08.08.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
সদা এই খুশীতে থাকো যে আমরা ৮৪-র চক্রকে সম্পূর্ণ করেছি, এখন চলেছি নিজেদের ঘরে, আর
বাকি কিছু দিন এই কর্মভোগ রয়েছে"
প্রশ্নঃ -
যে সকল
বাচ্চারা বিকর্মাজীত হবে, তাদের বিকর্ম থেকে বাঁচার জন্য কোন্ বিষয়ের উপরে নজর দেওয়া
উচিত?
উত্তরঃ
সকল বিকর্মের
মূলে যে দেহ-অভিমান, সেই দেহ-অভিমান যেন কখনো না আসে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এরজন্য
বারংবার দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। ভালো বা মন্দের ফল অবশ্যই প্রাপ্ত
হয়, অন্তিম সময়ে বিবেকের দংশন হতে থাকে। কিন্তু এ'জন্মের পাপের বোঝা হাল্কা করার
জন্য বাবাকে সব সত্য-সত্যই শোনাতে হবে।
ওম্ শান্তি ।
সর্বাপেক্ষা
বড়' র থেকেও বড় লক্ষ্য হলো স্মরণের। অনেকের আবার শুধুমাত্র শোনার শখ থাকে। জ্ঞানকে
বোঝা অত্যন্ত সহজ। ৮৪-র চক্রকে বুঝতে হবে, স্বদর্শন-চক্রধারী হতে হবে। বেশী কিছু নয়।
বাচ্চারা, তোমরা বোঝো যে, আমরা সকলেই স্বদর্শন-চক্রধারী। স্বদর্শন-চক্রের দ্বারা
কেউ গলা কাটে না, যেমনভাবে কৃষ্ণকে দেখানো হয়েছে। এখন এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলো
বিষ্ণুর দুইরূপ (বিষ্ণু হলো লক্ষ্মী নারায়ণের কম্বাইন্ড রূপ) । তাদের কি
স্বদর্শন-চক্র আছে? তবে কৃষ্ণকে চক্রধারী কেন দেখানো হয়েছে? একটি ম্যাগাজিন বের হয়,
যেখানে কৃষ্ণের এমন অনেক চিত্র দেখানো হয়। বাবা এসে তোমাদের রাজযোগ শেখান, নাকি
চক্র দ্বারা অসুরদের হত্যা করেন ! অসুর তাদেরকেই বলা হয় যাদের স্বভাব আসুরীক। এছাড়া
মানুষ তো মানুষই। আবার এমনও নয় যে, বসে-বসে সকলকে স্বদর্শন-চক্রের দ্বারা বধ করে।
ভক্তিমার্গে বসে-বসে কেমন সব চিত্র তৈরী করেছে। রাত-দিনের পার্থক্য। বাচ্চারা,
তোমাদের এই সৃষ্টি-চক্রকে এবং সমগ্র ড্রামাকে জানতে হবে কারণ সকলেই অ্যাক্টর্স। ওই
পার্থিব জগতের অ্যাক্টর্সরা ড্রামাকে জানে। এ হলো অসীম জগতের ড্রামা। এতে
বিস্তারিতভাবে সবকিছু বুঝতে পারবে না। ওখানে দু'ঘন্টার ড্রামা হয়। ডিটেলে (নিজেদের)
পার্টকে জানে। এখানে ৮৪ জন্মকে জানতে হয়।
বাবা বুঝিয়েছেন - আমি
ব্রহ্মার রথে (শরীরে) প্রবেশ করি। ব্রহ্মারও ৮৪ জন্মের কাহিনী চাই। মানুষের বুদ্ধিতে
এ'কথা আসতে পারে না। তারা এও বোঝে না যে, ৮৪ লক্ষ জন্ম নাকি ৮৪ জন্ম? বাবা বলেন,
তোমাদের ৮৪ জন্মের কাহিনী শোনাই। ৮৪ লক্ষ জন্ম হলে (তার কাহিনী) কত বছর শোনাতে লাগবে।
তোমরা তো সেকেন্ডে জেনে যাও - এ হলো ৮৪ জন্মের কাহিনী। আমরা ৮৪-র চক্র কিভাবে
পরিক্রমা করেছি, ৮৪ লক্ষ হলে সেকেন্ডে কি বুঝতে পারবে, না বুঝতে পারবে না। ৮৪ লক্ষ
হয়েই না ! বাচ্চারা, তোমাদের অত্যন্ত খুশী হওয়া উচিত। আমাদের ৮৪ জন্মের চক্র পূর্ণ
হয়েছে। এখন আমরা ঘরে ফিরে যাই। তাছাড়া আর অল্প দিনের এই কর্মভোগ । বিকর্ম ভস্মীভূত
