর্গের উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত করবো। তিনি স্বর্গ স্থাপন করেন। আমরা হলাম
স্টুডেন্ট, এই কথাটি ভোলা উচিত নয়। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকে শিববাবা মধুবনে মুরলী
বাজান। ওই কাঠের মুরলী তো এখানে নেই। কৃষ্ণের নৃত্য করা, মুরলী বাজানো, সবই হল
ভক্তিমার্গের । বাকি জ্ঞানের মুরলী তো কেবলমাত্র শিববাবা বাজান। তোমাদের কাছে ভালো
ভালো গান রচনা করতে সক্ষম এমন জন আসবে। গান বিশেষতঃ পুরুষরাই রচনা করে। তোমাদের তো
জ্ঞানযুক্ত গান করা উচিত যাতে শিববাবা স্মরণে থাকে।
বাবা বলেন আমাকে অল্ফকে স্মরণ করো। শিবকে বলা হয় বিন্দু। ব্যবসায়ীরা বিন্দু লিখবে
তখন বলবে শিব। একের পাশে বিন্দু বসালে হয়ে যাবে ১০ আরেকটি বিন্দু বসালে হয়ে যায় ১০০
। আরও বিন্দু লিখলে ১০০০ হয়ে যাবে। সুতরাং তোমাদেরও শিবকে স্মরণ করা উচিত। যত শিবকে
স্মরণ করবে বিন্দু-বিন্দু লাগতে থাকবে। তোমরা অর্ধকল্পের জন্য বিত্তবান হয়ে যাও।
সেখানে গরিব হয়ই না। সবাই সুখী থাকে। দুঃখের নাম নেই। বাবার স্মরণে বিকর্ম বিনাশ হতে
থাকবে। তোমরা অনেক বিত্তবান হয়ে যাবে। একেই বলা হয় সত্য পিতার দ্বারা প্রকৃত সত্য
উপার্জন। এই জমা ধন সঙ্গে যাবে। মানুষ তো সব খালি হাতে চলে যায়। তোমাকে হাত ভরে
ফিরতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা বুঝিয়েছেন পবিত্রতা থাকলে শান্তি, সমৃদ্ধি
প্রাপ্ত হবে। তোমরা আত্মা প্রথমে পবিত্র ছিলে পরে অপবিত্র হয়েছো। সন্ন্যাসীদের সেমি
পবিত্র বলা হবে। তোমাদের হল সম্পূর্ণ সন্ন্যাস। তোমরা জানো তারা কতখানি সুখ প্রাপ্ত
করে। একটু সুখ তারপরে তো দুঃখই থাকে। পূর্বে তারা সর্বব্যাপী বলতো না। সর্বব্যাপী
বললেই পতন ঘটে। দুনিয়ায় অনেক রকমের মেলার আয়োজন হয় কারণ উপার্জন হয়, তাইনা। এও
তাদের একরকমের ব্যবসা। বলা হয় নর থেকে নারায়ণ হওয়ার ব্যবসা ছাড়া আর সব ব্যবসাই
ধূলায় পরিণত হয় । অথচ এই ব্যবসাই বিশেষ বিশেষ কেউই করে। বাবার আপন হয়ে সর্বস্ব
দেহ সহ বাবাকে সমর্পণ করতে হবে, কারণ তোমরা চাও যাতে নতুন শরীর প্রাপ্ত হয়। বাবা
বলেন তোমরা কৃষ্ণ পুরীতে যেতে পারো কিন্তু আত্মা যখন তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হবে।
কৃষ্ণ পুরীতে এমন বলা হবে না - আমাদের পবিত্র করো। এখানে সব মানুষ আহবান করে হে
লিবারেটর এসো। এই পাপ আত্মাদের দুনিয়া থেকে আমাদের উদ্ধার করো।
এখন তোমরা জানো, বাবা এসেছেন আমাদেরকে নিজের সঙ্গে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। সেখানে যাওয়া
