23.06.2022
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের যতই কোটি কোটি টাকা বা সম্পত্তি থাকুক না কেন কোনো কাজেই লাগবে না, সব
মাটিতে মিশে যাবে, সেইজন্য তোমরা এখন সত্যখন্ডের জন্য প্রকৃত উপার্জন করো"
প্রশ্নঃ -
কোন্ একটি
কারণের জন্য তোমরা ব্রাহ্মণরা দেবতাদের থেকেও উচ্চ মান্যতা প্রাপ্ত করো?
উত্তরঃ
আমরা
ব্রাহ্মণরা এখন সকলের আত্মিক (রূহানী) সেবা করে থাকি। আমরা প্রত্যেক আত্মাদের মিলন
পরমাত্মা বাবার সাথে করিয়ে থাকি। এই পাবলিক সেবা দেবতারা করেন না। ওখানে তো
রাজা-রানী তথা প্রজারাও থাকে, যা কিছু এখানে পুরুষার্থ করেছে তার প্রালব্ধ ভোগ করে।
সেবা করে না সেইজন্যই তোমরা সেবাধারী ব্রাহ্মণরা হলে দেবতাদের থেকেও উচ্চ।
ওম্ শান্তি ।
এটা কার সভা
বসেছে ? জীব আত্মাদের আর পরমাত্মার। যাদের শরীর থাকে তাদের বলা হয় জীব আত্মা, তারা
হল মানুষ আর ওঁনাকে বলা হয় পরমাত্মা। জীবাত্মা আর পরমাত্মা পৃথক ছিল বহু কাল.....
একে বলা হয় মঙ্গল মিলন। বাচ্চারা জানে যে পরম পিতা পরমাত্মাকে জীবাত্মা বলা যায়
না, কারণ তিনি লোন নেন। শরীরের আধার নেন। স্বয়ং এসে বলেন যে বাচ্চারা আমাকেও এই
প্রকৃতির আধার নিতে হয়। আমি গর্ভে তো প্রবেশ করি না। আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করে
তোমাদেরকে বোঝাই। তোমাদের জীব আত্মাদের তো নিজের নিজের শরীর থাকে। আমার নিজস্ব কোনো
শরীর নেই। তাহলে তো হল না এইটা একটা সম্পূর্ণ পৃথক সভা ! এ'রকম নয় যে এখানে কোনো
গুরু চ্যালা বা শিষ্যরা বসে আছে। না, এটি হল স্কুল। এইরকম নয় যে গুরুর পরবর্তীকালে
সিংহাসন প্রাপ্ত করা যাবে। এখানে সিংহাসনের কোনো কথাই নেই। বাচ্চাদের নিশ্চয় আছে
যে আমাদেরকে কে পড়াচ্ছেন। নিশ্চয় ব্যতীত কেউ আসতে পারে না। জীব আত্মাদের বর্ণ হল
ব্রাহ্মণ বর্ণ কারণ ব্রহ্মার দ্বারা পরমপিতা পরমাত্মা রচনার সৃষ্টি করেন। তোমরা জানো
যে আমরা ব্রাহ্মণরা হলাম সবথেকে সর্বোত্তম, দেবতাদের থেকেও উত্তম। দেবতারা কোনো
পাবলিক সেবা করে না। ওখানে তো যথা রাজা রাণী তথা প্রজা, যারা যেমন পুরুষার্থ করেছে
সেই অনুসারে নিজেরা প্রালব্ধ ভোগ করে। সেবা কেউ করে না। ব্রাহ্মণরা সেবা করে।
বাচ্চারা জানে যে আমরা অসীমের পিতার সাথে হুবহু ৫ হাজার বর্ষ পূর্বের মতোই রাজযোগ
শিখছি। তোমরা হলে বাচ্চা। এখানে শিষ্য ইত্যাদির কোনো কথা নেই। বাবা মুহূর্মুহূ
বাচ্চারা-বাচ্চারা বলে বোঝান। তোমরা এখন আত্ম-অভিমানী হয়েছো। আত্মা হল অবিনাশী,
শরীর হল বিনাশী। শরীরকে কাপড় বলা হয়। এটি হল পুতিগন্ধময় কাপড় কারণ আত্মা আসুরী