হয়ে কর্মাতীত অবস্থা কিভাবে হয়ে যাবে, এরজন্যই এই যুক্তি বলা হয়েছে। এছাড়া বোঝানো
হয় যে এ'জন্মে যাকিছু বিকর্ম করেছো তা লিখে দিলে বোঝ হাল্কা হয়ে যায়।
জন্ম-জন্মান্তরের বিকর্ম কেউ লিখতে পারে না। বিকর্ম তো হয়েই এসেছে। যখন থেকে
রাবণ-রাজ্য শুরু হয় তখন থেকে কর্ম বিকর্ম হয়ে পড়ে। সত্যযুগে কর্ম অকর্ম হয়।
ভগবানুবাচ - তোমাদের কর্ম-অকর্ম-বিকর্মের গতি বোঝাই। বিকর্মাজীত যুগ (অব্দ)
লক্ষ্মী-নারায়ণের সময় থেকে শুরু হয়। সিঁড়ির চিত্রে অত্যন্ত পরিস্কারভাবে রয়েছে।
শাস্ত্রতে এসব কোনো কথা নেই। বাচ্চারা, সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় রহস্যও তোমরাই জানো
যে, আমরাই এমন ছিলাম। প্রচুর বিরাট রূপের চিত্র তৈরী করে, কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে
না। বাবা ছাড়া কেউ বোঝাতেও পারে না। এই ব্রহ্মার উপরেও কেউ রয়েছে, তাই না ! যিনি
শিখিয়েছেন। যদি কোনো গুরু শেখায় তবে সেই গুরুর তো কেবল একজন শিষ্য থাকতে পারে না।
বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমাদেরকে পতিত থেকে পবিত্র, পবিত্র থেকে পতিত হতেই হবে। এও
ড্রামায় নির্ধারিত। অনেকবার এই চক্র পেরিয়ে গিয়েছে। পেরিয়ে যেতেই থাকবে। তোমরা হলে
অলরাউন্ড পার্টধারী। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত পার্ট আর কারোর থাকে না। তোমাদেরকেই বাবা
বোঝান। আবার তোমরা এও জানো যে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা অমুক-অমুক সময়ানুসারে আসে।
তোমাদের পার্ট তো অলরাউন্ড। খ্রীস্টানদের উদ্দেশ্যে একথা বলা হবে না যে, তারা
সত্যযুগে ছিল। তারা দ্বাপরের মধ্যভাগে আসে। বাচ্চারা, এ'নলেজও তোমাদের বুদ্ধিতেই
রয়েছে। তোমরা কাউকে বোঝাতেও পারো। অন্য কেউ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানে না।
রচয়িতাকেই জানে না, তাহলে তাঁর রচনাকে কি করে জানবে। বাবা বুঝিয়েছেন যে, যেসকল কথা
ন্যায়সঙ্গত, সেগুলি ছাপিয়ে এরোপ্লেন থেকে সর্বস্থানে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই পয়েন্টস্
অথবা টপিক বসে-বসে লেখা উচিত। বাচ্চারা বলে, কোনো কাজ নেই। বাবা বলেন, এমন সার্ভিস
তো অনেক রয়েছে। এখানে একান্তে বসে সেই কাজ করো। বড়-বড় যেসকল সংস্থা রয়েছে, গীতা
পাঠশালা ইত্যাদি রয়েছে সেই সবকে জাগাতে হবে। সকলকে সমাচার দিতে হবে। এ হলো
পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। যে বোধসম্পন্ন হবে সে তৎক্ষণাৎ বুঝে যাবে, অবশ্যই সঙ্গমযুগেই
নতুন দুনিয়ার স্থাপনা এবং পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হয়। সত্যযুগে থাকে পুরুষোত্তম মানুষ।
এখানে থাকে আসুরিক-স্বভাববিশিষ্ট পতিত মানুষ। এও বাবা-ই বুঝিয়েছেন যে কুম্ভমেলা
ইত্যাদি যা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে অনেক মানুষ স্নান করতে যায়। কেন স্নান করতে যায়?
