21.05.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের ভালোবাসা এক বাবার সাথেই থাকে, আত্মাদের সাথে কেমন করে ভালোবাসা রাখতে হয়
সেটা বাবা তোমাদের শিখিয়েছেন, শরীরের সাথে নয়"
প্রশ্নঃ -
কোনা
পুরুষার্থেই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে? মায়াজীত হওয়ার যুক্তি কি?
উত্তরঃ
তোমরা এই
পুরুষার্থ করো যে- আমরা যেন বাবাকে স্মরণ করে নিজেদের পাপ ভস্মীভূত করতে পারি। আর
এই স্মরণেই মায়ার বিঘ্ন পড়ে। বাবা ওস্তাদ তোমাদের মায়াজীত হওয়ার যুক্তি বলে দেন।
তোমরা ওস্তাদকে চিনে নিয়ে স্মরণ করলে তবে খুশীতে থাকবে, পুরুষার্থও করতে থাকবে আর
সার্ভিসও অনেক করবে। মায়াজীতও হয়ে যাবে।
গীতঃ-
এই পাপের
দুনিয়া থেকে দূরে নিয়ে চলো....
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী
বাচ্চারা গান শুনেছে, অর্থ বুঝতে পেরেছে। দুনিয়াতে কেউ অর্থ বুঝতে পারে না।
বাচ্চারা মনে করে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের লভ (প্রীতি) পরমপিতা পরমাত্মার সাথে। আত্মা
তাদের বাবা পরমপিতা পরমাত্মাকে ডাকে। ভালোবাসা আত্মাদের মধ্যে আছে না শরীরে? বাবা
এখন শেখান ভালোবাসা আত্মার মধ্যে থাকা চাই। শরীর তো শেষ হয়ে যায়। ভালোবাসা আত্মার
মধ্যে থাকে। বাবা এখন বোঝান তোমাদের ভালোবাসা পরমাত্মা বাবার সাথে হওয়া উচিত,
শরীরের সাথে নয়। আত্মাই নিজেদের পিতাকে ডাকতে থাকে যে পূণ্য আত্মাদের দুনিয়াতে
নিয়ে চলো। তোমরা মনে করো - আমরা পাপ আত্মা ছিলাম, এখন আবার পুণ্য আত্মা হয়ে উঠছি।
বাবা তোমাদের যুক্তি সহকারে পূণ্য আত্মা করে তুলছেন। বাবা বলবেন তবে তো বাচ্চাদের
অনুভব হবে আর বুঝতে পারবে যে আমরা বাবার দ্বারা বাবাকে স্মরণ করে পবিত্র পুণ্য আত্মা
হয়ে উঠছি। যোগবলের দ্বারা আমাদের পাপ ভস্মীভূত হচ্ছে। এছাড়া গঙ্গা ইত্যাদিতে কোনো
পাপ ধুয়ে যায় না। মানুষ গঙ্গা স্নান করে, শরীরের মাটি ঘষে পরিষ্কার করে কিন্তু ওতে
কোনো পাপ ধুয়ে যায় না। আত্মার পাপ যোগবলের দ্বারাই নির্গত হয়। খাদ নির্গত হয়, এটা
তো বাচ্চারাই বুঝতে পারে আর সুনিশ্চিত হয় আমরা বাবাকে স্মরণ করলে তবে আমাদের পাপ
ভস্মীভূত হবে। দৃঢ় নিশ্চয় থাকলে তবে তো আবার পুরুষার্থ করা উচিত যে না! এই
পুরুষার্থেই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। মায়া শক্তিমানের চেয়েও আরো বেশী শক্তিশালী হয়ে
লড়াই করে। কাঁচা যে তার সাথে কি আর লড়াই করবে! বাচ্চাদের প্রতি নিয়ত এটা লক্ষ্য
রাখতে হবে যে আমাদের মায়াজীত জগতজীত হয়ে উঠতে হবে। মায়াজীত জগতজীতের অর্থ কেউ
বোঝে না। এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বোঝানো হয়- তোমরা কীভাবে মায়ার উপর বিজয়
প্রাপ্ত করতে পারো। মায়াও তো সমর্থ যে না! বাচ্চারা, তোমরা তোমাদের ওস্তাদকে পেয়েছো।
এই ওস্তাদকেও বিরল কেউ নম্বর অনুযায়ী জানতে পারে। যে জানতে পারে তার খুশীও থাকে।
