07.08.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
অবিনাশী জ্ঞান রত্ন ধারণ করে তোমাদের এখন ফকির থেকে আমীর হয়ে উঠতে হবে, তোমরা
আত্মারা হলে রূপ-বসন্ত"
প্রশ্নঃ -
কোন্ শুভ ভাবনা
রেখে পুরুষার্থে সর্বদা তৎপর থাকতে হবে?
উত্তরঃ
সর্বদা এই শুভ
ভাবনা রাখতে হবে যে আমরা আত্মারা সতোপ্রধান ছিলাম, আমরাই বাবার থেকে শক্তির
উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিলাম, এখন আবার তা গ্রহণ করছি। এইরকম শুভ ভাবনা রেখে
পুরুষার্থ করে সতোপ্রধান হতে হবে। এইরকম ভেবো না যে সকলে কি আর সতোপ্রধান থোড়াই হবে!
না, স্মরণের যাত্রায় থাকার নিরন্তর পুরুষার্থ করতে হবে, সার্ভিসের দ্বারা শক্তি
প্রাপ্ত করতে হবে।
গীতঃ-
এই পাপের
দুনিয়ার থেকে এখন এসে নিয়ে চলো ....
ওম্ শান্তি ।
এটা হলো
পড়াশোনা। প্রতিটি কথা বুঝতে হবে, আর যে সব সৎসঙ্গ ইত্যাদি আছে, সেই সব হলো ভক্তির।
ভক্তি করতে করতে বেগার (ভিখারি) হয়ে গেছে। তারা বেগর্স ফকির এক রকমের, তোমরা হলে
আরেক ধরনের বেগর্স। এটা কারোর জানা নেই যে আমরা আমীর ছিলাম, তোমরা ব্রাহ্মণরা জানো
যে আমরা বিশ্বের মালিক আমীর ছিলাম। আমীরচাঁদ থেকে ফকির চাঁদ হয়েছি। এখন এটা হলো
পড়াশোনা, তোমাদের ভালো মতো পড়াশোনা করতে হবে, ধারণ করে আবার তাদের ধারণ করানোর
প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অবিনাশী জ্ঞানরত্ন ধারণ করতে হবে। আত্মা তো হলো রূপ বসন্ত।
আত্মাই ধারণ করে, শরীর তো হলো বিনাশী। যেটা কোনো কাজের জিনিস হয় না, সেই সমস্ত
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। শরীরও কাজের না থাকলে তখন আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। আত্মাকে তো
জ্বালায় না। আমরা হলাম আত্মা, যে দিন থেকে রাবণ রাজ্য হয়েছে তো মানুষ দেহ অভিমানে
এসেছে। আমি হলাম শরীর, এটা সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। আত্মা তো হলো অমর। অমরনাথ বাবা এসে
আত্মাদের অমর করে তোলেন। সেখানে তো নিজের সময় অনুযায়ী নিজের খুশী মতো এক শরীর ছেড়ে
দ্বিতীয় ধারণ করে, কারণ আত্মা হলো মালিক। যখন মনে হবে শরীর ত্যাগ করবে। সেখানে
শরীরের আয়ু দীর্ঘ হয়। সাপের মতো। এখন তোমরা জানো যে এটা তোমাদের অনেক জন্মের শেষের
জন্মের পুরানো খোলস । ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছো। কারোর আবার ৬০-৭০ জন্মও আছে, কারোর
৫০ জন্ম আছে, ত্রেতাতে আয়ু কিছু না কিছু কম হয়ে যায়। সত্যযুগে ফুল (সম্পূর্ণ) আয়ু
হয়ে থাকে। এখন পুরুষার্থ করতে হবে যে আমরা সর্বপ্রথম সত্যযুগে আসবো। সেখানে শক্তি
থাকে তাই অকাল মৃত্যু হয় না। শক্তি কম হতে থাকে তো আবার আয়ুও কম হয়ে যেতে থাকে।
এখন- বাবা যেমন সর্বশক্তিমান হন, তোমাদের আত্মাদেরও শক্তিমান করে তোলেন। এক তো
