13.05.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - অনেক দেহধারীর প্রতি প্রীতি দূর করে এক বিদেহী বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের সব অঙ্গ শীতল হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ -
যারা দৈবী কুলের আত্মা, তাদের নিদর্শন কি হবে?

উত্তরঃ  
দৈবী কুলের আত্মাদের এই পুরানো দুনিয়ার প্রতি সহজেই বৈরাগ্য আসবে । ২) তাদের বুদ্ধি অসীম জগতের প্রতি থাকবে । শিবালয়ে যাওয়ার জন্য তারা পাবন ফুল হওয়ার পুরুষার্থ করবে । ৩) কারোরই আসুরী আচার-আচরণ থাকবে না । ৪) সকলেই নিজের পোতামেল রাখবে যে, কোনো আসুরী কর্ম হয়ে যায় নি তো? বাবাকে সত্য কথা শোনাবে । কিছুই লুকাবে না ।

গীতঃ-
না তিনি আমাদের থেকে পৃথক হবেন...

ওম্ শান্তি ।
এখন এ হলো অসীম জগতের কথা । জাগতিক কথা সব দূর হয়ে যায় । দুনিয়াতে তো মানুষ অনেককেই স্মরণ করে থাকে। অনেক দেহধারীর সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক থাকে । বিদেহী একজনই, যাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা শিব বলা হয় । তোমাদের এখন তাঁর সঙ্গেই বুদ্ধির যোগ জুড়তে হবে । কোনো দেহধারীকেই স্মরণ করবে না । ব্রাহ্মণ ইত্যাদিদের খাওয়ানো, এসব হলো কলিযুগের রীতি - নিয়ম । ওখানকার রীতিনীতি আর এখনকার রীতিনীতি সম্পূর্ণ পৃথক । এখানে কোনো দেহধারীকেই স্মরণ করবে না । যতক্ষণ না সেই অবস্থা আসে, ততক্ষণ পুরুষার্থ চলতে থাকে । বাবা বলেন যে, যতটা সম্ভব পুরানো দুনিয়াকে, যা চলে এসেছে বা যা এখন চলছে বা আছে, সেই সবকিছুকেই ভুলে যেতে হবে । সারাদিন বুদ্ধিতে এই যেন চলতে থাকে যে, কাকে কিভাবে বোঝাবো । সবাইকেই বলতে হবে যে, তোমরা এসে এই ওয়ার্ল্ডের পাস্ট, প্রেজেন্ট এবং ফিউচারকে বোঝো, যা কেউই জানে না । পাস্ট অর্থাৎ কবে থেকে শুরু হয়েছিলো । প্রেজেন্ট হলো এখন কি আছে । শুরু হয়েছিলো সত্যযুগ থেকে । তাই সত্যযুগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আর ভবিষ্যতে কি হবে - দুনিয়া তার কিছুই জানে না । তোমরা বাচ্চারা তা জানো, তাই চিত্র ইত্যাদি তৈরী করো । এ হলো অসীম জগতের বৃহৎ নাটক । জগতের ওই মিথ্যা নাটক তো অনেক বানানো হয় । যারা স্টোরি লেখে তারা আলাদা হয়, আবার নাটকের সীন - সীনারি যারা তৈরী করে তারা আলাদা হয় । এই সমস্ত রহস্য এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । এখন তোমরা যা কিছুই