14-04-2024 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 15-03-99 মধুবন


"কর্মাতীত অবস্থায় পৌঁছানোর জন্য কন্ট্রোলিং পাওয়ারকে বাড়াও, স্বরাজ্য অধিকারী হও"


আজ বাপদাদা চতুর্দিকের পরমাত্ম-প্রিয় নিজের রাজা (অত্যন্ত প্রিয়) বাচ্চাদের দেখছেন। এই পরমাত্ম- বৎসলতা বা পরমাত্ম-ভালোবাসা খুব অল্প বাচ্চাদের প্রাপ্ত হয়। খুব অল্প সংখ্যক এমন ভাগ্যের অধিকারী হয়। এমন ভাগ্যবান বাচ্চাদের দেখে বাপদাদাও প্রসন্ন হন। রাজা অর্থাৎ অতি মহিমাযুক্ত বাচ্চা। তো নিজেকে মহিমান্বিত বাচ্চা মনে করো? নামই হলো রাজযোগী। তো রাজযোগী অর্থাৎ মহামহিম বাচ্চা। বর্তমান সময়ও মহামহিম আর ভবিষ্যতেও মহামহিম। নিজের ডবল রাজপদ অনুভব করো তো না? নিজে নিজেকে দেখো যে আমি রাজা তথা মহামহিম হয়েছি? স্বরাজ্য অধিকারী হয়েছি? প্রত্যেক রাজ-দরবারি তোমার অর্ডারে কার্য করছে? রাজার বিশেষত্ব কী হওয়া উচিত, সেটা জানো তো না? রুলিং পাওয়ার আর কন্ট্রোলিং পাওয়ার দুই পাওয়ার তোমাদের কাছে আছে? নিজের কাছে নিজে জিজ্ঞাসা করো যে, রাজ-দরবারি সদা কন্ট্রোলে চলছে?

বাপদাদা আজ বাচ্চাদের কন্ট্রোলিং পাওয়ার, রুলিং পাওয়ার চেক করছিলেন, তো বলো তিনি কী দেখে থাকবেন? তোমরা প্রত্যেকে তো জানো। বাপদাদা দেখেছেন যে এখনও অখন্ড রাজ্য-অধিকার সকলের নেই। মাঝে মাঝে অখন্ড খন্ডিত হয়ে যায়। কেন? সদা স্বরাজ্যের পরিবর্তনে রাজ্যও খন্ডিত করে ফেলে। পর রাজত্বের লক্ষণ হলো - এই কর্মেন্দ্রিয়গুলো অধীন হয়ে যায়। মায়ার রাজ্যের প্রভাব অর্থাৎ পর-অধীন বানানো। বর্তমান সময়ে মেজরিটি তো ঠিক আছে কিন্তু মেজরিটি বর্তমান সময়ে মায়ার বিশেষ প্রভাবে এসে যায়। আদি অনাদি যে সংস্কার রয়েছে তার মাঝখানে মধ্যের অর্থাৎ দ্বাপর থেকে এখন অন্ত পর্যন্ত