পবিত্র থাকতে হবে আর স্মরণে থাকতে হবে, তবে শক্তি প্রাপ্ত হবে। বাবার থেকে শক্তির
উত্তরাধিকার নিতে থাকো। পাপ আত্মারা তো শক্তি নিতে পারে না। পূণ্য আত্মা হলে তবে
শক্তি প্রাপ্ত হবে। এটা ভেবে দেখো - আমাদের আত্মা সতোপ্রধান ছিল। সব সময় শুভ ভাবনা
রাখা উচিত। এইরকম নয় যে সকলেই সতোপ্রধান হবে। কেউ তো সতঃ-ও হবে, তাই না, নিজেকে
বোঝানো উচিত যে আমরা একদম প্রথমে সতোপ্রধান ছিলাম। নিশ্চয়ের (দৃঢ় বিশ্বাসের)
দ্বারাই সতোপ্রধান হবো। এইরকম না যে আমরা কি করে সতোপ্রধান হতে পারি। আবার ভুলে যায়।
স্মরণের যাত্রায় থাকে না। যত যত সম্ভব পুরুষার্থ করা উচিত। নিজেকে আত্মা মনে করে
সতোপ্রধান হতে হবে। সকল মানুষ মাত্রই এই সময় হলো তমোপ্রধান। আত্মাকে এখন সতোপ্রধান
হতে হবে, বাবার স্মরণে থেকে। এর সাথে-সাথে সার্ভিসও করলে তখন শক্তি প্রাপ্ত হবে। মনে
করো কেউ সেন্টার খুললো, তো অনেকের আশীর্বাদ তার মাথায় আসবে। মানুষ ধর্মশালা তৈরী
করে - যেন যে কেউ এলেই বিশ্রাম করতে পারে। আত্মা তাতে খুশী হয় তাই! যারা থাকবে, তারা
আরাম পেলে তবে তাদের আশীর্বাদ যে ধর্মশালা তৈরী করেছে তাদের উপর বর্ষিত হবে। এরপর
পরিণাম কি হবে? পরের জন্মে সে সুখী থাকবে। ভালো বাড়ী পাবে। বাড়ীতে ভালো সুখ
প্রাপ্ত করবে। এইরকম না যে কখনো রোগ হবে না। শুধু ভালো বাড়ী পাবে। হসপিটাল খুললে
তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ইউনিভার্সিটি খুললে পড়াশোনায় ভালো হবে। স্বর্গে তো এই
হসপিটাল ইত্যাদি হয় না। এখানে তোমরা পুরুষার্থ করে ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ অর্জন
করো। এছাড়া সেখানে হসপিটাল, কোর্ট, পুলিশ ইত্যাদি কিছু থাকবে না। এখন তোমরা যাচ্ছো
সুখধামে। সেখানে উজির বা পরামর্শদাতা থাকে না। উচ্চতমের চেয়ে উচ্চ নিজেরা মহারাজা-
মহারাণী, তারা কি আর উজিরের পরামর্শ নেবে! পরামর্শ তখন পাওয়া যায় যখন বুদ্ধিহীন হয়ে
যায়, যখন বিকারে নীচে নেমে যায়। রাবণ রাজ্যে একদমই বুদ্ধিহীন তুচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন
হয়ে যায়, এর জন্য বিনাশের রাস্তা খুঁজতে থাকে। নিজে মনে করে আমি বিশ্বকে অনেক উচ্চ
স্তরের গড়ে তুলি কিন্তু সেটা আরোই নীচে পড়ে যেতে থাকে। এখন বিনাশ সম্মুখে উপস্থিত
।
তোমরা বাচ্চারা জানো
যে আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। আমরা ভারতের সেবা করে দৈবী রাজ্য স্থাপন করি। আবার
আমরা রাজ্য করবো। গাওয়া হয় ফলো ফাদার। ফাদার শো'জ সন্, সন্ শো'জ ফাদার বাচ্চারা
জানে যে- এই সময় শিববাবা ব্রহ্মা তনে এসে আমাদের অধ্যয়ণ করান। বোঝাতেও হবে সেই ভাবে।
আমরা ব্রহ্মাকে ভগবান বা দেবতা বলে মান্য করি না। ইনি তো পতিত ছিলেন, বাবা তো পতিত
শরীরে প্রবেশ করেছিলেন। কল্পবৃক্ষে দেখো উপর দিকে একদম শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়ে আছে না!