কারণ তারা পবিত্র হতে চায়। যেখানে-যেখানে মানুষ স্নান করতে যায়, সেখানে গিয়ে
সার্ভিস করা উচিত। মানুষকে বোঝানো উচিত যে, এই জল পতিত-পাবনী নয়। তোমাদের কাছে
চিত্রও রয়েছে। গীতা পাঠশালায় গিয়ে এই প্রচারপত্র বন্টন করো। বাচ্চারা সার্ভিস করতে
চায়। একথা বসে-বসে লেখো যে - গীতার ভগবান পরমপিতা পরমাত্মা শিব, শ্রীকৃষ্ণ নয়।
পুনরায় তাঁর বায়োগ্রাফির মহিমা লেখো। শিববাবার বায়োগ্রাফি লেখো। তখন তারা
নিজেরাই জাজ করতে পারবে। এই পয়েন্টস্ও লিখতে হবে যে, পতিত-পাবন কে? আবার শিব এবং
শঙ্করের প্রভেদও দেখাতে হবে। শিব আলাদা, শঙ্করও আলাদা। এও বাবা বুঝিয়েছেন যে - কল্প
হলো ৫ হাজার বছরের। মানুষ ৮৪ জন্ম নেয়, ৮৪ লক্ষ নয়। এই মুখ্য কথাগুলি শর্টে লেখা
উচিত। যেগুলি এরোপ্লেন থেকেও ফেলা যেতে পারে, বোঝানোও যেতে পারে। যেমন এই গোলোক, এতে
পরিস্কার, যে অমুক-অমুক ধর্ম অমুক-অমুক সময়ে স্থাপিত হয়। এই গোলোকও থাকা উচিত তাই
প্রধান ১২টি চিত্রের ক্যালেন্ডারও ছাপাতে পারো, যার মধ্যে সমগ্র জ্ঞানই চলে আসে এবং
সার্ভিস সহজ হয়ে যায়। এই চিত্র অত্যন্ত জরুরী। কোন্ চিত্র তৈরী করতে হবে, কোন্-কোন্
পয়েন্ট লিখতে হবে। বসে-বসে তা লেখো।
তোমরা গুপ্তবেশে এই
পুরানো দুনিয়াকে পরিবর্তন করছো। তোমরা হলে আননোন ওয়ারিয়র্স (অজ্ঞাত বা গুপ্ত
যোদ্ধা) । তোমাদের কেউ চেনে না। বাবাও গুপ্ত, নলেজও গুপ্ত। এর কোনো শাস্ত্রাদি
ছাপানো হয় না, অন্যান্য ধর্মস্থাপকদের বাইবেল ইত্যাদি ছাপানো হয় যা পড়া হচ্ছে।
প্রত্যেকেরই (ধর্মগ্রন্থ) ছাপানো হয়। তোমাদের পুনরায় ভক্তিমার্গে ছাপানো হয়। এখন
ছাপানো হবে না কারণ এখন এ'ই শাস্ত্রাদি সব সমাপ্ত হয়ে যাবে। এখন তোমাদের শুধু
বুদ্ধির দ্বারা স্মরণ করতে হবে। বাবার কাছেও জ্ঞান রয়েছে। তিনি কোনো শাস্ত্রাদি কি
পড়েছেন, না তা পড়েননি। তিনি তো নলেজফুল। মানুষ আবার নলেজফুল মানে বোঝে সকলের হৃদয়কে
যিনি জানেন। ঈশ্বর দেখেন, তবেই তো কর্মের ফল দেন। বাবা বলেন, এও ড্রামায় নির্ধারিত।
ড্রামায় যারা বিকর্ম করে তাদের সাজাভোগ করতে হয়। তারা ভাল বা খারাপ কর্মের ফল
প্রাপ্ত করে। এর লিখিত কিছু তো থাকে না। মানুষ বুঝতে পারে যে, অবশ্যই কর্মফল পরজন্মে
প্রাপ্ত হয়। অন্তিম মুহূর্তে বিবেকের দংশন হয়। আমরা এই-এই পাপ করেছি। সবই স্মরণে আসে।
যেমন কর্ম তেমনই জন্ম হবে। এখন তোমরা বিকর্মাজীত হচ্ছো তাই এমন কোনো বিকর্ম করা
উচিত নয়। সর্বাপেক্ষা বড় বিকর্ম হলো দেহী-অভিমানী হওয়া। বাবা বারংবার বলেন যে,
দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো, পবিত্র থাকতেই হবে। সর্বাপেক্ষা বড় পাপ হলো
কাম-বিকারে যাওয়া। এটাই আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দেবে তাই সন্ন্যাসীরাও বলে যে, এই সুখ
কাক-বিষ্ঠা সমান। ওখানে দুঃখের কোনো নামই থাকে না। এখানে দুঃখই-দুঃখ রয়েছে, তাই
সন্ন্যাসীদের বৈরাগ্য আসে। কিন্তু তারা জঙ্গলে চলে যায়। তাদের হলো পার্থিব জগতের
বৈরাগ্য, আর তোমাদের হলো অসীম জগতের বৈরাগ্য। এ হলো খারাপ অর্থাৎ ছিঃ ছিঃ দুনিয়া।
সকলেই বলে - বাবা, তুমি এসে আমাদের দুঃখ দূর করে সুখ প্রদান করো। বাবা-ই
দুঃখহরণকারী-সুখপ্রদানকারী। বাচ্চারা, তোমরাই জানো যে এই নতুন দুনিয়ায় দেবতাদের
রাজ্য ছিল। সেখানে কোনোরকমের দুঃখ ছিল না। যখন কেউ শরীর পরিত্যাগ করে তখন মানুষ বলে
যে, স্বর্গবাসী হয়েছে। কিন্তু এটা কি জানে যে আমরা নরকে রয়েছি, না তা জানে না। আমরা
যখন মারা যাবো তখন স্বর্গে যাবো। কিন্তু সেও স্বর্গে গিয়েছে নাকি এখানে নরকে এসেছে?
কিছুই জানে না। বাচ্চারা, তোমরা তিনজন পিতার রহস্যও সকলকে বোঝাতে পারো। দুজন পিতাকে
তো সকলেই জানে লৌকিক আর পারলৌকিক আর এই অলৌকিক প্রজাপিতা ব্রহ্মা রয়েছেন এই সঙ্গমে।
ব্রাহ্মণও তো চাই, তাই না ! ওই ব্রাহ্মণরা কি কেউ ব্রহ্মার মুখ-বংশজাত? না তা নয়।
তারা জানে যে, ব্রহ্মা ছিলেন। তাই বলে, 'ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতায় নমঃ'। একথা জানে না
যে কাকে বলে, কোন্ ব্রাহ্মণ? তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ। ওরা হলো
কলিযুগীয়। এটা হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ, যখন তোমরা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হও।
দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। তাই বাচ্চাদের সব পয়েন্টস্ ধারণ করতে হবে এবং
পুনরায় সার্ভিস করতে হবে। পূজা করতে অথবা শ্রাদ্ধ খেতে ব্রাহ্মণেরা আসে। তাদের
সঙ্গেও তোমরা কথোপকথন করতে পারো। বলতে পারো, তোমাদের সত্যিকারের ব্রাহ্মণ করে দিতে
পারি। এখন ভাদ্রমাস আসছে, সকলেই পিতৃপুরুষের আত্মাদের ভোজন করায়। সেটাও
যুক্তি-যুক্তভাবে করতে হবে, তা নাহলে বলবে ব্রহ্মাকুমারীদের কাছে গিয়ে সবকিছু
পরিত্যাগ করেছে। এমন কিছু কোরো না, যারফলে অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। যুক্তি-যুক্তভাবে
তোমরা জ্ঞান প্রদান করতে পারো। অবশ্যই ব্রাহ্মণরা আসবে তবেই তো জ্ঞান-দান করবে, তাই
না! এই মাসে তোমরা ব্রাহ্মণদের অনেক সার্ভিস করতে পারো। তোমরা ব্রাহ্মণেরা হলে
