16.11.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
যে ভারত আগে হিরেতুল্য ছিল, পতিত হওয়ার জন্য সে আজকে কাঙাল হয়ে গেছে। একে পুনরায়
পবিত্র হিরে তুল্য বানাতে হবে, মিষ্টি দৈব-বৃক্ষের স্যাপলিং (চারা রোপণ) লাগাতে হবে”
প্রশ্নঃ -
বাবার কোন্
কর্তব্যে বাচ্চাদেরকেও সহযোগী হতে হবে?
উত্তরঃ
ওর : - সমগ্র
বিশ্বে একটাই ডিটি (দৈব) গভর্নমেন্ট স্থাপন করা, অনেক ধর্মের বিনাশ করে একটাই
সত্যধর্ম স্থাপন করা - এটাই হলো বাবার কর্তব্য। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এই কাজে সহযোগী
হতে হবে। উঁচু পদ-প্রাপ্তির জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। এইরকম ভাবা উচিত নয় যে আমি তো
স্বর্গে যাবোই।
গীতঃ-
তুমিই মাতা,
তুমিই পিতা.....
ওম্ শান্তি ।
দুনিয়াতে
মানুষ গায়ন করে - তুমি আমার মাতা-পিতা…। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো কার উদ্দেশ্যে
গায়ন করে সেটাই জানে না। কেবল বলতে হয় তাই বলে। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে
এই মাতা-পিতা আসলে কে? ইনি হলেন পরমধামের নিবাসী। পরমধাম একটাই স্থান। সত্যযুগকে
পরমধাম বলা যাবে না। সত্যযুগ তো এখানেই হবে। আমরা সকলেই পরমধামের নিবাসী। তোমরা জানো
যে আমরা আত্মারা পরমধাম-নির্বাণধাম থেকে এই সাকারী দুনিয়ায় আসি। ওপরে কোথাও স্বর্গ
নেই। তোমরাও পরমধাম থেকে আসো। তোমরা বাচ্চারা এখন জেনেছো যে আমরা শরীর ধারণ করে
পার্ট প্লে করছি। কতগুলো জন্ম নিয়েছি, কিভাবে পার্ট প্লে করেছি - সেইসব তোমরা এখন
জেনেছো। তিনি হলেন দূরদেশবাসী, এখন পরের দেশে এসেছেন। পরের দেশ কেন বলা হয়? তোমরা
তো ভারতেই আসো। কিন্তু তোমরা প্রথমে বাবার দ্বারা স্থাপিত স্বর্গে আসো এবং তারপর
নরকে অর্থাৎ রাবণ রাজ্যে চলে যাও। তখন অনেক ধর্ম, অনেক গভর্নমেন্ট হয়ে যায়। তারপর
বাবা এসে এক রাজ্য স্থাপন করেন। এখন তো অনেক গভর্নমেন্ট রয়েছে। বলা হয় সবাই মিলেমিশে
এক হয়ে যাও। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? ৫ হাজার বছর আগে ভারতে একটাই গভর্নমেন্ট ছিল।
ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিল। আর কেউ সমগ্র বিশ্বের ওপরে রাজত্ব করতে
পারে না। সকল ধর্ম মিলেমিশে এক হয়ে যাবে না। স্বর্গে একটাই গভর্নমেন্ট ছিল। তাই বলা
হয়, সবাই মিলেমিশে এক হয়ে যাও। বাবা এখন বলছেন, আমি অন্য সবকিছু বিনাশ করে একটাই আদি
সনাতন ডিটি গভর্নমেন্ট স্থাপন করছি। তোমরাও এইরকম বলছো যে আমরা সর্বশক্তিমান
ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটির ডাইরেকশন অনুসারে ভারতে একটাই ডিটি গভর্নমেন্টের রাজ্য
স্থাপন করছি। ডিটি গভর্নমেন্ট ছাড়া আর কখনো একটাই গভর্নমেন্ট থাকে না। ৫ হাজার বছর
আগে ভারতে অথবা সমগ্র বিশ্বে একটাই ডিটি গভর্নমেন্ট ছিল। এখন বাবা এসেছেন পুনরায়
বিশ্বে সেই ডিটি গভর্নমেন্ট স্থাপন করতে। আমরা বাচ্চারা হলাম তাঁর সহযোগী। গীতাতে
এই রহস্য রয়েছে। এটা হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। নিরাকারকেই রুদ্র বলা হয়, কৃষ্ণকে বলা
হয় না। রুদ্র নামটাই নিরাকারের। অনেকগুলো নাম শুনে মানুষ মনে করে- রুদ্র আর সোমনাথ
আলাদা। সুতরাং এখন পুনরায় একটাই ডিটি গভর্নমেন্ট স্থাপন হচ্ছে। কেবল এটা ভেবেই খুশি
