22-06-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
15-12-2005 মধুবন
“নতুন বছরে স্নেহ আর সহযোগের আকৃতি (রূপরেখা) স্টেজে
নিয়ে এসো, প্রত্যেককে গুণ আর শক্তির গিফ্ট দাও"
আজ পরমাত্ম বাবা নিজের চারদিকে পরমাত্ম ভালবাসার অধিকারী বাচ্চাদের দেখছেন। এই
পরমাত্ম ভালবাসা বিশ্বে কোটি কোটির মধ্যে কিছু সংখ্যকের প্রাপ্ত হয়। এই পরমাত্ম
ভালবাসা নিঃস্বার্থ ভালবাসা কেননা, এক পরমাত্ম পিতাই নিরাকার, নিরহংকার। মনুষ্য
আত্মা শরীরধারী হওয়ার কারণে কোনো না কোনো স্বার্থে এসেই যায়। পরমাত্ম ভালবাসা
ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ আধার। ব্রাহ্মণ জীবনের জীবনদান। যদি ব্রাহ্মণ জীবনে পরমাত্ম
ভালবাসার অনুভব কম হয় তবে ভালবাসা বিনা জীবন তৃপ্তিকর নয়, শুষ্ক হয়ে যায়।
পরমাত্ম ভালবাসাই জীবনে সদা সাথও দেয় আর সাথী হয়ে সদা সহযোগী থাকে। যেখানে ভালবাসা
আছে, সাথ আছে সেখানে সবকিছু খুব সহজ আর সরল হয়ে যায়। পরিশ্রমের অনুভব হয় না। এমন
অনুভব আছে তো না! পরমাত্ম-প্রিয় কোনো ব্যক্তি সাধনের আকর্ষণে আসে না, কেননা
পরমাত্ম আকর্ষণ, পরমাত্ম ভালবাসা এমন অনুভব করায় যে সদা ভালবাসার কারণে সে লাভলীন
থাকে, যাকে লোকে পরমাত্মায় লীন হয়ে যাওয়া মনে করে নিয়েছে। পরমাত্মায় লীন হয়
না, কিন্তু পরমাত্ম ভালবাসায় লভলীন হয়ে যায়।
বাপদাদা চতুর্দিকের বাচ্চাদের দেখেন - পরমাত্ম-প্রিয় তো সবাই হয়েছো, কিন্তু এক হলো
লাভলি বাচ্চা, আরেক হলো লভলীন বাচ্চা। তো নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করো লাভলি তো সবাই,
কিন্তু কতটা লাভলীন থাকি! লভলীন বাচ্চাদের লক্ষণ হলো তারা সদা পরমাত্ম আজ্ঞাতে
সহজভাবে চলে। আজ্ঞাতেও থাকে আর দেহবোধও উৎসর্গ করে দেয়। কেননা, ভালোবাসায় বলিদান
হওয়া কঠিন নয়। সর্বপ্রথম আজ্ঞা - যোগী ভব, পবিত্র ভব। বাচ্চাদের প্রতি বাবার
ভালবাসা থাকার কারণে বাচ্চারা পরিশ্রম করছে সেটা বাবা দেখতে পারেন না। কেননা, বাবা
জানেন, ৬৩ জন্ম তোমরা অনেক পরিশ্রম করেছ, এখন এই অলৌকিক জন্ম পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে
অতীন্দ্রিয় সুখের পরমানন্দ অনুভব করার। তো পরমানন্দ অনুভব করছ তোমরা, নাকি পরিশ্রম
করতে হয়? ভালোবাসার সাথে আজ্ঞা মেনে চলায় পরিশ্রম লাগে না। যদি পরিশ্রম করতে হয়
তবে ভালবাসার পার্সেন্টেজ কম আছে। কোথাও না কোথাও ভালোবাসায় কিছু না কিছু লিকেজ
রয়েছে। দুটো বিষয়ের লিকেজ তোমাদেরকে পরিশ্রম করায় – এক পুরানো সংসারের আকর্ষণ।
সংসারে সম্বন্ধ, পদার্থ সব অন্তর্ভুক্ত। আর দ্বিতীয়তঃ - পুরানো সংস্কারের আকর্ষণ।
এই পুরানো সংসার আর পুরানো সংস্কার নিজের দিকে আকর্ষণ করে। তাইতো, পরমাত্ম
ভালোবাসায় পার্সেন্টেজ হয়ে যায়। চেক করো – এই দুই লিকেজ থেকে তুমি মুক্ত কিনা!