পতিত বলে আবার নীচে পবিত্র হওয়ার জন্য তপস্যা করে আবার দেবতায় পরিণত হয়। তপস্যা
করতে পারে যারা তারা হলো ব্রাহ্মণ। তোমরা অর্থাৎ ব্রহ্ম কুমার-কুমারীরা রাজযোগ শিখছো।
কতো ক্লীয়ার। এতে যোগ খুবই ভালো হওয়া উচিত। স্মরণে না থাকলে মুরলীতেও সেই শক্তি
থাকবে না। শক্তি পাওয়া যায় শিববাবার স্মরণে। স্মরণের দ্বারাই সতোপ্রধান হবে, না হলে
শাস্তি খেয়ে আবার পদ কম প্রাপ্ত করবে। মূল ব্যাপার হলোই স্মরণের, যাকে কি না ভারতের
প্রাচীন যোগ বলা হয়। নলেজের ব্যাপারে কারোর জানা নেই। পূর্বে ঋষি-মুনিরা বলতেন,
রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে আমরা জানি না। তোমরাও পূর্বে কিছু জানতে না। এই ৫
বিকার গুলিই তোমাদের একদম ওয়ার্থ নট এ পেনী (মূল্যহীন) করে তুলেছে। এখন এই পুরানো
দুনিয়া জ্বলে গিয়ে একদম নিঃশেষ হয়ে যাবে। কিছুই থাকার নয়। তোমরা সকলে নম্বর অনুযায়ী
পুরুষার্থ অনুসারে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করার জন্য তন-মন-ধন দিয়ে সেবা করছো।
প্রদর্শনীতেও তোমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলো আমরা যারা বি. কে- নিজেদের তন-মন-ধনের
দ্বারা শ্রীমৎ অনুযায়ী সেবা করে রামরাজ্য স্থাপন করছি। এখানে তো শ্রী-শ্রী ১০৮, বাবা
বসে আছেন। ১০৮ এর মালাও তৈরী করে। মালা তো বড় তৈরী হয়। সেখানে ৮ - ১০৮ খুব ভালো
রকম পরিশ্রম করে। নম্বর অনুযায়ী তো অনেক আছে, যারা ভালো মতো পরিশ্রম করে। রুদ্র
যজ্ঞ হলে তো শালগ্রামেরও পূজো হয়। অবশ্যই কোনো সার্ভিসের, তাই তো পূজা হয়। তোমরা
অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা হলে আত্মাদের সেবাধারী। সকলের আত্মা গুলিকে জাগৃত করতে সক্ষম। আমি
হলাম আত্মা - এটা ভুলে যাওয়ার কারণে দেহ-অভিমান এসে যায়। মনে করে আমি হলাম অমুক।
কারোর কি আর জানা আছে যে বলবে আমি হলাম আত্মা, অমুক নাম তো হলো এই শরীরের। আমি অর্থাৎ
এই আত্মা কোথা থেকে আসি - এটা কারোরই এতটুকুও খেয়াল নেই। এখানে পার্ট প্লে করতে
করতে শরীরের ভান দৃঢ় হয়ে গেছে। বাবা বোঝান- বাচ্চারা, এখন অবহেলা করা ছেড়ে দাও।
মায়া খুবই ভয়ানক, তোমরা রয়েছো যুদ্ধের ময়দানে। তোমরা আত্ম অভিমানী হও। এটা হলো
আত্মাদের আর পরমাত্মার মেলা। গায়ন আছে আত্মা-পরমাত্মা আলাদা ছিলো দীর্ঘ সময়। এর
অর্থও তারা জানে না। তোমরা এখন জানো যে - আমরা আত্মারা বাবার সাথে থাকতে পারি ওটা
তো হলো আত্মাদের ঘর। বাবাও থাকেন সেখানে, তাঁর নাম হলো শিব। শিবজয়ন্তীও গাওয়া হয়ে
থাকে, দ্বিতীয় কোনো নাম দেওয়াই উচিত নয়। বাবা বলেন - আমার আসল নাম হলো কল্যাণকারী
শিব। কল্যাণকারী রুদ্র বলা হবে না। কল্যাণকারী শিব বলা হবে। কাশীতেও শিবের মন্দির
আছে যে না! সেখানে গিয়ে সাধুরা মন্ত্র জপ করে। শিব কাশী বিশ্বনাথ গঙ্গা। বাবা এখন
বোঝাচ্ছেন শিব - যাকে কাশীর মন্দিরে বসিয়েছে, ওনাকে বলে - বিশ্বনাথ। এখন আমি তো
বিশ্বনাথ নই। বিশ্বের নাথ তোমরা হয়ে ওঠো। আমি কোন কিছু হই-ই না। ব্রহ্ম তত্ত্বের
নাথও হও তোমরা। সেটা হলো তোমাদের বাড়ী। সেটা হলো রাজধানী। আমার বাড়ীতো হলো একটাই
