09-11-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 30-11-2007 মধুবন


"সত্যতা আর পবিত্রতার শক্তিকে স্বরূপে এনে বালিক আর মালিকভাবের ব্যালেন্স রাখো"


আজ সত্য বাবা, সত্য শিক্ষক, সদ্গুরু নিজের চতুর্দিকে সত্যতা স্বরূপ, শক্তি স্বরূপ বাচ্চাদের দেখছেন। কেননা, সত্যতার শক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ। এই সত্যতার শক্তির আধার হলো সম্পূর্ণ পবিত্রতা। মন- বচন-কর্ম, সম্বন্ধ-সম্পর্ক, স্বপ্নেও অপবিত্রতার লেশমাত্র থাকবে না। এমন পবিত্রতার প্রত্যক্ষ স্বরূপ প্রতীয়মান হয় কি? পবিত্র আত্মার আচরণ আর মুখমণ্ডলে এমন স্পষ্ট দিব্যতা দেখা যায়। তাদের নয়নে অধ্যাত্ম আভা, মুখে সদা প্রসন্নতা আর আচরণে প্রতি কদমে বাবা সমান কর্মযোগী হওয়ার দিব্যতা দেখা যায়। সত্য বাবা দ্বারা এই সময় তোমরা এমন সত্যবাদী তৈরি হচ্ছ। দুনিয়াতেও অনেকে নিজেকে সত্যবাদী বলে থাকে, সত্য বলেও, কিন্তু সম্পূর্ণ পবিত্রতাই প্রকৃতরূপে সত্যতার শক্তি। যা এই সময় এই সঙ্গম যুগে তোমরা সবাই হতে চলেছ। এই সঙ্গম যুগের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি হলো - সত্যতার শক্তি, পবিত্রতার শক্তি। যার প্রাপ্তিস্বরূপ সত্যযুগে তোমরা সবাই ব্রাহ্মণ তথা দেবতা হয়ে আত্মা এবং শরীর উভয়তই পবিত্র হও। সমগ্র সৃষ্টি চক্রে আর কেউই আত্মা আর শরীর দু'য়েতেই পবিত্র হয় না। আত্মা পবিত্র হলেও কিন্তু শরীর পবিত্র প্রাপ্ত হয় না। তো এমন সম্পূর্ণ পবিত্রতা এই সময় তোমরা সবাই ধারণ করছ। নেশার সাথে তোমরা বলে থাকো, স্মরণে আছে তোমাদের নেশার সাথে কী বলো? স্মরণ করো। সবাই হৃদয় থেকে বলো, অনুভব থেকে বলো যে পবিত্রতা আমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার, জন্মসিদ্ধ অধিকার সহজে প্রাপ্ত হয়। কেননা, পবিত্রতা বা সত্যতা প্রাপ্ত করার জন্য তোমরা সবাই প্রথমে নিজের সত্য স্বরূপ আত্মাকে জেনে নিয়েছ। নিজের সত্য বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরুকে চিনে নিয়েছ। চিনে নিয়েছ এবং প্রাপ্ত করেছ। যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ নিজের সত্যস্বরূপ এবং সত্য বাবাকে জানতে পারে না, ততক্ষণ সম্পূর্ণ পবিত্রতা, সত্যতার শক্তি আসতে পারে না। তো তোমরা সবাই সত্যতা আর পবিত্রতার শক্তির অনুভাবী তো না! অনুভাবী তোমরা? অনুভাবী? তারা চেষ্টা করে কিন্তু যথার্থ রূপে না নিজের স্বরূপ, না সত্য বাবার যথার্থ স্বরূপকে জানতে পারে। আর তোমরা সবাই এই সময়ের অনুভব দ্বারা পবিত্রতাকে এমনভাবে সহজে আপন করে নিয়েছ যে এই সময়ের প্রাপ্তির প্রালব্ধ হিসেবে দেবতাদের পবিত্রতা ন্যাচারাল নেচার হয়। এমন ন্যাচারাল নেচারের অনুভব তোমরাও প্রাপ্ত করো। সুতরাং চেক করো, পবিত্রতা বা সত্যতার শক্তি ন্যাচারাল নেচার রূপে হয়েছে কিনা! তোমরা কী ভাবছ? যারা ভাবছ যে পবিত্রতা তো আমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার, তারা হাত উঠাও। জন্মসিদ্ধ অধিকার, নাকি পরিশ্রম করতে হয়? পরিশ্রম করতে হয় না তো না! সহজ, তাই না! কেননা, জন্মসিদ্ধ অধিকার তো সহজে প্রাপ্ত হয়। পরিশ্রম করতে হয় না। দুনিয়ার লোকে অসম্ভব মনে করে আর তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব আর সহজ বানিয়ে দাও।