স্মরণ করো তুমি আত্মার অনাদি সংস্কার এবং আদি সংস্কার কী ছিল আর এখন অন্তের
ব্রাহ্মণ জীবনের সংস্কার কী? অনাদিও, আদিও এবং অন্তেও শ্রেষ্ঠ সংস্কার। এই পুরানো
সংস্কার মধ্য সময়ের, না অনাদি, না আদি, না অন্তের। কিন্তু সকলের লক্ষ্য কী? যে
কোনও বাচ্চাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তো একই উত্তর দেয়, লক্ষ্য হলো - বাবা সমান
হওয়ার। এটাই তো না! এটাই যদি তো হাত উঠাও। তোমরা নিশ্চিত এটাই তোমাদের লক্ষ্য? নাকি
মাঝে মাঝে বদলে যায়? তো বাবা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন যে বাবা আর দাদা উভয়ের সমান
সংস্কার কোনটা? বাবা সদা সব আত্মার প্রতি উদারচিত্ত ছিলেন। সব আত্মার প্রতি স্নেহ
আর সম্মান স্বরূপে সহযোগী ছিলেন। এভাবে নিজেও নিজেকে সব আত্মার প্রতি সহযোগী অনুভব
করো? তারা সহযোগ দিলে তবে তুমি সহযোগী হবে, না। স্নেহ দিলে স্নেহী হবে, না। যেভাবে
ব্রহ্মা বাবা সব বাচ্চার প্রতি সহযোগী হয়েছেন, স্নেহী হয়েছেন, সেভাবে সদা সবার
স্নেহী ও সহযোগী হওয়াকে বলা হয়ে থাকে সমান হওয়া। যদি কোনও বাচ্চাকে তার সংস্কার
পরিবর্তন করার বিষয়ে পরিশ্রম করতে হয়, তার কারণ কী? ব্রহ্মা বাবা নিজের প্রতি
অ্যাটেনশন রেখেছেন, কিন্তু পরিশ্রম করেননি, সংস্কার পরিবর্তনে পরিশ্রমের কারণ হলো -
লভলি হয়েছ, লভলীন হওনি।
বাপদাদা তো সব বাচ্চাকে লভলি বাচ্চা মনে করেন, তিনি জানেন প্রত্যেক বাচ্চা এমন,
প্রত্যেক বাচ্চার জন্মপত্রিকা জানেন, তবুও তিনি কী বলবেন? লভলি। বাপদাদা সব বাচ্চাকে
সদা একই পথ, একই পালনা, একই বরদান দেন। যদিও তিনি জানেন লাস্ট নম্বর বাচ্চা, তবুও
বাপদাদার কোনও বাচ্চার অপগুণ, দুর্বলতা সংকল্পেও রাখেন না। অতি প্রিয়, হারানিধি,
মিষ্টি মিষ্টি....এই দৃষ্টি আর বৃত্তি দ্বারা দেখেন। কেননা, বাপদাদা জানেন এই বৃত্তি
আর শ্রেষ্ঠ দৃষ্টি দ্বারা হীনবল মহাবীর হয়ে যাবে। এভাবেই নিজের শ্রেষ্ঠ বৃত্তি এবং
শুভ ভাবনা, শুভ কামনা দ্বারা যে কোনও কারও পরিবর্তন করতে পারো। যখন তোমরা চ্যালেঞ্জ
করেছ যে প্রকৃতিকেও পরিবর্তন করে দেখাবে, তবে কী আত্মাদের পরিবর্তন করতে পারবে না!