- ব্রহ্ম তত্ত্ব। আমি স্বর্গে আসি না। না আমি নাথ হয়ে উঠি। আমাকে বলেই শিববাবা।
আমার পার্ট হলোই পতিত কে পবিত্র করে তোলা। শিখরাও বলে পুঁতিগন্ধময় বস্ত্র ধোয় (মুত
পলিতি কাপড় ধোয়) - কিন্তু অর্থ কিছু বোঝে না। মহিমাও গায় একওঙ্কার... অযোনী মানে
জন্ম মরণ রহিত। আমি তো ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি না। আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করি। মানুষ ৮৪
জন্ম গ্রহণ করে। এনার আত্মা জানে যে - বাবা আমার সাথে একত্রিত ভাবে বসে আছেন, তবুও
বারে-বারে স্মরণ ভুলে যান। এই দাদার আত্মা বলে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এরকম না
যে আমার সাথে বসে আছেন বলে স্মরণ ভালো রকম থাকে। না। একদম একত্রিত থাকে। বুঝতে পারি
আমার কাছে আছেন। এই শরীরের মালিক যেন উনিই। তবুও ভুলে যাই। বাবাকে এই বাড়ী (অর্থাৎ
শরীর) থাকার জন্য দিয়েছি। এছাড়া এক কোণে আমি বসে আছি। বড় মানুষ হলেন যে না! বিচার
করি, কাছেই মালিক বসে আছেন। এই রথ হলো ওনার। ওটা ওনারই সামলাতে হয়। আমাকে শিববাবা
খাওয়ানও। আমি হলাম শিববাবার রথ। কিছু তো খাতির করবেন। এই খুশীতে খাই। দুই- চার
মিনিট বাদে ভুলে যাই, তখন বুঝতে পারি বাচ্চার কতো পরিশ্রম হয়, সেইজন্য বাবা বোঝাতে
থাকেন- যতটা সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো। খুবই লাভজনক। এখানে তো সামান্য ব্যাপারেই
বিরক্ত হয়ে পড়ে আবার পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। বাবা বাবা বলে পরিত্যাগ করে দেয়! বাবাকে
নিজের করে, জ্ঞান শোনে, সেই জ্ঞান পছন্দ করে, দিব্য দৃষ্টি দ্বারা স্বর্গ দেখে, রাস
করে, আহা! মায়া আসবে আমাকে পরিত্যাগ করে দেবে, পালাবে। যিনি বিশ্বের মালিক করে
তোলেন তাঁকে পরিত্যাগ করে দেয়! বড়-বড় নামী- দামী যারা তারাও পরিত্যাগ করে।
এখন তোমাদের রাস্তা
বলে দেওয়া হয়। এরকম না যে হাত ধরে নিয়ে যাবে। এই চোখে তো অন্ধ না। হ্যাঁ জ্ঞানের
তৃতীয় নেত্র তোমাদের প্রাপ্ত হয়। তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। এই ৮৪ জন্মের
চক্র বুদ্ধিতে আবর্তিত হওয়া উচিত। তোমাদের নাম হলো স্বদর্শন চক্রধারী। এক বাবাকেই
স্মরণ করতে হবে। দ্বিতীয় কেউ যেন স্মরণে না থাকে। শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে।
যেমন স্ত্রীর পুরুষের প্রতি লভ (ভালোবাসা) থাকে। ওদের হলো শারীরিক ভালোবাসা,
এক্ষেত্রে তোমাদের হলো আত্মীক ভালোবাসা। তোমাদের উঠতে বসতে, পতিরও পতি যিনি, পিতারও
পিতা যিনি তাঁকে স্মরণ করা উচিত। দুনিয়াতে এরকম অনেক বাড়ী আছে যেখানে স্ত্রী-পুরুষ
তথা পরিবার নিজেদের মধ্যে খুবই ভালোবাসার সাথে থাকে। বাড়ী যেন স্বর্গ হয়ে ওঠে। ৫-৬
বাচ্চা একসাথে থাকে, সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পূজায় বসে, বাড়ীতে কোনো ঝগড়া ইত্যাদি
নেই। একভাবে থাকে। কোথাও তো আবার একই বাড়ীতে কোনো রাধাস্বামীর শিষ্য থাকে তো কেউ
আবার ধর্মকেই মান্য করে না। অল্প কোনো ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে। তাই বাবা বলেন
- এই অন্তিম জন্মে সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। নিজের পয়সাও সফল করে নিজের কল্যাণ
