10.07.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
দেহ অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হও, দেহী-অভিমানীদেরই ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় বলা হয়"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমরা এখন যে সৎসঙ্গ করো সেটা অন্য সৎসঙ্গের সাথে অতুলনীয়, কীভাবে?
উত্তরঃ
এটা এমন এক
সৎসঙ্গ যেখানে তোমরা আত্মা আর পরমাত্মার জ্ঞান শোনো। এখানে অধ্যয়ণ করা হয়। এইম্
অবজেক্টও সামনে আছে। আর কোনো সৎসঙ্গে না পড়াশোনা করা হয়, না কোনো এইম্ অবজেক্ট আছে।
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী
বাচ্চাদের প্রতি আত্মা রূপী বাবা বোঝাচ্ছেন। আত্মা রূপী বাচ্চারা শুনছে। সর্বপ্রথমে
বাবা বোঝান যে, যখনই বসবে নিজেকে আত্মা মনে করে বসো। দেহ মনে ক'রো না।
দেহ-অভিমানীদের আসুরিক সম্প্রদায় বলা হয়। দেহী-অভিমানীদের ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় বলা
হয়। ঈশ্বরের দেহ নেই। তিনি হলেন সর্বদা আত্ম- অভিমানী। তিনি হলেন সুপ্রিম আত্মা,
সকল আত্মাদের পিতা। পরম আত্মা অর্থাৎ উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ। মানুষ যখন উচ্চতমের
চেয়েও উচ্চ ভগবান বলে তখন তো বুদ্ধিতে আসে তিনি হলেন নিরাকার লিঙ্গ রূপ। নিরাকার
লিঙ্গের পূজাও হয়। তিনি হলেন পরমাত্মা অর্থাৎ সকল আত্মাদের থেকে উচ্চ। তিনিও হলেন
আত্মা কিন্তু উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ আত্মা। তিনি জন্ম- মরণের চক্রে আসেন না। এছাড়া
সবাই পুনর্জন্ম নেয় আর সব হলো রচনা। রচয়িতা হলেন একমাত্র বাবা। ব্রহ্মা-
বিষ্ণু-শঙ্করও হলো রচনা। সমগ্র মনুষ্য সৃষ্টিও হলো রচনা। রচয়িতাকে বাবা বলা হয়।
পুরুষকেও রচয়িতা বলা হয়। স্ত্রীকে অ্যাডপ্ট করে তারপর তার দ্বারা ক্রিয়েটর (সৃষ্টি)
করে, পালন করে। ব্যাস্, বিনাশ করে না। আর ধর্ম স্থাপকরা, তারাও ক্রিয়েট করে, তারপর
তাদের পালন করে। বিনাশ কেউই করে না। অসীম জগতের পিতা যাঁকে পরম আত্মা বলা হয়ে থাকে,
যেমন আত্মার রূপ বিন্দু হয়, সেই রকমই পরমপিতা পরমাত্মার রূপও হলো বিন্দু। এছাড়া যে
এতো বড় লিঙ্গ তৈরী করে, সে সব ভক্তি মার্গে পূজার জন্য। বিন্দুর পূজা কীভাবে করবে।
ভারতে রুদ্র যজ্ঞ রচনা করলে তো মাটির শিবলিঙ্গ আর শালগ্রাম তৈরী করে তারপর তার পূজা
করে। সেটাকে রুদ্র যজ্ঞ বলা হয়। বাস্তবে আসল নাম হলো রাজস্ব অশ্বমেধ অবিনাশী রুদ্র
গীতা জ্ঞান যজ্ঞ। যা শাস্ত্রেও লেখা আছে। বাবা এখন বাচ্চাদের বলেন, নিজেকে আত্মা মনে
করো। আর যে সব সৎসঙ্গ আছে তাদের মধ্যে কারোরই আত্মা বা পরমাত্মার জ্ঞান নেই, দিতেও
পারে না। সেখানে তো কোনো এইম্ অবজেক্ট থাকে না। বাচ্চারা, তোমরা এখন অধ্যয়ণ করছো।
তোমরা জানো যে আত্মা শরীরে প্রবেশ করে। আত্মা হলো অবিনাশী, শরীর হলো বিনাশী। শরীর
দ্বারা ভূমিকা পালন করা হয়। আত্মা তো হলো অশরীরী। বলাও হয়ে থাকে উলঙ্গ এসেছি, উলঙ্গ
যেতে হবে। শরীর ধারণ করেছি আবার শরীর ত্যাগ করে উলঙ্গ ভাবে যেতে হবে। এটা বাবা
তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বসে বোঝান। বাচ্চারা এটাও জানে যে ভারতে সত্যযুগ ছিলো,
তখন দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিলো, একটাই ধর্ম ছিলো। ভারতবাসী এটাও জানে না। যারা বাবাকে
জানে না, তারা কিছুই জানে না। প্রচীন ঋষি মুনিরাও বলতেন - আমরা রচনা আর রচয়িতাকে
জানি না। রচয়িতা হলেন অসীম জগতের পিতা, তিনিই রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে ন। আদি
বলা হয় শুরু যা দিয়ে হয়, মধ্য মধ্যবর্তীকে। আদি হলো সত্যযুগ, যাকে দিন বলা হয়,
তারপর মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত রাত। দিন হলো সত্যযুগ-ত্রেতা। স্বর্গ হলো ওয়ান্ডার অফ
ওয়ার্ল্ড । ভারতই স্বর্গ ছিলো যেখানে লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজ্য করতো, এটা ভারতবাসী
জানতো না। বাবা এখন স্বর্গের স্থাপনা করছেন। বাবা বলেন তোমরা নিজেদেরকে আত্মা মনে
করো। আমরা হলাম ফার্স্টক্লাস আত্মা। এই সময় মনুষ্য মাত্র সব হলো দেহ-অভিমানী। বাবা
আত্ম- অভিমানী করে তোলেন। আত্মা কি জিনিস সেটাও বাবা বলে দেন। মানুষ কিছুই জানে না।
যদিও বা বলে ভ্রূকুটির মাঝখানে ঝলমল করে এক আজব তারা, কিন্তু সেটা কি, তার মধ্যে
কীভাবে পার্ট ভরা আছে, সেই সব কিছুই জানে না। এখন বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন যে,
তোমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীদের ৮৪ জন্মের ভূমিকা পালন করতে হয়। ভারতই হলো উচ্চ ভূমি,
যে কোনো মানুষরেই তীর্থ হল এটাই। সবাইকে সদ্গতি করতে বাবা এখানে আসেন। রাবণ রাজ্য
থেকে লিবারেট করে গাইড হয়ে নিয়ে যান। মানুষ তো এমনিই বলে দেয়, অর্থ কিছুই জানে
না। ভারতে সর্বপ্রথমে দেবী-দেবতা ছিলো। তাদেরই আবার পুনর্জন্ম নিতে হয়। ভারতবাসী
যারা তারাই দেবতা তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়। পুনর্জন্ম নেয় যে না! এই নলেজ
সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পর-পর ৭ দিন লাগে। পতিত বুদ্ধিকে পবিত্র করে তুলতে হবে। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ পবিত্র দুনিয়াতে রাজত্ব করতো। তাদেরই রাজ্য ভারতে ছিলো, তাই আর কোনো
ধর্ম ছিলো না। একটাই রাজ্য ছিলো। ভারত কতো সলভেন্ট (সমৃদ্ধশালী) ছিল। হীরে জহরতের
মহল ছিলো আবার রাবণ রাজ্যে পূজারী হয়েছে। আবার ভক্তি মার্গে এই মন্দির ইত্যাদি তৈরী
করেছে। সোমনাথের মন্দির ছিলো না! একটা মন্দির তো হয় না। এখানেও শিবের মন্দিরে এতো
তো হীরে জহরত ছিলো যা মোহম্মদ গজনী উটে ভরে-ভরে নিয়ে গেছে। এতো জিনিস ছিলো যে উঁট
তো কি, কেউ লক্ষ উঁট নিয়ে এলে তাতেও ধরতো না। সত্যযুগে সোনা, হীরা-জহরতের তো অনেক
মহল ছিলো। মোহম্মদ গজনী তো পরে এসেছে। দ্বাপরেও কতো মহল ইত্যাদি হয়। সে সব আবার
আর্থকোয়েকে (ভূকম্পনে) ভিতরে চলে যায়। রাবণের সোনার লঙ্কা তো হয় না। রাবণ রাজ্যে
তো ভারতের এই হাল হয়ে যায়। ১০০ পারসেন্ট রিলিজিয়াস, অনরাইটিয়াস, ইনসালবেন্ট, পতিত
বিশেষ, নূতন দুনিয়াকে বলা হয় ভাইসলেস (পাপমুক্ত)। ভারত শিবালয় ছিলো, যাকে
