12.05.2022
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
এই সময় বৃদ্ধ, বাচ্চা, যুবক-যুবতী সকলেরই এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা, কেননা সবাইকে
বাণীর থেকে ঊর্ধ্বে মুক্তিধামে যেতে হবে, তোমরা তাদেরকে ঘরে ফেরার রাস্তা বলে দাও”
প্রশ্নঃ -
বাবার শ্রীমৎ
প্রত্যেক বাচ্চার জন্য আলাদা-আলাদা, একই রকম নয় - কেন?
উত্তরঃ -
কেননা বাবা প্রত্যেক বাচ্চার নাড়ি দেখে, পরিস্থিতি দেখে শ্রীমৎ দেন। মনে করো কেউ
হলো নির্বন্ধন, বৃদ্ধ বা কুমারী, সেবার যোগ্য, তো বাবা রায় দেবেন এই সেবাতে
সম্পূর্ণভাবে লেগে যাও। এছাড়া সবাইকে তো এখানে স্থায়ী ভাবে থেকে যেতে বলবেন না।
যার প্রতি বাবার যে শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয়, তাতেই কল্যাণ আছে। যেরকম মাম্মা বাবা, শিব
বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছেন, এই রকম ফলো করে, তাদের মতো সেবা করে উত্তরাধিকার
নিতে হবে।
গীতঃ-
ভোলানাথের থেকে
অনুপম আর কেউ নেই...
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চারা এই গান শুনেছে। শিবকে ভোলানাথ বলা হয়। আর এই যে ডুগডুগি বাজায়
এতাকে শংকর বলে দিয়েছে। এখানে অনেক আশ্রম আছে, যেখানে বেদ, শাস্ত্র, উপনিষদ ইত্যাদি
শোনানো হয়, এটাও একরকম ডুগডুগি বাজানোর মতো। কতো আশ্রম আছে, যেখানে মানুষ এসে থাকে।
কিন্তু এইম্-অবজেক্ট কিছুই নেই। মনে করে গুরু আমাদেরকে বাণীর থেকে ঊর্ধ্বে
শান্তিধামে নিয়ে যাবেন। এটা ভেবে তারা সেখানে গিয়ে থাকে যে এখানেই প্রাণ ত্যাগ
করবে, কিন্তু বাড়ি (পরমধাম) ফিরে তো কেউই যেতে পারবে না। তারা তো নিজের নিজের মতো
করে ভক্তি ইত্যাদি শেখায়। এখানে তো বাচ্চারা জানে যে এটাই হল সত্যিকারের বাণপ্রস্থ
অবস্থা।বাচ্চা, বৃদ্ধ, যুবক সবাই হল বাণপ্রস্থী। শুধু মুক্তিধামে যাওয়ার জন্য
পুরুষার্থ করাচ্ছেন। এইরকম আর কেউ হবেন না যিনি সদ্গতি বা বাণীর থেকে ঊর্ধ্বে
যাওয়ার রাস্তা বলে দেবেন। গতি সদ্গতি দাতা হলেন এক বাবা-ই। বাবা এইরকম বলবেন না যে
গৃহস্থ ব্যবহারকে ত্যাগ করে এখানে এসে বসে যাও। তবে হ্যাঁ, যে সেবার যোগ্য, তাকে
রাখা যেতে পারে। অন্যদেরকেও বাণপ্রস্থের রাস্তা বলতে হবে, কেননা এখন হল সকলের বাণীর
থেকে ঊর্ধ্বে যাওয়ার সময়। বাণপ্রস্থ বা মুক্তিধামে নিয়ে যান এক বাবা-ই। সেই বাবার
কাছে তোমরা বসে আছো। তারা যদিও বাণপ্রস্থে যায় কিন্তু বাড়ি (পরমধাম) তো ফিরে যেতে
পারেনা। বাণপ্রস্থে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক বাবা-ই আছেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ মত দিচ্ছেন।
কেউ বলে বাবা আমি ঘর পরিবার নিয়ে এখানে এসে বসে যাবো। না, দেখতে হবে যে এ সেবার
যোগ্য নাকি নয়। কেউ বন্ধনমুক্ত, বৃদ্ধ, সেবাধারী, তো তাকে শ্রীমৎ (অনুমতি) দেওয়া
হয়। যেরকম বাচ্চারা বলে যে সেমিনার করো তো সেবা করার যুক্তিগুলি শিখতে পারবো।
কন্যাদের সাথে-সাথে মাতা-রা, পুরুষরাও শিখতে পারবে। সেমিনার তাে এটাই তাই না। বাবা
প্রতিদিন শিক্ষা দিতে থাকেন - কীভাবে কাউকে বোঝানো যায়। রায় দিতে থাকেন। প্রথমে
তো একটাই কথা বোঝাও। পরমপিতা পরমাত্মা যাকে স্মরণ করতে থাকো, তিনি তোমাদের কে হন?