দেখছো, সেসব আর থাকবে না । সব বিনাশ হয়ে যাবে । তাই তোমাদের সত্যযুগের সেই নতুন দুনিয়ার সিন- সিনারী খুব ভালোভাবে দেখাতে হবে । আজমীরে যেমন সোনার দ্বারিকা আছে, তার থেকেও সীন - সীনারি নিয়ে আলাদা ভাবে তৈরী করে নতুন দুনিয়া দেখাও । এই পুরানো দুনিয়াতে আগুন লেগে যাবে, এরও তো নক্সা আছে, তাই না । আর এখন এই নতুন দুনিয়া ইমার্জ হচ্ছে । এমনভাবে খেয়াল করে খুব ভালোভাবে বানানো উচিত । এখানে তো তোমরা সবই বুঝতে পারো । এই সময় মানুষের যেন সম্পূর্ণ পাথর বুদ্ধি । তোমরা কতো বোঝাও, তবুও বুদ্ধিতে বসে না । নাটকে যেমন খুব সুন্দর সিন - সিনারী বানানো হয় তেমনই কারোর থেকে সাহায্য নিয়ে খুব সুন্দরভাবে স্বর্গের সীন - সীনারি বানানো উচিত । ওরা খুব ভালো আইডিয়া দেবে । উপায় বলে দেবে । ওদের বুঝিয়ে এমন সুন্দর করে সব বানানো উচিত যাতে মানুষও এসে বুঝতে পারে । সত্যযুগে তো বরাবর একই ধর্ম ছিলো । বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে, যাদের এই ধারণা হয় । দেহ বোধের বুদ্ধিকে ছিঃ - ছিঃ বলা হয় । দেহী - অভিমানী বুদ্ধিকে ফুলের মতো বলা হয় । তোমরা এখন ফুল তৈরী হচ্ছো । দেহ বোধ থাকলে যে কাঁটা সেই কাঁটাই থেকে যায় । বাচ্চারা, তোমাদের তো এই পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য আছে । তোমাদের হলো অসীম জগতের বুদ্ধি, অসীম জগতের বৈরাগ্য । আমাদের এই বেশ্যালয়ের প্রতি খুবই ঘৃণা । এখন আমরা শিবালয়ে যাওয়ার জন্য ফুল তৈরী হচ্ছি । এমন তৈরী হতে হতে যদি কারোর চলন খুব খারাপ হয়ে যায়, তখন মনে করা হয় যে, এর মধ্যে ভূতের প্রবেশ হয়েছে । একই ঘরে পতি হংস তৈরী হচ্ছে, পত্নী যদি না বোঝে তখন সমস্যা তৈরী হয় । সহ্য করতে হয় । তখন মনে করতে হয় যে, এর ভাগ্যে এমন নেই । সবাই তো আর দৈবী কুলের হবে না, যারা দৈবী কুলের হবে, তারাই তৈরী হবে । অনেকেরই খারাপ চালচলনের রিপোর্ট আসে । এই - এই আসুরী গুণ আছে তাই বাবা রোজ বোঝান যে, রাতে নিজের পোতামেল দেখো যে, আজ আমি কোনো আসুরী কাজ তো করিনি? বাবা বলেন যে, সারাজীবনে যে - যে ভুল কাজ করেছো তা বাবাকে বলো । কেউ যদি অনেক বড় ভুল করে তখন সার্জেনকে বলতে লজ্জা পায় কেননা সম্মান তো চলে যাবে, তাই না । না বললে তখন তো লোকসান হয়ে যাবে । মায়া এমন থাপ্পড় মারে যে একদম সর্বনাশ করে দেয় । মায়া খুবই জোরদার । তোমরা যদি পাঁচ বিকারকে জয় করতে না পারো তাহলে বাবা আর কি করবেন ।

