24.07.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এই পড়াশোনার দ্বারা সুখধামে যাও ভায়া শান্তিধাম, এটাই হলো তোমাদের এইম
অব্জেক্ট, এই কথাটি কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা তোমরা
সাক্ষী হয়ে এই সময় ড্রামার কোন্ সীনকে দেখছো?
উত্তরঃ
এই সময়
ড্রামায় টোটাল দুঃখের সীন চলছে। যদি কারো একটু সুখ আছেও তাও হলো অল্পকালের জন্য কাক
বিষ্ঠার সমান। বাকি হলো দুঃখিত দুঃখ । বাচ্চারা তোমরা আলোতে এসেছো। তোমরা জানো যে,
সেকেন্ড বাই সেকেন্ড অসীম সৃষ্টির চক্র ঘুরতেই থাকছে, একটি দিনের সাথে অন্যটির মিল
নেই। সম্পূর্ণ দুনিয়ার অ্যাক্ট পরিবর্তন হতেই থাকে। নতুন সীন চলতে থাকে ।
গীতঃ-
যে পিয়ার সাথে
বরিষণ তারই তরে.....
ডবল ওম্ শান্তি।
এক, বাবা স্ব ধর্মে স্থির রয়েছেন, দ্বিতীয়, বাচ্চাদেরকেও বলেন - নিজের স্ব ধর্মে
স্থির হও আর বাবাকে স্মরণ করো। এমন কথা অন্য কেউ বলতে পারেনা যে, স্ব ধর্মে স্থির
হও। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে দৃঢ় নিশ্চয় আছে। নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ন্তী। তাদেরই বিজয়লাভ হবে।
কিসে বিজয় লাভ হবে? বাবা প্রদত্ত স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্তিতে। স্বর্গে গমন - এ
হলো বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্তির বিজয় লাভ করা। বাকিটা হলো পদ প্রাপ্তির জন্য
পুরুষার্থ করা। স্বর্গে অবশ্যই যেতে হবে। বাচ্চারা জানে এই হল ছিঃ ছিঃ দুনিয়া।
অপরিসীম দুঃখ এখনও আসবে। ড্রামার পরিক্রমণের কথাও তোমরা জানো। অনেকবার বাবা এসেছেন
পবিত্র করে সব আত্মাদের মশার মতন উড়িয়ে নিয়ে যেতে, তারপরে তিনি নিজেও নির্বাণধামে
বাস করবেন। বাচ্চারাও সঙ্গে যাবে! বাচ্চারা তোমাদের তো এই খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত
- এই পড়াশোনা দ্বারা আমরা শান্তিধাম হয়ে নিজের সুখধাম যাবো। এ হলো তোমাদের এইম
অব্জেক্ট। এই কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। রোজ শুনছো, বুঝতে পারছো বাবা আমাদের পড়ান
পতিত থেকে পবিত্র করার জন্য। স্মরণ দ্বারা পবিত্র হওয়ার সহজ পথ বলে দেন। এও নতুন কথা
নয়। লেখা আছে ভগবান রাজযোগের শিক্ষা দিয়েছেন। শুধুমাত্র এই ভুল হয়েছে যে কৃষ্ণের
নাম লেখা আছে। এমনও তো নয় বাচ্চারা যে জ্ঞান প্রাপ্ত করছে, সেসব গীতা ছাড়া অন্য
কোনও শাস্ত্রে আছে। বাচ্চারা জানে কোনও মানুষের এমন মহিমা করা হয়না, যেমন বাবার করা
হয়। বাবা না এলে সৃষ্টি চক্র ঘুরবেই না। দুঃখধাম থেকে সুখধাম হবে কিভাবে? সৃষ্টির
চক্র তো ঘুরবে নিশ্চয়ই। বাবাকেও অবশ্যই আসতে হবে। বাবা আসেন সবাইকে নিয়ে যেতে তারপরে
চক্র ঘোরে। বাবা না এলে কলিযুগ থেকে সত্যযুগ হবে কিভাবে? যদিও এইসব কথা শাস্ত্রে
লেখা নেই। রাজযোগের কথা আছেই কেবল গীতায়। যদি বুঝতে পারে ভগবান আবুতে এসেছেন, তাহলে
তো ছুটে ছুটে আসবে সাক্ষাৎ করতে। সন্ন্যাসীরাও তো চায় তাইনা, ভগবানের দেখা পাই।
পতিত-পাবনকে স্মরণ করে ফিরে যাওয়ার জন্য। এখন তোমরা বাচ্চারা পদ্ম গুণ ভাগ্যের
অধিকারী হচ্ছো। সেখানে অপার সুখ থাকে। নতুন দুনিয়ায় যে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, সেটি
এখন নেই। বাবা দৈবী রাজ্যের স্থাপনা করেন ব্রহ্মা দ্বারা। এই কথাটি একেবারে স্পষ্ট।
তোমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হল এই। এতে সংশয়ের কোনও কথাই নেই। ভবিষ্যতে তোমরা বুঝতে
পারবে, রাজধানী অবশ্যই স্থাপন হয়। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম আছে। যখন তোমরা স্বর্গে
