21.01.2023
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবার আশীর্বাদ যদি নিতে হয় তবে প্রতিটি পদক্ষেপ শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো, আচার-আচরণ
ঠিক রাখো"
প্রশ্নঃ -
শিব বাবার
হৃদয়ে কে জায়গা করে নিতে পারে?
উত্তরঃ
যার গ্যারান্টি
ব্রহ্মা বাবা নেন যে এই বাচ্চা সার্ভিসেবল, সে সকলকে সুখ প্রদান করে, মন, বাণী এবং
কর্মের দ্বারা কখনো কাউকে দুঃখ দেয় না। যখন ব্রহ্মাবাবা কারোর সম্বন্ধে এইরকম
বলবেন, তবেই তো সে শিব বাবার হৃদয়ে স্থান করে নেবে।
প্রশ্নঃ -
এই সময় তোমরা
আত্মিক সার্ভেন্টরা বাবার সাথে কোন্ সেবা করে থাকো?
উত্তরঃ -
তোমরা আত্মিক সার্ভেন্টরা সমগ্র বিশ্বের সেবা ছাড়াও প্রকৃতির পাঁচ তত্ত্বকে পবিত্র
করে তোলার সেবা করতে থাকো, সেই কারণেই তোমরা হলে প্রকৃত সোস্যাল ওয়ার্কার ।
গীতঃ-
মাতা পিতার
আশীর্বাদ নিয়ে নাও...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এই
গান শুনলো। এমনিতে তো লৌকিক মাতা পিতার আশীর্বাদ অনেকেই প্রাপ্ত করে থাকে। বাচ্চারা
যখন চরণ স্পর্শ করে প্রণাম করে, তখন তাদের মাতা পিতা তাদের আশীর্বাদ করে। এই ঢাক
ঢোল লৌকিক মাতা পিতার জন্য পেটানো হয় না। সকলকে জানানোর অর্থ হল যাতে সবাই শোনে।
শুধুমাত্র অসীম অনন্তের পিতার জন্যই এই গায়ন রয়েছে যে, তুমি মাতা ও পিতা, আর আমরা
তোমার বালক... তোমার কৃপা আর আশীর্বাদে আমরা নিবিড় সুখ প্রাপ্তি করি। ভারতেই এই
মহিমা কীর্তন করা হয়। নিশ্চয়ই ভারতেই তা হয়েছিল সেই জন্যই তো এখনো গায়ন আছে।
তোমাদের বুদ্ধিকে এই সীমার বাঁধন ছাড়িয়ে সম্পূর্ণরূপে অসীমে নিয়ে যেতে হবে।
বুদ্ধি বলে, যে স্বর্গের রচয়িতা একমাত্র এক বাবা । স্বর্গে সকল প্রকারের সুখ আছে।
সেখানে দুঃখের কোন নাম চিহ্ন নেই থাকতেই পারে না। সেই কারণেই তো গায়ন আছে যে
দুঃখের দিনে তাঁকে সকলেই স্মরণ করে, কিন্তু সুখের দিনে কেউ ডাকে না। অর্ধেক কল্প ধরে
যখন দুঃখ থাকে, তখন সকলেই তাঁকে স্মরণ করে। সত্যযুগে যেহেতু অপার সুখ থাকে তাই
সেখানে কেউ ঈশ্বরকে স্মরণ করে না। প্রস্তর বুদ্ধি হয়ে থাকার জন্য মানুষ এ সকল কথার
কিছুই বুঝতে পারে না। কলিযুগে অপার দুঃখ। চতুর্দিকে কত মারামারি চলছে। যতই লেখাপড়া
জানা বিদ্বান হোক না কেন কিন্তু এই সমস্ত গানের অর্থ তারা একেবারেই জানে না। তারা
কীর্তন গেয়ে থাকে যে - তুমি মাতা - পিতা... কিন্তু তারা বোঝে না যে কোন্ মাতা
পিতার মহিমা কীর্তন করা হচ্ছে । এই কথা তো সকলের জন্যই প্রযোজ্য, ঈশ্বরের সন্তান তো
সকলেই কিন্তু এখন সকলেই দুঃখী। নিবিড় সুখের প্রাপ্তি তো কারোরই নেই। ওরা বলে -
তাঁর কৃপার দ্বারা সুখ প্রাপ্ত হয়, অকৃপা হলে দুঃখ হয়। বাবা তো পরম কৃপালু সে'কথা
সবার জানা, সাধুসন্তকেও কৃপালু বলে থাকে।
বাচ্চারা, এখন তোমরা
জানো যে - ভক্তি মার্গে গায়ন আছে, তুমি মাতা ও পিতা... এ একেবারেই যথার্থ কথা
কিন্তু যদি কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি হয়ে থাকে তাহলে সে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবে যে