তো ভালো কথা তাইনা। মানুষ শান্তি চায়। এখন শান্তি কাকে বলে ? কর্ম হীন হয়ে তো কেউ
থাকতে পারে না। শান্তি তো আছেই শান্তিধামে। তবুও শরীর ধারণ করে কর্ম তো করতেই হবে।
সত্যযুগে কর্ম করা সত্বেও শান্তি থাকে। অশান্তিতে মানুষের দুঃখ হয় তাই বলে শান্তি
পাই কীভাবে। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে শান্তিধাম তো হল আমাদের ঘর। সত্য যুগে
শান্তিও থাকে, সুখও থাকে। সবকিছু থাকে। এবারে সবটা চাই নাকি শুধুমাত্র শান্তি চাই।
এখানে তো আছে দুঃখ তাই পতিত-পাবন বাবাকে এখানেই আহবান করে। ভক্তি করে ভগবানের সঙ্গে
সাক্ষাৎকার করার জন্য। ভক্তিও প্রথমে অব্যভিচারী পরে ব্যভিচারী হয়। ব্যভিচারী
ভক্তিতে দেখো কি কি করে। সিঁড়ির চিত্রে খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে কিন্তু সবচেয়ে
প্রথমে প্রমাণ করা উচিত - ভগবান কে ? শ্রীকৃষ্ণকে এমন স্বরূপ কে প্রদান করেছে ?
পূর্ব জন্মে কে ছিল ? বোঝানোর জন্য যুক্তি চাই। যারা ভালো রীতি সার্ভিস করে তাদের
মনও সাক্ষী দেয়। ইউনিভার্সিটিতে যারা ভালো ভাবে পড়াশোনা করে তারা বুদ্ধিতে তীক্ষ্ণ
হয়ে যায়। নম্বর অনুযায়ী তো অবশ্যই হয়। কেউ বুদ্ধিহীনও হয়। শিববাবাকে আত্মা বলে -
আমার বুদ্ধির তালা খুলে দাও। বাবা বলেন বুদ্ধির তালা খোলার জন্যই তো এসেছি। কিন্তু
তোমাদের কর্ম এমন যে বুদ্ধির তালা খোলেই না। তখন বাবা কি করতে পারেন ? অনেক পাপ
করেছো। এখন বাবা তাদের কি করবেন ? টিচারকে যদি স্টুডেন্ট বলে যে আমরা কম পড়া করি তো
টিচার কি করবে ? টিচার কোনোরকম কৃপা তো করবে না! স্টুডেন্টের জন্য এক্সট্রা টাইম
রাখবে। তার জন্য তো নিষেধ করা হয় নি। প্রদর্শনী খোলা আছে বসে প্র্যাক্টিস করো। ভক্তি
মার্গে তো কেউ বলবে মালা জপ করো, কেউ বলবে মন্ত্র জপ করো। এখানে তো বাবা নিজের
পরিচয় দেন। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, যার দ্বারা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়।
অতএব ভালো রীতি বাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা উচিত। এতেও বাবা বলেন কখনও
বিকারগ্রস্ত হবে না। একটু বিকারের অনুভূতি হলে বৃদ্ধি হয়ে যাবে। সিগারেট ইত্যাদি
একবার টেস্ট করলে সঙ্গদোষের রঙ খুব সহজেই লেগে যায়। তারপর নেশা মুক্ত করা কঠিন হয়ে
যায়। কত রকমের অজুহাত দেয়। কোনো খারাপ স্বভাব থাকা উচিত নয়। কু স্বভাব ত্যাগ করতে
হবে। বাবা বলেন জীবিত থেকে দেহের অনুভব ত্যাগ করে আমাকে স্মরণ করো। দেবতাদের ভোগ
অর্পণ করা হয় সর্বদা পবিত্র, তাই তোমরাও পবিত্র ভোজন গ্রহণ করো। আজকাল তো খাঁটি ঘী
পাওয়া যায় না, তাই তেল ব্যবহার করা হয়। সেখানে তেল ইত্যাদি থাকে না। এখানে তো দুধের