হওয়া উচিত নয় যে আমি তো স্বর্গে যাবই। দেখো, নরকে মানুষ একটু উঁচু পদ পাওয়ার জন্য
কত কি করছে। একদিকে যেমন উঁচু পদ পাওয়া যায়, সেইরকম অনেক উপার্জনও করে। ভক্তের কাছে
তো ভগবান একজনই হওয়া উচিত। নাহলে সে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে থাকবে। এই দুনিয়ায় তো
সবাইকেই ভগবান বলে দেয়। অনেককে অবতার বলে দেয়। বাবা বলছেন, আমি তো কেবল একবারই আসি।
গায়ন করে - হে পতিত পাবন, তুমি এসো। এখন সমগ্র দুনিয়াই পতিত। তার মধ্যে ভারতই সবথেকে
পতিত। ভারতই এখন কাঙাল হয়ে গেছে, ভারতই এক সময়ে হিরেতুল্য ছিল। তোমরা নুতন দুনিয়াতে
রাজত্ব পাবে। তাই বাবা বোঝাচ্ছেন, কৃষ্ণকে ভগবান বলা যাবে না। কেবল নিরাকার পরমপিতা
পরমাত্মা, যিনি জনম-মরণের ঊর্ধ্বে, তাঁকেই ভগবান বলা যাবে। দুনিয়ার মানুষ তো বলে যে
আমিও ভগবান, তুমিও ভগবান, এখানে কেবল আনন্দ করার জন্য এসেছি। খুব আনন্দে থাকে।
যেদিকে তাকাই সেখানেই তুমি আর তোমার লীলা। আমিই হলাম তুমি, তুমিই হলে আমি - এইরকম
বলে আর নাচে। ওদের হাজার হাজার ফলোয়ার্স। বাবা বলছেন, ভক্তরা কেবল ভগবানের বন্দনাই
করছে। ভক্তিমার্গে ভাবের বশে পূজা করে। বাবা বলেন, আমি তাদের সাক্ষাৎকার করিয়ে দিই।
কিন্তু ওরা আমার সাথে মিলিত হয় না। আমি হলাম স্বর্গের রচয়িতা। এমন নয় যে আমি ওদেরকে
স্বর্গের উত্তরাধিকার দিই। ভগবান তো একজনই। বাবা বলছেন, সবাই পুনর্জন্ম নিতে নিতে
অবলা হয়ে গেছে। এখন আমি পরমধাম থেকে এসেছি। আমি যে স্বর্গরাজ্য স্থাপন করছি, সেখানে
আমি আসব না। অনেক মানুষই বলে, আমি তো নিষ্কাম সেবা করছি। কিন্তু সে না চাইলেও ফল তো
তাকে ভোগ করতেই হবে। দান করলে তো অবশ্যই তার ফল পাওয়া যাবে, তাই না ? অতীতে
দান-পুণ্য করেছিলে বলে এখন তোমরা ধনী হয়েছ। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছ। যত বেশি
পুরুষার্থ করবে, ভবিষ্যতে তত উঁচু পদ মিলবে। ভবিষ্যতের জন্ম-জন্মান্তরের জন্য এখন
তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ কর্ম শেখানো হচ্ছে। মানুষ পরের জন্মে সুখী থাকার জন্য ভালো কাজ
করে। পরের জন্মে তখন বলবে যে এটা নিশ্চয়ই আগের জন্মের ফল। কিন্তু সত্য-ত্রেতাযুগে
এইরকম বলবে না। ২১ জন্মের জন্য কর্মফল এইসময়েই তৈরি হচ্ছে। সঙ্গমযুগের পুরুষার্থের
প্রাপ্তি ২১ জন্ম ধরে কায়েম থাকে। সন্ন্যাসীরা কখনো এইরকম বলতে পারবে না যে আমি
তোমাকে এমন প্রাপ্তি করাব যাতে তুমি ২১ জন্ম সুখী থাকবে। ভালো কিংবা খারাপ কর্মের
ফল তো ভগবান দেন। মানুষ একটাই ভুল করে দিয়েছে। সেটা হল কল্পের আয়ুকে অনেক বড় করে
দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা বলে যে এই কল্পের আয়ু ৫ হাজার বছর। তোমাদের কাছে
মুসলমানরা এসেছিল। তারাও বলত যে কল্পের আয়ু ৫ হাজার বছর। নিশ্চয়ই এখান থেকেই
শুনেছিল। সবাইকেই ছবি দেওয়া হয়। কিন্তু সবাই তো মানবে না। তোমরা জানো যে এটা হল
রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। এখান থেকেই বিনাশের অগ্নি নির্গত হবে। এখানে সহজ রাজযোগ শেখানো
হয়। কৃষ্ণের আত্মা এখন অন্তিম জন্মে এখানে বসে শিবের (রুদ্র) কাছ থেকে উত্তরাধিকার
নিচ্ছে। বাবা আলাদা আর ইনি (ব্রহ্মা) আলাদা। ব্রাহ্মণকে খাওয়ানোর সময়েও তো আত্মাকে