মতের আধারে বিকারে যায়। অপবিত্র হয়। পবিত্র আর অপবিত্র শব্দটির উৎপত্তি হয় বিকার
থেকেই। বাবা বলেন যে এখন আর অপবিত্র হয়ো না। এখন সকলে রাবণের শিকলে আবদ্ধ কারণ এটি
হল রাবণ রাজ্য। তাই বাবা তোমাদের রাবণ রাজ্য থেকে মুক্ত করে রাম রাজ্যে নিয়ে যান।
গডফাদার হলেন মুক্তিদাতা বলেন আমি সকলকে দুঃখ থেকে মুক্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে যাই
শান্তিধামে। ওখানে গিয়ে আবার নতুন করে বাচ্চাদের নিজ-নিজ পার্ট পুনরাবৃত্তি করতে
হবে। সর্বপ্রথমে দেবতাদের পার্ট পুনরাবৃত্তি করতে হবে। ওরাই প্রথমে ছিল। যদিও এখন
ব্রহ্মার দ্বারা আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়। কলিযুগের বিনাশ সামনে
দন্ডায়মান। কতো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। যদিও পদমপতি কোটিপতি হয়ে গেছে।
রাবণের হল এটি বিশাল বড় জৌলুস (পাম্প), এর দ্বারাই লোভপ্রবণ হয়ে গেছে। বাবা বোঝান
যে এট'সব হল মিথ্যা উপার্জন, যা সবকিছুই মাটিতে মিশে যাবে। ওরা কোনো কিছুই প্রাপ্ত
করতে পারবে না। তোমরা তো ভবিষ্যৎ ২১ জন্মের জন্য বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে এসেছো।
এটা হল সত্যখন্ডের জন্য প্রকৃত উপার্জন। সকলকে ফিরে যেতেই হবে। এখন সকলের হল
বাণপ্রস্থ অবস্থা। বাবা বলেন সকলের সদ্গতি দাতা সদ্গুরু হলাম আমি। সাধুদের,
অপবিত্রদের সকলকে উদ্ধার করি আমি। ছোট বাচ্চাদেরও শেখানো হয় যে শিববাবাকে স্মরণ করো।
বাকি আর সবকিছুর চিত্র ইত্যাদিকে পরিত্যাগ করো। এক শিব বাবা দ্বিতীয় না কেউ।
তোমরা জানো যে আমরা
বাবার থেকে আবারও অসীম সুখের উত্তরাধিকার নিতে এসেছি। সীমিত জগতের পিতার থেকে সীমিত
জগতের উত্তরাধিকার তো জন্ম-জন্মান্তরে নিয়েছি, রাবণের আসুরী মতের আধারে অপবিত্র হতে
থেকেছি। মানুষ এইসব কথা বোঝে না। রাবণকে জ্বালায় তাহলে জ্বলে শেষ হয়ে যাবে তাই না!
মানুষকে যখন জ্বালায় তখন তার নাম রূপ সবকিছু শেষ হয়ে যায়। রাবণের নাম রূপ তো শেষ-ই
হয় না, আবারও আবার জ্বালাতেই থাকে। বাবা বলেন এই ৫ বিকার রূপী রাবণ হল তোমাদের ৬৩
জন্মের শত্রু। ভারতের শত্রু তাহলে আমাদেরও শত্রু। যখন বাম মার্গে এসেছিল তখন থেকেই
রাবণের জেলে আবদ্ধ ছিলে। অবশ্যই অর্ধকল্প থেকে রাবণ রাজ্য ছিল। রাবণ জ্বলেও না,
মরেও না। এখন তোমরা জানো যে রাবণের রাজ্যে আমরা অনেক দুঃখী ছিলাম। এটা হল দুঃখ আর
সুখের খেলা। গায়নেও আছে মায়ার কাছে হারলে হার, মায়ার থেকে জিততে পারলে জিত....
