20.12.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
সদ্গুরু এসেছেন তোমাদের উচ্চ ভাগ্য বানাতে, তাই তোমাদের আচরণ খুব-খুব রয়্যাল হওয়া
উচিত”
প্রশ্নঃ -
ড্রামার কোন্
প্ল্যান-টি এমন বানানো আছে যার ফলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না?
উত্তরঃ
ড্রামাতে এই
পুরানো দুনিয়ার বিনাশের প্ল্যান বানানো আছে, এতে কারো দোষ নেই। এই সময় এই দুনিয়ার
বিনাশের জন্য প্রকৃতির ক্রোধ বেড়েছে। চারিদিকে আর্থকোয়েক হবে, বাড়ি ভেঙে যাবে,
বন্যা হবে, দুর্ভিক্ষ হবে তাই বাবা বলেন বাচ্চারা এখন এই পুরানো দুনিয়া থেকে তোমরা
নিজের বুদ্ধিযোগ সরিয়ে নাও, সদ্গুরুর শ্রীমৎ অনুসারে চলো। জীবিত থেকে দেহের অনুভূতি
ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করতে থাকো।
গীতঃ-
আমাদের সেই পথে
চলতে হবে....
ওম্ শান্তি ।
কোন্ পথে চলতে
হবে? গুরুর পথে চলতে হবে। ইনি কোন্ গুরু? উঠতে-বসতে মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে যায়
বাহ গুরু। গুরু তো অনেক আছে। বাহ গুরু কাকে বলবে? কার উদ্দেশ্যে এমন মহিমা বর্ণনা
করবে? সদ্গুরু তো হলেন একমাত্র বাবা। ভক্তিমার্গে অসংখ্য গুরু আছে। কেউ কারো মহিমা
করে, কেউ অন্য কারো মহিমা করে। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে প্রকৃত সত্য সদ্গুরু হলেন
একমাত্র বাবা, যার বাঃ-বাঃ স্বীকৃতি লাভ করে। সত্য সদগুরু হয় তাহলে মিথ্যাও হয়
নিশ্চয়। সত্য হয় সঙ্গমে। ভক্তি মার্গেও সত্যের মহিমা গায়ন করে। উঁচু থেকে উঁচু বাবা
হলেন সত্য, তিনি উদ্ধারকর্তা, তিনিই হন পথনির্দেশক। আজকালকার গুরু গঙ্গা স্নানে বা
তীর্থে নিয়ে যাওয়ার গাইড হয়। সদ্গুরু এমন নন। যাকে সবাই স্মরণ করে - হে পতিত-পাবন
আসুন। পতিত-পাবন, সদ্গুরুকে বলা হয়। তিনি পবিত্র করতে পারেন। ওই গুরুরা পবিত্র করতে
পারে না। তারা এমন বলতে পারে না মামেকম্ স্মরণ করো। যদিও গীতা পাঠ করে কিন্তু অর্থ
কিছুই জানে না। যদি বোধ থাকতো যে সদ্গুরু কেবল একজনই তবে নিজেকে গুরু বলে পরিচয় দিত
না। ড্রামানুসারে ভক্তি মার্গের ডিপার্টমেন্টই আলাদা যেখানে অনেক গুরু, অনেক ভক্ত
আছে। এখানে তো কেবল একজনই আছেন। পরে এই দেবী-দেবতারা প্রথম নম্বরে আসে। এখন লাস্টে
আছে। বাবা এসে এদের সত্যযুগের বাদশাহী প্রদান করেন। অন্য সবাইকে অটোমেটিক্যালি ফিরে
যেতে হয়, তাই বলা হয় সর্বের সদগতি দাতা হলেন এক। তোমরা জানো কল্প-কল্প সঙ্গমে
দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়। তোমরা পুরুষোত্তম হও। অন্য কোনো কাজ করেন না। গায়নও
আছে গতি-সদগতি দাতা হলেন এক। এই মহিমা বর্ণনা একমাত্র বাবার। গতি-সদগতি সঙ্গমেই
প্রাপ্ত হয়। সত্যযুগে তো ছিল একটি ধর্ম। এই কথাটিও বুঝে নিতে হবে। কিন্তু এই বুদ্ধি
কে দেবে? তোমরা বুঝেছো একমাত্র বাবা এসে যুক্তি বলে দেন। শ্রীমৎ দেন কাকে?
