13.05.2022
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেছেন - তোমরা ব্রাহ্মণরা এই যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ করবে,
তারজন্য তোমাদের পবিত্র অবশ্যই থাকতে হবে"
প্রশ্নঃ -
অন্তিম সময়ে
বাবা কোন্ বাচ্চাদের সহায়তা প্রদান করেন ?
উত্তরঃ -
যারা ভালোভাবে সার্ভিস করে তাদের অন্তিমে যখন অনেক বিপর্যয় আসবে সেই সময় সহায়তা
প্রাপ্ত হবে। অবশ্যই যারা বাবার সহায়ক হয়েছে, বাবা তাদের সহায়তা করবেন।
প্রশ্নঃ -
ওয়ান্ডারফুল
চেহারা কোনটি ? তার স্মরণিক কোন্ রূপে আছে ?
উত্তরঃ -
শিববাবা যাঁর নিজস্ব চেহারা (মুখমণ্ডল) নেই, তিনি যখন এই চেহারার আধার নেন তখন সেটি
হয়ে যায় ওয়ান্ডারফুল চেহারা সেইজন্য তোমরা বাচ্চারা সম্মুখে চেহেরা দেখবার জন্য
আসো। এর স্মরণিক রুন্ড মালায় মুখ (মুন্ড) দেখানো হয়।
গীতঃ-
কত মিষ্টি কত
প্রিয় শিব ভোলা ভগবান..
ওম্ শান্তি ।
বেহদের পিতা
বলেন, আমি একবারই ৫ হাজার বছর পরে বাচ্চাদের চেহারা (মুখ) দেখি। বাবার তো নিজস্ব
কোনো চেহারা নেই। শিববাবাও পুরাতন শরীরের লোন নেন। তাই তোমরা বাপদাদা উভয়েরই চেহারা
দেখতে পাও। তখনই তো বলেন বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন স্বীকার হোক। এখন রুন্ড মালা
তো বাচ্চারা দেখেছে, তাতে মুন্ড দেখানো হয়। রুন্ড মালা বানানো হলে শিববাবারও এইরকম
চেহারা দেখতে পাবে। এটা কেউ জানে না যে, শিববাবাও এসে শরীরের লোন নেন। শিববাবা এই
ব্রহ্মার মুখের দ্বারা বার্তালাপ করে থাকেন। তাহলে এটা ওঁনার মুখ হয়ে গেল তাই না।
এই সময় একবারই বাবা এসে বাচ্চাদের চেহারা বা মুখ দেখেন। বাচ্চারা জানে যে শিববাবা
এই মুখ ভাড়া দিয়ে লোন নিয়েছেন। এরকম বাবাকে নিজের বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় কত লাভ হয়।
প্রথমে এঁনার কান শোনে। যদিও দ্রুত তোমরা শুনতে পাও কিন্তু তাও সবথেকে কাছাকাছি হল
এঁনার কান। তোমাদের আত্মা তো দূরে বসে আছে তাই না। আত্মারা যদি কানের সাহায্যে শোনে
তাহলে তাতে অল্প বিস্তর পার্থক্য থাকবে। তোমরা বাচ্চারা এখানে আসো সম্মুখে চেহারা
দেখার জন্য। এটি হল ওয়ান্ডারফুল চেহারা। শিবরাত্রি পালন করে তাহলে অবশ্যই শিববাবা
যিনি নিরাকার তিনি এখানে এসে প্রবেশ করেন তাহলে ওঁনার হল এটা ভারত দেশ। ভারত হল
অবিনাশী পরমপিতা পরমাত্মার জন্মস্থান। কিন্তু ওঁনার জন্ম অন্য মনুষ্যদের সদৃশ্য হয়
না। স্বয়ং বলেন আমি এসে এর শরীরে প্রবেশ করি তারপর বাচ্চাদের জ্ঞান শোনাই। আর অন্য
সকল আত্মাদের নিজস্ব শরীর থাকে। আমার কোনো শরীর নেই। শিবের সর্বদা লিঙ্গ রূপ দেখানো