পরমাত্মাকে পরমপিতা (গডফাদার) বলা হয় তাহলে তাঁকে মাতা কিরূপে বলা যায়? তখন তাদের
বুদ্ধি জগদম্বার দিকে যাবে। যদি জগদম্বার দিকে বুদ্ধি যায় তাহলে জগৎ পিতার দিকে
বুদ্ধি অবশ্যই যাওয়া উচিত। ব্রহ্মা সরস্বতী - এঁরা ভগবান নন। এই মহিমা কীর্তন
তাঁদের জন্য হতে পারে না। ব্রহ্মা-সরস্বতীকে মাতা-পিতা বলা সঠিক নয়। মানুষ এই গান
করে পরমপিতা পরমাত্মাকে উদ্দেশ্য করে, কিন্তু তারা এটা জানেই না যে তিনি কীভাবে
আমাদের মাতা-পিতা হলেন । বাচ্চারা এখন তোমাদেরকে বলা হয় যে, নিয়ে নাও, যত পারো
মাতা-পিতার আশীর্বাদ নিয়ে নাও... অর্থাৎ শ্রীমৎ অনুসারে চলো। নিজের চালচলন যখন
সঠিক হবে তখন নিজেই নিজের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করবে। যদি চালচলন সঠিক না হয় তাহলে সে
অন্যকে দুঃখ দেবে, মাতা-পিতাকে স্মরণ করবে না, অন্যদেরকে মনে করিয়ে দেবে না - ফলে
আশীর্বাদও প্রাপ্ত করতে পারবে না। তাই এত সুখ সে পাবে না। বাবার হৃদয়ে জায়গা করে
নিতে পারবে না। ব্রহ্মা বাবার হৃদয়ে যে জায়গা করে নেবে তবেই সে শিব বাবার হৃদয়েও
জায়গা করে নেবে। এই গায়ন সেই মাতা পিতারই গায়ন। এই গানের সাথে সাথে তোমাদের
সমস্ত বুদ্ধি সেই অসীম অনন্তের মাতা পিতার দিকে যাওয়া উচিত। কখনো জগদম্বার দিকে
কারোর কারোর বুদ্ধি যায়। কিন্তু ব্রহ্মার দিকে কারোর বুদ্ধি যায় না। জগদম্বার
জন্য মেলা ইত্যাদি বসানো হয় কিন্তু তাঁর অক্যুপেশন (কর্ম কর্তব্য), তাঁর পরিচয়
কেউই জানে না। তোমরা জানো যে সঠিকভাবে বলতে গেলে নিয়ম অনুসারে আমাদের সত্যিকারের
মা হলেন ব্রহ্মা। এ'কথাও ভালো ভাবে বুঝতে হবে। তবেই তো সেইভাবে স্মরণ করতে পারবে।
ইনি ব্রহ্মা বাবাও বটে আবার মাতাও বটে। লেখা হয় শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মা। সুতরাং
মাতা এবং পিতা হয়ে যায়। বাচ্চাদেরকে এখন এই পিতার হৃদয়ে স্থান করে নিতে হবে কারণ
তাঁর মধ্যেই শিব বাবা প্রবেশ করেন। ব্রহ্মা বাবা যখন গ্যারান্টি দেন যে - হ্যাঁ বাবা,
এই বাচ্চা অত্যন্ত ভালো সেবাধারী, সকলকে সুখ প্রদান করে, মন বচন এবং কর্মের দ্বারা
কখনো কাউকে দুঃখ দেয় না - তবেই সে শিব বাবার হৃদয়ে স্থান গ্রহণ করতে পারে। মন বচন
এবং কর্মের দ্বারা যাই করো যাই বলো না কেন তার দ্বারা যেন সকলে সুখ পায়। কাউকে কখনো
দুঃখ দিও না। দুঃখ দেওয়ার চিন্তা প্রথমে আসে মনে, তারপর তা কর্মে চলে এলে পাপ হয়ে
যায়। মনে তুফান তো অবশ্যই আসবে কিন্তু তা কর্মে কখনো যেন না আসে। যদি কেউ রেগে আছে
তো বাবাকে এসে বলো - বাবা, এই একটি ব্যাপারে একজন আমার ওপর রেগে রয়েছে, তখন বাবা
এসে বোঝাবেন । যেকোনো রকম কথা প্রথমে মনে আসে। মুখের বাণীতে প্রকাশ পেলে সেও তো
কর্মেরই এক রূপ। বাচ্চাদেরকে যদি মাতা পিতার আশীর্বাদ গ্রহণ করতে হয় তবে শ্রীমতে
চলতে হবে। এ অত্যন্ত গোপন রহস্য যে শুধু একজনকেই মাতা পিতা বলা হয়। এখানে