সংস্কারের প্রভাবে এসে যায়। স্ব-এর সংস্কারই স্বরাজ্যকে খন্ডিত করে দেয়। তার মধ্যেও বিশেষ সংস্কার - ব্যর্থ ভাবনা, ব্যর্থতে সময় খুইয়ে ফেলা এবং ব্যর্থ কথোপকথনে আসা, তা' শোনা হোক বা শোনানো। একদিকে ব্যর্থের সংস্কার, অন্যদিকে গড়িমসি করার সংস্কার ভিন্ন ভিন্ন রয়্যাল রূপে স্বরাজ্যকে খন্ডিত করে দেয়। কিছু কিছু বাচ্চা বলে যে, সময় সমীপে আসছে কিন্তু যে সংস্কার শুরুতে ইমার্জ ছিল না, সেটা এখন কোথাও কোথাও ইমার্জ হচ্ছে। বায়ুমন্ডলে আরোই ইমার্জ হচ্ছে, এর কারণ কি? বর্তমান সময়ে এই আঘাত মায়ার একটা সাধন। মায়া এর দ্বারা নিজের বানিয়ে পরমাত্ম-মার্গ থেকে সরিয়ে হতোদ্যম বানিয়ে দেয়। তখন তারা ভাবে যে, এখনও পর্যন্ত এরকমই আছে, সুতরাং জানি না সমান হওয়ার সফলতা লাভ হবে কি হবে না। কোনো- না- কোনো বিষয় যেখানে দুর্বলতা থাকবে, সেই দুর্বলতার রূপে মায়া নিরুৎসাহ বানানোর চেষ্টা করে। খুব ভালো ভাবে চলতে চলতে কোনো না কোনো বিষয়ে সংস্কারের উপরে অ্যাটাক ক'রে মায়া পুরানো সংস্কারকে ইমার্জ রূপে রেখে নিরুৎসাহ করার চেষ্টা করে। লাস্টে সব সংস্কার সমাপ্ত হওয়ারই আছে, সেইজন্য কখনো কখনো থেকে যাওয়া সংস্কার ইমার্জ হয়ে যায়। কিন্তু বাপদাদা তোমরা সব ভাগ্যবান বাচ্চাকে বাবা ইশারা দিচ্ছেন - ঘাবড়ে যেও না, এসব মায়ার চাল (আচরণ) বুঝে নাও। আলস্য আর ব্যর্থ - এতে নেগেটিভও এসে যায় - এই দুই বিষয়ে বিশেষ অ্যাটেনশন রাখো। বুঝে যাও যে মায়ার আঘাত - এটা বর্তমান সময়ের একটা সাধন।

