20.05.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা এসেছেন তোমাদের মতো বাচ্চাদের অবিনাশী উপার্জন করাতে, এখন তো যত জ্ঞান রত্নের
উপার্জন করতে চাও, করতে পারো"
প্রশ্নঃ -
আসুরী সংস্কার
পরিবর্তন করে দৈবী সংস্কার তৈরী করার জন্য কোন্ বিশেষ পুরুষার্থের প্রয়োজন?
উত্তরঃ
সংস্কারকে
পরিবর্তন করার জন্য যত সম্ভব দেহী-অভিমানী থাকার অভ্যাস করো । দেহ বোধে এলে আসুরী
সংস্কার তৈরী হয়ে যায় । বাবা এই আসুরী সংস্কারকে দৈবী সংস্কার তৈরী করার জন্য
এসেছেন, পুরুষার্থ করো প্রথমে, আমি দেহী, আত্মা, পরে আমার এই শরীর ।
গীতঃ-
তুমি রাত
কাটালে ঘুমিয়ে, দিবস কাটালে খেয়ে, অমূল্য এ জীবন বৃথাই বয়ে যায়...
ওম্ শান্তি ।
এই গীত
বাচ্চারা অনেকবার শুনেছে । রুহানি বাচ্চাদের রুহানি বাবা সাবধান করতে থাকেন যে, এই
সময় হারিয়ে ফেলার জন্য নয় । এই সময় হলো অনেক বড় উপার্জন করার । এই উপার্জন
করানোর জন্যই বাবা এসেছেন । এই উপার্জনও অগাধ, যার যত উপার্জন করার প্রয়োজন, করতে
পারো । এ হলো অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দ্বারা ঝুলি ভরপুর করার উপার্জন । এ হলো
ভবিষ্যতের জন্য । ও সব হলো ভক্তি আর এ হলো জ্ঞান । মানুষ একথা জানে না যে, ভক্তি
তখনই শুরু হয়, যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় । আবার জ্ঞান তখন শুরু হয়, যখন বাবা এসে
রামরাজ্য স্থাপন করেন । জ্ঞান হলো নতুন দুনিয়ার জন্য আর ভক্তি হলো পুরানো দুনিয়ার
জন্য । বাবা এখন বলছেন, তোমাদের তো প্রথমে নিজেকে দেহী (আত্মা) অনুভব করতে হবে ।
বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা প্রথমে হলাম আত্মা, পরে শরীর, কিন্তু
ড্রামা প্ল্যান অনুসারে মানুষের বুদ্ধি সব রং (ভুল ) হয়ে গেছে, তাই উল্টো বুঝে
নিয়েছে যে, আমরা প্রথমে দেহ, তারপরে দেহী । বাবা বলেন যে, এ তো বিনাশী । এই দেহকে
তোমরা ধারণ করো আর ত্যাগ করো । সংস্কার আত্মার মধ্যেই থাকে । দেহ বোধে আসার কারণে
সংস্কার আসুরী হয়ে যায় । তখন এই আসুরী সংস্কারকে দৈবী সংস্কারে পরিণত করার জন্য
বাবাকে আসতে হয় । এই সমস্ত রচনা ওই এক রচয়িতা বাবারই । তাকে সবাই ফাদার বলে থাকে
। লৌকিক বাবাকেও যেমন ফাদার বলা হয় । বাবা আর মাম্মা, এই দুই অক্ষর খুবই মিষ্টি ।
রচয়িতা তো বাবাকেই বলা হবে । তিনি প্রথমে মাকে অ্যাডপ্ট করেন, তারপর রচনা করেন ।
অসীম জগতের পিতা বলেন, আমি এসে এনার মধ্যে প্রবেশ করি, এনার নামও তখন উজ্জ্বল হয়ে
যায় । এমন বলাও হয় যে, ভাগীরথ । মানুষের চিত্রই দেখানো হয় । কোনো ষাঁড় ইত্যাদি
কিছু নেই । ভাগীরথ হলো মনুষ্য তন । বাবা এসেই বাচ্চাদের নিজের পরিচয় দান করেন ।
তোমরা সবসময় বলো, আমরা বাপদাদার কাছে যাবো । কেবলমাত্র বাবা বললে তা নিরাকার বাবা
হয়ে যায় । নিরাকার বাবার কাছে তো তখনই যেতে পারবে, যখন শরীর ত্যাগ করবে, এমনিতে