করো। তবে ভারতেরও কল্যাণ হবে। তোমরা জানো যে - আমরা নিজেদের রাজধানী আবার শ্রীমত
অনুযায়ী স্থাপন করছি। স্মরণের যাত্রা দ্বারা আর সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানলেই আমরা
চক্রবর্তী রাজা হয়ে উঠবো আবার নামতে থাকা শুরু হবে। তারপর পরিশেষে বাবার কাছে এসে
যাবে। শ্রীমত অনুযায়ী চললেই উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। বাবা কোনো ফাঁসিতে চড়ান না। এক
তো বলেন পবিত্র হও আর বাবাকে স্মরণ করো। সত্যযুগে কেউ পতিত হয় না। দেবী-দেবতারা
খুবই কম থাকে। তারপর আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হয়। দেবতাদের হলো ছোটো বৃক্ষ। তারপর কতো
বৃদ্ধি হয়ে যায়। আত্মারা সব আসতে থাকে, এটা হলো তৈরী হয়ে থাকা খেলা। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
আধ্যাত্মিক সেবাধারী হয়ে আত্মাদের জাগ্রত করে তোলার সেবা করতে হবে। তন-মন-ধন দ্বারা
সেবা করে শ্রীমতের আধারে রামরাজ্য স্থাপনার নিমিত্ত হতে হবে।
২) স্বদর্শন চক্রধারী
হয়ে বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের চক্র আবর্তিত করতে হবে। এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। দ্বিতীয়
কারোর স্মরণ যেন না থাকে। কখনো কোনো ব্যাপারে বিরক্ত হয়ে পড়াশুনা ছেড়ে দিতে নেই।
বরদান:-
সংগঠনে
থেকে লক্ষ্য আর লক্ষণকে সমান বানানো সদা শক্তিশালী আত্মা ভব
সংগঠনে একে-অপরকে দেখে
উৎসাহও আসে আবার অলসতাও আসে। চিন্তা করে - এই কাজটা তো এ-ও করে, তাহলে আমি করেছি তো
কি হবে, এইজন্য সংগঠন থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ার সহযোগ নাও। প্রত্যেক কর্ম করার আগে এই
বিশেষ অ্যাটেনশান বা লক্ষ্য থাকবে যে আমাকে নিজেকে সম্পন্ন বানিয়ে স্যাম্পেল হতে হবে।
আমি করে অন্যদেরকেও করাতে হবে। তারপর বারংবার এই লক্ষ্যকে ইমার্জ করো। লক্ষ্য আর
লক্ষণকে মেলাতে থাকো তো শক্তিশালী হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
লাস্টে
এসে ফাস্ট যেতে হবে, তাই সাধারণ আর ব্যর্থ সংকল্পগুলিতে সময় নষ্ট করো না।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সহজযোগী হতে হলে পরমাত্ম প্রেমের অনুভবী হও
যে প্রিয় হয়, তাকে
স্মরণ করতে হয় না, তার স্মরণ স্বতঃই এসে যায়। কেবল, ভালোবাসা হৃদয় থেকে হবে,
সত্যিকারের আর নিঃস্বার্থ হবে। যখন বলে থাকো আমার বাবা, প্রিয় বাবা - তো প্রিয়কে
কখনও ভুলতে পারবে না। আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বাবা ছাড়া আর কোনও আত্মার থেকে
প্রাপ্ত হবে না এইজন্য কখনও স্বার্থ নিয়ে স্মরণ করো না, নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় লভলীন
থাকো।
বিশেষ সূচনাঃ
বাবার শ্রীমৎ অনুসারে, মুরলী কেবল বাবার বাচ্চাদের জন্য, না কি সেই আত্মাদের জন্য
যারা রাজযোগের কোর্সও করেনি। সেইজন্য সকল নিমিত্ত টিচার্স এবং ভাই বোনেদের প্রতি
বিনম্র নিবেদন যে, সাকার মুরলীর অডিও বা ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা কোনও
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করবেন না।