11.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এ হলো পূর্ব নির্ধারিত নাটক, এই নাটক থেকে একজন আত্মাও নিষ্কৃতি পেতে পারে না, মোক্ষম (চিরস্থায়ী মুক্তি) কেউ-ই পেতে পারে না"

প্রশ্নঃ -
উচ্চ থেকেও উচ্চ পতিত-পাবন বাবা কীভাবে ভোলানাথ হন?

উত্তরঃ  
বাচ্চারা, তোমরা তাঁকে এক মুঠো চাল দিয়ে পরিবর্তে রাজমহল নিয়ে নাও, তাই বাবাকে ভোলানাথ বলা হয়। তোমরা বলো যে, শিববাবা হল আমাদের পুত্র, আর সেই পুত্র এমন যে কখনো কিছু নেয় না, সর্বদা দিতেই থাকে। ভক্তিতে বলা হয়, যে যেমন কর্ম করে সে তেমনই ফল পায়। কিন্তু ভক্তিতে তো অল্পসময়ের জন্য ফল পাওয়া যায়। জ্ঞান-এ তোমরা সবকিছুই বুঝে করো তাই সদাকালের জন্য ফল প্রাপ্ত করো।

ওম্ শান্তি ।
আত্মা-রূপী বাচ্চাদের সাথে আত্মিক পিতা আত্মিক বার্তালাপ করছেন বা এমনও বলা যেতে পারে যে আত্মিক পিতা, তাঁর সন্তানদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। তোমরা এসেছো অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে রাজযোগ শিখতে, তাই বুদ্ধি বাবার দিকেই চলে যাওয়া উচিত । এ হলো বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে পরমাত্ম-জ্ঞান। শালগ্রামেদের উদ্দেশ্যে ভগবানুবাচ। আত্মাদেরই শুনতে হবে, তাই আত্ম-অভিমানী হতে হবে। পূর্বে তোমরা দেহ-অভিমানী ছিলে। বাচ্চারা, এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগেই বাবা এসে তোমাদের আত্ম-অভিমানী বানান। আত্ম-অভিমানী আর দেহ-অভিমানীর মধ্যে পার্থক্য তো তোমরা বুঝতে পেরে গেছো। বাবা-ই বুঝিয়েছেন যে, আত্মাই শরীরের দ্বারা তার পার্ট প্লে করে। পড়াশোনা করে আত্মা, শরীর পড়ে না। কিন্তু দেহ-অভিমানের কারণে মনে করে অমুকে পড়ায়। বাচ্চারা, তোমাদের যিনি পড়ান তিনি হলেন নিরাকার। ওঁনার নাম হলো শিব। শিববাবার নিজস্ব শরীর হয় না। আর সকলেই বলবে যে, আমার শরীর। একথা কে বলে? আত্মা বলে যে, এটা আমার শরীর। বাকি ওইসব হল লৌকিক(পার্থিব) পড়াশোনা। তাতে অনেক প্রকারের সাবজেক্ট রয়েছে। বি. এ. ইত্যাদি কত নাম রয়েছে। এখানে একটাই নাম, আর পড়াও পড়ান একজনই। একমাত্র বাবাই এসে পড়ান, তাই বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। অসীম জগতের পিতা আমাদের পড়ান, ওঁনার নাম কি? ওঁনার নাম হলো শিব। এমন নয় যে তিনি নাম-রূপের উর্ধ্বে (ন্যায়ারা)। মানুষের নামকরণ তো তার শরীরের উপর হয়। বলা হবে যে, অমুকের এই শরীর। তেমনভাবে শিববাবার নাম হয় না। মানুষের নামই তার শরীরের উপরে হয়, নিরাকার পিতা হলেন একজনই যাঁর নাম শিব। যখন পড়াতে আসেন তখনও তাঁর নাম শিবই থাকে। এই শরীর তো ওঁনার নয়। ভগবান একজনই, ১০-১২ জন নয়। উনি হলেন এক কিন্তু মানুষ ওঁনার ২৪ অবতারের কথা বলে। বাবা বলেন, আমাকে নানান জায়গায় রেখে দিয়েছে। পরমাত্মাকে মাটির বাসনের ভাঙা টুকরোতে, পাথরের টুকরোতে, সবের মধ্যে রয়েছে বলেছে। যেমন ভক্তিমার্গে তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরেছো, তেমনই আমাকেও নানান স্থানে ফেলেছো। ড্রামা অনুসারে তাঁর কথা বলার ভঙ্গি কত শীতল। তিনি বোঝান যে, তোমরা সকলে আমার কত অপকার করেছো, আমার কত গ্লানি করেছো। মানুষ বলে, আমরা নিষ্কাম সেবা করি, আর বাবা বলেন, আমি ছাড়া আর কেউই নিষ্কাম সেবা করতে পারে না। আর যে করতে পারে সে অবশ্যই ফল পায়। এখন তোমরা ফল প্রাপ্ত করছো। গায়নও রয়েছে যে, ভক্তির ফলও ভগবান দেবেন, কারণ ভগবান হলেন জ্ঞানের সাগর। ভক্তিতে অর্ধ-কল্প তোমরা অনেক কর্মকান্ড (উপাচার) করে এসেছো। এখন এই জ্ঞানই হলো পড়াশোনা। এই পড়াশোনা একবারই পাওয়া যায় আর তা একমাত্র বাবার কাছ থেকেই। বাবা এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে একবারই এসে তোমাদের পুরুষোত্তম বানিয়ে দিয়ে যান। এ হলো জ্ঞান আর ওটা হলো ভক্তি, আধাকল্প তোমরা ভক্তি করেছিলে, আর এখন যারা ভক্তি করে না, তাদের এই ভ্রম হয় যে কি জানি, ভক্তি করিনি বলেই অমুকে মারা গেছে, অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেইরকম কিছু হয় না।

বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা ডেকে চলেছো যে বাবা এসো, এসে অপবিত্রদের পবিত্র করে সকলের সদ্গতি করো। তাই এখন আমি এসেছি। ভক্তি আলাদা, জ্ঞান আলাদা। ভক্তির জন্য আধাকল্প হয় রাত, জ্ঞানের জন্য আধাকল্প হয় দিন। রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য দুই-ই অসীম। দুটির-ই সময়সীমা সমান। এই সময় (মানুষ) ভোগী হওয়ার জন্য দুনিয়ার (জনসংখ্যা) বৃদ্ধি অধিকমাত্রায় হয়, আর আয়ুষ্কাল কম হয়। বৃদ্ধি যাতে অধিকমাত্রায় না হয় তারজন্য আবার ব্যবস্থাও করে। বাচ্চারা, তোমরাই জানো যে এতো বড় দুনিয়াকে কম করা এ তো একমাত্র বাবার-ই কাজ। বাবা আসেনই কম করতে। আহ্বান করা হয় যে, বাবা এসো অধর্ম বিনাশ করো অর্থাৎ সৃষ্টিকে (জনসংখ্যা) কম করো। দুনিয়া তো জানেই না যে বাবা কত কম করে দেয়। অতি অল্পসংখ্যক মনুষ্য থেকে যায়। বাকি সব আত্মারা নিজের ঘরে চলে যায়, পুনরায় নম্বরের ক্রমানুসারে নিজের ভুমিকা পালন করতে আসে। নাটকে যার পার্ট যত দেরীতে থাকে, সে ঘর থেকেও আসে তত দেরীতে। নিজের কাজ-কর্ম ইত্যাদি সম্পূর্ণ করে পরে আসে। নাটকের পার্টধারীরা (কুশীলবরা) নিজের কাজ-কর্ম করে, আবার সময় মতো এসে নাটকে নিজের পার্ট প্লে করতে চলে আসে। তোমাদেরও তেমনই হয়, পরে যাদের পার্ট তারা পরে আসে। যাদের প্রথম-প্রথম অর্থাৎ শুরুতেই পার্ট রয়েছে তারা সত্যযুগের আদিতেই আসে। দেখো, পরে যারা আসার তারা এখনও এসেই চলেছে। শাখা-প্রশাখারা শেষপর্যন্ত আসতেই থাকে।