যদি বাবা হয়ে থাকেন, তাহলে বাবার থেকে তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া চাই। তোমরা তো
বাবাকে জানোই না, বলে দাও যে সকলের মধ্যে ভগবান আছেন। প্রতিটি কণাতে ভগবান আছেন।
এখন তোমাদের কি অবস্থা হয়ে গেছে! এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমরা বাবার সম্মুখে
বসে আছি। বাবা আমাদেরকে যোগ্য বানিয়ে, কাঁটা থেকে ফুল বানিয়ে সাথে করে নিয়ে
যাবেন আর অন্যরা তো জঙ্গলের রাস্তা বলে দেয়। বাবা তো কত সহজ রাস্তা বলে দিচ্ছেন।
সেকেন্ডে জীবন্মুক্তি গাওয়া হয়ে থাকে। সেটা মিথ্যা থোড়াই হবে। বাবা বলছেন মানে
তুমি জীবন মুক্ত হয়ে গেছো। বাবা সবার প্রথমে নিজের ঘরে নিয়ে যান। তোমরা সবাই
নিজেদের ঘরকে ভুলে গেছো তাই না। তারা বলে থাকে যে গডফাদার সকল মেসেঞ্জারকে পাঠিয়ে
দেন - ধর্ম স্থাপন করার জন্য, পুনরায় সর্বব্যাপী কেন বলে দেয় ? উপর থেকে পাঠিয়ে
দেন তাই না। তারা বলে ভগবান এক কিন্তু মানেনা। বাবা ধর্ম স্থাপনের জন্য পাঠিয়ে দেন
তো তাদের সংস্থার লোকজনও তার পিছনে পিছনে আসতে থাকে। সর্ব প্রথম হল দেবী-দেবতাদের
সংস্থা। সর্বপ্রথম আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের আত্মা লক্ষ্মী-নারায়ণ আসবেন নিজের
প্রজার সাথে, অন্য কোনো ধর্মের আত্মা প্রজার সাথে আসেন না। তারা একজন আসে তারপর
দ্বিতীয় তৃতীয় জন আসে। এখানে তোমরা সবাই তৈরি হচ্ছো বাবার থেকে উত্তরাধিকার
নেওয়ার জন্য। এটা হল স্কুল। ঘরে থেকে একঘন্টা আধঘণ্টা... আধা ঘন্টা, পৌনে আধা ঘন্টা
হলেও বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা এক সেকেন্ডে বলতে পার যে, পরমপিতা পরমাত্মার সাথে
তোমাদের কি সম্বন্ধ ? মুখে বলেও থাকে যে পরমপিতা... তিনি হলেন সকলের বাবা,
ক্রিয়েটার তথাপি তাঁকে “বাবা” বলে না স্বীকার করলে তো তাদের কি বলবে! বাবা হলেন
স্বর্গের রচয়িতা তো অবশ্যই স্বর্গের বাদশাহী প্রদান করবেন। ভারতকে দিয়েছিলেন তাই
না। নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য রাজযোগ সর্বজনবিদিত। এটা হল সত্যনারায়ণের কথা
আবার অমর কথাও, তিজরী-র কথা অর্থাৎ তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হওয়ার কথাও। তোমরা
বাচ্চারা জানো যে বাবা আমাদেরকে উত্তরাধিকার প্রদান করছেন। বাবা শ্রীমৎ দিচ্ছেন।
তাঁর মতে চললে অবশ্যই কল্যাণ হবে। বাবা প্রত্যেকের নাড়ি দেখছেন। যার কোনও বন্ধন নেই,
সেবাও করতে পারে। বাবা যোগ্য দেখে তারপর নির্দেশ দেন। পরিস্থিতি দেখে বলা যায় -
তুমি এখানে থাকতে পারো, সেবাও করতে থাকো। যেখানে-যেখানে প্রয়োজন পড়বে, প্রদর্শনীতে
তো অনেকের প্রয়োজন পড়ে। বয়স্ক ব্যক্তিদেরও চাই, কন্যাদেরও চাই। সবারই শিক্ষা
প্রাপ্ত হতে থাকে। এটাই হলো পড়া। ভগবানুবাচ। ভগবান বলা হয় নিরাকারকে। তোমরা