আত্মাদেরকে। তিনি হলেন পিতাও সদগুরু এবং টিচারও । জ্ঞান শিখিয়ে দেন তাইনা। অন্য সকল
গুরু কেবল ভক্তি করা শেখায়। বাবার জ্ঞানের দ্বারা তোমাদের সদগতি হয়। তারপরে এই
দুনিয়া থেকে ফিরে যাও। তোমাদের এই হল অসীম জগতের সন্ন্যাস। বাবা বুঝিয়েছেন ৮৪
জন্মের চক্র তোমাদের পূর্ণ হয়েছে। এখন এই দুনিয়া শেষ হবে। যেমন অসুস্থ কেউ সিরিয়াস
হলে বলা হবে এখন তো ছেড়ে চলে যাবে, মনে করে কি হবে। শরীর শেষ হয়ে যাবে। আত্মা তো
গিয়ে অন্য শরীর ধারণ করবে। আশা শেষ হয়ে যায়। বেঙ্গলে যখন দেখে আশা নেই তখন গঙ্গায়
ডুবিয়ে দেওয়া হয় যাতে প্রাণ বেরিয়ে যায়। মূর্তি গুলিরও পূজা করে তারপরে জলে গিয়ে বলে
ডুবে যা, ডুবে যা... এখন তোমরা জানো এই সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়া ডুবে যাবে। বন্যা হবে,
আগুন লাগবে, ক্ষুধায় মানুষ মরবে। এই সব অবস্থা আসবে। আর্থকোয়েকে বাড়িঘর সব ভেঙে
পড়বে। এই সময় প্রকৃতির ক্রোধ বৃদ্ধি পায় ফলে সব শেষ করে দেয়। এই অবস্থা পুরো
দুনিয়ায় আসবে। অনেক রকমের মৃত্যু এসে যায়। বোমাতে বিষ ভরা থাকে। একটু গন্ধেই অজ্ঞান
হয়ে যায়। এইসব কথা তোমরা বাচ্চারা জানো কি কি হবে। এই সব কে করায়? বাবা তো করান না।
এইসব ড্রামাতে ফিক্স আছে। কাউকে দোষ দেওয়া হবে না। ড্রামার প্ল্যান এমনভাবেই তৈরি
আছে। পুরানো দুনিয়া নতুন অবশ্যই হবে। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ আসবে। বিনাশ হওয়ার আছে।
এই পুরানো দুনিয়া থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে দেওয়া, একেই অসীম জগতের সন্ন্যাস বলা হয়।
এখন তোমরা বলবে বাঃ
সদগুরু বাঃ! আমাদের এই পথ বলে দিলেন। বাচ্চাদেরও বোঝানো হয় - এমন কোনও আচরণ করবে না
যে তাঁর নিন্দে হয়। তোমরা এখানে জীবিত থেকে মৃত হও। দেহকে ভুলে নিজেকে আত্মা নিশ্চয়
করো। দেহ থেকে নির্লিপ্ত আত্মা হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। ইনি তো খুব ভালো বলেন
বাহ সদগুরু বাহ! কেবলমাত্র পারলৌকিক সদ্গুরুর বাহ-বাহ করা হয়। লৌকিক গুরু তো অনেক
আছে। সদ্গুরু হলেন কেবল একজন প্রকৃত সত্য, ভক্তি মার্গে যার নাম প্রচলিত আছে।
সম্পূর্ণ সৃষ্টির পিতা তো হলেন একজনই । নতুন সৃষ্টির স্থাপনা কীভাবে হয়, সে কথা কেউ
জানে না। শাস্ত্রে তো দেখানো হয় প্রলয় হয় তারপরে অশ্বত্থ পাতায় শ্রীকৃষ্ণ আসে। এখন
তোমরা বুঝেছো অশ্বত্থ পাতায় কীভাবে আসবে। কৃষ্ণের মহিমা বর্ণনা করে কোনও লাভ নেই।
তোমরা উত্তরণ কলায় যাওয়ার জন্য এখন সদগুরুকে পেয়েছো। বলা হয় যে উড়তি (উত্তরণ) কলা
তোমার তাতেই সকলের কল্যাণ নিহিত। অতএব আত্মিক পিতা বসে আত্মাদের বোঝান। ৮৪ জন্মও
আত্মাদেরই হয়। প্রত্যেকটি জন্মে নাম-রূপ ভিন্ন হয়ে যায়। এমন বলা হবে না অমুকে ৮৪
