02.05.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - একান্তে বসে নিজের সাথে কথা বলো, আমি অবিনাশী আত্মা, বাবার কাছ থেকে শুনি, এই প্র্যাক্টিস করো"

প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চারা স্মরণে অমনোযোগী , তাদের মুখ থেকে কোন্ শব্দ বেরিয়ে আসে?

উত্তরঃ  
তারা বলে আমরা তো শিববাবারই সন্তান, স্মরণেই রয়েছি। কিন্তু বাবা বলেন - এই সব হলো গালগল্প, অমনোযোগী । এর জন্য পুরুষার্থ করতে হবে, ভোরবেলা উঠে নিজেকে আত্মা মনে করে বসতে হবে। বার্তালাপ করতে হবে। আত্মাই কথা বলে, এখন তোমরা দেহী-অভিমানী হচ্ছো। দেহী-অভিমানী বাচ্চারাই স্মরণের চার্ট রাখবে। তারা শুধুমাত্র জ্ঞানের লম্বা চওড়া গল্প কথা বলবে না।

গীতঃ-
হৃদয়ের আয়নায় নিজের চেহারা দেখো....

ওম্ শান্তি ।
রূহানী বাচ্চাদেরকে বোঝানো হয়েছে যে, প্রাণ আত্মাকে বলা হয়। এখন বাবা আত্মাদের বোঝাচ্ছেন, এই গান ভক্তি মার্গের জন্য। কেবল এর সার তোমাদেরকে বোঝানো হয় । তোমরা যখন এখানে এসে বসো তখন নিজেকে আত্মা মনে করে বসো। দেহ-ভাব ত্যাগ করতে হবে। আমরা আত্মা হলাম অত্যন্ত ক্ষুদ্র বিন্দু। এই শরীরের দ্বারা পার্ট প্লে করে থাকি। এই আত্মার জ্ঞান কারো মধ্যে নেই। বাবা-ই এসে বোঝান । তিনি বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করো - আমি হলাম ছোট আত্মা। আত্মাই এই শরীরের দ্বারা সম্পূর্ণ পার্ট প্লে করে, সুতরাং এর দ্বারা দেহ-ভাব সমাপ্ত হয়। এতেই পরিশ্রম। আমি আত্মা এই সম্পূর্ণ নাটকের অ্যাকট্রেস। উচ্চ থেকে উচ্চতর অ্যাক্টর হলেন পরমপিতা পরমাত্মা। বুদ্ধিতে থাকে যে ইনিও ছোট বিন্দু, কিন্তু ওনার মহিমা প্রসিদ্ধ। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। কিন্তু ছোট বিন্দু। আমরা আত্মারাও হলাম ছোট বিন্দু। দিব্য দৃষ্টি ছাড়া আত্মাকে দেখা যায় না। এইসব নতুন-নতুন বিষয় তোমরা এখন শুনছো। দুনিয়া কিছুই জানে না। তোমাদের মধ্যেও মাত্র কিছু সংখ্যকই আছে যারা যথার্থ রীতিতে বুঝেছো আর বুদ্ধিতেও থাকে যে আমরা আত্মারা ছোট বিন্দু। আমাদের বাবা হলেন এই ড্রামার প্রধান অ্যাক্টর । উচ্চ থেকে উচ্চতর অ্যাক্টর হলেন বাবা, তারপর অমুক - অমুক আসে। তোমরা জানো যে বাবা জ্ঞানের সাগর কিন্তু শরীর ছাড়া জ্ঞান প্রদান তো করতে পারবেন না। শরীরের দ্বারাই কথা বলা যায়। যখন আত্মা অশরীরী হয়ে যায় তখন অরগ্যান্স থেকে আলাদা হয়ে যায়। ভক্তি মার্গে তো দেহধারীদের স্মরণ করে থাকে। পরমপিতা পরমাত্মার নাম, রূপ, দেশ, কালকে জানেই না। শুধু বলে থাকে পরমাত্মা নাম-রূপ থেকে ভিন্ন। বাবা বোঝান - ড্রামানুসারে তোমরা যারা নম্বর ওয়ান সতোপ্রধান ছিলে, তোমাদেরই আবার সতোপ্রধান হয়ে উঠতে হবে। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য এই স্থিতিকে শক্তিশালী করতে হবে যে আমি আত্মা, এই শরীরের দ্বারাই আত্মা কথা বলে, তার মধ্যেই জ্ঞান আছে। এই জ্ঞান আর কারো বুদ্ধিতে নেই যে আমার আত্মাতে ৮৪ জন্মের অবিনাশী পার্ট পূর্ব নির্ধারিত। এমন অনেক নতুন-নতুন পয়েন্ট তোমরা শুনছো। একান্তে বসে নিজের সাথে এমনই সব বার্তালাপ করতে হবে - আমি হলাম আত্মা, বাবার কাছ থেকে শুনছি। আমি আত্মার মধ্যেই জ্ঞান নিহিত রয়েছে, আমি আত্মার মধ্যেই পার্ট ভরা আছে, আমি আত্মা অবিনাশী, এটাই মনে মনে নাড়াচাড়া করতে হবে। আমাকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। দেহ-অভিমানী মানুষের আত্মার মধ্যে কোনো জ্ঞান নেই, কত বড় বড় বই নিজেদের কাছে রাখে । কত অহঙ্কার তাদের মধ্যে। এটা হলো তমোপ্রধান দুনিয়া। উচ্চ থেকে উচ্চ আত্মা কেউ নেই, তোমরা জানো যে এখন আমাকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। নিজের সাথে এই বিষয়ে মন্থন করতে হবে। জ্ঞান শোনাবার জন্য তো অনেকেই আছে কিন্তু তাদের স্মরণ নেই। মনের মধ্যে এই অন্তর্মুখিতা থাকা উচিত। আমাকে বাবার স্মরণের দ্বারাই পতিত থেকে পাবন হতে হবে, কেবল পন্ডিত হলে হবে না। এই বিষয়ে এক পন্ডিতের উদাহরণ রয়েছে - মাতাদের বলতো রাম-রাম করলে পার হয়ে যাবে....। সুতরাং এমন লম্বা চওড়া গল্প কথা বলবে না। এইরকম অনেকে আছে।

