13.04.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা ২১ জন্মের জন্য তোমাদের অন্তর এমন আনন্দে ভরে দেন যে তোমাদের আনন্দ উপভোগ করতে মেলা ইত্যাদিতে যাওয়ার দরকার নেই"

প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চারা এখন বাবার সহযোগী হয় তাদের জন্য কি কি গ্যারান্টি রয়েছে?

উত্তরঃ  
শ্রীমৎ অনুসারে রাজধানী স্থাপনের কাজে সহযোগী বাচ্চাদের জন্য গ্যারান্টি রয়েছে যে, তাদের কখনও কাল গ্রাস করতে পারে না। সত্যযুগী রাজধানীতে কখনও অকালে মৃত্যু হতে পারে না। সহযোগী বাচ্চাদের বাবা এমন প্রাইজ দেন যার দ্বারা তারা ২১ জন্ম অমর হয়ে যায় ।

ওম্ শান্তি ।
পূর্ব নির্মিত সৃষ্টি চক্র অনুযায়ী কল্প পূর্বের মতন শিব ভগবানুবাচ। নিজের পরিচয় তো বাচ্চারা এখন পেয়েছে। পিতার পরিচয়ও প্রাপ্ত হয়েছে। অসীম জগতের পিতাকে জেনেছো এবং অসীম জগতের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের কথাও জেনেছো। নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে কেউ ভালো ভাবে জেনে অন্যদের বোঝাতে পারে। কেউ আধা বোঝে, কেউ আরো কম। যেমন লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কেউ কমান্ডার চীফ, কেউ ক্যাপ্টেন, কেউ অন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকে। রাজত্বের মালাতেও কেউ ধনী প্রজা, কেউ গরীব প্রজা, নম্বর অনুযায়ী হয়। বাচ্চারা জানে অবশ্যই আমরা নিজেরাই শ্রীমতের আধারে সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ রাজধানী স্থাপন করি। যে যত পরিশ্রম করে সে বাবার কাছে তত পুরস্কার প্রাপ্ত করে। আজকাল শান্তির জন্য পরামর্শ দিলেও প্রাইজ দেওয়া হয়। বাচ্চারা তোমাদেরও প্রাইজ দেওয়া হয়। সেসব তারা প্রাপ্ত করে না। তারা সবকিছু অল্পকালের জন্য প্রাপ্ত করে। তোমরা বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী নিজেদের রাজধানী স্থাপন করছো। তাও ২১ জন্মের জন্য, ২১ কুলের গ্যারান্টি সহ। সেখানে শৈশবে বা যৌবনে কাল (মৃত্যু) গ্রাস করে না। এই কথাও জানো যে, না তোমাদের মন ছিল, না চিত্ত ছিল, এখন আমরা এমন স্থানে এসে বসেছো, যেখানে তোমাদের স্মরণিক রয়েছে । যেখানে ৫ হাজার বছর পূর্বেও সার্ভিস করা হয়েছিল। দিলওয়ারা মন্দিন, অচলঘর, গুরু শিখর আছে। উঁচু থেকে উঁচু সদগুরুও তোমরা পেয়েছো, তাঁরও স্মরণিক রয়েছে। অচলঘরের রহস্য তোমরা বুঝেছো। সেটা হলো (পরমধাম) ঘরের মহিমা। তোমরা উঁচু থেকে উঁচু পদ প্রাপ্ত করো নিজস্ব পুরুষার্থ দ্বারা। এ হলো ওয়ান্ডারফুল তোমাদের জড় স্মরণিক। সেখানেই তোমরা চৈতন্যে এসে বসেছো। এই সব হল রূহানী কারবার, যা কল্প পূর্বেও এমনই হয়েছিল। তার পুরো স্মরণিক এখানে আছে। নম্বর অনুযায়ী স্মরণিক আছে। যেমন কোনও বিশেষ বড় পরীক্ষা পাস করলে অন্তরে খুশীর অনুভূতি হয়, চমক দীপ্তি বেড়ে যায় । তার ফার্নিচার, পোশাক আশাকে সব ভালো হয় । তোমরা তো বিশ্বের মালিক হও। তোমাদের কারও সঙ্গে তুলনা হয় না। এও হলো স্কুল। যিনি পড়াচ্ছেন তাঁকে তোমরা জানো। ভগবানুবাচ, ভক্তিমার্গে যাঁকে স্মরণ করো, পূজো করো, কিছুই জানা থাকে না। বাবা নিজে সম্মুখে এসে সব রহস্য বুঝিয়ে দেন, কারণ এই স্মরণিক গুলি সব তোমাদের ভবিষ্যতের স্থিতির স্মারক চিহ্ন। এখনও রেজাল্ট বের হয়নি। যখন তোমাদের অবস্থা সম্পূর্ণ হয়, তখন ভক্তিমার্গে তারই স্মরণিক তৈরি হয়। যেমন রাখী বন্ধন উৎসব পালনের স্মরণিক রয়েছে। যখন সম্পূর্ণ পাকা রাখী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমরা নিজের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করি, তখন সেই স্মরণিক পালন হয় না। এখন তোমাদের সব মন্ত্রের অর্থ বোঝানো হয়েছে। ওম্ শব্দের অর্থ বোঝানো হয়েছে। ওম্ শব্দের অর্থ বিশাল নয়। ওম্ এর অর্থ হল অহম আত্মা, মম শরীর অর্থাৎ আমি আত্মা, আমার শরীর। অজ্ঞান কালে তোমরাও দেহ অভিমানে থাকো, তখন নিজেকে শরীর নিশ্চয় করো। প্রতিদিন ভক্তিমার্গে আত্মার কোয়ালিটি নীচে নামতে থাকে। তমোপ্রধান হতে থাকে। প্রতিটি জিনিস প্ৰথমে সতোপ্রধান হয়। ভক্তিও প্ৰথমে সতোপ্রধান ছিল। যখন এক সত্য শিববাবাকে স্মরণ করা হতো। তোমাদের সংখ্যাও কম ছিল। প্রতিদিন বৃদ্ধি অনেক হওয়ার আছে। বিদেশে বেশি সন্তান জন্ম নিলে তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। বাবা বলেন কাম হলো মহা শত্রু। সৃষ্টির অনেক বৃদ্ধি হয়েছে, এখন পবিত্র হও।