তো কেউ যেতে পারবে না । এই নলেজ বাবাই দান করেন । এই নলেজ বাবার কাছেই আছে । বাবার
কাছে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের সম্পদ সম্পদ আছে । বাবা হলেন জ্ঞান রত্নের সাগর । এ কোনো
জলের কথা নয় । এ হলো জ্ঞান রত্নের ভান্ডার । এতে নলেজ আছে । জলকে নলেজ বলা হয় না
। মানুষের যেমন ব্যারিস্টারী, ডাক্তারীর নলেজ হয়, এও তেমন নলেজ । এই নলেজের কারণেই
ঋষি - মুনি ইত্যাদিরা বলতেন যে, রচয়িতা আর রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তের নলেজ আমরা
জানি না । সে তো এক রচয়িতাই জানেন । ঝাড়ের বীজরূপও তিনিই । তাঁর মধ্যেই এই সৃষ্টির
আদি - মধ্য এবং অন্তের নলেজ আছে । তিনি যখন আসবেন, তখনই শোনাবেন । তোমরা এখন এই
নলেজ পেয়েছো, তোমরা এই নলেজের দ্বারা দেবতা হও । নলেজ পেয়ে তারপর প্রালব্ধ পাও ।
ওখানে এই নলেজের দরকারই হবে না । এমন নয় যে, দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান নেই, তাই
তাঁরা অজ্ঞানী । তা নয়, তাঁরা তো এই নলেজের দ্বারা ওই পদ প্রাপ্ত করে । মানুষ
বাবাকে ডাকতেই থাকে - বাবা এসো, আমরা কিভাবে পতিত থেকে পাবন হবো, তার জন্য পথ বলে
দাও, নলেজ দাও, কেননা আমরা জানি না । তোমরা এখন জানো যে, আমরা আত্মারা শান্তিধাম
থেকে এসেছি । ওখানে আত্মারা শান্ত অবস্থায় থাকে । এখানে তারা পার্ট প্লে করতে আসে
। এ হলো পুরানো দুনিয়া, তাহলে অবশ্যই নতুন দুনিয়া ছিলো । তা কবে ছিলো, কে রাজত্ব
করতেন - একথা কেউই জানে না । তোমরা এখন বাবার কাছ থেকে জেনেছো । বাবা হলেন জ্ঞানের
সাগর, সদ্গতি দাতা । তাঁকেই মানুষ ডাকে যে, বাবা তুমি এসে আমাদের দুঃখ হরণ করো, সুখ
- শান্তি দান করো । আত্মা জানে কিন্তু তমোপ্রধান হয়ে গেছে, তাই আবারও বাবা এসে
নিজের পরিচয় দান করছেন । মানুষ না আত্মাকে জানে, না পরমাত্মাকে জানে । তাদের
আত্মার জ্ঞানই নেই যে, পরমাত্ম অভিমানী হবে । পূর্বে তোমরাও জানতে না । এখন তোমরা
জ্ঞান প্রাপ্ত করেছো, তাই বুঝতে পারো যে, বরাবর চেহারা মানুষের ছিলো কিন্তু চরিত্র
ছিলো বানরের মতো ।
বাবা এখন যেহেতু
জ্ঞান দান করেছেন তাই আমরাও নলেজফুল হয়ে গেছি । আমরা রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান
প্রাপ্ত করেছি । তোমরা জানো যে, আমাদের ভগবান পড়ান, তাই আমাদের কতো নেশা থাকা উচিত
। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, তাঁর মধ্যে অসীম জগতের জ্ঞান আছে । তোমরা অন্য যে কোনো
মানুষের কাছেই যাও - সৃষ্টির আদি - মধ্য - অন্তের জ্ঞান কেন, আত্মা কি জিনিস তাও
জানে না । মানুষ বাবাকে স্মরণও করে, দুঃখহর্তা, সুখকর্তা, তারপরও ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী
বলে দেয় । বাবা বলেন, ড্রামা অনুসারে ওদেরও কোনো দোষ নেই । মায়া সম্পূর্ণ তুচ্ছ
বুদ্ধির বানিয়ে দেয় । পোকা তো আবর্জনা - দুর্গন্ধতেই সুখ খুঁজে পায় । বাবা আসেই
