02.12.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের প্রতিজ্ঞা হলো, তুমি যখন আসবে আমরা তখন নিজেকে তোমাকে সঁপে দেবো, এখন বাবা
এসেছেন, তোমাদের করা প্রতিজ্ঞা মনে করিয়ে দিতে"
প্রশ্নঃ -
মুখ্য কোন্
বৈশিষ্ট্যর জন্য দেবতাদেরকেই পূজ্য বলা যায়?
উত্তরঃ
দেবতাদেরই সেই
বৈশিষ্ট্য আছে, যারা কখনো কাউকে স্মরণ করে না। না বাবাকে স্মরণ করে, না কারোর
চিত্রকে স্মরণ করে, সেইজন্য তাদের পূজ্য বলা হয়। সেখানে থাকে সুখ আর সুখ, সেইজন্য
কাউকে স্মরণ করার প্রয়োজন হয় না। এখন তোমরা একমাত্র বাবার স্মরণে ওইরকম পূজ্য,
পবিত্র হয়েছো, এরপর যাতে আর স্মরণ করার প্রয়োজনই থাকে না।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মা রূপী (রুহানী) বাচ্চারা...এখন আত্মা রূপী বাচ্চা তো বলবো না। রুহ বা আত্মা
একই কথা। আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি বাবা বোঝান। আগে কখনোই আত্মাদের পরমপিতা
পরমাত্মা জ্ঞান প্রদান করেননি। বাবা নিজেই বলেন আমি একবারই কল্পের পুরুষোত্তম
সঙ্গমযুগে এসে থাকি। এই রকম আর কেউ বলতে পারে না - সমগ্র কল্পে সঙ্গমযুগ ব্যতীত,
বাবা নিজে কখনো আসেনই না। বাবা সঙ্গমেই আসেন যখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয় আর তারপর বাবা
বসে বাচ্চাদের জ্ঞান প্রদান করেন। নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো। কোনো
কোনো বাচ্চার জন্য এটা খুবই মুশকিল মনে হয়। খুবই সহজ হলেও বুদ্ধিতে কিন্তু সঠিক ভাবে
ধারণ করতে পারা যায় না। তাই ক্ষণে ক্ষণে বোঝাতে থাকেন । বোঝালেও বোঝে না। স্কুলে
টিচার ১২ মাস পড়াশুনা করায়, তবুও কেউ কেউ ফেল করে যায়। এই অসীম জগতের বাবাও রোজ
বাচ্চাদের পড়ান। তবুও কারোর ধারণা হয়, কেউ ভুলে যায়। মুখ্য ব্যাপার তো এটাই বোঝানো
হয় - নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো। একমাত্র বাবা-ই বলেন মামেকম্ স্মরণ
করো, আর কোনো মানুষই কখনো বলতে পারে না। বাবা বলেন আমি একবারই আসি। বাচ্চারা,
কল্পের শেষে আবার সঙ্গমে একবারই তোমাদেরই বুঝিয়ে থাকি। তোমরাই এই জ্ঞান প্রাপ্ত করো।
দ্বিতীয় আর কেউ গ্রহণ করেই না। তোমরা যারা প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ,
এই জ্ঞানকে বুঝতে পারো। জানো যে কল্প- পূর্বেও বাবা এই সঙ্গমে এই জ্ঞান শুনিয়েছিলেন।
তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদেরই এই পার্ট আছে, এই বর্ণতেও তো অবশ্যই ঘুরে আসতে হবে।
অন্যান্য ধর্মের যারা, তারা এই বর্ণতে আসবেই না, ভারতবাসীই এই বর্ণতে আসে।
ব্রাহ্মণও ভারতবাসীই হয়, সেইজন্য বাবাকে ভারতে আসতে হয়। তোমরা হলে প্রজাপিতা
ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণের পরবর্তী হলো দেবতা আর ক্ষত্রিয়।
ক্ষত্রিয় কেউ হয় না। তোমাদের তো ব্রাহ্মণ করে তোলেন তারপর তোমরা দেবতা হয়ে ওঠো।
তাদেরই আবার ধীরে- ধীরে কলা কম হয়ে গেলে তখন তাদের ক্ষত্রিয় বলে। ক্ষত্রিয়
অটোম্যাটিক্যালি হয়ে যায়। বাবা এসে তো ব্রাহ্মণ করে তোলেন তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা
আবার তারাই ক্ষত্রিয় হয়। তিন ধর্মই এক বাবা এখন স্থাপন করেন। এই রকম না যে সত্যযুগ