ওয়ান্ডার অফ ওয়ার্ল্ড বলা হয়। খুব কম মানুষ ছিলো। এখন তো কোটি সংখ্যক মানুষ।
বিচার করা উচিত। এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের জন্য এটা হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ,
যখন কিনা বাবা তোমাদের পুরুষোত্তম, পারশবুদ্ধি সম্পন্ন তৈরী করেন। বাবা তোমাদের
মানুষ থেকে দেবতা হয়ে ওঠার সুমতি দেন। বাবার মতের জন্য গাওয়া হয় তোমার মতি-গতিই
আলাদা.... এরও অর্থ কেউ জানে না। বাবা মনে করেন আমি এমন শ্রেষ্ঠ মত দিই যে তোমরা
দেবতায় পরিণত হয়ে যাও। এখন কলিযুগ সম্পূর্ণ হচ্ছে, পুরানো দুনিয়ার বিনাশ সামনে
স্থির হয়ে আছে। মানুষ একদমই ঘোর অন্ধকারে কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় শুয়ে পড়ে আছে, কারণ
বলে শাস্ত্রে লেখা আছে- কলিযুগ তো এখন হলো বাচ্চা, ৪০ হাজার বছর পড়ে আছে। ৮৪ লক্ষ
যোনী মনে করার কারণে কল্পের আয়ুও লম্বা-চওড়া করে দিয়েছে। বাস্তবে হলো ৫ হাজার বছর।
বাবা বোঝান যে তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাকো না কি ৮৪ লক্ষ। অসীম জগতের পিতা তো এই
সব শাস্ত্র ইত্যাদিকে জানেন, তাই তো বলেন এই সমস্ত হলো ভক্তি মার্গের, যা অর্ধ-কল্প
ধরে চলে, এর দ্বারা কেউ আমাকে পায় না। এটাও বিচার করার ব্যাপার, যদি কল্পের আয়ু
লক্ষ বছর করে দেয়, তবে তো সংখ্যা অনেক হওয়া উচিত। যখন কি না খ্রীশ্চানদের সংখ্যা ২
হাজার বছরে এতো হয়ে গেছে। ভারতের আসল ধর্ম হলো দেবী-দেবতা ধর্ম, সেটা চলে আসা উচিত
ছিলো কিন্তু আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মকে ভুলে যাওয়ার কারণে বলে দেয় আমাদের ধর্ম
হলো হিন্দু। হিন্দু ধর্ম তো হয়ই না। ভারত কতো উচ্চ স্থানীয় ছিলো। আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্ম ছিলো তো বিষ্ণুপুরীও ছিলো। এখন হলো রাবণ পুরী। সেই দেবী-দেবতারাই
৮৪ জন্ম পরে কি হয়ে গেল। দেবতাদের ভাইসলেস মনে করে, নিজেদের ভিসস্ (পাপী) মনে করে
তাদের পূজা করে। সত্যযুগে ভারত ভাইসলেস ছিলো, নতুন দুনিয়া ছিলো, যাকে নতুন ভারত বলা
হতো। এটা হলো পুরানো ভারত। নতুন ভারত কি ছিলো, পুরানো ভারত কি রকম, নতুন দুনিয়াতে
ভারতই নতুন ছিলো,এখন পুরানো দুনিয়াতে ভারতও হলো পুরানো। কি গতি হয়ে গেছে। ভারতই
স্বর্গ ছিলো, এখন হলো নরক। ভারত মোস্ট সলভেন্ট ছিল, ভারতই হলো মোস্ট ইনসলভেন্ট,
সবার থেকে ভিক্ষা চায়। প্রজার থেকেও ভিক্ষা চায়। এটা তো বোঝার ব্যাপার আছে যে না।
আজকের দিনের দেহ-অভিমানী মানুষের অল্প পয়সা এলো তো মনে করে আমি তো স্বর্গে বসে আছি।
সুখধাম(স্বর্গ) কি তা একদম জানে না, কারণ হলো পাথর বুদ্ধি সম্পন্ন। এখন ওদের পরশ
বুদ্ধি (সোনার মতো খাঁটি) সম্পন্ন তৈরী করার জন্য ৭ দিনের ভাট্টিতে বসাও, কারণ পতিত
তোমরা না! পতিতকে তো এখানে বসানো যাবে না। তোমরা এখন বসে আছো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে।
জানো যে, বাবা আমাদের এরকম পুরুষোত্তম তৈরী করেন। এটা সত্যিকারের সত্যনারায়ণের কথা।
