10.06.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের শ্রীমতে চলে সবাইকে সুখদান করতে হবে, তোমরা শ্রেষ্ঠ মত প্রাপ্ত করো শ্রেষ্ঠ হয়ে অন্যদের শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য"

প্রশ্নঃ -
দয়ালু বাচ্চাদের হৃদয়ে কোন্ ঢেউ আসে? তাদের কি করা উচিত?

উত্তরঃ  
যারা দয়ালু বাচ্চা হয়, তাদের মনে হয় - আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সার্ভিস করবো । আজকাল বেচারারা খুব দুঃখী, তাদের গিয়ে এই খুশীর খবর শোনাবো যে, বিশ্বে পবিত্রতা, সুখ আর শান্তির দৈবী স্বরাজ্য স্থাপন হচ্ছে, এ হলো সেই মহাভারতের লড়াই, বরাবর সেই সময় বাবাও ছিলেন, এখনও আবার বাবা এসেছেন ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা এখানে বসে আছো, তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারো যে, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান । অবশ্যই নিজেদের আত্মা মনে করবে । শরীর আছে, তাইতো তার দ্বারা আত্মা শোনে । বাবা এই শরীর লোন নিয়েছেন, তবেই তিনি শোনাতে পারেন । তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান বা সম্প্রদায়, এরপর আমরা দৈবী সম্প্রদায় হবো । দেবতারাই স্বর্গের মালিক হন । আমরা আবার পাঁচ হাজার বছর পূর্বের মতো দৈবী স্বরাজ্য স্থাপনা করছি । এরপর আমরা দেবতা হয়ে যাবো । এই সময় সমস্ত দুনিয়া, বিশেষতঃ ভারত আর সাধারণভাবে সম্পূর্ণ দুনিয়ার সমস্ত মানুষই একে অপরকে দুঃখই দান করে । তারা এও জানে না যে, সুখধামও হয় । পরমপিতা পরমাত্মা এসেই সবাইকে সুখী এবং শান্ত বানিয়ে দেন । এখানে তো ঘরে ঘরে একে অপরকে দুঃখই দিতে থাকে । সমস্ত বিশ্বেই দুঃখ আর দুঃখ । বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের ২১ জন্মের জন্য সদা সুখী বানান । কবে থেকে দুঃখ শুরু হয়েছে আর কবে তা সম্পূর্ণ হয়,আর কারও বুদ্ধিতে এমন চিন্তন হবে না । তোমাদেরই বুদ্ধিতে একথা আছে যে, বরাবর আমরাই ঈশ্বরীয় সন্তান ছিলাম, এমনিতে তো সমগ্ৰ দুনিয়ার মনুষ্য মাত্রই ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় । প্রত্যেকেই তাঁকে ফাদার বলে ডেকে থাকেন । বাচ্চারা এখন জানে যে, শিব বাবা আমাদের শ্রীমৎ দান করছেন । শ্রীমৎ হলো বিখ্যাত । উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবানের হলো উঁচুর থেকেও উঁচু মত । এমন গায়নও আছে যে, তাঁর গতি - মতিই অনুপম । শিব বাবার শ্রীমৎ আমাদের কি থেকে কি বানায় । স্বর্গের মালিক । আর যে মনুষ্য মাত্র আছে, তারা তো নরকের মালিক বানায় । এখন তোমরা সঙ্গম যুগে আছো । এ তো নিশ্চিত, তাই না । নিশ্চয়বুদ্ধি যাদের, তারাই এখানে আসে, আর তারা বুঝতে পারে যে, বাবা আমাদের আবার সুখধামের মালিক বানান । আমরাই ১০০ শতাংশ গৃহস্থ মার্গে ছিলাম । এই স্মৃতি এখন ফিরে এসেছে । ৮৪ জন্মেরও তো হিসেব আছে, তাই না । কে-কে কতো জন্মগ্রহণ করে । যেই ধর্ম পরে আসে, তাদের জন্মও অল্প হয় ।

