05.11.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
এই সম্পূর্ণ দুনিয়া হলো রুগীদের এক বড় হসপিটাল, বাবা এসেছেন সম্পূর্ণ দুনিয়াকে
নিরোগী বানাতে”
প্রশ্নঃ -
কোন্ স্মৃতিটি
থাকলে কখনও মনমরা বা দুঃখের ঢেউ আসতে পারবে না?
উত্তরঃ
এখন আমরা এই
পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীর ত্যাগ করে পরমধামে যাবো তারপরে নতুন দুনিয়ায় পুনর্জন্ম
নেবো। আমরা এখন রাজযোগ শিখছি - রাজত্বে যাওয়ার জন্য। বাবা আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের
আত্মিক রাজস্থান স্থাপন করছেন, এই স্মৃতি থাকলে দুঃখের ঢেউ আসতে পারবে না।
গীতঃ-
তুমিই মাতা...
ওম্ শান্তি ।
এই গীত
বাচ্চারা তোমাদের জন্য নয়, নতুনদেরকে বোঝানোর জন্য। এমন তো নয় এখানে সবাই
বুদ্ধিমানরা-ই আছে। না, বোধহীনদের বুদ্ধিমান বানানো হয় । বাচ্চারা জানে আমরা কিরূপ
বোধহীন ছিলাম, এখন বাবা আমাদের বুদ্ধিমান বানিয়েছেন। যেমন স্কুলে পড়াশোনা করে
বাচ্চারা বুদ্ধিমান হয়ে যায়। প্রত্যেকে নিজের নিজের বুদ্ধির আধারে ব্যারিস্টার,
ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হয়। এইখানে তো আত্মাকে বোধযুক্ত করার কথা। আত্মা-ই পড়ে শরীর
দ্বারা। কিন্তু বাইরে যা শিক্ষা প্রাপ্ত হয়, সেসব হলো অল্পকালের শরীর নির্বাহের
জন্য। যদিও কেউ কনভার্টও করে, হিন্দুদের খ্রীস্টান বানিয়ে দেয় - কিসের জন্য? অল্প
সুখের প্রাপ্তির জন্য। টাকা পয়সা চাকরী ইত্যাদি সহজ প্রাপ্তির জন্য, জীবিকা নির্বাহ
করার জন্য। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমাদেরকে সর্ব প্রথমে আত্ম-অভিমানী হতে হবে।
এটাই হল মুখ্য কথা, কারণ এই দুনিয়া হল রুগীদের দুনিয়া। এমন কোনও মানুষ নেই যে রুগী
হয়নি। কিছু তো নিশ্চয়ই হয়েছে। এই সম্পূর্ণ দুনিয়া হলো এক বিরাট বড় হসপিটাল, যেখানে
সব মানুষ হলো পতিত রুগী। আয়ুও অনেক কম থাকে। হঠাৎ মৃত্যু হয়। কালের কবলে পড়ে যায়।
এইসব কথাও তোমরা বাচ্চারা জানো। তোমরা বাচ্চারা শুধুমাত্র ভারতের নয়, সম্পূর্ণ
বিশ্বের সার্ভিস করো গুপ্ত রূপে। মুখ্য কথা হল যে, বাবাকে কেউ জানে না। মানুষ হয়েও
পারলৌকিক পিতাকে জানেনা, তাঁর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকে না। এখন বাবা বলেন,
আমার সঙ্গে ভালোবাসা যুক্ত হয়ে থাকো। আমার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রেখে তোমাদের
আমার সঙ্গে ফিরে যেতে হবে। যতক্ষণ না ফিরছো ততক্ষণ তোমাদের এই অপবিত্র ছিঃ ছিঃ
দুনিয়ায় থাকতে হয়। সর্বপ্রথমে তো দেহ-অভিমানী থেকে দেহী-অভিমানী হও, তবে তোমরা ধারণ
করতে পারবে এবং বাবাকে স্মরণ করতে পারবে। যদি দেহী-অভিমানী না হও তাহলে কোনও কাজের
থাকবে না। দেহ-অভিমানী তো হল সবাই। তোমরা জানো যে, আমরা যদি আত্ম-অভিমানী না হই,
বাবাকে স্মরণ না করি, তাহলে আমরা তো আগের মতনই রইলাম। মুখ্য কথা হলো দেহী-অভিমানী
