18.12.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
অসীম জগতের পিতা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদেরকে জ্ঞানের শৃঙ্গার করতে, উচ্চ পদ প্রাপ্ত
করতে হলে সবসময় সালঙ্কারা হয়ে থাকো"
প্রশ্নঃ -
কোন্
বাচ্চাদের দেখে অসীম জগতের বাবা অত্যন্ত খুশি হন?
উত্তরঃ
যে বাচ্চারা
সার্ভিসে সবসময় তৎপর থাকে, অলৌকিক এবং পারলৌকিক দু'জন পিতাকেই ফলো করে, জ্ঞান যোগের
দ্বারা আত্মাকে অলঙ্কৃত করে, পতিতকে পবিত্র করে তোলার সেবা করে, এমন বাচ্চাদের দেখে
অসীম জগতের বাবা খুব খুশী হয়ে ওঠেন । বাবা চান আমার বাচ্চারা পরিশ্রম করে উচ্চ পদ
প্রাপ্ত করুক ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক বাবা
আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে বলেন - মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা। যেমন লৌকিক পিতার বাচ্চাদের
প্রতি স্নেহ থাকে তেমনই অসীম জগতের পিতারও অসীম জগতের বাচ্চাদের প্রতি স্নেহ থাকে।
একজন পিতা বাচ্চাদের শিক্ষা দেন এবং তাদের সতর্ক করে দেন যাতে তারা উচ্চ মর্যাদা
লাভ করতে সক্ষম হয় । এটাই বাবার চাওয়া থাকে। তেমনই অসীম জগতের বাবারও এই ইচ্ছা তাঁর
সন্তানদের প্রতি থাকে। বাচ্চাদের জ্ঞান আর যোগের অলঙ্কার দিয়ে তিনি তাদের অলঙ্কৃত
করেন। তোমাদের দুই বাবাই যথার্থ রীতিতে অলঙ্কৃত করে তোলেন যাতে বাচ্চারা উচ্চ পদ
পেতে পারে। অলৌকিক বাবাও খুশি হন, পারলৌকিক বাবাও খুশি হন, যারা প্রকৃত রূপে
পুরুষার্থ করে। তাদের জন্য গাওয়াও হয়ে থাকে ফলো ফাদার। সুতরাং দুজনকেই অনুসরণ করতে
হবে । একজন হলেন আত্মিক পিতা, দ্বিতীয় জন অলৌকিক ফাদার । সুতরাং পুরুষার্থ করে উচ্চ
পদ পেতে হবে।
তোমরা যখন ভাট্টিতে
ছিলে তখন সবার তাজ (মুকুট) সমেত ফটো বেরিয়েছিল । বাবা বুঝিয়েছেন তাজ কখনও লাইটের হয়
না। ওটা হলো পবিত্রতার প্রতীক, যা সবাইকে দেওয়া হয় । এমনটা নয় যে সাদা লাইটের কোনও
তাজ হয়, ওটা পবিত্রতার চিহ্ন হিসেবে বোঝান হয়। সর্বপ্রথম সত্যযুগে তোমরাই থাকো ।
তোমরাই ছিলে, তাইনা ! বাবা বলেন, আত্মা আর পরমাত্মা বহুকাল আলাদা ছিল ....তোমরা
বাচ্চারাই প্রথমে আসো তারপর তোমাদেরই আবার প্রথমে ফিরে আসতে হয়। মুক্তিধামের গেটও
তোমাদের খুলতে হবে। বাবা তোমাদের সুসজ্জিত করে তোলেন। একজন মা বাবার বাড়িতে থেকেও
সরলতার সাথে জীবন যাপন করে । এই সময় তোমাদেরও খুব সাধারণ হতে হবে, বেশিও নয়, কমও নয়
। বাবাও বলেন, আমি এসে সাধারণ শরীরেই প্রবেশ করি। কোনও দেহধারীকে ভগবান বলা যায় না।
মানুষ, মানুষকে সদ্গতি দিতে পারে না। সদ্গতি দিতে পারেন গুরু। মানুষ ৬০ বছর বয়সের