বাচ্চারা, তোমাদের এখন এই নিশ্চয়তা রাখা উচিত যে, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান । আমরা সবাইকে শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য শ্রেষ্ঠ মত প্রাপ্ত করি । আমাদের ওই বাবাই আমাদের রাজযোগ শেখান । মানুষ মনে করে যে, বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি সবই ভগবানের সঙ্গে মিলনের রাস্তা, আর ভগবান বলেন - এর দ্বারা কেউই আমার সাথে মিলিত হয় না । আমিই আসি, তাই তো আমার জয়ন্তীও পালন করা হয়, কিন্তু কবে আর কার শরীরে আসি, একথা কেউই তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া আর কেউই জানে না । বাচ্চারা, এখন তোমাদের সবাইকে সুখ দান করতে হবে । দুনিয়াতে সবাই একে অপরকে দুঃখ দিতে থাকে । ওরা একথা বুঝতেই পারে না যে, বিকারে যাওয়াই হলো দুঃখ দেওয়া ।তোমরা এখন জানো যে, এ হলো মহান দুঃখ । কুমারী, যারা পবিত্র ছিলো, তাদের অপবিত্র বানায় । নরকবাসী বানানোর জন্য কতো সেরিমনি (অনুষ্ঠান) করে । এখানে তো এমন হাঙ্গামার কোনো ব্যাপারই নেই । তোমরা এখানে খুব শান্তির সঙ্গে বসে আছো । সবাই খুশী হয়, সম্পূর্ণ বিশ্বকে সদা সুখী বানায় । তোমাদের মান হলো শিব শক্তির রূপে । তোমাদের সামনে লক্ষ্মী - নারায়ণের তো কিছুই মান নেই । শিব শক্তির নামই উজ্জ্বল হবে কেননা বাবা যেভাবে সার্ভিস করেছেন, সবাইকে পবিত্র করে সদা সুখী করেছেন, তেমনই তোমরাও বাবার সাহায্যকারী তাই তোমাদের মতো শক্তি রূপী ভারত মাতাদেরই মহিমা । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ তো রাজা - রানী আর প্রজারা সবাই স্বর্গবাসী । এ কি বড় কথা ! যেমন ওরা স্বর্গবাসী, তেমনই এখনকার রাজা - রানী সবাই নরকবাসী । এমন নরকবাসীদের স্বর্গবাসী তোমরাই বানাও । মানুষ তো কিছুই জানে না । সম্পূর্ণ তুচ্ছ বুদ্ধির । মানুষ কি না কি করতে থাকে । কতো লড়াই ইত্যাদি করতে থাকে । প্রতিটি বিষয়েই দুঃখ আর দুঃখ । সত্যযুগে সবকিছুতেই সুখ আর সুখ । এখন সবাইকে সুখ দান করার জন্যই বাবা শ্রেষ্ঠ মত দান করেন । এমন গেয়েও থাকে - শ্রীমৎ ভগবান উবাচঃ । শ্রীমৎ মনুষ্য উবাচঃ নয় । সত্যযুগে দেবতাদের মত দানের প্রয়োজন হয় না । এখানে তোমরা শ্রীমৎ প্রাপ্ত করো । বাবার সঙ্গে তোমাদের মতো শিব শক্তিদেরও গায়ন আছে । এখন আবারও প্র্যাক্টিকালে সেই পার্ট প্লে হচ্ছে । বাবা এখন বলছেন - বাচ্চারা, তোমাদের মন - বাণী এবং কর্মে সবাইকে সুখ দান করতে হবে । সবাইকে সুখধামের রাস্তা বলে দিতে হবে । তোমাদের কাজই হলো এই । শরীর নির্বাহের কারণে পুরুষদের কাজও করতে হয় । বলা হয়, সন্ধ্যার সময় দেবতারা পরিক্রমা করতে বের হন, এখন দেবতারা এখানে কোথা থেকে আসবেন । এই সময়কে শূদ্র বলা হয় । এই সময়ে সবাই অবসরও পায় । বাচ্চারা, তোমাদের চলতে, ফিরতে, উঠতে, বসতে স্মরণ করতে হবে । ব্যস, কোনো দেহধারীর চাকরী ইত্যাদি করবে না । বাবার তো গায়ন আছে যে, দ্রৌপদীর পদসেবা করেছিলেন । মানুষ এর অর্থও বুঝতে পারে না । এখানে স্থূল পদসেবার কোনো কথা নেই । বাবার কাছে অনেক বৃদ্ধারাই আসেন, বুঝতে পারে যে, ভক্তি করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে গেছি । অর্ধেক কল্প তো অনেক ধাক্কা খেয়েছে, তাই না । তাই এই পদ সেবার অক্ষর নিয়ে নিয়েছে । এখন শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পদসেবা করবেন? শোভা দেবে কি? তোমরা কি শ্রীকৃষ্ণকে পদসেবা করতে দেবে? শ্রীকৃষ্ণকে দেখলেই মানুষ ঝলমল করে ওঠে । তাঁর মধ্যে তো অনেক চমৎকার থাকে । শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া আর কারোর কথা বুদ্ধিতেই বসে না । তিনিই সবথেকে তেজোময় । বাচ্চা শ্রীকৃষ্ণ আবার মুরলী চালিয়েছিলো, এই কথা ঠিক লাগে না । এখানে তোমরা কিভাবে শিব বাবার সাথে মিলিত হবে? বাচ্চারা, তোমাদের বলতে হয় যে, শিব