আত্মারা হলে তার বাচ্চা। তোমরা বলো যে ও গডফাদার! তো তাকে পুনরায় সর্বব্যাপী থোড়াই
বলবে। লৌকিক বাবা সর্বব্যাপী হয়ে থাকেন কী ? না, তোমরা ফাদার বলে থাকো আর গাইতে থাকো
পতিত-পাবন বাবা তো অবশ্যই তিনি এখানে এসে সকলকে পাবন বানাবেন। বাচ্চারা তোমরা জানো
যে তোমরা এখন পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছো।
বাবা বলেন - আমার ৫
হাজার বছরের পর পুনরায় এসে মিলিত হওয়া বাচ্চারা, তোমরা পুনরায় উত্তরাধিকার
নেওয়ার জন্য এসেছ। জানো যে রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। যেরকম মাম্মা বাবা শিব বাবার থেকে
উত্তরাধিকার নিচ্ছেন, আমরাও তাঁর থেকে নিচ্ছি, ফলো করো। মাম্মা-বাবা যেরকম সেবা
করছেন সেই রকম সেবা করো। মাম্মা বাবা নর থেকে নারায়ণ হওয়ার কাহিনি শুনিয়ে থাকেন।
আমরা তাহলে কম কেন শুনবো! তোমরা জানো যে, তারাই সূর্যবংশী পুনরায় চন্দ্রবংশীও হবেন।
প্রথমে তো সূর্যবংশীতে যেতে হবে তাইনা। বোধগম্য তো হয়েছে তাইনা। বোধগম্যতা না হলে
তো স্কুলে কেউ বসতে পারবে না। বাবা শ্রীমত দিচ্ছেন। আমরা জানি যে এনার মধ্যে বাবা
প্রবেশ করেছেন। না হলে তো প্রজাপিতা কোথা থেকে আসবেন! ব্রহ্মা তো হলেন সূক্ষ্ম
বতনবাসী। প্রজাপিতা তো এখানে চাই, তাই না। বাবা বলেন যে ব্রহ্মার দ্বারা আমি স্থাপনা
করছি। কাদের ? ব্রাহ্মণদের। এই ব্রহ্মার মধ্যে প্রবেশ করি। তোমরা আত্মারাও শরীরে
প্রবেশ করো তাই না। আমাকে বলো - জ্ঞানের সাগর। তো আমি নিরাকার জ্ঞান কীভাবে শোনাবো
? কৃষ্ণকে তো জ্ঞানের সাগর বলে না। কৃষ্ণের আত্মা অনেক জন্মের অন্তিমে জ্ঞান নিয়ে
পুনরায় কৃষ্ণ হন, এখন কৃষ্ণ নেই। তোমরা জানো যে ভগবানের দ্বারা রাজযোগ শিখে
দেবী-দেবতারা স্বর্গের মালিক হয়েছিলেন। বাবা বলেন যে কল্প-কল্প তোমাদেরকে রাজযোগ
শেখাই। পড়াশোনার দ্বারা রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। তোমরা রাজাদেরও রাজা হবে। তোমাদের
এইম-অবজেক্টই হলো এটা। তোমরা এসেছ পুনরায় সূর্যবংশী দেবী-দেবতা হতে। এক দেবী-দেবতা
ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। এখন তো অনেক অনেক ধর্ম আছে। অনেক গুরু আছে। সেই সব কিছুর
অবসান হয়ে যাবে। এইসব গুরুদের গুরু সদ্গতি দাতা হলেন এক বাবা। সাধুদেরও সদ্গতি করতে
এসেছি। পরবর্তী সময়ে তারাও তোমাদের সামনে নতমস্তক হবে, কল্প পূর্বের মতো।
বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে ড্রামার সমস্ত রহস্য আছে। তোমরা জানো যে সূক্ষ্ম বতনে
আছেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকর, ইনি হলেন প্রজাপিতা। তিনি বলেন যে - ব্রহ্মার বৃদ্ধ
শরীরে প্রবেশ করি। বলেন - হে বাচ্চারা, তোমরা সকলে হলে ব্রাহ্মণ, তোমাদের উপরেই
