18-05-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
25-03-2005 মধুবন
"মাস্টার সূর্য হয়ে অনুভূতির কিরণ ছড়িয়ে দাও,
বিধাতা হও, তপস্বী হও"
আজ বাপদাদা চতুর্দিকের আপন হোলিহংস বাচ্চাদের সাথে হোলি উদযাপন করতে এসেছেন।
বাচ্চারাও প্রেমডোরে বাঁধা হয়ে হোলি উদযাপন করার জন্য পৌঁছে গেছে। মিলন উদযাপন
করার জন্য কতো ভালোবাসার সাথে পৌঁছে গেছে। বাপদাদা সব বাচ্চার ভাগ্য দেখছিলেন, কত
বড় ভাগ্য! যতটাই হোলিয়েস্ট, ততটাই হাইয়েস্টও। সারা কল্পে দেখ, তোমাদের সবার
ভাগ্য থেকে শ্রেষ্ঠ ভাগ্য আর কারও নেই। তোমরা নিজেদের ভাগ্য সম্পর্কে জানো তো না!
বর্তমান সময়তেও পরমাত্ম পালন, পরমাত্ম অধ্যয়ন এবং পরমাত্ম বরদানে প্রতিপালিত হচ্ছ।
ভবিষ্যতেও বিশ্ব- রাজত্বের অধিকারী হও। হতেই হবে, এটা নিশ্চিত, নিশ্চয় আছেই। পরেও
যখন পূজ্য হও তখন তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার মতো আর কারও বিধিপূর্বক পূজা হয় না। তো
বর্তমানে, ভবিষ্যৎ এবং পূজ্য স্বরূপে তোমরা হাইয়েস্ট অর্থাৎ সর্বোচ্চ। তোমাদের জড়
চিত্রও পূজিত হয়ে থাকে তোমাদের সব কর্মের। অনেক ধর্ম পিতা, মহান আত্মারা পূজিত
হয়েছে, কিন্তু এমন বিধি পূর্বক পূজা তোমরা উঁচু হতে উঁচু পরমাত্ম-বাচ্চাদেরই হয়,
কারণ এই সময় সব কর্মে কর্মযোগী হয়ে কর্ম করার বিধির ফলস্বরূপ পূজাও বিধি পূর্বক
হয়। সঙ্গম সময়ের পুরুষার্থের প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয়। তো সর্বোচ্চ ভগবান তোমরা সব
বাচ্চাকেও উচ্চ থেকেও উচ্চ প্রাপ্তি করান।
হোলি অর্থাৎ পবিত্রতা, তোমরা হোলিয়েস্টও তো হাইয়েস্টও। এই ব্রাহ্মণ জীবনের
ফাউন্ডেশনই পবিত্রতা। সংকল্প মাত্র অপবিত্রতাও শ্রেষ্ঠ হতে দেয় না। পবিত্রতাই সুখ
শান্তির জননী। পবিত্রতা সর্ব প্রাপ্তির চাবি। তাইতো তোমাদের সকলের স্লোগান এটাই - "পবিত্র
হও, যোগী হও।" স্মারকরূপে যে হোলি, তা'তেও দেখো আগে পোড়ায় তার পর উদযাপন করে।
পোড়ানো ব্যতীত উদযাপন করে না, অপবিত্রতাকে পুড়িয়ে দেওয়া (নির্মূল করা); তোমরা
যোগের অগ্নি দ্বারা অপবিত্রতা পুড়িয়ে থাকো, তারই স্মৃতিরূপ হিসেবে তারা অগ্নিতে
কিছু পোড়ায়। তোমাদের পবিত্র হওয়ার স্মারক হিসেবে পোড়ানোর পরে তারা খুশির সাথে
মিলন উদযাপন করে। কেননা, তোমরাও সবাই যখন অপবিত্রতার দহন করো, পরমাত্ম সঙ্গের রঙে
লাল হয়ে যাও, তখন সর্ব আত্মার প্রতি শুভ ভাবনা শুভ কামনার মিলন উদযাপন করে থাকো
তোমরা। এরই স্মারক হিসেবে তারা মঙ্গল মিলন উদযাপন করে। সেইজন্য বাপদাদা সব বাচ্চাকে
এই স্মৃতি জাগিয়ে দেন যে, সদা প্রত্যেকের থেকে আশীর্বাদ নাও আর আশীর্বাদ দাও।
নিজের আশীর্বাদের শুভ ভাবনা দ্বারা মঙ্গল মিলন উদযাপন করো, কেননা যদি কেউ অভিশাপ
দেয়ও সে তো অপবিত্রতায় পরবশ, কিন্তু যদি তুমি অভিশাপ মনের মধ্যে অন্তর্লীন করে
নাও তাহলে কি খুশি থাকো? সুখী থাকো? নাকি ব্যর্থ সংকল্পের কেন, কী, কীভাবে, কে...