তারা বোঝায় খুব ভালো, কিন্তু যোগ নেই। সারাদিন দেহ-অভিমানে থাকে । বাবাকে চার্ট পাঠানো উচিত - আমি এই সময় উঠি, এত সময় স্মরণ করি । কিন্তু কোনো খবর দেয় না। জ্ঞানের অনেক কথা বলে কিন্তু যোগ নেই। যদিও বড় বড়দেরও জ্ঞান শোনায়, কিন্তু যোগে কাঁচা। অমৃতবেলায় উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বলতে হবে বাবা তুমি কত প্রিয় । কি বিচিত্র এই ড্রামা তৈরি হয়েছে । কেউ এর রহস্য জানে না। না আত্মা, না পরমাত্মাকে জানে । এই সময় মানুষ জানোয়ারের থেকেও নিকৃষ্ট। আমরাও এমন ছিলাম। মায়ার রাজ্যে কত দুরবস্থা হয়। এই জ্ঞান তোমরা যে কোনো কাউকেই দিতে পারো । তাদের বলো, তুমি একজন আত্মা এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছো, তোমাকে সতোপ্রধান হতে হবে। প্রথমে নিজেকে আত্মা মনে করো । গরীবদের জন্য আরোই সহজ। বিত্তবানদের জন্য অনেকটাই ঝামেলার ।