পুরুষার্থও নিজে করে। সার্ভিসও খুবই করে। অমরনাথে অনেক লোক যায়। এখন সমস্ত মানুষ বলে
বিশ্বে শান্তি হবে কীভাবে? এখন তোমরা সবাইকে যুক্তি সহকারে বলো যে সত্যযুগে
সুখ-শান্তি কেমন ছিল। সমগ্র বিশ্বের শান্তি ছিল। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো,
আর কোনো ধর্ম ছিলো না। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে যখন কি না সত্যযুগ ছিলো, আবারও
তো অবশ্যই সৃষ্টি চক্র আবর্তিত হবে। চিত্র দ্বারা তোমরা একদম স্বচ্ছ ভাবে বলো,
পূর্ব কল্পেও এরকম চিত্র তৈরী হয়েছিলো। প্রতিনিয়ত ইম্প্রুভমেন্ট (উন্নতি) হয়ে চলেছে।
বলে বাচ্চারা চিত্রতে তিথি-তারিখ লিখতে ভুলে যায়। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রে অবশ্যই
তিথি-তারিখ হওয়া উচিত। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে বসে আছে যে কি না যে আমরা
স্বর্গবাসী ছিলাম, এখন আবার হতে হবে। যে যতো পুরুষার্থ করে ততই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে।
তোমরা এখন বাবার দ্বারা জ্ঞানের অথরিটি হয়েছো। এখন ভক্তি নিঃশেষিত হওয়া উচিত।
সত্যযুগ-ত্রেতাতে কি আর ভক্তি থাকবে! পরে অর্ধ-কল্প ভক্তি চলে। বাচ্চারা, এটাও এখন
তোমরা বুঝতে পারো। অর্ধ-কল্প পরে রাবণ রাজ্য শুরু হয়। সমগ্র খেলা তোমাদের অর্থাৎ
ভারতবাসীদের সাথে। ৮৪ জন্মের চক্র ভারতেই আবর্তিত হয়। ভারতই হলো অবিনাশী ভূ-খন্ড(দেশ),
এটাও কি আর আগে জানা ছিলো! লক্ষ্মী-নারায়ণকে গড- গডেস বলা হয় না যে! কতো উচ্চ পদ আর
পড়াশুনা কতো সহজ। এই ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ করে আমাদের আবার ফিরে যেতে হবে। ৮৪
জন্মের চক্র বললে বুদ্ধি উপর দিকে চলে যায়। এখন তোমাদের পরম লোক, সূক্ষ্ম লোক,
স্থূল লোক সব স্মরণে আছে। আগে কি আর জানতে- সূক্ষ্ম লোক যে কি! এখন তোমরা বুঝতে পারো
ওখানে কীভাবে মুভিতে কথা-বার্তা বলে। মুভি বায়োস্কোপও বেরিয়েছিলো। তোমাদের বোঝানো
সহজ ছিলো। সাইলেন্স, মুভি, টকি। তোমরা সকলেই জানো যে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য সমেত
এখনো পর্যন্ত সমগ্র চক্র বুদ্ধিতে আছে। তোমাদের গার্হস্থ্য জীবনে থেকে এটাই যেন
আকর্ষণ থাকে যে আমাদের পবিত্র হতেই হবে। বাবা বোঝান গার্হস্থ্য জীবনে থেকেও এই
পুরানো দুনিয়ার প্রতি মায়া-মমতা নিঃচিহ্ন করো। যদি বাচ্চা ইত্যাদি সমলা তবুও,
কিন্তু বুদ্ধি বাবার দিকে থাকুক। বলে না- হাতে কাজ করলেও বুদ্ধি বাবার দিকে থাকে।
বাচ্চাকে খাওয়াও, পান করাও, স্নান করাও তো বুদ্ধিতে যেন বাবার স্মরণ থাকে কারণ জানো
যে শরীরের উপর পাপের বোঝা অনেক, তাই বুদ্ধি বাবার প্রতি থাকুক। ওই প্রিয়তমকে খুবই
স্মরণ করতে হবে। প্রিয়তম বাবা তোমাদের অর্থাৎ সকল আত্মাদের বলেন আমাকে স্মরণ করো,
এই পার্টও এখন চলছে, আবার ৫ হাজার বছর পরে চলবে। বাবা কতো সহজ যুক্তি বলেন। কোনো
