04-05-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
20-02-2005 মধুবন
"অন্তর্মন থেকে বলো 'আমার বাবা' আর সমুদয় অবিনাশী
ভান্ডারের মালিক হয়ে নিশ্চিন্ত বাদশাহ হও"
আজ ভাগ্য বিধাতা বাপদাদা নিজের সকল বাচ্চার ললাটভাগে ভাগ্যের রেখা দেখছেন। প্রত্যেক
বাচ্চার ললাটভাগে ঝলমলে দিব্য নক্ষত্রের রেখা প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রত্যেকের নয়নে
স্নেহ আর শক্তির রেখা দেখছেন। মুখে শ্রেষ্ঠ মধুর বাণীর রেখা দেখছেন। ওষ্ঠাধরে মধুর
হাসির রেখা জাজ্বল্যমান। হৃদয়ে দিলারামের স্নেহে লাভলিন হওয়ার রেখা দেখছেন। হাতে
সদা সর্ব ভাণ্ডারের সম্পন্নতার রেখা দেখছেন। পায়ে প্রতি কদমে পদমের রেখা দেখছেন।
সারা কল্পে এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্য কারও হয় না, যে ভাগ্য এই সঙ্গম যুগে তোমরা সব
বাচ্চার প্রাপ্ত হয়েছে। নিজের এমন ভাগ্য অনুভব করো? এত শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রূহানী নেশা
অনুভব করো? আপনা থেকেই হৃদয়ে গীত বাজে - বাঃ আমার ভাগ্য! এই সঙ্গম যুগের ভাগ্য
অবিনাশী ভাগ্য হয়ে যায়। কেন? অবিনাশী বাবার দ্বারা অবিনাশী ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে।
কিন্তু এই ভাগ্য সঙ্গমেই প্রাপ্ত হয়। এই সঙ্গম যুগেই অনুভূতি করে থাকো, এই সঙ্গম
যুগের বিশেষ প্রাপ্তি অতি শ্রেষ্ঠ। তো এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের অনুভব সদা ইমার্জ থাকে,
নাকি কখনো মার্জ, কখনো ইমার্জ থাকে? তাছাড়া, কী পুরুষার্থ করেছো? এত বড় ভাগ্যের
প্রাপ্তির জন্য পুরুষার্থ কত সহজ হয়েছে! শুধু হৃদয় থেকে জেনেছো, মেনেছো আর নিজের
বানিয়েছো "আমার বাবা।" অন্তর্মন থেকে স্বীকৃত হয়েছ, আমি বাবার, বাবা আমার। আমার
ব'লে স্বীকৃত হওয়ার সাথে সাথেই অধিকারী হয়ে গেছো। অধিকারও কত বড়! ভাবো, যদি কেউ
জিজ্ঞাসা করে কী কী প্রাপ্ত হয়েছে তবে কী বলবে? যা পাওয়ার ছিল তা' পেয়ে গেছি।
পরমাত্ম ভাণ্ডারে অপ্রাপ্ত কোনো বস্তু নেই। এমন প্রাপ্তি স্বরূপের অনুভব করে নিয়েছ
নাকি করছো? ভবিষ্যতের বিষয় আলাদা, প্রাপ্তি স্বরূপের অনুভব এই সঙ্গম যুগেরই। যদি
সঙ্গম যুগে অনুভব না করো তবে ভবিষ্যতেও হবে না। কেন? ভবিষ্যতে প্রালব্ধ আছে, কিন্তু
প্রালব্ধ এই পুরুষার্থের শ্রেষ্ঠ কর্মের দ্বারা তৈরি হয়। এইরকম নয় যে লাস্টে
অনুভব স্বরূপ হবে। এই অনুভব সঙ্গমযুগের বহুকালের। জীবনমুক্ত হওয়ার বিশেষ অনুভব
এখনের। নিশ্চিন্ত বাদশাহ হওয়ার অনুভব হয় এখন। তো সবাই তোমরা নিশ্চিন্ত বাদশাহ নাকি
দুশ্চিন্তা রয়েছে? হয়ে গেছো তো না! দুশ্চিন্তা আছে কি? যখন দাতার বাচ্চা হয়ে গেছ
তখন কোন চিন্তা রয়ে গেছে? আমার বাবা স্বীকৃত হওয়ার সাথে সাথেই দুশ্চিন্তার অনেক
টুকরি বোঝা নেমে গেছে। বোঝা আছে কি? আছে? প্রকৃতির খেলাও দেখ, মায়ার খেলাও দেখো
কিন্তু নিশ্চিন্ত বাদশাহ হয়ে, সাক্ষী হয়ে খেলা দেখে থাকো তোমরা। দুনিয়ার লোকে তো
ভয় পায়, না জানি কী হবে! তোমাদের ভয় আছে? ভয় পাও? নিশ্চয় আর নিশ্চিন্ত তোমরা,
যা হবে তা' ভালো হতে ভালো হবে। কেন? কারণ তোমরা ত্রিকালদর্শী হয়ে দৃশ্য দেখো। আজ
