23.02.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বুদ্ধিতে যদি স্থায়ীভাবে বাবার স্মরণ থাকে, তাহলে এও অহো সৌভাগ্য"
প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চাদের
সেবার শখ থাকবে, তাদের নিদর্শন কি হবে ?
উত্তরঃ -
তারা তাদের মুখ দিয়ে জ্ঞান না শুনিয়ে থাকতে পারবে না । তারা এই আধ্যাত্মিক সেবায়
নিজেদের অস্থিকে স্বাহা করে দেবে । তাদের এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান শোনানোতে অনেক খুশীর
অনুভব হবে । তারা খুশীতে নৃত্য করতে থাকবে । তারা বড়দের খুব সম্মান করবে, তাঁদের
কাছ থেকে শিখতে থাকবে ।
গীতঃ-
এই দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাবে ---
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এই
গানের দুটি লাইন শুনেছে । এ হলো প্রতিজ্ঞার গান, যেমন কোনো বিবাহ অনুষ্ঠানে স্ত্রী
- পুরুষ উভয়েই প্রতিজ্ঞা করে যে, একে অপরকে ছাড়বে না । আবার কারোর যদি একে অপরের
সঙ্গে বনিবনা না হয়, তাহলে ছেড়েও দেয় । বাচ্চারা, এখানে তোমরা কার কাছে প্রতিজ্ঞা
করো । ঈশ্বরের কাছে । বাচ্চারা, যাঁর সঙ্গে তোমাদের অর্থাৎ সজনীদের বিয়ের পাকা কথা
হয়ে গেছে, কিন্তু যিনি তোমাদের এমন বিশ্বের মালিক বানান, তাঁকেও কেউ - কেউ ছেড়ে দেয়
। বাচ্চারা, তোমরা এখানে বসে আছো, তোমরা জানো যে, এখন অসীম জগতের বাপদাদা এসেছেন ।
বাইরের সেন্টারের যারা তারা বুঝতে পারবে, বাবার বলা মুরলী এসেছে । এখানে আর ওখানের
মধ্যে অনেক তফাৎ থাকে, কেননা এখানে তোমরা অসীম জগতের বাপদাদার সম্মুখে বসে আছো ।
ওখানে তো সম্মুখে নেই । ওরা চায় যে, সম্মুখে গিয়ে মুরলী শুনি । এখানে বাচ্চাদের
বুদ্ধিতে এসেছে - বাবা এই এলেন বলে। অন্য সৎসঙ্গ যেমন আছে, সেখানে তারা মনে করবে,
অমুক স্বামীজী আসবেন, কিন্তু এমন খেয়ালও সকলের একরস হবে না । অনেকের বুদ্ধিযোগ তো
অন্যদিকে বিভ্রান্ত হতে থাকে । কারোর তার পতির স্মরণ আসবে, কারোর আবার সম্বন্ধীদের
স্মরণ আসবে । বুদ্ধিযোগ এক গুরুর সঙ্গেও টিকে থাকে না । কোনো বিশেষই স্বামীর স্মরণে
বসবে । এখানেও এমনই । এমন নয় যে, সকলেই শিববাবার স্মরণে থাকে । বুদ্ধি কোথাও না
কোথাও দৌঁড়াতে থাকে । আত্মীয় বন্ধু ইত্যাদিও স্মরণে আসবে । সারা সময় যদি একই
শিববাবার স্মরণে থাকে, তাহলে, অহো সৌভাগ্য ! বিশেষ কেউ - কেউই স্থায়ী স্মরণে থাকে ।
এখানে বাবার সম্মুখে থাকলে তো খুব খুশী হওয়া উচিত । অতীন্দ্রিয় সুখের কথা গোপী
বল্লভের গোপ - গোপীদের জিজ্ঞেস করো - এই মহিমা এখানকারই । এখানে তোমরা বাবার স্মরণে
বসে আছো, তোমরা জানো যে, এখন আমরা ঈশ্বরের কোলে আছি, এরপরে দৈবী কোলে যাবো । কারোর
- কারোর বুদ্ধিতে যদিও সেবার খেয়ালও চলতে থাকে । এই চিত্রকে এইভাবে ঠিক করতে হবে,
এই কথা লিখতে হবে, কিন্তু ভালো বাচ্চা যারা হবে, তারা বুঝতে পারবে, এখন তো আমাদের