এসবের দুঃখ অনুভব করো? অভিশাপ নেওয়া অর্থাৎ নিজেকেও দুঃখ আর অশান্তি অনুভব করানো।
বাপদাদার যে শ্রীমৎ - সুখ দাও আর সুখ নাও, সেই শ্রীমতের উল্লঙ্ঘন হয়ে যায়। তো এখন
বাচ্চারা সবাই তোমরা আশীর্বাদ নেওয়া আর আশীর্বাদ দেওয়া শিখে গেছো তো না! শিখেছো?
প্রতিজ্ঞা এবং দৃঢ়তা, দৃঢ়তার সাথে প্রতিজ্ঞা করো - সুখ দিতে হবে আর সুখ নিতে হবে।
আশীর্বাদ দিতে হবে, নিতে হবে। প্রতিজ্ঞা করেছো? সাহস আছে? যাদের সাহস আছে, আজ থেকে
যে দৃঢ়তার সংকল্প নেবে আশীর্বাদ নেবো, আশীর্বাদ দেবো - তারা হাত তোলো। পাক্কা?
পাক্কা? কাঁচা যেন না হয়। যদি কাঁচা হও তো কাঁচা ফল পাখিরা খুব খায়। দৃঢ়তা
সফলতার চাবি। সবার কাছে চাবি আছে? আছে চাবি? চাবি কায়েম করেছো? মায়া চুরি করে নেয়
না তো? চাবির প্রতি তারও ভালবাসা রয়েছে। সদা সর্বদা সংকল্প করার সময় এই সংকল্প
ইমার্জ করো, মার্জ নয়, ইমার্জ। ইমার্জ করো আমাকে করতেই হবে। তৈরি হতেই হবে। হতেই
হবে। হয়েই রয়েছি। একে বলা হয়ে থাকে নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ন্তী। ড্রামা তৈরি হয়েই
আছে বিজয়ী হওয়ার। শুধু রিপিট করতে হবে। পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা। নির্ধারিত হয়েই
আছে, রিপিট করে আবার বানাতে হবে। এটা কঠিন? কখনো কখনো কঠিন হয়ে যায়! কঠিন কেন হয়?
তোমরা নিজেরাই সহজকে কঠিন বানিয়ে দাও। ছোট একটা ভুল করে ফেলো - কী ভুল করো সেটা
জানো তোমরা? সেই সময় বাপদাদার বাচ্চাদের জন্য অনেক করুণার শুধু উদ্রেক হয় তা' নয়
ভালবাসা আসে। কোন ভালবাসা আসে? একদিকে তো তোমরা বলো যে বাবা আমাদের সাথে কম্বাইন্ড,
আছ কম্বাইন্ড, কম্বাইন্ড আছ? সাথে নয়, কম্বাইন্ড। কম্বাইন্ড আছ? ডবল ফরেনার্স
কম্বাইন্ড? তোমরা যারা পিছনে তারা কম্বাইন্ড? গ্যালারির তোমরা কম্বাইন্ড?