এখন মায়াকে জিতে আমরা আবারও রাম রাজ্য প্রাপ্ত করি। রাম সীতার রাজ্য তো ত্রেতাতে
আছে। সত্যযুগে ছিল লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য। ওখানে তো হলই আদি সনাতন দেব-দেবতা ধর্ম,
সেটিকে বলা হবে ঈশ্বরীয় রাজ্য, যেটি বাবা স্থাপন করেছেন। বাবাকে কখনোই সর্বব্যাপী
বলা যাবে না। এটা হল ব্রাদরহুড। বাবা হলেন এক আর তোমাদের সকলের পারস্পরিক সম্পর্ক
হল ভাই ভাই। বাবা বসে আছো আত্মাদেরকে পড়ান। বাবার আজ্ঞা হল আমাকে স্মরণ করো। আমি
এসেছি ভক্তির ফল দিতে। কাকে ? যারা শুরু থেকে অন্ত পর্যন্ত ভক্তি করে এসেছে। প্রথমে
তোমরা এক শিববাবার ভক্তি করতে। সোমনাথের মন্দির হল কত সুন্দর। বিচার-বিশ্লেষণ করতে
হবে আমরা কতো ধনবান ছিলাম। এখন গরিব কড়ি তুল্য হয়ে গেছো। এখন তোমরা ৮৪ জন্মের
স্মৃতি ফিরে পেয়েছো। এখন তোমরা জানো যে আমরা কি থেকে কি হয়েছি।
এখন তোমাদের স্মৃতি
এসেছে। স্মৃতিলব্ধা শব্দটিও হল এখনকারই - এর অর্থ এটা ভেবো না যে ভগবান এসে সংস্কৃত
গীতা শুনিয়েছেন। সংস্কৃত হলে তো তোমরা কিছুই বুঝতে পারতে না। হিন্দি ভাষাই হল
মুখ্য। যা হল এই ব্রহ্মার ভাষা, সেই ভাষাতেই বোঝাচ্ছেন। প্রতি কল্পে এই ভাষাতেই
বোঝান। তোমরা জানো যে আমরা বাপদাদার সামনে বসে আছি। এটা হল ঘর - মাম্মা বাবা, বোন
আর ভাই। ব্যস্ আর কোনো সম্বন্ধ নেই। ভাই বোনের সম্বন্ধ তখন হল যখন প্রজাপিতা
ব্রহ্মার হয়েছো। নাহলে আত্মার সম্বন্ধে তো তোমরা হলে ভাই-ভাই। বাবার থেকে
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হচ্ছে । আত্মা জানে যে আমাদের বাবা এসেছেন । তোমরা
ব্রহ্মান্ডের মালিক ছিলে। বাবাও তো ব্রহ্মান্ডের মালিক ! যেমন আত্মা হল নিরাকার,
তেমনই পরমাত্মাও হলেন নিরাকার । নামই হল পরমপিতা পরমাত্মা অর্থাৎ ঊর্ধ্ব থেকে
ঊর্ধ্বে থাকা আত্মা। পরম আত্মার অর্থই হল পরমাত্মা । পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার
প্রাপ্ত হয়। এখানে কোনও সাধু সন্ত মহাত্মার ব্যাপার নেই। বাচ্চারা রয়েছে, বাবার
কাছ থেকে অসীমের বর্সা নিচ্ছে আর কেউই এই বর্সা দিতে পারে না। বাবাই সত্যযুগের
স্থাপনকারী। বাবা সর্বদা সুখই প্রদান করেন। এমন নয় যে সুখ দুঃখ বাবা'ই দেন। এমন ল'
নেই। বাবা স্বয়ং বলেন আমি তোমাদেরকে পুরুষার্থ করাই, ২১ জন্মের জন্য তো তোমরা দেবতা
হও। তাহলে তো তিনি সুখদাতা হলেন, তাই না ? দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা। এখন তোমরা জানো যে
দুঃখ কে দেয় ? রাবণ। একে বলা হয় বিকারী দুনিয়া। স্ত্রী পুরুষ উভয়ই বিকারী।
সত্যযুগে উভয়ই নির্বিকারী ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল যে। সেখানে সঠিক নিয়মে
রাজত্ব চলে। প্রকৃতি তোমাদের অর্ডারে চলে। ওখানে কোনো উপদ্রব হতে পারে না। তোমরা
বাচ্চারা স্থাপনার সাক্ষাৎকার করেছো। বিনাশও অবশ্যই হতে হবে। হোলিকার (দহনের) সময়
সঙ সাজে। জিজ্ঞাসা করা হয় - এর পেট থেকে কি বেরোবে ? তখন বলে মুসল। রাইট কথাটা তো
তোমরা জানো। তাদের সায়েন্স কতো উন্নত! বুদ্ধির ব্যাপার, তাই না ? সায়েন্সের কতো
অহংকার এখন। কতো কতো জিনিস, সুখের জন্য এরোপ্লেন ইত্যাদি বানাতে থাকে। তারপর সেই সব
জিনিসের সাহায্যে বিনাশও করবে। পরবর্তীকালে নিজেদের কুলেরই বিনাশ করবে। তোমরা তো হলে
গুপ্ত। তোমরা কারো সাথেই যুদ্ধ বা সংঘর্ষ করবে না, কাউকে দুঃখও দাও না। বাবা বলেন
মন্সা - বাচা - কর্মণার দ্বারা কাউকেই দুঃখ দেবে না। বাবা কী কাউকে কখনো দুঃখ দেন ?
