05.11.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
ড্রামার শ্রেষ্ঠ নলেজ বাচ্চারা তোমাদের কাছেই রয়েছে, তোমরা জানো যে এই ড্রামা
একইরকম ভাবে রিপিট হচ্ছে"
প্রশ্নঃ -
প্রবৃত্তিতে
থাকা আত্মারা বাবাকে কোন্ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং বাবা তাদেরকে কি রায় শোনান?
উত্তরঃ
কোনো কোনো
বাচ্চা জিজ্ঞাসা করে - বাবা আমি কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারি? বাবা বলেন - বাচ্চা,
ব্যবসা করতে পারো। কিন্তু উচ্চমানের ব্যবসা করো। ব্রাহ্মণ বাচ্চারা ছিঃ ছিঃ ব্যবসা
অর্থাৎ মদ, সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদির ব্যবসা করে না, কেননা এই ব্যবসার মধ্যে বিকারের
আকর্ষণ থাকে।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক বাবা
আত্মিক বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। এখন এক হলো আত্মিক বাবার শ্রীমৎ, দ্বিতীয় হলো রাবণের
আসুরী মত। আসুরী মত বাবার বলা যায় না। রাবণকে বাবা তো বলা হয় না, তাই না। সেটা হলো
রাবণের আসুরী মত। এখন তোমরা বাচ্চারা ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত করছো। রাত-দিনের পার্থক্য,
তাইনা। বুদ্ধিতে আছে যে ঈশ্বরীয় মতের দ্বারা দৈবী গুণ ধারণ করতে এসেছি। এসব কিছু
কেবলমাত্র তোমরা বাচ্চারাই বাবার থেকে শুনতে থাকো, অন্য কেউ এসব বিষয় জানতেই পারে
না। বাবাকে তোমরা পাও সম্পত্তির জন্য। রাবণের দ্বারা সম্পত্তি তো ক্রমশ কম হতেই থাকে।
ঈশ্বরীয় মত কোথায় নিয়ে যায়, আর আসুরী মত কোথায় নিয়ে যায়, এটা তোমরাই জানো।
আসুরী মত যবে থেকে প্রাপ্ত করছো, তোমরা নিচে নামতেই থেকেছো। নতুন দুনিয়াতে তো আস্তে
আস্তে নামতে থাকো। অধঃপতন কি করে হয়, পুনরায় ঊর্ধ্ব গমন কিভাবে হয় - এটাও তোমরা
বাচ্চারা বুঝে গেছো। এখন শ্রীমৎ বাচ্চারা তোমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে পুনরায় শ্রেষ্ঠ
হওয়ার জন্য। তোমরা এখানে এসেছো-ই শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য। তোমরা জানো যে - আমরা পুনরায়
শ্রেষ্ঠ মত কিভাবে পাবো। অনেকবার তোমরা শ্রেষ্ঠ মত দিয়ে উঁচু পদ প্রাপ্ত করেছো,
পুনরায় পুনর্জন্ম নিতে নিতে নিচে নামতে থেকেছো। পুনরায় একবারই তোমরা উন্নতিকলায়
উপর দিকে উঠবে। নম্বরের ক্রমানুসারে পুরুষার্থ হতে থাকে। বাবা বোঝান যে, সময় লাগে।
পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগেরও নির্দিষ্ট সময় আছে তাই না, একদম সঠিক সময়। ড্রামা একেবারে
অ্যাকুরেট নিয়মে চলতে থাকে এবং তা অত্যন্ত ওয়ান্ডারফুল । বাচ্চারা খুব সহজেই সব
বুঝতে পেরে যায় - বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে।
ব্যস্। কিন্তু পুরুষার্থ করতে কারো কারো আবার ডিফিকাল্টও লাগে। এত শ্রেষ্ঠ পদ পাওয়া
কোনো সহজ বিষয় নয়। খুব সহজ বাবার স্মরণ আর সহজ আশীর্বাদ হলো বাবার। এক সেকেন্ডের
