01.11.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা হলে এই আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট, তোমাদের কাজই হলো সমগ্র
ব্রহ্মান্ডে অর্থাৎ বিশ্বজগতে বাবার বার্তা পৌঁছে দেওয়া"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, এখন
তোমরা কিসের নাগাড়া(ঢাক) বাজাও এবং কোন্ কথা বোঝাও?
উত্তরঃ
তোমরা এই ঢাকই
বাজাতে থাকো যে, এই নতুন দৈবী-রাজধানী পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। বহু ধর্মের এখন বিনাশ হবে।
তোমরা সকলকে বোঝাও যে, সকলে নিশ্চিন্ত হয়ে (বেফিকর) থাকো, এ হলো আন্তর্জাতিক মহাসমর।
এই যুদ্ধ অবশ্যই হবে, তারপরেই দৈবী-রাজধানী আসবে(স্থাপিত হবে)।
ওম্ শান্তি ।
এ হলো
আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়। সমগ্র ব্রহ্মান্ডে যেসকল আত্মারা রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে
আত্মারাই পড়ে। ইউনিভার্স অর্থাৎ বিশ্ব। বাচ্চারা, এখন নিয়মানুযায়ী ইউনিভার্সিটি
শব্দটি তোমাদের জন্যই। এ হলো আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়। লৌকিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ই
না। এ হলো একমাত্র গডফাদারলী ইউনিভার্সিটি। সব আত্মারাই লেসেন(পাঠ) পায়। এই সংবাদ
তোমাদের কোন না কোনভাবে সকলের কাছে অবশ্যই পৌঁছে দেওয়া উচিত, ম্যাসেজ তো পৌঁছে দিতে
হবে, তাই না! আর এই ম্যাসেজ অতি সাধারণ। বাচ্চারা জানে যে, তিনি আমাদের অসীম জগতের
পিতা, যাঁকে সকলেই স্মরণ করে। তারা এমনও বলে যে, তিনি আমাদের অসীম জগতের প্রিয়তম,
বিশ্বে যেসকল জীবাত্মারা রয়েছে, তারা সকলেই সেই প্রিয়তমকে অবশ্যই স্মরণ করে। এই
পয়েন্টগুলি ভালভাবে ধারণ করতে হবে। যারা ফ্রেশ বুদ্ধিসম্পন্ন হবে তারা ভালোভাবে
ধারণ করতে পারবে। ব্রহ্মান্ডে যেসকল আত্মারা রয়েছে, তাদের সকলেরই পিতা একজনই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তো মানুষই পড়বে, তাই না! বাচ্চারা, এখন তোমরা এটাও জেনেছো যে -
আমরাই ৮৪ বার জন্মলাভ করি। ৮৪ লক্ষের তো কোনো কথাই নেই। ব্রহ্মান্ডে যত আত্মা রয়েছে,
এ'সময় সকলেই অপবিত্র। এ হলোই ছিঃ-ছিঃ দুনিয়া, দুঃখধাম। একজন পিতাই রয়েছেন যিনি (ওই
দুনিয়াকে) সুখধামে নিয়ে যান(পরিবর্তিত করেন), তাঁকে মুক্তিদাতাও বলা হয়। তোমরা
সমগ্র ইউনিভার্স অর্থাৎ বিশ্বের মালিক হও, তাই না! বাবা সকলকেই বলেন - এই ম্যাসেজ
পৌঁছে দিয়ে এসো। বাবাকে সকলেই স্মরণ করে, ওনাকে গাইড, লিবারেটর, দয়াবানও বলা হয়।