পর বাণপ্রস্থ নেয় এবং গুরুর শরণাপন্ন হয়। এই নিয়ম এই সময়ের জন্য, যা পরে ভক্তি
মার্গে চলতে থাকে। আজকাল তো ছোট -ছোট বাচ্চাদেরও গুরু করিয়ে দেওয়া হয়, যদিও তাদের
বাণপ্রস্থ অবস্থা নয় কিন্তু হঠাত্ মৃত্যুও হয়ে যায়, তাইনা ! সেইজন্যই বাচ্চাদের গুরু
করিয়ে দেওয়া হয়। বাবা বলেন তোমরা সবাই আত্মা, একজনই আছেন যিনি অবিনাশী উত্তরাধিকারী
দিয়ে থাকেন। ওরা বলে গুরু বিনা পার পাওয়া যায় না অর্থাৎ ব্রহ্মতে লীন হওয়া যায় না।
তোমাদের তো লীন হতে হবে না। এসবই হলো ভক্তি মার্গের কথা। আত্মা তো নক্ষত্রের মতো
বিন্দু। বাবাও বিন্দু। সেই বিন্দুকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয়। তোমরাও ছোট আত্মা, যার
মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরা থাকে। তোমরা সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত করে থাকো। পাস উইদ
অনার হও তাইনা ! এমন নয় যে শিবলিঙ্গ বড়ো হয় । আত্মা যেমন, পরমাত্মাও ঠিক তাই। আত্মা
পরমধাম থেকে আসে তাদের ভূমিকা পালন করতে। বাবা বলেন আমিও ওখান থেকেই আসি। কিন্তু
আমার নিজস্ব শরীর নেই। আমিই রূপ, আমিই বসন্ত। পরম আত্মা রূপ, ওঁনার মধ্যেই সম্পূর্ণ
জ্ঞান ভরপুর। তিনি যখন জ্ঞানের ঝর্ণা প্রবাহিত করেন তখন সমস্ত মানুষ পাপ আত্মা থেকে
পুণ্য আত্মা হয়ে যায়। বাবা গতি সদ্গতি দুই-ই দিয়ে থাকেন। তোমরা সদ্গতি পাও বাকিরা
গতি পায় অর্থাৎ নিজের ঘরে ফিরে যায়। ওটা হলো সুইট হোম। আত্মারা কান দিয়ে শোনে । বাবা
বলছেন মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা এখন তোমাদের ফিরে যেতে হবে, সেইজন্য অবশ্যই
পবিত্র হতে হবে। পবিত্রতা ছাড়া কেউ-ই ফিরে যেতে পারে না। আমি সবাইকে নিয়ে যেতে এসেছি।
আত্মাদের বলা হয় শিবের বরযাত্রী। শিববাবা এখন শিবালয় স্থাপন করছেন । তারপর রাবণ এসে
বেশ্যালয় করে তুলবে। বাম মার্গকে বেশ্যালয় বলা হয়। বাবার কাছে এমন অসংখ্য বাচ্চা আছে
যারা বিবাহ করেও পবিত্র থাকে। সন্ন্যাসীরা তো বলে - এমন হতেই পারে না, যে দু'জন
একত্রে এভাবে থাকতে পারে। বোঝান হয় এতে আমদানি অনেক হয়। পবিত্র থাকলে ২১ জন্মের
জন্য রাজধানী পাওয়া যায় সুতরাং এক জন্ম পবিত্র থাকা এমন কিছু বড়ো ব্যপার নয়। বাবা
বলেন তোমরা কাম বাসনার চিতায় বসে সম্পূর্ণ কালো হয়ে গেছ, কৃষ্ণ সম্পর্কেও বলা হয়
গৌর এবং শ্যাম । শ্যাম সুন্দর। এই ব্যাখ্যা এই সময়ের জন্য। কাম চিতায় বসে আত্মা
কুশ্রী হয়ে গেছে, তারপর তাকে গাঁয়ের ছোরাও বলা হয়। প্রকৃতপক্ষেই তো সে ছিল না !
