12-10-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
17-03-2007 মধুবন
"শ্রেষ্ঠ বৃত্তির দ্বারা ভাইব্রেশন আর বায়ুমণ্ডল
শক্তিশালী বানানোর তীব্র পুরুষার্থ করো, আশীর্বাদ দাও আর আশীর্বাদ নাও"
আজ ভালোবাসা আর শক্তির সাগর বাপদাদা নিজের স্নেহী, হারানিধি, আদরের বাচ্চাদের সাথে
মিলনের জন্য এসেছেন। সব বাচ্চা দূর দূর থেকে স্নেহের আকর্ষণে মিলন উদযাপন করতে পৌঁছে
গেছো। সমুখে বসে হোক অথবা দেশ বিদেশে বসে স্নেহের মিলন উদযাপন করছ। বাপদাদা
চতুর্দিকের সর্ব স্নেহী, সর্ব সহযোগী সাথী বাচ্চাদের দেখে আনন্দিত হন। বাপদাদা
দেখছেন মেজরিটি বাচ্চাদের হৃদয়ে একটাই সংকল্প রয়েছে, এখন শীঘ্রাতিশীঘ্র বাবাকে
প্রত্যক্ষ করানোর। বাবা বলেন সব বাচ্চার উৎসাহ উদ্দীপনা খুব ভালো, কিন্তু বাবাকে
তখনই প্রত্যক্ষ করাতে পারবে যখন প্রথমে নিজেকে বাবা সমান সম্পন্ন সম্পূর্ণ রূপে
প্রত্যক্ষ করাবে। তো বাচ্চারা বাবাকে জিজ্ঞাসা করে প্রত্যক্ষতা কবে হবে? আর বাবা
বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন তোমরা বলো তোমরা কবে নিজেকে বাবা সমান প্রত্যক্ষ করাবে?
নিজেদের সম্পন্ন হওয়ার ডেট ফিক্স করেছো? যারা ফরেন থেকে তারা তো বলে এক বছর আগে
ডেট ফিক্স করা হয়ে থাকে। তো নিজেদের মধ্যে মিটিং করে নিজেদেরকে বাবা সমান হওয়ার
ডেট ফিক্স করেছো?
বাপদাদা দেখেন আজকাল তো সব বর্গেরও অনেক মিটিং হয়। বাপদাদা ডবল ফরেনারদেরও মিটিং
শুনেছেন। খুব ভালো লেগেছে। সব মিটিং বাপদাদার কাছে তো পৌঁছেই যায়। তো বাপদাদা
জিজ্ঞাসা করেন এর ডেট কবে ফিক্স করেছো? এই ডেট কি ড্রামা ফিক্স করবে, নাকি তোমরা
ফিক্স করবে? কে করবে? তোমাদের তো লক্ষ্য রাখতেই হবে। তাছাড়া তোমরা তো সবচাইতে ভালো,
উৎকৃষ্ট লক্ষ্য রেখেছ, এখন শুধু যেমন লক্ষ্য রেখেছো তেমনভাবে লক্ষণ শ্রেষ্ঠ
লক্ষ্যের সমান বানাতে হবে। এখনো লক্ষ্য আর লক্ষণের মধ্যে ফারাক আছে। যখন লক্ষ্য আর
লক্ষণ সমান হয়ে যাবে তখন লক্ষ্য প্র্যাকটিক্যালে এসে যাবে। সব বাচ্চা যখন
অমৃতবেলায় মিলন উদযাপন করে এবং সংকল্প করে তখন সেটা খুব ভালো করে। বাপদাদা
চতুর্দিকের সব বাচ্চার আত্মিক আলাপচারিতা শোনেন। খুব সুন্দর কথা বলে। পুরুষার্থও
খুব ভালো করে। কিন্তু পুরুষার্থে একটা বিষয়ে তীব্রতা প্রয়োজন। পুরুষার্থ হচ্ছে
কিন্তু তীব্র পুরুষার্থ প্রয়োজন। অ্যাডিশন হিসেবে তীব্রতার দৃঢ়তা চাই।