হওয়ার, রচনাকে জানা নয়। যদিও গায়ন আছে রচয়িতা ও রচনার জ্ঞান। এমন নয় প্রথমে রচনা
তারপরে রচয়িতার জ্ঞান বলবে। না, প্রথমে রচয়িতা, তিনি হলেন পিতা। বলাও হয় - গড ফাদার।
বাচ্চারা, উনি এসে তোমাদের নিজের মতন তৈরি করেন। বাবা তো হলেন সর্বদা আত্ম-অভিমানী,
তাই তিনি হলেন সুপ্রিম। বাবা বলেন, আমি তো আত্ম-অভিমানী। যার মধ্যে প্রবেশ করি
তাকেও আত্ম-অভিমানী করি। এনার (ব্রহ্মা বাবা) মধ্যে প্রবেশ করি এনাকে কনভার্ট করার
জন্য। কারণ ইনি দেহ-অভিমানী ছিলেন, এনাকেও বলি নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমাকে
যথার্থ ভাবে স্মরণ করো। এমন অনেক মানুষ আছে যারা ভাবে আত্মা ও জীব দুটি আলাদা। আত্মা
দেহ থেকে বেরিয়ে যায়, সুতরাং দুটি আলাদা জিনিস তাইনা। বাবা বোঝান তোমরা হলে আত্মা।
আত্মা-ই পুনর্জন্ম নেয়। আত্মা-ই শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করে। বাবা বার-বার বোঝান
নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, এতেই খুব পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। যেমন স্টুডেন্ট পড়াশোনা
করার জন্য একাকী স্থানে, বাগানে ইত্যাদি স্থানে গিয়ে বসে পড়ে। পাদরিরাও পায়চারি
করার সময়ে শান্ত হয়ে থাকে। তারা আত্ম-অভিমানী হয় না। ক্রাইষ্টকে স্মরণ করে। ঘরে
থেকেও স্মরণ করতে পারে কিন্তু বিশেষ ভাবে ক্রাইষ্টকে স্মরণ করার জন্য একাকী স্থানে
যায়, অন্য কোনো দিকে নজর দেয় না। যারা ভালো, তারা ভাবে আমরা ক্রাইষ্টকে স্মরণ করতে
করতে তার কাছে চলে যাবো। খ্রাইষ্ট হেভেনে বসে আছেন, আমরাও হেভেনে চলে যাবো। এই কথাও
বোঝেন যে ক্রাইষ্ট হেভেনলী গড ফাদারের কাছে গেছেন। আমরাও স্মরণ করতে করতে তার কাছে
যাবো। সব খ্রীস্টানরা এক তারই সন্তান। জ্ঞানের কিছুটা অংশ তাদের ঠিক আছে। কিন্তু
তোমরা বলবে যে, তাদের জ্ঞানের এই কথাটি তো ভুল যে ক্রাইষ্টের আত্মা উপরে গেছে।
ক্রাইষ্ট নাম তো শরীরের, যাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। আত্মা তো ফাঁসিতে ঝোলে না।
এখন খ্রাইষ্টের আত্মা গড ফাদারের কাছে গেছে, এই রূপ বলাও ভুল হয়ে যায়। কেউ ফিরে যাবে
কীভাবে? প্রত্যেককে স্থাপন তারপরে পালন অবশ্যই করতে হয়। বাড়িতে রঙ করানো হয়, এ হলো
পালন করা অর্থাৎ রক্ষণাবেক্ষণ।
এখন অসীমের পিতাকে
তোমরা স্মরণ করো। এই নলেজ অসীমের পিতা ব্যতীত কেউ দিতে পারে না। নিজেরই কল্যাণ করতে
হবে। রুগী বা অসুস্থ থেকে নিরোগী অর্থাৎ সুস্থ হতে হবে। এই দুনিয়া হল রুগীদের বিশাল
হসপিটাল । সম্পূর্ণ বিশ্ব হল রুগীদের হসপিটাল । রুগীর মৃত্যু নিশ্চয়ই শীঘ্র হবে,
বাবা এসে এই সম্পূর্ণ বিশ্ব কে সুস্থ করেন। এমন নয় এখানেই সুস্থ হবে। বাবা বলেন -
সুস্থ হয় সবাই নতুন দুনিয়ায়। পুরানো দুনিয়ায় সুস্থ হতে পারে না। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ
হলেন সুস্থ, এভার হেলদী। সেখানে আয়ু বেশি হয়, রুগী হয় ভিশস। ভাইসলেস রুগী হয় না। ওটা
