20-07-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
25-02-2006 মধুবন
"আজ উৎসবের দিনে মনের উৎসাহ উদ্দীপনার দ্বারা মায়ার
থেকে মুক্ত হওয়ার ব্রত নাও, মার্সিফুল হয়ে মাস্টার মুক্তিদাতা হও, সাথে যেতে হ'লে
সমান হও"
আজ চতুর্দিকের অতি স্নেহী বাচ্চাদের উৎসাহ- উদ্দীপনায় ভরা মিষ্টি মিষ্টি
স্মরণ-স্নেহ আর শুভ ভাবনা বাপদাদার কাছে পৌঁছাচ্ছে। বাপদাদাও পদম্ গুন কল্যাণকারী
শুভেচ্ছা দিচ্ছেন। আজকের দিনের বিশেষত্ব যা সারা কল্পে থাকে না তা' আজ আছে, যা বাবা
আর বাচ্চাদের জন্মদিন একসাথে হয়। একে বলা হয়ে থাকে বিচিত্র জয়ন্তী। সমগ্র কল্পে
চক্কর লাগিয়ে দেখ এমন জয়ন্তী তোমরা কখনো উদযাপন করেছ! কিন্তু আজ বাপদাদা
বাচ্চাদের জয়ন্তী উদযাপন করছেন আর বাচ্চারা বাপদাদার জয়ন্তী পালন করছে। নাম তো বলা
হয় শিব জয়ন্তী কিন্তু এটা এমন জয়ন্তী যা এই এক জয়ন্তীতে অনেক জয়ন্তী সমাহিত হয়ে
আছে। তোমাদের সবারও তো খুব খুশি হচ্ছে যে আমরা বাবাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছি আর বাবা
আমাদের অভিনন্দন জানাতে এসেছেন। কেননা, বাবা আর বাচ্চাদের একসঙ্গে জন্মদিন হওয়া এটা
অতি ভালবাসার লক্ষণ। বাবা বাচ্চাদের ছাড়া কিছু করতে পারেন না আর বাচ্চারাও বাবাকে
ছাড়া করতে পারেন না। জন্মও একসাথে আর সঙ্গমযুগে থাকাও একসাথে। কেননা, বাবা আর
বাচ্চারা কম্বাইন্ড। বিশ্ব কল্যাণের কার্যও একসাথে, বাবা একলা করতে পারেন না,
বাচ্চারাও করতে পারে না, একসাথে আছে এবং বাবার প্রতিজ্ঞা - সাথে থাকবেন, সাথে যাবেন।
সাথে তোমরা যাবে তো না! প্রতিজ্ঞা করেছ, করেছ না! বাবা আর বাচ্চাদের এত ভালবাসা
দেখেছ? দেখেছ নাকি অনুভব করছো? সেইজন্য এই সঙ্গমযুগের মহত্ত্ব আছে এবং এই মিলনের
স্মৃতিচিহ্ন-রূপ বিভিন্ন মেলাতে বানানো হয়ে থাকে। এই শিব জয়ন্তীর দিন ভক্তরা
আহ্বান করছে - এসো। কবে আসবে, কীভাবে আসবে তারা সেটা ভাবছে আর তোমরা উদযাপন করছো।
বাপদাদার ভক্তদের প্রতি স্নেহও আছে, করুণারও উদ্রেক হয়, তারা কত কিছু চেষ্টা করে,
খুঁজতে থাকে! তোমরা খুজেছ? নাকি বাবা তোমাদের খুঁজেছেন? কে খুঁজেছে? তোমরা খুঁজেছো?