তোমরা তো প্রকৃতিজিৎ হয়ে ওঠো, তাহলে আত্মা তার শ্রেষ্ঠ ভাবনা দ্বারা, কল্যাণ
কামনার দ্বারা পরিবর্তন করতে পারবে না?
এখন নতুন বছর শুরু হতে চলেছে, তাই না -
তো নতুন বছরে অসীম জগতের সমগ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যে পরস্পরের প্রতি নিজের শুভ
ভাবনা, শ্রেষ্ঠ কামনার দ্বারা প্রত্যেকে পরস্পরকে পরিবর্তন করতে সহযোগী হও, হতে পারে
কেউ হীনবল, তোমরা জানো এর সংস্কারে এই দুর্বলতা আছে কিন্তু তোমরা স্নেহ আর সহযোগের
শক্তি দ্বারা সহযোগী হও। একে অপরকে সহযোগের হাত দাও। সহযোগের হাত মেলানোর এই দৃশ্য
এমন হয়ে যাবে যে তোমাদের একে অপরের হাতে হাত মেলানো যেন স্নেহের সাথে সহযোগ মিলে
মালা প্রস্তুত হওয়া। শিক্ষণ দিও না, স্নেহ ভরা সহযোগ দাও। আলাদা হ'য়ো না, সরে যেও
না, সহায় হও। কেননা, তোমাদের স্মৃতিচিহ্ন বিজয়মালা। প্রতিটা দানা অন্য দানার সাথী
সহযোগী, তবেই মালার চিত্র তৈরি হয়েছে। তো সবাই বাপদাদাকে জিজ্ঞাসা করে নতুন বছরে
কী করতে হবে? সমাচার দেওয়ার কার্য তো অনেক করেছ, করছ, করতে থাকবে। এবার বার্তা
বাহকদের সহযোগ এবং স্নেহের রূপ স্টেজে নিয়ে এসো। মহাদানী হও, নিজের গুণের সহযোগী
হও, অন্যদের সেরকম বানাও। এভাবে নিজস্ব গুণের, বস্তুতঃ, তা' পরমাত্ম গুণ কিন্তু
তোমরা সেসব নিজেদের বানিয়েছ, সেই গুণের শক্তি দ্বারা তাদের দুর্বলতা দূর করো। এটা
করতে পারো? করতে পারো, নাকি কঠিন? টিচার্স বলো, করতে পারো তোমরা? করতে পারবে নাকি
করতেই হবে? করতেই হবে। কেউ যেন দুর্বল না থেকে যায়, কেননা, কোটি কোটির মধ্যে তোমরা
কেউ তো না! এমনকি, লাস্ট দানাও যদি হও, হও তো কোটি কোটির মধ্যে কেউ। তোমাদের
টাইটেলই মাস্টার সর্বশক্তিমান। তো সর্বশক্তিমানের কর্তব্য কী? শক্তির লেনদেন করা।
বাবা দ্বারা প্রাপ্ত গুণ নিজেদের মধ্যে লেনদেন করো। সহযোগের এই গিফ্ট একে অপরকে দাও।
নতুন বছরে একে অপরকে গিফ্ট দেয় তো না! তো এই বছরে পরস্পরের মধ্যে গুণের গিফ্ট দাও।
যদি তোমরা কল্যাণের ভাবনা রাখো তবে যেভাবে বাণীর দ্বারা ভাষণ প্রক্রিয়ায় বার্তা
দিয়ে থাকো না, সেভাবে নিজের কল্যাণের বায়ুমণ্ডলের দ্বারা এই সব গুণের গিফ্ট দাও,
শক্তির গিফ্ট দাও। দুর্বলকে সহযোগ দেওয়া, এই সময়ে গিফ্ট দেওয়া। ইতিপূর্বেই যারা
অধঃপতিত তাদের অধঃপতনে ঠেলে দিও না, ওঠাও, ঊর্ধ্বগতিতে নিয়ে যাও। এ' এরকম, এ' এরকম