বাপদাদার সব বাচ্চার প্রতি এই আশা রয়েছে যে সময় অনুসারে প্রত্যেকে যেন তীব্র
পুরুষার্থী হয়। নম্বরক্রমে হতে পারে, বাপদাদা জানেন। কিন্তু নম্বরক্রমেও যেন সদা
তীব্র পুরুষার্থ থাকে, এটার প্রয়োজন আছে। সময় সম্পন্ন হওয়াতে তীব্রতার সাথে তোমরা
চলছ, কিন্তু এখন বাচ্চাদেরকে বাবা সমান হতেই হবে, এটাও নিশ্চিতই আছে, শুধু এতে
তীব্রতা চাই। প্রত্যেকে নিজেকে চেক করো - আমি সদা তীব্র পুরুষার্থী হয়েছি? কেননা,
পুরুষার্থে পেপার তো অনেক আসেই আর আসারই আছে, কিন্তু তীব্র পুরুষার্থীর জন্য পেপারে
পাস হওয়া এতটাই নিশ্চিত - তীব্র পুরুষার্থী পেপারে পাস হয়েই আছে। হতে হবে নয়,
হয়েই আছে, এটা নিশ্চিত। সেবাও সবাই উত্তম আগ্রহের সাথে করছে। কিন্তু বাপদাদা আগেও
বলেছেন যে বর্তমান সময় অনুসারে একই সময়ে মন্সা বাচা আর কর্মণা অর্থাৎ আচরণ আর
মুখমণ্ডল দ্বারা তিন রকমের সেবাই প্রয়োজন। মন্সা দ্বারা অনুভব করাও, বাণী দ্বারা
জ্ঞানের ভাণ্ডারের পরিচয় করাও আর আচরণ বা মুখমণ্ডল দ্বারা সম্পূর্ণ যোগী জীবনের
প্র্যাকটিক্যাল রূপের অনুভব করাও। তিন সেবাই একটা সময় করতে হবে। আলাদা আলাদা ভাবে
নয়, সময় কম আর এখনও অনেক সেবা করতে হবে। বাপদাদা দেখেছেন যে সেবার সবচাইতে সহজ
সাধন হলো - বৃত্তির দ্বারা ভাইব্রেশন বানাতে হবে কেননা বৃত্তি সবচাইতে তেজী সাধন।
যেমন সায়েন্সের রকেট ফাস্ট যায়, ঠিক তেমনই তোমাদের আধ্যাত্মিক শুভ ভাবনা শুভ
কামনার বৃত্তি, দৃষ্টি আর সৃষ্টিকে বদলে দেয়। এক স্থানে বসেও বৃত্তি দ্বারা সেবা
করতে পারো। শোনা বিষয় তবুও ভুলে যেতে পারো কিন্তু বায়ুমণ্ডল থেকে যে অনুভব হয়,
তা' কেউ ভোলে না। মধুবনে যেমন তোমরা অনুভব করেছ ব্রহ্মা বাবার কর্মভূমি, যোগ ভূমি,
চরিত্র ভূমির বায়ুমণ্ডল। এখনো পর্যন্ত প্রত্যেকে সেই বায়ুমণ্ডলের যে অনুভব করে
সেটা ভোলে না। বায়ুমণ্ডলের অনুভব হৃদয়ে ছেপে যায়। তো বাণী দ্বারা বড়-বড়ো
প্রোগ্রাম তোমরা তো করেই থাকো, কিন্তু প্রত্যেককে নিজের শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক বৃত্তি
দ্বারা, ভাইব্রেশন দ্বারা বায়ুমণ্ডল তৈরি করতে হবে, কিন্তু বৃত্তি আধ্যাত্মিক এবং
শক্তিশালী তখনই হবে যখন নিজের হৃদয়ে, বুদ্ধিতে কারও প্রতিও বিপরীত বৃত্তির
ভাইব্রেশন হবে না। নিজের বুদ্ধির বৃত্তি সদা স্বচ্ছ হবে, কেননা কোনও আত্মার প্রতি