কী, কাল কী হবে সেটা তোমরা ভালো করে জেনে গেছো, তোমরা নলেজফুল তো না! সঙ্গমের পরে
কী হওয়ার আছে তা' তোমাদের সবার সামনে স্পষ্ট তো না! নব যুগ আসতেই হবে। দুনিয়ার
লোকে বলবে, আসবে? কোশ্চেন হবে আসবে? আর বাবা কী বলেন? এসেই গেছে। সেইজন্য কী হবে,
কোশ্চেন নয়। তোমরা অবগত আছো - স্বর্ণযুগ আসতেই হবে। রাতের পর এখন সঙ্গম প্রভাতকাল,
অমৃতবেলা, অমৃতবেলার পরে দিন আসতেই হবে। যাদেরই নিশ্চয় থাকবে তারা নিশ্চিন্ত, কোনো
চিন্তা থাকবে না, নিশ্চিন্ত। বিশ্ব রচয়িতা দ্বারা রচনার স্পষ্ট নলেজ পেয়ে গেছো।
বাপদাদা দেখছেন, বাচ্চারা সবাই স্নেহের, সহযোগের এবং সম্পর্কের ভালবাসায় বাঁধা হয়ে
নিজেদের ঘরে পৌঁছে গেছে। বাপদাদা সব স্নেহী বাচ্চাকে, সহযোগী বাচ্চাকে, সম্পর্কে
থাকা বাচ্চাদের নিজেদের অধিকার নেওয়ার জন্য নিজেদের ঘরে পৌঁছানোর অভিনন্দন
জানাচ্ছেন। অভিনন্দন, অভিনন্দন। বাচ্চাদের থেকে বাপদাদার ভালোবাসা বেশি, নাকি
বাপদাদার থেকে বাচ্চাদের বেশি আছে? কা'র বেশি? তোমাদের নাকি বাবার? বাবা বলেন
বাচ্চাদের বেশি আছে। দেখ, বাচ্চাদের ভালবাসা আছে তবেই তো কোথা কোথা থেকে সব পৌঁছে
গেছে, তাই না! কত দেশ থেকে এসেছে? (৫০ দেশ থেকে) ৫০ দেশ থেকে এসেছে। কিন্তু সবচাইতে
দূর থেকে কে এসেছে? দূর থেকে আমেরিকা এসেছে? তোমরা দূর থেকেই এসেছ কিন্তু বাপদাদা
তো পরমধাম থেকে এসেছেন। সেই দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা কী! আমেরিকা দূরে, নাকি
পরমধাম দূরে? সবচাইতে দূরদেশী বাপদাদা। বাচ্চারা স্মরণ করে আর বাবা হাজির হয়ে যান।
বাচ্চাদের থেকে বাবা এখন কী চান? তোমরা জিজ্ঞাসা করো তো না - বাবা কী চান? তো
বাপদাদা এই মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের থেকে এটাই চান যে প্রত্যেক বাচ্চা স্বরাজ্য
অধিকারী রাজা হবে। সবাই রাজা হবে? স্বরাজ্য আছে? স্ব-এর উপরে রাজত্ব আছে তো না! যারা
মনে করো আমরা স্বরাজ্য অধিকারী রাজা হয়েছি তারা হাত তোলো। খুব ভালো। বাচ্চাদের দেখে
বাপদাদার ভালবাসা আসে যে ৬৩ জন্ম অনেক পরিশ্রম করেছে, দুঃখ অশান্তি থেকে দূর হওয়ার
জন্য। তো বাবা এটাই চান যে সব বাচ্চা এখন স্বরাজ্য অধিকারী হোক।
মন-বুদ্ধি-সংস্কারের মালিক হোক, রাজা হোক। যখন চাও, যেখানে চাও, যেভাবে চাও সেভাবে
যেন মন বুদ্ধি সংস্কারের পরিবর্তন করতে পারো। টেনশন ফ্রি লাইফের অনুভব যেন সদা
ইমার্জ থাকে। বাপদাদা দেখেন কখনো মার্জও হয়ে যায়। তোমরা ভাবো এটা করা উচিত নয়,
এটা রাইট, এটা রং, তোমরা ভাবো, কিন্তু স্বরূপে নিয়ে আসো না। ভাবনা মানেই মার্জ থাকা,
স্বরূপে নিয়ে আসা অর্থাৎ ইমার্জ হওয়া। সময়ের জন্য অপেক্ষা করছো না তো! কখনো কখনো
তোমরা করে থাকো। তোমরা অধ্যাত্ম আলাপচারিতা যখন করো তখন কিছু বাচ্চা বলে, সময়মতো
ঠিক হয়ে যাবে। সময় তো তোমাদের রচনা। তোমরা মাস্টার রচয়িতা তো না! তো মাস্টার
রচয়িতা রচনার আধারে চলে না। তোমরা সব মাস্টার রচয়িতাকে সময়কে সমাপ্তির কাছে নিয়ে
আসতে হবে।
এক সেকেন্ডে মনের মালিক হয়ে মনকে অর্ডার করতে পারো? পারো করতে? মন একাগ্র করতে পারো?