সুখধামের মালিক বানান তিনি। তোমরাও সকলকে সুখ দাও। বাবা তোমাদেরকে বুঝিয়েছেন - যে
যাই বলুক না কেন, শান্তিতে হর্ষিতমুখ থাকতে হবে। যোগে থেকে হাসিমুখে থাকা উচিত ।
তোমাদের যোগবলের দ্বারা তারাও শান্ত হয়ে যাবে। বিশেষ করে টিচারদের আচরণ খুব ভালো
হওয়া চাই। কারো প্রতিই যেন ঘৃণা না থাকে। বাবা বলেন আমি কি কখনো কাউকে ঘৃণা করব নাকি।
জানি যে এরা সবাই হল পতিত, এই ড্রামা পূর্ব রচিত। আমি জানি যে এর আচার-আচরণই এই রকম।
খাদ্যাভ্যাস ম্লেচ্ছের, যা পারে তাই খেতে থাকে। লাইফ সকলের কাছেই প্রিয়। আমার
কাছেও খুব প্রিয়। আমরা জানি যে বাবার কাছ থেকে বর্সা নিতে হবে। যোগে থাকলে তোমাদের
আয়ু বাড়বে, বিকর্ম কম হবে । ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য আয়ু বৃদ্ধি পাবে।
পুরুষার্থ হল এখনকার, যার দ্বারা প্রালব্ধ তৈরী হয়। যোগবলের দ্বারা আমরা হেল্দী হয়ে
যাই, জ্ঞানের দ্বারা ওয়েল্দী। হেল্থ, ওয়েল্থ আছে তো সুখ রয়েছে। কেবল ওয়েন্স আছে
কিন্তু হেল্থ নেই, তবে সুখও থাকতে পারে না। এই রকম অনেক রাজা, বড় বড় সাহুকার আছেন
কিন্তু খঞ্জ, অসুস্থ। বলে যে তারা এমন বিকর্ম করেছিল যে যার ফল এখন পাচ্ছে। বাবা
তোমাদেরকে অনেক কিছু বলেন, এমন যেন না হয় যে বাইরে যাওয়ার সাথে সাথেই এখানেরটা
এখানেই রয়ে গেল ! এটা তো হওয়া উচিত নয় তাই না। ধারণা করতে হবে যাতে আর কিছু যেন
স্মরণে না আসে। আচ্ছা শিব বাবাকে স্মরণ করো মনে মনে অনেক গুপ্ত মহিমা করতে হবে। বাবা
এই মন - চিত্ততেও ছিল না যে তুমি এসে পড়াবে ! এ'কথা কোনো শাস্ত্রতেও নেই যে
নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা এসে পড়ান। বাবা এখন আমরা জেনে গেছি। বাবার পরিবর্তে
কৃষ্ণের নাম দিয়ে দেওয়ায় গীতা খন্ডন হয়ে গেছে। কৃষ্ণের তো এই রকম চরিত্র হতে
পারে না। গীতা হল এই সঙ্গমের শাস্ত্র । মানুষ দ্বাপরে দেখিয়ে দিয়েছে। তো বাবা
বলেন যে, বাচ্চারা - আর সব বিষয়কে ছেড়ে পড়াশোনার প্রতি মনোনিবেশ করো। বাবার স্মরণ
না থাকলে, পড়াশোনাতে মজে না থাকলে তবে টাইম ওয়েস্ট হয়ে যাবে। তোমাদের টাইম হল
মোস্ট ভ্যালুয়েবল। সেইজন্য ওয়েস্ট করা উচিত নয়। শরীর নির্বাহের জন্য কাজকর্ম যা
করার করো, কিন্তু আজেবাজে চিন্তা ভাবনা করে টাইম কাটানো উচিত নয়। তোমাদের
প্রত্যেকটি সেকেন্ডে হল হীরের মতো ভ্যালুয়েবল। বাবা বলেন, মন্মনাভব। কেবল সেই
সময়টুকুই হল লাভবান, বাকি সময় গুলো ওয়েস্ট হয়ে যায়। চার্ট রাখো যে আমাদের কতটা
সময় ওয়েস্ট হয়ে যায়। শব্দ হল একটাই - মন্মনাভব। অর্ধ কল্প জীবনমুক্তি ছিল,
অর্ধকল্প জীবনবন্ধতে এসেছো। সতোপ্রধান, সতো, রজঃ, তমঃতে এসে আবার আমরা জীবনমুক্ত
হচ্ছি। বানাচ্ছেন বাবা। সকলের জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয় । নিজের নিজের ধর্ম অনুসারে