হয়। রুদ্র যজ্ঞ যখন রচনা করে তখন মাটির গোল-গোল লিঙ্গ বানায়। শালগ্রাম ছোট-ছোট
বানায়, শিবলিঙ্গ বড় বানায়। বাস্তবে ছোট-বড় হয় না। কেবল দেখানোর জন্য যে উনি
হলেন পিতা আর ওরা হল বাচ্চা। পূজাও দুজনের আলাদা-আলাদা করে। মনে করে উনি হলেন শিব
আর ওরা হল শালগ্রাম। এইরকম তো বলে না যে সকলেই শিবই শিব। না। শিবলিঙ্গ বড় বানায়
আর শালগ্রাম ছোট-ছোট বানায়। এই সব বাচ্চারা ওঁনার সাথেই আছে। বাবা বুঝিয়েছেন এই
শালগ্রামের পূজা কেন করো ? তোমরা সকলে হলে আত্মা তাই না। তোমরা এই শরীরের দ্বারা
ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী বানাচ্ছো। শিববাবার শ্রীমত শালগ্রাম নিচ্ছে। এই জ্ঞান যজ্ঞও
রচনা করেছেন - রুদ্র শিববাবা। শিববাবা বার্তালাপ করেন, শালগ্রামও বার্তালাপ করে। এ
হল অমরকথা, সত্য নারায়ণের কথা। মানবকে নর থেকে নারায়ণ বানায়। সবথেকে উঁচু পূজা হল
ওঁনারই তাই না। আত্মা অনেক বড় নয়। একদমই বিন্দু সদৃশ্য। এর মধ্যে কত নলেজ(জ্ঞান)
আছে, কত পার্ট লিপিবদ্ধ করা আছে। এত ছোটো একটা আত্মা বলে আমি শরীরে প্রবেশ করে
পার্ট প্লে করি। শরীর হল কত বড়। শরীরে আত্মা প্রবেশ হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই পার্ট প্লে
করতে শুরু করে দেয়। অনাদি অবিনাশী পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। শরীর তো হল জড়। তার মধ্যে
যখন চৈতন্য আত্মা প্রবেশ করে তারপর গর্ভে শাস্তি ভোগ করতে থাকে। শাস্তিও কীরকম ভোগ
করে। ভিন্ন-ভিন্ন শরীর ধারণ করে, যাকে-যাকে যেরকম ভাবে দুঃখ দিয়েছে সেগুলি সে
সাক্ষাৎকার করতে থাকে। দন্ড পেতে থাকে। ত্রাহি-ত্রাহি করতে থাকে, সেইজন্য গর্ভ জেল
বলা হয়। ড্রামা কি সুন্দর ভাবে তৈরি হয়েছে। কত পার্ট প্লে করে। আত্মা প্রতিজ্ঞা
করে আমি কখনোই পাপ করবো না। এত ছোট একটা আত্মা কত অবিনাশী পার্ট প্রাপ্ত করেছে। ৮৪
জন্মের পার্ট প্লে করে,আবার পুনরাবৃত্তি করে। আশ্চর্যজনক তাই না। এ'সব বাবা বসে
বোঝান। বাচ্চারাও বোঝে - এ হল যথার্থ কথা। এত ছোট বিন্দুর মধ্যে কত পার্ট ভরা থাকে।
আত্মার অনেকের সাক্ষাৎকার হয়। গায়নও করে আত্মা হল স্টার, এই ভ্রূকুটির মধ্যবর্তী
স্থলে থাকে। কত পার্ট প্লে করে, একে বলা হয় নেচার (প্রকৃতি) । তোমরা তো জানো আমরা
আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি। কত পার্ট প্লে করে। আমাদের বাবা এসে
বোঝান। কত উচ্চ নলেজ এটি। দুনিয়ার কারো কাছে এই নলেজ নেই। ইনিও তো মানুষই ছিলেন
তাই না ! এনার মধ্যে এখন বাবা প্রবেশ করেছেন। এইরকম নয় কোনো গরু গোঁসাইয়ের শিষ্য