হলই সম্পূর্ণ নির্বিকারী। বাবা নিজে বলেন এই সময় সম্পূর্ণ বিশ্ব, বিশেষ ভাবে ভারত
হল রুগী। তোমরা বাচ্চারা প্রথমে সুস্থ দুনিয়ায় আসো, সুস্থ হও স্মরণের যাত্রা দ্বারা।
স্মরণের সাহায্যে তোমরা ফিরে যাবে নিজের সুইট হোমে। এও হল একরকমের যাত্রা। আত্মার
যাত্রা, পিতা পরমাত্মার কাছে ফিরে যাওয়ার যাত্রা। এ হল স্পিরিচুয়াল যাত্রা। এই
শব্দটি কেউ বুঝবে না। তোমরাও নম্বর অনুসারে জানো, কিন্তু ভুলে যাও। মুখ্য কথা হল এই,
যা বোঝানো খুব সহজ। কিন্তু বোঝাবে সে যে নিজেও আত্মিক যাত্রা করবে। নিজে না থাকলে,
অন্যদের বললেও জ্ঞানের তীর সেরকম ভাবে লাগবে না। সত্যতার শক্তি চাই। আমরা বাবাকে
এমন স্মরণ করি যেমন স্ত্রী নিজের স্বামীকে স্মরণ করে। পরমাত্মা হলেন স্বামীদের
স্বামী, পিতাদের পিতা, গুরুদের গুরু। গুরুরাও ওই পিতাকেই স্মরণ করে। ক্রাইষ্টও
পিতাকেই স্মরণ করতেন। কিন্তু তাঁকে কেউ জানেনা। বাবা যখন আসবেন তখন নিজের পরিচয়
দেবেন। ভারতবাসী নিজেরাই পিতাকে জানেনা, তাহলে অন্যরা কীভাবে জানবে। বিদেশ থেকে
মানুষ এখানে আসে, যোগ শিখতে। ভাবে প্রাচীন যোগ ভগবান শিখিয়েছেন। এইরূপ থাকে ভাবনা।
বাবা বোঝান প্রকৃত সত্য যোগ তো আমি ই কল্প কল্প এসে শেখাই, কেবল একবার। মুখ্য কথা
হল নিজেকে আত্মা ভেবে পিতাকে স্মরণ করো, একেই আত্মিক যোগ বলা হয়। বাকি সবার হলো
দৈহিক যোগ। ব্রহ্মের সঙ্গে যোগযুক্ত হয়। ব্রহ্ম তো পিতা নয়। ওটা হল মহাতত্ত্ব,
আত্মাদের নিবাস স্থান। অতএব বাবা হলেন একমাত্র রাইট। একমাত্র বাবাকেই সত্য বলা হয়।
এই কথাও ভারতবাসী জানেনা যে, বাবা সত্য হন কীভাবে। তিনি সত্যখণ্ডের স্থাপনা করেন।
সত্যখন্ড ও মিথ্যাখন্ড। তোমরা যখন সত্যখণ্ডে থাকো তখন সেখানে রাবণের রাজ্য থাকে না।
অর্ধকল্প পরে রাবণ রাজ্য মিথ্যাখন্ড আরম্ভ হয়। সত্যখন্ড সম্পূর্ণ সত্যযুগকে বলা হবে।
তারপরে মিথ্যাখন্ড সম্পূর্ণ কলিযুগের অন্তিম কাল। এখন তোমরা বসে আছো সঙ্গমে। না
এদিকে, না ওইদিকে। তোমরা যাত্রা করছো। আত্মা যাত্রা করছে, শরীর নয়। বাবা এসে যাত্রা
করা শেখান। এখান থেকে ওইখানে যেতে হবে। তোমাদেরকে এইটাই শেখাচ্ছেন। তারা স্টার, মুন
ইত্যাদির দিকে যাওয়ার যাত্রা করে। এখন তোমরা জানো তাতে কোনো লাভ নেই। এইসব জিনিস
দিয়ে সম্পূর্ণ বিনাশ হবে। এত পরিশ্রম সব ব্যর্থ হবে। তোমরা জানো এইসব জিনিস যা
বিজ্ঞান দ্বারা তৈরি হয়েছে সেসব ভবিষ্যতে তোমাদের কাজে লাগবে। এইরূপ ড্রামা
নির্দিষ্ট আছে। অসীম জগতের পিতা এসে পড়ান, সুতরাং খুব সম্মান করা উচিত। টিচারের
সম্মান করা হয়। টিচার আদেশ করেন - ভালো ভাবে পড়াশোনা করে পাস করো। আদেশ পালন না করলে
ফেল হয়ে যাবে। বাবা নিজেও বলেন, তোমাদের পড়া'ই হল বিশ্বের মালিক বানানোর জন্য। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন মালিক। যদিও প্রজারাও হয় মালিক, কিন্তু পদমর্যাদায় তফাৎ থেকে