আহ্বান করা হয়, তাই না? তখন সেই আত্মা ব্রাহ্মণের শরীরে এসে কথা বলে। তীর্থতে গিয়েও
বিশেষ ভাবে আহ্বান করে। কিন্তু মৃত্যুর পর তো অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। তারপরেও সেই
আত্মা কিভাবে আসে? সে এসে বলে যে আমি খুব সুখে আছি, অমুক পরিবারে জন্ম নিয়েছি। এটা
কিভাবে হয়? আত্মা কি ওই শরীর থেকে বেরিয়ে এখানে আসে? বাবা বোঝাচ্ছেন - আমি সবাইকে
ভাবনার মূল্য দিই এবং তারাও খুশি হয়ে যায়। এটাও এই ড্রামার রহস্য। ড্রামা অনুসারে
কথা বলতে থাকে। কেউ যদি কথা না বলে তাহলে সেটা ড্রামাতে নেই। বাবাকে স্মৃতিতে
রাখলেই বিকর্ম বিনাশ হবে। অন্য কোনো উপায় নেই। প্রত্যেককেই সতঃ, রজঃ এবং তমঃ
অবস্থায় আসতেই হবে। বাবা বলছেন, তোমাদেরকে নুতন দুনিয়ার মালিক বানিয়ে দিই। আমি
পুনরায় পরমধাম থেকে পুরাতন দুনিয়ায়, পুরাতন শরীরে এসেছি। ইনি (ব্রহ্মা) পূজ্য ছিলেন,
এখন পূজারী হয়ে গেছেন, এখন আবার পূজ্য হচ্ছেন। এই কথাটা তোমাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তোমাদেরকেও ঐরকম বানাচ্ছি। এনারা হলেন ফার্স্ট নম্বর পুরুষার্থী। তাই জন্যই এনাদেরকে
মাতাশ্রী, পিতাশ্রী বলো। বাবাও বলছেন, তোমরা সিংহাসনে বসার মতো পুরুষার্থ করো। এই
জগৎ অম্বা-ই সকলের মনস্কামনা পূরণ করেন। মাতা যখন আছেন, তাহলে তো পিতা এবং
বাচ্চারাও থাকবে। তোমরা এখন সবাইকে রাস্তা দেখাচ্ছো। তোমাদের সকল মনস্কামনা পূরণ হয়
সত্যযুগে। বাবা বলেন, কেউ ঘরে থেকেও যদি পুরোপুরি যোগযুক্ত থাকে, তাহলে সেও এখানে
যারা আছে তাদের থেকে উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে।
অনেকেই আছে যাদের
বন্ধন রয়েছে। রাত্রেও বাবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বোঝাচ্ছিলে যে এমন একটা উপায় বের
করতে হবে যাতে এইরকম অবলাদের ওপরে অত্যাচার না হয়। কিন্তু দুই-চার বার শুনলে তবেই
তাদের এইরকম খেয়াল হবে। ভাগ্যে থাকলে, তবেই সে সম্মত হবে । এটা তো খুব জটিল জ্ঞান,
তাই না? শিখ ধর্মাবলম্বীরাও যদি জানতে পারে যে তাহলে তারাও বুঝবে যে আসলে কে মানুষ
থেকে দেবতা বানান। ‘এক ওঁকার সৎনাম’ - এটা তো তাঁরই মহিমা। তিনিই হলেন অকাল মূর্তি।
ব্রহ্মতত্ত্ব হলো তাঁর তখত (নিবাসস্থান)। বলা হয় - সিংহাসন ত্যাগ করে নেমে এসো। বাবা
বোঝাচ্ছেন, তিনি সমগ্র সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তকে জানেন। এমন নয় যে সকলের মনের কথা
জানেন। ভগবানকে স্মরণ করে বলে যে সদগতি দাও। বাবা বলছেন, আমি ওয়ার্ল্ড অলমাইটি ডিটি
গভর্নমেন্ট স্থাপন করছি। এইসব যত পার্টিশন হয়েছে, কিছুই আর থাকবে না। যারা আমাদের
দেবী-দেবতা ধর্মের, তাদেরই চারা রোপণ করা হচ্ছে। কল্পবৃক্ষ তো অনেক বড়। তার মধ্যে
সবথেকে মিষ্টি হল দেবী-দেবতারা। পুনরায় তাদের স্যাপলিং (চারা রোপণ) লাগাতে হবে।
অন্যান্য যেসব ধর্মাবলম্বীরা আসে তাদের ক্ষেত্রে কোনো স্যাপলিং লাগাতে হয় না।
আচ্ছা! আজকে
সদগুরুবার। বাবা বলেন - বাচ্চারা, শ্রীমৎ অনুসারে চলে পবিত্র হলে সাথে করে নিয়ে যাবো।
তারপর তুমি চাইলে মখমলের রানী হবে, চাইলে রেশমের রানী হবে। উত্তরাধিকার যদি নিতে
চাও, আমার মত অনুসারে চলো। স্মরণের দ্বারা-ই তোমরা অপবিত্র থেকে পবিত্র হয়ে যাবে।
আচ্ছা!
