10.11.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টির বাচ্চারা -
তোমাদের অবশ্যই বাবার সমান মুরলীধর হতে হবে, মুরলীধর বাচ্চারাই বাবার সাহায্যকারী
হয়, বাবা তাদের উপরই খুশী হন"
প্রশ্নঃ -
কোন্
বাচ্চাদের বুদ্ধি খুবই নির্মান (নিরহংকারী) হয়ে যায়?
উত্তরঃ
যারা অবিনাশী
জ্ঞান রত্নের দান করে প্রকৃত ফিলাথ্রফিস্ট (লোক হিতৈষী) হয়, খুব হুঁশিয়ার সেলসম্যান
হয়ে যায়, তাদের বুদ্ধি অত্যন্ত নির্মান হয়ে যায় l সার্ভিস করতে করতে বুদ্ধি স্বচ্ছ
হয়ে যায় l দান করাতে কখনোই কোনো অভিমান আসা উচিত নয় l সবসময় যেন বুদ্ধিতে থাকে যে,
শিববাবার দেওয়া দানই আমরা দিচ্ছি l শিববাবা স্মরণে থাকলে কল্যাণ হয়ে যাবে l
গীতঃ-
তুমিই মাতা,
পিতাও তুমিই....
ওম্ শান্তি ।
কেবল মাতা -
পিতার গীত শোনালেই নাম সিদ্ধ হয় না l প্রথমে শিবায় নমঃ গীত শুনে তারপর মাতা -
পিতার গীত শোনালেন নলেজের বিষয়ে জানতে পারবে l মানুষ তো মন্দিরে যায়, লক্ষ্মী -
নারায়ণের মন্দিরে যাবে, কৃষ্ণের মন্দিরে যাবে, সবার সামনেই তোমরা অর্থ না জেনেই মাতা
- পিতা বলে দাও l প্রথমে শিবায় নমঃ গান শুনিয়ে তারপর মাতা - পিতার গান শোনালে মহিমা
বোঝা যায় l নতুন কারোর জন্য এই গান ভালো l বোঝাতে সহজ হয় l বাবার নামই হলো শিব,
তোমরা এমন তো বলবে না যে, শিব সর্বব্যাপী l তাহলে তো সকলের মহিমাই এক হয়ে যাবে l
তাঁর নামই হলো শিব l দ্বিতীয় আর কেউই নিজের উপরে শিবায় নমঃ নাম রাখতে পারে না l
তাঁর মতি এবং গতি সকল মানুষের থেকেই পৃথক l দেবতাদের থেকেও পৃথক l এই জ্ঞান শেখান
একমাত্র মাতা - পিতাই l সন্ন্যাসীদের মধ্যে তো মাতা নেই, তাই তাঁরা রাজযোগ শেখাতে
পারে না l শিবায় নমঃ তো যে কোনো কাউকে বলা যাবে না l দেহধারীদের শিবায় নমঃ থোড়াই
বলবে l এইসব কথা বোঝাতে হবে l বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও কিন্তু নম্বর অনুসারে আছে l
কতো ভালো - ভালো বাচ্চাও পয়েন্টস মিস্ করে দেয় l নিজেদের তো অনেকেই মিয়াঁ মিঠ্ঠু
(সবজান্তা) মনে করে l এতে হৃদয়ের স্বচ্ছতার প্রয়োজন l প্রতিটি বিষয়েই সত্যকথা বলা,
সৎ হয়ে থাকতে হবে - এতে সময় লাগে l দেহ - ভাবে এলে তখন পরিবারাদি সব বিষয় চলে আসে l