বাবাকে স্মরণ করে তারপর এনার কাছে এসো । বাচ্চারা, তোমাদের তো অন্তরে খুশী হওয়া উচিত যে, শিব বাবা আমাদের ২১ জন্মের জন্য সুখী বানান । এমন বাবার কাছে তো বলিদান যাওয়া উচিত । কোনো সুপুত্র যদি হয়, তখন বাবা তার প্রতি বলিদান যান । সে বাবার প্রতিটি কামনা পূরণ করে । কেউ কেউ তো এমন বাচ্চাও হয় যারা বাবাকে খুনও করে দেয় । এখানে তো তোমাদের মোস্ট বিলাভেড হতে হবে । কাউকেই দুঃখ দেবে না । যারা দয়ালু বাচ্চা হয়, তাদের মনে হয় যে, আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সার্ভিস করি । আজকাল বেচারারা খুবই দুঃখী । তোমরা তাদের গিয়ে খুশীর খবর শোনাও যে, বিশ্বে পবিত্রতা, সুখ, শান্তির দৈবী রাজ্য স্থাপন হচ্ছে, এ হলো সেই মহাভারতের লড়াই । বরাবর সেই সময় বাবাও ছিলেন । এখনো আবার বাবা এসেছেন ।তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের পুরুষোত্তম বানাচ্ছেন । এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা কিভাবে পুরুষোত্তম হই । তোমাদের জিজ্ঞেস করে যে, তোমাদের উদ্দেশ্য কি? বলো, মানুষ থেকে দেবতায় রূপান্তরিত হওয়া । দেবতারা তো বিখ্যাত । বাবা বলেন, যারা দেবতাদের ভক্ত, তাদের বোঝাও । তোমরাই প্রথম প্রথম শিবের ভক্তি শুরু করেছিলে, তারপর দেবতাদের । তাই প্রথম প্রথম শিব বাবার ভক্তদের বোঝাতে হবে । বলো, শিব বাবা বলছেন, আমাকে স্মরণ করো । মানুষ শিবের পূজা করে কিন্তু এ তো বুদ্ধিতে আসেই না যে, তিনিই হলেন পতিত - পাবন বাবা। ভক্তিমার্গে দেখো, মানুষ কতো ধাক্কা খায় । শিবলিঙ্গ তো ঘরেই রাখতে পারে । তাঁর পূজা করতে পারে, তাহলে অমরনাথ, বদ্রীনাথ ইত্যাদিতে যাওয়ার প্রয়োজন কি । অবশ্য ভক্তিমার্গে মানুষকে ধাক্কা খেতেই হবে । তোমরা এর থেকে তাদের মুক্ত করো । তোমরা হলে শিব শক্তি, শিবের বাচ্চা । তোমরা বাবার থেকে শক্তি গ্রহণ করো । তাও স্মরণের দ্বারাই প্রাপ্ত হবে । বিকর্মও বিনাশ হবে । পতিত - পাবন তো বাবা, তাই না । এই স্মরণের দ্বারাই তোমরা বিকর্মজিৎ পাবন হও । সকলকেই এই পথ বলে দিতে হবে । তোমরা এখন রামের হয়েছো । রামরাজ্যে হলো সুখ আর রাবণ রাজ্যে দুঃখ । ভারতেই সকলের চিত্র আছে, যাঁদের এতো পূজা হয় । এখানে অনেক মন্দির আছে । কেউ হনুমানের পূজারী, কেউ আবার অন্য কারোর । একে বলা হয় ব্লাইন্ড ফেথ ( অন্ধ বিশ্বাস ) । তোমরা এখন জানো যে, আমরাও ব্লাইন্ড ছিলাম । ইনিও জানতেন না যে - ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর কে ছিলেন? যারা পূজ্য ছিলেন, তারাই আবার পূজারী হয়েছেন । সত্যযুগে হলো পূজ্য আর এখানে পূজারী । বাবা কতো ভালোভাবে বোঝান । তোমরা জানো যে, সত্যযুগেই পূজ্য থাকে । এখানে হলো পূজারী, তাই পূজাই করতে থাকে । তোমরা হলে শিবশক্তি । তোমরা এখন না পূজারী, আর না পূজ্য । বাবাকে তোমরা ভুলে যেও না । এ তো সাধারণ তন, তাই না । এই তনে উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবান আসেন । তোমরা তো বাবাকে নিজেদের কাছে নিমন্ত্রণ দাও, তাই না । বাবা এসো, আমরা অতি পতিত হয়ে গেছি । তুমি এই পুরানো পতিত দুনিয়া, পতিত শরীরে এসে আমাদের পাবন বানাও । বাচ্চারা বাবাকে নিমন্ত্রণ করে । এখানে তো কেউই পাবন নেই । অবশ্যই তিনি সকল পতিতদের পাবন বানিয়ে নিয়ে যাবেন, তাই না । তাই সবাইকেই এই শরীর ত্যাগ করতে হবে । মানুষ শরীর ত্যাগ করলে কতো হায় - হায় করে, দোষ দেয় । তোমরা খুশীর সঙ্গে যাও । এখন তোমাদের আত্মা রেস করে, দেখো, কে শিববাবাকে বেশী স্মরণ করে । শিব বাবার স্মরণে থেকে যদি এই দেহ ত্যাগ হয়, তাহলে অহো ! সৌভাগ্য । তরীই পার হয়ে যাবে । বাবা সবাইকে বলেন, এইভাবে পুরুষার্থ করো ।সন্ন্যাসীরাও কেউ কেউ এমন হয় । ব্রহ্মে লীন হওয়ার জন্য অভ্যাস করে । তারপর শেষের দিকে বসে বসে শরীর ত্যাগ করে । চারিদিক শূন্য - স্তব্ধ হয়ে যায় ।