বাবার সাথের অনুভব, কম্বাইন্ড-ভাবের অনুভব ইমার্জ করো। এমন নয় যে, বাবা তো আমারই, সাথ তো আছেই আছে। সাথের প্র্যাকটিক্যাল অনুভব ইমার্জ হোক। তাহলে, মায়ার এই আঘাত, আঘাত হবে না, মায়া পরাজয় মেনে নেবে। এটা মায়ার পরাজয়, প্রহার নয়। শুধু ঘাবড়ে যেও না - কী হয়ে গেল, কেন হয়ে গেল! সাহস রাখো, বাবার সাথকে স্মৃতিতে রাখো। চেক করো যে, বাবার সাথ রয়েছে? সাথের অনুভব মার্জরূপে নেই তো? নলেজ রয়েছে যে বাবা সাথে আছেন, নলেজের সাথে সাথে বাবার পাওয়ার কি রয়েছে? আলমাইটি অথরিটি আছেন তো সর্বশক্তির পাওয়ার ইমার্জ রূপে অনুভব করো। একে বলা হয়ে থাকে বাবার সাথের অনুভব হওয়া। হতাশ হয়ে যেও না - বাবা ব্যতীত আর আছেই বা কে, বাবাই তো আছেন। যখন বাবা আছেনই তখন সেই পাওয়ার আছে? যেমন, দুনিয়ার লোককে বলো যদি পরমাত্মা ব্যাপক তবে পরমাত্ম-গুণ অনুভব হওয়া উচিত, প্রতীয়মান হওয়া উচিত। তাইতো বাপদাদাও তোমাদের জিজ্ঞাসা করেন যে যদি বাবা সাথে আছেন, কম্বাইন্ড রয়েছেন তাহলে সব কর্মে পাওয়ার (শক্তি) অনুভব হয়? অন্যদেরও অনুভব হয়? কী বুঝছো? ডবল ফরেনার্স কী ভাবছো? পাওয়ার আছে? সদা আছে? প্রথম কোশ্চেনে তো সবাই হ্যাঁ ক'রে দেয়। তারপরে যখন আরেকটা কোশ্চেন আসে, সদা আছে? তখন চিন্তায় পড়ে যায়। সুতরাং অখন্ড হলো না তো না! তোমরা কী চ্যালেঞ্জ করো? অখণ্ড রাজ্য স্থাপন করছো, নাকি খণ্ডিত রাজ্য স্থাপন করছো? কী করছো? অখণ্ড তো না! টিচার্স বলো, অখণ্ড? তো এখন চেক করো অখণ্ড স্বরাজ্য রয়েছে? রাজ্য অর্থাৎ প্রালব্ধ সদা-র জন্য নেবে নাকি মাঝে মধ্যে যদি কাটা হয় কোনো ক্ষতি নেই? এরকম চাও? নেওয়ার ক্ষেত্রে তো সদা চাই আর পুরুষার্থ করতে কখনো কখনো চলবে, এই ভাবে? ফরেনারদের বলা হয়েছিল তো না যে, নিজের জীবনের ডিকশনারি থেকে সামটাইম আর সামথিং শব্দ বের করে দাও। এখন সামটাইম শেষ হয়েছে? জয়ন্তী বলো। রেজাল্ট দেবে তো না! তো সামটাইম শেষ? যারা মনে করে, সামটাইম শব্দ সদা'র জন্য সমাপ্ত হয়ে গেছে, তারা হাত তোলো। শেষ হয়ে গেছে নাকি শেষ হবে? লম্বা হাত তোলো। বতনের টি.ভি.তে তোমাদের হাত তো এসে গেছে, এখানের টি.ভি.তে সকলের আসে না। এটা কলিযুগী টি.ভি., তাই না, ওখানে জাদুর টি.ভি. সেইজন্য এসে যায়। তবুও খুব ভালো, অনেকে হাত তুলেছে, তাদেরকে সদাকালের অভিনন্দন। আচ্ছা। ভারতবাসী, যাদের এখন প্র্যাকটিক্যালি সদাকালের স্বরাজ্য আছে, সব কর্মেন্দ্রিয় ল' এবং অর্ডারে রয়েছে, তারা হাত তোলো। পাক্কা হাত তুলতে হবে, কাঁচা নয়। সদা স্মরণে রেখো সভার মধ্যে হাত তুলেছো। পরে বাপদাদাকে মিষ্টি মিষ্টি অনেক কথা বলে থাকে। বলে, বাবা আপনি তো জানেন তাই না, কখনো কখনো মায়া এসে যায় তো না! তো নিজের হাতের সম্মান রাখবেন বাবা! ভালো, তবুও সাহস রেখেছো, তো মনোবল হারিও না। সাহসের প্রতি বাপদাদার সহায়তা আছেই আছে।