জ্ঞানের কলস রাখি। তোমরা এত জন্ম নিয়েছো। এই সময় হল রৌরব নরক, এছাড়া তো কোনো নদী
নেই যাকে নরক বলা যায়। গরুড় পুরাণে তো অনেক কথা লিখে দিয়েছে। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে
বসে বোঝাচ্ছেন। এটাও তো পড়া'ই হল, তাইনা। তো এখন ভোলানাথ বাবা তোমাদের ভোলা
বাচ্চাদেরকে বসে বোঝাচ্ছেন। গরীব ভোলা বাচ্চাদেরকে পুনরায় উচ্চ থেকে উচ্চতম ধনবান
বানাচ্ছেন। তোমরা জানো যে তোমরা সূর্যবংশী মালিক তৈরি হচ্ছ। পুনরায় আস্তে আস্তে
নিচে নামতে নামতে কি হয়ে গেছো! কতইনা ওয়ান্ডারফুল খেলা। স্বর্গে কতই না মালামাল
ছিলে। এখনও রাজাদের অনেক বড় বড় মহল আছে। জয়পুরেও আছে। এখনই যদি এইরকম মহল হয় তো
আগে না জানি কি রকম ছিলো। গভর্মেন্ট হাউসও এই রকম তৈরি হয়না। রাজাদের মহল বানানোর
কায়দাই আলাদা। আচ্ছা পুনরায় যদি স্বর্গের মডেল দেখতে চাও তো যাও আজমীর শরীফে। একটা
মডেল বানাতেও অনেক পরিশ্রম করেছে। দেখলে তোমাদের অনেক খুশি হবে। এখানে তো বাবা
শীঘ্রই সাক্ষাৎকার করিয়ে দেন। যেটা দিব্যদৃষ্টি দিয়ে দেখেছো সেটা পুনরায় তোমরা
প্র্যাকটিক্যালে দেখতে পাবে। ভক্তি মার্গে ভক্তদের যদিও সাক্ষাৎকার হয় কিন্তু তারা
কোনো বৈকুণ্ঠের মালিক থােড়াই হয়। তোমরা তো প্র্যাকটিক্যালে মালিক তৈরি হচ্ছো। এখন
তো হলোই নরক। একে অপরকে কাটতে, লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে। ছেলে বাবাকে, ভাই বোনকে খুন
করতেও দেরি করেনা। সত্যযুগে লড়াই ইত্যাদির তো কোনো কথাই নেই। এখনকার উপার্জনের
দ্বারা তোমরা ২১ জন্মের জন্য পদ প্রাপ্ত করছো। তো কতই না খুশি হওয়া চাই। প্রথম কথা
হল যদি বাবার পরিচয় আর বাবার বায়োগ্রাফিকে না জানে তো বাবা বলে ডেকে কি লাভ, এত
দান পূণ্য করেও তো ভারতের এই অবস্থা হয়ে গেছে। কিন্তু এটা কেউ বুঝতে পারে না। বলে
যে ভক্তির পর ভগবান প্রাপ্ত হবে। কিন্তু কবে আর কার প্রাপ্ত হবে! ভক্তি তো সবাই করে
কিন্তু সকলের তো রাজত্ব প্রাপ্ত হবে না। কত প্রশ্নই না আছে বোঝার জন্য। তোমরা যে
কাউকেই বলতে পারো যে এই শাস্ত্র ইত্যাদি সব ভুলে যাও, বেঁচে থেকেও মরে যাও।
ব্রহ্মতত্ত্বের থেকে উত্তরাধিকার তো কিছুই প্রাপ্ত হয় না। উত্তরাধিকার তো বাবার
থেকেই প্রাপ্ত হয়। প্রতি কল্পে আমরা তা প্রাপ্ত করি। এটা কোনও নতুন কথা নয়। এখন
নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে। আমাদেরকে এই শরীর ত্যাগ করে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। যত স্মরণ
করবে তো অন্তিম মতি অনুসারে গতি প্রাপ্ত হবে। এই সময়কে বিনাশের সময় বলা যায়।
পাপাত্মাদের হিসেব-নিকেশ সমাপ্ত হবে। এখন যোগবলের দ্বারা পূণ্যাত্মা হতে হবে। খড়ের
গাদায় আগুন লেগে যাবে। আত্মারা সবাই বাড়ি ফিরে যাবে। এক ধর্মের স্থাপনা হয় তো