বাচ্চারা, এইসময়েই তোমাদের জ্ঞানের কথা বোঝানো হয় আর প্রত্যুষে যখন স্মরণ করতে বসো, সেটা হলো ড্রিল। আত্মাকে নিজের পিতাকে তো স্মরণ করতেই হবে। 'যোগ' শব্দটিকে বাদ দাও। এতেই সবাই মুষড়ে পড়ে। বলে যে, আমাদের যোগ লাগে না। বাবা বলেন - আরে! বাবাকে তোমরা স্মরণ করতে পারো না! এটা কি ভালো কথা! স্মরণ না করলে পবিত্র হবে কিভাবে? বাবা-ই হলেন পতিত-পাবন। বাবা এসে ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝান। এ হলো ভ্যারাইটি ধর্মের আর ভ্যারাইটি মানুষের বৃক্ষ। সমগ্র সৃষ্টিতে যত মানুষ রয়েছে সবাই হলো পার্টধারী)। কতো কতো মানুষ, গণনা করা হয় - এক বছরে এত কোটি জন্ম হয়ে যাবে। এতো জায়গা কোথায় ! তখন বাবা বলেন আমি যখন আসি তখন লিমিটেড নম্বর করে থাকি। যখন সব আত্মারা উপর থেকে চলে আসে তখন আমাদের ঘর খালি হয়ে যায়। বাকিরাও যারা থাকে তারাও চলে আসে। বৃক্ষ কখনও শুকায় না, এর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। শেষে যখন কেউ ওখানে থাকবে না, তখন সবাই ফিরে যাবে। নতুন দুনিয়ায় মানুষের সংখ্যা কত অল্পমাত্রায় ছিল, এখন কত অধিকসংখ্যক মানুষ । শরীর তো সকলের বদলে যায়। কিন্তু তারাও জন্ম সেখানেই নেবে যেখানে প্রতি কল্পে নেয়। এই ওয়ার্ল্ড ড্রামা কিভাবে চলে, বাবা ব্যতীত আর কেউ তা বোঝাতে পারে না। বাচ্চারাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে বোঝে। অসীম জগতের নাটক কতো বড়। এ অনেক বোঝার মতো বিষয়। অসীম জগতের পিতা তো জ্ঞানের সাগর। বাকি আর সব তো হলো লিমিটেড । ওরা কিছু বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি লেখে কিন্তু অনেক তো রচনা করতে পারবে না। তোমরা যদি লিখতে থাকো তবে শুরু থেকে নিয়ে কত লম্বা-চওড়া গীতা হয়ে যাবে। আর সব ছাপানো হলে তো একটি বাড়ির থেকেও বড় গীতা তৈরী হয়ে যাবে। তাই মহিমাও করা হয়, সাগর-কে কালি বানাও...... আবার এও বলা হয় যে পাখিরা সাগরকে গ্রাস করে ফেলেছিল। তোমরাই হলে পাখি, জ্ঞানের সমগ্র সাগরকেই পান করে নিচ্ছো। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো। এখন তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করছো। জ্ঞানের দ্বারা সবকিছু জেনে গেছো। প্রতি কল্পেই তোমরা এখানে পঠন-পাঠন করো, তাতে কিছু কম-বেশী হয় না। যে যতটা পুরুষার্থ করে, তার ততটাই প্রালব্ধ তৈরী হয়। প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে আমরা কতটা পুরুষার্থ করে কিরকম পদ প্রাপ্ত করার উপযুক্ত হয়েছি। স্কুলেও নম্বরের ক্রমানুসারে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় দুই-ই হয়। যারা উত্তীর্ণ হতে পারে না তারা চন্দ্রবংশীয়। কেউ জানে না যে রামের হাতে বাণ(তীর-ধনুক) কেন দেখানো হয়েছে? মারামারির (হিংসার) এক হিস্ট্রি তৈরী করে দিয়েছে। এইসময়েই মারামারি হয়। তোমরা জানো, যে যেমন কর্ম করে সে তেমনই ফল পায়। যেমন কেউ যদি হাসপাতাল বানিয়ে দেয় তাহলে পরজন্মে তার আয়ু বৃদ্ধি পাবে আর সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। কেউ যদি ধর্মশালা, স্কুল তৈরী করে সেও আধাকল্প সুখ পাবে। বাচ্চারা যখন এখানে আসে তখন বাবা জিজ্ঞাসা করেন যে, তোমাদের কয়টি সন্তান? তখন (কেউ হয়তো) বলে ৩টি লৌকিক আর এক শিববাবা, কারণ তিনি অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন আর নিয়েও নেন। হিসাব রয়েছে। বস্ততঃ তিনি কিছুই নেন না, তিনি তো দাতা। এক মুঠো চাল দিয়ে তোমরা মহল নিয়ে নাও, তাই তিনি ভোলানাথ। তিনি হলেন পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর। এখন বাবা বলেন, এই যে ভক্তিমার্গের যত শাস্ত্র রয়েছে, আমি এর সার বোঝাই। ভক্তির ফল আধাকল্পের জন্য প্রাপ্ত হয়। সন্ন্যাসীরা বলে, এই সুখ কাক-বিষ্ঠা সমান, তাই তারা ঘর-পরিবার ত্যাগ করে জঙ্গলে চলে যায়। তারা বলে, এই স্বর্গের সুখ চাই না, যাতে পুনরায় নরকে আসতে হয়। আমাদের মোক্ষ (চিরস্থায়ী মুক্তি) চাই। কিন্তু একথা মনে রেখো যে, এ হলো অসীম জগতের নাটক। এই নাটকের থেকে একটি আত্মাও নিষ্কৃতি পেতে পারবে না। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত। তাই তো বলা হয়ে থাকে, যা পূর্ব রচিত, সেটাই আবার তৈরী হচ্ছে.... কিন্তু ভক্তিমার্গে চিন্তা করতে হয়। যা কিছু পাস করে গেছো সেটা পুনরায় হবে। তোমরা ৮৪ জন্মের চক্রকে পরিক্রমা করো। এই পরিক্রমণ কখনও বন্ধ হয় না, এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত । এতে তোমরা নিজেদের পুরুষার্থ কিভাবে উড়িয়ে (বন্ধ) দিতে পারো? বললেই তো তোমরা বেরিয়ে যেতে পারো না। মোক্ষ পাওয়া, জ্যোতি মহাজ্যোতিতে বিলীন হয়ে যাওয়া, ব্রহ্মতে লীন হয়ে যাওয়া - এ সব একই ব্যাপার। অনেক মত রয়েছে, অনেক ধর্ম রয়েছে। ওরা আবার বলে যে,তোমার মতি-গতি তুমিই জানো। তোমার শ্রীমৎ অনুসারে চলেই আমরা সদ্গতি প্রাপ্ত করি। একথা একমাত্র তুমিই জানো, আর তুমি যখন আসো তখনই আমরা জানি এবং পবিত্র হই। আমরা ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ি আর আমাদের সদ্গতি হয়। যখন সদ্গতি হয়ে যায়, তখন কেউ (বাবাকে) ডাকে না। এইসময়েই সকলের উপরে দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে। ওরা(অজ্ঞানীরা) তো বিনা কারনে রক্তপাতের খেলা দেখায় আর গোবর্ধন পর্বতও দেখায়। দেখায় যে, অঙ্গলী দিয়ে ছুঁয়ে পর্বত উঠিয়েছে। কিন্তু তোমরাই এর প্রকৃত অর্থ জানো। তোমরা অতি অল্পসংখ্যক বাচ্চারাই এই দুঃখের পাহাড়কে সরিয়ে দাও। দুঃখও সহ্য করো।