এখন এমন কথা কেউই বলতে পারবে না যে আমি দেহী - অভিমানী, তাহলে তো কর্মাতীত অবস্থা
হয়ে যাবে l এ সবই হবে নম্বর অনুসারে l কেউ কেউ তো খুবই কুপুত্র হয় l এ তো জানাই যায়
যে, কে কে বাবার সার্ভিস করে l যখন শিববাবার হৃদয়ে স্থান পাবে তখনই রুদ্র মালার
কাছাকাছি আসতে পারবে আর সিংহাসনের যোগ্য হবে l লৌকিক বাবার মনেও সুপুত্ররাই স্থান
পায়, যারা লৌকিক বাবাকে সহায়তা করে l এও হলো বেহদের বাবার অবিনাশী জ্ঞান রত্নের
ধান্দা l তাই এই কাজে যারা সাহায্য করে তাদের উপর বাবা খুশী থাকেন l এই অবিনাশী
জ্ঞান রত্ন ধারণ করতে এবং ধারণ করাতে হবে l কেউ কেউ মনে করে আমরা ইনসিওর করেছি l
তার পরিবর্তে তোমরা তো পেয়েই যাবে l এখানে তো অনেককে দান করতে হবে, বাবার সমান
অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ফিলাথ্রফিস্ট হতে হবে l বাবা আসেনই জ্ঞান রত্নে ঝুলি ভরপুর
করতে, অর্থের কোনো কথা নয় l বাবার সুসন্তানই পছন্দ হয় l ব্যবসা করতে না জানলে
তাদের মুরলীধর, সওদাগরের সন্তান কিভাবে বলবে? লজ্জাও থাকা উচিত যে, আমি তো কোনো কাজ
করি না l সেলসম্যান যখন হুঁশিয়ার মনে করা হয় তখন তাকে ভাগীদার বানানো হয় l এমনই
এমনি থোড়াই ভাগ পাওয়া যায় l এই কাজে লেগে গেলে বুদ্ধি খুবই নির্মান (নিরভিমান) হয়ে
যায় l সার্ভিস করতে করতে বুদ্ধি স্বচ্ছ হয়ে যায় l বাবা - মাম্মা নিজেদের অনুভব
শোনান l বাবা তো শেখান, এ তো তোমরা জানো যে, এই বাবা খুব সুন্দর ধারণা করে সুন্দর
মুরলী শোনান l আচ্ছা, মনে করো, এনার মধ্যে শিববাবা আছেন, তিনি তো মুরলীধরই, কিন্তু
এই বাবাও তো জানেন l না হলে এমন পদ কিভাবে পেতেন? বাবা বুঝিয়েছেন যে, সবসময় মনে করবে
শিববাবা শোনাচ্ছেন l শিববাবার স্মরণ থাকলে তোমাদেরও কল্যাণ হয়ে যাবে l এনার মধ্যে
তো শিববাবা আসেন l মাম্মা তাঁর ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী আলাদা ভাবে বলেন l তাঁর নাম
উজ্জ্বল করতে হবে কেননা মেয়েদেরকে উপরে রাখতে হয় l বলা হয় না - সে যেমন তেমনই হোক,
আমার, আমাকেই সামলাতে হবে l পুরুষরাই এমন বলেন l স্ত্রী এমন বলে না, যেমন তেমন হোক...
