08.05.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো তো স্মরণের শক্তি জমা হবে, স্মরণের শক্তির দ্বারা
তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের রাজত্ব নিতে পারো"
প্রশ্নঃ -
কোন্ একটি কথা
বাচ্চারা তোমাদের চিন্তনে ছিল না, যা প্রাক্টিক্যাল হয়েছে?
উত্তরঃ
তোমাদের
স্বপ্নেও চিন্তনেও ছিল না যে, আমরা ভগবানের কাছে রাজযোগ শিখে বিশ্বের মালিক হবো।
রাজত্বের জন্য পড়াশোনা করবো। এখন তোমাদের অপার খুশী আছে যে, সর্বশক্তিমান বাবার কাছ
থেকে শক্তি নিয়ে আমরা সত্য যুগী স্বরাজ্যের অধিকারী হই ।
ওম্ শান্তি ।
এখানে কন্যারা
বসে প্রাক্টিসের জন্য। বাস্তবে এখানে (সন্দলী, টিচারের আসন) তাদের বসা উচিত যারা
দেহী-অভিমানী হয়ে বাবার স্মরণে বসে। যদি স্মরণে বসবে না তবে টিচার বলা হবে না।
স্মরণে শক্তি থাকে, জ্ঞানে শক্তি নেই। একেই বলা হয় - স্মরণের শক্তি। যোগবল হলো
সন্ন্যাসীদের শব্দ। বাবা কঠিন শব্দ ব্যবহার করেন না। বাবা বলেন বাচ্চারা এখন বাবাকে
স্মরণ করো। যেমন ছোট বাচ্চারা মা-বাবাকে স্মরণ করে, তাইনা। তারা তো হলো দেহধারী।
তোমরা বাচ্চারা হলে বিচিত্র। এই চিত্র তোমরা এখানে প্রাপ্ত করো। তোমরা হলে বিচিত্র
দেশের নিবাসী। সেখানে চিত্র থাকে না। সর্বপ্রথমে এই কথাটি পাকা করতে হবে - আমরা তো
হলাম আত্মা, তাই বাবা বলেন - বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী হও, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো।
তোমরা নির্বাণ দেশ থেকে এসেছো। সেটা হলো তোমাদের অর্থাৎ সকল আত্মাদের ঘর। এখানে
তোমরা পার্ট প্লে করতে আসো। প্রথমে কে আসে? সে কথাও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। দুনিয়ায়
কেউ নেই যাদের এই জ্ঞান আছে। এখন বাবা বলেন শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু পড়েছো সেসব ভুলে
যাও। কৃষ্ণের মহিমা, অমুকের মহিমা ইত্যাদি কত বর্ণনা করে। গান্ধীর অনেক মহিমা করে।
এমন যেন উনি রামরাজ্য স্থাপন করে গেছেন। কিন্তু শিব ভগবানুবাচ আদি সনাতন রাজা-রানীর
রাজ্যের যা নিয়ম, বাবা রাজযোগ শিখিয়ে রাজা-রানী করেন, সেই ঈশ্বরীয় নিয়মও মানুষ ভঙ্গ
করেছে । বলে রাজত্ব চাই না, আমাদের প্রজার উপরে প্রজার রাজত্ব চাই। এখন তার অবস্থা
কি হয়েছে! দুঃখই দুঃখ চতুর্দিকে, লড়াই ঝগড়া করতে থাকে । অনেক অনেক মত হয়ে গেছে। এখন
তোমরা বাচ্চারা শ্রীমৎ অনুসারে রাজত্ব প্রাপ্ত করো। তোমাদের এতখানি শক্তি থাকে যে
সেখানে লস্কর ইত্যাদি থাকে না। ভয়ের কোনো ব্যাপারই নেই। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব
ছিল, অদ্বৈত রাজত্ব ছিল। দ্বিতীয় মত ছিল না যে তালি বাজবে। তাকে বলা হতো - অদ্বৈত