- ত্রেতাতে আবার আসেন। মানুষ না বুঝতে পারার কারণে বলে দেয় সত্যযুগ- ত্রেতাতেও আসেন।
বাবা বলেন আমি যুগে যুগে আসি না, আমি আসিই একবার, কল্পের সঙ্গমে। আমিই তোমাদের
ব্রাহ্মণ তৈরী করি - প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা। আমি তো পরমধাম থেকে আসি। আচ্ছা,
ব্রহ্মা কোথা থেকে আসে? ব্রহ্মা তো ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেন, আমি গ্রহণ করি না। ব্রহ্মা
সরস্বতী হয় যারা তারাই বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়, সেই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে
আবার তার অনেক জন্মের শেষে প্রবেশ করে তাকে ব্রহ্মা তৈরী করি। এনার নাম ব্রহ্মা আমি
রাখি। এটা ওনার কোনো নিজের নাম নয়। বাচ্চার জন্ম হলে ষষ্ঠী করে, জন্মদিন পালন করে,
এনর জন্মপত্রিকার নাম তো লেখরাজ ছিল। সেটা তো ছোটবেলার ছিলো। এখন নাম পরিবর্তন
হয়েছে, সঙ্গমে যখন এনার মধ্যে বাবা প্রবেশ করেছেন। তাও তখনই নাম পরিবর্তন করেছেন
যখন এই বাণপ্রস্থ অবস্থাতে এসেছেন। জাগতিক সন্ন্যাসীরা তো ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যায় তখন
নাম পরিবর্তন করে। ইনি তো বাড়ীতেই থাকেন, এনার নাম ব্রহ্মা রাখা হয়েছে, কারণ
ব্রাহ্মণ দরকার ! তোমাদের নিজের করে নিয়ে পবিত্র ব্রাহ্মণ করে তোলেন। পবিত্র করে
তোলা হয়। এমন না যে তোমরা জন্ম থেকেই হলে পবিত্র। তোমাদের পবিত্র হয়ে ওঠার শিক্ষা
দেওয়া হয়। কেমন করে পবিত্র হলে ? সেটা হলো মুখ্য ব্যাপার।
তোমরা জানো যে ভক্তি
মার্গে একজনও পূজ্য হতে পারে না। মানুষ গুরু প্রমুখের কাছে মাথা ঠোকে কারণ বাড়ি-ঘর
ছেড়ে পবিত্র হয়, তাছাড়া এদের পূজ্য বলে না। পূজ্য সেই যে কাউকেই স্মরণ করে না।
সন্ন্যাসীরা ব্রহ্ম তত্ত্বকে স্মরণ করে, প্রার্থনা করে। সত্যযুগে কাউকেই স্মরণ করে
না। এখন বাবা বলেন তোমাদের স্মরণ করতে হবে এক-কে। সেটা তো হলো ভক্তি। তোমাদের
আত্মাও হলো গুপ্ত। যথার্থ ভাবে কেউ আত্মাকে জানে না। সত্যযুগ-ত্রেতাতেও শরীরধারী
নিজের নাম দ্বারা পার্ট করে। নাম ব্যাতীত তো পার্টধারী হতে পারে না। যেখানেই থাকুক
শরীরের উপর নাম অবশ্যই ধার্য হয়। নাম ব্যাতীত পার্ট কি করে প্লে করবে? তাই বাবা
বুঝিয়েছেন ভক্তি মার্গে গায় - ভগবান তুমি এলে পরে আমি তোমকেই আপন করে নেবো,
দ্বিতীয় কাউকে না। আমি তোমারই হবো, এটা আত্মা বলে। ভক্তি মার্গে যে দেহধারীরা আছে
আমরা আর তাদের পূজা করবো না। ভগবান তুমিযযখন আসবে তখন তোমাকেই নিজেকে সঁপে দেবো ।
কিন্তু তিনি কখন আসবেন এটাও জানে না। অনেক দেহধারীদের, নামধারীদের পূজা করতে থাকে।
যখন অর্ধ-কল্প ভক্তি সম্পূর্ণ হয় তখন বাবা আসেন। বলেন - তোমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে
বলে এসেছো - আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকেই স্মরণ করবো না। নিজের দেহকেও স্মরণ করবো না।
কিন্তু আমাকে জানেই না তো স্মরণ করবে কি করে। এখন বাবা বাচ্চাদের বসে বোঝান মিষ্টি
মিষ্টি বাচ্চারা - নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো। বাবা হলেন একমাত্র
পতিত-পাবন, ওনাকে স্মরণ করলে তোমরা পতিত থেকে পবিত্র সতোপ্রধান হয়ে যাবে। সত্যযুগ-
ত্রেতাতে ভক্তি হয় না। তোমরা কাউকে স্মরণ করতে না। না বাবাকে, না চিত্রকে। সেখানে