তোমাদেরই সকলকে বশীকরণ মন্ত্র দিতে হবে। কথিত আছে যে, তুলসীদাস চন্দন ঘষে.... (তিলক দেওয়ার জন্য) আর রাজ্য-ভাগ্যের তিলক তোমরা প্রাপ্ত করো নিজ-নিজ পরিশ্রমের (পুরুষার্থ) দ্বারা। তোমরা এখন রাজ্য প্রাপ্ত করার জন্য পড়ছো। রাজযোগ অর্থাৎ যার দ্বারা রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত হয় আর তা পড়ান একমাত্র বাবা। তোমরা এখন ঘরে বসে রয়েছো, এ কোনো দরবার নয়। দরবার তাকে বলে যেখান রাজা-মহারাজারা সম্মিলিত হন। এ হলো পাঠশালা। বোঝানোও হয় যে, কোনো ব্রাহ্মণী এখানে বিকারীকে আনতে পারবে না। অপবিত্ররা বায়ুমন্ডলকে খারাপ করে দেবে, তাই এখানে তাদের আসার অনুমতি নেই। যখন পবিত্র হবে, তখন অনুমতি দেওয়া হবে। এখন অবশ্য কিছু মানুষকে অনুমতি দেওয়া হয়। যদি এখান থেকে গিয়েও অপবিত্র রয়ে যায় তাহলে ধারণা হবে না। এ হলো নিজেই নিজেকে অভিশপ্ত করা। বিকার হলো রাবণের মত্। (পরমাত্মা) রামের মৎ পরিত্যাগ করে রাবণের মত-কে অনুসরণ করে বিকারী হয়ে প্রস্তর-সম হয়ে পড়ে। গরুড়-পুরাণে নানান গালগল্প লিখে গেছে । বাবা বলেন, মানুষ, মানুষই হয়, জন্ত জানোয়ার ইত্যাদি হয় না। পড়াশোনার মধ্যে অন্ধশ্রদ্ধার (কুসংস্কার) কোনো ব্যাপারই নেই। এ হলো তোমাদের পড়াশোনা। স্টুডেন্টরাই পড়াশোনা করে পাশ করে উপার্জন করে। আচ্ছা।