রাজ্য। বাচ্চারা বাবা তোমাদের দেবতায় পরিণত করেন। তারপর দ্বৈত থেকে দৈত্য হয়ে যায়
রাবণের দ্বারা। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা ভারতবাসী সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক
ছিলাম। বিশ্বের রাজ্য তোমরা শুধুমাত্র স্মরণের শক্তি দ্বারা প্রাপ্ত করো। কল্প-কল্প
প্রাপ্ত হয়, শুধু স্মরণের শক্তির দ্বারা। পড়াশোনাতেও বল থাকে । যেমন কেউ যখন
ব্যারিস্টার হয়ে যায় তার মধ্যে বল (পাওয়ার) এসে যায়, তাইনা। সেসব হলো পাই-পয়সার বল।
তোমরা যোগবলের দ্বারা বিশ্বে রাজত্ব করো। সর্বশক্তিমান বাবার থেকে শক্তি প্রাপ্ত হয়।
তোমরা বলো - বাবা, আমরা কল্প-কল্প তোমার কাছ থেকে সত্যযুগের স্বরাজ্য প্রাপ্ত করি
তারপরে সেই রাজত্ব হারাই, আবার রাজ্য প্রাপ্ত করি। তোমাদের সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত
হয়। এখন আমরা শ্রীমৎ অনুযায়ী শ্রেষ্ঠ বিশ্বের রাজত্ব নিয়ে থাকি। বিশ্বও শ্রেষ্ঠ হয়ে
যায়। রচয়িতা ও রচনার এই জ্ঞান তোমাদের এখন আছে।লক্ষ্মী-নারায়ণেরও জ্ঞান থাকে না যে
রাজ্য কীভাবে প্রাপ্ত হয়! এখানে তোমরা পড়ছো তারপরে গিয়ে রাজত্ব করো। কেউ ধনীদের ঘরে
জন্ম নেয় তো বলা হয় পূর্ব জন্মের সু কর্মের ফল, দান-পুণ্য করার ফল। যেমন কর্ম তেমন
জন্ম প্রাপ্ত হয়। এখন এ হলো রাবণ রাজ্য। এখানে যা করবে সবই বিকর্ম হয়। সিঁড়ি বেয়ে
নামতে হয়। সবচেয়ে উঁচু থেকে উঁচু দেবী-দেবতা ধর্মের আত্মাদেরও সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয়।
সতঃ, রজঃ, তমঃ-তে আসতে হয়। প্রতিটি জিনিস নতুন থেকে পুরানো হয়। তো বাচ্চারা এখন
তোমাদের অপার খুশী থাকা উচিত। তোমাদের সঙ্কল্পে বা স্বপ্নেও ছিল না যে আমরা বিশ্বের
মালিক হই।
ভারতবাসী জানে যে, এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের সম্পূর্ণ বিশ্বে রাজত্ব ছিল। পূজ্য থেকে পূজারী হয়েছে। গায়নও করা
হয় যে নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এইসব থাকা উচিত। এই নাটক তো
বড়ই ওয়ান্ডারফুল। আমরা কীভাবে ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকি, সেসব কেউ জানে না। শাস্ত্রে ৮৪
লক্ষ জন্ম বলে দিয়েছে । বাবা বলেন এ'সব হলো ভক্তিমার্গের গালগল্প। রাবণ রাজ্য তাইনা।
রাম রাজ্য ও রাবণ রাজ্য কীভাবে হয়, সে কথা তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কারো বুদ্ধিতে
নেই। রাবণকে প্রতি বছর দহন করা হয়, তাহলে তো শত্রুই, তাইনা। ৫ বিকার হলো মানুষের
শত্রু। রাবণ কে, কেন দহন করা হয় - সে কথা কেউ জানে না। যারা নিজেদের সঙ্গমযুগী