কৃষ্ণ তো হতে পারে না। তার তো অনেক জন্মের অন্তিমে এসে বাবা তার মধ্যে প্রবেশ করেন
তাকে সুন্দর করে তোলেন। তোমাদেরও এখন এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবা তুমি কত
মিষ্টি, কত মিষ্টি অবিনাশী উত্তরাধিকার দিচ্ছ, আমাদের মানুষ থেকে দেবতা, মন্দিরের
যোগ্য করে তুলছো । নিজের সাথে এমনই সব বাক্যালাপ করতে হবে। মুখে কিছু বলার প্রয়োজন
নেই।
ভক্তি মার্গে তোমরা
প্রিয়তমকে (মাশুককে) কতো স্মরণ করেছো । এখন বাবা এসে তোমাদের সাথে মিলিত হয়েছেন।
বাবা তুমি কত মিষ্টি, কেন আমরা তোমাকে স্মরণ করব না। তোমাকে প্রেমের সাগর, শান্তির
সাগর বলা হয়, তুমিই এসে উত্তরাধিকার দাও। প্রেরণা দ্বারা কিছুই প্রাপ্ত করা যায় না।
বাবা তো সামনে এসে বাচ্চারা তোমাদের পড়ান। এটা তো পাঠশালা, তাই না ! বাবা বলেন আমি
তোমাদের রাজারও রাজা করে তুলি। এ হলো রাজযোগ। তোমরা এখন মূলবতন, সূক্ষ্মবতন,
স্থূলবতন সম্পর্কে জেনেছো । এতো ছোট আত্মা কত রকম পার্ট প্লে করে। পার্টও পূর্ব
নির্ধারিত। একে বলে অনাদি অবিনাশী ওয়ার্ল্ড ড্রামা। ড্রামা চলতেই থাকে। এতে সংশয়ের
কোনও প্রশ্নই নেই। বাবা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝিয়ে বলেন, তোমরা স্বদর্শন
চক্রধারী। তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ চক্র ঘুরতে থাকে, এর ফলে তোমাদের পাপ কেটে যায়।
কৃষ্ণ কখনও স্বদর্শন চক্র ব্যবহার করে হিংসার আশ্রয় নেয় না। ওখানে (সত্য যুগে) না
লড়াইয়ের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে, না কাম বাসনার। ওখানে সবাই ডবল অহিংসক। এই সময় তোমাদের
৫ বিকারের সাথে যুদ্ধ চলে । অন্য কোনও যুদ্ধের বিষয় নেই। বাবা হলেন উচ্চ থেকে
উচ্চতর। উচ্চ থেকে উচ্চতর লক্ষ্মী-নারায়ণ। এদের মতো উচ্চ হতে হবে। যত পুরুষার্থ করবে
ততই উচ্চ পদ পাবে। কল্পে-কল্পে তোমাদের এই পড়াশোনাই থাকবে। এখন ভালো ভাবে পুরুষার্থ
করলে কল্পে-কল্পেও তাই করবে। জাগতিক পড়াশোনার দ্বারাও এতো উচ্চ মর্যাদা লাভ হয়না
যতটা হয় আধ্যাত্মিক (রূহানী) পড়াশোনার দ্বারা। উচ্চ থেকে উচ্চতর হয় লক্ষ্মী-নারায়ণ।
এরাও মানুষ কিন্তু দৈবীগুণ ধারণ করে বলে এদের দেবতা বলা হয়। ৮-১০ ভূজধারী কেউ হয়না।
ভক্তি মার্গে যখন সাক্ষাত্কার হয় তখন কাঁদে, দুঃখে পড়ে অনেক অশ্রু ঝড়ায়। বাবা বলেন
চোখে জল এলে অসফল হবে। আত্মা শরীর ত্যাগ করলেও হালুয়া খাও...। আজকাল তো বম্বেতেও