যদি কোনো ব্যর্থ বৃত্তি কিংবা জ্ঞানের হিসেবে নেগেটিভ বৃত্তি থাকে তবে নেগেটিভ মানে
আবর্জনা, যদি মনে আবর্জনা থাকে তবে শুভ বৃত্তি দ্বারা সেবা করতে পারবে না। সুতরাং
প্রথমে নিজেকে নিজে চেক করো, আমার মনের বৃত্তি শুভ, আধ্যাত্মিক হয়েছে? নেগেটিভ
বৃত্তিকেও নিজের শুভ ভাবনা শুভ কামনা দ্বারা পজিটিভে চেঞ্জ করতে পারো, কেননা
নেগেটিভে নিজেরই মনে বিভ্রান্তি হয় তো না! নিরন্তর ওয়েস্ট থটস চলে, চলে না! তো
প্রথমে নিজেকে চেক করো যে আমার মনে কোনো অসহিষ্ণুতা নেই তো? নম্বরক্রম তো আছে,
ভালোও যদি থাকে তো সাথে অসহিষ্ণু যারা তারাও আছে, কিন্তু এ' এরকমই, এটা বুঝতে পারা
ভালো। যে রং তাকে রং হিসেবে বুঝতে পারা, আর যে রাইট তাকে রাইট বুঝতে পারা ভালো
কিন্তু হৃদয়ে বসতে দিও না। বুঝতে পারা আলাদা বিষয়, নলেজ ফুল হওয়া ভালো, রং-কে রং
বলো তো না! অনেক বাচ্চা বলে, বাবা আপনি জানেন না এ' কিরকম! আপনি যদি দেখেন তো জেনে
যাবেন। বাবা সেটা মানেন, তোমাদের বলার আগেই মেনে নেন যে সে এরকম, কিন্তু এমন বিষয়কে
নিজের হৃদয়ে বৃত্তিতে রেখে দিলে নিজেও তো বিভ্রান্ত হও। তাছাড়া, খারাপ জিনিস যদি
মনে থাকে, হৃদয়ে থাকে তাহলে যেখানে খারাপ জিনিস আছে, ওয়েস্ট থটস আছে, সে বিশ্ব
কল্যাণকারী কীভাবে হবে? তোমাদের সকলের অক্যুপেশন কী? কেউ বলবে আমি লণ্ডনের
কল্যাণকারী, দিল্লির কল্যাণকারী, ইউ.পি.র কল্যাণকারী? নাকি যেখানেই থাকবে, দেশ নয়তো
শহর সেখানের কল্যাণকারী? তোমরা সবাই এই অক্যুপেশন বলে থাকো বিশ্ব কল্যাণকারী। তো
সবাই তোমরা কে? বিশ্ব কল্যাণকারী? যদি হও তো হাত তোলো।(সবাই হাত উঠিয়েছে) বিশ্ব
কল্যাণকারী! বিশ্ব কল্যাণকারী! আচ্ছা। তাহলে, মনে কোনও দোষ-ত্রুটি নেই তো! বুঝতে
পারা আলাদা বিষয়, যদি বা বুঝছ এটা রাইট, এটা রং, কিন্তু মনে বসিও না। মনে বৃত্তি
বজায় রাখাতে দৃষ্টি আর সৃষ্টিও বদলে যায়।
বাপদাদা হোম ওয়ার্ক দিয়েছিলেন - কী দিয়েছিলেন? সর্বাপেক্ষা সহজ পুরুষার্থ হলো,
যা সবাই করতে পারে, মাতারাও করতে পারে যারা খারাপ তারাও করতে পারে, যুবারাও করতে
পারে, বাচ্চারাও করতে পারে, তা' হলো এটাই - যে কোনো কারও সঙ্গে যখন সম্পর্কে আসছ
তখন 'আশীর্বাদ দাও আর আশীর্বাদ নাও।' হতে পারে সে অভিশাপ দেয়, কিন্তু তোমরা কী
কোর্স করাও? নেগেটিভকে পজিটিভে পরিবর্তনের, তো সেই সময় নিজেকেও কোর্স করাও। কী