বাপদাদা এবং মিষ্টি
মাম্মার হারানিধি বাচ্চাদেরকে স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সেলাম-মালেকম্।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
সঙ্গমযুগের পুরুষার্থের প্রাপ্তি ২১ জন্ম ধরে কায়েম থাকবে- এটা মনে রেখে সর্বদা
শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে হবে। জ্ঞান দানের দ্বারা নিজের প্রাপ্তি বানাতে হবে।
২) মিষ্টি
দৈব-বৃক্ষের স্যাপলিং লাগানো হচ্ছে। তাই খুব মিষ্টি স্বভাবের হতে হবে।
বরদান:-
ব্রাহ্মণ জন্মের বিশেষত্ব এবং বৈচিত্রকে স্মৃতিতে রেখে সেবা করে সাক্ষী ভব
এই ব্রাহ্মণ জন্ম হলো
দিব্য জন্ম। সাধারণ জন্মধারী আত্মারা নিজেদের বার্থডে আলাদাভাবে পালন করে ম্যারেজ
ডে, ফ্রেন্ডস ডে আলাদা ভাবে পালন করে, কিন্তু তোমাদের বার্থডেও সেটাই, ম্যারেজ ডে,
মাদার ডে, ফাদার ডে, এনগেজমেন্টে সব হল একই (একটাই) । কেননা তোমাদের সকলের প্রতিজ্ঞা
হলো এক বাবা দ্বিতীয় না কেউ। তো এই জন্মের বিশেষত্ব এবং বৈচিত্রকে স্মৃতিতে রেখে
সেবার পার্ট প্লে করো। সেবাতে একে অপরের সাথী হও, কিন্তু সাক্ষী হয়ে সাথী হও।
এতটুকুও কারো প্রতি বিশেষভাবে ঝুঁকবে না।
স্লোগান:-
বেপরোয়া
বাদশাহ সে যার জীবনে নির্মানতা (নিরহংকারিতা) এবং অথরিটির ব্যালেন্স রয়েছে ।
মাতেশ্বরী জী-র মধুর
মহাবাক্য:-
আত্মা এবং
পরমাত্মার অন্তর বা পার্থক্য:-
আত্মা এবং পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল । যখন দালাল রূপে সদ্গুরুকে পাওয়া গেল, তখনই
তাদের মধ্যে সুন্দর মিলন হলো…। আমরা যেহেতু এইরকম কথা বলি, তাই এটার অর্থ হলো- আত্মা
পরমাত্মার কাছ থেকে অনেককাল আগে দূরে চলে গিয়েছিল। তাই এই কথাটা এটাই প্ৰমাণ করে যে
আত্মা এবং পরমাত্মা ভিন্ন এবং এদের দুজনের মধ্যে অনেক অভ্যন্তরীণ পার্থক্য রয়েছে।
কিন্তু দুনিয়ার মানুষ অজ্ঞানতা বশতঃ এই কথাটির অর্থ অন্যরকম ভাবে ব্যাখ্যা করেছে।
বলেছে - আমি আত্মাই হলাম পরমাত্মা। কিন্তু আত্মার ওপরে মায়াবী আস্তরণ থাকার কারণে
নিজের আসল স্বরূপকে ভুলে গেছে এবং যখন সেই মায়াবী আস্তরণ সরে যাবে তখন আত্মা পুনরায়
পরমাত্মা হয়ে যাবে। ওরা এইরকম মনোভাব থেকে আত্মাকে পৃথক বলে থাকে। কিছু লোক আবার
এটাও বলে আমি আত্মাই হলাম পরমাত্মা, কিন্তু নিজেকে ভুলে যাওয়ার জন্য দুঃখী হয়ে গেছি।
যখন আত্মা পুনরায় নিজেকে চিনতে পারবে এবং শুদ্ধ হয়ে যাবে তখন আত্মা এবং পরমাত্মা
মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। সুতরাং ওরা এইরকম মনোভাব থেকে আত্মাকে আলাদা বলে। কিন্তু
আমরা তো জানি যে আত্মা এবং পরমাত্মা দুটো ভিন্ন জিনিস। আত্মা কখনো পরমাত্মা হতে পারে
না অথবা পরমাত্মার সাথে মিলেমিশে একাকার হতে পারে না আর পরমাত্মার ওপরেও কখনো
আস্তরণ পড়তে পারে না।