নতুন নতুন যে বাচ্চারা এসেছ, যারা প্রথমবার এসেছ তারা হাত উঠাও। আচ্ছা নতুন নতুন বাচ্চারা আছ, অভিনন্দন নতুন ও প্রথমবার আগতদের, কেননা বাপদাদা বলেন, যদিও বা লেট এসেছ, তবুও তো এসেছ কিন্তু টু লেট-এ আসনি। আর নতুন বাচ্চাদের জন্য বাপদাদার বরদান রয়েছে যে, যারা লাস্টে এসেছ তারাও ফাস্ট পুরুষার্থ করে ফার্স্ট ডিভিশনে আসতে পারে। তো নতুন বাচ্চাদের এত মনোবল আছে? হাত উঠাও যারা ফার্স্ট হবে। দেখবে টিভিতে তোমাদের হাত দেখা যাচ্ছে। আচ্ছা। সাহসী তোমরা। অভিনন্দন সাহসের জন্য। আর যদি সাহস থাকে তো সহায়তা আছেই। উপরন্তু সমগ্র ব্রাহ্মণ পরিবারেরও শুভ ভাবনা শুভ কামনা তোমাদের সাথে আছে। সেইজন্য যারাই নতুন প্রথমবার এসেছ তাদের সবার প্রতি বাপদাদা আর পরিবারের তরফ থেকে আরেকবার পদ্মগুন শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা। তোমরা সবাই যারা প্রথমে আসবে তাদেরও খুশি হচ্ছে তো না! বিচ্ছিন্ন হওয়া আত্মারা আবার নিজের পরিবারে পৌঁছে গেছ। তো বাপদাদাও খুশি হচ্ছেন আর তোমরা সবাইও খুশি হচ্ছো।