ইনি। তার থেকে ঋদ্ধি-সিদ্ধি শিখেছেন। কেউ-কেউ মনে করে গুরুর বরদান অথবা গুরুর শক্তি
প্রাপ্ত করেছে। এই কথাগুলিই হল সম্পূর্ণ পৃথক। সম্মুখ শোনায় তোমরা অনেক আনন্দিত হও।
জানো যে আমাদের বাবা সম্মুখে বোঝাচ্ছেন। বাবাও হলেন ততটাই ছোট, যতটা আমরা আত্মারা
ছোট। ওঁনাকে বলা হয় - পরমপিতা পরমাত্মা, পরম অর্থাৎ সুপ্রীম। ঊর্ধ্বের থেকেও
ঊর্ধ্বে পরমধামে থাকেন যিনি। ঊর্ধ্বের থেকে ঊর্ধ্বে তোমরা বাচ্চারাও থাকো। বাবা কত
সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কথা শোনান। প্রথম দিকে কখনই এরকম বোঝাতে নাকি। দিন দিন তোমরা
বাচ্চারা কত গম্ভীর জ্ঞান প্রাপ্ত করতে থাকো। কে প্রদান করেন ? উঁচুর থেকেও উঁচু
ভগবান। তিনি এসে বলেন বাচ্চারা.... আত্মা কীভাবে অরগ্যান্সের দ্বারা বার্তালাপ করে।
বলেও থাকে সেটি ভ্রুকুটির মধ্যবর্তী স্থলে জ্বলজ্বল করে। কিন্তু কেবলমাত্র বলার
জন্যই বলে থাকে, কারো বুদ্ধিতে নেই। কারো এই নলেজ নেই যে অন্যজনকে বোঝাবে। তোমাদের
মধ্যেও এই কথা অনেক কমজনই বুঝতে পারে। যারা বোঝে তারা আবার ভালোভাবে ধারণ ক'রে আর
অন্যদের ধারণ করায় অর্থাৎ বর্ণনা করে। পরমপিতা পরমাত্মা বলে থাকো, তাহলে তো পিতার
থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া উচিত তাই না। স্বর্গের মালিক হওয়া উচিত।
ওদের অবশ্যই পিতার থেকেই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছিল। কোথায় উত্তরাধিকার
দিয়েছিল ? সত্যযুগে দিয়েছিলেন ? নিশ্চয়ই তাদের অতীতের কর্ম। এখন তোমরা কর্মের
থিওরিকে বুঝছো। তোমাদের বাবা এইরকমই কর্ম শেখাচ্ছে যার ফলে তোমরা এইরকম হতে পারছো।
যখন তোমরা ব্রহ্মা মুখাবংশাবলী হয়েছো তখন শিববাবা ব্রহ্মার মুখের দ্বারা তোমাদের
এই নলেজ শোনান। কত রাত-দিনের পার্থক্য। কত ঘোর অন্ধকার হয়ে গেছে। কেউ বাবাকে জানেই
না, যেখান থেকে আলো প্রাপ্ত করতে পারবে। বলে যে আমরা অভিনেতারা পার্ট প্লে করতে
এসেছি, এই কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু আমরা কে, আমাদের পিতা কে - কিছুই জানে না। সৃষ্টি
চক্র কীভাবে বিবর্তন হচ্ছে, কিছুই জানে না। গায়নও করে থাকে অহল্যা, কুব্জা, গণিকারা
যারা আছে তাদের এসে পঠন-পাঠন করান। প্রদর্শনীতেও অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিত্বরা আসে।
কিন্তু তাদের ভাগ্যে নেই। বাবা হলেন গরিবের ভগবান। একশোর মধ্যে অতি কষ্টে কোনো
উচ্চবিত্ত এই পথে চলার জন্য আসবে। তাও উচ্চপদ প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ স্বল্প
সংখ্যকই করে থাকে। তোমরা হলে গরীব। মাতাদের কাছে টাকা পয়সা ইত্যাদি বেশি থাকে নাকি!
