09.05.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের নেশা থাকা উচিত যে, সকলে যে শিবের পূজা করে, সেই তিনিই এখন আমাদের বাবা
হয়েছেন, আমরা তাঁর সম্মুখে বসে আছি”
প্রশ্নঃ -
মানুষ কেন
ভগবানের কাছে ক্ষমা চায়? ওদের কি ক্ষমা করে দেওয়া হয়?
উত্তরঃ
মানুষ মনে করে,
আমরা যেসব পাপ করেছি, তার শাস্তি ভগবান ধর্মরাজের মাধ্যমে দেবেন। তাই তারা ক্ষমা
প্রার্থনা করে। কিন্তু তাদেরকে তো তাদের কর্মের শাস্তি কর্মভোগের রূপে ভোগ করতে হয়।
ভগবান তাদেরকে কোনো ঔষধি দেন না। গর্ভজেলের মধ্যেও শাস্তি পেতে হয়। সাক্ষাৎকার হয়
যে তুমি এইসব কর্ম করেছো, ঈশ্বরীয় ডাইরেকশন অনুসারে চলোনি তাই তোমার এই শাস্তি।
গীতঃ-
তুমি রাত
কাটিয়েছো ঘুমিয়ে…
ওম্ শান্তি ।
এটা কে বললেন?
আত্মিক পিতা বললেন। তিনি হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ । সকল মানুষের থেকে, সকল আত্মার থেকে
শ্রেষ্ঠ। শরীরটা তো পার্ট প্লে করার জন্য পেয়েছো। তোমরা এখন দেখতে পাও যে
সন্ন্যাসীদের শরীরকে কতো সম্মান করা হয়। নিজের গুরুদের কতো গুনগান করে। এই অসীম
জগতের পিতা তো গুপ্ত। তোমরা বাচ্চারা জানো যে শিববাবা হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ । তাঁর
ওপরে আর কেউ নেই। ওনার সাথে ধর্মরাজও রয়েছেন। কারন ভক্তিমার্গে সবাই ক্ষমা প্রার্থনা
করে - হে ভগবান, ক্ষমা করে দাও। কিন্তু ভগবান আর কি করবেন ! এখানকার সরকার তো জেলে
ঢুকিয়ে দেবে। ধর্মরাজ গর্ভজেলে শাস্তি দেয়। যেটা ভোগ করার সেটা তো ভোগ করতেই হবে।
এটাকেই কর্মভোগ বলা হয়। এখন তোমরা জেনেছো যে কারা এইরকম কর্মভোগ ভোগ করে? কি ঘটে?
মানুষ বলে - হে প্রভু ক্ষমা করো। দুঃখ দূর করে সুখ দাও। কিন্তু ভগবান কি কোনো ঔষধি
দেন? তিনি সে'সব কিছুই করেন না। তাহলে সবাই ভগবানকে এইরকম কেন বলে? কারন ভগবানের
সঙ্গে তো ধর্মরাজও রয়েছেন। খারাপ কর্ম করলে তার পরিণাম তো অবশ্যই ভোগ করতে হবে।
গর্ভজেলের মধ্যেও শাস্তি ভোগ করতে হয়। সাক্ষাৎকারও হয়। সাক্ষাৎকার না করিয়ে শাস্তি
দেওয়া হয় না। গর্ভজেলের মধ্যে তো কোনো ঔষধি নেই। ওখানে শাস্তি ভোগ করতে হয়। যখন খুব
দুঃখ পায় তখন বলে - ভগবান, এই জেল থেকে মুক্ত করো।
তোমরা বাচ্চারা এখন
কার সামনে বসে আছো? এই বাবা-ই হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ । কিন্তু তিনি তো গুপ্ত।
অন্যদের শরীর চোখে দেখা যায়। এই শিববাবার তো নিজের হাত পা নেই। তাই ফুল ইত্যাদি দিলে
কে গ্রহণ করবে? নিতে চাইলে তো এনার হাত দিয়েই নিতে হবে। কিন্তু তিনি কারোর কাছ
থেকেই নেন না। যেমন ওই শঙ্করাচার্য বলতো যে আমাকে যেন কেউ না ছোঁয়। সেইরকম বাবাও