বাবা বলেন - আমি সাধারণ শরীরে প্রবেশ করি। না খুব গরীব, না বিশাল বিত্তবান। এখন তোমরা জানো যে কল্পে - কল্পে বাবা এসে এটাই শিক্ষা দেন যে, কিভাবে পবিত্র হবো, বাকি তোমাদের ব্যবসা বা কাজকর্ম ইত্যাদি ঝঞ্ঝাটের সমাধানের জন্য বাবা আসেন না। তোমরা তো আহ্বান করে বলে থাকো - হে পতিত-পাবন এসো, সুতরাং বাবা এসে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দেন। এই ব্রহ্মা স্বয়ং-ও কিছু জানতেন না। অ্যাক্টর হয়ে যদি ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে না জানে তবে তাকে কি বলবে । আমরা আত্মারা এই সৃষ্টি চক্রে অ্যাক্টর, সে'কথা কেউ জানেনা। যদিও বলে থাকে আত্মা মূলবতন নিবাসী কিন্তু অনুভব থেকে বলে না। তোমরা তো এখন প্র্যাকটিক্যালি জানো যে - আমরা আত্মারা হলাম মূলবতন নিবাসী। আমরা আত্মারা অবিনাশী এটা বুদ্ধিতে থাকা উচিত। অনেকেরই একদম যোগ নেই। দেহ-অভিমানের কারণে অনেক অনেক মিস্টেকও হয়ে থাকে। প্রধান বিষয়ই হলো দেহী-অভিমানী হওয়া। এই উৎসাহ থাকা উচিত যে, আমাদের সতোপ্রধান হতে হবে। যে বাচ্চারা সতোপ্রধান হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাদের মুখ থেকে কখনো পাথর বেরোবে না। কোনো ভুল হলে সঙ্গে-সঙ্গেই বাবাকে রিপোর্ট করবে, বলবে বাবা আমার দ্বারা এই ভুল হয়েছে। ক্ষমা করো । গোপন করবে না। গোপন করলে আরও বৃদ্ধি পাবে। বাবাকে খবর দিতে থাকো। বাবা লিখে দেবেন তোমাদের যোগ ঠিক নয়। পবিত্র হওয়াই হলো প্রধান বিষয়। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের কাহিনী রয়েছে । যতটা সম্ভব এই ভাবনাই যেন থাকে যে সতোপ্রধান হতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে। তোমরা হলে রাজঋষি । হঠযোগী কখনও রাজযোগ শেখাতে পারে না। বাবাই এসে রাজযোগ শেখান । জ্ঞানও বাবা-ই এসে প্রদান করেন । এই সময় হলো তমোপ্রধান ভক্তি। জ্ঞান শুধুমাত্র বাবা সঙ্গমে এসেই শোনান। বাবা এসেছেন অর্থাৎ ভক্তি শেষ হয়, এই দুনিয়াও শেষ হয়ে যায় । জ্ঞান আর যোগের দ্বারাই সত্যযুগের স্থাপনা হয়ে থাকে । ভক্তি বিষয়টি হলো ভিন্ন । মানুষ তখন বলে দেয় দুঃখ-সুখ সব এখানেই রয়েছে । বাচ্চারা এখন তোমাদের উপরে অনেক বড় রেস্পন্সিবিলিটি রয়েছে। নিজের কল্যাণ করার জন্য যুক্তি তৈরি করতে থাকো । তোমাদের এটাও বুঝিয়েছেন যে পবিত্র দুনিয়া হলো শান্তিধাম আর সুখধাম । এ হলো অশান্তি ধাম, দুঃখ ধাম । প্রথম বিষয়ই হলো যোগ। যোগ নেই তো কেবল জ্ঞানের মিথ্যে গল্প কথা বলা পন্ডিতদের মতো । আজকাল তো রিদ্ধি সিদ্ধিও অনেক, এর মধ্যে জ্ঞানের কোনও যোগ নেই। মানুষ কতো মিথ্যে জালে ফেঁসে আছে । পতিত ওরা। বাবা স্বয়ং বলেন আমি পতিত দুনিয়াতে পতিত শরীরে প্রবেশ করি। এখানে পবিত্র কেউ নেই। এখানে নিজেকে কেউ ভগবান বলে না। এখানে বলে থাকে আমরা পতিত, পবিত্র হলে ফরিস্তা হয়ে যাব । তোমরাও পবিত্র ফরিস্তা হয়ে যাবে। সুতরাং প্রধান বিষয় হলো এটাই যে আমরা পবিত্র হবো কিভাবে। স্মরণ অবশ্যই প্রয়োজন। যে বাচ্চারা স্মরণে অমনোযোগী তারা বলে থাকে - আমরা তো শিববাবারই বাচ্চা। স্মরণেই তো থাকি। কিন্তু বাবা বলেন - এসব হলো গালগল্প। অমনোযোগিতা । পুরুষার্থ করতে হবে। অমৃতবেলায় উঠে নিজেকে আত্মা মনে করে বসতে হবে। বাবার সাথে আন্তরিক বার্তালাপ (রূহরিহান) করতে হবে। আত্মাই কথা বলে, তাইনা। এখন তোমরা দেহী-অভিমানী হচ্ছো। যে অন্যের কল্যাণ করে তার মহিমাও করা হয়। দৈহিক দুনিয়ায় হলো দেহের মহিমা, আর এ হলো নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা। এটাও তোমরা বুঝেছো । এই সিঁড়ি (চিত্র) কারো বুদ্ধিতে থোড়াই থাকবে নাকি । আমরা ৮৪জন্ম কিভাবে নিয়ে থাকি, নিচেই বা কিভাবে নেমে আসি । এখন পাপের ঘড়া পরিপূর্ণ, পরিষ্কার হবে কিভাবে? সেইজন্যই বাবাকে আহ্বান করে। তোমরা হলে পান্ডব সম্প্রদায়, তোমরা হলে রিলিজিও আবার পলিটিক্যালও । বাবা সব রিলিজিয়নের (ধর্মের) কথা বুঝিয়ে বলেন। অন্য কেউ বোঝাতে পারবে না। ওই ধর্ম স্থাপনকারীরা কি করে থাকে? তাদের পিছনে তো অন্যদেরকেও আরও নিচে নেমে আসতে হয়। তারা কখনোই মোক্ষ (আর জন্মাতে হবে না) দিতে পারে না। বাবাই একদম শেষে এসে সবাইকে পবিত্র করে ফিরিয়ে নিয়ে যান, সেইজন্যই এক তিনি ছাড়া আর কারও মহিমা নেই। ব্রহ্মা বা তোমাদেরও কোনও মহিমা নেই। বাবা না এলে তোমরা কি করতে । বাবা এখন তোমাদের উত্তরণের কলাতে নিয়ে যাচ্ছেন। গাওয়াও হয় তোমার ভালো হলে সবার ভালো কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। মহিমা তো অনেক করে থাকে।