আচ্ছা - আজ তো বাপদাদা সমাচার পেয়েছেন যে, মধুবন নিবাসী পাণ্ডব ভবন, জ্ঞান সরোবর
এবং এখানের এরাও আলাদা হল্ (hall) এ শুনছে। তো তাদেরও বাপদাদা জিজ্ঞাসা করছেন,
বাপদাদা কম্বাইন্ড? হাত তুলেছে। যখন কম্বাইন্ড রয়েছো, সর্বশক্তিমান বাপদাদা
কম্বাইন্ড আছেন, তাহলে আবার একা কেন হয়ে যাও? যদি তোমরা দুর্বলও হও তাহলেও তো
বাপদাদা সর্বশক্তিমান তো না! একা হয়ে যাও তবেই তো হীনবল হও। কম্বাইন্ড রূপে থাকো।
বাপদাদা সবসময় প্রত্যেক বাচ্চার সহযোগী। শিববাবা পরমধাম থেকে কেন এসেছেন? কিসের
জন্য এসেছেন? বাচ্চাদের সহযোগী হওয়ার জন্য এসেছেন। দেখ, ব্রহ্মাবাবাও ব্যক্ত থেকে
অব্যক্ত হয়েছেন, কিসের জন্য? সাকার শরীরের থেকে অব্যক্ত রূপে সর্বাপেক্ষা বেশি
সহযোগ দিতে পারেন।
তো যখন বাপদাদা সহযোগ দেওয়ার জন্য অফার করছেন, তাহলে একা কেন হয়ে যাও? কেন
পরিশ্রমে লেগে যাও? ৬৩ জন্ম পরিশ্রম করেছ তো না! সেই পরিশ্রমের সংস্কার কী এখনও
তোমাদের টানে? ভালবাসায় থাকো, লাভে লীন হয়ে থাকো। ভালবাসা পরিশ্রম থেকে মুক্ত
করায়। পরিশ্রম ভালো লাগে কি? অভ্যাস বশে বাধ্য কি হয়ে যাও? সহজ যোগী তোমরা,
বাপদাদা বিশেষভাবে বাচ্চাদের জন্য পরমধাম থেকে উপহার নিয়ে এসেছেন, জানো তোমরা কি
উপহার এনেছেন? হাতে করে স্বর্গ নিয়ে এসেছেন। তোমাদের চিত্রও রয়েছে, তাই না। রাজ্য
ভাগ্য এনেছেন বাচ্চাদের জন্য। সেইজন্য তোমাদের পরিশ্রম বাপদাদার ভালো লাগে না।
বাপদাদা সব বাচ্চাকে পরিশ্রম মুক্ত, ভালোবাসায় মগ্ন দেখতে চান। তো পরিশ্রম এবং
মায়ার যুদ্ধ থেকে মুক্ত হওয়ার সংকল্প দ্বারা আজ হোলি জ্বালাবে? জ্বালাবে? জ্বালানো
মানে নামের চিহ্নমাত্র সমূলে বিনাশ। যেকোনো জিনিস জ্বালিয়ে দিলে তো চিহ্নমাত্রও
নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তো না! তো এমন হোলি উদযাপন করবে? করবে উদযাপন? হাত তো নাড়ছ,
বাপদাদা হাত দেখে খুশি হচ্ছেন। কিন্তু...কিন্তু আছে? কিন্তু ব্যাপারে বাপদাদা বলবেন,
নাকি না? মনের হাত নাড়াও। এই হাত নাড়ানো তো খুব ইজি। যদি তোমাদের মন মানে তো
তোমাদের করতেই হবে, তবেই সেটা হয়েই আছে। নতুন নতুন অনেকে এসেছে। যারা প্রথমবার
মিলন উদযাপন করার জন্য এসেছ, তারা হাত তোলো। ডবল ফরেনারদের মধ্যেও আছে।