বাবা বলেন যে - আমি দয়ালুও, আবার কালেরও কাল । আমাকে ডেকেই থাকে, পতিত পাবন, তুমি এসে পাবন বানাও । দুইই তো আমার নাম, তাই না । আমি কেমন দয়ালু আর কিভাবে আমি কালেরও কাল, সেই পার্ট এখন প্লে করছি । আমি কাঁটাকে ফুলে পরিণত করি তাই তোমাদের বুদ্ধিতে সেই খুশী আছে । অমরনাথ বাবা বলছেন, তোমরা সকলেই পার্বতী । এখন তোমরা মামেকম্ স্মরণ করো, তাহলে অমরপুরীতে চলে যাবে । আর তোমাদের পাপ নাশ হয়ে যাবে । ওই যাত্রা করলে তো তোমাদের পাপ নাশ হয় না । সে হলো ভক্তিমার্গের যাত্রা । বাচ্চাদের এই প্রশ্নও জিজ্ঞেস করা হয় যে, খরচ কিভাবে চলে, কিন্তু কেউই বাবাকে খবর দেয় না যে, তোমরা এই রেসপন্ড করেছো । এতো সব বাচ্চারা ব্রহ্মার সন্তান সব ব্রাহ্মণ, তাহলে আমরাই তো আমাদের জন্য সব খরচ করবো, তাই না । রাজত্বও আমরা শ্রীমতে চলে নিজেদের জন্য স্থাপন করছি । এই রাজত্বও আমরাই করবো । রাজযোগ আমরাই শিখি, তাই খরচও আমরাই করবো । শিববাবা তো অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করেন, যাতে আমরা রাজার রাজা হই । বাচ্চারা, যারা পড়বে, তারাই তো খরচ করবে, তাই না । বোঝা উচিত যে, আমরা আমাদের খরচ করি, আমরা কোনো ভিক্ষা বা ডোনেশন গ্রহণ করি না কিন্তু বাচ্চারা কেবল লিখে দেয় বা এও জিজ্ঞেস করে, তাই বাবা বলেছিলেন, তোমরা সারাদিন যা - যা সার্ভিস করো, সন্ধ্যাবেলা তার পোতামেল বানানো উচিত । এ সবই অনুসরণ করা উচিত । এখানে আসে তো অনেকেই । তারা সব প্রজাই হয়, উচ্চ পদ প্রাপ্তকারী খুব অল্পই হয় । রাজা খুব অল্প হয়, বিত্তবানও অল্পই হয় । বাকি গরীব অনেকেই হয় । এখানেও এমন তাই দৈবী দুনিয়াতেও এমনই হবে । এখন রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে তাই সেখানে নম্বরের ক্রমানুসার সবই চাই । বাবা এসে রাজযোগ শিখিয়ে আদি সনাতন দৈবী রাজধানীর স্থাপনা করান । দৈবী ধর্মের রাজধানী ছিলো, এখন আর তা নেই । বাবা বলেন, আমি আবার স্থাপনা করি । তাই কাউকে বোঝানোর জন্য চিত্রও এমনই চাই । বাবার মুরলী শুনবে আর করবে । দিনে-দিনে কারেকশন তো হতেই থাকে । তোমরা নিজেদের অবস্থাকেও দেখো যে, কতটা কারেক্ট হতে থাকে । বাবা এসে তোমাদের দুর্গন্ধ আবর্জনা থেকে মুক্ত করেন, যে যতো অনেককে নির্গত বা মুক্ত করার সার্ভিস করবে, ততই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে । বাচ্চারা, তোমাদের তো একদম ক্ষীরখন্ড হয়ে থাকা উচিত । সত্যযুগ থেকেও বাবা তোমাদের এখানে উচ্চ বানান । বাবা, ঈশ্বর পড়ান, তাই তাঁকেও নিজেদের পড়ার উজ্জলতা দেখানো উচিত, তাহলে বাবাও বলিদান দেবেন । হৃদয়ে আসা উচিত - ব্যস্, এখন তো আমরা ভারতকে স্বর্গ বানানোর কাজই করবো । এই চাকরী ইত্যাদি করা, এ তো করতেই থাকবে । প্রথমে তো নিজের উন্নতি করো । এ তো খুবই সহজ । মানুষ সবকিছুই করতে পারে । গৃহস্থ জীবনে থেকে তোমাদের রাজপদ প্রাপ্ত করতে হবে তাই রোজ নিজের পোতামেল লেখো । সারাদিনের লাভ - লোকসান লেখো । পোতামেল না লিখলে শুধরানো খুব মুশকিল । বাবার কথা শোনেই না । তোমাদের রোজ দেখা উচিত - আমরা কাউকে দুঃখ দিইনি তো? এই পদ অনেক উচ্চ । উপার্জনও অগাধ । না হলে তখন আবার কাঁদতে হবে । রেস তো হয়, তাই না । কেউ তো লাখ টাকা উপার্জন করে নেয় কেউ তো কাঙ্গাল কাঙ্গালই থেকে যায় ।