কন্যাদের কাছেই বা কোথা থেকে আসবে। ওরা (মাতা-রা) তো তবুও হাফ পার্টনার। কন্যারা তো
কিছুই পায় না। ওরা ওখানে চলে যায় তারপরে হাফ পার্টনার হয়ে যায়, উত্তরাধিকার নিতে
পারে না। বাচ্চারা(পুত্র সন্তান) তো হল সম্পূর্ণ মালিক। তাই এমন কন্যাদেরই প্রথমে
বাবা নিজের বানান। এক তো হল পঠন-পাঠনের ব্রহ্মচারী জীবন, গরীব তারা, পবিত্র, এদেরই
পূজা হয়। এগুলি হলো সব এখনকারই কথা। এইসময় তোমাদের নাটক চলছে তারপর আবার পূজিত হবে।
শিব জয়ন্তী ব্যতীত কৃষ্ণ জয়ন্তী হতে পারে না। তোমরা জানো যে শিব জয়ন্তী তারপর
কৃষ্ণের, রামের জয়ন্তী হয়। শিব জয়ন্তীর দ্বারা জগত অম্বা, জগৎ পিতারও জন্ম হয়।
তাহলে অবশ্যই জগতেরই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। সমগ্র জগতের মালিক তোমরা হও। জগৎ মাতা
হলেন জগতের মালিক। জগৎ অম্বার অনেক মেলা বসে। ব্রহ্মাকে এত কেউ পূজা করে না। তাই
বাবা মাতাদের আগে এগিয়ে রাখেন। শিব শক্তি মাতাদের সকলে ঠোক্কর মেরেছে, বিশেষতঃ
স্বামীরা(পতি)। ইনি তো হলেন পতিদেরও পতি। কন্যাদেরকে বোঝানো হয়, এই জগৎ অম্বার
কন্যারা হল মাস্টার জগৎ অম্বা তাই না। এই কন্যারাও মায়েদের মতোই কাজ করছে।
মাম্মার মতো তোমরাও
হলে ত্রিকালদর্শী। স্ত্রী-পুরুষ(মেল ফিমেল) উভয়ই আছে। এটি হলো প্রবৃত্তি মার্গ, তাই
না। বেশিরভাগ মাতা'রাই আছে। নামও এদেরই প্রখ্যাত হয়। ব্রহ্মারও এত খ্যাতি হয় না।
সারসিদ্ধ ব্রাহ্মণরা ব্রহ্মাকে পূজা করে। দুই প্রকারের ব্রাহ্মণ হয় - সারসিদ্ধ আর
পুষ্করনী। শাস্ত্র শোনান যারা তারা আলাদা হয়। এইসব কথা বাবা বসে বোঝান। কীভাবে এই
চক্র আবর্তিত হয়। কীভাবে আমি আসি। প্রতিজ্ঞা তো করা আছে তাই না যে আমি এসে ৫ হাজার
বছর পরে আবার জ্ঞান শোনাবো। গানেও তো আছে তাই না। যেটা পাস্ট হয়ে যায়, সেটা আবার
ভক্তিমার্গে গায়ন হয়ে যায়। এ হল অনাদি ড্রামা। কখনই স্যুট(চিত্র গ্রহণ) হয় না,
এর কোন আদি-মধ্য-অন্ত নেই। চলতেই থাকে। বাবা এসে বোঝান - এই ড্রামা কীভাবে চলতে থাকে।
৮৪ জন্ম তোমরাই কর্ম ভোগ করতে থাকো। তোমরাই ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় ইত্যাদি
বর্ণে আসো। শিববাবা আর ব্রাহ্মণ উভয়কেই অদৃশ্য করে দিয়েছে। ব্রহ্মার দ্বারা তোমরা
ব্রাহ্মণদের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রাহ্মণরাই যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পতিতরা যজ্ঞের
রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে না। যজ্ঞ যখন রচনা করা হয় যখন বিকারে যায় না। যাত্রাতেও
বিকারে যায় না। তোমরা এখন রুহানি যাত্রায় আছো, তাই বিকারে যেতে পারবে না। না হলে
বিঘ্ন পড়ে যাবে। তোমাদের হল রুহানি যাত্রা। বাবা বলেন যে আমি আসি বাচ্চারা তোমাদের
নিয়ে যাওয়ার জন্য। মশাদের মত নিয়ে যাব। ওখানে আমরা আত্মারা থাকি। ওটা হল পরমধাম,
যেখানে আত্মারা থাকে। তারপর আমরা এসে দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হই। এখন আবার
ব্রাহ্মণ হয়েছি। যারা ব্রাহ্মণ হবে তারাই স্বর্গে যাবে। ওখানেও দোলনায় দোল খায়
তাই না। ওখানে তোমরা রত্ন -জড়িত দোলায় দুলবে। শ্রীকৃষ্ণের দোলাকে কত সুন্দরভাবে
শৃঙ্গার করে থাকে। তার সাথে সকলের ভালোবাসা আছে। গায়ন করে না - ভজো রাধা গোবিন্দ