এই দুর্গন্ধ থেকে তোমাদের মুক্ত করতে । মানুষ তো পাঁকে ফেঁসে আছে । জ্ঞানের কথা তো
জানেই না, তাই কি আর করবে ! মানুষ চোরাবালিতে আটকে গেছে, এদের এখান থেকে বের করাই
মুশকিল হয়ে যায় । এখান থেকে বের করে অর্ধেক বা পৌনে পর্যন্ত নিয়ে যাও, তবুও হাত
ছেড়ে আবারও পতন হয়ে যায় । কোনো কোনো বাচ্চা অন্যদের জ্ঞান দান করতে করতে স্বয়ংই
মায়ার থাপ্পড় খেয়ে নেয়, কেননা বাবার ডায়রেকশনের বিরুদ্ধে কার্য করে নেয় ।
অন্যদের নির্গত করার চেষ্টা করে কিন্তু নিজেই পতিত হয়ে যায়, তখন আবার তাকে বের
করতে কতো পরিশ্রম করতে হয়, কেননা মায়ার কাছে হেরে যায় । তাদের অন্দরে নিজের পাপই
দংশন করতে থাকে । এ তো মায়ার লড়াই, তাই না । এখন তোমরা যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত আছো
। ওরা হলো বাহুবলের দ্বারা লড়াই করা হিংসক সেনা । তোমরা হলে অহিংসক । তোমরা অহিংসার
দ্বারা রাজ্য গ্রহণ করো । হিংসা তো দুই প্রকারের হয় । এক হলো কাম কাটারি চালানো,
আর দ্বিতীয় হিংসা হলো কাউকে মারধোর করা । তোমরা এখন ডবল অহিংসক হও । জ্ঞান বল এর
এই লড়াইয়ের কথা কেউই জানে না । অহিংসা কাকে বলা হয়, একথা কেউই জানে না । ভক্তি
মার্গের সামগ্রী কতো বেশী । মানুষ গেয়েও থাকে যে, হে পতিত পাবন, এসো কিন্তু আমি
কিভাবে এসে পাবন বানাই - একথা কেউই জানে না । গীতাতেই ভুল করে দিয়েছে যে, মানুষকে
ভগবান বলে দিয়েছে । শাস্ত্র মানুষই লিখেছে । মানুষই পাঠ করে । দেবতাদের তো শাস্ত্র
পাঠ করার কোনো প্রয়োজন নেই । ওখানে কোনো শাস্ত্র থাকে না । জ্ঞান, ভক্তি, তারপরে
হলো বৈরাগ্য । কার বৈরাগ্য? ভক্তির, পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য । পুরানো শরীরের
প্রতি বৈরাগ্য । বাবা বলেন যে, এই চোখ দিয়ে যা কিছুই দেখো, তা আর থাকবে না । এই
সমস্ত ছিঃ - ছিঃ দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য । বাকি তোমরা নতুন দুনিয়ার দিব্যদৃষ্টির
দ্বারা সাক্ষাৎকার করো । তোমরা এই পাঠ গ্রহণই করো নতুন দুনিয়ার জন্য । এই পড়া এই
জন্মের জন্য নয় । আর যে সমস্ত পড়া আছে, তা হয় সেই সময় এবং সেই জন্মের জন্য । এখন
তো হলো সঙ্গম, তাই তোমরা এখন যা পড়ো, তার প্রালব্ধ তোমরা নতুন দুনিয়াতে প্রাপ্ত করো
। তোমরা অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে কতো বড় প্রালব্ধ প্রাপ্ত করো । অসীম জগতের পিতার
কাছ থেকে অসীম জাগতিক সুখের প্রাপ্তি হয় । তাই বাচ্চাদের সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করে
শ্রীমতে চলা উচিত । বাবা হলেন শ্রেষ্ঠের থেকেও শ্রেষ্ঠ । তোমরা তাঁর কাছ থেকে
শ্রেষ্ঠ হওয়ার শিক্ষা লাভ করো । তিনি তো সদাই হলেন শ্রেষ্ঠ । তিনি তোমাদের শ্রেষ্ঠ
বানান । ৮৪ জন্মগ্রহণ করতে করতে তোমরা আবারও ভ্রষ্ট হয়ে যাও । বাবা বলেন, আমি তো
জন্ম - মরণে আসি না । আমি এখন এই ভাগ্যশালী রথে প্রবেশ করি, যাঁকে তোমরা বাচ্চারা