চ্যালেঞ্জ রয়েছে? চ্যালেঞ্জ আছে যে প্রকৃতিকেও তমঃ গুণী থেকে সতঃ গুণী বানাতেই হবে।
এই চ্যালেঞ্জ আছে তো না! আছে? তোমরা সবাই এই চ্যালেঞ্জ করেছ যে প্রকৃতিকেও সতঃ
প্রধান বানাতে হবে? বানাতে হবে? কাঁধ নাড়াও, হাত নাড়াও। দেখ, দেখাদেখি নাড়িও না।
হৃদয় থেকে নাড়িও, কেননা এখন সময় অনুসারে বৃত্তি দ্বারা বায়ুমণ্ডল বানানোর তীব্র
পুরুষার্থের আবশ্যকতা আছে। তো বৃত্তিতে যদি সামান্যতম আবর্জনা থাকে তবে বৃত্তি
দ্বারা কীভাবে বায়ুমণ্ডল বানাবে? প্রকৃতি পর্যন্ত তোমাদের ভাইব্রেশন যাবে, বাণী তো
যাবে না। ভাইব্রেশন যাবে আর ভাইব্রেশন তৈরি হয় বৃত্তি দ্বারা এবং ভাইব্রেশন দ্বারা
বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়। মধুবনেও সবাই একরম তো নয়। কিন্তু ব্রহ্মা বাবা আর অনন্য
বাচ্চাদের বৃত্তি দ্বারা, তীব্র পুরুষার্থ দ্বারা বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়েছে।
আজ তোমাদের দাদিকে মনে পড়ছে, দাদির বিশেষত্ব কী দেখেছ? কীভাবে কন্ট্রোল করেছেন? যে
যেমনই বৃত্তির হোক না কেন দাদি কখনও তাদের খামতি মনের মধ্যে রাখেননি। সবাইকে উৎসাহ
দিয়েছেন। তোমাদের জগদম্বা মা বায়ুমণ্ডল তৈরি করেছেন। তিনি সবকিছু জেনেও সদা নিজের
শুভ বৃত্তি বজায় রেখেছেন। যার বায়ুমণ্ডলের অনুভব তোমরা সবাই করছো। হতে পারে ফলো
ফাদার করছ, কিন্তু বাপদাদা প্রায়শঃ বলেন যে প্রত্যেকের বিশেষত্ব জেনে সেই
বিশেষত্বকে নিজের বানাও। আর প্রত্যেক বাচ্চার মধ্যে এটা নোট করো, বাপদাদার যারা
বাচ্চা হয়েছে সেই প্রত্যেক বাচ্চার মধ্যে, তৃতীয় নম্বর হলেও কিন্তু এটা ড্রামার
বিশেষত্ব, বাপদাদার বরদান। হতে পারে সব বাচ্চার মধ্যে ৯৯ টাই ভুল কিন্তু একটা
বিশেষত্ব অবশ্যই আছে। যে বিশেষত্ব দ্বারা আমার বাবা বলার অধিকারী তোমরা। তারা পরবশ
কিন্তু বাবার প্রতি অটুট ভালোবাসা থাকে। সেইজন্য বাপদাদা এখন সময়ের নৈকট্য অনুসারে
প্রত্যেকে যারাই বাবার স্থানে আছে, গ্রামে থাকুক বা বড় জোনে অথবা সেন্টারে কিন্তু
প্রত্যেক স্থান আর সাথীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বৃত্তির বায়ুমণ্ডল আবশ্যক। কেবল একটা
শব্দ স্মরণে রাখো যদি কেউ অভিশাপ দেয়ও তো নেয় কে? যে দেয় আর যে নেয় তারা এক নাকি
দ্বিতীয় কেউ? যদি কেউ তোমাকে খারাপ জিনিস দেয় তুমি কী করবে? নিজের কাছে রাখবে?