অনেক ধর্ম অবশ্যই বাড়ি চলে যাবে। শরীর থোড়াই সাথে নিয়ে যাবে।
কেউ মোক্ষ প্রাপ্ত
করতে চায়। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব, যেখানে সবই হচ্ছে পূর্বনির্ধারিত ড্রামা, যেটা
সর্বদা চলতেই থাকে। এর সমাপ্তি কখনো হয়না। অনাদি চক্র কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয় সেটা
এখন বাবা বসে তার রহস্য বোঝাচ্ছেন। এইসব কথা বোঝাতে হবে। যখন অনেকে বোঝার জন্য আসবে
তখন বৃদ্ধি হতে থাকবে। এটা হলো তোমাদের অনেক উচ্চ ধর্ম। এই ধর্মকে পাখিরা খেয়ে ফেলে
আর অন্যান্য ধর্মগুলিকে পাখিরা খায় না। বাচ্চারা তোমাদেরকে এই দুনিয়াতে কোনও শখ
রাখলে চলবে না - এটা হল কবরস্থান। পুরানো দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কি রাখবে? আমেরিকাতে
যারা সেন্সিবেল আছে, তারা মনে করে যে কেউ প্রেরক অবশ্যই আছে। মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে
আছে। বিনাশ তো হবেই। সকলের হৃদয়ে তো এই দুশ্চিন্তা চলতেই থাকে। এটাই ড্রামার
ভবিতব্য, এরকমই তৈরি হয়ে আছে। শিব বাবা তো হলেন দাতা, এঁনার তো কোনও আসক্তি নেই।
তিনি হলেন নিরাকার। এইসব কিছু হল বাচ্চাদের জন্য। নতুন দুনিয়াও হল বাচ্চাদের জন্য।
বিশ্বের বাদশাহী আমরা স্থাপন করছি, আমরাই রাজ্য করব। বাবা হলেন অত্যন্ত নিষ্কামী।
তোমরা বাবাকে স্মরণ করবে তবেই তোমাদের বুদ্ধির তালা খুলে যাবে। তোমরা হলে ডবল
মহাদানী। তন-মন-ধন দিতে থাকো, অবিনাশী জ্ঞান রত্নও দিয়ে থাকো। শিব বাবাকে তোমরা কি
দাও? তারা সবকিছু করণীঘোর (অগ্রদানী) ব্রাহ্মণকে দেয় তাইনা। ঈশ্বর সমর্পনম, ঈশ্বর
ক্ষুধার্থ আছে কি? বা কৃষ্ণ অর্পণম করে দেয়। দু'জনকেই ভিকারি বানিয়ে দিয়েছে। তিনি
তো হলেন দাতা। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
পুরানো দুনিয়ার কোনও জিনিসের প্রতি আসক্তি রেখো না। এই দুনিয়াতে কোনও বিষয়ের শখ
রেখো না কেননা এটা কবরখানা হয়ে যাবে।
২ ) এখন নাটক
সম্পূর্ণ হচ্ছে, হিসেব-নিকেশ সমাপ্ত করে ঘরে যেতে হবে এই জন্য যোগবলের দ্বারা পাপ
কর্ম থেকে মুক্ত হয়ে পূণ্যাত্মা হতে হবে। ডবল দানী হতে হবে।
বরদান:-
খুশির
খোরাকের দ্বারা মন আর বুদ্ধিকে শক্তিশালী বানিয়ে অচল অটল ভব
“বাঃ বাবা বাঃ আর বাঃ
আমার ভাগ্য বাঃ!” সর্বদা এই খুশির গীত গাইতে থাকো। “খুশি” হলো সবথেকে বড় খোরাক,
খুশির মত আর কোনও খোরাক নেই। যে প্রতিদিন খুশির পুষ্টিকর আহার খায় সে সর্বদা সুস্থ
থাকে। কখনও দুর্বল হয় না। এই জন্য খুশির পুষ্টিকর আহার এর দ্বারা মন আর বুদ্ধিকে
শক্তিশালী বানাও তাহলে স্থিতি শক্তিশালী থাকবে। এই রকম শক্তিশালী স্থিতিতে থাকা
আত্মারাই অচল-অটল থাকতে পারে।
স্লোগান:-
মন আর
বুদ্ধিকে অনুভবের সিটে সেট করে দাও তাহলে কখনো আফসেট হবে না।