বাপদাদা বতনে দাদির সাথে একটা রেজাল্ট দেখেছেন৷ কী রেজাল্ট দেখেছেন? তোমরা সবাই জানো, মানো যে তোমরা মালিক তথা বালক। তাই না! মালিকও তোমরা, বালকও তোমরা। সবাই? হাত তোলো। ভেবে উঠিও, অযথা নয়। বাবা হিসেব নেবেন তো না! আচ্ছা, হাত নিচে নামাও। বাপদাদা দেখেছেন যে বালকভাবের নিশ্চয় আর নেশা এটা তো সহজভাবে থাকে কেননা, ব্রহ্মাকুমার এবং ব্রহ্মাকুমারী যখন বলছো তো তোমরা বালক, তবেই তো তোমাদের ব্রহ্মাকুমার আর ব্রহ্মাকুমারী বলা হয়ে থাকে। আর সারা দিন আমার বাবা, আমার বাবা এটাই স্মৃতিতে নিয়ে আসো আবার ভুলেও যাও, কিন্তু মাঝে মাঝে স্মরণ হয়। আর সেবাতেও বাবা শব্দ মুখ থেকে ন্যাচারালি বের হয়। যদি বাবা শব্দ না বের হতো তবে জ্ঞানের কোনো প্রভাব পড়তো না। তোমরা যে সেবাই করো, ভাষণ দাও, বিভিন্ন টপিকে কোর্স করাও, প্রকৃত সেবার প্রত্যক্ষ স্বরূপ কিংবা প্রত্যক্ষ প্রমাণ এটাই যে যারা শোনে তারাও যেন অনুভব করে আমিও বাবার। তাদের মুখ থেকেও বাবা বাবা শব্দ বের হতে দাও, কোনো শক্তি আছে - এটা নয়। এটা ভালো সেটাও নয়। কিন্তু তাদের এটা অনুভূত হওয়া দরকার আমার বাবা। এটাকে বলা হবে সেবার প্রত্যক্ষ ফল। তবুও বালকভাবের নেশা এবং নিশ্চয় ভালোই থাকে। কিন্তু মালিকভাবের নিশ্চয় এবং নেশা নম্বরক্রমে থাকে। বালকভাবের থেকে মালিকভাবের প্র্যাকটিক্যাল আচরণ এবং মুখমণ্ডল দ্বারা নেশা কখনো দেখা যায়, কখনো কম দেখা যায়। বাস্তবে তোমরা ডবল মালিক। এক, বাবার ভাণ্ডারের মালিক। সবাই তোমরা ভাণ্ডারের মালিক তো না! তাছাড়া, বাবা সবাইকে একসমান ভাণ্ডারই দিয়েছেন। কাউকে লক্ষতে দিয়েছেন, কাউকে হাজারে দিয়েছেন এমন নয়। সবাইকে সব ভাণ্ডার অফুরান দিয়েছেন, কেননা বাবার কাছে রয়েছেই অসীম ভাণ্ডার। কম নেই। তো বাপদাদা সবাইকে সর্ব ভাণ্ডার দিয়েছেন, আর একরকম, একসমান দিয়েছেন। আর দ্বিতীয় মালিক - স্বরাজ্যের মালিক। সেইজন্য বাপদাদা নেশার সাথে বলেন যে আমার প্রত্যেক বাচ্চা রাজা বাচ্চা। তোমরা রাজা বাচ্চা তো না! প্রজা নও তো? তোমরা রাজযোগী, নাকি প্রজাযোগী? রাজযোগী তো না! তো স্বরাজ্যের মালিক তোমরা। কিন্তু বাপদাদা দাদির সাথে রেজাল্ট দেখেছেন - তো যতটা বালকভাবের নেশা থাকে, ততটাই কম থাকে মালিকভাবের ক্ষেত্রে। কেন? যদি স্বরাজ্যের মালিকভাবের নেশা সদা থাকে তবে মাঝে মধ্যে যত সমস্যা বা বিঘ্ন আসে তা' আসতে পারে না। সাধতনত: দেখা যায়, যে সমস্যা বা বিঘ্ন আসে তার আধার বিশেষভাবে মন। মনই অস্থিরতায় আসে। সেইজন্য বাপদাদার মহামন্ত্রও হলো মনমনাভব। তন্মনাভব, ধন্মনাভব নয়, মনমনাভব। সুতরাং যদি স্বরাজ্যের মালিক হও তবে মন মালিক হতে পারে না। মন তোমাদের কর্মচারী, রাজা নয়। রাজা অর্থাৎ অধিকারী। অধীনস্তদের রাজা বলা যায় না। তো রেজাল্টে তিনি কী দেখেছেন? মনের মালিক আমি রাজ্য অধিকারী, মালিক। এই স্মৃতি, এই আত্মস্থিতির ক্ষেত্রে সদা স্থিতি এটা কম থাকে। এটা প্রথম পাঠ, তোমরা সবাই প্রথম পাঠ কী নিয়েছিলে? আমি আত্মা, পরমাত্মার পাঠ দুই নম্বর। কিন্তু প্রথম পাঠ আমি মালিক রাজা এই কর্মেন্দ্রিয়ের অধিকারী আত্মা। শক্তিশালী আত্মা। সর্বশক্তি আত্মার নিজস্ব গুণ। তো বাপদাদা দেখেছেন যে আমি যা, আমি যেরকম তার ন্যাচারাল রূপ স্মৃতিতে বজায় রেখে চলা, থাকা, মুখমণ্ডল দ্বারা অনুভব হওয়া, সমস্যা থেকে সরে থাকা, তা'তে এখন আরও অ্যাটেনশন দরকার। আমি আত্মা শুধু এটা নয়, বরং কেমন আত্মা সেটা যদি স্মৃতিতে রাখো তবে মাস্টার সর্বশক্তিমান আত্মার সামনে সমস্যা বা বিঘ্নের এমন কোনো শক্তি নেই যে আসতে পারে। রেজাল্টে এখনও কোনো না কোনো সমস্যা বা বিঘ্ন দেখা যায়। তোমরা জানো কিন্তু আচরণ এবং মুখে নিশ্চয়ের প্রত্যক্ষ রূপ আধ্যাত্মিক নেশা এটার আরও প্রত্যক্ষতা প্রয়োজন।তার জন্য মালিকভাবের নেশা - এটাকে বারবার চেক করো। সেকেন্ডের ব্যাপার চেক করা। কর্ম করার সময়, কোনও কর্ম যখন আরম্ভ করছো তখন আরম্ভ করার টাইমে চেক করো - মালিকভাবের অথরিটি দ্বারা কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কর্ম করানোর কন্ট্রোলিং পাওয়ার, রুলিং পাওয়ারের আত্মা কিনা। কর্ম কী সাধারণভাবে শুরু হয়েছে? স্মৃতি স্বরূপে কর্ম আরম্ভ করা আর সাধারণ স্থিতিতে কর্ম আরম্ভ করা এতে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন, সীমাবদ্ধ দুনিয়ার পদধারীরা নিজের কার্য যখন করে তখন কার্যের সিটে সেট হয়ে তারপরে কার্য আরম্ভ করে, তেমনই নিজের মালিকভাবের স্বরাজ্য অধিকারীর সিটে সেট হয়ে তারপরে কার্য করো। এই মালিকভাবের অথরিটির চেকিং আরও বাড়াতে হবে। আর মালিকভাবের অথরিটির লক্ষণ হলো সদা সব কার্যে ডবল লাইট আর খুশির অনুভূতি হবে আর রেজাল্টে সহজ সফলতার অনুভব হবে। কোথাও কোথাও এখনও পর্যন্ত অধিকারী হওয়ার পরিবর্তে অধীন হয়ে যাও। অধীনতার কী লক্ষণ দেখা যায়? যা তোমরা বারবার বলে থাকো আমার সংস্কার, চাইনা তবুও আমার সংস্কার, আমার নেচার।