জন্ম নিয়েছে। না, ৮৪ জন্ম আত্মা নিয়েছে। শরীর তো পরিবর্তন হতে থাকে। তোমাদের
বুদ্ধিতে এই সব কথা আছে। সম্পূর্ণ নলেজ বুদ্ধিতে থাকা উচিত। যে আসবে তাকেই বোঝাবে।
আদি কালে ছিল দেবী-দেবতাদের রাজ্য, পরে মধ্য কালে রাবণ রাজ্য হল। সিঁড়ি বেয়ে আত্মারা
নীচে নামতে থাকলো। সত্য যুগে বলা হবে সতোপ্রধান, তারপরে সতঃ, রজঃ, তমঃতে নেমে আসে।
চক্র আবর্তিত হতেই থাকে। কেউ কেউ বাবার কি দরকার ছিল আমাদের ৮৪-র চক্রে আনার। কিন্তু
এই সৃষ্টি চক্র তো হল অনাদি, এই সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানতে হবে। মানুষ হয়ে যদি
না জানলে তবে তো ভগবানে অবিশ্বাসী হলে। জানলে তোমরা কত উঁচু পদের অধিকারী হও। এই
পড়াশোনা হলো সর্বোচ্চ। উঁচু মানের কঠিন পরীক্ষা পাশ করলে স্টুডেন্টের মনে খুশী হয়
তাই না, আমরা উঁচু থেকে উঁচু পদ পাবো। তোমরা জানো এই লক্ষ্মী-নারায়ণ নিজের পূর্ব
জন্মে শিক্ষা প্রাপ্ত করে মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হয়েছেন।
এই পড়াশোনার দ্বারা
এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। পড়াশোনার দ্বারা উঁচু পদ প্রাপ্ত হয়। ওয়ান্ডার তাই না। এই
এত যে বিশাল মন্দির নির্মাণ করে অথবা বড় বড় বিদ্বান ইত্যাদি যারা আছে তাদের জিজ্ঞাসা
করো এরা কীভাবে জন্ম নিয়েছে তার উত্তর দিতে পারবে না। তোমরা জানো এ তো হলো গীতারই
রাজযোগ। মানুষ গীতা পাঠ করে এসেছে কিন্তু কোনও লাভ নেই। এখন বাবা বসে তোমাদেরকে
শোনাচ্ছেন। তোমরা বলো বাবা তোমার সঙ্গে ৫ হাজার বছর পূর্বেও আমাদের দেখা হয়েছিল।
কেন দেখা হয়েছিল? স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্তির জন্য। লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার জন্য।
ছোট, বড়, বৃদ্ধ ইত্যাদি বয়সের যেই আসুক, অবশ্যই শিখে আসে। মুখ্য লক্ষ্যই হলো এইটা।
সত্য নারায়ণের প্রকৃত ব্রতকথা তাইনা। এ'কথাও তোমরা বুঝেছো, রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে।
যারা ভালো ভাবে বুঝে যায় তাদের আন্তরিক খুশী বজায় থাকে। বাবা জিজ্ঞাসা করবেন সাহস
আছে তো রাজত্ব নেওয়ার? বলবে বাবা নিশ্চয়ই আছে, আমরা পড়াশোনা করিই নর থেকে নারায়ণ
হওয়ার জন্য। এতখানি সময় আমরা নিজেদেরকে দেহ ভেবে থেকেছি এখন বাবা আমাদের রাইটিয়াস
পথ বলে দিয়েছেন। দেহী-অভিমানী হতে পরিশ্রম লাগে। ক্ষণে-ক্ষণে নিজের নাম-রূপে আটকে
যায়। বাবা বলেন এই নাম-রূপ থেকে নির্লিপ্ত হতে হবে। এই আত্মা নামটিও তো হলো নাম
তাইনা। বাবা হলেন সুপ্রিম পরমপিতা, লৌকিক পিতাকে পরমপিতা বলবে না। পরম শব্দটি
একমাত্র বাবাকে দেওয়া হয়েছে। বাহ গুরুও তাঁকেই বলা হয়। তোমরা শিখ ধর্মের মানুষদের