l বাবাও বলেন, বাচ্চারা, তোমরা যে যেমনই হও, তোমরা হলে আমার, তোমাদেরকে আমাকেই তো
দেখতে হবে। নাম তো বাবারই খ্যাত হয়, তারপর শক্তিদের নাম উজ্জ্বল হয় l তাদেরই সেবার
ভালো সুযোগ মেলে l দিনে দিনে সেবা অনেক সহজ হয়ে যাবে l জ্ঞান আর ভক্তি হলো দিন আর
রাত, সত্যযুগ আর ত্রেতা হলো দিন, সেখানে সুখ থাকে, দ্বাপর আর কলিযুগ হলো রাত, সেখানে
দুঃখ l সত্যযুগে ভক্তি থাকে না l এ কতো সহজ l ভাগ্যে না থাকলে কিন্তু ধারণা করতে
পারে না l পয়েন্টস তো খুবই সহজ পাওয়া যায় l মিত্র - সম্বন্ধীদের কাছে গিয়ে বোঝাও,
নিজের ঘরকে তুলে ধরো l তোমরা তো গৃহস্থ জীবনে থাকো তাই খুব সহজ রীতিতেই কাউকে বোঝাতে
পারো l সদ্গতিদাতা তো এক এই পারলৌকিক বাবাই l তিনি শিক্ষকও আবার সদ্গুরুও l বাকি
দ্বাপর থেকে শুরু করে সবাই দুর্গতি করতেই এসেছেন l ভ্রষ্টাচারী পাপ আত্মারা এই
কলিযুগে আছেন l সত্যযুগে পাপ আত্মার নাম থাকে না, এখানেই অজামিল, গণিকা, অহল্যা
সমস্ত পাপ আত্মারা আছে l অর্ধকল্পকে স্বর্গ বলা হয় l ভক্তি যখন শুরু হয় তখনই
মানুষের নীচে নামা শুরু হয়ে যায় l আর এই নামতে তো অবশ্যই হবে l সূর্যবংশীরা নামতে
নামতে চন্দ্রবংশী হয় l তারপরও নামতে থাকে l দ্বাপর থেকে যাদের পেয়েছ, তারা নীচের
দিকেই নামায় l এও তোমরা এখনই জানো l দিনে দিনে তোমাদের মধ্যে শক্তি আসতে থাকবে l
সাধু সন্তদের বোঝানোর জন্যও যুক্তি বের করতে থাকে l অবশেষে অবশ্যই বুঝবে যে, পরমপিতা
পরমাত্মা সর্বব্যাপী কিভাবে হতে পারে? বোঝানোর জন্য অনেক পয়েন্টস আছে l ভক্তি প্রথমে
অব্যাভিচারী তারপর ব্যভিচারী হয় l কলাও কম হয়ে যায় l এখন আর কোনো কলা নেই l ঝাড় এবং
গোলোকেও দেখানো হয়েছে যে কলা কিভাবে কম হয় l এই বোঝানো হলো খুবই সহজ, কিন্তু ভাগ্যে
না থাকলে বোঝাতে পারবে না l দেহী - অভিমানীও হয় না l পুরানো দেহতে আটকে থাকে l বাবা
বলেন যে - এই পুরানো দেহ থেকে মমত্ব ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করো l দেহী -
অভিমানী না হলে উঁচু পদও পেতে পারবে না l স্টুডেন্ট এমন থোড়াই চাইবে যে লাস্টে বসে
থাকি l আত্মীয় পরিজন, টিচার, স্টুডেন্ট ইত্যাদি সবাই বুঝে যাবে যে, এর পড়াতে মন
নেই l এখানেও বুঝতে পারে যে শ্রীমতে না চললে তখন এমন অবস্থা হবে l কে প্রজা হবে, কে
দাস - দাসী সবই বুঝে যায় l বাবা বোঝান যে, তোমরা তোমাদের মিত্র - সম্বন্ধীদের
কল্যাণ করো l এই হলো নিয়ম l ঘরে যদি বড় ভাই থাকে তাহলে তার দায়িত্ব হলো ছোটো ভাইকে
সাহায্য করা -- একেই বলা হয় চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম l বাবা বলেন, অর্থ দান করলে
সেই অর্থ কখনোই কমে না -- অর্থ দান না করলে কিছুই পাবে না, পদও পেতে পারবে না l
এখানে খুব ভালো সুযোগ মেলে l তোমাদের দয়ালু হতে হবে l তোমরা সন্ন্যাসী আর সাধুদের
প্রতিও দয়ালু হও l তোমরা বলো যে, তোমরা সবাই এসে বোঝো l তোমরা তোমাদের পারলৌকিক
বাবাকে জানো না, যে বাবা তোমাদের প্রতি কল্পে সদা সুখের অবিনাশী সম্পদের
উত্তরাধিকার দেন l এ কথা কেউই জানে না l তারা বলে অফিসার্সও ভ্রষ্টাচারী তাহলে
শ্রেষ্ঠাচারী কে বানাবে?