ভাষা তো অনেক, তাই না! সকল আত্মারাই একজনকেই ডাকে তাহলে তিনিই হলেন সকল ইউনিভার্সের
একমাত্র টিচার, তাই না! বাবা তো তিনি অবশ্যই, কিন্তু একথা কেউ জানে না যে, তিনি
আমাদের সকল আত্মাদের টিচারও, গুরুও। সকলকে গাইডও করে। বাচ্চারা, এই অসীম জগতের
গাইডকে একমাত্র তোমরাই জানো। তোমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণেরা ব্যতীত অন্য আর কেউই জানেনা।
আত্মাকেও তোমরা জেনেছো যে, আত্মা কি পদার্থ। দুনিয়ায় তো এমন একজনও মানুষ নেই,
বিশেষতঃ ভারতে, সাধারণভাবে বিশ্বে কারোরই জানা নেই যে, আত্মা কি জিনিস। যদিও বলে
ভ্রুকুটির মাঝখানে জ্বলজ্বল করে এক আজব তারা। কিন্তু বোঝে না কিছুই। এখন তোমরা জানো
যে, আত্মা তো অবিনাশী। এ কখনো বড়-ছোট হতে পারে না। যেমন তোমাদের আত্মা, বাবাও তেমনই
বিন্দু। বড় বা ছোট নয়। তিনিও আত্মা, তিনি কেবল পরমাত্মা, সুপ্রীম। বরাবরই সব
আত্মারাই পরমধাম-নিবাসী। এখানে আসে নিজের পার্ট প্লে করতে। পুনরায় নিজের পরমধামে
যাওয়ার প্রচেষ্টা করে। পরমপিতা পরমাত্মাকে সকলেই স্মরণ করে কারণ আত্মাদের তো
পরমপিতাই মুক্তিতে পাঠিয়েছিল তাই ওঁনাকে স্মরণ করে। আত্মাই তমোপ্রধান হয়েছে। স্মরণ
কেন করে? সেটুকুও জানে না। যেমন বাচ্চা বলবে - "বাবা", ব্যস্। তাদের কিছুই জানা নেই।
তোমরাও বাবা-মাম্মা বলো, কিন্তু জানো না কিছুই। ভারতে এক ন্যাশানালিটি ছিল, তাকে
ডিটি-ন্যাশানালিটি বলা হতো। পুনরায় পরে এরমধ্যে আরো প্রবেশ করেছে। এখন কত
অধিকমাত্রায় হয়ে গেছে, তাই এত ঝগড়াদি হয়। যেখানে-যেখানে অধিকমাত্রায় প্রবেশ করেছে,
সেখান থেকে তাদের বের করে আনার প্রচেষ্টা করতে থাকে। ঝগড়া অনেক হয়েছে। অনেক
অন্ধকারও হয়ে গেছে। কিছু সীমা তো থাকা উচিত, তাই না! অ্যাক্টরদের লিমিট থাকা উচিত।
এও পূর্ব-নির্ধারিত খেলা (ড্রামা)। এখানে যত অ্যাক্টর্স আছে তাতে কম-বেশী হতে পারে
না। যখন সমস্ত অ্যাক্টররা স্টেজে চলে আসে তখন পুনরায় তাদের ফিরে যেতে হয়। যেসকল
অ্যাক্টররা রয়ে গেছে, তারাও আসতে থাকবে। যদিও কন্ট্রোল (জন্ম-নিয়ন্ত্রণ) করার জন্য
কত মাথা কুটতে থাকে, কিন্তু করতে পারে না। তাদের বলো - আমরা অর্থাৎ বি.কে-রা এমনভাবে
বার্থ কন্ট্রোল করবো যে তাতে আর বাকি ৯ লক্ষ রয়ে যাবে। তখন সমগ্র জনগননাই কম হয়ে
যাবে। আমরা তোমাদের সত্য বলি, এখন স্থাপনা করছে। নতুন দুনিয়া, নতুন বৃক্ষ অবশ্য
ছোটই হবে। এখানে তো এ'সব কন্ট্রোল (জন্ম-নিয়ন্ত্রণ) করতে পারবে না কারণ আরও
তমোপ্রধান হতে থাকে। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে। যেসকল অ্যাক্টররা আসবে, তারা এখানে