ব্যাপার । পুনরায় পুরুষার্থ করতে লেগে যায় তো মায়ার বিঘ্নও পড়তে থাকে। রাবণের উপরে
জিৎ প্রাপ্ত করতে হয়। সমগ্র সৃষ্টির উপরে এই রাবণের রাজত্ব চলছে। এখন তোমরা বুঝে
গেছো যে আমরা যোগবলের দ্বারা রাবণের ওপরে প্রত্যেক কল্পে জয় প্রাপ্ত করেছি। এখনও
প্রাপ্ত করছি। এসব শিক্ষা দিচ্ছেন অসীম জগতের বাবা। ভক্তি মার্গেও তোমরা বাবা-বাবা
বলে এসেছো। কিন্তু প্রথমে বাবাকে জানতে না। আত্মাকে জানতে। বলতে - ভ্রূকুটির মাঝে
ঝলমল করে এক আশ্চর্য তারা....।" আত্মাকে জানলেও বাবাকে জানতে না। কিরকম বিচিত্র
ড্রামা। বলতে - পরমপিতা পরমাত্মা, স্মরণও করতে, তবুও কিছুই জানতে না। না আত্মার
কর্তব্যকে, না পরমাত্মার কর্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে জানতে। বাবাই নিজে এসে সবকিছু
বোঝান। বাবা ছাড়া কেউই এসব বিষয়ে অনুভব করাতে পারে না। কারোর পার্ট-ই নেই। গায়ন-ই
আছে ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়, আসুরী সম্প্রদায় আর দৈবী সম্প্রদায়। আছে খুব সহজ। কিন্তু
এই কথাটি স্মরণ করতে হবে যে - এতেই মায়া বিঘ্ন দেয়। সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। বাবা
বলেন যে নম্বরের ক্রমানুসারে পুরুষার্থ আর স্মরণ করতে করতে যখন ড্রামা শেষ হয়ে যাবে
অর্থাৎ পুরানো দুনিয়ার অন্ত হয়ে যাবে তখন নাম্বারের ক্রমানুসারে পুরুষার্থের
দ্বারা রাজধানী স্থাপন হয়েই যাবে। শাস্ত্র দ্বারা এই সমস্ত কথা কেউ বুঝতে পারে না।
গীতা আদি তো ইনি অনেক পড়েছেন তাই না। এখন বাবা বলছেন যে এসবের কোন মূল্য নেই।
কিন্তু ভক্তিতে কীর্তন, ভজন শুনতে সকলেরই বেশ ভালো লাগে, তাই তাকে ছাড়তে পারে না।
তোমরা এখন জেনে গেছো যে, সবকিছুই নির্ভর করছে তোমাদের পুরুষার্থের উপরে। ব্যবসা
আদিও কারোর কারোর খুব উচ্চ মানের হয়, আবার কারোর কারোর একদম ছিঃ ছিঃ নোংরা ব্যবসা।
কিছু ব্যবসা হয় মদ, বিড়ি, সিগারেট প্রভৃতি বিক্রি করে, এই ব্যবসা তো খুবই খারাপ।
মদ সমস্ত বিকারকে আকর্ষণ করে। কাউকে মদাসক্ত বানানো - এই ব্যবসা ভালো নয়। বাবা রায়
দিচ্ছেন, যুক্তি দিয়ে এই ব্যবসাকে পরিবর্তন করে নাও। না হলে উঁচু পদ পাবে না। বাবা
বোঝাচ্ছেন যে, অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ব্যবসা না করে এইসব ব্যবসা করাতে তোমাদের অনেক
ক্ষতি হয়ে যায়। ইনিও হীরে জহরতের ব্যবসা করতেন, কিন্তু লাভ তো কিছু হয়নি, এই
ব্যবসা করে হয়তো লাখপতি হয়েছে, কিন্তু এই ব্যবসা (অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ব্যবসা)
করে তোমরা কি হতে পারো? বাবা পত্রে প্রায়ই লেখেন যে - পদ্মাপদম ভাগ্যশালী হতে পারো,
সেটাও আবার ২১ জন্মের জন্য। এটা বুঝে গেছো যে, বাবা একদম ঠিক কথা বলছেন। আমরাই
দেবী-দেবতা ছিলাম, পুনরায় চক্র পরিক্রমা করে নিচে এসে গেছি। তোমরা সৃষ্টির আদি,