বাবার কাছ থেকে শুনতে হবে । তারা আর কোনো সঙ্কল্প আসতেই দেবে না । বাবা জ্ঞান রত্নে
ঝুলি ভরপুর করতে এসেছেন, তাই বাবার সঙ্গেই বুদ্ধির যোগ লাগাতে হবে । নম্বরের
ক্রমানুসারে ধারণাকারী তো হয়ই । কেউ খুব ভালোভাবে শুনে ধারণ করে । কেউ আবার কম
ধারণ করে । বুদ্ধিযোগ যদি অন্যদিকে দৌড়াতে থাকে তাহলে ধারণা হবে না । কাঁচা থেকে
যাবে । এক - দুইবার মুরলী শুনলে অথচ ধারণা হলো না, তখন সেই অভ্যাসই পাকা হতে থাকবে
। তখন যতই শোনো না কেন, ধারণা হবে না । তখন কাউকেই শোনাতে পারবে না । যার ধারণা হবে
না, তার তখন সেবার শখ থাকবে । তারা উচ্ছল হতে থাকবে, চিন্তা করবে যে, গিয়ে ধন দান
করি, কেননা এই ধন এক বাবা ছাড়া আর কারোর কাছে নেই । বাবা এও জানেন যে, সকলের ধারণা
হবে না । সবাই একরস উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না, তাই তাদের বুদ্ধি অন্যদিকে
বিভ্রান্ত হতে থাকে । ভবিষ্যৎ ভাগ্য তখন এতো উঁচু হতে পারে না । কেউ আবার স্থূল
সেবাতে নিজের অস্থি স্বাহা করে দেয় । সবাইকে খুশী করে দেয়, যেমন ভোজন বানিয়ে খাওয়াতে
থাকে । এই তো সাবজেক্ট, তাই না । যার সেবার শখ থাকবে, সে মুখ দিয়ে না বলে থাকতে
পারবে না । এরপর বাবা দেখেনও, দেহ - অভিমান তো নেই ? বড়দের সম্মান করে, নাকি করে না
? বড় মহারথীদের সম্মান তো করতেই হবে । হ্যাঁ, কোনো কোনো ছোটোরাও খুব হুঁশিয়ার হয়,
তখন হতে পারে বড়দেরও তাদের সম্মান করতে হয়, কেননা তাদের বুদ্ধি দ্রুতগতিতে ধারণ করে
নেয় । সেবার শখ দেখে বাবা তো খুশী হবেন, তাই না, এ ভালো সেবা করবে । সারাদিন
প্রদর্শনীতে বোঝানোর অভ্যাস করা প্রয়োজন । প্রজা তো অনেকই তৈরী হয়, তাই না, আর অন্য
কোনো উপায় তো নেই । সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, রাজা, রানী, প্রজা সব এখানেই তৈরী হয় ।
তোমাদের কতো সেবা করা উচিত । বাচ্চাদের বুদ্ধিতে একথা তো আছেই - এখন আমরা ব্রাহ্মণ
হয়েছি । ঘর - গৃহস্থতে থেকে এক একজনের অবস্থা তো তাদের নিজেদের মতো থাকে, তাই না ।
ঘর - বাড়ী তো ত্যাগ করলে চলবে না । বাবা বলেন যে, তোমরা ঘরে থাকো, কিন্তু বুদ্ধিতে
এই নিশ্চিত করতে হবে যে, এই পুরানো দুনিয়া তো শেষ হয়েই পড়ে আছে । আমাদের এখন বাবার
সঙ্গেই কাজ । এও জানে যে, পূর্ব কল্পে যারা এই জ্ঞান ধারণ করেছিলো, তারাই করবে ।
সেকেণ্ড - বাই সেকেণ্ড হুবহু রিপিট হচ্ছে । আত্মার মধ্যে জ্ঞান থাকে, তাই না ।
বাবার কাছেও জ্ঞান আছে । বাচ্চারা, তোমাদেরও বাবার মতোই হতে হবে । তোমাদের পয়েন্টস
ধারণ করতে হবে । সমস্ত পয়েন্টস একই সময়ে বোঝানো হয় না । বিনাশও সামনে উপস্থিত । এ
হলো সেই বিনাশ, সত্যযুগ আর ত্রেতাযুগে তো কোনো লড়াই হয় না । সে তো পরে যখন অনেক
ধর্ম হয়, লস্কর ইত্যাদি আসে, তখন লড়াই শুরু হয় । সবার প্রথমে সতোপ্রধান আত্মারা
নেমে আসে, তারপর সতো, রজঃ এবং তমঃ স্টেজ হয়, তাই এইসব কথাও বুদ্ধিতে রাখা চাই ।