তো সুখ আর সুখ থাকে। বাবা বুঝিয়েছেন- তোমরা যতো নিকটবর্তী হতে থাকবে, কর্মাতীত
অবস্থা হতে থাকবে। সত্যযুগে নূতন দুনিয়া, নূতন গৃহে খুশীও অনেক থাকে, তারপর ২৫
পার্সেন্ট পুরানো হলে তখন যেন স্বর্গই ভুলে যায়। তাই বাবা বলেন তোমরা গাইতে- আপনারই
হবো, আপনার থেকেই শুনবো। অবশ্যই তবে আপনি বলতে পরমাত্মাকেই বলতে না। আত্মা বলে
পরমাত্মা বাবার প্রতি। আত্মা হলো সূক্ষ্ম-বিন্দু, তাকে দেখার জন্য দিব্য দৃষ্টি থাকা
চাই। আত্মার ধ্যান করতে পারা যায় না। আমরা অর্থাৎ আত্মারা হলাম ছোটো বিন্দু, এরকম
মনে করে স্মরণ করা পরিশ্রমের। আত্মার সাক্ষাৎকারকে প্রচেষ্টা করা হয় না, পরমাত্মার
সাক্ষাৎকারের জন্য প্রচেষ্টা করা হয়, যাঁর জন্য শুনে থাকি - তিনি হাজার সূর্যের থেকে
তেজোময়। কারোর সাক্ষাৎকার হলে তখন বলে অনেক তেজময় ছিলো কারণ সেটাই শুনে এসেছে।
যার প্রতি সম্পূর্ণ (নবধা/নৌধা) ভক্তি করবে, তাকে দেখবে। সেটা না হলে বিশ্বাস দৃঢ়
হবে না। বাবা বলেন আত্মাকেই দেখা যায়নি তো পরমাত্মাকে দেখবে কীভাবে? আত্মাকে দেখতে
পারবেই বা কি করে, আর সকলের তো শরীরের চিত্র আছে, নাম আছে, আত্মা হলো বিন্দু, খুবই
ছোটো, তাকে কীভাবে দেখবে। চেষ্টা অনেক করে, কিন্তু এই চোখের দ্বারা দেখতে পারা যায়
না। আত্মার জ্ঞানের অব্যক্ত চক্ষু প্রাপ্ত হয়।
এখন তোমরা জানো যে আমি
হলাম আত্মা, কতো ছোটো বিন্দু। আমি অর্থাৎ আত্মাতে ৮৪ জন্মের পার্ট স্থির হয়ে আছে,
যা আমাকে রিপিট করতে হবে। বাবার শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয় শ্রেষ্ঠ করার জন্য, তাই সেই
অনুযায়ী চলা উচিত। তোমাদের দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে। খাদ্য-পানীয়ও রয়্যাল হওয়া
উচিত, আচার আচরণ খুবই রয়্যাল হওয়া দরকার। তোমরা দেবতায় পরিণত হচ্ছো। দেবতারা নিজে
হলো পূজ্য, এরা কখনো কাউকে পূজা করে না। এরা তো হলো ডবল মুকুটধারী ! এরা কখনো কাউকে
পূজা করে না - তো পূজ্য দাঁড়ালো তো! সত্যযুগে কাউকে পূজা করার দরকারই নেই। তবে হ্যাঁ,
একে অপরকে রিগার্ড অবশ্যই দেবে। এরকম প্রণাম করা, একে রিগার্ড বলা হয়। এমন না যে
হৃদয় থেকে তাকে স্মরণ করতে হবে। রিগার্ড তো দিতেই হবে। যেমন প্রসিডেন্টকে সবাই
রিগার্ড দেখায়। জানে যে ইনি খুবই উচ্চ পদস্থ। প্রণাম কি আর করতে হয়! তাই বাবা
বোঝান- এই জ্ঞান মার্গ হলো একদম আলাদা জিনিস, এতে শুধু নিজেকে আত্মা বোঝাতে হবে যা
তোমরা ভুলে গেছো। শরীরের নাম কে মনে রেখে দিয়েছো। কাজ তো অবশ্যই নামের দ্বারাই করতে
হবে। নাম ছাড়া কাউকে ডাকবে কি করে। যদিও তোমরা শরীরধারী হয়ে ভূমিকা পালন করো, কিন্তু
বুদ্ধি দ্বারা শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। কৃষ্ণের ভক্তরা মনে করে আমাদের কৃষ্ণকেই
স্মরণ করতে হবে। ব্যাস্, যেই দিকেই তাকাই - কৃষ্ণ আর কৃষ্ণ। আমিও কৃষ্ণ, তুমিও
কৃষ্ণ। আরে তোমার নাম আলাদা, ওর নাম আলাদা - সব কৃষ্ণ আর কৃষ্ণ কি করে হতে পারে।
সবার নাম কি আর কৃষ্ণ হয়, যা মনে আসে সেটাই বলতে থাকে। এখন বাবা বলেন ভক্তি মার্গের
সব চিত্র ইত্যাদি কে ভুলে এক বাবাকে স্মরণ করো। চিত্রকে তো তোমরা পতিত-পাবন বলো না,