ব্রহ্মাবাবা আমাদের পিতাও বটে এবং বড়মাও । এখন তবে এই বাবা কাকে মা বলবেন? তাহলে
মাতা (ব্রহ্মা) এখন কাকে বলা হবে? আর এই মা-এর তো কোনো মা হতে পারে না। যেমন শিব
বাবার কোনো পিতা নেই তেমনি এনার কোনো মা নেই।
মুখ্য কথাটা
বাচ্চাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে, তা হলো যদি মন বাণী এবং কর্মের মাধ্যমে কাউকে
দুঃখ দিলে অথবা কারোর থেকে দুঃখ নিলে তবে বাচ্চারা তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। সত্য
সাহেবের সামনে সত্য স্বরূপ হয়ে থাকতে হবে, এই ব্যাপারেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে।
এই দাদাই সার্টিফিকেট দেবেন যে - বাবা, এ খুব সৎ, অত্যন্ত সুপুত্র। তখন বাবা তার
মহিমা কীর্তন করেন। যে সকল সেবাধারী বাচ্চারা তন-মন-ধন দ্বারা সেবা করে থাকে, কখনো
কাউকে দুঃখ দেয় না - তারাই বাপদাদা এবং মায়ের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। ব্রহ্মা
বাবার হৃদয়ে যে জায়গা করে নেয় সে শিব বাবার হৃদয় সিংহাসনে স্থান লাভ করে।
সুসন্তানদের মনে সদা সর্বদা এই চিন্তা চলতে থাকে থাকে যে, আমরা বাবার হৃদয় সিংহাসনে
কীভাবে বসার যোগ্য হতে পারবো। এই একটাই নেশায় তারা মগ্ন হয়ে থাকে। ক্রম অনুযায়ী
৮ টি গদি রয়েছে। তারপর ১০৮ আর তারও পরে ১৬১০৮ রয়েছে, কিন্তু এখন আমাদেরকে আরো উঁচু
পদ লাভ করতে হবে। দুই কলা কম হয়ে যাওয়ার পরেও যদি কেউ গদিতে বা সিংহাসনে আসীন হয়
তাহলে তা শোভা পায় না। সুসন্তানেরা অনেক পুরুষার্থ করে এই ভেবে যে, যদি আমরা এখন
প্রিয় বাবার থেকে সূর্যবংশী হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার না পেতে পারি, তাহলে
তো পরবর্তী কল্পেও তা পাবো না। যদি এখন বিজয় মালাতে না স্থান পাই তাহলে পরবর্তী
কল্পেও তা আর পাব না। এ হলো কল্প-কল্পের দৌড়। এখন যদি লোকসান হয় তাহলে কল্প-কল্প
ধরে লোকসানই হতে থাকবে। পাকা ব্যবসায়ী সেই হতে পারে, যে শ্রীমৎ অনুযায়ী মাতা
পিতাকে পুরোপুরি অনুসরণ করে, কখনো কাউকে দুঃখ দেয় না। সকল দুঃখের মধ্যে এক নম্বর
দুঃখ হল কাম কাটার চালানো।
বাবা বলেন আচ্ছা যদি
তোমরা মনে করো যে শ্রীকৃষ্ণ ভগবানুবাচ, তবে তিনিও ছিলেন প্রথম স্থানাধিকারী । তাঁর
কথাও তোমাদের শোনা উচিত, তবেই তো তোমরা স্বর্গের মালিক হতে পারবে। তারা মনে করে যে
শ্রীকৃষ্ণ হলেন ভগবান, তিনি শ্রীমতের মাধ্যমে এই শিক্ষা দিয়েছেন। ঠিক আছে তাহলে
তাঁর মত অনুযায়ী চলো। তিনিও বলেছেন যে, কাম হল মহাশত্রু, এর উপরে বিজয় প্রাপ্ত
করতে হবে। এই সমস্ত বিকারের ওপর বিজয় প্রাপ্ত করলে তবেই শ্রীকৃষ্ণপুরীতে আসার
যোগ্যতা লাভ করবে। এখানে শ্রীকৃষ্ণের তো কোনো কথাই নেই। শ্রীকৃষ্ণ তো ছোট শিশু ছিল,
সে কি করে কোনো মত দেবে। যখন বড় হয়ে সে গদিতে বসবে তবেই তো কোনো মতামত দিতে পারবে।
মতামত দেওয়ার যোগ্য হতে পারলে তবেই তো রাজ্য চালাতে পারবে। এখন শিববাবা বলেন যে,
আমাকে নিরাকারী দুনিয়া পরমধামে স্মরণ করো। শ্রীকৃষ্ণ বলবে যে আমাকে স্বর্গে স্মরণ