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) বশীকরণ মন্ত্র সকলকে দিতে হবে। ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের পরিশ্রমের দ্বারা রাজ্য-ভাগ্যের তিলক নিতে হবে। এই দুঃখের পাহাড়কে সরানোর জন্য নিজের অঙ্গুলি (সহযোগ) দিতে হবে।

২) সঙ্গমযুগে পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করবার ড্রিল করতে হবে। এছাড়া শুধু যোগ-যোগ বলে মুষড়ে (বিভ্রান্ত) পড়বে না।

বরদান:-
সেবাতে আগত বিঘ্নগুলিকে নিজের উন্নতির সিঁড়ি মনে করে এগিয়ে যাওয়া নির্বিঘ্ন, সত্যিকারের সেবাধারী ভব

সেবা হলো ব্রাহ্মণ জীবনকে সদা নির্বিঘ্ন বানানোর সাধনও আর সেবাতেই বিঘ্নের পেপারও (পরীক্ষা) বেশী আসে। নির্বিঘ্ন সেবাধারীকে সত্যিকারের সেবাধারী বলা হয়। বিঘ্ন আসা এটাও ড্রামাতে পূর্ব নির্ধারিত আছে। আসবেই আর আসতেও থাকবে। কেননা এই বিঘ্ন বা পেপার অনুভবী বানায়। একে বিঘ্ন না মনে করে, অনুভবের উন্নতি হচ্ছে - এই ভাবে দেখো তাহলে উন্নতির সিঁড়ি অনুভব হবে আর এগিয়ে যেতে থাকবে।

স্লোগান:-
বিঘ্ন রূপ নয়, বিঘ্ন-বিনাশক হও।