চিনেছো । তোমাদের ঝাড় এখন ছোটো । ঝাড়ে তুফানও তো লাগে, তাই না । পাতা ঝরতে থাকে ।
অনেক ফুল হয়, আবার তুফানের কারণে তা আবার ঝরেও যায় । কোনো কোনো ভালো ফল তৈরী হয়
কিন্তু আবার মায়ার তুফানের কারণে তা আবার পড়েও যায় । মায়ার তুফান খুবই তেজী ।
ওইদিকে হলো বাহুবল, এইদিকে হলো যোগবল অথবা স্মরণের বল । তোমরা এই স্মরণ অক্ষর পাকা
করে নাও । ওরা তো যোগ - যোগ শব্দ বলতে থাকে । তোমাদের হলো স্মরণ । তোমরা চলতে -
ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো, একে যোগ বলা হবে না । যোগ অক্ষর সন্ন্যাসীদের কাছে বিখ্যাত
। তারা অনেকপ্রকারের যোগ শেখায় । বাবা কতো সহজ করে বলেন - উঠতে - বসতে, চলতে -
ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো । তোমরা হলে অর্ধ কল্পের প্রিয়তমা (আশিক) । তোমরা আমাকে
স্মরণ করে এসেছো । আমি এখন এসেছি । আত্মাকে কেউই জানে না, তাই বাবা এসে রিয়েলাইজ
করান । এও বোঝার মতো অতি সূক্ষ্ম কথা । আত্মা অতি সূক্ষ্ম এবং অবিনাশী । না আত্মার
বিনাশ হয়, আর না তার পার্টের বিনাশ হতে পারে । মোটা বা স্থূল বুদ্ধির যারা, তারা
এই কথা খুব মুশকিলের সঙ্গেই বুঝতে পারে । শাস্ত্রেও এইসব কথা নেই ।
বাচ্চারা, তোমাদের
বাবাকে স্মরণ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয় । জ্ঞান তো খুবই সহজ । বাকি বিনাশকালে
প্রীত বুদ্ধি আর বিপরীত বুদ্ধি, একথা স্মরণের জন্য বলা হয় । স্মরণ ভালো হলে তাকে
প্রীত বুদ্ধির বলা হয় । প্রীতিও অব্যভিচারী হওয়ার প্রয়োজন । নিজেকে জিজ্ঞেস করতে
হবে - আমি বাবাকে কতক্ষণ স্মরণ করি? এও বুঝতে পারে যে,বাবার সঙ্গে প্রীত বুদ্ধি
রাখতে রাখতে যখন কর্মাতীত অবস্থা হবে, তখনই এই শরীর ত্যাগ হবে আর লড়াইও লাগবে ।
বাবার সঙ্গে যতো প্রীতির সম্বন্ধ হবে, ততই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে ।
পরীক্ষা তো একই সময় হবে, তাই না । যখন সময় সম্পূর্ণ হয়, সকলের প্রীত বুদ্ধি হয়ে
যায়, তখনই বিনাশ হয় । ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই - ঝগড়া চলতে থাকে । বিলেতের মানুষরাও
বুঝতে পারে যে, মৃত্যু এখন সামনে উপস্থিত, কেউ প্রেরক আছে, যে আমাদের দিয়ে বোম্বস্
তৈরী করায়, কিন্তু কি আর করতে পারবো । এ তো ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে, তাই না ।
নিজেদেরই সায়েন্সের শক্তিতে নিজেদের কুলেরই মৃত্যু নিয়ে আসে । বাচ্চারা বলে,
আমাদের পাবন দুনিয়াতে নিয়ে চলো, তাহলে তো শরীরকে নিয়ে যাবেনই না । বাবা তো
কালেরও কাল । একথা কেউই জানে না । গায়ন আছে যে, কারোর পৌষ মাস আর কারোর সর্বনাশ ।
ওরা বলে বিনাশ যেন বন্ধ হয়ে যায় আর শান্তি স্থাপিত হয় । আরে, বিনাশ ছাড়া কিভাবে
সুখ - শান্তি স্থাপিত হবে, তাই তোমরা চক্রের উপর অবশ্যই বোঝাও । এখন স্বর্গের গেট
খুলে যাচ্ছে । বাবা বলেছেন যে, এর উপরও একটি পুস্তক ছাপাও - গেট ওয়ে টু শান্তিধাম