তোমরা বাচ্চারা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে এখন বাবার দ্বারা জেনেছো। সত্যযুগে ভক্তির নাম গন্ধ থাকে না। এখন তো কত ধুমধাম, মেলার আয়োজন হয়, যেখানে মানুষ গিয়ে আনন্দ পায়। তোমাদের মন তো বাবা এসে আনন্দে ভরে দেন ২১ জন্মের জন্য। ফলে তোমরা সর্বদা আনন্দে থাকো। তোমাদের কখনও মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে হবে না। মানুষ যেখানে যায় সুখের জন্য। তোমাদের পাহাড়ে যাওয়ার দরকার নেই। এখানে দেখো মানুষ কিভাবে মারা যায়। মানুষ তো সত্যযুগ-কলিযুগ, স্বর্গ - নরক কিছুই জানে না। তোমরা বাচ্চারা সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত করো। বাবা বলেন না যে তোমাদের এখানে আমার সঙ্গে থাকতে হবে। তোমাদের ঘর সংসার দেখতে হবে। বাচ্চারা বাবার কাছ থেকে দূরে তখন যায় যখন কোনও কথায় খিটখিট হয়। তবুও তোমরা বাবার সঙ্গে থাকতে পারো না। সবাই সতোপ্রধান হতে পারে না। কেউ সতঃ, কেউ রজঃ, কেউ তমঃ অবস্থায় থাকে। সবাই একত্রে থাকতে পারবে না। এইরূপ রাজধানী তৈরি হচ্ছে। যে যত বাবাকে স্মরণ করবে, সেই অনুসারে রাজধানীতে পদ প্রাপ্ত করবে। মুখ্য কথা হলো বাবাকে স্মরণ করার। বাবা স্বয়ং ড্রিল শেখান। এ হলো ডেড সাইলেন্স। তোমরা এখানে যা কিছু দেখছো, সেসব দেখবে না। দেহ সহ সবকিছু ত্যাগ করতে হবে। তোমরা কি দেখছো? এক নিজের ঘর (পরমধামে) আর পড়াশোনা অনুযায়ী যে পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করো, ঐ সত্যযুগী রাজত্বও তোমরাই জানো। যখন সত্যযুগ আছে তো ত্রেতা নেই, ত্রেতা আছে তো দ্বাপর নেই, দ্বাপর আছে তো কলিযুগ নেই। এখন কলিযুগ ও সঙ্গমযুগ দুই-ই আছে। যদিও তোমরা বসে আছো পুরানো দুনিয়ায় কিন্তু বুদ্ধি দ্বারা বুঝেছো যে, আমরা হলাম সঙ্গমযুগী। সঙ্গমযুগ কাকে বলে - সে কথাও তোমরা জানো। পুরুষোত্তম বর্ষ, পুরুষোত্তম মাস, পুরুষোত্তম দিনও এই পুরুষোত্তম সঙ্গমেই হয়। পুরুষোত্তম হওয়ার মুহূর্তটিও এই পুরুষোত্তম যুগেই আছে। এই যুগ হলো খুবই কম সময়ের লীপ যুগ। তোমরা ডিগবাজি খেলো, যার দ্বারা তোমরা স্বর্গে আসো। বাবা দেখেছেন সাধু সন্ন্যাসীরা বা অন্য মানুষরা কিভাবে ডিগবাজি (দন্ডী) দিতে দিতে যাত্রা করে। খুব কষ্ট করে। কিন্তু এটা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়। এ হলো যোগবলের কথা। বাচ্চারা, স্মরণের যাত্রা কি তোমাদের কঠিন অনুভব হয়? নাম তো খুব সহজ রাখা হয়েছে। যাতে কেউ শুনে ভয় না পায়। তারা বলে বাবা আমরা যোগে থাকতে পারি না। বাবা তখন হাল্কা করে দেন। এ হলো বাবার স্মরণ। স্মরণ তো সবকিছু করা হয়। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। তোমরা হলে বাচ্চা তাইনা। উনি তোমাদের পিতা এবং দয়িত-ও হলেন তিনি। সব দয়িতারা তাঁকে স্মরণ করে। তবে বাবা শব্দটিও যথেষ্ট। ভক্তিমার্গে তোমরা মিত্র আত্মীয় স্বজনদের স্মরণ করো, তবু হে প্রভু, হে ঈশ্বর অবশ্যই বলো। কেবল জানো না যে তিনি কে । আত্মাদের পিতা হলেন পরমাত্মা। এই দেহের পিতা তো হলেন দেহধারী। আত্মাদের পিতা হলেন অশরীরী। তিনি কখনও পুনর্জন্মে আসেন না। অন্যরা সবাই পুনর্জন্ম আসে, তাই বাবাকেই স্মরণ করে। নিশ্চয়ই কখনো সুখ দিয়েছিলেন। ওঁনাকে বলা হয় দুঃখহর্তা সুখ কর্তা।কিন্তু তাঁর নাম, রূপ, দেশ, কাল-কে তারা জানে না। যত মানুষ তত কথা। নানা জনের নানান মত ।