তোমরা ঘুরতেই থেকেছ। কিন্তু দেখ, বাচ্চারা কোনে কোনে হারিয়ে গেছে, তবুও দেখ বাবা
বাচ্চাদের খুঁজে এনেছেন। আজও দেখ ভারতের অনেক রাজ্য থেকে তো এসেছ তোমরা, কিন্তু
বিদেশেরও কম নয়, একশ' দেশ থেকে এসে গেছে। তাছাড়া, তোমরা কত পরিশ্রম করেছ! বাবার
হওয়ার জন্য কী পরিশ্রম করেছো? পরিশ্রম করেছো? করেছ পরিশ্রম? হাত উঠাও যারা পরিশ্রম
করেছ।বাবাকে খুঁজতে ভক্তি করেছ, কিন্তু যখন বাবা তোমাদের খুঁজে নিয়েছেন, তারপরে
পরিশ্রম করেছ? করেছ পরিশ্রম? সেকেন্ডে সওদা করেছেন। এক শব্দে সওদা হয়ে গেছে। সেই
এক শব্দ কী? "আমার।" বাচ্চারা বলেছে "আমার বাবা", বাবা বলেছেন "আমার বাচ্চারা।" সওদা
হয়ে গেছে, সস্তা সওদা নাকি কঠিন? সস্তা তো না! যারা মনে করো একটু একটু কঠিন তারা
হাত তোলো। কখনো কখনো তো কঠিন লাগে, তাই না! নাকি না? সহজ, কিন্তু নিজের দুর্বলতা
কঠিন অনুভব করায়।
বাপদাদা দেখেন ভক্তরাও, যারা প্রকৃত ভক্ত, স্বার্থান্বেষী ভক্ত নয়; প্রকৃত ভক্ত,
আজকের দিনে আন্তরিক ভালবাসার সাথে ব্রত রাখে। তোমরাও সবাই ব্রত নিয়েছ, তারা অল্প
কিছু দিনের ব্রত রাখে, আর তোমরা সবাই এমন ব্রত রেখেছ যা এখনের এক ব্রত ২১ জন্ম
কায়েম থাকে। তারা প্রতি বছর পালন করে, ব্রত রাখে। তোমরা কল্পে একবার ব্রত নিয়ে
থাকো যা ২১ জন্ম না মন দ্বারা ব্রত রাখতে হয়, না তন দ্বারা ব্রত রাখতে হয়। তোমরাও
তো ব্রত নিয়ে থাকো। কোন ব্রত নিয়েছো? পবিত্র বৃত্তি, দৃষ্টি, কৃতি, পবিত্র জীবনের
ব্রত নিয়েছ। জীবনই পবিত্র হয়ে গেছে। পবিত্রতা শুধু ব্রহ্মচর্য ব্রত পালনের নয়,
বরং জীবনে আহার, ব্যবহার, সংসার, সংস্কার সব পবিত্র। এমন ব্রত নিয়েছ তো না? নিয়েছ?
কাঁধ নাড়াও। নিয়েছো? নিশ্চিতভাবে নিয়েছো? নিশ্চিত, নাকি একটু একটু অনিশ্চয়তা আছে?
আচ্ছা, এক মহাভুত কাম, তার ব্রত নিয়েছ, নাকি আর বাকি চারেরও নিয়েছো? ব্রহ্মচারী
তো হয়েছ, কিন্তু পিছনে যে চার রয়েছে, তারও ব্রত নিয়েছ? নাকি সেসব রেহাই পেয়েছে?
ক্রোধ করার অনুমতি পেয়েছো? এটা তো দ্বিতীয় নম্বর! সুতরাং কোনো ক্ষতি নেই - এমন নয়
তো? যেমন মহাভুতকে মহাভুত মনে করে মন বাণী কর্মে নিশ্চিতরূপে ব্রত নিয়েছো, তেমনভাবে
ক্রোধেরও ব্রত নিয়েছো? মনে করছো আমি ক্রোধের ব্রত নিয়েছি কিন্তু লোভ মোহ অহংকারের
বংশধর ক্রোধের পিছনে আসে। যেমনই হোক, আজ বাপদাদা ক্রোধের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছেন।
যারা ক্রোধ বিকারের পূর্ণ ব্রত নিয়েছ - মন্সাতেও ক্রোধ নেই, হৃদয়েও ক্রোধের ফিলিং
নেই, এরকমই হয়? আজ শিব জয়ন্তী, তাই না। সেইজন্য ভক্তরা ব্রত রাখবে তো বাপদাদাও
ব্রতর ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করবেন তাই না! যারা মনে করো স্বপ্নেও ক্রোধের অংশ আসতে
পারে না, তারা হাত তোলো। আসতে পারে না? কখনই আসে না? আসে কখনো? আসে না? (কেউ কেউ
হাত তুলেছে) আচ্ছা, এদের ফটো তোলো, যারা হাত তুলেছে তাদের ফটো তোলো। এটা ভালো, কেন?