আজ বাপদাদা দেখেছেন যে বর্তমানে সময় অনুসারে নিজের উপরে, সব কর্মেন্দ্রিয়ের উপরে অর্থাৎ নিজের প্রতি নিজের যে কন্ট্রোলিং পাওয়ার হওয়া উচিত তা' কম আছে, সেটা আরও বেশি প্রয়োজন। বাপদাদা বাচ্চাদের আত্মিক বার্তালাপ শুনে মৃদু মৃদু হাসছিলেন, বাচ্চারা বলে যে পাওয়ারফুল স্মরণ চার ঘণ্টা হয় না। বাপদাদা আট ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা করেছেন আর বাচ্চারা বলে দু'ঘন্টা ঠিক আছে। তাহলে বলো, কন্ট্রোলিং পাওয়ার হয়েছে? আর এখন থেকে যদি এই অভ্যাস না থাকবে তবে সময়মতো পাস উইথ অনার, রাজ্য অধিকারী কীভাবে হতে পারবে! হতে হবে তো না? বাচ্চারা হাসে। আজ বাপদাদা বাচ্চাদের অনেক কথা শুনেছেন। বাপদাদাকে হাসিয়ে থাকে, বলে ট্রাফিক কন্ট্রোল ৩ মিনিট হয় না, শরীরের কন্ট্রোল হয়ে যায়, দাঁড়িয়ে যায়, নাম মনের কন্ট্রোল কিন্তু মনের কন্ট্রোল কখনো হয় কখনো হয় না। কারণ কী? কন্ট্রোলিং পাওয়ারের অভাব। এটা এখন আরও বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। অর্ডার করো, ঠিক যেমন হাত তুলতে যদি চাও তো হাত তুলে থাকো। ক্র্যাক (হাত ভাঙা না থাকলে) যদি না থাকে তো তুলে তো থাকো তাই না! সেরকমই মনের ক্ষেত্রেও, এই সূক্ষ্ম শক্তিকে কন্ট্রোলে আসতে হবে। আনতেই হবে। অর্ডার করো স্টপ তো যেন স্টপ হয়ে যায়। সেবার জন্য ভাবলে আর সেবাতে লেগে গেল। পরমধামে চলো বলার সাথে সাথে যেন পরমধামে চলে যায়। সূক্ষ্মবতনে চলো বললে সেকেন্ডে পৌঁছে যাবে। যা ভাবছ তা' অর্ডারে হোক। এখন এই শক্তিকে বাড়াও। ছোট ছোট সংস্কারে, যুদ্ধে সময় খুইয়ে দিও না, আজ এই সংস্কারকে তাড়ালে, কাল তাকে তাড়ালে! কন্ট্রোলিং পাওয়ার ধারণ করলে তাহলে আর আলাদা আলাদা সংস্কারে টাইম লাগাতে হবে না। ভাবতে হবে না, করতে হবে না, বলতে হবে না, স্টপ তো যেন স্টপ হয়ে যায়। এটা হলো কর্মাতীত অবস্থা পর্যন্ত পৌঁছানোর বিধি। অতএব, কর্মাতীত হতে হবে তো না? বাপদাদাও বলেন, তোমাদেরই হতে হবে। আর কেউ আসবে না, তোমরাই হবে। তোমাদেরই সাথে নিয়ে যাবো কিন্তু কর্মাতীতকে নিয়ে যাবো তো না! সাথে যাবে নাকি পিছনে পিছনে আসবে? (সাথে যাবো) এটা তো খুব ভালো বলেছ। সাথে যাবে, হিসাব চুকিয়ে যাবে? এতে হাঁ জী বলনি। কর্মাতীত হয়ে সাথে যাবে, যাবে তো না! সাথে যাওয়া অর্থাৎ সাথী হয়ে যাওয়া। যুগল তো উত্তম হওয়া চাই, নাকি লম্বা কিংবা ছোট? সমান হওয়া উচিত তো না! সুতরাং কর্মাতীত হতেই হবে। তো কী করবে? এখন নিজের রাজ্য ভালো করে সামলাও। প্রতিদিন নিজের দরবার বসাও। রাজ্য অধিকারী তোমরা, তাই তো না! সুতরাং নিজের দরবার লাগাও, কর্মচারীদের থেকে তাদের অবস্থা জিজ্ঞাসা করো। চেক করো, তারা অর্ডারে চলছে কিনা। ব্রহ্মা বাবাও রোজ দরবার বসিয়েছেন। তোমাদের কপি আছে তো না! তাদেরকে বলো, দেখাও। ব্রহ্মা বাবাও পরিশ্রম করেছেন, প্রতিদিন দরবার বসিয়েছেন তবে কর্মাতীত হয়েছেন। তো এখন কত টাইম প্রয়োজন? নাকি এভাররেডি হয়েছ তোমরা? এই অবস্থা দ্বারা সেবাও ফাস্ট হবে। কেন? কেননা, একই সময়ে মন্সা শক্তিশালী, বাচা শক্তিশালী, সম্বন্ধ- সম্পর্কে আচার-আচরণ আর কান্তি শক্তিশালী। একই সময়ে এই তিন সেবা খুব ফাস্ট রেজাল্ট বের করবে। এমন মনে ক'রো না এই সাধনায় সেবা কম হবে, না। সফলতা সহজভাবে অনুভব হবে। আর সবাই যে সেবারই নিমিত্ত রয়েছে, যদি সংগঠিত রূপে এমন স্টেজ বানায় তবে পরিশ্রম কম এবং সফলতা বেশি হবে। সুতরাং বিশেষ অ্যাটেনশন - কন্ট্রোলিং পাওয়ার বাড়াও। সঙ্কল্প, সময়, সংস্কার সবকিছুর উপরে কন্ট্রোল হবে। বহুবার বাপদাদা বলেছেন - তোমরা সবাই রাজা। যখন যেভাবে চাও, যেখানে চাও, যত সময় চাও সেইভাবে মন-বুদ্ধিকে ল' অ্যান্ড অর্ডারে চলতে দাও। তুমি বললে করতে হবে না, আর তবুও হয়ে চলেছে, করে চলেছে তবে তো সেটা ল' অ্যান্ড অর্ডারে নেই। তো স্বরাজ্য অধিকারী আপন রাজ্যকে সদা প্রত্যক্ষ স্বরূপে আনো। আনতে হবে তো না? তোমরা আনছ কিন্তু বাপদাদা বলেছেন তো না - সদা শব্দ অ্যাড করো। বাপদাদা এখন লাস্টে আরেকবার আসবেন, তার জন্য একটা টার্ন থাকছে তোমাদের। এই লাস্ট টার্নে বাবা তোমাদের রেজাল্ট জিজ্ঞাসা করবেন। ১৫ দিন তো থাকছে তোমাদের, তাই না! তো ১৫ দিনে কিছু তো দেখাবে, নাকি না? টিচাররা বলো, ১৫ দিনে রেজাল্ট হবে?