এখন, যারাই প্রথমবার এসেছো, বাপদাদা বিশেষভাবে তাদের নিজের ভাগ্য বানানোর অভিনন্দন
জানাচ্ছেন। কিন্তু এই অভিনন্দন স্মৃতিতে বজায় রাখো এবং সদা এই লক্ষ্য রাখো কেননা,
ফাইনাল রেজাল্ট এখনও আউট হয়নি। সবার চান্স আছে, লাস্টে যারা আসবে তাদেরও, যারা
প্রথম এসেছে তাদের তুলনায় লাস্টে এসেছ, তাই না, তো যারা লাস্টের তারা লাস্ট সো
ফাস্ট আর ফাস্ট সো ফার্স্ট যেতে পারো। অনুমতি আছে, যেতে পারো। এটা সদা মনে রেখো
আমাকে অর্থাৎ আমি আত্মাকে ফাস্ট আর ফাস্ট ক্লাসে আসতেই হবে। হ্যাঁ, ভি আই পি অনেক
এসেছে না! টাইটেল ভি-আই-পি-র। ভি-আই-পি যারা এসেছে তারা লম্বা করে হাত তোলো।
ওয়েলকাম। নিজের ঘরে আসার জন্য ওয়েলকাম, স্বাগত। এখন তো পরিচয়ের জন্য ভি-আই-পি বলে
থাকো কিন্তু এখন এখন ভি- আই-পি থেকে ভি-ভি-ভি-আই-পি হতে হবে। দেখ, তোমাদের জড়চিত্র
দেবতারা ভি.ভি.ভি.আই.পি., সুতরাং তোমাদেরও পূর্বজের মতো হতেই হবে। বাপদাদা
বাচ্চাদের দেখে খুশি হন। তোমরা রিলেশনে এসেছো। ভি-আই-পি যারা এসেছ তারা ওঠো। বসে বসে
হয়তো ক্লান্ত হয়ে গেছে, একটু ওঠো। আচ্ছা।
বর্তমান সময়ে বাপদাদা দুটো বিষয়ে বারবার অ্যাটেনশন দেওয়াচ্ছেন - এক - স্টপ,
বিন্দু লাগাও, পয়েন্ট লাগাও। দুই - স্টক জমা করো। দুইই আবশ্যক। বিশেষভাবে তিন
ভাণ্ডার জমা করো– এক, নিজের পুরুষার্থের প্রালব্ধ অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ফল, সেটা জমা করো।
দ্বিতীয়তঃ - সদা সন্তুষ্ট থাকতে হবে, সন্তুষ্ট করতে হবে। শুধু সন্তুষ্ট থাকা নয়,
করতেও হবে। তার ফলস্বরূপ আশীর্বাদ জমা করো। আশীর্বাদের খাতা কখনো কখনো কিছু বাচ্চা
জমা করে, কিন্তু চলতে চলতে কোনো ছোট-খাটো বিষয়ে কনফিউজ্ড হয়ে, সাহসহীন হয়ে জমা
হওয়া ভাণ্ডারেও রেখা টেনে দেয়। সুতরাং আশীর্বাদের খাতাও জমা হোক। তার বিধি -
সন্তুষ্ট থাকা, সন্তুষ্ট করা। তৃতীয়তঃ, সেবার দ্বারা সেবার ফল জমা করা কিংবা
ভাণ্ডার জমা করা এবং সেবাতেও বিশেষ নিমিত্ত ভাব, নির্মান ভাব, নির্মল বাণী হওয়া
প্রয়োজন। অসীম জগতের সেবা। আমার নয়, বাবার। বাবা করাবনহার আমি করনহার দ্বারা
করাচ্ছেন, এটা হলো অসীম দুনিয়ার সেবা। এই তিন খাতা চেক করো - তিন খাতাই জমা হয়েছে?