বলছেন যে আমি কিভাবে কোনো পতিতের কাছ থেকে কিছু নেবো? আমার এইসব ফুলের কোনো প্রয়োজন
নেই। ভক্তিমার্গে সোমনাথ ইত্যাদি মন্দির বানায় এবং সেখানে ফুল দেয়। কিন্তু আমার তো
কোনো শরীর নেই। আত্মাকে কেউ কিভাবে স্পর্শ করবে ! তিনি আমাদের মতো পতিতদের কাছ থেকে
কিভাবে ফুল নেবেন? কেউ তো তাঁকে স্পর্শও করতে পারবে না। পতিতরা তো তাঁকে ছুঁতেও
পারবে না। আজকে ‛বাবা বাবা’ বলে, কালকে পুনরায় নরকবাসী হয়ে যায়। এদের দিকে বাবা
কখনোই দেখবেন না। বাবা বলেন - আমি তো সর্বোচ্চ। ড্রামা অনুসারে এইসব সন্ন্যাসীকেও
উদ্ধার করতে হবে। আমাকে কেউই জানে না। শিবের পূজা তো অনেকেই করে, কিন্তু তাঁকে কেউই
জানে না। ইনি হলেন গীতার ভগবান। এখানে এসে জ্ঞান দেন। গীতাতে তো কৃষ্ণের নাম জুড়ে
দিয়েছে। কৃষ্ণই যদি জ্ঞান দিয়েছেন তবে শিব কি করেন? মানুষ মনে করে যে তিনি কখনোই
আসেন না। আর, কৃষ্ণকে তো পতিত-পাবন বলা যাবে না। পতিত-পাবন তো আমাকেই বলা হয়।
তোমাদের মধ্যেও খুব কমজনই আছে যারা এতটা সম্মান দিতে পারে। তিনি কতো সাধারণ ভাবে
থাকেন। তিনি বলছেন - আমি এই সকল সাধু-সন্তদের পিতা। শঙ্করাচার্য এবং তার মতো আরো
যারা আছে, আমি সেইসব আত্মার পিতা। শরীরের তো একজন পিতা অবশ্যই আছে। আমি হলাম সকল
আত্মার পিতা। আমাকে সকলেই পূজা করে। এখন তিনি এখানে আমাদের সম্মুখে বসে আছেন। কিন্তু
সকলে বুঝতে পারে না যে আমি কার সামনে বসে আছি।
আত্মারা
জন্ম-জন্মান্তর ধরে দেহের বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে । তাই বাবাকে স্মরণ করতে পারে না।
দেহকেই দেখতে থাকে। দেহী-অভিমানী হলেই ওই বাবাকে স্মরণ করতে পারবে এবং বাবার শ্রীমৎ
অনুসারে চলবে। বাবা বলেন - সকলেই আমাকে জানার চেষ্টা করছে। অন্তিমে যারা সম্পূর্ণ
দেহী-অভিমানী হবে, তারাই পাশ করবে। বাকিদের মধ্যে একটু একটু দেহ-অভিমান থেকে যাবে।
বাবা হলেন গুপ্ত। তাঁকে তোমরা কিছুই দিতে পারবে না। তোমরা কন্যারা শিবের মন্দিরে
গিয়েও বোঝাতে পারো। কুমারীরা-ই সবাইকে শিববাবার পরিচয় দিয়েছে। অবশ্য কুমার-কুমারী
উভয়েই রয়েছে। কুমাররাও নিশ্চয়ই পরিচয় দিয়েছে। মাতাদেরকে তো বিশেষ ভাবে দাঁড় করানো
হয় কারণ তারা পুরুষদের থেকে বেশি সেবা করেছে। সুতরাং বাচ্চাদের মধ্যে সেবার শখ থাকতে
হবে। জাগতিক পড়াশুনার ক্ষেত্রে কতো শখ থাকে। ওটা হলো জাগতিক পড়াশুনা, আর এটা হলো
আধ্যাত্মিক পড়াশুনা। জাগতিক পাঠ পড়ে, এইসব ড্রিল শিখে কিছুই পাবে না। যেমন এখন
কারোর সন্তান হলে কতো ধুমধাম করে তার অন্নপ্রাশন করে। কিন্তু সেই বাচ্চা জীবনে কি