মধ্য, অন্তকেও জেনে গেছো। জ্ঞান তো বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে, কিন্তু পুনরায়
দৈবগুণও ধারণ করতে হবে। নিজেকে নিরীক্ষণ করতে হবে যে - আমার মধ্যে কোনো আসুরী গুণ
নেই তো? এই বাবারও গর্ব রয়েছে যে আমি বাবাকে নিজের শরীররূপী গৃহকে ভাড়া দিয়েছি।
এটা তো গৃহ, তাই না। এর মধ্যে আত্মা থাকে। আমাকে এই ঈশ্বরীয় নেশায় থাকতে হবে যে -
ভগবানকে আমি এই গৃহ ভাড়া দিয়েছি। ড্রামার নিয়ম অনুসারে অন্য কোনো গৃহ তিনি নেন
না। কল্প-কল্প এই গৃহকেই তিনি ভাড়া নেন। এঁনার তো খুব আনন্দ হয়, তাইনা। কিন্তু
অনেক সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয় এঁনাকে। এই বাবা হাসতে হাসতে কোনো একদিন বাবাকে
বলেছিলেন যে, - বাবা তোমার রথ হয়েছি বলে আমাকে এত গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। বাবা
বলেন, সবথেকে বেশি গালিগালাজ তো আমি পেয়েছি। এখন তোমার পালা। ব্রহ্মাকে কখনো কেউ
গালি দেয়নি। এখন সেই সময় এসেছে। রথ দিয়েছো তো এটা তো বোঝো যে অবশ্যই বাবা তোমাকে
সাহায্য করবেন, তাই না। তবুও বাবা বলেন যে, বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করতে থাকো। এই
স্মরণের যাত্রাতেই বাচ্চারা, তোমরা এঁনার থেকেও বেশি তীব্র গতিতে যেতে পারবে। কেননা
এঁনার উপর অনেক দায়িত্ব ভার রয়েছে। যদিও ড্রামা বলে সবকিছু ছেড়ে দেন, তবুও কিছু
সমস্যা তো কিছু না কিছু আসেই । কোনো এক বেচারা খুব ভালো সার্ভিস করছিলো, কিন্তু
সঙ্গদোষে এসে খারাপ হয়ে গেছে। কত বদনাম হয়ে যায়। এমন এমন কাজ করে যে বদনাম আসতে
থাকে। সেই সময় বোঝেনা যে এটা ড্রামাতে তৈরি ছিল। এসব পরবর্তীকালে খেয়াল আসে। এটাই
তো ড্রামাতে নিহিত আছে, তাই না। মায়া স্থিতিকে একদম খারাপ করে দেয়। তাই খুব বদনাম
করতে থাকে। কত অবলা নারীদের উপরে অত্যাচার হয়ে থাকে। এখানে তো নিজের বাচ্চারাই কত
বদনাম করতে থাকে। উল্টো-পাল্টা বলতে থাকে।
এখন বাচ্চারা, তোমরা জানতে পেরেছো যে, বাবা কী শোনাচ্ছেন? বাবা কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি
শোনান না। এখন আমরা শ্রীমতে চলে কত শ্রেষ্ঠ তৈরি হচ্ছি। আসুরী মতে চলে কত ভ্রষ্ট হয়ে
গিয়েছিলাম। সময় লাগে তাই না। মায়ার সাথে যুদ্ধ চলতেই থাকবে। এখন তোমাদের বিজয়
তো অবশ্যই হবে। এটা তোমরা বোঝো যে, শান্তিধাম সুখধামে আমাদের বিজয় আছেই। কল্প-কল্প
আমরা বিজয় প্রাপ্ত করেছি। এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগেই স্থাপনা আর বিনাশ হয়। এই
সমস্ত জ্ঞান বিস্তারিতভাবে তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। নিশ্চিত ভাবেই বাবা আমাদের দ্বারা
স্থাপনার কাজ করিয়ে থাকেন। পুনরায় আমরাই রাজত্ব করবো সেখানে। বাবাকে ধন্যবাদ
জানানোর দরকার নেই। বাবা বলেন - এটাও ড্রামাতে নিহিত আছে। আমিও এই ড্রামার মধ্যে
অ্যাক্ট করে চলেছি। ড্রামার মধ্যে সকলের পার্ট নিহিত রয়েছে । শিব বাবার পার্ট
