18.11.2023 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মধ্যে মানুষ থেকে দেবতা বানানোর সার্ভিসের শখ অনেক অনেক থাকতে হবে কিন্তু এই সার্ভিসের জন্য নিজের মধ্যে পাকাপোক্ত (হাড্ডি) ধারণা চাই”

প্রশ্নঃ -
আত্মা কিভাবে ময়লা হয়ে যায় ? আত্মার উপর কিসের ময়লা লাগে?

উত্তরঃ  
আত্মীয় পরিজনদের স্মরণের দ্বারা আত্মা ময়লা হয়ে যায়। প্রথম নম্বরের নোংরা হলো দেহ-অভিমানের, তারপর লোভ মোহের নোংরা লাগতে শুরু করে, এইসব বিকারের ময়লা আত্মার উপর লাগতে শুরু করে। তারপর বাবাকে স্মরণ করতে ভুলে যায়, সার্ভিস করতে পারে না।

গীতঃ-
তোমাকে আহ্বান করতে এই মন চায়...

ওম্ শান্তি ।
এই গীত বড়ই সুন্দর। বাচ্চারা গ্যারান্টিও করে যে এই জ্ঞান তোমার থেকে শুনে অন্যদেরকেও শোনাতে মন চায়। স্মরণ তো বাচ্চারা করে, এটাও অবশ্যই ঘটেছে যে কেউ স্মরণ করতে থাকছে আবার কেউ কেউ মিলিতও হয়েছে। বলা হয় যে কোটির মধ্যে কয়েকজন এসে এই উত্তরাধিকার গ্রহণ করে। এখন তো বুদ্ধি অন্যন্ত প্রগাঢ় হয়ে গেছে। অবশ্যই পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও বাবা রাজযোগ শেখাতে এসেছিলেন। প্রথম-প্রথম তো এটা বোঝাতে হবে যে এই নলেজ কে শুনিয়েছিলেন? কেননা এটাতেই বড় ভুল হয়ে গেছে। বাবা বুঝিয়েছেন যে সকল শাস্ত্রের শিরমণি গীতা হল ভারতবাসীদের শাস্ত্র। কেবল মানুষ এটা ভুলে গেছে যে সকল শাস্ত্রের শিরমণি গীতা কে বলেছেন আর তার থেকে কোন্ ধর্ম স্থাপন হয়েছে? এছাড়া গাইতে অবশ্যই থাকে যে - হে ভগবান, তুমি এসো। ভগবান তো অবশ্যই আসেন - নতুন পবিত্র দুনিয়ার রচনা করতে। তিনি তো হলেন সমগ্র দুনিয়ার ফাদার তাই না। ভক্তরা গাইতেও থাকে - তুমি এসো তাহলে সুখ পাবো, শান্তি পাবো। সুখ আর শান্তি হল দুটি জিনিস। সত্যযুগে অবশ্যই সুখ আছে বাদবাকি সকল আত্মারা শান্তির দেশে থাকে। এই পরিচয় দিতে হবে। নতুন দুনিয়াতে নতুন ভারত, রামরাজ্য ছিল। তাতে সুখ আছে, তাই তো রাম রাজ্যের মহিমা করে। তাকে রামরাজ্য বলে থাকে তাহলে একে রাবণ রাজ্য বলতে হবে কেননা এখানে দুঃখ আছে, সেখানে সুখ আছে, বাবা এসে সুখ প্রদান করেন। বাদবাকি সকলের শান্তিধামে শান্তি প্রাপ্ত হয়। শান্তি আর সুখের দাতা তো হলেন বাবা তাই না। এখানে হল অশান্তি, দুঃখ। তো বুদ্ধিতে এই জ্ঞান টপ্ টপ্ করে পড়তে থাকবে, তারজন্য স্থিতি খুব ভালো চাই। এইরকম তো ছোটো বাচ্চাদেরকেও শেখানো হয় কিন্তু অর্থ তো কিছুই বুঝতে পারে না, এতে হাড্ডি (পাকাপোক্ত) ধারণা চাই। যাতে কেউ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তাকে বোঝাতেও পারে। স্থিতি ভালো হতে হবে। নাহলে তো কখনও দেহ-অভিমানে, কখনও ক্রোধ, মোহের কারণে নিচে নামতে থাকে। লিখেও থাকে - বাবা আজ আমি ক্রোধিত হয়েছি, আজ আমি লোভের বশীভূত হয়েছি। স্থিতি মজবুত হয়ে গেলে তো নীচে পড়ে যাওয়ার কথাই নেই। অনেক শখ থাকে - মানুষ থেকে দেবতা বানানোর সার্ভিস করবো। গীতও বড়ই সুন্দর - বাবা, তুমি এলে আমরা অত্যন্ত সুখী হয়ে যাবো। বাবাকে তো অবশ্যই আসতে হয়। নাহলে তো পতিত সৃষ্টিকে পাবন কে বানাবে? শ্রীকৃষ্ণ তো হল দেহধারী। তাঁর বা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরের নাম নিতে পারবে না। গাইতে থাকে পতিত-পাবন এসো, তো তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে - এটা তোমরা কার উদ্দেশ্যে গাইছো? পতিত-পাবন কে আর তিনি কবে আসবেন? পতিত-পাবন হলেন তিনি, তাঁকে আহ্বান করছো তারমানে অবশ্যই এটা হল পতিত দুনিয়া। পাবন দুনিয়া সত্যযুগকে বলা হয়। পতিত দুনিয়াকে পাবন কে বানাবেন? গীতাতেও আছে স্পষ্টতঃ ভগবানই রাজযোগ শিখিয়েছেন আর আমরা এই বিকারগুলিকে জয় করতে পারি। কাম হল মহাশত্রু। জিজ্ঞেস করতে হবে যে এটা কে বলেছেন - আমি রাজযোগ শেখাই, কাম হল মহাশত্রু? এটা কে বলেছে যে আমি হলাম সর্বব্যাপী? কোন্ শাস্ত্রে লেখা আছে? কাকে বলা হয় পতিত-পাবন? গঙ্গা কি পতিত-পাবনী নাকি অন্য কেউ? গান্ধীজিও বলতেন পতিত-পাবন এসো, গঙ্গা তো সর্বদাই