পাবে? এখন আর এতো সময়ই নেই যে সে কিছু অর্জন করবে। এখান থেকেও যদি কেউ গিয়ে জন্ম
নেয় তবে যাকিছু শিখেছে সেই অনুসারে ছোটবেলা থেকেই শিববাবাকে স্মরণ করবে। এটা তো একটা
মন্ত্র। ছোট বাচ্চাকে যদি শেখানো হয় তবে সে এই বিন্দুর বিষয়টা বুঝতেই পারবে না।
কেবল মুখে শিববাবা শিববাবা বলবে। শিববাবা-কে স্মরণ করলে স্বর্গের উত্তরাধিকার পাবে।
এভাবে ওদেরকে বোঝালে ওরাও স্বর্গে এসে যাবে। কিন্তু উঁচু পদ পাবে না। এইরকম অনেক
বাচ্চাই আসে। শিববাবা শিববাবা বলতে থাকে। এর ফলে অন্তিম সময়ে যেমন মতি তেমনই গতি
হয়ে যাবে। এ তো রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। মানুষ শিবের পূজা করে। কিন্তু কিছুই জানে না।
ছোট বাচ্চা যেমন মুখে শিববাবা শিববাবা বলে কিন্তু কিছুই বোঝে না, সেইরকম এই দুনিয়ায়
মানুষ পূজা তো করে কিন্তু তাঁর পরিচয় কারোর কাছেই নেই। তাদেরকে বলতে হবে যে আপনি
যাঁর পূজা করছেন তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর, গীতার ভগবান। তিনিই এখন আমাদেরকে
পড়াচ্ছেন। এই দুনিয়ায় আর অন্য কোনো মানুষ নেই যে বলতে পারবে স্বয়ং শিববাবা আমাদেরকে
রাজযোগ শেখাচ্ছেন। কেবল তোমরাই এটা জানো। তবে তোমরাও কখনো কখনো ভুলে যাও। ভগবানুবাচ
- আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই। কে বলছেন? স্বয়ং ভগবান বলছেন - কাম বিকার সবথেকে বড়
শত্রু। এর ওপরে বিজয়ী হও। পুরাতন দুনিয়া থেকে সন্ন্যাস নাও। তোমরা হঠযোগীরা হলে
সীমিত দুনিয়ার সন্ন্যাসী। এরা হলো শঙ্করাচার্য আর ওরা হলো শিবাচার্য। তিনিই (শিববাবা)
আমাদের শিক্ষা প্রদান করেন । কৃষ্ণ আচার্য তো বলা যাবে না। সে তো ছোট বাচ্চা।
সত্যযুগে জ্ঞানের কোনো দরকার থাকবে না। যেখানে যেখানে শিবের মন্দির আছে, সেখানে গিয়ে
তোমরা খুব ভালো সেবা করতে পারো। শিবের মন্দিরে যাও। মাতা-রা গেলে ভালো হয়, তবে
কন্যারা গেলে আরো ভালো। এখন তো আমাদেরকে বাবার কাছ থেকে রাজ্য ভাগ্য নিতে হবে। বাবা
আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। এরপর আমরা মহারাজা মহারানী হবো। বাবা-ই হলেন সর্বোচ্চ। এইরকম
শিক্ষা তো কোনো মানুষ দিতে পারবে না। এটা এখন কলিযুগ। সত্যযুগে এদের রাজত্ব ছিল। এরা
কিভাবে রাজা-রানী হয়েছিলেন, কে এনাদেরকে রাজযোগ শিখিয়েছিলেন যার দ্বারা এরা
সত্যযুগের মালিক হয়ে গেলেন। আপনারা যার পূজা করেন, তিনি আমাদেরকে শিক্ষা প্রদান করে
সত্যযুগের মালিক বানিয়ে দেন। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন আর বিষ্ণুর দ্বারা পালন। পতিত