..., না। এ' প্রভু প্রেমের উপযুক্ত, কোটি কোটির মধ্যে এক আত্মা, বিশেষ আত্মা, বিজয়ী
হওয়ার আত্মা, এই দৃষ্টি বজায় রাখো। এখন বৃত্তি, দৃষ্টি, বায়ুমণ্ডল চেঞ্জ করো।
কিছু নবীনত্ব করা উচিৎ তো না! দুর্বলতা দেখেও দেখো না, উৎসাহ দাও, সহযোগ দাও। এমন
ব্রাহ্মণ সংগঠন তৈরি করো এবং বাপদাদা সেই বিজয়ের তালি বাজাবেন। তোমরাও বারবার তালি
বাজাও তো না! বাপদাদা তখন অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, গ্রিটিংসের সাথে তালি বাজাবেন। সাথে
তোমরাও তালি বাজাবে তাই না! এখন তালি বাজিয়েছ তো ভালো করেছ কিন্তু বিশ্বের সামনে
যেন তালি বাজে। সবার মুখ থেকে এই আওয়াজ বের হোক, আমাদের ইষ্ট এসে গেছে। আমাদের
পূজ্য এসে গেছে। লক্ষ্য নিশ্চিত তো না! তোমরা নিশ্চিত, লক্ষ্য পূরণ করতেই হবে? নাকি
দেখবে, প্ল্যান বানাবে! করতেই হবে, প্ল্যান কি! এটা করতেই হবে। এখন সবাই অপেক্ষা
করছে। এদের অপেক্ষা এখন সমাপ্ত করো, প্রত্যক্ষ হওয়ার ব্যবস্থা করো, দেখ প্রকৃতিও
এখন কত বিরক্ত হচ্ছে। অতএব, প্রকৃতিকেও শান্ত বানিয়ে দাও। তোমরা প্রত্যক্ষ হয়ে
যাবে আর তখন বিশ্ব শান্তি আপনা থেকেই হয়ে যাবে। আচ্ছা।
আজকাল বিশ্বে দুটো বিষয় বিশেষভাবে চলে -
এক, এক্সারসাইজ আরেক ভোজনের প্রতি অ্যাটেনশন। তো তোমরাও এই
দুটো বিষয়ে করছ? তোমাদের এক্সারসাইজ কোনটা? শারীরিক এক্সারসাইজ তো সবাই করে কিন্তু
মনের এক্সারসাইজ এই মুহূর্তে ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্মণ হতে ফরিস্তা, ফরিস্তা হতে দেবতা।
এই মন্সা ড্রিলের অভ্যাস সদা করতে থাকো। আর শুদ্ধ ভোজন - মনের শুদ্ধ সংকল্প। যদি
ব্যর্থ সংকল্প, নেগেটিভ সংকল্প চলে তবে এটা মনের অশুদ্ধ ভোজন। সুতরাং মনে যেন সদা
শুদ্ধ সংকল্প থাকে, দুটো কীভাবে করতে হয় জানো তো না! যত সময় চাও তত সময় শুদ্ধ
সংকল্প স্বরূপ হয়ে যাও। আচ্ছা।
চতুর্দিকের পরমাত্ম ভালবাসার অধিকারী বিশেষ আত্মাদের, যারা সদা পরস্পরের সহযোগী হয়
বাবার এমন স্নেহী আর সহযোগী আত্মাদের, সদা বিজয়ী আর বিজয়ের পতাকা বিশ্বে উড়িয়ে
দিতে হবে - এই লক্ষ্য যারা প্র্যাকটিক্যালে নিয়ে আসে এমন বিজয়ী বাচ্চাদের, সদা এই
পুরানো সংসার আর সংস্কারের আকর্ষণ-এর ঊর্ধ্বে থাকা বাবা সমান বাচ্চাদের দিলারাম
বাবার হৃদয়ের স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।