এসেই শরীর ধারণ করবে। এ'সকল কথা কেউ বোঝেই না। প্রখরবুদ্ধিসম্পন্নেরা বোঝে যে,
রাজধানীতে সকলপ্রকারের অ্যাক্টরই থাকে। সত্যযুগে যে রাজধানী ছিল তা পুনরায় স্থাপিত
হচ্ছে। ট্রান্সফার হয়ে যাবে। তোমরা এখন তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান শ্রেনীতে
ট্রান্সফার হয়ে যাও। পুরানো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়ায় চলে যাও। তোমাদের অধ্যয়ন এই
দুনিয়ার জন্য নয়। এমন ইউনিভার্সিটি আর হতে পারে না। গডফাদারই বলেন যে, আমি তোমাদের
অমরলোকের জন্য পড়াই। এই মৃত্যুলোক বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে যাবে। সত্যযুগে এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজধানী ছিল। এই স্থাপনা কিভাবে হয়েছে, তা কেউই জানে না। বাবা
সর্বদাই বলেন - যেখানে তোমরা ভাষণ করো সেখানে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র অবশ্যই রাখো।
এতে তারিখ যেন অবশ্যই লেখা থাকে। তোমরা বোঝাতে পারো যে, নতুন বিশ্বের প্রারম্ভ থেকে
১২৫০ বছর পর্যন্ত এই ডিনায়েস্টির রাজত্ব ছিল। যেমন বলা হয়, তাই না - খ্রীস্টান
রাজবংশীয় রাজ্য ছিল। একে অপরের পরে চলে আসে। যখন এই দেবতা রাজবংশ ছিল তখন দ্বিতীয়
কেউ ছিল না। এখন পুনরায় এই রাজবংশ স্থাপিত হচ্ছে। বাকি সবের বিনাশ হতেই হবে। লড়াই-ও
সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভাগবত ইত্যাদিতে এর উপরেও কাহিনী রচিত হয়েছে। শৈশবে এসব
গল্পকথাদি শুনতে। এখন তোমরা জানো যে, এই রাজত্ব কীভাবে স্থাপিত হয়। অবশ্য বাবা-ই
রাজযোগ শিখিয়েছেন। যারা উত্তীর্ণ হয় তারা বিজয়মালার দানা হয়, আর কেউ এই মালাকে জানে
না। তোমরাই জানো। তোমাদের হলো প্রবৃত্তিমার্গ। উপরে বাবা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, ওঁনার
তো নিজের শরীর নেই। তারপর ব্রহ্মা-সরস্বতী তথা লক্ষ্মী-নারায়ণ। প্রথমে চাই বাবা
তারপর যুগল।রুদ্রাক্ষের তো দানা হয়, তাই না! নেপালে একটি বৃক্ষ রয়েছে, যেখান থেকে
এই রুদ্রাক্ষের দানা আসে। এরমধ্যে আসলও থাকে। যত ছোট ততই মূল্য অধিক। এখন তোমরা এর
অর্থ বুঝে গেছো। এ বিষ্ণুর মালা অর্থাৎ রুন্ডমালা তৈরী হয়। ওইসমস্ত মানুষেরা তো
কেবল মালা জপ করতে-করতে রাম-রাম করতে থাকে, অর্থ কিছুই নেই। কেবল মালা জপ করে। এখানে
তো বাবা বলেন - আমায় স্মরণ করো। এ হলো অজপাজপ। মুখে কিছু বলতে হবে না। গানও স্থূল
হয়ে যায়। বাচ্চাদের কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তা নাহলে আবার গানই স্মরণে আসতে