ফুলস্টপ লাগাতে পারো, নাকি লাগাবে ফুলস্টপ আর লেগে যাবে কোশ্চেন মার্ক? কেন, কী,
কীভাবে, এটা কী, ওটা কী, আশ্চর্যের চিহ্নও নয়। ফুলস্টপ, সেকেন্ডে পয়েন্ট হয়ে যাও।
আর কোনও পরিশ্রম নেই, একটা শব্দ শুধু অভ্যাসে পরিণত করো "পয়েন্ট।" পয়েন্ট স্বরূপ
হতে হবে, ওয়েস্ট-এ পয়েন্ট লাগাতে হবে আর যে মহাবাক্য তোমরা শোনো সেই পয়েন্টে মনন
করতে হবে, আর কোনও কষ্ট নেই। পয়েন্ট স্মরণে রাখো, পয়েন্ট লাগাও, পয়েন্ট হয়ে যাও।
সারাদিনে এই অভ্যাস মাঝে মাঝে করো, যতই বিজি থাকো না কেন কিন্তু এক সেকেন্ডে এই
ট্রায়াল করো। পয়েন্ট হতে পারো? যখন এই অভ্যাস বারবার হবে তখনই ভবিষ্যতে অন্তিম
সময়ে ফুল পয়েন্টস নিতে পারবে। পাস উইথ অনার হয়ে যাবে। এটাই পরমাত্ম পঠন-পাঠন,
এটাই পরমাত্ম পালন।
তো যারাই এসেছে, হতে পারে প্রথম বার এসেছে, যারা প্রথমবার মিলন উদযাপন করার জন্য
এসেছে তারা হাত তোলো। অনেক এসেছে। ওয়েলকাম। যেমন, এখন প্রথমবার এসেছো না, তেমনই
প্রথম নম্বরও নিও। চান্স আছে, তোমরা ভাববে আমরা তো এখন-এখনই এসেছি, প্রথমবার।
আমাদের থেকেও যারা আগে আছে তারা তো অনেক, কিন্তু ড্রামাতে এই চান্স রাখা হয়েছে যে
লাস্ট সো ফাস্ট আর ফাস্ট সো ফার্স্ট হতে পারে। চান্স আছে আর যারা চান্স নেয় বাবা
তাদেরকে চ্যান্সেলর বলেন। তো চ্যান্সেলর হয়েছো? চ্যান্সেলর হতে চাও? হতে চাও
চ্যান্সেলর? যারা মনে করছ চ্যান্সেলর হবে, তারা হাত তোলো। চ্যান্সেলর হবে। বাঃ!
অভিনন্দন। তোমরা আগত সব মিষ্টি মিষ্টি, অতি প্রিয় বাচ্চাদেরকে বাপদাদা বিশেষভাবে
স্মরণ করেছেন, কেন স্মরণ করেছেন?