আমিত্ব বোধের অভাব হওয়া উচিত । ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা। তোমাদের ভাবনা থাকে এই বছরে
কী করতে হবে? সিজন সম্পূর্ণ হতে চলেছে, এখন ছ'মাস কী করতে হবে? এক তো খাতা জমা করো,
চেক করো ভালো করে। কোথাও কোনো কোণেও সীমাবদ্ধ দুনিয়ার ইচ্ছা নেই তো? আমি আর আমিত্ব
বোধ নেই তো? গ্রহীতা নও তো? বিধাতা হও, গ্রহীতা নয়। না নাম, না মান, না সম্মান কোনো
কিছুর গ্রহীতা হয়ো না, দাতা-বিধাতা হও।
এখন দুঃখ অনেক অনেক বাড়ছে, আর বাড়তে থাকবে। সেইজন্য মাস্টার সূর্য হয়ে অনুভূতির
কিরণ ছড়িয়ে দাও। সূর্য যেমন একই সময়ে কত প্রাপ্তি করায়, এক প্রাপ্তি করায় না।
তেমনই তোমরা সবাই এই ৬ মাসে জ্ঞান সূর্য হয়ে সুখের, খুশির, শান্তির, সহযোগের কিরণ
ছড়িয়ে দাও। অনুভূতি করাও। তোমাদের মুখ দেখার সাথে সাথেই দুঃখের তরঙ্গে যেন
ন্যূনতম হাসি এসে যায়। তোমাদের দৃষ্টি দ্বারা যেন সাহস এসে যায়। সুতরাং এই
অ্যাটেনশন দেওয়া দরকার। বিধাতা হতে হবে, তপস্বী হতে হবে। এমন তপস্যা করো যাতে
তপস্যার অগ্নিশিখা কোনো না কোনো অনুভূতি করায়। শুধু বাণী শুনিও না, তাদের অনুভূতি
হতে দাও। অনুভূতি অমর হয়। শুধু বাণী অল্প সময় ভালো লাগে, সদা স্মরণে থাকে না।
সেইজন্য অনুভবের অথরিটি হয়ে অনুভব করাও।যারাই সম্বন্ধ সম্পর্কে আসছে তাদেরকে সাহস,
উৎসাহ-উদ্দীপনা নিজেদের সহযোগ দ্বারা বাপদাদার কানেকশন থেকে প্রাপ্ত করাও। বেশি
পরিশ্রম হতে দিও না। না নিজে পরিশ্রম করো আর না অন্যদেরকে করাও। নিমিত্ত তোমরা, তাই
তো না! তো এমনভাবে উৎসাহ- উদ্দীপনার ভাইব্রেশন বানাও যাতে গম্ভীর ব্যক্তিত্বও
উৎসাহ-উদ্দীপনায় এসে যায়। খুশিতে মন নাচতে শুরু করে। শুনেছ, কী করতে হবে? রেজাল্টে
দেখা যাবে। কোন স্থানে কত আত্মাদের মজবুত (দৃঢ়) বানিয়েছ, নিজে মজবুত হয়েছ,
সাধারণ পোতামেল দেখবেন না, ভুল করিনি, মিথ্যা বলিনি, কোনো বিকর্ম করিনি, বরঞ্চ এটাই
দেখবেন কত আত্মাদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় নিয়ে এসেছ, অনুভূতি করিয়েছ, দৃঢ়তার চাবি
দিয়েছ! ঠিক আছে না, করতেই হবে তাই না! বাপদাদা কেন বলবেন যে তোমরা করবে! না, করতেই
হবে। তোমরা করবে না তো কে করবে? যারা পিছনে আসবে তারা? তোমরাই কল্প কল্প বাবার
দ্বারা অধিকারী হয়েছিলে, হয়েছ আর প্রতি কল্পে হবে। এমন দৃঢ়তা পূর্বক বাচ্চাদের
সংগঠন বাপদাদাকে দেখতেই হবে। ঠিক আছে না! হাত তোলো, হতেই হবে, মনের হাত তোলো। দৃঢ়
নিশ্চয়ের হাত তোলো। এটা তো সবাই পাস হয়ে গেছো। পাস হয়ে গেছো তো না! আচ্ছা।
চতুর্দিকের হৃদয় সিংহাসনাসীন বাচ্চাদের, দূরে বসেও পরমাত্ম ভালবাসার অনুভবকারী
বাচ্চাদের, সদা হোলি অর্থাৎ পবিত্রতার ফাউন্ডেশন যারা দৃঢ় করে, স্বপ্নমাত্রও
অপবিত্রতার অংশমাত্র থেকেও দূরে থাকে, এমন মহাবীর, মহা বীরাঙ্গনা বাচ্চাদের, যারা
সদা সব সময় সর্ব জমার খাতা জমা করে এমন সম্পন্ন বাচ্চাদের, সদা সন্তুষ্টমণি হয়ে