নিশ্চয় করে তাদের স্মৃতিতে থাকে যে এখন আমরা পুরুষোত্তম হচ্ছি। ভগবান আমাদের রাজযোগ
শিখিয়ে নর থেকে নারায়ণ, ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী বানাচ্ছেন। তোমরা বাচ্চারা
জানো আমাদের উচ্চ থেকে উচ্চ নিরাকার ভগবান পড়ান। কতখানি খুশী অনুভব হওয়া উচিত।
স্কুলে স্টুডেন্টদের বুদ্ধিতে থাকে তাইনা যে - আমরা হলাম স্টুডেন্ট। স্কুলে যারা
পড়ায় তারা হলো কমন টিচার । এখানে তো তোমাদের ভগবান পড়ান। যখন এই পড়াশোনার দ্বারা
এত উঁচু পদ প্রাপ্ত হয় তো কত ভালো ভাবে পড়াশোনা করা উচিত। (((খুব সহজ শুধু সকালে আধা
- পৌনে ঘন্টা পড়তে হয়। সারা দিন ব্যবসা ইত্যাদির কাজে স্মরণ থাকে না তাই এখানে সকালে
এসে স্মরণে বসে। বলা হয় বাবাকে ভালোবেসে স্মরণ করো - বাবা, আপনি আমাদের পড়াতে
এসেছেন, এখন আমরা জেনেছি আপনি ৫ হাজার বছর পরে এসে পড়ান। বাবার কাছে বাচ্চারা এলে
বাবা জিজ্ঞাসা করেন এর আগে কখনও দেখা হয়েছিল? এমন প্রশ্ন কোনও সাধু সন্ন্যাসী
ইত্যাদি কখনও জিজ্ঞাসা করবে না। সেখানে তো সৎসঙ্গে যার ইচ্ছে গিয়ে বসতে পারে। অনেককে
দেখে সবাই ঢুকে যায়। তোমরাও এখন বুঝেছো - আমরা গীতা, রামায়ণ ইত্যাদি কত খুশীর সঙ্গে
শুনতে যেতাম। যদিও কিছু বোধ ছিল না। সেসব হল ভক্তির খুশী। অনেকে খুশীতে নৃত্য করে।
কিন্তু তারপরে নীচে নেমে আসে। বিভিন্ন রকমের হঠযোগ ইত্যাদি করে। সুস্থ থাকার জন্যই
সব করে। তাই বাবা বোঝান এইসব হলো ভক্তিমার্গের নিয়ম কানুন। রচিয়তা ও রচনাকে কেউ
জানেনা। তাহলে কি বাকি রইল। রচয়িতা ও রচনাকে জানলে তোমরা কি রূপ হও এবং না জানলে
কিরূপে পরিণত হও? জানলে তোমরা সলভেন্ট হও, না জানার দরুন সেই ভারতবাসী ইনসলভেন্ট হয়ে
পড়েছে। নানান গল্প গাঁথা বলতে থাকে। দুনিয়ায় কি কি হয়। কত ধন সম্পদ সোনা ইত্যাদি
লুট করে! এখন তোমরা বাচ্চারা জানো - সেখানে তো আমরা সোনার মহল তৈরি করবো।
ব্যারিস্টারি ইত্যাদি পড়লে তো এই বোধ থাকে - আমরা এই পরীক্ষা পাস করে ব্যারিস্টারি
করবো, বাড়ি বানাবো। তোমাদের বুদ্ধিতে কেন আসে না যে আমরা স্বর্গের প্রিন্স
প্রিন্সেস হওয়ার জন্য পড়া করছি। কতখানি খুশীর অনুভব থাকা উচিত। কিন্তু বাইরে গেলে
খুশী লুপ্ত হয়ে যায়। ছোট ছোট মেয়েরা এই জ্ঞানে নিযুক্ত হয়। আত্মীয়স্বজন না বুঝে বলে
দেয় জাদু আছে। বলে আমরা পড়তে দেবো না। এই স্থিতিতে যতক্ষণ বয়স কম ততক্ষণ মা-বাবার
আজ্ঞা পালন করতে হয়। আমরা নিতে পারি না। অনেক খিটখিট হয়। শুরুতে কত খিটখিট হয়েছে।
কন্যারা বলতো আমার বয়স এখন ১৮, তার পিতা বলতো - না, ওর বয়স ১৬ বছর, নাবালিকা। এইসব