যায়। ভারতবাসীরা সবাই বলে - আমরা হলাম মালিক। গরিব মানুষও নিজেদেরকে ভারতের মালিক
ভাবে। কিন্তু রাজা এবং প্রজায় অনেক তফাৎ আছে। নলেজ দ্বারা পদমর্যাদায় এইরূপ
পার্থক্য এসে যায়। নলেজেও তীক্ষ্ণবুদ্ধি চাই। পবিত্রতাও জরুরী তো হেল্থ-ওয়েল্থও চাই।
স্বর্গে তো সব আছে, তাইনা। বাবা মুখ্য উদ্দেশ্য বোঝান। দুনিয়ায় অন্য কারো বুদ্ধিতে
এই মুখ্য উদ্দেশ্যটি থাকবে না। তোমরা অবিলম্বে বলবে আমরা এমন হবো। সম্পূর্ণ বিশ্বে
আমাদের রাজধানী থাকবে। বর্তমানে এই রাজত্ব হলো পঞ্চায়েত রাজ্য। প্রথমে স্বরূপ ছিল
ডবল মুকুটধারী, তারপরে সিঙ্গল মুকুটধারী, এখন কোনও মুকুট নেই। বাবা মুরলীতে বলে
ছিলেন - এই চিত্রও যেন থাকে - ডবল মুকুটধারী রাজাদের সামনে সিঙ্গল মুকুটধারী রাজারা
প্রণাম করছে। এখন বাবা বলছেন আমি তোমাদেরকে রাজার রাজা ডবল মুকুটধারী বানাই। ওটা হলো
অল্পকালের জন্য, এ হলো ২১ জন্মের কথা। প্রথম মুখ্য কথা হলো পবিত্র হওয়ার। ডাকাও হয়
যে এসে পতিত থেকে পবিত্র বানাও। এমন বলা হয় না এসে রাজা বানাও। বাচ্চারা, এখন
তোমাদের হলো অসীমের সন্ন্যাস। এই দুনিয়া থেকে চলে যাবে নিজের ঘর পরমধাম। তারপরে আসবে
স্বর্গে, হেভেনে। অন্তরে খুশীর অনুভূতি থাকা উচিত যখন বুঝবে আমরা ঘরে যাবো পরে
রাজত্ব করতে আসবো তাহলে মন খারাপ ও দুঃখের অনুভূতি ইত্যাদি এইসব থাকা উচিত নয়। আমরা
আত্মারা ঘরে ফিরে যাব তারপরে পুনর্জন্ম নতুন দুনিয়ায় নেব। বাচ্চাদের খুশী স্থায়ীভাবে
থাকে না কেন? মায়ার বিরোধিতা খুব বেশি তাই খুশী কমে যায়। পতিত-পাবন নিজে বলেন আমাকে
স্মরণ করো তো তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ বিনষ্ট হবে। তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হও।
তোমরা জানো যে এর পরে আমরা নিজের রাজস্থানে চলে যাবো। এখানে বিভিন্ন ধরনের রাজারা
ছিল, এখন পুনরায় আত্মিক রাজস্থান তৈরি হবে। স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে। খ্রীস্টানরা
হেভেনের অর্থ বোঝে না। তারা মুক্তিধামকে হেভেন বলে। এমন নয় যে হেভেনলী গড ফাদার
হেভেনে বাস করেন। তিনি তো থাকেন শান্তিধামে। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো স্বর্গে
যাওয়ার জন্যে। এই তফাতটিকে বলতে হবে। গড ফাদার হলেন মুক্তিধাম নিবাসী। হেভেন নতুন
দুনিয়াকে বলা হয়। সেখানে তো খ্রিস্টানরা থাকে না। ফাদার এসে স্বর্গ স্থাপন করেন।
তোমরা যাকে শান্তিধাম বলো খ্রিস্টানরা তাকেই হেভেন বলে। এইসব কথা বুঝতে হবে।
বাবা বলেন, নলেজ তো
খুব সহজ। এই হল পবিত্র হওয়ার নলেজ, মুক্তি-জীবনমুক্তিতে যাওয়ার নলেজ, যা কেবলমাত্র
বাবা দিতে পারেন। যখন কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয় তখন অন্তরে এই বোধ থাকে আমরা ভগবানের
কাছে যাচ্ছি। যে ফাঁসি দেয় সেও বলে গড'কে স্মরণ করো। গড -কে দুইজনেই জানে না। সেই
সময় তো তাদের আত্মীয় পরিজন স্মরণে আসে। গায়নও আছে অন্ত কালে যে স্ত্রীকে স্মরণ করে..