হনুমান ইত্যাদি কে কি আর পতিত-পাবন বলা হয়! অনেক চিত্র আছে, কেউই পতিত-পাবন না। কোনো
দেবী ইত্যাদি যাদের শরীর আছে তাদের পতিত-পাবন বলা যায় না। ৬ - ৮ হাত বিশিষ্ট দেবী
ইত্যাদিদের তৈরী করা হয়, সব নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে। ইনি কে, সেটা তো জানে না। এই পতিত-
পাবন বাবার সন্তানরা সাহায্যকারী হয়, এটা কারোরই জানা নেই। তোমাদের এই রূপ তো
সাধারণই আছে। এই শরীর তো বিনাশ হয়ে যাবে। এরকম না যে তোমাদের চিত্র ইত্যাদি থাকবে।
এই সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। বাস্তবে দেবীরা হলে তোমরা। নামও লেখা হয়ে থাকে- সীতা দেবী,
অমুক দেবী। রাম দেবতা বলা হয় না। অমুক দেবী বা শ্রীমতী বলে দেয়, সেটাও রং (ভুল) হয়ে
যায়। এখন পবিত্র হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। তোমরা বলোও যে পতিত থেকে পবিত্র করো।
এরকম বলো না যে লক্ষ্মী- নারায়ণ তৈরী করো। পতিত থেকে পবিত্রও বাবা করেন। নর থেকে
নারায়ণও তিনিই করেন। সেই লোকেরা তোমরা পতিত- পাবন নিরাকার কে বলে। আর সত্য
নারায়ণের কথা শোনায় যারা এরপর আরো দেখিয়েছে। এইরকম তো বলে না- বাবা সত্য
নারায়ণের কথা শুনিয়ে অমর করো, নর থেকে নারায়ণ করো। শুধুমাত্র বলে এসে পবিত্র করে
তোলো। বাবা-ই তো সত্য নারায়ণের কথা শুনিয়ে পবিত্র করে তোলেন। তোমরা আবার
অন্যান্যদের কথা শোনাও। আর কেউ জানতে পারে না। যদিও তোমাদের বাড়ীতে স্বজন- বন্ধু,
ভাই ইত্যাদি আছে, কিন্তু তারাও বুঝতে পারে না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন আর ভালবাসা আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে তোলার জন্য বাবার যা শ্রীমত প্রাপ্ত হয়, তার উপর চলতে হবে,
দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। খাদ্য-পানীয়, আচার-আচরণ খুবই রয়্যাল করা উচিত।
২ ) একে-অপরকে স্মরণ
করতে নেই, কিন্তু রিগার্ড অবশ্যই দিতে হবে। পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করতে আর করাতে
হবে।
বরদান:-
নীরস
বাতাবরণে খুশীর ঝিলিকের অনুভবকারী এভারহ্যাপী ভব
এভারহ্যাপী অর্থাৎ সদা
খুশীতে থাকার বরদান যে বাচ্চারা প্রাপ্ত করেছে তারা দুঃখের ঢেউ উৎপন্নকারী বাতাবরণে,
নীরস বাতাবরণে, অপ্রাপ্তির অনুভবকারী বাতাবরণে সদা খুশীতে থাকবে আর নিজের খুশীর
ঝিলিকের দ্বারা দুঃখ আর উদাসীর বাতাবরণকে এমন পরিবর্তন করবে যেরকম সূর্য অন্ধকারকে
আলোতে পরিবর্তন করে। অন্ধকারের মধ্যে আলোর প্রকাশ দেওয়া, অশান্তির মধ্যে শান্তি
স্থাপন করা, নীরস বাতাবরণে খুশীর ঝিলিক নিয়ে আসা, একেই বলা হয় এভারহ্যাপী। বর্তমান
সময়ে এই সেবারই প্রয়োজনীয়তা আছে।
স্লোগান:-
অশরীরী
হলো সে, যার শরীরের প্রতি কোনও আকর্ষণ তাকে আকৃষ্ট করে না।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
সম্পন্ন বা কর্মাতীত হওয়ার ধুন লাগাও
কর্মাতীতের অর্থ এটা
নয় যে কর্ম থেকে অতীত হয়ে যাওয়া। কর্ম থেকে পৃথক নয়, কর্মের বন্ধনে ফেঁসে যাওয়া থেকে
পৃথক - একে বলা হবে কর্মাতীত। কর্মযোগের স্থিতি কর্মাতীত স্থিতির অনুভব করায়। এই
কর্মযোগী স্থিতি হল অতিপ্রিয় এবং পৃথক স্থিতি। এর দ্বারা যেকোনও বড়, পরিশ্রমের কাজ
হোক কিন্তু এমন মনে হবে যেন কাজ করছে না, খেলা করছে।