বলে ঝগড়া করে ধরে নিয়ে যেত। নাবালিকা বা ডিপেন্ডেন্ট মানে বাবার কথা মতন চলতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক হলে যা মন চায় তাই করবে। নিয়মও তো আছে তাইনা। বাবা বলেন, তোমরা যখন
বাবার কাছে আসো, তখন নিয়ম আছে নিজের লৌকিক পিতার সার্টিফিকেট বা চিঠি নিয়ে এসো।
তারপর ম্যানার্সও দেখতে হয়। ম্যানার্স ঠিক না থাকলে ফিরে যেতে হবে। খেলায়ও এমনই হয়।
ঠিক করে না খেললে বলা হবে বেরিয়ে যাও। সম্মান নষ্ট করছো। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো
আমরা যুদ্ধের মাঠে আছি। কল্প-কল্প বাবা এসে আমাদের মায়ার উপরে জয় প্রদান করেন।
মুখ্য কথা হল পবিত্র হওয়ার। পতিত হয়েছি বিকার দ্বারা। বাবা বলেন, কাম হল মহাশত্রু।
এই বিকার হলো আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ প্রদানকারী। যারা ব্রাহ্মণ হবে তারাই দেবী-দেবতা
ধর্মে আসবে। ব্রাহ্মণদের মধ্যেও নম্বর আছে। প্রদীপ শিখার চারপাশে বহ্নি পতঙ্গ আসে।
কেউ পুড়ে মরে, কেউ চক্র লাগিয়ে চলে যায়। এখানেও এসে কেউ একেবারে সমর্পিত হয়, কেউ
শুনে চলে যায়। আগে রক্ত দিয়ে লিখে দিতো - বাবা, আমরা আপনার হয়েছি। তা সত্ত্বেও মায়া
পরাজিত করতো। মায়ার এত যুদ্ধ চলে, একেই যুদ্ধ স্থল বলা হয়। এই কথাও তোমরা বুঝেছো।
পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা সকল বেদ-শাস্ত্রের অর্থ বোঝান। চিত্র তো অনেক
বানিয়েছে তাইনা। নারদের দৃষ্টান্ত যা দেওয়া হয় তা এই সময়ের। সবাই বলে - আমরা লক্ষ্মী
অথবা নারায়ণ হবো। বাবা বলেন নিজের মনে দেখো - আমরা উপযুক্ত হয়েছি? আমাদের কোনো
বিকার তো নেই? নারদ ভক্ত তো সবাই তাইনা। এই হল একটি দৃষ্টান্ত।
ভক্তিমার্গের মানুষ
বলে আমরা শ্রী লক্ষ্মীকে বরণ করতে পারি? বাবা বলেন - না, যখন জ্ঞান শুনবে তখন সদগতি
প্রাপ্ত করবে। আমি পতিত-পাবন সকলকে সদগতি প্রদান করি। এখন তোমরা জানো বাবা আমাদের
রাবণ রাজ্য থেকে লিবারেট করেন। ওই হল দৈহিক যাত্রা। ভগবানুবাচ - "মন্মনাভব" । এতে
ধাক্কা খেতে হয় না। ওই সব হল ভক্তিমার্গের ধাক্কাধাক্কি। অর্ধকল্প ব্রহ্মার দিন,
অর্ধকল্প হল ব্রহ্মার রাত। তোমরা জানো আমাদের সব বি.কে.দের এখন অর্ধকল্পের দিন হবে।
আমরা সুখ ধামে থাকবো। সেখানে ভক্তি থাকবে না। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা সবচেয়ে
ধনী হই, তাই কতখানি খুশীতে থাকা উচিত। তোমরা সবাই প্রথমে রুক্ষ পাথর ছিলে, এখন বাবা
শান পাথরে দিয়ে ধার করছেন। বাবা হলেন জহুরী তাইনা। ড্রামা অনুযায়ী বাবা অনুভবী রথ
নিয়েছেন। গায়নও আছে গ্রামের ছোরা। কৃষ্ণ গ্রামের ছেলে কীভাবে হবে। কৃষ্ণ তো ছিলেন
সত্যযুগে। কৃষ্ণকে দোলনায় ঝোলানো হয়। মুকুট পরানো হয়, তো গ্রামের ছেলে কেন বলা হয়?