কেউ রোগগ্রস্ত হলে বা শরীর ত্যাগ করলে বি.কে দের ডাকা হয় শান্তি প্রদান করার জন্য।
তোমরা ওদের বুঝিয়ে বলে থাকো যে, আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করেছে,
এতে তোমাদের কিছু যায় আসে না। কান্নাকাটি করে কি লাভ হবে। ওরা বলে একে কাল খেয়েছে...এমন
কোনো ব্যপার নেই। আত্মা নিজেই শরীর ত্যাগ করে চলে যায়। নিজের সময় মতো শরীর ত্যাগ করে
চলে যায়। কাল (মৃত্যু) কোনও বস্তু নয়। সত্যযুগে গর্ভও প্রাসাদের মতো। শাস্তির
প্রশ্নই নেই। ওখানে তোমাদের কর্ম অকর্ম হয়ে যায়। ওখানে মায়া নেই যে বিকর্ম হবে ।
তোমরা বিকর্মাজীত হয়ে ওঠো। সর্বপ্রথম বিকর্মাজীতের সম্বৎ চলে (যারা বিকর্মের উপর
জয়লাভ করেছে) । তারপর শুরু হয় ভক্তি মার্গ এবং রাজা বিক্রমের শাসন শুরু হয়। এই সময়
যে পাপ কর তার উপর তোমরা বিজয় অর্জন করে থাকো, নাম হয় বিকর্মাজীত (পাপ কর্মের ওপর
বিজয়ী হিসেবে দেওয়া হয়) । তারপর দ্বাপরে রাজা বিক্রম, শুরু হয় পাপ । যদি সূঁচে মরচে
ধরে তবে চুম্বক টানতে পারবে না। পাপের মরচে যত উঠতে থাকবে ততই চুম্বক (তোমাদের)
সূঁচকে টানতে সক্ষম হবে। বাবা তো সম্পূর্ণ পবিত্র, তোমাদেরও যোগবল দ্বারা পবিত্র করে
তোলেন। যেমন লৌকিক বাবাও বাচ্চাদের দেখে খুশি হয়ে ওঠে, তাইনা। অসীম জগতের বাবাও
বাচ্চাদের সার্ভিস দেখে খুশি হন। বাচ্চারা যথেষ্ট পরিশ্রম করে। সার্ভিসের জন্য
সবসময় এভার রেডি হওয়া উচিত। বাচ্চারা তোমরা হলে পতিতদের পবিত্র করে তোলার ঈশ্বরীয়
যোদ্ধা। এখন তোমরা ঈশ্বরীয় সন্তান, অসীম জগতের বাবা আছেন আর তোমরা সবাই ভাই-বোন ।
আর কোনো সম্বন্ধ নেই।
মুক্তিধামে বাবা আর
তোমরা আত্মারা হলে ভাই-ভাই, তারপর তোমরা সত্যযুগে যাও সেখানে এক পুত্র, এক কন্যা।
এখানে তো অনেক সম্বন্ধ - কাকা, মামা.... ইত্যাদি। মূলবতন হলো সুইট হোম, মুক্তিধাম ।
ওখানে যাওয়ার জন্য মানুষ কত যজ্ঞ, তপ ইত্যাদি করে থাকে কিন্তু ফিরে যেতে পারে না।
অনেক গালগল্প করে। সবার সদ্গতি দাতা একজনই, দ্বিতীয় কেউ নেই। তোমরা এখন পুরুষোত্তম
সঙ্গম যুগে আছ। কলিযুগে অগুনতি মানুষ। সত্যযুগে অল্প সংখ্যক মানুষ। প্রথমে স্থাপনা
হয় এবং তারপর বিনাশ। এখন অনেক ধর্ম হওয়ার কারণে কত হাঙ্গামা হয়ে থাকে। তোমরা ১০০%
নির্বিকারী ছিলে তারপর ৮৪ জন্মের পর ১০০% বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছ। এখন বাবা এসে সবাইকে