বাবা কতখানি ভালোবেসে পড়ান। তিনি হলেন ঈশ্বর, শান্তি দাতা। তাঁর কাছে অনেক সুখ প্রাপ্ত হয়। একটাই গীতা শুনিয়ে পতিতদের পবিত্র করেন। প্রবৃত্তি মার্গও চাই তাইনা। মানুষ কল্পের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে, তাহলে অসংখ্য মানুষ হয়ে যেতো। কতখানি ভুল করেছে। এই জ্ঞান তোমরা এখন প্রাপ্ত করো যা পরে লুপ্ত প্রায় হয়ে যায়। চিত্র তো আছে, যাঁদের পূজা হয়। কিন্তু নিজেদের দেবতা ধর্মের নিশ্চয় করে না। যে যাঁর পূজো করে, সে সেই ধর্মের তাইনা। এই কথা বুঝতে পারে না যে আমরা হলাম আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের । তাঁদেরই বংশধর। এই কথা বাবা-ই বুঝিয়ে দেন। বাবা বলেন তোমরা পবিত্র ছিলে, পরে তমোপ্রধান হয়েছো, এখন পবিত্র সতোপ্রধান হতে হবে। গঙ্গা স্নান করে কি সেইরূপ হওয়া যাবে ? পতিত-পাবন তো হলেন বাবা। তিনি যখন এসে পথ বলে দেবেন তখন তো পবিত্র হবে। আহবান করে কিন্তু কিছুই জানে না। আত্মা ডাকে অর্গ্যান্স দ্বারা - হে পতিত-পাবন বাবা এসে আমাদের পবিত্র করো। সবাই পতিত, কাম চিতায় জ্বলে পুড়তে থাকে। এই খেলা এই রকমই তৈরি হয়ে আছে। তারপরে বাবা এসে সবাইকে পবিত্র করেন। এইসব বাবা সঙ্গমে-ই বোঝান। সত্যযুগে থাকে একটি ধর্ম, বাকি সব ফেরত চলে যায়। তোমরা ড্রামাকে বুঝেছো, যা অন্য কেউ জানে না। এই রচনার আদি, মধ্য, অন্ত কি, ডিউরেশন কত, এইসব তোমরা জানো। তারা সবাই হলো শূদ্র, তোমরা হলে ব্রাহ্মণ। তোমরাও জানো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। কেউ গাফিলতি করলে তাদের রেজিস্টার থেকে দেখা যায় যে পড়াশোনা কম করেছে। ক্যারেক্টারের রেজিস্টার থাকে। এখানেও রেজিস্টার থাকা উচিত। এ হল স্মরণের যাত্রা, যার জ্ঞান কারও নেই। সবচেয়ে মুখ্য সাবজেক্ট হলো স্মরণের যাত্রা। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আত্মা এই মুখ দিয়ে বলে আমরা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি। এইসব কথা ব্রহ্মা বাবা বোঝান না। কিন্তু জ্ঞান সাগর পরমপিতা পরমাত্মা এই রথে বসে শোনান। বলা হয় গৌ মুখ। এখানে মন্দিরও আছে, যেখানে তোমরা বসে আছো। যেমন তোমাদের সিঁড়ি আছে, তেমনই সেখানেও সিঁড়ি আছে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে তোমাদের ক্লান্তি বোধ হয় না।