চলো বৃন্দাবন... এখন তোমরা বাস্তবে ওখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছো। জানো যে
আমাদের মনস্কামনা পূর্ণ হচ্ছে। এখন তোমরা ঈশ্বরীয় পুরীতে যাচ্ছো। জানো যে বাবা
সবাইকে কীভাবে নিয়ে যায়। যেভাবে মাখন থেকে চুল বেরিয়ে আসে। বাবা তোমাদেরকে কোনো
কষ্ট দেন না। কত সহজে বাদশাহী দেন। বাবা বলেন যেখানে যাবে নিজেদের সেই কৃষ্ণপুরীকে
স্মরণ করো। সর্বপ্রথমে অবশ্যই বাবা তোমাদেরকে ঘরে নিয়ে যাবেন। তারপর সেখান থেকে
পাঠিয়ে দেবে স্বর্গে। এখন তোমরা শ্রীকৃষ্ণপুরীতে যাচ্ছো ভায়া শান্তিধাম। যেরকম ভায়া
দিল্লিতে যাওয়া হয়। এখন বুঝতে পারছো ফিরে যাচ্ছি, আবার আসবো কৃষ্ণপুরীতে। আমরা
শ্রীমত অনুসরণ করে চলছি তাই বাবাকে স্মরণ করতে হবে, পবিত্র হতে হবে। যাত্রাতে সর্বদা
পবিত্র থাকে। পঠন-পাঠনও ব্রহ্মচর্যতে করে থাকে। পবিত্রতা অবশ্যই দরকার। বাবা তবুও
বাচ্চাদেরকে পুরুষার্থ করিয়ে থাকেন। এই সময়ের পুরুষার্থ তোমাদের কল্প-কল্পের হয়ে
যাবে। পুরুষার্থ করতেই হবে তাই না। এই স্কুল হলো অনেক উচ্চ, তাই অবশ্যই পঠন-পাঠন
করতে হবে। স্বয়ং ভগবান পঠন-পাঠন করান। একদিনও মিস্ করলে হবে না। সবথেকে মূল্যবান
পঠন-পাঠন হল এটি। এই বাবা কখনোই মিস্ করবে না। এখানে তোমরা বাচ্চারা সম্মুখে
খাজানার দ্বারা ঝুলি ভরপুর করতে পারো। যত যে পঠন-পাঠন করবে তত তার নেশা ঊর্ধ্বমুখী
হবে। বন্ধন না থাকলে তাহলে স্থিরতা থাকবে। কিন্তু মায়া এইরকমই যে বন্ধনে বেঁধে দেয়।
অনেকেই আছে যারা ছুটিও পায়। বাবা বলেন পুরো রিফ্রেশ হয়ে যাও। বাইরে বেরোলে আর সেই
নেশা থাকে না। অনেকের কেবল মুরলী পঠনের দ্বারাও নেশা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। অনেক বড়
বিপর্যয় আসতে চলেছে। সহায়তা তারাই প্রাপ্ত করতে পারবে যারা সহায়ক হয়েছে, ভালোভাবে
সার্ভিস করবে। তাই তারা অন্তিমে সহায়তাও প্রাপ্ত করবে তাই না। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
পঠন-পাঠন হল সবথেকে মূল্যবান। স্বয়ং ভগবান পড়ান, সেইজন্য একদিনও মিস্ করলে চলবে
না। জ্ঞান খাজানা দিয়ে প্রতিদিন ঝুলি ভরপুর করতে হবে।
২ ) এখন হল
পঠন-পাঠনের সময়, যাত্রায় চলছো। রুদ্র যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, সেইজন্য
পবিত্র অবশ্যই থাকতে হবে। কোনো প্রকার বিকারের বশীভূত হয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করো না।
বরদান:-
ভাগ্যবিধাতা বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া ভাগ্যকে বন্টন আর বৃদ্ধিকারী ভাগ্যবান ভব
সবথেকে বড় ভাগ্য হল
এটা - যে ভাগ্যবিধাতা বাবা আপন করে নিয়েছেন! দুনিয়ার লোক ছটফট করতে থাকে যে
ভগবানের এক মুহূর্তের দৃষ্টি পড়ে যাক আর তোমরা সর্বদা নয়নের মধ্যে সমায়িত হয়ে
আছো। একেই বলা হয় ভাগ্যবান। ভাগ্য হল তোমাদের উত্তরাধিকার। সমগ্র কল্পে এইরকম
ভাগ্য এখনই প্রাপ্ত হয়। তাই ভাগ্যকে বৃদ্ধি করতে থাকো। বৃদ্ধি করার সাধন হল বন্টন
করা। যত অন্যদের বন্টন করবে অর্থাৎ ভাগ্যবান বানাবে তত ভাগ্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
স্লোগান:-
নির্বিঘ্ন আর একরস স্মৃতির অনুভব করতে হলে একাগ্রতার অভ্যাস বাড়াও।