জাগিয়ে তুলছেন। বলছেন জাগো, সত্যযুগ আসছে। যিনি সত্য সেই বাবাই তোমাদের ২১ জন্মের
জন্য উত্তরাধিকার দেন । ভারত সত্য খন্ডে পরিণত হয়। বাবা এসে সত্য খন্ড নির্মাণ করেন।
মিথ্যা খন্ড কে তৈরি করে ? ৫ বিকার রূপী রাবণ। রাবণের কত বিশাল কুশপুত্তলিকা তৈরি
করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কেননা এই হলো নম্বর ওয়ান সবচেয়ে বড় শত্রু। মানুষের তো জানা
নেই কবে থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয়েছিল। বাবা বোঝান অর্ধকল্প হলো রাম রাজ্য, অর্ধকল্প
রাবণ রাজ্য। রাবণ কোনও মানুষ নয় যাকে মারা হয়। এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়া রাবণ রাজ্য,
বাবা এসে রাম রাজ্য স্থাপনা করেন, তারপর জয় জয়কার শুরু হয়। সত্যযুগে সবসময় খুশি
বিরাজ করে, ওটা হলো সুখধাম। এখন পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। বাবা বলেন এই পুরুষার্থ
দ্বারা তোমরা এই(দেবতা) হতে চলেছ । তোমাদের চিত্রও তৈরি করা হয়েছিল, অনেকেই এসেছিল,
তারপর শুনন্তি (শুনলো), কহন্তি (অন্যদেরকে জ্ঞান শোনালো) তারপর ভাগন্তি (চলেও গেল)
। বাবা এসে অত্যন্ত স্নেহের সাথে তোমাদের সব বুঝিয়ে বলেন। বাবা, টিচার তোমাদের
ভালোবাসেন, গুরুও ভালোবাসেন। সদ্গুরুর নিন্দুকেরা কোথাও ঠাঁই পায় না। তোমাদের এইম
অবজেক্ট সামনে রয়েছে (লক্ষ্মী-নারায়ণ) । ঐ গুরুদের তো কোনো এইম অবজেক্ট নেই । ওটা
কোনও পড়াশোনা নয়। এটা হলো পড়াশোনা । একে বলে ইউনিভার্সিটি কাম হাসপাতাল, যেখানে
তোমরা এভার হেল্দী, ওয়েল্দী হয়ে ওঠো। এখানে সব মিথ্যা, গাওয়াও হয়ে থাকে মিথ্যা মায়া
.... সত্যযুগ হলো সত্য খন্ড । ওখানে হীরে জহরতের মহল । সোমনাথ মন্দির ভক্তি মার্গে
তৈরি হয়েছে । কত ধন সম্পদ ছিল যা মুসলমানরা এসে লুট করে নিয়ে গেছে। বড়ো-বড়ো মসজিদ
তৈরি করেছে। বাবা এসে তোমাদের সীমাহীন সম্পদ দেন । শুরু থেকেই তোমাদের সব
সাক্ষাত্কার হয়ে আসছে। বাবা হলেন আল্লাহ্ অবলদীন । তিনিই প্রথম দৈবী ধর্ম প্রতিষ্ঠা
করেন । যে ধর্ম নেই আবার তার স্থাপনা হয়। সবাই জানে প্রাচীন সত্যযুগে এদেরই রাজ্য
ছিল, তাদের উপর কেউ ছিল না। দৈবী রাজ্যকেই স্বর্গ বলা হয়। তোমরা এখন জানো তারপর
অন্যদেরও বলতে হবে। সবাইকে জানাতে হবে যাতে কেউ দোষারোপ না করতে পারে যে আমরা জানিনা।
তোমরা সবাইকে বল তারপরও বাবাকে ছেড়ে চলে যাও। এই হিস্ট্রি অবশ্যই রিপিট হবে। বাবার