গ্রামের ছেলে শ্যাম বর্ণের হয়। এখন সুন্দর হতে এসেছো। বাবা জ্ঞান রূপী শান পাথরে (ধার
বা তীক্ষ্ণ করার জন্য) রেখেছেন, তাইনা। এই সত্যের সঙ্গ কল্প-কল্প, কল্পে একবারই
প্রাপ্ত হয়। বাকি সব হল মিথ্যা সঙ্গ তাই বাবা বলেন হিয়ার নো ইভিল... এমন কথা শুনোনা
যে কথায় আমার ও তোমাদের অসম্মান করা হয়।
যে কুমারীরা জ্ঞানে
আসে তারা বলতে পারে পিতার সম্পত্তিতে আমাদের ভাগ আছে। আমরা যদি সেসব দিয়ে ভারতের
সেবার জন্য সেন্টার খুলে দিই। কন্যাদান তো করতেই হয়। সেই ভাগটি আমাদের দিলে আমরা
সেন্টার খুলবো। অনেকের কল্যাণ হবে। এমন যুক্তি রচনা করা উচিত। এ হলো তোমাদের
ঈশ্বরীয় মিশন। তোমরা পাথর বুদ্ধিকে স্পর্শবুদ্ধিতে পরিণত কর। যারা আমাদের ধর্মের হবে
তারা আসবে। একই ঘরে দেবী-দেবতা ধর্মের ফুল ফুটবে। বাকিরা আসবে না। পরিশ্রম তো হবে।
বাবা সব আত্মাদের পবিত্র করে সবাইকে নিয়ে যান তাই বাবা বুঝিয়েছিলেন - সঙ্গমের চিত্রে
নিয়ে এসো। একদিকে হল কলিযুগ, অন্য দিকে সত্যযুগ। সত্যযুগে দেবতা, কলিযুগে হয় অসুর।
একে বলা হয় পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। বাবা পুরুষোত্তম করেন। যারা পড়াশোনা করবে তারা
সত্যযুগে আসবে, বাকি সব মুক্তিধামে চলে যাবে। তারপরে নিজের নিজের সময় অনুসারে আসবে।
এই গোলকের চিত্রটি ভালো। বাচ্চাদের সার্ভিস করার শখ থাকা উচিত। আমরা এইভাবে সার্ভিস
করে, দীন-হীনের উদ্ধার করে তাদের স্বর্গের মালিক করবো। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজেকে দেখতে হবে আমরা শ্রী লক্ষ্মী, শ্রী নারায়ণ সম হতে পারি কী? আমাদের মধ্যে
কোনও বিকার নেই তো? পরিক্রমণকারী নাকি বলিদানকারী বহ্নি-পতঙ্গ? এমন ম্যানার্স নেই
তো যাতে বাবার সম্মানহানি হয়।
২ ) অপার খুশীতে
থাকার জন্য - সকালে সকালে উঠে ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে এবং ঈশ্বরীয় পাঠ
পড়তে হবে। ভগবান আমাদের পড়িয়ে পুরুষোত্তম বানাচ্ছেন, আমরা হলাম সঙ্গমযুগী, এই
নেশায় থাকতে হবে।
বরদান:-
সর্ব
গুণের অনুভবের দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষকারী অনুভবী মূর্তি ভব
বাবার যেসকল গুণ গাইতে
থাকো, সেই সকল গুণের অনুভবী হও, যেরকম বাবা হলেন আনন্দের সাগর তো সেই আনন্দের
সাগরের ঢেউএ সাঁতার কাটতে থাকো। যারা সম্পর্কে আসছে তাদেরকে আনন্দ, প্রেম, সুখ...
সকল গুণের অনুভব করাও। এইরকম সর্বগুণের অনুভূতি মূর্তি হও তাহলে তোমার দ্বারা বাবার
চেহারা প্রত্যক্ষ হবে কেননা তোমরা মহান আত্মারাই পরম আত্মাকে নিজের অনুভবী মূর্তির
দ্বারা প্রত্যক্ষ করতে পারো।
স্লোগান:-
কারণকে
নিবারণে পরিবর্তন করে অশুভ বিষয়কেও শুভ করে গ্রহণ করো।
অব্যক্ত ঈশারা :-
আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো
ব্রাহ্মণদের লাইফ এবং
জীবন-দান হল পবিত্রতা। আদি-অনাদি স্বরূপই হল পবিত্রতা। যখন স্মরণে এসে গেছে যে আমি
হলাম অনাদি-আদি পবিত্র আত্মা। স্মৃতি আসা অর্থাৎ পবিত্রতার সমর্থী আসা। স্মৃতি
স্বরূপ, সমর্থ স্বরূপ আত্মাদের নিজ সংস্কার হল পবিত্রতা। তো নিজ সংস্কারকে ইমার্জ
করে এই পবিত্রতার পার্সোনালিটিকে ধারণ করো।