বাপদাদা আগেও শুনিয়েছেন, যে সময় এটা তোমরা বলো যে আমার সংস্কার, আমার নেচার - তাহলে কি এই দুর্বলতার সংস্কার তোমাদের সংস্কার? আমার হতে পারে? এটা তো মধ্যকালের রাবনের সংস্কার, রাবনের দান। সেটাকে আমার বলাই রং। তোমাদের সংস্কার তো যা বাবার সংস্কার সেটাই তোমাদের সংস্কার। ভাবো, যে সময় তোমরা আমার আমার বলছো তো আমার অধিকারী হয়ে যায় আর তোমরা অধীন হয়ে যাও। সমান হতে হবে বাবার মতো, তবেই আমার সংস্কার নয়, যা বাবার সংস্কার তাই আমার সংস্কার হবে। বাবার সংস্কার কী? বিশ্ব কল্যাণকারী, শুভ ভাবনা শুভ কামনাধারী। তো সেই সময় বাবার সংস্কার সামনে নিয়ে এসো। লক্ষ্য বাবা সমান হওয়ার আর লক্ষণ রয়ে গেছে রাবণের। সুতরাং মিক্স হয়ে যায়, কিছু ভালো বাবার, কিছু সেই আমার পাস্টের সংস্কার। দুটো মিক্স থাকে তো না। সেইজন্য ফ্যাসাদ লেগেই থাকে। তাছাড়া, সংস্কার তৈরি হয় কীভাবে?সেতো সবাই তোমরা জানো তো না! সংস্কার মন আর বুদ্ধির সংকল্প আর কার্য থেকে সংস্কার তৈরি হয়। প্রথমে মন সংকল্প করে, বুদ্ধি সহযোগ দেয় আর ভালো বা মন্দ সংস্কার তৈরি হয়ে যায়।