বোঝাতে পারো। গ্রন্থ সাহেবে সম্পূর্ণ বর্ণনা করা আছে। অন্য কোনও শাস্ত্রে এতখানি
বর্ণনা নেই যতখানি গ্রন্থে আছে, জপ সাহেব সুখমনীতে আছে। এই দুটি শব্দই মুখ্য। বাবা
বলেন - সাহেবকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা ২১ জন্মের জন্য সুখ প্রাপ্ত করবে। এতে সংশয়ের
কথা নেই। বাবা খুব সহজ করে বুঝিয়ে দেন। অনেক হিন্দুরা শিখ ধর্মে দীক্ষিত হয়ে
ট্রান্সফার হয়েছে।
তোমরা মানুষকে পথ বলে
দেওয়ার জন্য কত রকমের চিত্র ইত্যাদি বানাও। খুব সহজ করে বোঝাতে পারো। তোমরা হলে
আত্মা, তারপরে ভিন্ন-ভিন্ন ধর্মে এসেছো। এ হল ভ্যারাইটি ধর্মের বৃক্ষ অন্য কেউ
জানেনা যে খ্রাইষ্ট কীভাবে আসে। বাবা বুঝিয়েছেন - নতুন আত্মার কর্ম ভোগ থাকে না।
খ্রীষ্টের আত্মা কোনও বিকর্ম করেনি যে সাজা ভোগ করবে। সতোপ্রধান আত্মা আসে, যার
মধ্যে প্রবেশ করে তাকেই ক্রুশ বিদ্ধ করে, খ্রীষ্টকে নয়। উনি তো পর জন্মে গিয়ে বড়
পদের অধিকারী হন। পোপের চিত্রও আছে।
এইসময় এই সম্পূর্ণ
দুনিয়া একেবারেই ওয়ার্থ নট আ পেনি (কড়ি তুল্য) হয়েছে। তোমরাও ছিলে। এখন তোমরা
ওয়ার্থ পাউন্ড (হীরে তুল্য) হচ্ছো। এমন নয় তাদের উত্তরাধিকারী পরে বেঁচে থাকবে,
কিছুই থাকেবে না। তোমরা নিজের হাত ভরপুর করে যাও, বাকি সবাই খালি হাতে যাবে। তোমরা
ভরপুর হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছো। তোমরা এই কথাও জানো, কল্প পূর্বে যারা এসেছিল তারা-ই
আসবে। একটু যদি শোনে তাহলেও আসবে। সবাই একত্রে তো দেখতেও পাবে না। তোমরা অসংখ্য
প্রজা বানাও, বাবার পক্ষে সবাইকে কি থোড়াই দেখা সম্ভব? একটু শুনলেও প্রজা হয়ে যাবে।
তোমরা গুনে উঠতে পারবে না।
তোমরা বাচ্চারা
সার্ভিসে আছো, বাবাও সার্ভিসে আছেন। বাবা সার্ভিস ব্যতীত থাকতে পারেন না। রোজ সকালে
সার্ভিস করতে আসেন। সৎসঙ্গ ইত্যাদিও সকালেই করে। সকালে অবসর সময় থাকে। বাবা তো বলেন
বাচ্চারা তোমরা খুব ভোরে ঘর থেকে আসবে না আর রাতেও আসা উচিত নয়। কারণ দিনদিন দুনিয়া
খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই গলিতে গলিতে সেন্টার এমন কাছে থাকা উচিত, যাতে বাচ্চারা ঘর
থেকে বেরিয়ে সেন্টারে আসতে পারে, সহজ হয়ে যায়। তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হলে রাজধানী
স্থাপন হবে। বাবা খুব সহজ করে বোঝান। তোমরা রাজযোগের দ্বারা স্থাপন করছো। যদিও এই
সম্পূর্ণ দুনিয়া হবে না। প্রজা তো অসংখ্য তৈরি হয়ে যায়। মালাও তৈরি হয়। মুখ্য তো
যারা অনেকের সার্ভিস করে নিজের মতন তৈরি ক'রে, তারা-ই মালার দানা হয়। মানুষ মালা জপ
করে কিন্তু অর্থ বোঝে না। অনেক গুরুরা মালা দেয় জপ করার জন্য যাতে বুদ্ধি এতেই
যুক্ত থাকে। কাম হলো মহাশত্রু, দিনদিন খুব কঠিন হতে থাকবে। তমোপ্রধান হতে থাকবে। এই