(আজ সভাতে দেশ বিদেশের অনেক ভি. আই. পি. বসে আছে) কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে? জানো
তোমরা? দেখো, আমন্ত্রণ তো অনেকে পেয়েছে, কিন্তু তোমরা যারা আসার তারা পৌঁছে গেছ।
কেন বাপদাদা স্মরণ করেছেন? কেননা, বাপদাদা জানেন যে যারাই তোমরা এসেছ, তোমাদের
স্নেহী, সহযোগী থেকে সহজযোগী হওয়ার কোয়ালিটি রয়েছে। যদি মনোবল বজায় রাখো তবে
তোমরা সহজযোগী হয়ে অন্যদেরও সহজ যোগের ম্যাসেঞ্জার হয়ে মেসেজ দিতে পারবে। মেসেজ
দেওয়া অর্থাৎ গডলি ম্যাসেঞ্জার হওয়া। আত্মাদের দুঃখ, অশান্তি থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া।
যতই হোক, তারা তোমাদেরই ভাই বোন, তাই না। তো নিজের ভাই ও বোনেদের গডলি মেসেজ দেওয়া
অর্থাৎ মুক্ত করা। এর থেকে তোমাদের অনেক আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়। যে কোনও আত্মাকে
দুঃখ, অশান্তি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য অনেক আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় আর আশীর্বাদ
প্রাপ্ত হওয়ায় অতীন্দ্রিয় সুখ আন্তরিক খুশির প্রভূত ফিলিং হয় তোমাদের। কেন?
কারণ তোমরা খুশি বিতরণ করেছ তো না! তো খুশি বিতরণে খুশি বর্ধিত হয়। সবাই খুশি তোমরা?
বাপদাদা বিশেষভাবে তোমাদের সবাইকে জিজ্ঞাসা করছেন, অতিথি হিসেবে নয়, তিনি
অধিকারীদের জিজ্ঞাসা করছেন। নিজেদেরকে অতিথি মনে ক'রো না, তোমরা অধিকারী। তো সবাই
খুশি? হ্যাঁ, তোমরা যারা আগত বাবা তাদের জিজ্ঞাসা করছেন, বলতে গেলে তোমরা অতিথি,
কিন্তু তোমরা অতিথি নও, মহান হয়ে মহান বানাও তোমরা। সুতরাং, নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা
করো - আমি খুশি? যদি তোমরা খুশি তো হাত নাড়াও। এখন তোমরা সবাই খুশি, তো ফিরে গিয়ে
তোমরা কী করবে? খুশি ভাগ করে দেবে, দেবে তো না! সবাইকে অনেক খুশি ভাগ করে দিও। যত
বিতরণ করবে ততই বাড়বে, ঠিক আছে! আচ্ছা - খুব তালি বাজাও। (সবাই অনেক তালি বাজিয়েছে)
যেমন, এখন তোমরা তালি বাজিয়েছো, ঠিক তেমন ভাবেই যেন অটোমেটিক্যালি সদা খুশির তালি
বাজতে থাকে। আচ্ছা।
বাপদাদা টিচারদের সদা বলে থাকেন, টিচার্স অর্থাৎ যাদের ফিচার্স দ্বারা ফিউচার
প্রতীয়মান হয়। তোমরা এমন টিচার তো না! তোমাদের দেখে যেন স্বর্গ-সুখের ফিলিং আসে।
শান্তির অনুভূতি হয়। চলতে ফিরতে যেন ফরিস্তা দৃশ্যমান হয়। তোমরা এমন টিচার, তাই
তো না! এটা ভালো। হতে পারে তোমরা প্রবৃত্তিতে থাকো, কিংবা সেবার নিমিত্ত হয়েছ,
যেমনই হোক সবাই তোমরা বাপদাদা সমান নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ী।
আচ্ছা।
চতুর্দিকের, হয় সাকার রূপে সমুখে আছে, অথবা দূরে বসেও হৃদয়ের কাছে আছে, এমন সদা
শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাদের, সদা নিমিত্ত হয়ে নির্মাণের কার্য যারা সফল করে তেমন
বিশেষ আত্মাদের, সদা বাবার সমান হওয়ার উৎসাহ-উদ্দীপনায় অগ্রচালিত হওয়া সাহসী
বাচ্চাদের, সদা প্রতি কদমে পদ্মের (সংখ্যার নামকরণ) উপার্জন জমা করে ওয়ার্ল্ডের
মধ্যে অনেক অনেক পদ্মগুন ধনবান, পরিপূর্ণ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