প্রবৃত্তি মার্গের মানুষরাই পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গে যায়। প্রবৃত্তি মার্গের মানুষরা
বলে - বাবা, আমাদের মতো পতিতদেরকে পবিত্র করো এবং তারপর দেবতুল্য বানিয়ে দাও। ওরা
হলো প্রবৃত্তি মার্গের পথিক। যারা নিবৃত্তি মার্গের তাদেরকে পথ দেখাতে যেও না। যারা
এইরকম পবিত্র হওয়ার আশা রাখে, তাদেরকেই গুরুর মতো পথ দেখাতে পারো। এমন অনেক যুগল আছে
যারা বিকারগ্রস্থ জীবনযাপনের কথা ভেবে বিয়ে করে না। তোমরা বাচ্চারা এইভাবে সেবা করতে
পারো। আন্তরিক ইচ্ছে থাকতে হবে। কেন না আমরা বাবার সুযোগ্য সন্তান হয়ে অনেক জায়গায়
গিয়ে সেবা করি? পুরাতন দুনিয়ার বিনাশ তো একেবারে নিকটে। শিববাবা বলছেন, কৃষ্ণ তো
এখানে থাকবে না। সত্যযুগে কেবল একবারই কৃষ্ণ থাকবে। পরের জন্মে তো একইরকম নাম-রূপ
হবে না। ৮৪ জন্মে ৮৪ রকম চেহারা। কৃষ্ণ কাউকে এই জ্ঞান শোনাতে পারবে না। সেই কৃষ্ণ
কিভাবে এখানে আসবে? তোমরা এখন এই বিষয়গুলো বুঝেছো। অর্ধেক কল্প ভালো জন্ম হয় এবং
তারপর রাবণের রাজত্ব শুরু হয়। মানুষ যেন একেবারে জন্তুর মতো হয়ে যায়। একে অপরের
সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করে। এভাবেই রাবণের জন্ম হয়। এছাড়া ৮৪ লক্ষ জন্ম তো হয় না। কতো
ভ্যারাইটি প্রজাতি রয়েছে। মোটেও ওইরকম জন্ম নেবে না। বাবা বসে থেকে এইসব বোঝাচ্ছেন।
তিনি হলেন সর্বোচ্চ ভগবান। তিনিই আমাদেরকে শিক্ষা দেন। তাঁর পরেই রয়েছেন ইনি। যদি
পড়াশুনা না করো তবে কারোর দাস-দাসী হতে হবে। শিববাবার কাছে কি দাস-দাসী হবে? বাবা
তো বোঝাচ্ছেন যে এখানে যদি পড়াশুনা না করো তবে সত্যযুগে গিয়ে দাস-দাসী হবে। যারা
কিছুই সেবা করে না, কেবল খায় আর ঘুমায়, ওদের আর কি হবে ! বুদ্ধিতে তো আসে যে আমি
কেমন পদ পাবো। আমি তো মহারাজা হবো। আমাদের সামনেও আসতে পারবে না। নিজেরাও বুঝতে পারে
যে - আমি হয়তো এইরকম হবো। কিন্তু তাদের কোনো লজ্জাই নেই। নিজের উন্নতি করে কিছু
উপার্জন করার কথা ওরা বুঝতেই পারে না। তাই বাবা বলছেন - ভেবো না যে এগুলো
ব্রহ্মাবাবা বলছেন, সব সময় বুঝবে যে স্বয়ং শিববাবা এইসব বলছেন। শিববাবার রিগার্ড তো
রাখতেই হবে। ওনার সাথে আবার ধর্মরাজ রয়েছেন। নয় তো ধর্মরাজের কাছে লাঠির বাড়ি খাবে।
কুমারীদেরকে তো খুব হুঁশিয়ার হতে হবে। এমন যেন না হয় যে এখানে শোনার পর বাইরে গিয়েই
ভুলে গেলাম। ভক্তিমার্গের কত সামগ্রী রয়েছে। বাবা এখন বলছেন বিষপান বন্ধ করো,
স্বর্গবাসী হও। এইরকম স্লোগান বানাও। শক্তিশালী বাঘিনী হও। অসীম জগতের বাবাকে পেয়েছি
আমরা। আর কিসের ভয়। গভর্নমেন্ট তো ধর্মকেই মানে না। ওরা কিভাবে দেবতা হওয়ার জন্য