কেননা, তোমাদের হাত তোলাতে বাপদাদা মানবেন না, তোমাদের সাথীদের থেকেও সার্টিফিকেট
নেবেন। তারপরে প্রাইজ দেবেন। ভালো ব্যাপার, কেননা বাপদাদা দেখেছেন যে ক্রোধের অংশও
ঈর্ষা, জেলাসি; এগুলোও ক্রোধের বংশধর। কিন্তু এটা ভালো যারা সাহস রেখেছে, তাদের
বাপদাদা এখন তো অভিনন্দন জানাচ্ছেন, কিন্তু পরে সার্টিফিকেট দেওয়ার পর আবার প্রাইজ
দেবেন। কারণ বাপদাদা যে হোম ওয়ার্ক দিয়েছেন, তার রেজাল্টও বাপদাদা দেখছেন।
আজ তোমরা বার্থ ডে উদযাপন করছ, তো বার্থ ডে উপলক্ষে কী করা হয়ে থাকে? এক তো কেক
কাটা হয়, এখন দু' মাস তো হয়ে গেছে, এখন আর এক মাস বাকি আছে, এই দু' মাসে নিজের
ব্যর্থ সংকল্পের কেক কেটেছো? ওই কেক তো খুব সহজে কেটে নাও তো না, আজও কাটবে। কিন্তু
ওয়েস্ট থটস এর কেক কেটেছ? কাটতে হবে তো, তাই না! কেননা, বাবার সাথে যেতে হবে, এই
প্রতিজ্ঞা পাক্কা তো না যে তোমরা সাথে আছ, সাথে যাবে। সাথে যেতে হ'লে সমান তো হতে
হবে, তাই না! যদি অল্পবিস্তরও থেকে যায়, তো ওই দু' মাস পূর্ণ হয়ে গেছে! আজকের দিনে
তোমরা বার্থ ডে উদযাপন করতে কোথা কোথা থেকে এসেছ! প্লেনেও এসেছো, ট্রেনেও এসেছ,
কারেও এসেছ, বাপদাদা খুশি যে তোমরা ছুটতে ছুটতে এসে গেছো। কিন্তু বার্থ ডে'তে প্রথমে
গিফ্টও দেওয়া হয়। তো যে একমাস বাকি আছে, হোলিও আসছে, হোলিতেও কিছু অবশ্যই জ্বালানো
হয়ে থাকে। ওয়েস্ট থটস-এর অল্পবিস্তর যে বীজ আছে সেই বীজ যদি থেকে যাচ্ছে তাহলে
সেগুলো থেকে কখনো কাণ্ড বেরিয়ে আসবে, কখনো শাখাও বেরিয়ে আসবে। তাহলে কী আজকের
উৎসবের দিন মনের উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে, কেবল মুখে উৎসাহ-উদ্দীপনা নয়, মনের উৎসাহ
উদ্দীপনার সাথে যা কিছু অল্পবিস্তর থেকে গেছে, হতে পারে তা' মন্সাতে বা বাণীতে,
কিম্বা সম্বন্ধ- সম্পর্কে সেসব গিফ্ট হিসেবে কি আজ বাবার বার্থ ডে উপলক্ষে বাবাকে
দিতে পারো? দিতে পারো মনের উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে? লাভ তো তোমাদের, বাবার তো শুধু
দেখার আছে। যারা উৎসাহ-উদ্দীপনায় মনোবল বজায় রাখে - করেই দেখাবো, বেস্ট হয়ে
দেখাবো, তারা হাত তোলো। ছেড়ে দিতে হবে, ভেবে নাও। এমনকি, বোলেও নয়, সম্বন্ধ
সম্পর্কেও নয়। আছে সাহস? সাহস আছে? যারা মধুবনের তাদের মধ্যেও আছে, যারা ফরেনের
তাদের মধ্যেও আছে, ভারতবাসীর মধ্যেও আছে কেননা, বাপদাদার ভালবাসা আছে তো না! তাইতো
বাপদাদা মনে করেন সবাই একসঙ্গে যাক, কেউ যেন থেকে না যায়! যখন প্রতিজ্ঞা করেছ সাথে
যাবে তখন সমান তো হতেই হবে। ভালবাসা আছে তো না! অসুবিধায় হাত তোলোনি তো?