দাদিজীর প্রতি - খুব ভালো পার্ট প্লে করছো। তোমাকে দেখে সকলের ফরিস্তা লাইফ স্মরণে
আসে। স্বতন্ত্র হয়েও প্রিয় হওয়া।
গুজরাটের মুখ্য ১৩ জন বোনের সাথে :- তোমরা সব ভালো
ভালো মহাবীর। মহাবীরদের কাজ হলো বিজয়ী হয়ে বিজয়ী বানানো। তো সবাই ভালো সেবা করছ
আর পরেও সেবা হতে থাকবে। বাপদাদা বাচ্চাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে খুশি হন। গুজরাটে
ভালোভাবে আওয়াজ ছড়িয়ে দিচ্ছ। ভবিষ্যতে আরও ছড়াতে থাকবে। বাপদাদার সব বাচ্চাকে
আশার দীপক মনে হচ্ছে। এটা ভালো। সংগঠনও ভালো। প্রত্যেকের বিশেষত্ব আছে। আচ্ছা, খুশি
তোমরা, খুশি বিতরণ করো। (সরলা দিদি জিজ্ঞাসা করছেন, দাদি মালাতে কাকে রেখেছে) তুমি
কী মনে করছ? আমি তো থাকবই, তাই না! এরকম মনে করো! অল্প বিস্তর যা কিছুই রয়ে গেছে
পরস্পরকে সহযোগ দিয়ে তা' সমাপ্ত করো। সবার বাবা সমান হওয়ারই আছে। (নবীনত্ব কী করব)
তোমাদের বলা হয়েছিল তো না - একেকটা সেন্টার কমপক্ষে এক ওয়ারিশ তো তৈরি করুক! তো
পরের বছর তাদের নিয়ে এসো। এটা শুরু করো। প্রথম নম্বর অধিকার করো। সবাই হ্যাঁ করছে।
ওয়ারিশ এর কোয়ালিফিকেশন জানো তো না! তোমরা তাদেরকে বাবারই বানাবে, তোমাদের
নিজেদের তো বানাবে না। আচ্ছা।
গুজরাটেরই সেবা, যারা গুজরাটের তারাই মিলন উদযাপন করতে এসেছে :- গুজরাট থেকে যারা
আছে, হয় তারা মিলনের জন্য এসেছে অথবা সেবাতে, তোমরা হাত তোলো। অনেক আছ, খুব ভালো।
ভালো চান্স নিয়েছো। যারা গুজরাট থেকে তাদেরকে বাপদাদা বলেন, সিন্ধিতে কথিত আছে যারা
চুলায় আছে তারা হৃদয়ে থাকে। তো সবচাইতে কাছে থেকে কাছে গুজরাট। যে কাছে থাকে তাকে
বলা হয়ে থাকে অন্তরঙ্গ, ডাকার সাথে সাথে পৌঁছে যায়। তো এমনই এভাররেডি গুজরাট, তাই
তো না! যে কোনো সময় ডাকলেই এসে যাবে, তো তোমরা আসবে? এরকমই তো, না? এমনকি পরিবারের
কথা ভেবে আটকে থাকবে না, চলে আসবে? এভাররেডি তোমরা। এটা ভালো। সাকার ব্রহ্মার
প্রেরণায় গুজরাট স্থাপন হয়েছে। যারা গুজরাট থেকে তারা গুজরাটকে নিমন্ত্রণ দেয়নি,
ব্রহ্মা বাবা গুজরাট সেন্টার খুলেছেন। তাইতো গুজরাটের উপরে ব্রহ্মা বাবার বিশেষ নজর
পড়েছে। তাছাড়া, গুজরাট পুরুষার্থও করেছে, আর ভালো সংখ্যক সেন্টারও খুলেছে। কত
সেন্টার আছে? ৩০০ সেবাকেন্দ্র, উপসেবাকেন্দ্র এবং ৩ হাজার গীতা পাঠশালা আছে। আচ্ছা
সর্বাধিক সেন্টার কোন্ জোনের আছে? (বম্বে-মহারাষ্ট্র) আচ্ছা। মহারাষ্ট্র থেকে এসেছে?