তোমাদের রাজধানী কিভাবে স্থাপন হচ্ছে । এখানে যখন বসে আছো, তখন বুদ্ধিতে রাখতে হবে
যে, শিববাবা এসে আমাদের সম্পদ দান করেন, যেই সম্পদকে বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে । খুব
ভালো - ভালো বাচ্চারা নোটস লেখে । এই লেখা ভালো । তাহলে বুদ্ধিতে টপিকস আসবে । আজ
এই টপিকের উপর বোঝাবো । বাবা বলেন, আমি তোমাদের কতো সম্পদ দান করেছিলাম । সত্যযুগ
আর ত্রেতাযুগে তোমাদের কাছে অগাধ ধন ছিলো । এরপরে বাম মার্গে যাওয়ার কারণে তা কম হয়ে
গেছে । খুশীও কম হয়ে গেছে । তোমাদের কিছু না কিছু বিকর্ম হতেই থাকে । নামতে - নামতে
তোমাদের কলা কম হয়ে যায় সতোপ্রধান, সতো, রজঃ এবং তমঃর স্টেজ হয় । সতো থেকে রজঃতে
আসে, তখন এমন নয় যে, অতি দ্রুত চলে আসে । ধীরে ধীরে নামতে থাকে । তোমরা তমোপ্রধানেও
ধীরে ধীরে সিঁড়িতে নামতে থাকো, তোমাদের কলা কম হতে থাকে । দিনে দিনে তোমাদের কলা কম
হতে থাকে । এখন তোমাদের লাফ দিতে হবে । তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে,
এরজন্য সময়েরও প্রয়োজন । এমন গায়নও আছে যে, চড়লে বৈকুণ্ঠ রস চেখে দেখবে --- কিন্তু
যখন কামের থাপ্পড় লাগে তখন একদম পড়ে চুরমার হয়ে যায় । এখানে তো বাবার কাছ থেকে
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । তোমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে, কেননা বাবার থেকে
বাদশাহী পাওয়া যায় । নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে, আমি বাবাকে স্মরণ করে ভবিষ্যতের
জন্য কতটা উপার্জন করেছি ? কতজন অন্ধের লাঠি হয়েছি ? তোমাদের ঘরে ঘরে খবর দিতে হবে
যে, এই পুরানো দুনিয়ার এখন পরিবর্তন হচ্ছে । বাবা নতুন দুনিয়ার জন্য রাজযোগ
শেখাচ্ছেন । সিঁড়ির ছবিতে সব দেখানো হয়েছে । এইভাবে তৈরী করাতে পরিশ্রম লাগে ।
সারাদিন এই খেয়াল চলতে থাকে যে, এমন কিভাবে সহজ করে বানাই যাতে সবাই বুঝতে পারে ।
সারা দুনিয়া তো আর আসবে না । দেবী - দেবতা ধর্মের যারা, তারাই আসবে । তোমাদের এই
সেবা তো খুব চলতে থাকবে । তোমরা তো জানো যে, আমাদের এই ক্লাস কতদিন পর্যন্ত চলবে ।
ওরা তো কল্পের আয়ু লাখ বছর মনে করে । তাই শাস্ত্র ইত্যাদি শোনাতেই থাকে । ওরা মনে
করে যখন অন্তিম সময় আসবে তখনই সকলের সদগতিদাতাও আসবেন, আর যারা আমাদের শিষ্য হবে,
তাদের উদ্ধার হয়ে যাবে, আর তখন আমরা গিয়েও জ্যোতিতে মিলিয়ে যাবো, কিন্তু এমন তো আর
হয় না । তোমরা এখন জানো যে, আমরা অমরনাথ বাবার কাছ থেকে প্রকৃত অমর কথা শুনছি ।
তাই অমর বাবা যা বলছেন, তা মানতেও হবে ? তিনি কেবল বলেন - তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর
পবিত্র হও । না হলে অনেক সাজা ভোগ করতে হবে । পদও কম প্রাপ্ত করবে । এই সেবাতে
পরিশ্রম করতে হবে । দধীচী ঋষির যেমন উদাহরণ আছে । তিনি তাঁর অস্থিও সেবাতে বিসর্জন