আজকাল তো সাধুদের
সমাজে অনেক সম্মান l তোমরা যদি লেখো যে, বাবা এদের উপরেও দয়া করেন তাহলে সবাই
আশ্চর্য হয়ে যাবে l ভবিষ্যতে তোমাদের খুব নাম হবে l তোমাদের কাছে অনেকেই আসতে থাকবে
l প্রদর্শনীও হতে থাকবে l অবশেষে কেউ তো অবশ্যই যাবে l সন্ন্যাসীরাও যাবেন l কোথায়
আর যাবেন, একটাই তো দোকান l এরপর অনেক উন্নতি হতে থাকবে l খুব ভালো ভালো ছবি তৈরী
করা হবে বোঝানোর জন্য, যে ছবি দেখে যে কেউ এসে বুঝতে পারে l যখন মৌচাকে আগুন লাগবে
তখন মানুষ যাবে কিন্তু তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে l বাচ্চাদের জন্যও এমনই l পিছনের দিকে
কতো দৌড়াতে পারবে l রেসেও কেউ কেউ প্রথমে আস্তে আস্তে দৌড়ায় l জয়ের পুরস্কার তো
অল্প জনই পায় l এও তেমন তোমাদের ঘোড়দৌড় l আধ্যাত্মিক (রুহানী) যাত্রার এই দৌড়ের
জন্যও জ্ঞানী আত্মার প্রয়োজন l বাবাকে স্মরণ করো, এও তো জ্ঞানই, তাই না l এই জ্ঞান
আর কারোরই নেই l এই জ্ঞানেই মানুষ হীরেতুল্য হয় l অজ্ঞানের কারণে মানুষ কড়ি তুল্য
হয়ে যায় l বাবা এসে আমাদের সতোপ্রধান প্রালব্ধ করে দেন l এরপর তা অল্প অল্প করে কমতে
থাকে l এইসব পয়েন্ট ধারণ করে অভিনয়ে আসতে হবে l বাচ্চারা, তোমাদের মহাদানী হতে হবে
l ভারতকে মহাদানী বলা হয় কেননা এখানেই বাবার সামনে সবাই তন -মন - ধন অর্পণ করো l
বাবাও তখন সবকিছুই অর্পণ করে দেন l ভারতে অনেকেই মহাদানী আছেন l বাকি মানুষ সবাই
অন্ধশ্রদ্ধায় আটকে থাকেন l এখানে তো তোমরা ঈশ্বরের শরণাগতিতে এসেছো l রাবণের কাছে
দুঃখ পেয়ে রামের স্মরণ নিয়েছো l তোমরা সকলেই শোক বাটিকাতে ছিলে l এখন আবার অশোক
বাটিকাতে অর্থাৎ স্বর্গে যেতে হবে l তোমরা স্বর্গ স্থাপনাকারী বাবার শরণ নিয়েছো l
কেউ তো ছোটো অবস্থাতেই এখানে জোর করে এসে গেছে, তাই তাদের এখানে শরণাগতিতে সুখ আসে
না l তাদের ভাগ্যেনেই তাই তাদের মায়া রাবণের শরণ চাই l ঈশ্বরের শরণাগতি থেকে দূর হয়ে
তারা মায়ার শরণে যেতে চায় l এ তো আশ্চর্যের কথা তাই না!