তো বাপদাদা দাদির সাথে সাথে রেজাল্টে দেখেছেন যে মালিকভাবের ন্যাচারাল নেচারের যে নেশা থাকে তা' বালকভাবের তুলনায় এখনও কম আছে। সেইজন্য বাপদাদা দেখেন যে সমাধান করার জন্য আবার যুদ্ধ করতে শুরু হয়ে যায়। তোমরা ব্রাহ্মণ কিন্তু মাঝে মাঝে ক্ষত্রিয় হয়ে যাও। তো ক্ষত্রিয় হওয়া উচিত নয়। ব্রাহ্মণ তথা দেবতা হতে হবে। যারা ক্ষত্রিয় হবে তারা তো অনেক আসবে, তারা পিছনে আসবে, তোমরা তো অধিকারী আত্মা। তাহলে শুনেছ রেজাল্ট। সেইজন্য বারবার আমি কে, এটা স্মৃতিতে আনো। তোমরা হওই সেরকম -এটা নয় বরং স্মৃতি স্বরূপে নিয়ে এসো। ঠিক আছে তো না! আচ্ছা। তো তোমাদেরকে রেজাল্ট শোনানো হয়েছে। এখন সমস্যার নাম, বিঘ্নের নাম, অস্থিরতার নাম, ব্যর্থ সংকল্পের নাম, ব্যর্থ কর্মের নাম, ব্যর্থ সম্বন্ধের নাম, ব্যর্থ স্মৃতির নাম সমাপ্ত করো আর করাও। ঠিক আছে না, করবে? করবে তোমরা? দৃঢ় সংকল্পের যে হাত উঠানো হয়েছে, সেই হাত উঠানো তো কমন হয়ে গেছে, সেইজন্য বাবা তোমাদেরকে হাত উঠানোর জন্য বলছেন না। মনে দৃঢ় সংকল্পের হাত উঠাও। মনে, শরীরের হাত নয়, বাবা সেটা অনেক দেখে নিয়েছেন। যখন একসাথে সবার মন থেকে দৃঢ় সংকল্পের হাত উঠবে তখনই বিশ্বের কোনে কোনে সকলের খুশির সাথে হাত উঠবে - আমাদের সুখদাতা, শান্তিদাতা বাবা এসে গেছেন।

বাবাকে প্রত্যক্ষ করানোর দায়িত্ব নিয়েছ তো না! নিয়েছ না? পাক্কা? টিচার্স তোমরা নিয়েছ? আচ্ছা। পান্ডবরা নিয়েছে, পাক্কা। আচ্ছা ডেট ফিক্স করেছ। ডেট ফিক্স করনি? কত টাইম চাই? এক বছর চাই, দু'বছর চাই, কত বছর প্রয়োজন? বাপদাদা বলেছিলেন প্রত্যেকে নিজের যথাশক্তি পুরুষার্থ অনুসারে নিজের ন্যাচারাল আচার আচরণের কিংবা ওড়ার বিধি অনুসারে নিজের সম্পন্ন হওয়ার ডেট নিজেই ফিক্স করো। বাপদাদা তো বলবেন এখন করো, কিন্তু নিজের যথাশক্তি পুরুষার্থ অনুসারে নিজের ডেট ফিক্স করো এবং সময় সময়তে সেটা চেক করো যে সময় অনুসারে মন্সার স্টেজ, বাচার স্টেজ, সম্বন্ধ সম্পর্কের স্টেজে প্রগ্রেস হচ্ছে কিনা। কেননা, ডেট ফিক্স করলে আপনা থেকেই অ্যাটেনশন থাকে।

বাকি চতুর্দিকের সবার তরফ থেকে সমাচারও এসেছে। ইমেলও এসেছে। তো বাপদাদার কাছে তো ইমেল যতক্ষণে পৌঁছায় তার আগেই পৌঁছে যায় হৃদয়ের সংকল্পের ইমেল, এই ইমেল খুব দ্রুতগামী হয়। এটা আগে পৌঁছে যায়। তো যারাই স্মরণ-স্নেহ, নিজের স্থিতির সমাচার, নিজের সেবার সমাচার পাঠিয়েছে তাদের সবাইকে বাপদাদা স্বীকার করেছেন, সবাই খুব ভালো উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথেই পাঠিয়েছে। তো বাপদাদা সবাইকে তারা বিদেশের হোক বা দেশের, সবাইকে রিটার্নে স্মরণ স্নেহ আর হৃদয়ের কল্যাণকারী শুভেচ্ছার সাথে ভালোবাসা আর শক্তির সকাশও দিচ্ছেন। আচ্ছা।