থাকবে। এখানে মুখ্য কথাই হলো স্মরণের। তোমাদের আওয়াজের(বাণীর) ঊর্ধ্বে যেতে হবে।
বাবার ডায়রেক্শনই হলো 'মনমনাভব'। বাবা কি বলেন যে - গান গাও, চিৎকার-চেঁচামেচি করো।
আমার মহিমা-কীর্তনের কোনও প্রয়োজন নেই। এ তো তোমরা জানো যে, তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর,
সুখ-শান্তির সাগর। মানুষ জানে না। এমনি-এমনিই নাম রেখে দিয়েছে। তোমরা ব্যতীত আর
কেউই জানে না। বাবা-ই এসে নিজের নাম-রূপ ইত্যাদি বলেন - আমি কেমন? তোমরা অর্থাৎ
আত্মারা কেমন? তোমরা প্রচুর পরিশ্রম করো - পারট প্লে করার জন্য। অর্ধেককল্প ভক্তি
করেছো, আমি তো এইভাবে পার্ট প্লে করতে আসি না। আমি দুঃখ-সুখ থেকে মুক্ত। তোমরাই
দুঃখভোগ করো পুনরায় তোমরাই সুখভোগ করো - সত্যযুগে। তোমাদের ভূমিকা আমার চেয়েও উচ্চ।
আমি তো আধাকল্প ওখানেই বাণপ্রস্থে আরাম করে বসে থাকি। তোমরা আমাকে ডাকতে থাকো। এমন
নয় যে, আমি ওখানে বসে তোমাদের ডাক শুনি। আমার ভূমিকা রয়েছে এইসময়েই। ড্রামার পার্ট
আমি জানি। এখন ড্রামা সম্পূর্ণ হতে চলেছে, আমাকে গিয়ে পতিতদের পবিত্র করার পার্ট
প্লে করতে হবে এছাড়া আর কোনো কথাই নেই। মানুষ মনে করে যে, পরমাত্মা সর্বশক্তিমান,
তিনি অন্তর্যামী। সকলের অন্তরে কি চলছে, তা তিনি জানেন। কিন্তু বাবা বলেন, এরকম হয়
না। তোমরা যখন সম্পূর্ণ তমোপ্রধান হয়ে যাও - তখন সঠিক সময়ানুসারে আমাকে আসতে হয়।
সাধারণ শরীরেই আসি। বাচ্চারা, এসে তোমাদেরকে দুঃখ থেকে মুক্ত করি। এক ধর্মের স্থাপনা
ব্রহ্মার দ্বারা, অনেক ধর্মের বিনাশ শঙ্করের দ্বারা... হাহাকারের পর জয়-জয়কার হয়ে
যাবে। কত হাহাকার হবে। বিপর্যয়ের ফলে মরতে থাকবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও অনেক সহায়তা
প্রদান করে। তা নাহলে তো মানুষ রুগী, দুঃখী হয়ে পড়বে। বাবা বলেন - বাচ্চারা যাতে
দুঃখী হয়ে না পড়ে তাই ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ এমন তীব্রবেগে আসে যে সকলকে শেষ করে
দেয়। বোমা তো কিছুই নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় অনেক সাহায্য করে। আর্থকোয়েকে অনেক কিছু
শেষ হয়ে যায়। জলের এক-দুই ঝাপট আসলেই সবকিছু শেষ। সমুদ্রও অবশ্যই উছলে পড়বে। ধরনীকে
গ্রাস করবে, ১০০ ফুট পর্যন্ত জল উছলে উঠলে তখন কিরকম অবস্থার সৃষ্টি হবে। এ হলো
হাহাকারের দৃশ্যপট। এমন দৃশ্য দেখার জন্য সাহস চাই। পরিশ্রমও করতে হবে, ভয়শূণ্যও হতে
হবে। বাচ্চারা, তোমাদের ভিতর একদম অহঙ্কার থাকা উচিত নয়। দেহী-অভিমানী হও। যারা