কেউ তো নিশ্চয়ই স্মরণে আসে। সত্যযুগে মোহজিত থাকে। সেখানে জ্ঞান থাকে এক শরীর ত্যাগ
করে অন্য ধারণ করতে হবে। সেখানে স্মরণ করার দরকার নেই তাই বলা হয় দুঃখে স্মরণ সবাই
করে... এখানে দুঃখ আছে তাই স্মরণ করে যাতে ভগবানের কাছে যদি কিছু প্রাপ্ত হয়।
স্বর্গে তো সব কিছু প্রাপ্ত হয়েই থাকে। তোমরা বলতে পারো আমাদের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে
ঈশ্বরে বিশ্বাসী করা, সনাথ করা। এখন সবাই অনাথ হয়েছে। আমরা স-নাথ করি। সুখ, শান্তি,
সম্পত্তির উত্তরাধিকার একমাত্র বাবা প্রদান করেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের বিশাল আয়ু ছিল।
এই কথাও জানো যে প্রথমে ভারতবাসীদের আয়ু বেশি ছিল। এখন ছোট হয়েছে। কেন ছোট হয়েছে -
তা কেউ জানে না। তোমাদের জন্যে খুব সহজ হয়েছে নিজে বোঝা এবং অন্যদের বোঝানো। তাও
নম্বর অনুসারে। বোঝানোর শক্তি প্রত্যেকের নিজস্ব, যে যেমন ধারণ করে সে তেমন বোঝায়।
আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
যেমন বাবা সর্বদা আত্ম-অভিমানী, তেমন আত্ম-অভিমানী থাকার পুরোপুরি পুরুষার্থ করতে
হবে। এক বাবাকে সত্যতার সঙ্গে ভালোবেসে বাবার সঙ্গে ঘরে ফিরতে হবে।
২ ) অসীম জগতের বাবার
পুরোপুরি রিগার্ড রাখতে হবে অর্থাৎ বাবার আদেশ অনুসারে চলতে হবে। বাবার প্রথম আদেশ
হলো - বাচ্চারা, ভালো ভাবে পড়াশোনা করে পাস করো। এই আদেশটি পালন করতে হবে।
বরদান:-
শক্তিশালী সেবার মাধ্যমে দুর্বলদের শক্তি প্রদানকারী সত্য সেবাধারী ভব
সত্য সেবাধারীর
প্রকৃত বিশেষত্ব হলো - দুর্বলদের শক্তি দান করার জন্য নিমিত্ত হওয়া। সেবা তো সবাই
করে, কিন্তু সফলতায় যে পার্থক্য দেখা যায়, তার কারণ হলো সেবার উপকরণে শক্তির অভাব।
যেমন যদি তলোয়ারে ধার না থাকে, তবে সেই তলোয়ার কোনো কাজের নয় । তেমনি সেবার উপকরণে
যদি স্মরণের শক্তির ধার না থাকে, তবে সাফল্য আসবে না। তাই শক্তিশালী সেবাধারী হও,
দুর্বলদের মধ্যে শক্তি ভরো - তখনই বলা যাবে, “সত্যিকারের সেবাধারী”।
স্লোগান:-
প্রতিটি
পরিস্থিতিকে উড়তি কলার সাধন মনে করে সর্বদা উড়তে থাকো।
অব্যক্ত ইশারা :-
অশরীরী ও বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বাড়াও
এমনিতে তো অশরীরী হওয়া
সহজ, কিন্তু যখন কোনো ব্যাপার সামনে আসে, কোনো সার্ভিস বা অস্থির পরিস্থিতি সামনে
আসে, তখনও অশরীরী অবস্থায় থাকা - এটাই হলো আসল পরীক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে ভাবলে আর
অশরীরী হয়ে গেলে - একসাথে চলতে হবে। এর জন্য দীর্ঘ সময়ের অভ্যাস চাই । ভাবা আর করা
যদি একসাথে চলে তবেই অন্তিম পেপারে পাশ করতে পারবে।