সবার আগে সুখ দেখবে, তারপর দুঃখ। নতুন আত্মারা যখন প্রথমে আসে, তারা সুখ ভোগ করে।
কারো কারো অনেক মহিমা হতে থাকে। কেননা নতুন সোল হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে শক্তি থাকে।
তোমাদের মনে খুশীর বাদ্য বাজতে থাকা উচিত। আমরা বাপদাদার সামনে বসে আছি। এখন নতুন
রচনা রচিত হচ্ছে। সত্যযুগের থেকেও অনেক বেশী মহিমা এখন তোমাদের হয়। জগৎ অম্বা,
দেবীরা সবাই সঙ্গমেই ছিল। তারা ব্রাহ্মণ ছিল। তোমরা জানো যে, এখন আমরা হলাম
ব্রাহ্মণ, তারপর দেবতা পূজণীয় যোগ্য হবো। তখন তোমাদের স্মারক রূপে মন্দির তৈরী হয়।
তোমরা চৈতন্য দেবী হয়ে ওঠো। সেগুলো হল জড়। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো যে ইনি দেবী
কীভাবে হলেন । কেউ যদি তোমাদের সাথে কথা বলতে চাও তাদেরকে বোঝানো যে, আমরাই সেই
ব্রাহ্মণ ছিলাম তারপর আমরাই সেই দেবতা হই। তোমরা চৈতন্যে রয়েছো। তোমরা মানুষকে
বুঝিয়ে থাকো যে, এই নলেজ কতো ফার্স্ট ক্লাস। তোমরা তো স্থাপনা করছো। বাচ্চারা বলে,
বাবা আমরা লক্ষ্মী-নারায়ণের থেকে কম পদ নেব না। আমরা তো সম্পূর্ণ বর্সা নেবো। এই
স্কুল তো হল এই রকম। সবাই বলবে আমরা এসেছি প্রাচীন রাজযোগ শেখার জন্য। যোগের দ্বারা
দেবী দেবতা হয়ে ওঠে। এখন তো শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছো। তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা
হবে। মূল কথাই হল স্মরণের। স্মরণের সময়ই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তোমরা অনেক চেষ্টা
করতে থাকবে, তাও বুদ্ধি কোথায় না কোথায় চলে যাবে। এতেই হল সমস্ত পরিশ্রম ।আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবার সমান সুখদাতা হতে হবে। মন্সা-বাচা-কর্মণাতেও কাউকেউ দুঃখ দিলে চলবে না। সর্বদা
শান্তচিত্ত আর হর্ষিতমুখ থাকতে হবে।
২ ) ব্যর্থ চিন্তা
ভাবনায় সময় নষ্ট করলে চলবে না। বাবার মহিমা হৃদয় থেকে করতে হবে।
বরদান:-
শ্রেষ্ঠ মত অনুসারে প্রতিটি কর্ম কর্মযোগী হয়ে করতে থাকা কর্মবন্ধন মুক্ত ভব
যে সমস্ত বাচ্চারা
শ্রেষ্ঠ মত অনুসারে প্রতিটি কর্মে রত থেকেও অসীমের আত্মিক নেশায় থাকে, তারা কর্মে
রত থেকেও কর্মের বন্ধনে আসে না, পৃথক এবং প্রিয় হয়। কর্মযোগী হয়ে কর্মে রত থাকায়
তাদের কাছে দুঃখের ঢেউ আসতে পারে না, তারা সর্বদা পৃথক আর প্রিয় হয়। কোনো প্রকারের
কর্ম বন্ধন তাদেরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে না। সর্বদা মালিক হয়ে কর্ম করায়।
সেইজন্য বন্ধনমুক্ত স্থিতির অনুভব হয়। এইরূপ আত্মারা নিজেও সর্বদা খুশিতে থাকে আর
অন্যদেরকেও খুশি প্রদান করে।
স্লোগান:-
অনুভবের অথরিটি হও, তাহলে কখনোই প্রতারিত হবে না।