তোমরা এখানে এসেছো বাবার কাছে পড়াশোনা করে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য। সেখানে সাংসারিক ঝামেলা অনেক থাকে। শান্তিতে বসে শুনতেও পারেনা। চিন্তন বা সঙ্কল্প চলতেই থাকে - কেউ যেন না দেখে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে যাই। অনেক চিন্তা থাকে। এখানে কোনও চিন্তা নেই, যেমন হোস্টেলে থাকে। এখানে ঈশ্বরীয় পরিবার আছে। শান্তিধামে ভাই-ভাই থাকে। এখানে ভাই-বোন আছে কারণ এখানে পার্ট প্লে করতে হয় তাই ভাই-বোন চাই। সত্যযুগেও তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাই-বোন ছিলে। তাকে বলা হয় অদ্বৈত রাজধানী। সেখানে লড়াই ঝগড়া কিছু হয় না। বাচ্চারা, তোমরা সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ যে আমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি। যে বেশী ভক্তি করেছে, তার হিসেবও বাবাই বলে দেন। তোমরা-ই শিবের অব্যভিচারী ভক্তি করা শুরু করো। তারপরে বৃদ্ধি হয়। সেসব হলো ভক্তি। জ্ঞান তো একটাই। তোমরা জানো আমাদের শিববাবা পড়ান। এই ব্রহ্মা তো কিছুই জানতেন না। যিনি ছিলেন গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার তিনিই এইসময় হয়েছেন, তারপরে তিনি মালিক হবেন, তৎত্বম্ (সেই রকম তোমরাও হও) । একজন তো মালিক হবেন না তাইনা। তোমরাও পুরুষার্থ করো। এ হলো অসীম জগতের স্কুল। এর অনেক ব্রাঞ্চেস হবে। প্রতিটি গলিতে প্রতিটি ঘরে হয়ে যাবে। বলা হয় আমরা নিজের ঘরে চিত্র রেখেছি, মিত্র আত্মীয় স্বজন ইত্যাদি এলে তাদের বোঝানো হয়। যারা এই গাছের পাতা হবে তারা আসবে। তাদের কল্যাণের জন্য তোমরা করে থাকো। চিত্রের দ্বারা বোঝানো সহজ হবে। শাস্ত্র তো অনেক, এখন সব ভুলতে হবে। বাবা পড়াচ্ছেন, তিনি-ই সত্য জ্ঞান প্রদান করেন। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) ডেড সাইলেন্সের ড্রিল করার জন্য এখানে চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছো, সেসব দেখবে না। দেহ সহ বুদ্ধির দ্বারা সবকিছু ত্যাগ করে নিজের ঘর (পরমধাম) আর রাজত্ব (স্বর্গ) স্মৃতিতে থাকতে হবে।

২ ) নিজের ক্যারেক্টারের রেজিস্টার রাখতে হবে। পড়াশোনায় কোনও গাফিলতি করবে না। এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে পুরুষোত্তম হতে হবে এবং অন্যকে পুরুষোত্তম বানাতে হবে।

বরদান:-
সদা সর্ব প্রাপ্তিগুলির দ্বারা ভরপুর থাকা হর্ষিতমুখ, হর্ষিতচিত্ত ভব

যখনই কোনও দেবী বা দেবতার মূর্তি বানানো হয় তো তাতে চেহারা সদা হর্ষিত দেখানো হয়। তো তোমাদের এখনকার হর্ষিতমুখ থাকার স্মরণিক চিত্রতেও দেখিয়ে থাকে। হর্ষিতমুখ অর্থাৎ সদা সর্বপ্রাপ্তিতে ভরপুর। যে ভরপুর থাকে সে-ই হর্ষিত থাকতে পারে। যদি কোনও অপ্রাপ্তি হয় তো হর্ষিত থাকতে পারবে না। কেউ যতই হর্ষিত থাকার চেষ্টা করুক, বাইরে থেকে হাসবে কিন্তু হৃদয় থেকে নয়। তোমরা তো হৃদয় থেকে হাসতে থাকো, কেননা সর্বপ্রাপ্তিতে ভরপুর হর্ষিতচিত্ত।

স্লোগান:-
পাস উইথ অনার হতে হলে প্রতিটি খাজানার জমার খাতা যেন ভরপুর থাকে ।