দোকানে শুদ্ধ ঘী রাখা থাকে, অশুদ্ধও রাখা থাকে। দুটির উপরে লেখা থাকে - পিওর ঘী,
দামে তফাৎ থাকে। এখন বাচ্চারা তোমাদের তো ফুলের মতন খুশীতে থাকা উচিত। স্বর্গে
ন্যাচারাল বিউটি থাকে। সেখানে প্রকৃতিও হয় সতোপ্রধান। লক্ষ্মী-নারায়ণের মতন
ন্যাচারাল বিউটি এখানে কেউ বানাতে পারে না। এই চোখ দিয়ে তাদের কেউ দেখতে পারে না।
হ্যাঁ, যদিও সাক্ষাৎকার হয় কিন্তু সাক্ষাৎকার হলেও হুবহু চিত্র তো কেউ বানাতে পারেনা।
তা যদি কোনো আর্টিস্ট সাক্ষাৎকারের সময় বসে বানায় .... কিন্তু খুব কঠিন। সুতরাং
বাচ্চারা তোমাদের খুব নেশা থাকা উচিত। এখন বাবা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন।
বাবার কাছে আমরা স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবো। এখন আমাদের ৮৪ জন্ম পূর্ণ হয়েছে।
এমন এমন চিন্তন বুদ্ধিতে থাকলে খুশীতে থাকবে। বিকারের চিন্তন একটুও আসা উচিত নয়।
বাবা বলেন কাম হল মহা শত্রু। তাইজন্য দ্রৌপদীও ডেকেছিল । তার কোনো ৫-জন স্বামী ছিল
না। সে তো ডেকেছিল যে দুঃশাসনের অত্যাচার থেকে আমায় রক্ষা করো। তাহলে ৫ জন স্বামী
কীভাবে ছিল। এমন কথা হতে পারেনা। ক্ষণে ক্ষণে তোমরা বাচ্চারা নতুন পয়েন্টস প্রাপ্ত
করো তাই চেঞ্জ করতে হবে, অল্প কিছু চেঞ্জ করে লেখা উচিত।
তোমরা লেখো কিছু সময়ের মধ্যে আমরা এই ভারতকে পরিস্তান বানিয়ে দেব। তোমরা চ্যালেঞ্জ
করো। বাবা বলেন বাচ্চাদেরকে, সান শোজ ফাদার, ফাদার শোজ সান। ফাদার কে ? শিব ও
শালগ্রাম, এঁদের গায়ন আছে। শিববাবা যা বোঝান সেসব ফলো করো। ফলো ফাদারও গায়ন আছে।
লৌকিক ফাদারকে ফলো করলে তো তোমরা পতিত হয়ে যাও। বাবা তো ফলো করান পবিত্র করার জন্য।
তফাৎ তো আছে তাইনা। বাবা বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, ফলো করে পবিত্র হও। ফলো করলেই
স্বর্গের মালিক হবে। লৌকিক পিতাকে ফলো করে ৬৩ জন্ম তোমরা সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমেছো।
এখন বাবাকে ফলো করে উপরে উঠতে হবে। বাবার সঙ্গে ফিরে যেতে হবে। বাবা বলেন এই এক একটি
জ্ঞান রত্ন হল লক্ষ টাকার। তোমরা বাবাকে জেনে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত কর। তারা
তো বলে ব্রহ্মে বিলীন হয়ে যাবে। বিলীন তো হবে না, পুনরায় আসতে হবে। বাবা রোজ বোঝান
- মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, সর্বপ্রথমে সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। পারলৌকিক পিতা
উত্তরাধিকার দেন পবিত্র হওয়ার, তাই অসীম জগতের পিতাকে বলা হয় পবিত্র বানাও। তিনি