এখন তোমাদের হলো ঈশ্বরীয় রেস, এতে কোনো দৌড় লাগাতে হবে না, কেবল বুদ্ধির দ্বারা প্রিয় বাবাকে স্মরণ করতে হবে । কোনো ভুল হয়ে গেলে চট্ করে বাবাকে শোনানো উচিত । বাবা, আমার এই ভুল হয়ে গেছে । কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা এই ভুল করে ফেলেছি । বাবা বলেন, ভুল আর ঠিক চিন্তা করার বুদ্ধি তো তোমরা এখন পেয়েছো, তাই এখন আর ভুল কাজ করো না । ভুল কাজ করে ফেললে - বলো, বাবা আর ভুল কাজ করবো না, ক্ষমা করে দাও, কেননা বাবা এখনো এখানে বসে আছেন শোনার জন্য । যাই অন্যায় কাজ হয়ে যাক না কেন, সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে লিখে বলে দাও - বাবা, এই অন্যায় কাজ হয়ে গেছে, তাহলে তোমাদের অর্ধেক মাফ হয়ে যাবে । এমন নয় যে, আমি কৃপা করবো । ক্ষমা বা কৃপা পাই পয়সারও হবে না । সবাইকে নিজেদের শুধরে নিতে হবে । বাবার স্মরণেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । যোগবলের দ্বারা পাস্টের কর্মও কাটতে থাকবে । বাবার হয়ে বাবার নিন্দা করিও না । সদ্গুরুর নিন্দুক উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারে না । তোমরাই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করো - অনেক উচ্চ । অন্য গুরুদের কাছে তো আর রাজপদের মতো উচ্চ পদই নেই । এখানে তোমাদের এইম অবজেক্ট আছে । ভক্তিমার্গে কোনো এইম অবজেক্ট থাকে না । যদি থেকেও থাকে, তা অল্পকালের জন্য । কোথায় ২১ জন্মের সুখ, আর কোথায় পাই পয়সার সামান্য সুখ । এমন নয় যে, ধনের দ্বারা সুখ প্রাপ্ত হয় । দুঃখও তো কতো হয় । আচ্ছা - কেউ যদি হসপিটাল তৈরী করে তাহলে পরবর্তী জন্মে তার রোগ কম হবে । এমন তো নয় যে, বেশী লেখাপড়া করবে, বা ধনও বেশী প্রাপ্ত করবে । তারজন্য তো আবার সবকিছু করো । কেউ যদি ধর্মশালা তৈরী করে তাহলে পরবর্তী জন্মে মহল প্রাপ্ত করবে । এমন নয় যে, তারা সুস্থ থাকবে । তা নয় । তাই বাবা কতো কথা বুঝিয়ে বলেন । কেউ তো খুব ভালোভাবে নিজে বুঝে তারপর বোঝায়, আবার কেউ তো বুঝতেই পারে না । তাই রোজ পোতামেল লেখো । আজ কি পাপ করেছি? এই বিষয়ে ফেল করেছি । বাবা রায় দেবেন যে, তাহলে এই কাজ করা উচিত নয় । তোমরা জানো যে, এখন তো আমরা স্বর্গে যাচ্ছি । বাচ্চাদের খুশীর পারদ চড়েই না । বাবার কতো খুশী । আমি বৃদ্ধ । এখন এই শরীর ত্যাগ করে প্রিন্স হবো । তোমরাও যদি পড়ো তাহলে তোমাদেরও খুশীর পারদ চড়া উচিত, কিন্তু বাবাকে স্মরণই করে না । বাবা কতো সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন, ওই ইংরাজী ইত্যাদি পড়লে মাথা কতো খারাপ হয়ে যায় । খুবই সমস্যা হয় । এ তো খুবই সহজ । এই রুহানি পড়াতে তোমরা শীতল হয়ে যাও । এতে তো কেবল বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের অঙ্গ একদম শীতল হয়ে যাবে । তোমাদের তো শরীর আছে, তাই না । শিব বাবার তো আর শরীর নেই । শ্রীকৃষ্ণের অঙ্গ আছে । তাঁর অঙ্গ তো শীতলই, তাই তাঁর এমন নাম রেখে দিয়েছে । এখন তাঁর সঙ্গ কিভাবে হবে । সে তো সত্যযুগেই হয় । তাঁর এমন শীতল অঙ্গ কে বানিয়েছেন? একথা তোমরা এখন বুঝতে পারো । বাচ্চারা, তোমাদের এখন এমন ধারণা করা উচিত । একদমই লড়াই - ঝগড়া করো না । তোমাদের সত্য বলতে হবে । মিথ্যা বললে সর্বনাশ হয়ে যায় ।