বিরাজমান। গঙ্গা নতুন কেউ নয়। গঙ্গাকে তো অবিনাশী বলা হবে, বাকি কেবল তমোগুণী হয়ে যায় তখন তাতে চঞ্চলতা এসে যায়। প্লাবন করে দেয়, নিজের রাস্তা ছেড়ে দেয়। সত্যযুগে তো সবকিছু বড়ই রেগ্যুলার (নিয়ম অনুসারে) চলে। বৃষ্টি কখনও কম বা কখনও বেশী হয় না। সেখানে দুঃখের কোনো কথা নেই। তো বুদ্ধিতে এটা রাখতে হবে যে আমাদের বাবা-ই হলেন পতিত-পাবন। পতিত-পাবনকে যখন স্মরণ করে তখন বলে - হে ভগবান, হে বাবা। এটা কে বলে? আত্মা। তোমরা জেনে গেছো যে পতিত-পাবন শিববাবা এসে গেছেন। নিরাকার শব্দটি অবশ্যই লিখতে হবে। না হলে তারা সাকারকে মনে করবে। আত্মা পতিত হয়ে গেছে, এটা বলতে পারবে না যে সবাই হল ঈশ্বর। অহম্ ব্রহ্মাস্মি বা শিবোহম্ বলা, কথা তো একই। কিন্তু রচনার মালিক তো একটাই রচনা করেন। যদিও মানুষ কোনো লম্বা-চওড়া অর্থ ভেবে নেয়, আমার কথা তো হলই এক সেকেণ্ডের। সেকেণ্ডে বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবার উত্তরাধিকার হল সত্যযুগের রাজত্ব। তাকেই জীবন্মুক্তি বলা হয়। এটা হল জীবন বন্ধ। বোঝাতে হবে - স্পষ্টতঃই যখন তুমি আসবে তো অবশ্যই আমাদের স্বর্গের, মুক্তি-জীবন্মুক্তির উত্তরাধিকার দেবে। তবেই তো লিখতে থাকে যে মুক্তি-জীবন্মুক্তি দাতা হলেন এক। এটাও বোঝাতে হবে। সত্যযুগেই আছে এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। সেখানে দুঃখের নাম নেই। সেটা হলই সুখধাম। সূর্যবংশী রাজ্য চলতে থাকে। তারপর ত্রেতায় হল চন্দ্রবংশী রাজ্য। পুনরায় দ্বাপরে ইসলামী, বৌদ্ধী আসবে। সমগ্র পার্ট পূর্ব নির্ধারিত। এক বিন্দুসম আত্মার মধ্যে আর পরমাত্মার মধ্যে কতো পার্ট নিরূপিত আছে। শিবের চিত্রেও এটা লিখতে হবে যে আমি জ্যোতির্লিঙ্গের মতো এতো বড় নই। আমি তো হলাম স্টারের মতো। আত্মাও হল স্টার, গাইতেও থাকে - ভ্রুকুটির মাছে ঝলমল করে আজব তারা… তো সেটাই হল আত্মা। আমিও হলাম পরমপিতা পরমাত্মা। কিন্তু আমি হলাম সুপ্রিম, পতিত-পাবন। আমার গুণ হল আলাদা। তো সব গুণগুলি লিখতে হবে। একদিকে শিবের মহিমা, অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণের মহিমা। অপোজিট বিষয়, ভালোভাবে লিখতে হবে, যাতে মানুষ ভালোভাবে পড়ে বুঝতে পারে। স্বর্গ আর নরক, সুখ আর দুঃখ, শ্রীকৃষ্ণের দিন বা রাত বলো, বা ব্রহ্মার দিন ও রাত বলো, বিষয়টা একই। সুখ আর দুঃখ কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয় - এটা তোমরা জানো। সূর্যবংশী হল ১৬ কলা, চন্দ্র বংশী হল ১৪ কলা। তারা (সূর্যবংশীরা) হল সম্পূর্ণ সতোপ্রধান আর তারা (চন্দ্রবংশীরা) হল সতঃ। সূর্য বংশীরাই চন্দ্র বংশী হয়। সূর্য বংশী পুনরায় ত্রেতাতে আসবে তো অবশ্যই চন্দ্র বংশী কুলে জন্ম নেবে। যদিও রাজপদ প্রাপ্ত করে। এইসব কথা বুদ্ধিতে ভালোভাবে ধারণ করতে হবে। যে যত বেশী স্মরণ করবে, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকবে, তার ধারণাও ভালো হবে। সে সার্ভিসও খুব ভালো করবে। স্পষ্ট করে কাউকে শোনাবে, আমরা এইভাবে বসি, এইভাবে ধারণা করি, এইভাবে বোঝাই, এইরকম ভাবে বিচার সাগর মন্থন করি - অন্যদেরকে বোঝানোর জন্য। সবসময় বিচার সাগর মন্থন চলতেই থাকে। যার মধ্যে জ্ঞান নেই তার কথা তো আলাদা, ধারণা হবে না। ধারণা হলে তো সার্ভিস করতে হবে। এখন তো সার্ভিস অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে। দিন-প্রতিদিন মহিমা বাড়তে থাকবে। তারপর তোমাদের প্রদর্শণীতেও কতো মানুষ আসবে। কতো চিত্র বানাতে হবে। অনেক বড় মন্ডপ (স্টেজ) বানাতে হবে। এমনি তে তো বোঝানোর জন্য একান্ত হওয়া প্রয়োজন । আমাদের মুখ্য চিত্রই হল কল্পবৃক্ষের চিত্র, গোলা আর লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র। রাধাকৃষ্ণের চিত্র থেকে এত কিছু বুঝতে পারবে না যে এরা কারা? এইসময় তোমরা জানো যে আমাদেরকে এখন বাবা এইরকম বানাচ্ছেন। সবাইতো একরকম সম্পূর্ণ হবে না। আত্মা পবিত্র হবে, বাদবাকি সবাই থোড়াই জ্ঞান ধারণ করবে। ধারণা না হলে তো বোঝা যায় যে এ কম পদ পাবে।