নাকি ফিরিয়ে দেবে? নাকি ফেলে দেবে? অথবা আলমারিতে যত্ন করে রেখে দেবে? তো যত্ন করে
হৃদয়ে রেখো না। কেননা, তোমাদের হৃদয় বাপদাদার আসন। সেইজন্য একটা শব্দ এখন মনের
মধ্যে পাকা করে নাও, মুখে নয়, মনের মধ্যে স্মরণ করো - আশীর্বাদ দিতে হবে, আশীর্বাদ
নিতে হবে। কোনও নেগেটিভ বিষয় মনের মধ্যে রেখো না। আচ্ছা এক কান দিয়ে শুনেছো, আরেক
কান দিয়ে বের করে দেওয়া সেটা তোমাদের কাজ, নাকি অন্যদের কাজ? তবেই বিশ্বে
আত্মাদের মধ্যে ফাস্ট গতির সেবা বৃত্তি দ্বারা বায়ুমণ্ডল বানাতে পারবে। বিশ্ব
পরিবর্তন করতে হবে তো না! তো কী স্মরণে রাখবে? মন থেকে স্মরণে রেখেছ? আশীর্বাদ শব্দ
স্মরণ রাখো, ব্যস্! কেননা, তোমাদের জড় চিত্র কী দেয়? আশীর্বাদ দেয় তো না! মন্দিরে
গিয়ে তারা কী চায়? আশীর্বাদ চায়, তাই না! আশীর্বাদ পায় তবেই তো আশীর্বাদ চায়।
লাস্ট জন্মেও তোমাদের জড় চিত্র আশীর্বাদ দেয়, বৃত্তি দ্বারা তাদের কামনা পূর্ণ করে।
তো তোমরা বারবার এমন আশীর্বাদক হয়েছ, তবেই তোমাদের চিত্র আজ পর্যন্ত দিয়ে যাচ্ছে।
আচ্ছা ঠিক আছে, পরবশ আত্মাদের যদি ক্ষমার সাগরের বাচ্চারা একটু ক্ষমা করে দেয় তবে
তো ভালই তো না! তো সবাই তোমরা মাস্টার ক্ষমার সাগর হয়েছো? হয়েছ, নাকি হওনি? হয়েছ
না! বলো, 'প্রথমে আমি।' এক্ষেত্রে, হে অর্জুন হও। এমন বায়ুমণ্ডল বানাও যে কেউই
সামনে আসুক না কেন সে যেন কিছু না কিছু স্নেহ নিতে পারে, সহযোগ নিতে পারে, ক্ষমার
অনুভব করতে পারে, সাহসের অনুভব করতে পারে, সহযোগের অনুভব করতে পারে, উৎসাহ
উদ্দীপনার অনুভব করতে পারে। এমন হতে পারে? হতে পারে? যারা প্রথম লাইনে আছো, হতে পারে?
হাত তোলো। প্রথমে করতে হবে। তো সবাই করবে তোমরা? টিচার্স করবে?
জায়গা জায়গা থেকে বাচ্চাদের ই-মেল আর পত্র তো আসেই। তো যারা পত্রও লেখনি কিন্তু
সংকল্প করেছো, তো যারা সংকল্প করেছো তাদেরও স্মরণ স্নেহ বাপদাদার কাছে পৌঁছে গেছে।
তোমরা খুব মিষ্টি মিষ্টি পত্র লেখো। পত্র এমনভাবে লেখো যেন মনে হয় যে এই উৎসাহ
উদ্দীপনায় নিরন্তর উড়বে। তবুও ভালো, পত্র লেখার দরুণ নিজেকে বন্ধনে বেঁধে নাও,
প্রতিজ্ঞা করো তো না! তো চতুর্দিকে যারা যেখান থেকে দেখছ কিংবা শুনছ, বাপদাদা
তাদেরও সবাইকে সম্মুখস্থ এদের আগে স্মরণ স্নেহ দিচ্ছেন। কেননা, বাপদাদা জানেন যে
কোথাও একরকম টাইম, কোথাও আরেকরকম টাইম, কিন্তু সবাই অনেক উৎসাহের সাথে বসে আছে,
স্মরণে থেকে শুনছেও। আচ্ছা।
সবাই সংকল্প করেছে, তীব্র পুরুষার্থ করে নম্বর ওয়ান হতেই হবে। করেছো? হাত তোলো।
আচ্ছা এখন টিচার্স উঠাচ্ছে। প্রথম লাইন তো আছেই, তাই না! এটা ভালো, বাপদাদা এটাও