কষ্ট নেই। কেউ তো বলে আমি এটা করতে পারবো না, আমার অনেক কষ্ট হয়, স্মরণের যাত্রা
খুবই মুশকিলের। আরে! তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে পারছো না! বাবাকে কি ভোলা উচিত! বাবাকে
তো খুব ভালো করে স্মরণ করা দরকার, তবে বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা এভার হেল্দী হবে।
তা না হলে হবে না। তোমাদের আদেশ খুবই ভালো এক ডোজের প্রাপ্ত হয়। এক ডোজ ওষুধ হয় যে
না! আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি এই যোগবলের দ্বারা তোমরা ২১ জন্মের জন্য কখনো রোগী হবে
না শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করো- কতো সহজ যুক্তি। ভক্তি মার্গে স্মরণ করতে না জেনে।
এখন বাবা বসে বোঝান, তোমরা বুঝতে পারো যে আমরা কল্প পূর্বেও বাবা আপনার কাছে
এসেছিলাম, পুরুষার্থ করতাম। সুদৃঢ় বিশ্বাস এসে গেছে। আমরাই রাজত্ব করতাম আবার আমরা
সেটা হারিয়েছি- আবার বাবা এসেছেন, ওনার থেকে রাজ্য-ভাগ্য নিতে হবে। বাবা বলেন আমাকে
স্মরণ করো আর রাজত্বকে স্মরণ করো। "মন্মনাভব" । অন্তিম কালে যেমন মতি, তেমনই গতি হয়ে
যাবে। এখন নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে, ফিরে যাবো। বাবা এসেছেন সকলকে নিয়ে যেতে। যেমন বর
বধূকে নিয়ে যেতে আসে। ব্রাইডস্ খুব খুশী হয়, আমি নিজের শ্বশুরালয়ে যাচ্ছি। তোমরা
সকলে হলে সীতা- এক রামের। রামই তোমাদের রাবণের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
লিবারেটর অর্থাৎ মুক্তি দাতা হলেন একই, রাবণ রাজ্য থেকে লিবারেট করেন। বলেনও - এটা
হলো রাবণ রাজ্য, কিন্তু যথারীতি বোঝে না। এখন বাচ্চাদের বোঝানো হয়, অন্যদের বোঝানোর
জন্য খুবই ভালো-ভালো পয়েন্টস দেওয়া হয়। বাবা বুঝিয়েছেন - এটা লিখে দাও যে
পূর্ব-কল্পের মতো বাবা বিশ্বে শান্তি স্থাপন করছেন। ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা হচ্ছে।
বিষ্ণুর রাজ্য ছিলো তো তখন শান্তি ছিলো। বিষ্ণুই লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন, এটাও কি আর
কেউ বোঝে! বিষ্ণু আর লক্ষ্মী- নারায়ণ আর রাধা-কৃষ্ণ পৃথক-পৃথক মনে করে। এখন তোমরা
বুঝতে পারো, স্বদর্শন চক্রধারীও হলে তোমরাই। শিববাবা এসে সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান
প্রদান করেন। ওনার দ্বারা আমরাও মাস্টার জ্ঞান সাগর হয়ে উঠেছি। তোমরা যে হলে
জ্ঞানের নদী। এটা তো বাচ্চাদেরই নাম হলো।ভক্তি মার্গে মানুষ কতো স্নান করে, কতো
উদ্দেশ্যেহীন ভাবে ঘোরে। অনেক দান-পূণ্য ইত্যাদি করে, বিত্তশালীরা তো অনেক দান করে।
সোনাও দান করে।তোমরাও এখন বুঝতে পারো- যে আমরা কতো উদ্দেশ্যেহীন ভাবে ঘুরতাম। এখন
আমরা তো কেউ হঠাৎ যোগী নই। আমরা তো হলাম রাজযোগী। পবিত্র গৃহস্থ আশ্রমের ছিলাম,
আবার রাবণ রাজ্যে অপবিত্র হয়েছি। ড্রামা অনুসারে বাবা আবার গৃহস্থ ধর্ম তৈরী করছেন