এখন তোমাদের বুদ্ধি কতো তীঘ্ন হয়ে গেছে, নম্বরের ক্রমানুসার তো প্রত্যেক ক্লাসেই হয়। কেউ তীব্র আবার কেউ ঢিলা, এখানেও নম্বরের ক্রম আছে। যদি কোনও ভালো ব্যক্তিকে কোনও থার্ড গ্রেড আত্মা বোঝায়, তাহলে সে বুঝবে এখানে তো কিছুই নেই, এইজন্য পুরুষার্থ করা হয়, ভালো ব্যক্তিকে বোঝানোর জন্য ভালো আত্মাকে পাঠানো হয়। সবাই তো একইরকম পাশ হবে না। বাবার কাছে তো লিমিট আছে। কল্প-কল্প এই পড়ারও রেজাল্ট বের হয়। মুখ্য ৮ জন পাশ হয়, তারপর ১০০, তারপর হল ১৬ হাজার , তারপর হল প্রজা। তাদের মধ্যেও সাহুকার গরীব সবাই থাকে। বোঝা যায় - এইসময় এ কোন্ পুরুষার্থ করছে? কোন্ পদ পাওয়ার যোগ্য। টিচার তো সবই বুঝতে পারে। টিচার্সদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে আছে। কোনো টিচার ভালো হলে তো সবাই খুশী হয়ে যায় যে ইনি পড়ানও খুব ভালো, ভালোও খুব বাসেন। ছোটো সেন্টারকে বড় তো কোনো বড় টিচারই বানাবে তাই না। কত কিছুইনা বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হয়। জ্ঞান মার্গে অতিমিষ্টি হতে হবে। সুইট তখন হতে পারবে, যখন মিষ্টি বাবার সাথে সম্পূর্ণ যোগ থাকবে, তাহলে ধারণাও হবে। এইরকম মিষ্টি বাবার সাথে অনেকেরই যোগ নেই। বুঝতেই পারে না - গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে বাবার সাথে পুরো যোগযুক্ত হয়ে থাকতে হবে। মায়ার তুফান আসবেই। কারো তো পুরানো আত্মীয় পরিজন স্মরণে আসবে, কারো অন্যকিছু স্মরণে আসবে। তো আত্মীয় পরিজনকে স্মরণ আত্মাকে ময়লা বানিয়ে দেয়। নোংরার আচ্ছাদন পড়লে ঘাবড়ে যায়, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এটা তো মায়া করবেই, নোংরা পড়বেই আমাদের উপর। হোলিতে নোংরা পড়ে তাই না। আমরা বাবার স্মরণে থাকলে নোংরা থাকবে না। বাবাকে ভুলে গেলে প্রথম নম্বরে দেহ-অভিমানের নোংরা লাগে। তারপর লোভ, মোহ সব আসে। নিজের জন্য পরিশ্রম করতে হয়, উপার্জন করতে হয় আর তারপর নিজের সমান বানানোর পরিশ্রম করতে হবে। সেন্টারে সেবা খুব ভালো হয়। এখানে আসে তো বলে যে আমি গিয়ে প্রবন্ধ করবো, সেন্টার খুলবো, এখান থেকে বের হল তো সব শেষ। বাবা নিজেই সব বলে দেন যে তোমরা এইসব কথা ভুলে যাবে। এখানে তো ভাট্টিতে থাকতে হয়, যতক্ষণ কাউকে বোঝানোর যোগ্য হবে। শিববাবার তো সবথেকে মিষ্টি কানেকশন আছে তাই না। স্থুল সার্ভিসের পুরষ্কার অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। খুব ভালো সার্ভিস করে। কিন্তু সাব্জেক্ট তো আছে তাই না। সেই পড়াতেও সাবজেক্ট থাকে। তো এই আধ্যাত্মিক পড়াতেও সাবজেক্ট আছে। প্রথম নম্বরের সাব্জেক্ট হল স্মরণ, তারপর হল পড়া। বাকি সবই হল গুপ্ত। এই ড্রামাকেও বুঝতে হয়। এটাও কারাে জানা নেই প্রত্যেক যুগের