আচ্ছা - যারা মধুবনের তারা ১৫ দিনে রেজাল্ট দেখাবে। এখন বলো হ্যাঁ কি না! এবার হাত তোলো। (সবাই হাত তুলেছে) নিজেদের হাতের মান রেখো। যারা মনে করে চেষ্টা করবে, সেরকম যারা সচেষ্ট তারা হাত উঠাও। জ্ঞান সরোবর, শান্তিবনের তোমরা উঠে দাঁড়াও। (বাপদাদা মধুবন, জ্ঞান সরোবর, শান্তিবনের মুখ্য নিমিত্ত ভাই-বোনেদের সামনে ডেকেছেন)

বাপদাদা তো আপনাদের ডেকেছেন আপনাদের সাক্ষাৎকার করানোর জন্য । আপনাদেরকে দেখে সবাই খুশি হয়। এখন বাপদাদা কী চাইছেন, সেটা বলছেন। পাণ্ডব ভবন, শান্তিবন, জ্ঞান সরোবর, হসপিটাল এই চার ধাম তো রয়েছে। পঞ্চমটা ছোট। চারটের প্রতিই বাপদাদার একটা আশা আছে - বাপদাদা তিন মাসের জন্য চার ধামে অখন্ড, নির্বিঘ্ন, অনড় স্বরাজ্যধারী রাজাদের রেজাল্ট দেখতে চান। তিন মাস যেন এখান ওখান থেকে কোনও বিষয় সম্পর্কে শোনা না যায়। সব স্বরাজ্য অধিকারী নম্বর ওয়ান, তিন মাসের জন্য এমন রেজাল্ট হতে পারে? (নির্বৈর ভাইয়ের প্রতি) - পান্ডবদের তরফ থেকে আপনি আছেন। হতে পারে? দাদি তো রয়েছেন, কিন্তু সাথে তো এই যে বসে আছেন, সবাইই আছেন। তবে হতে পারে? (দাদি বলেন, হতে পারে)। পান্ডব ভবনের যারা বসে আছেন তারা হাত তুলুন, হতে পারে। আচ্ছা মনে করুন কেউ দুর্বল, তার কিছু যদি হয়ে যায় তাহলে আপনারা কী করবেন? আপনাদের সাথে যারা রয়েছেন তাদেরও সাথ দিয়ে রেজাল্ট বের করবেন - এই বিশ্বাস আছে আপনাদের? এত মনোবল রাখেন আপনারা? হতে পারে, নাকি শুধু নিজের জন্য সাহস আছে? অন্যদের ব্যাপারগুলোও সমাহিত করতে পারবেন পারবেন? তাদের ভুল সমাহিত করতে পারবেন? বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে দেবেন না, সমাহিত করবেন, এটুকু করতে পারবেন আপনারা? জোরে বলুন হ্যাঁ বাবা (হাঁ জী) । অভিনন্দন! ৩ মাসের পরে রিপোর্ট দেখবো। কোনও স্থান থেকেই যেন কোনো খারাপ রিপোর্ট না আসে। একে অপরকে ভাইব্রেশন দিয়ে সমাহিত করে দিও আর ভালোবাসার সাথে ভাইব্রেশন দিতে হবে। কলহ-বিবাদ যেন না হয়।