দিয়েছিলেন । নিজের শরীরের খেয়াল না করে সারাদিন সেবাতে থাকা, একেই বলা হয় সেবাতে
অস্থি বিসর্জন । এক হলো শরীরের অস্থি সেবা, আর এক হলো আত্মিক অস্থি সেবা । আত্মিক
সেবা যারা করে তারা এই আত্মিক জ্ঞানই শোনাতে থাকবে । ধন দান করে খুশীতে নৃত্য করবে
। দুনিয়াতে মানুষ যে সেবা করে, তা হলো দেহের । যারা শাস্ত্র শোনায়, সে তো কোনো
আত্মিক সেবা তো নয় । আত্মিক সেবা তো এক বাবা এসেই শেখান । আধ্যাত্মিক বাবা এসেই
আত্মারূপী বাচ্চাদের পড়ান ।
বাচ্চারা, তোমরা এখন সত্যযুগী নতুন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছো । ওখানে
তোমাদের দ্বারা কোনো বিকর্ম হবে না । সে হলো রামরাজ্য । ওখানে অল্প কিছু জনই থাকে ।
এখন তো রাবণ রাজ্যে সবাই দুঃখী, তাই না । এই সম্পূর্ণ জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে
পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে আছে । এই সিঁড়ির চিত্রেই সম্পূর্ণ জ্ঞান এসে যায় । বাবা
বলেন যে, তোমরা এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হও, তাহলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে ।
তোমাদের এইভাবে বোঝাতে হবে যাতে মানুষ বুঝতে পারে, আমরা সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান
হয়েছি, আবার স্মরণের যাত্রাতেই সতোপ্রধান হতে পারবো । দেখলেই তো বুদ্ধি চলতে থাকবে,
এই জ্ঞান আর কারোর কাছেই নেই । ওরা বলবে, এই সিঁড়িতে অন্য ধর্মের কথা কোথায় আছে ?
সে তো এই গোলাতে লেখা আছে । ওরা তো নতুন দুনিয়াতে আসে না । ওরা শান্তি পায় ।
ভারতবাসীরাই তো স্বর্গে ছিলো, তাই না । বাবাও ভারতে এসেই রাজযোগ শেখান, তাই ভারতের
প্রাচীন যোগ সবাই শিখতে চায় । এই চিত্র দেখে ওরা নিজেরাই বুঝে যাবে যে, বরাবর নতুন
দুনিয়াতে ভারতই ছিলো । তারা নিজের ধর্ম সম্বন্ধেও বুঝে যাবে । যদিও ক্রাইস্টও ধর্ম
স্থাপন করতে এসেছিলেন, কিন্তু এই সময় তিনিও তমোপ্রধান । এ রচয়িতা এবং রচনার কতো বড়
জ্ঞান ।
তোমরা বলতে পারো, আমাদের কারোর অর্থের প্রয়োজন নেই । অর্থ দিয়ে আমরা কি করবো ।
তোমরাও শোনো আর অন্যদেরও শোনাও । এই চিত্র ইত্যাদি ছাপাও । এই চিত্র দেখিয়েই কাজ
করতে হবে । এমন পরিবেশ তৈরী করো যেখানে এই জ্ঞান শোনানো যেতে পারে । বাকি আমরা অর্থ
নিয়ে কি করবো । এতে তোমাদের ঘরেরই কল্যাণ হয় । তোমরা কেবল ব্যবস্থা করো । অনেকেই
এসে বলবে, এই রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান তো খুব সুন্দর । এ তো মনুষ্যকেই বুঝতে হবে ।
বিলেতের লোকেরা এই জ্ঞান শুনে খুব পছন্দ করবে । তারা খুব খুশী হবে । ওরা মনে করবে,
আমরাও যদি বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হই, তাহলে আমাদের বিকর্মও বিনাশ হবে । সবাইকে বাবার
পরিচয় দান করতে হবে । সবাই বুঝতে পারবে যে, এই জ্ঞান তো ভগবান ছাড়া কেউই দিতে পারবে