রয়েছে, আমাদেরও পার্ট রয়েছে । ধন্যবাদ জানাবার ব্যাপার নেই। শিব বাবা বলেন যে -
আমি তোমাদেরকে শ্রীমৎ দিয়ে রাস্তা বলে দিই। আর অন্য কেউ তা বলতে পারে না। যারাই
আসুক, বলো - সতোপ্রধান নতুন দুনিয়া - স্বর্গ ছিল, তাই না! এই পুরানো দুনিয়াকে
তমোপ্রধান বলা হয়ে থাকে। পুনরায় সতোপ্রধান হওয়ার জন্য দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে।
বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মন্ত্র তো হলো - "মন্মনা ভব", আর "মধ্যাজী ভব" । ব্যস্। তিনি
এটাও বলে দেন যে, "আমি হলাম পরম গুরু" ।
তোমরা বাচ্চারা এখন স্মরণের যাত্রায় থেকে সমগ্র সৃষ্টিকে সদ্গতি প্রদান করছো।
জগদ্গুরু হলেন এক শিব বাবা-ই, যিনি তোমাদেরকেও শ্রীমৎ প্রদান করে থাকেন। তোমরা জানো
যে - প্রত্যেক ৫ হাজার বছর পরে আমরা এই শ্রীমৎ প্রাপ্ত করি। চক্রের পুনরাবৃত্তি ঘটতে
থাকে। আজ পুরানো দুনিয়া, কাল নতুন দুনিয়া হয়ে যাবে। এই চক্রকে বোঝা খুব সহজ।
কিন্তু এটাও যেন স্মরণে থাকে যে, অন্যদেরকেও বোঝাতে হবে। অনেকে এটা ভুলে যায়। কেউ
যদি মায়ার বশ হয়ে যায়, তখন তার সমস্ত জ্ঞান শেষ হয়ে যায়। কলাকৌশল, শরীর সবকিছুই
মায়া গ্রহণ করে নেয়। সমস্ত কলাকে বের করে কলাহীন করে দেয়। এমন ভাবে ফেঁসে যায়
যে সেসব কথা জিজ্ঞাসা করো না। এখন তোমাদের সমগ্র চক্র স্মরণে আছে। তোমরা
জন্ম-জন্মান্তর বেশ্যালয়ে থেকে এসেছো। হাজার হাজার পাপ করে এসেছো। সকল দেবী দেবতার
সামনে গিয়ে বলেছো যে আমি হলাম জন্ম জন্মের পাপী। আমি-ই প্রথমে পূণ্য আত্মা ছিলাম,
পুনরায় পাপাত্মা হয়ে গেছি। এখন পুনরায় পুণ্যাত্মা হচ্ছি। এই জ্ঞান-ই তোমরা
বাচ্চারা প্রাপ্ত করছো। পুনরায় তোমরা এই জ্ঞান অপরকে শুনিয়ে নিজের সমান তৈরি করো।
গৃহস্থ ব্যবহারে থাকার জন্য পার্থক্য তো কিছুটা থাকে, তাইনা। তারা এতটা বুঝতে পারে
না, যেভাবে তোমরা বুঝেছো। কিন্তু সবাই তো ছাড়তে পারে না। বাবা নিজে বলছেন যে,
গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও পদ্মফুলের সমান হতে হবে। সব ছেড়েছুড়ে এখানে এসে, এত সবাই
বসবে কোথায়? বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েন না। ইনি (ব্রহ্মাবাবা)
শাস্ত্রাদি পড়েছিলেন। আমার বিষয়ে তো বলা হয়ে থাকে, "গডফাদার ইজ নলেজফুল" । মানুষ
তো এটাও জানে না যে বাবার মধ্যে কি জ্ঞান আছে। এখন তোমাদের মধ্যে সমগ্র
সৃষ্টিচক্রের আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে। তোমরা জানো যে এই ভক্তি মার্গের শাস্ত্র
অনাদি আছে। ভক্তিমার্গে এই সকল শাস্ত্র অবশ্যই বের হয়। তারা বলে থাকে যে পাহাড়
ভেঙে গেলে পুনরায় তেরী হবে কি করে? কিন্তু এটা তো ড্রামা তাইনা। শাস্ত্র আদি এই সব
শেষ হয়ে যাবে। পুনরায় নিজের সময় অনুসার এইরকমই তৈরি হবে। আমিও প্রথমে প্রথমে শিব
বাবাকে পূজা করতাম, এটাও শাস্ত্রে আছে তাই না। শিবের ভক্তি কিভাবে করা হয়? কত