কাছে এলে বাবা জিজ্ঞেস করেন - আগে কখনও মিলিত হয়েছো? বলে থাকে হ্যাঁ বাবা ৫ হাজার
বছর আগেও মিলিত হতে এসেছিলাম। অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে এসেছিলাম। কেউ এসে শোনে,
কারো যখন
সাক্ষাৎকার হয়
ব্রহ্মার তখন সেইসব স্মরণে আসে। বলে থাকে আমরা তো এই রূপ দেখেছিলাম। বাবাও
বাচ্চাদের দেখে খুশি হন। অবিনাশী রত্ন দ্বারা তোমাদের ঝুলি ভর্তি করতে হবে তাইনা। এ
হলো ঈশ্বরীয় পড়াশোনা। ৭ দিনের কোর্স করে তারপর যেখানেই থাকো না কেন মুরলীর আধারে
চলতে পার , ৭ দিনে এতোটাই বোঝান হবে যে তারপর মুরলীও বুঝতে পারবে। বাবা তো
বাচ্চাদের সব রহস্য যথার্থ রীতিতে বুঝিয়ে থাকেন। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
স্বদর্শন চক্র ঘুরিয়ে পাপকে ভস্ম করতে হবে, আধ্যাত্মিক পড়াশোনার দ্বারা নিজের পদ
শ্রেষ্ঠ করে তুলতে হবে। কোনও পরিস্থিতিতেই কান্নাকাটি করা উচিত নয়।
২ ) এখন হলো
বাণপ্রস্থ অবস্থায় থাকার সময়, সেইজন্য অতি সাধারণ অবস্থায় থাকতে হবে। না খুব বেশি,
না অনেক কম। ফিরে যাওয়ার জন্য আত্মাকে সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে।
বরদান:-
সদা
মোল্ড হওয়ার বিশেষত্বের দ্বারা সম্পর্ক আর সেবাতে সফল হওয়া সফলতামূর্তি ভব
যে বাচ্চাদের মধ্যে
নিজেকে মোল্ড করার বিশেষ গুণ আছে তারা সহজেই গোল্ডেন এজের স্টেজ পর্যন্ত পৌঁছাতে
পারবে। যেরকম সময়, যেরকম সারকামস্ট্যান্স হোক, সেই অনুসারে নিজের ধারণাগুলিকে
প্রত্যক্ষ করার জন্য মোল্ড হতে হয়। যারা মোল্ড হতে পারে তারাই হল রিয়েল গোল্ড।
যেরকম সাকার বাবার বিশেষত্ব দেখেছিলে - যেরকম সময়, যেরকম ব্যক্তি, সেইরকম রূপ -
এইরকম ফলোফাদার করো তাহলে সেবা আর সংকল্প সবকিছুতে সহজেই সফলতামূর্তি হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
যেখানে
সর্বশক্তি থাকে সেখানে নির্বিঘ্ন সফলতা সাথে থাকে।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
সম্পন্ন বা কর্মাতীত হওয়ার ধুন লাগাও
যেরকম সাকারে আসা
যাওয়ার সহজ প্র্যাক্টিস হয়ে গেছে সেইরকম আত্মাদেরও নিজেদের কর্মাতীত অবস্থাতে
থাকারও অভ্যাস হয়ে যাবে। এখনই কর্মযোগী হয়ে কর্মতে আসা, কর্ম সমাপ্ত করে কর্মাতীত
স্থিতিতে থাকা, এই অনুভব সহজ হতে থাকবে। সদা লক্ষ্য রাখো যে কর্মাতীত অবস্থাতে থাকতে
হবে, নিমিত্ত মাত্র কর্ম করার জন্য কর্মযোগী হয়ে পুনরায় কর্মাতীত।