হলেন পতিত-পাবন। লৌকিক পিতাকে পতিত-পাবন বলা হবে না। লৌকিক পিতা নিজেই আহবান করে
থাকে হে পতিত-পাবন এসো। সুতরাং দুই পিতার পরিচয় সবাইকে দিতে হবে। লৌকিক পিতা বলবেন
বিবাহ করে পতিত হও, পারলৌকিক পিতা বলেন পবিত্র হও। আমাকে স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র
হয়ে যাবে। এক পিতা সবাইকে পবিত্র করেন। এই পয়েন্ট গুলি বোঝানোর জন্য খুব ভালো।
ভিন্ন-ভিন্ন প্রকারের পয়েন্ট বিচার সাগর মন্থন করে বোঝাও। এই হল তোমাদেরই পেশা।
তোমরাই পতিতদের পবিত্র বানাবে। পারলৌকিক পিতা এখন বলছেন পবিত্র হও যখন বিনাশ সামনে
দাঁড়িয়ে আছে। এখন কি করা উচিত ? নিশ্চয়ই পারলৌকিক পিতার মতানুযায়ী চলা উচিত, তাইনা।
এই প্রতিজ্ঞাও লেখা উচিত প্রদর্শনীতে। পারলৌকিক পিতাকে ফলো করবো। পতিত বৃত্তি ত্যাগ
করবো। লেখো বাবার কাছে গ্যারান্টি নিলাম। সব কথার মূল হল পবিত্রতা। বাচ্চারা,
তোমাদের দিন-রাত খুশী অনুভব হওয়া উচিত - বাবা আমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন।
অল্ফ এবং বে, বাদশাহী। এখন তোমরা বুঝেছো শিব জয়ন্তীর অর্থ হল ভারতের স্বর্গের জয়ন্তী।
গীতা হল সর্ব শাস্ত্র শিরোমণি। গীতা মাতা। উত্তরাধিকার তো বাবার কাছেই প্রাপ্ত হবে।
গীতার রচয়িতা হলেন শিববাবা। পারলৌকিক পিতার কাছে পবিত্র হওয়ার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত
হয়। আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আমরা হলাম গডলি স্টুডেন্ট, এই কথাটি সর্বদা স্মরণে রাখতে হবে। কোনো রকম কু স্বভাব
যেন না থাকে। সেসব দূর করতে হবে। বিকারের চিন্তন একটুও যেন না আসে।
২ ) জীবিত অবস্থায় দেহের অনুভূতি ভুলে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন পয়েন্টস
বিচার সাগর মন্থন করে পতিতদের পবিত্র করার কর্তব্য করতে হবে।
বরদান:-
জন্মগত অধিকারের (বার্থ রাইট) নেশার দ্বারা লক্ষ্য এবং লক্ষণ গুলি সমান করে শ্রেষ্ঠ
ভাগ্যবান ভব
যেমন লৌকিক জন্মে
স্থূল সম্পত্তি হল বার্থ রাইট অর্থাৎ জন্মগত অধিকার, ঠিক সেইরকম ব্রাহ্মণ জন্মে
দিব্য গুণ রূপী সম্পত্তি, ঈশ্বরীয় সুখ এবং শক্তি হল বার্থ রাইট। বার্থ রাইটের নেশা
ন্যাচারাল রূপে থাকলে পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই। এই নেশায় থাকলে লক্ষ্য এবং লক্ষণ
সমান হয়ে যাবে। নিজেকে নিজের প্রকৃত স্বরূপ, চরিত্র, শ্রেষ্ঠ পিতা ও পরিবারের সদস্য
রূপে জানো এবং স্বীকার করো আর এইভাবেই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান হও।
স্লোগান:-
প্রতিটি কর্ম স্ব স্থিতিতে স্থিত হয়ে করো, তাহলে সহজেই সফলতার নক্ষত্র হয়ে যাবে।