এই শিবায় নমঃ গীত খুব
ভালো l তোমরা এই গান শুনতে পারো l মানুষ তো এর অর্থ বুঝতে পারে না l তোমরা বলবে,
আমরা শ্রীমতের উপরে এর যথার্থ অর্থ বোঝাতে পারি l ওরা তো পুতুল খেলা করে l ড্রামা
অনুসারে এই গীত গুলিরও সাহায্য পাওয়া যায় l বাবার হয়ে সেবাপরায়ণ যদি না হও তাহলে
হৃদয়ে কিভাবে বিরাজ করবে l কোনো কোনো বাচ্চা কুপুত্র হয়ে কতোই না দুঃখ দেয় l এখানে
তো মায়ের মৃত্যুতেই জ্ঞান রূপী হালুয়া খায়, স্ত্রীর মৃত্যুতেও সেই হালুয়া খায়,
কান্নাকাটি বা হা হুতাশ করে না l এই নাটকে দৃঢ় নিশ্চিত থাকতে হবে l মাম্মা - বাবাও
যাবে আবার অনন্য বাচ্চারাও অ্যাডভান্সে যাবে l এই ভূমিকা পালন তো করতেই হবে l এতে
দুশ্চিন্তার কি আছে ? সাক্ষী হয়ে আমরা এই খেলা দেখি l তোমাদের অবস্থা সদা
প্রফুল্লিত থাকা চাই l বাবারও খেয়াল আসে, ল' বলে অবশ্যই আসবে l এমন নয় যে মাম্মা -
বাবা পরিপূর্ণ হয়ে গেছেন l এই পরিপূর্ণ অবস্থা অন্তিমে হবে l এই সময় কেউই নিজেদের
পরিপূর্ণ বলতে পারবে না l এই লোকসান হলো, খিটমিট হলো, কাগজে বি.কে দের নামে নানান
গুজব বের হলো, এ সবই আগের কল্পে হয়েছিলো l চিন্তার কি আছে, ১০০ পার্সেন্ট অবস্থা
অন্তিম সময়ে হবে l বাবার হৃদয়ে তখনই স্থান পাবে যখন তোমরা দয়ালু হবে, অন্যদেরও
নিজের সমান বানাবে l ইনসিওর করলে, সে কথা আলাদা l সে তো নিজেদের জন্যই করে l এ তো
জ্ঞান রত্নের দান অন্যদের দিতে হবে l বাবাকে সম্পূর্ণ স্মরণ না করলে বিকর্মের যে
বোঝা মাথার উপরে আছে তা সম্পূর্ণ খুলে বেরিয়ে আসবে l প্রদর্শনীতেও বোঝানোর জন্য
যোগ্য মানুষ চাই l তোমাদের হুঁশিয়ার হতে হবে l রাতে স্মরণ করলে মজা আসে l এই আত্মিক
সাজনকে পুনরায় প্রভাতে স্মরণ করতে হবে l বাবা তুমি কতো মিষ্টি, তুমি আমাকে কি থেকে
কি করে তুলছো l আচ্ছা l
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
হৃদয়ে সর্বদা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে l সত্য বলতে হবে, সত্য হয়ে চলতে হবে l দেহ -
বোধের বশে এসে নিজেকে অতি চালাক মনে করবে না l অহংকারে আসবে না l
২ ) সাক্ষী হয়ে এই
খেলা দেখতে হবে l ড্রামার উপরে দৃঢ়তার সাথে থাকতে হবে l কোনো বিষয়ে দুচিন্তা করবে
না l অবস্থা সর্বদা প্রফুল্লিত রাখতে হবে l
বরদান:-
স্বরাজ্যের সত্ত্বার দ্বারা বিশ্ব রাজ্য প্রাপ্তকারী মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব
এই সময় যে স্বরাজ্য
সত্ত্বাধারী অর্থাৎ কর্মন্দ্রিয়জিৎ হয়, সে-ই বিশ্ব রাজ্যের সত্ত্বা প্রাপ্ত করে
থাকে । স্বরাজ্য অধিকারী-ই বিশ্ব রাজ্য অধিকারী হয়। তো চেক করো মন-বুদ্ধি আর
সংস্কার, আত্মার শক্তি গুলি রয়েছে, আত্মা কি এই তিনের মালিক? মন তোমাকে চালায় নাকি
তুমি মনকে চালাও? পুরানো সংস্কার গুলি কখনো তার দিকে টেনে নিয়ে যায় না তো?
স্বরাজ্য অধিকারীর স্থিতি হলো সর্বদা মাস্টার সর্বশক্তিমান, যার মধ্যে কোনও শক্তির
অভাব নেই।
স্লোগান:-
সর্ব
খাজানার চাবি - "আমার বাবা" সাথে থাকলে কোনো আকর্ষণই আকৃষ্ট করতে পারবে না।