দেহী-অভিমানী হয়ে থাকে তারা অত্যন্ত মিষ্টি হয়। বাবা বলেন - আমি হলাম নিরাকার এবং
বিচিত্র (চিত্র-বিহীন)। এখানে আসি সার্ভিস করার জন্য। দেখো, আমার কত মহিমা-কীর্তন
করে। জ্ঞানের সাগর... হে বাবা আর পুনরায় বলে পতিত দুনিয়ায় এসো। তোমরা অত্যন্ত
ভালভাবে নিমন্ত্রণ করো। তোমরা এমনও তো বলো না যে, স্বর্গে এসে দেখো কত সুখ। তারা
বলেও যে - হে পতিত-পাবন, আমরা তো অপবিত্র, আমাদের পবিত্র করতে এসো। তাদের
নিমন্ত্রণও দেখো কেমন। সম্পূর্ণ তমোপ্রধান পতিত দুনিয়া আর তারপর পতিত শরীরে আবাহন
করে। ভারতবাসীরা বড় ভালভাবে নিমন্ত্রণ জানায়! ড্রামায় রহস্য এইভাবেই রয়েছে। এনারও
কি জানা ছিল যে, এ হলো এনার বহু জন্মের অন্তিম জন্ম। বাবা যখন প্রবেশ করেছেন তখন
বলেছেন। বাবা প্রতিটি কথার(বিষয়) রহস্য বুঝিয়েছেন। ব্রহ্মাকেই তাঁর পত্নী হতে হবে।
বাবা স্বয়ং বলেন - ইনি আমার স্ত্রী। আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করে এনার মাধ্যমে
তোমাদের নিজের করে(অ্যাডপ্ট) নিই। ইনি হয়ে গেলেন তবে সত্যিকারের মা, আর উনি হলেন
অ্যাডপ্টেড মা(মাম্মা)। তোমরা মা-বাবা এনাদের বলতে পারো। শিববাবাকে কেবল বাবা-ই বলবে।
ইনি হলেন ব্রহ্মাবাবা, মাম্মা হলেন গুপ্ত। ব্রহ্মা হলেন মা কিন্তু শরীর পুরুষের। ইনি
তো প্রতিপালন করতে পারবেন না তাই অ্যাডপ্ট করেছেন কন্যাকে। নাম রেখেছেন মাতেশ্বরী।
তিনি হলেন প্রধানা। ড্রামানুসারে সরস্বতী হলেন একজনই। এছাড়া দূর্গা, কালী ইত্যাদি
অনেকপ্রকারের নাম আছে। মা-বাবা তো একজন করেই হয়, তাই না! তোমরা সকলে হলে তাঁদের
সন্তান। গায়নও রয়েছে, ব্রহ্মাপুত্রী সরস্বতী। তোমরা হলে ব্রহ্মাকুমার-কুমারী, তাই
না! তোমাদেরও অনেক নাম রয়েছে। এ'সমস্ত কথাও তোমাদের মধ্যে নম্বরের ক্রমানুসারেই
বুঝবে। পড়াশোনায়ও ক্রমিক সংখ্যানুযায়ী হয়। একের সঙ্গে অন্যের মিল হয় না। এখানে
রাজধানী স্থাপিত হচ্ছে। এই ড্রামা পূর্ব-নির্ধারিত। একে বিস্তারিত বুঝতে হবে।
অসংখ্য পয়েন্টস্ রয়েছে। ব্যারিস্টারী পড়ে, সেখানেও নম্বরের ক্রমানুযায়ী (ব্যারিস্টার)
হয়। কোনো ব্যারিস্টার ২-৩ লক্ষ উপার্জন করে আবার দেখো, কেউ ছেঁড়া পোশাকও পড়ে।
এখানেও তেমনই রয়েছে। তাই বাচ্চাদের বোঝানো হয় যে - এ হলো আন্তর্জাতিক মহাসমর। এখন
তোমরা বোঝাও যে, সকলেই নিশ্চিন্ত হয়ে থাকো। লড়াই তো অবশ্যই হবে। তোমরা ঢাক বাজাও
যে, নতুন দৈব-রাজধানী পুনরায় স্থাপন করা হচ্ছে। অনেক ধর্মের বিনাশ হবে। কত পরিস্কার।