নমস্কার।
ডবল বিদেশি নিমিত্ত বড় বোনেদের প্রতি :-
ভালো সার্ভিসের প্রমাণ দিচ্ছো। এর থেকেই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়বে।
অনুভব শোনালে অন্যদেরও অনুভব বাড়ে। তো বাপদাদা খুশি, ফরেনের সেবায় যারা নিমিত্ত
হয়েছে তারা উৎসাহ-উদ্দীপনায় সেবাতে ভালোই বিজি থাকে। তারা গেছে দেশ থেকে কিন্তু
বিদেশের ওদের সেবা নিমিত্ত হয়ে এমন ভাবে করছে যেন তারা ওখানেরই, আপনবোধের লক্ষণ
প্রতীয়মান হয়। তাছাড়া, সব তরফের তোমরা রয়েছো। এক তরফের নও, লণ্ডনের কিংবা
আমেরিকার নও, অসীম সেবাধারী তোমরা। দায়িত্ব বিশ্বের তো না! তাইতো বাপদাদা অভিনন্দন
জানাচ্ছেন। তোমরা করছ, পরবর্তীতে আরও ভালো হতে ভালো হবে, নিজেরা উড়বে আর ওড়াতে
থাকবে। আচ্ছা।
পার্সোনাল সাক্ষাৎ :-
সবাই তোমরা হোলি আর হ্যাপি হংস। হংসের কাজ কীরকম হয়? হংসের
মধ্যে নির্ণয় শক্তি অধিক থাকে। তো তোমরাও হোলি হ্যাপি হংস, ব্যর্থ সমাপ্ত করে দাও
আর সমর্থ হয়ে অন্যদের সমর্থ বানাও। তোমরা সবাই এভার হ্যাপি? এভার এভার হ্যাপি। এখন
দুঃখকে কখনো আসতে দিও না। দুঃখকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছো, তবেই তো অন্যদের দুঃখ
নিবারণ করতে পারবে, তাই না! সুতরাং সুখী থাকতে হবে আর সুখ দিতে হবে। এই কাজ করবে তো
না! এখান থেকে যে সুখ প্রাপ্ত হয়েছে তা' জমা রাখো। কখনও কোনো কিছু যদি হয় না তবে
বাবাকে বলো - বাবা, মিষ্টি বাবা, দুঃখ নিয়ে নাও। নিজের কাছে রেখো না। খারাপ জিনিস
রেখে দিতে হয় কি? দুঃখ তো খারাপ, খারাপ না! সুতরাং দুঃখ বের করে দাও, সুখী থাকো।
তো এটা হলো সুখী গ্রুপ এর সুখদায়ী গ্রুপ। ঘুরতে ফিরতে সুখ দিতে থাকো। কত আশীর্বাদ
প্রাপ্ত হবে তোমাদের! তো এই গ্রুপ ব্লেসিংয়ের উপযুক্ত। তোমরা খুশি তো না! এখন হাসো।
শুধু হাসতে থাকো। খুশিতে নাচো।
বরদান:-
স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্সের দ্বারা চড়তি কলার অনুভব
করে রাজ্য অধিকারী ভব
স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স যদি থাকে তবে প্রতি কদমে
তোমরা নিরন্তর চড়তি কলার অনুভব করবে। সব সংকল্পে যদি সেবা থাকে তবে ব্যর্থ থেকে
রেহাই পেয়ে যাবে। সেবা যেন জীবনের এক অঙ্গ হয়ে যায়, যেমন শরীরে সব অঙ্গ আবশ্যক
তেমনই ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ অঙ্গ হলো সেবা। সেবার অনেক চান্স পাওয়া, স্থান পাওয়া,
সঙ্গ পাওয়া - এও ভাগ্যের লক্ষণ। এমন সেবার গোল্ডেন চান্স যারা নেয় তারাই রাজ্য
অধিকারী হয়।
স্লোগান:-
পরমাত্ম ভালবাসার প্রতিপালনের স্বরূপ হলো - সহজ যোগী
জীবন।
অব্যক্ত ইশারা :- রূহানী রয়্যালটি আর পিওরিটির
পার্সোনালিটি ধারণ করো পবিত্রতা তোমরা সব ব্রাহ্মণের সবচাইতে বড় হতে বড় রূপসজ্জা
(শৃঙ্গার), সম্পূর্ণ পবিত্রতা তোমাদের জীবনের সবচাইতে বড় হতে বড় প্রপার্টি,
রয়্যালটি আর পার্সোনালিটি, এটা ধারণ ক'রে যদি এভাররেডি হও, তবে প্রকৃতি নিজের কাজ
শুরু করে দিতে পারে। পিওরিটির পার্সোনালিটির দ্বারা সম্পন্ন আত্মাদের সভ্যতার দেবী
বলা হয়ে থাকে।