সুখের দিন আবারও আসবে । এরজন্যই তোমরা পুরুষার্থ করো , বাবা আমরা তোমার কাছে যাবো । তোমার স্মরণ করতে করতে যখন আমাদের আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তুমি আমাদের সাথে করে নিয়ে যাবে । পূর্বে যখন কাশী কলবটে জীবন শেষ করতো, তখন খুব প্রেমের সঙ্গেই জীবন সমাপ্ত করতো, ব্যস্ আমরা মুক্ত হয়ে যাবো । এমন মনে করতো । এখন তোমরা বাবাকে স্মরণ করে শান্তিধামে চলে যাও । তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, আর এই স্মরণের বলে পাপ মুক্ত হয়, ওরা মনে করে যে, গঙ্গাজলেই পাপ মুক্ত হওয়া যাবে । মুক্তি প্রাপ্ত করবো । বাবা এখন বোঝান যে, এ কোনো যোগবল নয় । পাপের সাজা ভোগ করতে করতে আবার গিয়ে জন্মগ্রহণ করে, নতুনভাবে আবার পাপের খাতা শুরু হয়ে যায় । বাবা বসে তোমাদের কর্ম - অকর্ম এবং বিকর্মের গতি বোঝান । রামরাজ্যে কর্ম অকর্ম হয়, রাবণ রাজ্যে কর্ম বিকর্ম হয়ে যায় । রাম রাজ্যে কোনো বিকার থাকে না ।