প্রজাপিতা ব্রহ্মার সাহায্যে এই প্রজা রচনা করা হয়। তিনি বলেন, এ হলো আমার
মুখ-বংশজাত। তোমরা হলে মুখ-বংশজাত ব্রাহ্মণ। ওরা হলো গর্ভজাত ব্রাহ্মণ। ওরা পূজারী,
আর তোমরা এখন পূজ্য হচ্ছো। তোমরা জানো যে - আমরাই সেই দেবতা হতে চলেছি। তোমাদের কাছে
(মাথায়) এখন আলোর মুকুট নেই। তোমাদের আত্মা যখন পবিত্র হয়ে যাবে তখন এই শরীর
পরিত্যাগ করবে। তোমাদের এই শরীরে আলোর মুকুট দেওয়া যাবে না, তা শোভনীয় নয়। এ'সময়
তোমরা গায়ন যোগ্য হচ্ছো। এ'সময় কারোর আত্মাই পবিত্র নয়, সে'জন্য এ'সময় কারোর উপরেই
আলো(পবিত্রতার তাজ) থাকা উচিত নয়। প্রভামন্ডল থাকে সত্যযুগে। দু'কলা যাদের কম,
তাদেরও এই প্রভামন্ডল দেওয়া উচিত নয়। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন ও সুপ্রভাত।
আধ্যাত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের স্থিতি এমন অবিচল এবং নির্ভিক করতে হবে যাতে অন্তিম বিনাশের দৃশ্যকে দেখতে
পারা যায়। দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে।
২ ) নতুন রাজধানীতে
উচ্চ-পদ প্রাপ্ত করার জন্য অধ্যয়নের উপর পুরোপুরি মনোযোগ দিতে হবে। পাশ করে বিজয়
মালার দানা হতে হবে।
বরদান:-
সদা
ভগবান আর ভাগ্যের স্মৃতিতে থাকা সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান ভব
সঙ্গম যুগে চৈতন্য
স্বরূপে ভগবান বাচ্চাদের সেবা করছেন। ভক্তিমার্গে সবাই ভগবানের সেবা করে কিন্তু
এখানে চৈতন্য ঠাকুরদের সেবা স্বয়ং ভগবান করছেন। অমৃতবেলায় উঠিয়ে দেন, ভোগ খেতে দেন,
ঘুম পাড়িয়ে দেন। রেকর্ড অনুসারে শোয়া আর রিগার্ড পূর্বক ঘুম থেকে ওঠা - এইরকম লাডলা
বা সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান হলাম আমরা ব্রাহ্মণেরা। এই ভাগ্যের খুশীতে সদা নাচতে থাকো।
কেবল বাবার লাডলা হও, মায়ার নয়। যারা মায়ার লাডলা হয়, মায়াও তাদের সাথে বাচ্চাদের
খেলা খেলে।
স্লোগান:-
নিজের
হাসিখুশী চেহারার দ্বারা সকল প্রাপ্তিগুলির অনুভূতি করানো - এটাই হলো সত্যিকারের
সেবা।
অব্যক্ত ঈশারা :-
অশরীরী বা বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বাড়াও
অশরীরী হওয়া অর্থাৎ
আওয়াজ থেকে ঊর্ধ্বে চলে যাওয়া। শরীর আছে মানে আওয়াজ আছে। শরীর ছেড়ে ঊর্ধ্বে চলে যাও
তো সাইলেন্স। এক সেকেন্ডে সার্ভিসের সংকল্পে এসো আবার এক সেকেন্ডে সংকল্প থেকে
ঊর্ধ্বে স্ব-রূপে স্থিত হয়ে যাও। কাজ করার জন্য শরীরের ভানে এসো আবার সেকেন্ডে
অশরীরী হয়ে যাও। যখন এই ড্রিল পাক্কা হয়ে যাবে তখন পরিস্থিতিগুলির মোকাবিলা করতে
পারবে।