দুনিয়া খুব খারাপ। বাবাকে অনেকে বলে আমরা তো খুব অশান্ত হয়ে আছি, শীঘ্র সত্যযুগে
নিয়ে চলো। বাবা বলেন ধৈর্য ধরো, স্থাপনা হবেই - এ হলো বাচ্চাদের কাছে বাবার আশ্বাস।
এই আশ্বাসই তোমাদের নিয়ে যাবে। বাচ্চাদেরকে এই কথাও বলা হয়েছে তোমরা আত্মারা পরমধাম
থেকে এসেছো পুনরায় সেখানেই ফিরে যেতে হবে, পরে আবার আসবে পার্ট প্লে করতে। অতএব
পরমধাম স্মরণে থাকা উচিত। বাবাও বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। এই
বার্তা (পয়গম) সবাইকে দিতে হবে। অন্য পয়গম্বর ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি কেউ নেই। তারা
তো মুক্তি ধাম থেকে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসে। তারপরে তাদের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হয়।
যখন সম্পূর্ণ তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন পুনরায় বাবা এসে সবাইকে সতোপ্রধান করেন।
তোমাদের জন্য সবাইকে ফিরে যেতে হয় কারণ তোমাদের তো নতুন দুনিয়া চাই তাইনা - এও
ড্রামাতে পূর্ব নির্ধারিত। বাচ্চাদের খুবই নেশা থাকা উচিত। আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এই
দেহের নাম-রূপ থেকে নির্লিপ্ত থেকে দেহী-অভিমানী হতে হবে। এমন আচরণ করবে না যাতে
সদ্গুরুর নিন্দা হয়।
২) মালার দানা হওয়ার
জন্য অনেককে নিজ সম বানানোর সেবা করতে হবে। আন্তরিক খুশীতে থাকতে হবে যে আমরা
রাজত্ব প্রাপ্তির জন্য পড়াশোনা করছি। এ হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার পড়াশোনা ।
বরদান:-
নিরন্তর স্মরণের দ্বারা অবিনাশী উপার্জন জমা করা সর্ব খাজানার অধিকারী ভব
নিরন্তর স্মরণের
দ্বারা প্রতি কদমে উপার্জন জমা করতে থাকো তাহলে সুখ, শান্তি, আনন্দ, প্রেম... এইসকল
খাজানার অধিকারের অনুভব করতে থাকবে। কোনও কষ্টই কষ্ট অনুভব হবে না। সঙ্গমে
ব্রাহ্মণদের কোনও কষ্টই হতে পারে না। যদি কোনও কষ্ট আসেও, তাহলে সেটা বাবাকে স্মরণ
করিয়ে দেওয়ার জন্য আসে। যেরকম গোলাপ ফুলের সাথে থাকা কাঁটা তাকে রক্ষা করার সাধন হয়,
সেইরকম এই কষ্টও বাবাকে আরও বেশী করে স্মরণ করানোর নিমিত্ত হয়।
স্লোগান:-
স্নেহ
রূপের অনুভব তো শোনাচ্ছো, এখন শক্তি রূপের অনুভব শোনাও।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
সম্পন্ন বা কর্মাতীত হওয়ার ধুন লাগাও
যেরকম সাকার বাবার
মধ্যে দেখেছিলে, লাস্ট কর্মাতীত স্টেজের পার্ট কেবল ব্লেসিং দেওয়ার ছিল,
ব্যলেন্সেরও বিশেষত্ব আর ব্লেসিং এরও কামাল ছিল। এইরকম ফলোফাদার করো। সহজ আর
শক্তিশালী সেবা হল এটাই। এখন বিশেষ আত্মাদের পার্ট হল ব্লেসিং দেওয়া। চাও নয়নের
দ্বারা দাও বা মস্তক মণির দ্বারা দাও।