করো। শ্রীকৃষ্ণও বলেন যে কাম মহাশত্রু, এর উপরে বিজয় প্রাপ্ত করো। স্বর্গে বিষ নেই
তাই বিষকে ত্যাগ করে এখন পবিত্র হও। এই সমস্ত কথা শ্রীকৃষ্ণের বাবা, অর্থাৎ শিববাবা
আমাদের বোঝাচ্ছেন। বাবা বলেন - লোকেরা আমার নামের পরিবর্তে বাচ্চার নাম রেখে দিয়েছে,
সেই বাচ্চাও তো সর্বগুণ সম্পন্ন। তিনিও বলেন যে, গীতাতে লেখা রয়েছে যে কাম মহাশত্রু।
সেই গীতার কথাও কি মানুষ শোনে ? তাঁর মত কি লোকের অনুসরণ করে? তারা ভাবে যে যখন
শ্রীকৃষ্ণ নিজে আসবেন তখন আমরা তাঁর মত অনুযায়ী চলবো। ততদিন পর্যন্ত তারা এদিক
ওদিক শুধু ধাক্কাই খেতে থাকবে। সন্ন্যাসীরা বলতে পারেন না যে, আমি তোমাদেরকে রাজযোগ
শেখাতে এসেছি। এসব তো সঙ্গম যুগেরই কথা আর একমাত্র বাবাই তা বলতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণ
তো ছিলেন সত্যযুগে। কেউ নিশ্চয়ই ছিলেন যিনি শ্রীকৃষ্ণকেও এতটা যোগ্য করে তুলেছিলেন।
শিব বাবা, নিজে বলেন যে শ্রীকৃষ্ণ এবং তার সমস্ত বংশধরকে এখন স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার
যোগ্য আমি করে তুলছি। বাবা কত পরিশ্রম করেন যাতে বাচ্চারা স্বর্গে গিয়ে উচ্চ পদ
লাভ করে। না হলে বিদ্বান লোকেদের সামনে গিয়ে বোঝা বইবে। বাবার থেকে সম্পূর্ণ
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আমরা কতটা সুপুত্র হতে পেরেছি ?
উত্তম, মধ্যম, কনিষ্ঠ - এইরকম ক্রম অনুযায়ী বাচ্চারা সুপুত্র হয়। উত্তম কখনো
লুকিয়ে থাকতে পারে না, তাদের হৃদয়ে করুনার ভাব জাগে যে, আমরা ভারতের সেবা করবো।
উত্তম, মধ্যম, কনিষ্ঠ - ক্রম অনুযায়ী সমাজসেবী হয়ে থাকে। কেউ কেউ অনেক অর্থ লুট
করে নেয়, মাল বিক্রি করে সেই অর্থ নিজের কাজে লাগায়। তাদেরকে সুপুত্র সমাজসেবী কি
করে বলা সম্ভব ? বহু লোকই নিজেদেরকে সমাজসেবী বলে কারণ তারা সমাজের সেবা করে।
একমাত্র বাবাই প্রকৃত সেবা করে থাকেন।
তোমরা বলো যে আমরাও
বাবার সাথে সাথে হলাম রুহানী সার্ভেন্ট। সমগ্র সৃষ্টি তো বটৈই পাঁচ তত্ত্বকেও
পবিত্র করি। সন্ন্যাসীরা তো এটা জানে না যে তত্ত্বও এই সময়ে হল তমোপ্রধান, একেও
সতোপ্রধান বানাতে হবে। সতোপ্রধান তত্ত্বের দ্বারা তোমাদের শরীরও সতোপ্রধান হয়ে যাবে।
বাবা বোঝান তো অনেকই কিন্তু তাও বাচ্চারা ভুলে যায়। স্মরণে তাদেরই থাকবে যারা
অন্যদেরকে শোনাতে থাকবে। দান না করলে ধারণাও হবে না। যারা ভালোভাবে সার্ভিস করে,
তাদের নাম বাপদাদাও খ্যাত করেন। এটা তো বাচ্চারাও জানে যে সার্ভিসে কে কে তীক্ষ্ণ।
যারা সার্ভিসে আছে তারাই হৃদয় সিংহাসনে আসীন হতে পারবে। সর্বদা ফলো মা-বাবাকে করতে
হবে। ওঁনারই তখ্তনশীন হতে হবে। যারা সার্ভিসে থাকবে তারাই অন্যদেরকে সুখ প্রদান করবে।
নিজের মুখে (মন রূপী) দর্পণে দেখো যে বাবার সুসন্তান হয়েছি? নিজেরাও লিখতে পারবে
যে আমাদের সার্ভিসের চার্ট হল এটা। আমি এই এই সার্ভিস করছি, আপনি জাজ করুন। তাহলে
বাবাও বুঝতে পারবেন। নিজেও পরীক্ষা করে দেখতে পারো যে আমি উত্তম, মধ্যম, না কনিষ্ঠ?