সত্য বাবা তোমাদের নর থেকে নারায়ণ হয়ে ওঠার রাজযোগ শেখাচ্ছেন। জ্ঞান আছে
শুধুমাত্র বাবার কাছে, যাকে জ্ঞানের সাগর বলা হয়। শান্তির সাগর, পবিত্রতার সাগর এসব
হলো সেই একেরই মহিমা। দ্বিতীয় কারোর মহিমা হতে পারে না। দেবতাদের মহিমা হলো পৃথক,
পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা হলো পৃথক। তিনি হলেন পিতা, কৃষ্ণকে বাবা বলা হবে না। এখন
কে ভগবান দাঁড়ালো? এখনো পর্যন্ত ভারতবাসী মানুষদের জানা নেই। কৃষ্ণ ভগবানুবাচ বলে
দেয়। সে তো সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। সূর্যবংশী হয়ে চন্দ্রবংশী হয়ে বৈশ্য বংশী...,
মানুষ 'আমিই সেই' এর অর্থও বোঝে না। আমি আত্মাই পরমাত্মা বলে দেয়, কিরকম রঙ্ হলো।
এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, ভারতের চড়তি কলা বা আরোহণের কলা আর অবরোহণের কলা কীভাবে
হয়। এটা হলো জ্ঞান, সেই সমস্ত হলো ভক্তি। সত্যযুগে সবাই পবিত্র ছিলো, রাজা রাণীর
রাজ্য চলতো। সেখানে উজিরও থাকে না কারণ রাজা-রাণী নিজেরাই হলো মালিক। বাবার থেকে
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছে। ওদের জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, লক্ষ্মী-নারায়ণের কোনো রায়
নেওয়ার দরকার পড়ে না। সেখানে পরামর্শদাতা (উজির) থাকে না। ভারতের মতো পবিত্র দেশ
কিছু ছিলো না। মহান পবিত্র দেশ ছিলো। নাম ছিলোই স্বর্গ, এখন হলো নরক। নরক থেকে আবার
স্বর্গ তৈরী করবেন একমাত্র বাবা। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
একমাত্র বাবার সুমতে চলে মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে।
২ ) ৭ দিনের ভাট্টিতে
বসে পতিত বুদ্ধিকে পবিত্র বুদ্ধি করে তুলতে হবে। সত্য বাবার থেকে সত্য-নারায়ণের
সত্যিকারের কথা শুনে নর থেকে নারায়ণ হয়ে উঠতে হবে।
বরদান:-
প্রতিটি
খাজানাকে বাবার ডাইরেক্শন অনুসারে কাজে লাগিয়ে অনেস্ট বা সৎ ভব
অনেস্ট অর্থাৎ সৎ তাকে
বলা হয় যে, বাবার থেকে প্রাপ্ত হওয়া খাজানাগুলিকে বাবার ডাইরেক্শন ছাড়া কোনও কাজে
ব্যবহার করে না। যদি সময়, বাণী, কর্ম, শ্বাস বা সংকল্প পরমত বা সঙ্গদোষে ব্যর্থ
নষ্ট করো, স্বচিন্তনের পরিবর্তে পরচিন্তন করতে থাকো, স্বমানের পরিবর্তে
কোনওপ্রকারের অভিমানে আসো, শ্রীমতের পরিবর্তে মনমতের আধারে চলতে থাকো, তাহলে
তোমাদেরকে অনেস্ট বলা হবে না। এইসব খাজানা বিশ্ব কল্যাণের জন্য প্রাপ্ত হয়েছে, তাই
সেই কাজেই ব্যবহার করা, এটাই হলো অনেস্ট হওয়া।
স্লোগান:-
অপজিশন
মায়ার সাথে করতে হবে, দৈবী পরিবারের সাথে নয়।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সংকল্পের শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ সেবার নিমিত্ত হও
সকল আত্মারা একটাই
অসীম জগতের পরিবারের, নিজের পরিবারের কোনও আত্মা বরদান থেকে বঞ্চিত না থেকে যায় -
এইরকম উৎসাহ-উদ্দীপনার শ্রেষ্ঠ সংকল্প হৃদয়ে যেন সদা থাকে। নিজের প্রবৃত্তিতেই বিজি
থেকো না, অসীম জগতের স্টেজের উপর স্থিত থাকো, অসীম জগতের আত্মাদের সেবার শ্রেষ্ঠ
সংকল্প করো, এটাই হল সফলতার সহজ সাধন।