না । মানুষ বলে, খুদা বেহেস্ত স্থাপন করেছিলেন, কিন্তু তিনি কিভাবে এসেছিলেন, এ
কেউই জানে না । ওরা তোমাদের কথা শুনে খুশী হবে, তখন পুরুষার্থ করে এই যোগও শিখবে ।
তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য তখন পুরুষার্থ করবে । সেবার জন্য তো খুবই
খেয়াল রাখা উচিত । ভারতে যদি যোগ্যতা প্রমাণ করো, বাবা তখন বাইরেও পাঠাবেন যে, এই
দল যাবে । এখন খুব অল্প সময়ই পড়ে আছে নতুন দুনিয়া তৈরী হতে দেরী তো লাগেই না ।
কোথাও ভূমিকম্প ইত্যাদি হলে দুই - তিন বছরের মধ্যে নতুন বাড়ি আবার তৈরী করে দেয় ।
অনেক কারিগর যদি থাকে, জিনিসও যদি সব তৈরী থাকে, তাহলে সব তৈরী করাতে সময় তো
লাগবেই না । বিলেতে বাড়ী কিভাবে তৈরী হয় - মিনিট মোটর । তাহলে স্বর্গে কতো তাড়াতাড়ি
তৈরী হবে । তোমরা সোনা - রূপা ইত্যাদি অনেক পেয়ে যাও । তোমরা খনি থেকে সোনা, রূপা,
হীরে ইত্যাদি নিয়ে আসো । যোগ্যতা তো সবাই তৈরী করছে । সায়েন্সের এখন কতো গুরুত্ব
। এই সায়েন্স আবার ওখানে কাজে আসবে । এখানে যারা শিখছে তারা পরের জন্মে ওখানে গিয়ে
এই কাজে লেগে যাবে । সেই সময় তো সম্পূর্ণ দুনিয়া নতুন হয়ে যায়, রাবণ রাজ্য শেষ হয়ে
যায় । পাঁচ তত্বও তাদের নিয়ম মতো সেবাতে থাকে । স্বর্গ তখন তৈরী হয়ে যায় । ওখানে
এখানকার মতো কোনো উপদ্রব হয় না । রাবণ রাজ্যই নেই, সকলেই সতোপ্রধান ।
বাচ্চারা, সবথেকে ভালো কথা হলো, বাবার প্রতি তোমাদের অনেক প্রেম থাকা উচিত । বাবা
তোমাদের সম্পদ দান করেন । তা ধারণ করে অন্যদেরও তা দান করতে হবে । যতো দান করবে,
ততই একত্রিত হতে থাকবে । সেবা না করলে কিভাবে ধারণা হবে ? সেবার প্রতি বুদ্ধি থাকা
চাই । এই সেবা তো অনেক প্রকারের হতে পারে । দিনে দিনে তোমাদের সকলের উন্নতি করতে হবে
। তোমাদের নিজেদেরও উন্নতি করতে হবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ,
সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা
এই আধ্যাত্মিক সেবায় তৎপর থাকতে হবে । জ্ঞান ধন দান করে খুশীতে নৃত্য করতে হবে ।
নিজে ধারণ করে অন্যদেরও ধারণ করাতে হবে ।
২ ) বাবা যে জ্ঞান সম্পদ দান করেন, তাতে নিজের ঝুলি ভরপুর করতে হবে । নোটস নিতে হবে
। তারপর টপিকের উপর বোঝাতে হবে । জ্ঞান ধনের দান করার জন্য উৎসাহে থাকতে হবে ।
বরদান:-
"নিরাকার থেকে সাকার" এই মন্ত্রের স্মৃতিতে সেবার ভূমিকা পালনকারী আধ্যাত্মিক
সেবাধারী ভব
বাবা যেমন নিরাকার
থেকে সাকার হয়ে সেবার ভূমিকা পালন করেন, তেমনই বাচ্চাদেরও এই মন্ত্রের যন্ত্র
স্মৃতিতে রেখে সেবার ভূমিকা পালন করতে হবে । এই সাকার সৃষ্টি, সাকার শরীর হলো স্টেজ
। স্টেজ হলো আধার, অভিনেতা আধারমূর্তি, মালিক । এই স্মৃতিতে থেকে আসক্তি মুক্ত হয়ে
ভূমিকা পালন করো, তাহলে সেন্সের সঙ্গে এসেন্সফুল, আত্মিক সেবাধারী হয়ে যাবে ।
স্লোগান:-
সাক্ষী হয়ে প্রতিটি খেলাকে যে দেখে সেই সাক্ষীদ্রষ্টা ।