বাচ্চারাও জানে যে কে মহারথী আর কে অশ্বারোহী। কেউ লুকিয়ে থাকতে পারবে না। বাবাকে
পোতামেল (পুরুষার্থের চার্ট) পাঠালে বাবা সাবধানও করবেন। পোতামেল না পাঠালেও সাবধানী
তো তোমরা পেতেই থাকে। এখন যতটা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার প্রাপ্ত করে নাও। তারপর
বাপদাদার থেকেও সার্টিফিকেট পেতে হবে । এই বড়মা বসে আছেন, এনার থেকে সার্টিফিকেট
পাওয়া যেতে পারে। এই ওয়ান্ডারফুল মায়ের তো কোনো মা নেই। যে'রকম ওই পিতারও কোনো
পিতা নেই। আবার মাম্মা ফিমেলদের মধ্যে হলেন নাম্বার ওয়ান। ড্রামাতে জগৎ অম্বার
গায়ন আছে। সার্ভিসও অনেক করেছেন। যেমন বাবা যান, মাম্মাও যেতেন। ছোটো ছোটো গ্রামে
সার্ভিস করতেন। সকলের থেকে তীক্ষ্ণ হয়েছেন তিনি। বাবার সাথে তো বড় বাবা আছেন,
সেইজন্য এনাকে বাচ্চাদের এত সামলে রাখতে হয়। সত্যযুগে প্রজারা অনেক সুখী থাকে।
নিজস্ব মহল, গরু, বলদ ইত্যাদি সবকিছু থাকে।
আচ্ছা - বাচ্চারা
খুশিতে থাকো, সম্পন্ন হও, না ভুলে যেও না (অন্যদের) স্মরণে থেকো। কারণ স্মরণ তো
শিববাবাকে করতে হবে। নিজের শরীরকেও ভুলে যেতে হবে, তাই অন্যদের কীভাবে স্মরণ করবো।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কাউকেই ক্ষুন্ন করবে না। মন্সা বাচা কর্মণাতে সকলকে সুখ প্রদান করে বাবার আর
পরিবারের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করতে হবে।
২ ) সুসন্তান হয়ে
ভারতের রুহানী সেবা করতে হবে। দয়াবান হয়ে আধ্যাত্মিক (রুহানী) সোশ্যাল ওয়ার্কার
হতে হবে। তন মন ধনের দ্বারা সেবা করতে হবে। সত্য সাহেবের সাথে সৎ থাকতে হবে।
বরদান:-
কথার
উপরে ডবল আন্ডারলাইন করে প্রত্যেকটি কথাকে অমূল্য বানিয়ে মাস্টার সদ্গুরু ভব
বাচ্চারা তোমাদের কথা
এমনই হবে যারা শুনবে তারা চাতকের মতো শুনবে যে ইনি কিছু বলবেন আর আমরা শুনবো - একেই
বলা হয় অমূল্য মহাবাক্য। মহাবাক্য বেশী হয় না। যখন খুশী তখনই বলতেই থাকে - একে
মহাবাক্য বলা যায় না। তোমরা হলে সদ্গুরুর সন্তান, মাস্টার সদ্গুরু। সেইজন্য
তোমাদের এক একটি কথা হল মহাবাক্য। যে সময় যে স্থানে যে কথা আবশ্যক, যুক্তিযুক্ত,
নিজের আর অন্য আত্মাদের জন্য লাভদায়ক, সেই কথাই বলো। কথার প্রতি ডবল আন্ডারলাইন করো।
স্লোগান:-
শুভচিন্তক মণি হয়ে, নিজের কিরণের দ্বারা বিশ্বকে আলোকোজ্জ্বল করতে থাকো।