বাপদাদা এই সংগঠনের, ব্রাহ্মণ পরিবারের বাবা সমান মুখ দেখতে চান। কেবল দৃঢ়
সংকল্পের মনোবল রাখো, এটা বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু সহন শক্তি প্রয়োজন, অন্তর্লীন
করার শক্তি প্রয়োজন। যাদের মধ্যে সহনশক্তি ও অন্তর্লীন করার শক্তি, এই দুই শক্তি
আছে তারা সহজভাবে ক্রোধমুক্ত হতে পারে। তো তোমরা সব ব্রাহ্মণ বাচ্চাকে তো বাপদাদা
সর্বশক্তি বরদান রূপে দিয়েছেন। টাইটেল-ই হলো মাস্টার সর্বশক্তিমান। কেবল একটা
স্লোগান স্মরণে রাখবে, যদি এক মাসের মধ্যে সমান হতেই হয় তবে এক স্লোগানের স্মরণ
রাখতে হবে প্রতিজ্ঞার - না দুঃখ দেওয়ার আছে, না দুঃখ নেওয়ার আছে। অনেকে এটা চেক
করে যে আজকের দিনে কাউকে দুঃখ দিইনি, কিন্তু খুব সহজে নিয়ে নেয়। কারণ, নেওয়ার
ব্যাপারে অন্যে দেয় তো না, তো নিজেকে অব্যাহতি দেয় - থোরাই আমি কিছু করেছি!
অন্যজন দিয়েছে, কিন্তু তুমি নিয়েছো কেন? তুমি নেবে নাকি দেবে? যে দিয়েছে সে ভুল
করেছে, বাবা আর ড্রামা জানে তার হিসেবনিকেশ, কিন্তু তুমি কেন নিয়েছো? বাপদাদা
রেজাল্টে দেখেছেন যে দেওয়ার ব্যাপারে তোমরা ভাবো, তবুও খুব তাড়াতাড়িই তোমরা নিয়ে
নাও। সেইজন্য সমান হতে পারবে না। যে যতই দিক নেওয়ার দরকার নেই, নয়তো ফিলিংয়ের
অসুখ বেড়ে যায়। সেইজন্য যদি ছোট ছোট বিষয়ে ফিলিং বাড়ে তবে ওয়েস্ট থটস শেষ হতে
পারে না। তাছাড়া, বাবার সঙ্গে কীভাবে যাবে! বাবার ভালবাসা আছে, বাবা তোমাদের ছেড়ে
যেতে পারেন না, সাথে নিয়েই যেতে হবে। মঞ্জুর? পছন্দ হয়েছে তো না! পছন্দ হয়েছে তো
হাত তোলো। পিছনে পিছনে তো যাবে না, তাই না! যদি সাথে যেতে হয় তবে গিফ্ট দিতেই হবে।
এক মাস সবাই অভ্যাস করো, না দুঃখ নেবো, না দুঃখ দেবো।এটা ব'লো না আমি দিইনি, সে নিয়ে
নিয়েছে, কিছু তো হয়েই যায়। পরদর্শন ক'রো না, স্ব-দর্শন। আমাকে হতে হবে - 'হে
অর্জুন।'
দেখ, বাপদাদা রিপোর্টে দেখেছেন, মেজরিটির সন্তুষ্টতার রিপোর্ট এখনও ছিল না। সেইজন্য
বাপদাদা আবার এক মাসের জন্য আন্ডারলাইন করাচ্ছেন। যদি এক মাস অনুশীলন করো তবে