আর কেউ তৈরী করতে পারে না। মানুষ তোমাদের বলে যে তোমরা সবাই পবিত্র হলে দুনিয়া চলবে
কীভাবে? বলো, এতো সব সন্ন্যাসী পবিত্র থাকে, এরপরেও কি আর দুনিয়া বন্ধ হয়ে গেছে
কি! আরে সৃষ্টি এতো বড় হয়ে গেছে, খাওয়ার জন্য চাল-ডালও নেই আর সৃষ্টি আবার কি
বাড়াবে। এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা বুঝতে পারো, বাবা আমাদের সম্মুখে হাজির- প্রমাণ
সমেত, কিন্তু ওনাকে এই চোখের দ্বারা দেখা যেতে পারে না। বুদ্ধি দিয়ে জানা যায়, বাবা
আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের অধ্যয়ণ করান, প্রমাণ সহ উপস্থিত। যারা বিশ্ব শান্তির কথা
বলে তাদের তোমরা বলো শান্তি তো বাবা করাচ্ছেন। ওর জন্যই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ সামনে
দাঁড়িয়ে আছে, ৫ হাজার বছর পূর্বেও বিনাশ হয়েছিলো। এখনও এই বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে,
এরপর বিশ্বে শান্তি হয়ে যাবে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এই ব্যাপারটা আছেই।
দুনিয়াতে কেউ জানে না। কেউ নেই যার বুদ্ধিতে এই কথা আছে। তোমরা জানো যে সত্যযুগে
সমগ্র বিশ্বের উপর শান্তি ছিলো। এক ভারত ভূ-খন্ড(দেশ) ব্যতীত আর কোনো অন্য ভূ-খন্ড
ছিলো না। এখন কতো ভূ-খন্ড (দেশ) আছে। এখন এই খেলারও শেষ চলছে। বলেও যে ভগবান অবশ্যই
আছেন, কিন্তু ভগবান কে আর কি রূপে আসেন, এটা জানে না। কৃষ্ণ তো হতে পারে না। না কোনো
প্রেরণা থেকে বা কোনো শক্তি দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে। বাবা তো হলেন মোস্ট বিলভড,
ওঁনার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। একমাত্র বাবা স্বর্গ স্থাপন করেন তো আবার
অবশ্যই পুরানো দুনিয়ার বিনাশও তিনি করাবেন। তোমরা জানো যে সত্যযুগে এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলো। এখন আবার নিজের পুরুষার্থ দ্বারা এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে উঠছো।
নেশা থাকা চাই যে না! ভারতে রাজত্ব করতো। শিববাবা রাজত্ব প্রদান করে গিয়েছিলেন,
এরকম বলা হবে না যে শিববাবা রাজত্ব করে গিয়েছেন। না। ভারতকে রাজ্য দিয়ে গিয়েছিলেন।
লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করতো যে না! বাবা আবার রাজত্ব দিতে এসেছেন। বলেন- মিষ্টি
মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর চক্রকে স্মরণ করো। তোমরাই ৮৪ জন্ম
নিয়েছো। কম পুরুষার্থ করলে বুঝবে সে ভক্তি কম করেছে। বেশী ভক্তি যারা করে তারা
পুরুষার্থও বেশী করে। কতো ক্লীয়ার করে বোঝানো হয়, কিন্তু বুদ্ধিতে যখন বসে।
তোমাদের কাজ হলো পুরুষার্থ করা। কম ভক্তি করে থাকলে যোগ যুক্ত হতে পারা যায় না।
শিববাবার স্মরণ বুদ্ধিতে স্থিত হবে না। কখনোই পুরুষার্থে ঠান্ডা হতে নেই। মায়াকে
পালোয়ান রূপে দেখে হার্ট ফেল হতে নেই। মায়ার ঝড় তো অনেক আসবে। এটাও বাচ্চাদের