এখন বাবা বুঝিয়েছেন - অকাল তো হলো আত্মা (কাল যাকে গ্রাস করতে পারে না), এ হলো তার সিংহাসন । আত্মা হলো অবিনাশী, কাল কখনও তাকে গ্রাস করে না। আত্মাকে এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করতে হয় । আত্মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাল আসে না। তোমাদের অন্য কারো শরীর ত্যাগের জন্য দুঃখ হয়না । শরীর ত্যাগ করে অন্য পার্ট প্লে করতে গেছে, এতে কান্নাকাটি করার কি আছে। আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই, এটাও তোমরা জানো । গাওয়াও হয়ে থাকে আত্মা এবং পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল.... বাবা কোথায় এসে মিলিত হন এটাও কেউ জানেনা। তোমরা এখন প্রতিটি বিষয় বুঝতে পেরেছো । কবে থেকে শুনে আসছো, কোনও বইপত্র ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র রেফার করার জন্য উল্লেখ করা হয়। বাবা সত্য সুতরাং সত্য রচনাই করেন। সত্য বলেন । সত্যের দ্বারা জয়, মিথ্যার দ্বারা পরাজয় । সত্য পিতা সত্য খন্ডের স্থাপনা করেন। রাবণের দ্বারা তোমরা অনেক পরাজিত হয়েছো । এইসব খেলা যা পূর্বেই তৈরি হয়ে আছে । এখন তোমরা জানো আমাদের রাজ্য স্থাপন হচ্ছে, তারপর এরা কেউ থাকবে না (অন্যান্য ধর্ম)। সবাই পরে আসবে। এই সৃষ্টি চক্র বুদ্ধিতে রাখা কতো সহজ । যারা পুরুষার্থী বাচ্চা তারা এতেই খুশি হয়ে যাবে না যে আমি জ্ঞান শোনাতে ভালোই পারদর্শী । তার সাথে সাথে যোগ আর ম্যানার্সও ধারণ করতে করবে। তোমাদের অনেক অনেক মিষ্টি হতে হবে। কাউকে দুঃখ দেবে না । ভালোবাসার সাথে বোঝাতে হবে। পবিত্রতার জন্যও কত হাঙ্গামা হয় । সেটাও ড্রামানুসারে হয়ে থাকে। এই ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত তাই না ! এমনটা নয় যে ড্রামায় থাকলে তা প্রাপ্ত হবে। তা নয়, পরিশ্রম করতে হবে। দেবতাদের দৃষ্টান্ত অনুসারে দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। নুনজল হওয়া উচিত নয়। দেখা উচিত আমি উল্টো-চালচলনের দ্বারা বাবার সম্মান নষ্ট করছি না তো ? সদ্গুরুর নিন্দুকের কোথাও ঠাঁই হয় না। ইনি তো সত্য পিতা, সত্য শিক্ষক। আত্মায় এখন স্মরণ থাকে বাবা জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। নিশ্চয়ই জ্ঞান প্রদান করে গেছেন তবেই তো গাওয়া হয়। এনার আত্মার মধ্যেও (ব্রহ্মা বাবা) কোনো জ্ঞান ছিল কি? আত্মা কি, ড্রামা কি.... কেউ জানে না। জানা তো মানুষেরই উচিত তাই না ! রুদ্র যজ্ঞ রচনা হলে আত্মাদের পূজা করে, ওনার পূজা করা কি ঠিক নাকি দৈবী শরীর গুলির পূজা পূজা করা সঠিক? এই শরীর তো হলো ৫ তত্ত্বের, সেইজন্য এক শিববাবার পূজাই অব্যভিচারী পূজা। সেই একজনের কাছ থেকেই শুনতে হবে। সেইজন্যই বলা হয় হিয়ার নো ইভিল....গ্লানি হয় এমন কোনো কথা শুনবে না । আমার কাছ থেকেই শোনো । এ হলো অব্যভিচারী জ্ঞান। প্রধান বিষয় হলো যখন তোমাদের দেহ-ভাব ছিন্ন হবে, তখনই তোমরা শীতল হবে। বাবার স্মরণে থাকলে মুখ থেকে কোনো খারাপ কথা বলবে না, কু-দৃষ্টি যাবে না। দেখেও না দেখা করতে হবে। আমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র খুলেছে। বাবা এসে ত্রিনেত্রী, ত্রিকালদর্শী বানিয়েছেন। এখন তোমাদের তিন কাল, তিন লোকের জ্ঞান আছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) জ্ঞান শোনানোর সাথে সাথে যোগেও থাকতে হবে। সুন্দর ম্যানার্স ধারণ করতে হবে। অতীব মিষ্টি হতে হবে। মুখ দিয়ে কখনও খারাপ শব্দ প্রয়োগ করা উচিত নয়।