অভ্যাস হয়ে যাবে। অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটা হাল্কা ভাবে ছেড়ে দিও না - এরকম তো
হয়েই থাকে। এটুকু তো চলেই, না। যদি বাপদাদার প্রতি ভালবাসা থাকে তাহলে ভালবাসার
কারণে কি শুধু ক্রোধ এই এক বিকার সমর্পণ করতে পারো না? সমর্পণের লক্ষণ হলো - আজ্ঞা
পালনকারী। ব্যর্থ সংকল্প অন্তিম মুহূর্তে অনেক ধোঁকা দিতে পারে। কেননা, চতুর্দিকের
দুঃখের বায়ুমন্ডল, প্রকৃতির বায়ুমন্ডল এবং আত্মাদের বায়ুমন্ডল নিজের দিকে আকর্ষণ
করবে। যদি ওয়েস্ট থটসের অভ্যাস থাকে তবে ওয়েস্টেই জড়িয়ে যাবে। তো বাপদাদার আজ
বিশেষভাবে সাহসের এই সংকল্প রয়েছে, বাচ্চারা বিদেশে থাকুক বা ভারতে থাকুক, তারা তো
সব এক বাপদাদার বাচ্চা। তাইতো বাপদাদার আজ বিশেষভাবে সাহসের এই সংকল্প রয়েছে -
চতুর্দিকের বাচ্চারা সাহস আর দৃঢ়তা রেখে সফল মূর্ত হয়ে বিশ্বে এই অ্যানাউন্স করুক
যে কাম নেই, ক্রোধ নেই, আমরা পরমাত্ম সন্তান। তোমরা অন্যদের মদ্যপান থেকে, ধূমপান (বিড়ি)
থেকে নিরস্ত করো, কিন্তু আজ বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে ক্রোধমুক্ত, কাম বিকার মুক্ত
হওয়ার সাহস যুগিয়ে বিশ্বের স্টেজে দেখাতে চান। পছন্দ তোমাদের? দাদিদের পছন্দ?
তোমরা যারা প্রথম লাইনের তাদের পছন্দ? যারা মধুবনের তাদের পছন্দ? মধুবনের যারা
তাদেরও পছন্দ, যারা ফরেন থেকে তাদেরও পছন্দ হয়েছে? তো যেটা পছন্দের জিনিস সেটা করা
কী এমন বড় ব্যাপার! বাপদাদাও এক্সট্রা কিরণ দেবেন। এমন নকশা যেন দৃশ্যমান হয় যে
ব্রাহ্মণ পরিবার এই আশীর্বাদ দেয় এবং নেয়। কারণ সময়ও আহ্বান করছে, বাপদাদার কাছে
তো অ্যাডভান্স পার্টিরও হৃদয়ের আহ্বান আছে। মায়াও এখন ক্লান্ত হয়ে গেছে। সেও চায়
যে এখন আমাকেও মুক্তি দিয়ে দাও।
তোমরা মুক্তি দাও কিন্তু মাঝে মাঝে একটু বন্ধুত্ব করে নাও কেননা, ৬৩ জন্ম তোমাদের
বন্ধু ছিল তো না! তো বাপদাদা বলেন হে মাস্টার মুক্তিদাতা এখন সবাইকে মুক্তি দিয়ে