তোমরা সবকিছু শুনেছ। শোনা যেমন সহজ, তেমনই শোনার ঊর্ধ্বে সুইট সাইলেন্সের স্থিতিও, যখনই চাও যত সময় চাও ততো সময় মনের মালিক হয়ে যাও, প্রথম বিশেষ হলো মনের মালিক, সেইজন্য বলা হয়ে থাকে যে মন জিততে পারে সে জগতজিৎ। এখন তো শুনেছ, দেখেছ, তাহলে আত্মা রাজা হয়ে মন বুদ্ধি সংস্কারকে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে পারো? মন বুদ্ধি সংস্কার তিনের মালিক হয়ে অর্ডার করো সুইট সাইলেন্স, তখন অনুভব করো যে অর্ডার করায়, অধিকারী হওয়ায় এই তিনই অর্ডারে আছে। এখন এখনই অধিকারীর স্টেজে স্থিত হয়ে যাও (বাপদাদা ড্রিল করিয়েছেন) আচ্ছা।

চতুর্দিকের সদা স্বমানধারী, সত্যতার শক্তি স্বরূপ, পবিত্রতার সিদ্ধি স্বরূপ, সদা অটল অনড় স্থিতির অনুভাবী, স্ব পরিবর্তক এবং বিশ্ব পরিবর্তক, সদা অধিকারী স্থিতি দ্বারা যারা সকল আত্মাকে বাবার দ্বারা অধিকার প্রাপ্ত করায়, চতুর্দিকের বাপদাদার লাকি আর লাভলী আত্মাদের পরমাত্ম স্মরণের স্নেহ-সুমন আর হৃদয়ের আশীর্বাদ স্বীকার হোক এবং বাপদাদার মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের নমস্কার।

বরদান:-
নিজেকে নিজেই পরিবর্তন করে বিশ্বের আধার মূর্ত হয়ে শ্রেষ্ঠ পদের অধিকারী ভব

শ্রেষ্ঠ পদ পাওয়ার জন্য বাপদাদার শিক্ষা এটাই যে বাচ্চারা নিজেরাই নিজেদের পরিবর্তন করুক। তোমরা নিজেদের পরিবর্তন করার পরিবর্তে পরিস্থিতি এবং অন্য আত্মাদের বদলানোর ব্যাপারে তোমরা ভাবো, কিংবা সংকল্প আসে - এই স্যালভেশন যদি পাওয়া যায়, সহযোগ বা আশ্রয় যদি পাওয়া যায় তবে পরিবর্তন হবে - এভাবে কোনো আধারের ওপরে ভিত্তি করে যারা পরিবরতিত হবে তাদের প্রালব্ধও আধারের ভিত্তিতেই হবে। কেননা, যত কিছুর আধার নেবে জমার খাতা তত শেয়ারে ভাগ হয়ে যাবে। সেইজন্য সদা লক্ষ্য রাখো, নিজেকে পরিবর্তন হতে হবে। স্বয়ং আমি বিশ্বের আধার মূর্ত আত্মা।

স্লোগান:-
সংগঠনে উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং শ্রেষ্ঠ সংকল্প দ্বারা সফলতা হয়েই আছে।

অব্যক্ত ইশারা :- অশরীরী ও বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বাড়াও যেমন, কেউ যদি দুর্বল হয়, তখন তাকে শক্তি দেওয়ার জন্য গ্লুকোজ দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই নিজেকে যদি শরীরের ঊর্ধ্বে অশরীরী আত্মা মনে করো তবেই সাক্ষী ভাবের অবস্থা শক্তি দেওয়ার কাজ করে আর যত সময় সাক্ষী অবস্থার স্থিতি থাকে ততক্ষণই বাবা সাথী স্মরণ থাকে অর্থাৎ সাথ থাকে।