সন্তুষ্ট থাকে এবং সন্তুষ্ট করে, বাবা সমান এমন বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আশীর্বাদ আর নমস্কার।
দাদীদের প্রতি - দাদীরা তো গুরুভাই না! তো সাথে ব'সো। ভাইরা একসাথে বসে, তাই না? এটা
ভালো। বাপদাদা রোজ স্নেহের মালিশ করেন। তোমরা তো নিমিত্ত না! এই মালিশ তোমাদের
চালাচ্ছে। এটা ভালো। তোমাদের এক্সাম্পল দেখে সকলের সাহস এসে যায়। সেবাতে নিমিত্ত
দাদীদের সমান নিমিত্ত ভাবের সাথে অগ্রচালিত হতে হবে। এটা ভালো, তোমাদের এই যে পাক্কা
নিশ্চয় আছে না - করাবনহার করাচ্ছেন, চালানোর মালিক চালাচ্ছেন। নিমিত্ত হওয়ার এই
বোধ সেবা করাচ্ছে। আমিত্ব বোধ আছে? আমিত্বের কোনও বোধ আসে তোমাদের? এটা ভালো, সমগ্র
বিশ্বের সামনে তোমরা নিমিত্ত এক্সাম্পল, তাই না! তাইতো বাপদাদাও সদা বিশেষ ভালবাসা
আর আশীর্বাদ দিতেই থাকেন। আচ্ছা। অনেক এসেছে, সেটা তো ভালো তাই না! লাস্ট টার্ন
ফাস্ট গেছে। আচ্ছা।
ডবল বিদেশি মুখ্য টিচার্স বোনেদের প্রতি -
সবাই মিলে তোমরা অন্য সকলের পালনা করার নিমিত্ত হও, এটা খুব
ভালো পার্ট প্লে করছ। নিজেরাও রিফ্রেশ হয়ে যাও আর অন্যদেরও রিফ্রেশ করে দাও। ভালো
প্রোগ্রাম বানিয়ে থাকো তোমরা। বাপদাদার পছন্দ হয়েছে। নিজে রিফ্রেশ হবে তবে তো
অন্যকে রিফ্রেশ করবে। খুব ভালো। সবারই ভালো রিফ্রেশমেন্ট হয়েছে। বাপদাদা খুশি। খুব
ভালো।
বরদান:-
নলেজফুল স্থিতির দ্বারা সব পরিস্থিতি পার করে অঙ্গদ
সমান অনড় অটল ভব
রাবণ রাজ্যের কোনও পরিস্থিতি বা ব্যক্তি সামান্যতম
সংকল্প রূপেও নড়াতে পারবে না, এমন অনড় অটল ভব'র বরদানী হও। মায়া যে কোনো রূপে
আসতে পারে - কিন্তু তোমরা যোগাগ্নি জ্বালিয়ে রাখো, নলেজফুল স্থিতিতে থাকো, তবে সব
বিঘ্ন আপনা থেকেই সমাপ্ত হয়ে যাবে এবং তোমরা অটল অনড় স্থিতিতে স্থিত থাকবে।
স্লোগান:-
শুদ্ধ সংকল্পের ভাণ্ডার হ'লে তবে ব্যর্থ সংকল্পে সময়
যাবে না।
অব্যক্ত ঈশারা :- আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির
পার্সোনালিটি ধারণ করো পিওরিটির পার্সোনালিটির আধারে ব্রহ্মা বাবা আদি দেব তথা
প্রথম প্রিন্স হয়েছেন। সেইভাবে তোমরাও ফলো ফাদার করে নম্বর ওয়ানের লিস্টে এসে যাও,
কেননা ব্রাহ্মণ জন্মের সংস্কারই পবিত্র। তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব কিংবা মহত্ত্বই হলো
পবিত্রতা। সূচনাঃ - আজ অন্তর্রাষ্ট্রীয় যোগ দিবস, তৃতীয় রবিবার, সন্ধ্যা ৬ : ৩০
থেকে ৭ : ৩০ পর্যন্ত সকল ভাইবোন সংগঠিত রূপে একত্রিত হয়ে প্রভু প্রেমে সমাহিত
হওয়ার অনুভব করুন। সদা এই স্বমানে বসতে হবে - আমি আত্মা সর্ব প্রাপ্তিতে সম্পন্ন
সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা। ভালবাসার সাগর বাবার ভালবাসার কিরণ নির্গত হয়ে আমি
আত্মাতে সমাহিত হচ্ছে। সেই ভালবাসার ভাইব্রেশন চতুর্দিকের বাতাবরণে ছড়িয়ে পড়ছে।