(আজ আসেনি) সবচাইতে বেশি মহারাষ্ট্রে আছে, যারা গুজরাট থেকে তারা ভালো সেবা করছে।
গুজরাটের বিস্তার ভালো। এখন কী করতে হবে! বিস্তার তো হয়েছে, ভালো বিস্তার করেছ,
এখন গুজরাটের তোমরা নম্বর ওয়ান ওয়ারিশ তৈরি করো।সবচেয়ে বড় যে সেবাকেন্দ্র আছে,
সেখানে পুরানো ওয়ারিশ যারা রয়েছে তারা তো আছেই, কিন্তু নতুন ওয়ারিশ তৈরি করো।
ঠিক আছে প্রতিটা সেন্টার থেকে এক ওয়ারিশ তো বের করো, কেননা মালায় দানা তারাই হবে
যারা ওয়ারিশ কোয়ালিটির হবে। সুতরাং মালা তৈরি করতে হবে তো না! ১৬,১০৮ এর মালা তৈরি
হয়ে আছে। এখন যদি বাপদাদা বলেন যে ১০৮-এর মালা বানাও, তো বানাতে পারবে? (দাদিজী
বলেন হতে পারে) তৈরি আছে? ১০৮-এর মালা তৈরি হয়ে গেছে? (হ্যাঁ বাবা প্রস্তুত) আচ্ছা
লিখে দেখাও। তৈরি আছে তো খুব ভালো। অভিনন্দন। আচ্ছা, ১৬ হাজারের অর্ধেক পর্যন্ত তৈরি
হয়েছে? (অর্ধেক কী তার বেশি তৈরি আছে) সেটা ভালো তো না! দেখ, গুপ্তরূপে তৈরি হয়েছে
আর তোমাদের দাদি দেখে নিয়েছে। এটা ভালো। এরকম শুভ ভাবনা, শুভ আশা তৈরি করেই নেয়।
এখন সবাই শুনেছ না, নিজেকে চেক করতে হবে, আমি সেই মালাতে এভাররেডি? আচ্ছা। আর কী
করতে হবে?
ক্যাড গ্রুপ (ক্যান্সার পেশেন্টদের) এসেছে -
এটা ভালো। আওয়াজ ছড়িয়ে দেওয়ার এই সাধনও খুব ভালো, কেননা
সবাই প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ দেখতে চায় তো না আর বিনা খরচের মেডিটেশন দ্বারা ঠিক হয়ে
যাওয়া তো সবার খুব লাগে। ধীরে ধীরে এর আভা বৃদ্ধি করে যাও। তিনি শুনেছেন তোমরা করছ
আর সফলতাও লাভ হচ্ছে, আরও লাভ হতে থাকবে। বাকি তো বাপদাদা এই কার্যের জন্য যারা
নিমিত্ত তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। অফিসিয়াল গভর্নমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, আরও
যদি ছড়িয়ে দিতে থাকো তবে মেডিটেশনের গুরুত্ব বাড়তে থাকবে। আর বাপদাদা এই বিধি
পছন্দ। আচ্ছা।
বরদান:-
মনের মৌনতার দ্বারা সেবার নতুন ইনভেনশন বের করে
সিদ্ধি স্বরূপ ভব
যেমন, প্রথম প্রথম মৌনব্রত রেখেছিলে তো সবাই ফ্রী হয়ে
গেছিলে, টাইম বেঁচে গেছিল, ঠিক তেমনই এখন মনের মৌনতা বজায় রাখো, যাতে ব্যর্থ
সংকল্পই না আসে। যেভাবে মুখ থেকে আওয়াজ বের হয় না, সেভাবে যেন ব্যর্থ সংকল্পও না
আসে - এটাই মনের মৌনতা। তাহলে সময় বেঁচে যাবে। মনের মৌনতা দ্বারা সেবা করেছ, এমন
নতুন ইনভেনশন বের হবে যাতে তোমাদের সাধনা কম করতে হবে আর সফলতা বেশি হবে। যেভাবে
সায়েন্সের সাধন সেকেন্ডে বিধি প্রাপ্ত করায়, সেভাবে সাইলেন্স এর সাধন দ্বারা
সেকেন্ডে বিধি প্রাপ্ত হবে।
স্লোগান:-
যে স্বয়ং সমর্পণ স্থিতিতে থাকে, সকলের সহযোগও তাদের
সামনে সমর্পিত হয়।