আয়ু ১২৫০ বছর। সত্যযুগ কতটা সময় ছিল, আচ্ছা সেখানে কোন্ ধর্ম ছিল? সবথেকে বেশী জন্ম এখানে কার হওয়া উচিত? বৌদ্ধ, ইসলাম প্রমুখেরা এত জন্ম থোড়াই নেবে। কারো বুদ্ধিতে এসব কথা নেই। শাস্ত্রবাদীদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে যে তোমরা ভগবানুবাচ্ কাকে বলে থাকো? সকল শাস্ত্রের শিরমণি তো হল গীতা। ভারতে তো সর্বপ্রথমে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। তার শাস্ত্র কোনটি? গীতা কে বলেছেন? শ্রীকৃষ্ণ ভগবানুবাচ তো হতে পারে না। স্থাপন আর বিনাশ করানো তো হল ভগবানের কাজ। শ্রীকৃষ্ণ কবে এসেছে? এখন কোন্ রূপে আছে? শিববাবার অপোজিট শ্রীকৃষ্ণের মহিমা অবশ্যই লিখতে হবে। শিব হলেন গীতার ভগবান, তাঁর থেকে শ্রীকৃষ্ণের পদ প্রাপ্ত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের ৮৪ জন্মও দেখায়। পরে আবার ব্রহ্মার অ্যাডপ্টেড চিত্রও দেখাতে হবে। আমাদের বুদ্ধি যেন ৮৪ জন্মের মালা পরে রয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ণেরও ৮৪ জন্ম অবশ্যই দেখাতে হবে। অমৃতবেলায় বিচার সাগর মন্থন করে আরও চিন্তন করতে হবে। সেকেণ্ডে জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত হয়। এই বিষয়ে আমি কি লিখবো? জীবন্মুক্তি মানে স্বর্গে যাওয়া। সেটা তো যখন বাবা স্বর্গের রচয়িতা আসবেন, আমরা তাঁর সন্তান হওয়ার পর স্বর্গের মালিক হতে পারবো। সত্যযুগ হল পূণ্য আত্মাদের দুনিয়া। এই কলিযুগ পাপাত্মাদের দুনিয়া। সেটা হল নির্বিকারী দুনিয়া। সেখানে মায়া রাবণের রাজ্যই নেই। যদিও সেখানে এইসমস্ত জ্ঞান থাকে না, কিন্তু আমি হলাম আত্মা, এই শরীর বৃদ্ধ হয়েছে, একে এখন ত্যাগ করতে হবে - এই চিন্তন তো থাকে, তাই না। এখানে তো আত্মারও জ্ঞান কারো মধ্যে নেই। বাবার থেকে জীবন্মুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। তো স্মরণও তাঁকে করতে হবে তাই না। বাবা আদেশ করছেন - মন্মনা ভব। গীতাতে এটা কে বলেছেন - মন্মনা ভব? আমাকে স্মরণ করো আর বিষ্ণুপুরীকে স্মরণ করো - এটা কে বলতে পারে? শ্রীকৃষ্ণকে তো পতিত-পাবন বলা যাবে না। ৮৪ জন্মের রহস্যও কেউ থোড়াই জানে। তো তোমাদেরকে সবাইকে বোঝাতে হবে। তোমরা এইসব কথাগুলিকে বুঝে নিজের এবং অন্যান্যদের কল্যাণ করো তো তোমাদের মান অনেক হবে। নির্ভয় হয়ে যেখানে-সেখানে ঘুরতে থাকো। তোমরা হলে অত্যন্ত গুপ্ত। যদিও ড্রেস পরিবর্তন করে সার্ভিস করো, চিত্র সর্বদা কাছে রাখো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) মিষ্টি বাবার সাথে সম্পূর্ণ যোগযুক্ত হয়ে মিষ্টি আর দেহী-অভিমানী হতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করে প্রথমে নিজেকে ধারণা করতে হবে, তারপর অন্যদেরকে বোঝাতে হবে।