আসবে। ওরা বলে - আমরা কোনো ধর্মকেই মানি না, আমাদের কাছে সকলেই সমান। তাহলে এইভাবে
লড়াই ঝগড়া করছে কেন? কেবল মিথ্যা আর মিথ্যা। সত্যের টিকিরও দেখা নেই। সবার আগে ‛ঈশ্বর
সর্বব্যাপী’ থেকে এই মিথ্যার যাত্রা শুরু হয়। হিন্দু ধর্ম বলে তো কোনো ধর্মই নেই।
খ্রীষ্টানদের একটা নিজস্ব ধর্ম চলে আসছে। ওরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করে না। কেবল এটাই
একমাত্র ধর্ম যেখানে নিজেদেরকে পরিবর্তন করে হিন্দু বলে দেয় এবং তারপর কেমন সব নাম
রাখতে শুরু করে। শ্রীশ্রী অমুক। এখন শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ তো কেউই নেই। এখানে কেউই
শ্রীমৎ দিতে পারে না। ওরা যেগুলো বলে সেগুলো ওদের আয়রন এজেড মত। সে'গুলিকে কিভাবে
শ্রীমৎ বলা যাবে। তোমরা কুমারীরা একবার দাঁড়িয়ে গেলে যেকোনো মানুষকে বোঝাতে পারবে।
কিন্তু ভালো যোগযুক্ত হুঁশিয়ার কন্যা হতে হবে। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের উন্নতি করার জন্য সর্বদা বাবার সেবাতে যুক্ত থাকতে হবে। কেবল খেয়ে ঘুমিয়ে সময়
কাটানোর অর্থ নিজের পদ মর্যাদা হারানো।
২ ) বাবার এবং পড়ার
রিগার্ড রাখতে হবে। দেহী-অভিমানী হওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। বাবার শিক্ষাকে
ধারণ করে সুযোগ্য সন্তান হতে হবে।
বরদান:-
সেবা
করতে করতে উপরাম স্থিতিতে থাকা যোগযুক্ত, যুক্তিযুক্ত সেবাধারী ভব
যারা যোগযুক্ত,
যুক্তিযুক্ত সেবাধারী তারা সেবা করতে করতেও উপরাম থাকে। এমন নয় যে অনেক সেবা আছে
তাই অশরীরী হতে পারবো না। কিন্তু এটা যেন স্মরণে থাকে যে আমার সেবা নয়, বাবা
দিয়েছেন তাহলে নির্বন্ধন থাকবে। আমি হলাম ট্রাস্টি, বন্ধনমুক্ত - এইরকম প্র্যাক্টিস
করো। অতি-র সময়ে অন্তের স্টেজ, কর্মাতীত অবস্থাকে অভ্যাস করো। যেরকম মাঝে মাঝে
সংকল্পের ট্রাফিককে কন্ট্রোল করছো এইরকম অতি-র সময় অন্তের স্টেজের অনুভব করো তাহলে
অন্তের সময়ে পাস উইদ্ অনার হতে পারবে।
স্লোগান:-
শুভ
ভাবনা কারণকে নিবারণে পরিবর্তন করে দেয়।
অব্যক্ত ঈশারা :-
আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো
পবিত্রতা হলো
ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ জন্মের বিশেষ গুণ। পবিত্র সংকল্প হলো ব্রাহ্মণদের বুদ্ধির
ভোজন। পবিত্র দৃষ্টি হলো ব্রাহ্মণদের চোখের জ্যোতি, পবিত্র কর্ম হল ব্রাহ্মণদের
জীবনের বিশেষ ধান্দা। পবিত্র সম্বন্ধ আর সম্পর্ক হল ব্রাহ্মণ জীবনের মর্যাদা। এইরকম
মহান জিনিসকে ধারণ করার জন্য পরিশ্রম করো না, হঠাকারিতার সাথে ধারণ করো না। এই
পবিত্রতাই হল তোমাদের জীবনের বরদান।