- সুখধাম । এর অর্থও বুঝতে পারবে না । অর্থ তো খুবই সহজ কিন্তু কোটিতে কয়েকজনই
মুশকিলের সঙ্গে বুঝতে পারে । তোমাদের প্রদর্শনী ইত্যাদিতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত
নয় । প্রজা তো তৈরী হয়, তাই না । লক্ষ্য অনেক বড়, তাই পরিশ্রমও লাগে । এই পরিশ্রম
হলো স্মরণের । এতেই অনেকে ফেল করে যায় । এই স্মরণও অব্যভিচারী হওয়ার প্রয়োজন ।
মায়া তো প্রতি মুহূর্তেই ভুলিয়ে দেয় । পরিশ্রম ছাড়া তো কেউই বিশ্বের মালিক হতেই
পারে না । তোমাদের সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করা উচিত - আমরা সুখধামের মালিক ছিলাম ।
অনেকবার এই চক্র সম্পূর্ণ করেছি । এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে । এতে মায়া খুব বিঘ্ন
সৃষ্টি করে । বাবার কাছে সার্ভিসেরও সমাচার আসে । আজ বিদ্বান মন্ডলীকে বোঝানো হয়েছে,
আজ এই করেছি.... ড্রামা অনুসারে মাতাদের নাম উজ্জ্বল হবে । বাচ্চারা, তোমাদের এই
খেয়াল রাখতে হবে যে, মাতাদের এগিয়ে দিতে হবে । এ হলো চৈতন্য হৃদয়বান মন্দির ।
তোমরা চৈতন্য হয়ে যাবে, তারপর তোমরা রাজত্ব করতে থাকবে। ভক্তিমার্গের মন্দির
ইত্যাদি আর থাকবে না । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
একমাত্র বাবার সাথে অব্যভিচারী প্রীতি রাখতে রাখতে কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করতে হবে
। এই পুরানো দুনিয়া এবং পুরানো দেহের প্রতি যেন অসীম জাগতিক বৈরাগ্য থাকে ।
২ ) কোনো কর্তব্যই
বাবার ডায়রেকশনের বিরুদ্ধে করো না । যুদ্ধের ময়দানে কখনোই হেরে যেও না । তোমাদের
ডবল অহিংসক হতে হবে ।
বরদান:-
শুভ
ভাবনার দ্বারা সেবা করে বাবার সম অপকারীর প্রতিও উপকারী ভব
বাবা যেমন অপকারীর
প্রতিও উপকার করেন, তেমনই তোমাদের সামনে যে আত্মাই আসুক না কেন, তোমাদের দয়ার
বৃত্তির দ্বারা, শুভ ভাবনার দ্বারা তাকে পরিবর্তন করে দাও - এই হলো প্রকৃত সেবা ।
সায়েন্টিস্টরা যেমন বালির মধ্যেও ক্ষেত তৈরী করে দেয়, তেমনই সাইলেন্সের শক্তির
দ্বারা দয়ালু হয়ে অপকারীর প্রতিও উপকার করে এই ধরণীকে পরিবর্তন করো । স্ব -
পরিবর্তনের দ্বারা, শুভ ভাবনার দ্বারা যে কোনো আত্মাই পরিবর্তিত হয়ে যাবে, কেননা
শুভ ভাবনা অবশ্যই সফলতা প্রাপ্ত করায় ।
স্লোগান:-
জ্ঞানের মন্থন করাই সদা হর্ষিত থাকার আধার ।
অব্যক্ত ইশারা :-
আত্মিক রয়্যালিটি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো
তোমাদের মতো
ব্রাহ্মণদের আত্মিক পার্সোনালিটি সম্পূর্ণ কল্পে আর কারোরই হয় না, কেননা তোমাদের
সকলের পার্সোনালিটি তৈরী করেন উঁচুর থেকেও উঁচু স্বয়ং পরমাত্মা । তোমাদের সবথেকে
বড় পার্সোনালিটি হলো - স্বপ্ন বা সঙ্কল্পমাত্রেও সম্পূর্ণ পিওরিটি । এই পিওরিটির
সঙ্গে সঙ্গে চেহারা এবং চলনেও রুহানিয়তের পার্সোনালিটি থাকবে, নিজের এই
পার্সোনালিটিতে সদা স্থির থাকো তাহলে সতঃতই সেবা হতে থাকবে ।