বোঝানো হয়েছে যে আত্মাই সব কিছু করে। শরীর তো শেষ হয়ে যাবে। আত্মা বের হয়ে গেল,
শরীর মাটি হয়ে গেলো। সেটা আর পাওয়ার নয়। আবার তাকে স্মরণ করে কাঁদলে লাভ কি আর। সে
জিনিস আর ফিরবে কি। আত্মা তো গিয়ে অন্য শরীর নেয়। এখন তোমরা কতো উচ্চ মানের
উপার্জন করো। তোমাদেরই জমা হয়, বাকি সবার না হয়ে যায়। বাবা হলেন ভোলা ব্যবসায়ী,
তাই তো তোমাদের এক মুঠো চালের পরিবর্তে ২১ জন্মের জন্য মহল দেন, কতো সুদ দেন।
তোমাদের যতো দরকার ভবিষ্যতের জন্য জমা করো। কিন্তু এমন নয় যে, শেষে এসে বলবে জমা
করো, তখন ঐ সময় নিয়ে কি করবে? এ তো আর আনাড়ি ব্যবসায়ী নয়। কাজে লাগবে না আর ভরে
সুদ দিতে হবে। এরকমে থেকে নেবে কি আর! তোমাদের এক মুঠো চালের বদলে মহল প্রাপ্ত হয়ে
যায়। কতো সুদ প্রাপ্ত হয়। বাবা বলেন নম্বর ওয়ান ভোলা তো হলাম আমি। দেখো তোমাদের
বিশ্বের বাদশাহী দিই, শুধু তোমরা আমার হয়ে সার্ভিস করো। ভোলানাথ শিব বলে তো সকলে
তাঁকে স্মরণ করে। এখন তোমরা হলে জ্ঞান মার্গে। এখন বাবার শ্রীমতে চলো আর বাদশাহী
নাও। বলেও যে বাবা আমরা এসেছি বাদশাহী নিতে। তাও আবার সূর্যবংশে। আচ্ছা তোমাদের মুখ
মিষ্টি হোক। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
শ্রীমতে চলে বাদশাহী নিতে হবে। এক মুঠো চাল দিয়ে ২১ জন্মের জন্য মহল নিতে হবে।
ভবিষ্যতের জন্য উপার্জন জমা করতে হবে।
২ ) গার্হস্থ্য জীবনে
থেকে এই পুরানো দুনিয়া থেকে মায়া মমতা সরিয়ে সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে। সব কিছু
করার সময় বুদ্ধি বাবার দিকে যেন থাকে ।
বরদান:-
মন্সা
শুভ ভাবনার দ্বারা একে-অপরকে উন্নতির দিকে এগিয়ে দিয়ে বিশ্ব কল্যাণকারী ভব
যদি কেউ কিছু ভুল করে
তাহলে তাকে পরবশ মনে করে দয়ার দৃষ্টি দ্বারা পরিবর্তন করো, ডিসকাস করো না। যদি কেউ
পাথরের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে তোমাদের কাজ হল তাকে অতিক্রম করে চলে
যাওয়া নাকি তাকেও সাথী বানিয়ে পারে নিয়ে যাওয়া। এরজন্য প্রত্যেকের বিশেষত্বকে দেখো,
অপগুণগুলিকে ত্যাগ করতে থাকো। এখন কাউকে বাণীর দ্বারা সাবধান করার সময় নয়, মন্সা
শুভ ভাবনা দ্বারা একে অপরের সহযোগী হয়ে এগিয়ে চলো আর অন্যদেরকেও এগিয়ে দাও, তখন বলা
হবে বিশ্ব কল্যাণকারী।
স্লোগান:-
দৃঢ়
সংকল্পের বেল্ট বেঁধে নাও তাহলে সিটের জন্য আপসেট হবে না।
অব্যক্ত ঈশারা -
আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো
প্রত্যক্ষতার সূর্য
উদয় তখন হবে যখন পবিত্রতার আগুন চারিদিকে প্রজ্বলিত হবে। যেরকম দুনিয়ার মানুষ স্থুল
আগুন (মশাল) নিয়ে চক্র লাগাতে থাকে, এইরকম পবিত্রতার আগুন চারিদিকে জ্বালিয়ে দাও,
তাহলে সবাই বাবাকে দেখতে পারবে, বাবার সাথে পরিচিত হবে। যতটা অচল পবিত্রতার আগুন হবে
ততই সহজে সবাই বাবাকে চিনতে পারবে আর পবিত্রতার জয়জয়কার হবে।