বাচ্চারা, বাবা তোমাদের অলরাউন্ড সব কথা বোঝান । তোমরা ভালো ভালো চিত্র বানাও, সেগুলি যেন সকলের কাছে যায় । ভালো কিছু দেখে বলবে, একবার চলে দেখো । বোঝানোর জন্য হুঁশিয়ার ব্যক্তির প্রয়োজন । তোমাদের সার্ভিস করতেও শিখতে হবে । ভালো ব্রাহ্মণীদেরও চাই, যারা নিজেদের সমান তৈরী করবে । যারা নিজেদের সমান ম্যানেজার বানায়, তাদের ভালো ব্রাহ্মণী বলা হবে । তারা পদও উচ্চ প্রাপ্ত করবে । বেবি বুদ্ধি যেন না থাকে, তাহলে উঠিয়ে নিয়ে যাবে, রাবণ সম্প্রদায় তো আছে, তাই না । এমন ব্রাহ্মণী তৈরী করো যারা পরের দিকে সেন্টার সামলাতে পারে । আচ্ছা !

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবার পড়ানোর বা শিক্ষার শো দেখাতে হবে । ভারতকে স্বর্গ বানানোর কাজে লেগে যেতে হবে । প্রথমে নিজের উন্নতির খেয়াল রাখতে হবে । ক্ষীরখন্ড হয়ে থাকতে হবে ।

২ ) কোনো ভুল হলে বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে নিজেই শুধরে নিতে হবে । বাবা কৃপা করেন না, বাবার স্মরণে বিকর্ম নষ্ট হয়, নিন্দা হয়, এমন কোনো কর্ম করো না ।

বরদান:-
নলেজফুলের বিশেষত্বের দ্বারা সংস্কারের টক্কর থেকে নিজেকে রক্ষা করে কমল পুষ্প সমান পৃথক এবং সাক্ষী ভব

সংস্কার তো অন্তিম সময় পর্যন্ত কারোর দাসীর থাকবে, কারোর আবার রাজার থাকবে । সংস্কার পরিবর্তন হয়ে যাবে, এমন অপেক্ষা করো না । আমার উপর কারোর সংস্কারের প্রভাব যেন না আসে, কেননা একে তো প্রত্যেকের সংস্কারই ভিন্ন, দ্বিতীয়তঃ মায়াও নানা সংস্কারের রূপ নিয়ে আসে, তাই যে কোনো বিষয়ের সমাধান মর্যাদার গন্ডির ভিতরে থেকেই করো । ভিন্ন - ভিন্ন সংস্কার থাকা সত্বেও যাতে টক্কর না আসে, তারজন্য নলেজফুল হয়ে কমল পুষ্প সমান পৃথক এবং সাক্ষী হয়ে থাকো ।

স্লোগান:-
পরিশ্রম করার পরিবর্তে রমণীয়তার সাথে পুরুষার্থ করো ।


অব্যক্ত ইশারা :- আত্মিক রয়্যালিটি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো

পবিত্রতা হলো সুখ - শান্তির জননী । যেখানে পবিত্রতা থাকে সেখানে দুঃখ - অশান্তি আসতে পারে না । তাই চেক করো, সদা সুখের শয্যায় আরামের সঙ্গে অর্থাৎ শান্ত স্বরূপে বিরাজমান থাকো কি? অন্তরে কি, কেন, কিভাবে, এমন অস্থিরতা আসে কি, নাকি এই অস্থিরতার ঊর্ধে সুখ স্বরূপ স্থিতি থাকে?