প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান। বলো, ব্রাহ্মণধর্ম কে স্থাপন করেছে? তোমরা ঘরে বসে
ওনাদেরও কল্যাণ করতে পারো। যেমন যারা অমরনাথ যাত্রায় যায়, তারা শুধুমাত্র লেখা পড়ে
এতকিছু বুঝতে পারবে না। তাদের সেখানে বসে বোঝাতে হবে। আমরা তোমাদের সত্যিকারের
অমরনাথের কথা শোনাই। অমরনাথ একজনকেই বলা হয়। অমরনাথ অর্থাৎ যিনি অমরপুরী স্থাপন
করেন। সেটা হলো সত্যযুগ। এমন সার্ভিস করতে হবে। সেখানে (অমরনাথে) পায়ে হেঁটে যেতে
হয়। যারা ভালো ভালো গন্যমান্য ব্যক্তি তাদের গিয়ে বোঝানো উচিত। সন্ন্যাসীদেরও তোমরা
জ্ঞান প্রদান করতে পারো। তোমরা সমগ্র সৃষ্টির জন্য কল্যাণকারী। শ্রীমতানুসারে আমরা
বিশ্বের কল্যাণ করছি - বুদ্ধিতে সেই নেশা থাকা উচিত। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
যখন একাকী থাকবে বা অবসর পাবে, তখন জ্ঞানের ভালো-ভালো পয়েন্টসের উপর বিচারসাগর
মন্থন করে লিখতে হবে। সকলের নিকট সংবাদ পৌঁছানোর বা সকলের কল্যাণসাধনের জন্য যুক্তি
রচনা করতে হবে।
২ ) বিকর্ম থেকে
সুরক্ষিত থাকার জন্য দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এখন কোনো বিকর্ম করা
উচিত নয়। এ'জন্মের কৃত বিকর্ম সততার সঙ্গে বাপদাদাকে শোনাতে হবে।
বরদান:-
অটল
ভবিতব্যকে জেনেও শ্রেষ্ঠ কার্যের প্রত্যক্ষ রূপ প্রদানকারী সদা সমর্থ ভব
নতুন শ্রেষ্ঠ বিশ্ব
হওয়ার ভবিতব্য অটল হয়েও সমর্থ ভব-র বরদানী বাচ্চাদেরকে কেবল কর্ম আর ফলের,
পুরুষার্থ আর প্রালব্ধের, নিমিত্ত আর নির্মাণের কর্ম ফিলোসোফি অনুসার নিমিত্ত হয়ে
কার্য করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও আশা দেখা যায় না। আর তোমরা বলছো এই কার্য
অনেকবার হয়েছে, এখনও হয়েই পড়ে আছে কেননা স্ব পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রমাণের সামনে
আর কোনও প্রমাণের প্রয়োজনীয়তাই নেই। সাথে-সাথে পরমাত্ম কার্য সদা সফল হয়ে আছে।
স্লোগান:-
বলা কম,
করা বেশী - এই শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য মহান বানিয়ে দেবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সহজযোগী হতে হলে পরমাত্ম প্রেমের অনুভবী হও
সেবাতে বা নিজের
উন্নতি কলাতে সফলতার মুখ্য আধার হল - এক বাবার সাথে অখন্ড ভালোবাসা। বাবা ছাড়া আর
কিছুই যেন দেখা না যায়। সংকল্পেও বাবা, বাণীতেও বাবা, কর্মেও বাবার সাথ, এইরকম
লভলীন স্থিতিতে থেকে একটা শব্দও বললে তো সেই স্নেহের বাণী অন্য আত্মাদেরকেও স্নেহতে
বেঁধে দেবে। এইরকম লভলীন আত্মার এক বাবা শব্দই জাদুমন্ত্রের কাজ করবে।