দাও। কেননা, সমগ্র বিশ্বকে কিছু না কিছু প্রাপ্তির এক আঁজলা দিতে হবে, কত কাজ করতে
হবে। কারণ বর্তমানের এই সময় তোমাদের সাথী, সর্ব আত্মাকে মুক্তিতে যেতেই হবে, এটাই
সেই সময়। অন্য সময় যদি তোমরা পুরুষার্থ করো, তখন সময় থাকবে না, সেইজন্য তোমরা
দিতে পারবে না। এখন সময় হয়েছে, তাইতো বাপদাদা বলছেন প্রথমে স্ব-কে মুক্তি দাও,
তারপরে বিশ্বের সর্ব আত্মাকে মুক্তির এক বিন্দু প্রাপ্তি করাও। তারা আর্তনাদ করছে,
তোমরা কী দুঃখীদের আর্তনাদের আওয়াজ শুনতে পাও না? যদি নিজেতেই বিজি থাকো তো আওয়াজ
শোনা যাবে না। বারবার তারা গীত গেয়ে যাচ্ছে - দুঃখীদের প্রতি কিছু কৃপা করো...।
এখন থেকে দয়ালু, কৃপালু, মার্সিফুল হওয়ার সংস্কার বহুকাল থেকে যদি না ভরো তবে
তোমাদের জড়চিত্রে মার্সিফুলের, কৃপার, করুণার, দয়ার ভাইব্রেশন কীভাবে ভরবে!
ডবল ফরেনার্স তোমরা কী মনে করো, তোমরাও দ্বাপরে মার্সিফুল হয়ে জড়চিত্রের দ্বারা
সবাইকে মার্সি দেবে, দেবে তো না! জড়চিত্র তোমাদেরই তো, তাই না, নাকি যারা ইন্ডিয়া
থেকে সেসব তাদের! ফরেনার্স মনে করো তোমাদের চিত্র আছে? তো চিত্র কী দেয়? চিত্রের
কাছে গিয়ে কী চায়? মার্সি, মার্সির জন্য একটানা চাইতে থাকে। তো এখন সঙ্গমে দ্বাপর
কলি যুগের সময়ের জন্য তোমরা তোমাদের জড় চিত্রের বায়ুমণ্ডল ভরবে তবেই তোমাদের জড়
চিত্রের দ্বারা তারা অনুভব করবে। ভক্তদের কল্যাণ হবে, তাই তো না! ভক্তও তোমাদের
বংশাবলি তাই না? তোমরা সবাই গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদারের সন্তান, কিন্তু ভক্তরাও
আছে, হতে পারে তারা দুঃখী, তবুও তারা তো তোমাদেরই বংশাবলি। তো তোমাদের দয়া হয় না?
হয় তো অবশ্যই কিন্তু অন্য কোথাও তোমরা বিজি হয়ে যাও। এখন নিজেদেরকে নিজেদের
পুরুষার্থে বেশি সময় লাগিও না। দেওয়াতে নিয়োজিত করো, তাহলে দেওয়া নেওয়া হয়ে
যাবে। ছোট ছোট বিষয়ে নয়, বরং মুক্তি দিন উদযাপন করো। আজকের দিন মুক্তি দিবস হিসেবে
উদযাপন করো। ঠিক আছে? হ্যাঁ, প্রথম লাইন ঠিক আছে? ঠিক আছে? মধুবন নিবাসী?