২ ) অন্তর্মুখী হয়ে একান্তে বসে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। পবিত্র হওয়ার যুক্তি বের করতে হবে। অমৃতবেলায় উঠে বাবাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে হবে।

বরদান:-
ওয়্যারলেস সেটের দ্বারা বিনাশকালে অন্তিম ডায়রেক্শনকে ক্যাচ করতে পারা নির্বিকারী ভব

বিনাশের সময় অন্তিম ডায়রেক্শনকে ক্যাচ করার জন্য নির্বিকারী বুদ্ধি চাই। যেরকম দুনিয়ার মানুষ ওয়্যারলেস সেটের দ্বারা একে অপরের কাছে কথাবার্তা পৌঁছে দেয়, এখানে হলো ভাইসলেসের (নির্বিকারীর) ওয়্যারলেস। এই ওয়্যারলেসের দ্বারা তোমাদের আওয়াজ আসবে যে এই সেফ স্থানে পৌঁছে যাও। যে বাচ্চারা বাবার স্মরণে নির্বিকারী থাকবে, যাদের মধ্যে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস থাকবে, তাদের, বিনাশের সময়ে বিনাশ হবে না, তারা স্বেচ্ছায় শরীর ত্যাগ করবে।

স্লোগান:-
যোগকে পাশে সরিয়ে রেখে কর্মে বিজি হয়ে যাওয়া - এ হলো অলসতা।

অব্যক্ত ঈশারা - আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো

পিওরিটির রয়্যাল্টি অর্থাৎ একব্রতা হওয়া, (এক বাবা, দ্বিতীয় কেউ নেই) এই ব্রাহ্মণ জীবনে সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার জন্য একব্রতার পাঠ পাক্কা করে নাও। বৃত্তিতে শুভ ভাবনা, শুভ কামনা থাকবে, দৃষ্টি দ্বারা প্রত্যেককে আত্মিক রূপে বা ফরিস্তা রূপে দেখো। কর্ম দ্বারা প্রত্যেক আত্মাকে সুখ দাও আর সুখ নাও। কেউ দুঃখ দিলে, গালি দিলে, ইনসাল্ট করলে তোমরা সহ্যশীলা দেবী, সহ্যশীল দেব হয়ে যাও।