২ ) নিজের অবস্থা মজবুত বানাতে হবে। অভয় হতে হবে। মানুষকে দেবতা বানানোর সার্ভিসের শখ রাখতে হবে

বরদান:-
সর্বদা খুশীর পুষ্টিকর পথ্য (খুরাক) খেয়ে এবং অন্যদেরকেও খাইয়ে সদা হাসিখুশী, সৌভাগ্যবান ভব

বাচ্চারা তোমাদের কাছে সত্যিকারের অবিনাশী ধন আছে এইজন্য সবথেকে ধনবান হলে তোমরা। যদি শুকনো রুটিও খেতে হয় তবে সেই শুকনো রুটিতেও খুশীর পথ্য ভরপুর আছে, এরথেকে ভালো আর পথ্য হয় না। সবথেকে ভালো পথ্য আহার গ্রহণকারী, সুখের রুটি আহারকারী হলে তোমরা। সেইজন্য সদা হাসিখুশীতে থাকো। তো এইরকম হাসিখুশী থাকো যাতে অন্যরাও দেখে খুশীতে ভরপুর হয়ে যায় তখন বলা হবে সৌভাগ্যবান আত্মা।

স্লোগান:-
নলেজফুল হলো সে, যার একটিও সংকল্প বা বাণী ব্যর্থ যায় না।