আজ মধুবনবাসীকে খুব প্রিয় লাগছে। কেননা, সবাই মধুবনকে খুব তাড়াতাড়ি ফলো করে। সব
বিষয়ে তাড়াতাড়ি মধুবনকে ফলো করে, সুতরাং মধুবন যদি মুক্তি দিবস উদযাপন করে তবে
সবাই ফলো করবে। তোমরা সব মধুবন নিবাসী মাস্টার মুক্তি দাতা হয়ে যাও। হবে তোমরা? (সবাই
হাত তুলেছে) আচ্ছা, অনেক আছ। এখন বাপদাদা সবাইকে হয় তোমরা এখানে বসে আছ, অথবা দেশ
বিদেশে দূরে বসে শুনছ, কিংবা দেখছ, সকল বাচ্চাকে ড্রিল করান। সবাই রেডি হয়ে গেছে।
সব সংকল্প মার্জ করে দাও, এখন এক সেকেন্ডে মন-বুদ্ধি দ্বারা নিজের সুইট হোমে পৌঁছে
যাও...এখন পরমধাম থেকে সূক্ষ্মবতনে পৌঁছে যাও..এখন সূক্ষ্মবতন থেকে স্থূল সাকার বতন-
নিজের রাজ্য স্বর্গে পৌঁছে যাও...এখন নিজের পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে পৌঁছে যাও...এখন
মধুবনে এসে যাও। এভাবে বারবার স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে চক্রভ্রমণ করতে থাকো। আচ্ছা।
চতুর্দিকের লাভলি আর লাকি বাচ্চাদের, সদা স্বরাজ্য দ্বারা স্ব-পরিবর্তনকারী রাজা
বাচ্চাদের, সদা দৃঢ়তার দ্বারা সফলতা প্রাপ্তকারী সফলতার নক্ষত্রদের, সদা যারা খুশি
থাকে এমন সৌভাগ্যবান বাচ্চাদের, আজ বাপদাদার জন্মদিনে বাবা আর বাচ্চাদের বার্থ-ডে'র
অনেক অনেক বার আশীর্বাদ আর স্মরণের স্নেহ-সুমন, এমন শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদের নমস্কার।
বরদান:-
বিশ্ব কল্যাণের দায়িত্ব মনে করে সময় আর শক্তির
ইকনমি করে মাস্টার রচয়িতা ভব
বিশ্বের সকল আত্মা তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মাদের পরিবার।
সুতরাং সকল আত্মাকে সামনে রেখে নিজেকে অসীম সেবার্থে নিমিত্ত মনে করে নিজের সময় আর
শক্তি কার্যে প্রয়োগ করো। নিজের জন্যই উপার্জন করা, খাওয়া আর নষ্ট করা - এরকম
অসাবধান হয়ো না। সমুদয় ভাণ্ডারের বাজেট বানাও। মাস্টার রচয়িতা ভব-র বরদান
স্মৃতিতে রেখে সময় আর শক্তির স্টক সেবার জন্য জমা করো।
স্লোগান:-
মহাদানী সেই যার সংকল্প আর বোলের দ্বারা সবার
বরদানের প্রাপ্তি হয়।
অব্যক্ত ইশারা :- সংকল্পের শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ
সেবার নিমিত্ত হও তোমাদের যে সূক্ষ্ম শক্তি মন্ত্রী বা মহামন্ত্রী (মন আর বুদ্ধি)
তাদের নিজের অর্ডার অনুসারে চালাও। যদি এখন থেকে রাজ্য দরবার ঠিক থাকে তবে
ধর্মরাজের দরবারে যেতে হবে না। ধর্মরাজ স্বাগত জানাবেন। কিন্তু যদি কন্ট্রোলিং
পাওয়ার না থাকে তবে ফাইনাল রেজাল্টে ফাইন ভরার জন্য ধর্মরাজ পুরীতে যেতে হবে। ফাইন
হিসেবে এই শাস্তি। যদি রিফাইন হয়ে যাও তবে ফাইন ভরতে হবে না। সূচনাঃ - আজ মাসের
তৃতীয় রবিবার, সকল তপস্বী ভাই বোন সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত বিশেষ যোগ
অভ্যাসের সময় ভক্তদের আহ্বান শুনুন এবং ইষ্টদেব দরাজদিল দাতাস্বরূপে নিজের স্থিতিতে
স্থিত হয়ে সকলের মনোকামনা পূরণ করার সেবা করুন।