মিষ্টি - মিষ্টি ফুলের মতো বাচ্চারা জানে যে, বাবা আমাদের সব উপায়, সব রহস্য বুঝিয়ে দেন । মুখ্য বিষয় হলো যে, তোমরা বাবাকে স্মরণ করো । পতিত পাবন বাবা তোমাদের সামনে বসে আছেন, তিনি কতো নির্মান । কোনো অহংকার নেই, সম্পূর্ণ সাধারণভাবে তিনি চলাফেরা করেন । বাপদাদা দুজনেই বাচ্চাদের সার্ভেন্ট । তোমাদের হলো দুইজন সার্ভেন্ট, উঁচুর থেকেও উঁচু শিব বাবা, আর প্রজাপিতা ব্রহ্মা বাবা । ওরা তো ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা বলে দেয় । অর্থ তো জানেই না । ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা কি করেন, কিছুই জানে না । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) সর্বদা এই কথা যেন নিশ্চিত থাকে যে, আমরা হলাম ঈশ্বরের সন্তান, আমাদের শ্রেষ্ঠ মতে চলতে হবে । কাউকেই দুঃখ দেবে না । সবাইকে সুখের পথ বলে দিতে হবে ।

২ ) সুপুত্র হয়ে বাবার কাছে বলিহার যেতে হবে, বাবার প্রতিটি কামনা পূরণ করতে হবে । বাপদাদা যেমন নির্মান এবং নিরহংকারী, তেমনই বাবার সমান হতে হবে ।

বরদান:-
স্ব - উন্নতির দ্বারা সেবার উন্নতি করে সত্যিকারের সেবাধারী ভব

স্ব - উন্নতি হলো সেবার উন্নতির বিশেষ আধার । স্ব উন্নতি যদি কম থাকে তাহলে সেবাও কম হবে । কাউকে কেবল মুখের দ্বারা পরিচয় দানই সেবা নয়, বরং প্রতিটি কর্মের দ্বারা শ্রেষ্ঠ কর্মের প্রেরণা দান করা, এও সেবা । যে মন - বাণী এবং কর্মে সদা সেবাতে তৎপর থাকে, তার সেবার দ্বারা শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের অনুভব হয় । যতো সেবা করে, ততই স্বয়ংও এগিয়ে যেতে থাকে । নিজের শ্রেষ্ঠ কর্মের দ্বারা যারা সেবা করে, তারা সদা প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত করতে থাকে ।

স্লোগান:-
সমীপে আসার জন্য চিন্তন, বাণী আর কর্মকে সমান বানাও ।

অব্যক্ত ইশারা :- আত্মিক স্থিতিতে থাকার অভ্যাস করো, অন্তর্মুখী হও

একাগ্রতার আধার হলো অন্তর্মুখতা । অন্তর্মুখী থাকলে সূক্ষ্ম শক্তির লীলা অনুভব করবে । আত্মিক স্থিতিতে থেকে আত্মার আহ্বান করা, আত্মার সঙ্গে আত্মিক কথোপকথন করা, আত্মার সংস্কার - স্বভাব পরিবর্তন করা, আত্মার কানেকশন বাবার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া, এমন রুহানি লীলার অনুভব হবে ।