এইভাবেই ডবল বিদেশিও রেজাল্ট দেবে তো না! সবাইকে হতে হবে, তাই না! ডবল বিদেশি যারা মনে করে নিজের সেন্টারে, সাথীদের সাথে ৩ মাসের রেজাল্ট বের করবে, তারা হাত তোলো। যারা ভাবছো চেষ্টা করবে, বলতে পারছো না তারা কেউ আছ তো হাত তোলো। স্বচ্ছ হৃদয়! যাদের হৃদয় স্বচ্ছ তাদের সহায়তা লাভ হয়। আচ্ছা। (এরপর বাপদাদা সব জোনের ভাই-বোনেদেরও হাত তুলিয়েছেন তথা নিজের স্থানে দাঁড় করিয়েছেন। প্রথমে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটকের ভাই-বোনেদের দাঁড় করিয়েছেন এবং প্রতিজ্ঞা করিয়েছেন। তার পরে যারা ইউ.পি. থেকে তাদের সেবার অভিনন্দন জানিয়েছেন)।

চতুর্দিকের সকল স্বরাজ্য অধিকারী আত্মাদের, সদা অখণ্ড রাজ্যের যোগ্য আত্মাদের, যারা সদা বাবা সমান কর্মাতীত স্থিতিতে পৌ‍ঁছায়, বাবাকে ফলো করে এমন তীব্র পুরুষার্থী আত্মাদের, যারা সদা একে অপরকে শুভ ভাবনা শুভ কামনার সহযোগ দেয় এমন শুভচিন্তক বাচ্চাদের স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

বরদান:-
বিঘ্নকারী আত্মাকে শিক্ষক মনে করে তার থেকে পাঠ পড়ে অনুভাবী মূর্ত ভব

যে আত্মারা তৈরি করার নিমিত্ত হয় তাদের বিঘ্নকারী আত্মা হিসেবে দেখো না, তাদেরকে সদা পাঠ পড়ানোর, সামনে এগিয়ে দেওয়ার জন্য নিমিত্ত আত্মা মনে করো। অনুভাবী বানানো শিক্ষক মনে করো।যখন তোমরা বলো, যে নিন্দা করে সে মিত্র তখন সে বিঘ্নকে পাশ করিয়ে অনুভাবী বানানো শিক্ষক হয়ে গেল, সেইজন্য বিঘ্নকারী আত্মাকে সেই দৃষ্টিতে দেখার পরিবর্তে সবসময়ের জন্য বিঘ্ন থেকে পার করানোর নিমিত্ত, অনড় বানানোর নিমিত্ত মনে করো, এর থেকে আরও অনুভবের অথরিটি বৃদ্ধি হতে থাকবে।

স্লোগান:-
কম্প্লেন্টের ফাইল শেষ করে ফাইন আর রিফাইন হও।