ডিরেকশন দিয়েছেন যে সারাদিনে মধ্যে মধ্যে পাঁচ মিনিটও যদি পাও, সেই সময়ে মনের
এক্সারসাইজ করো। কেননা, আজকালকার দুনিয়া এক্সারসাইজের। তো পাঁচ মিনিটে মনের
এক্সারসাইজ করো, মনকে পরম ধামে নিয়ে যাও, সূক্ষ্ম বতনে ফরিস্তাভাব স্মরণ করো,
তারপর পূজ্য রূপ স্মরণ করো। তারপরে ব্রাহ্মণ রূপ স্মরণ করো, তার পরে দেবতা রূপের
স্মরণ করো। কত রূপ হলো? পাঁচ। তো পাঁচ মিনিটে ৫ - এই এক্সারসাইজ করো আর সারাদিনে
ঘুরতে ফিরতে এটা করতে পারো। এর জন্য ময়দানের প্রয়োজন নেই, দৌড়াতে হবে না, না
কেদারা দরকার, না সিট দরকার, না মেসিন দরকার। আর যেভাবে এক্সারসাইজ করা শরীরের জন্য
আবশ্যক, সেটা করো, তার জন্য বাধা-নিষেধ নেই। কিন্তু মনের এই ড্রিল, এক্সারসাইজ, মনকে
সদা খুশি রাখবে। উৎসাহ উদ্দীপনায় রাখবে, উড়তি কলার অনুভব করাবে। তো এখন এখনই এই
ড্রিল সবাই শুরু করো - পরমধাম থেকে দেবতা পর্যন্ত। (বাপদাদা ড্রিল করিয়েছেন) আচ্ছা
-
চতুর্দিকে, যারা সদা নিজের বৃত্তি দ্বারা অধ্যাত্ম শক্তিশালী বায়ুমণ্ডল তৈরি করে
এমন তীব্র পুরুষার্থী বাচ্চাদের, সদা নিজের স্থান আর স্থিতিকে শক্তিশালী ভাইব্রেশনে
অনুভব করায় এমন দৃঢ় সংকল্পের শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, যারা সদা আশীর্বাদ দেয় এবং নেয়
এমন হৃদয়বান আত্মাদের, সদা নিজেকে নিজে উড়তি কলার অনুভব করায় এমন ডবল লাইট
আত্মাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।
বরদান:-
বিশাল বুদ্ধির দ্বারা সংগঠনের শক্তি বাড়িয়ে সফলতা
স্বরূপ ভব
সংগঠনের শক্তি বাড়ানো - এটা ব্রাহ্মণ জীবনের প্রথম
শ্রেষ্ঠ কার্য। এর জন্য যখন কোনও পরিস্থিতি মেজরিটি ভেরিফাই করে, তখন যেখানে মেজরিটি
সেখানে আমি - এটাই সংগঠনের শক্তি বাড়ানো।এক্ষেত্রে এই বড়াই ক'রো না আমার
যুক্তি-বিচার তো খুব ভালো। যতই ভালো হোক না কেন কিন্তু তাতে যদি সংগঠন ভেঙে যায় তবে
সেই ভালও সাধারণ হয়ে যাবে। সেই সময় যদি নিজের বিচার ত্যাগও করতে হয় তবে সেই
ত্যাগের মধ্যেই ভাগ্য রয়েছে। এটাই সফলতা স্বরূপ হবে। সমীপ সম্বন্ধে আসবে।
স্লোগান:-
সর্ব সিদ্ধি প্রাপ্ত করার জন্য মনের একাগ্রতা বাড়াও।
অব্যক্ত ইশারা :- স্বয়ং এবং সকলের প্রতি মন্সা
দ্বারা যোগের শক্তির প্রয়োগ করো এখন সময় মন্সা আর বাচা সেবা, একসাথে করো। কিন্তু
বাচা সেবা সহজ, মন্সাতে অ্যাটেনশন দেওয়ার ব্যাপার আছে, সেইজন্য সর্ব আত্মার প্রতি
মন্সাতে শুভ ভাবনা শুভ কামনার সংকল্প যেন থাকে। বোলে মধুরতা, সন্তুষ্টতা, সফলতার
নবীনত্ব যদি হয় তবে নিরন্তর সহজ সফলতা লাভ হবে।