শ্লোকাদি গাইতে থাকে। তোমরা শুধু স্মরণ করতে থাকো। শিব বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি
এখন তোমাদের নলেজ প্রদান করছেন। বাবা তোমাদেরকে বুঝিয়েছেন যে - এই সৃষ্টি চক্রের
কিভাবে রিপিট হচ্ছে। শাস্ত্রের মধ্যে এতোই লম্বা-চওড়া গল্প লেখা আছে যে কখনোই
স্মৃতিতে থাকে না। তাহলে বাচ্চাদের মধ্যে কত খুশি হওয়া চাই। অসীম জগতের বাবা আমাকে
পড়াচ্ছেন। গাওয়া হয়ে থাকে, "স্টুডেন্ট লাইফ ইজ দ্য বেস্ট"। ভগবানুবাচ - আমি
তোমাদেরকে রাজারও রাজা বানাচ্ছি। অন্য কোনো শাস্ত্রে এই সকল কথা লেখা নেই।
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি হল এটা। বাস্তব ক্ষেত্রে গুরু তো হলো একজনই, যিনি সকলকে সদ্গতি
প্রদান করেন। হয়তো ধর্ম স্থাপকদেরও গুরু বলা হয়ে থাকে কিন্তু গুরু তিনিই, যিনি
সদ্গতি প্রদান করেন। এরা তো নিজেরা আসার পরে তাদেরকে (নিজের ফলোয়ারদের) পার্টে নিয়ে
আসে। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা তো বলেন না। বরযাত্রী তো শিবেরই গাওয়া
হয়, অন্য কোনো গুরুর নয়। মানুষ আবার শিব-শঙ্করকে এক করে ফেলেছে। কোথায় সেই
সূক্ষ্মবতন-বাসী, কোথায় সেই মূলবতন-বাসী। দু'জনে কী করে এক হতে পারে? এটাই ভক্তি
মার্গে লিখে দিয়েছে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকর হলেন তাঁর সন্তান, তাই না। ব্রহ্মার
ক্ষেত্রেই তোমরা বুঝতে পারো। এঁনাকে অ্যাডপ্ট করেছি তাই তো উনি শিব বাবার বাচ্চাই
হলেন, তাইনা। উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন বাবা। বাকি সবই হলো তাঁরই রচনা। এ'সব কতো বোঝার
মতো বিষয়! আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
অবিনাশী জ্ঞান রত্নের আদান প্রদান করে ২১ জন্মের জন্য পদ্মাপদম ভাগ্যশালী হতে হবে।
নিজেকে নিরীক্ষণ করতে হবে যে, আমার মধ্যে কোনো আসুরী গুণ নেই তো? আমি এমন কোনো
ব্যবসা তো করিনা, যার দ্বারা বিকারের উৎপত্তি হয়?
২) স্মরণের যাত্রায়
থেকে সমগ্র সৃষ্টিকে সদ্গতিতে পৌঁছাতে হবে। এক সৎগুরু বাবার শ্রীমতে চলে নিজ সম
বানানোর সেবা করতে হবে। স্মরণে থাকে যেন, মায়া কখনো কলাহীন বানিয়ে না দেয়।
বরদান:-
খারাপের মধ্যেও ভালো অনুভবকারী নিশ্চয়বুদ্ধি নিশ্চিন্ত বাদশাহ ভব
সদা এই স্লোগান স্মরণে
যেন থাকে যে - যা হয়েছে ভালো হয়েছে, ভালো হচ্ছে আর ভালোই হবে। খারাপকে খারাপের রূপে
দেখবে না। খারাপের মধ্যেও ভালো অনুভব করবে, খারাপের থেকে শিক্ষা নেবে। যদি কোনও
পরিস্থিতি আসে তখন “কি হবে” এই সংকল্প যেন না আসে, পরিবর্তে শীঘ্রই যেন সংকল্পে আসে
যে “ভালোই হবে”। পাস্ট হয়ে গেছে, ভালো হয়েছে। যেখানে ভালো হবে সেখানে সদাই
নিশ্চিন্ত বাদশাহ হয়ে থাকবে। নিশ্চয়বুদ্ধির অর্থই হল সদা বেফিকর (নিশ্চিন্ত) বাদশাহ।
স্লোগান:-
যে
নিজেকে এবং অন্যদেরকে রিগার্ড দেয় তার রেকর্ড সদা ঠিক থাকে।