থাকো তখন এই স্থানটির নাম ছিল ভারত তারপরে যখন তোমরা নরকে আসো তখন হিন্দুস্তান নাম
রাখা হয়। এখানে কত দুঃখ আছে। পরে এই সৃষ্টি পরিবর্তিত হয় তখন স্বর্গে তো আছেই
সুখধাম। এই নলেজ বাচ্চারা তোমাদের জন্য। দুনিয়ায় মানুষ কিছু জানে না। বাবা নিজেই
বলেন এখন হল অন্ধকার রাত্রি। রাতের অন্ধকারে মানুষ ধাক্কা খায়। তোমরা বাচ্চারা এখন
আলোর পথে আছো। এও সাক্ষী হয়ে বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে। সেকেন্ড বাই সেকেন্ড অসীম
সৃষ্টির চক্র পরিক্রমণ করে। একটি দিনের অন্যের সঙ্গে মিল থাকে না। সম্পূর্ণ দুনিয়ার
অ্যাক্ট পরিবর্তিত হতে থাকে। নতুন সীন চলতে থাকে। এই সময় পুরোটাই হল দুঃখের সীন। যদি
সুখ আছেও তা হল কাগ বিষ্ঠা সম অর্থাৎ অল্পকালের জন্য। বাকিটা পুরো- ই দুঃখ। এই জন্মে
যদিও সুখ থাকে পর জন্মে আবার দুঃখ আছে। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা আছে
যে - আমরা এখন যাচ্ছি নিজের ঘরে। এতেই পরিশ্রম করতে হবে পবিত্র হওয়ার। শ্রী-শ্রী
শ্রীমৎ প্রদান করেছেন শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার। ব্যারিস্টার মতামত দেবেন -
ব্যারিস্টার ভব। এখন বাবাও বলেন শ্রীমৎ দ্বারা এইরূপ হও।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করা
উচিত - আমার কোনও অবগুণ নেই তো? এই সময় গানও করে আমি নির্গুণ, আমার কোনও গুণ নেই,
তুমি করুণা করো। করুণা অর্থাৎ দয়া। বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমি তো কাউকে দয়া করি না।
দয়া তো সবাইকে নিজের উপরে নিজেই করতে হবে। এইরূপ ড্রামা নির্দিষ্ট আছে। নিষ্ঠুর
রাবণ তোমাদের দুঃখে নিয়ে যায়। এও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। এতে রাবণেরও কোনও দোষ নেই।
বাবা এসে শুধু পরামর্শ দেন। এইটুকুই তাঁর দয়া। এই রাবণ রাজ্য তবুও চলবে। ড্রামা হল
অনাদি। না রাবণের দোষ আছে, না মানুষের দোষ আছে। চক্র তো ঘুরবেই। রাবণের হাত থেকে
রক্ষা করতে বাবা যুক্তি বলে দেন।রাবণের মত অনুসারে চলে তোমরা কিরূপ পাপ আত্মায়
পরিণত হয়েছো। এখন হল পুরানো দুনিয়া। তারপরে নিশ্চয়ই নতুন দুনিয়া আসবে। চক্র তো ঘুরবে
তাইনা। সত্যযুগকে আবার নিশ্চয়ই আসতে হবে। এখন হলো সঙ্গম যুগ। মহাভারতের যুদ্ধও হল
এই সময়ের। বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি বিনশন্তি। এইসব হবে। আমরা বিজয়ন্তী স্বর্গের
মালিক হবো। বাকিরা কেউ থাকবে না। এই কথাও বুঝেছো যে পবিত্র না হলে দেবতা হওয়া
মুশকিল। এখন বাবা দ্বারা শ্রীমৎ প্রাপ্ত হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দেবতা হওয়ার। এমন মত কখনও
প্রাপ্ত হবে না। শ্রীমৎ প্রদান করার তাঁর এই পার্ট কেবল সঙ্গমেই থাকে। আর কারো কাছে
এই জ্ঞান নেই। ভক্তি অর্থাৎ ভক্তি। তাকে জ্ঞান বলা যাবে না। আত্মিক জ্ঞান,
জ্ঞান-সাগর রূহ বা আত্মা-ই প্রদান করেন। তাঁরই মহিমা হলো জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর।
বাবা পুরুষার্থ করার যুক্তিও অবশ্যই বলে দেন। এই টুকু খেয়াল রাখতে হবে যে এখন ফেল
করলে কল্প-কল্পান্তর ফেল হবে, খুব আঘাত লাগবে। শ্রীমৎ অনুযায়ী না চললে আঘাত লাগে
যায়। ব্রাহ্মণদের এই বৃক্ষটি অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। এতটাই বৃদ্ধি হবে যতখানি দেবতাদের
বৃক্ষ। তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে এবং করাতে হবে। স্যাপলিং বা চারা রোপণ হতেই থাকবে।
বৃক্ষ বৃদ্ধি হবেই। তোমরা জানো আমাদের কল্যাণ হচ্ছে। পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র
দুনিয়ায় গেলেই কল্যাণ হয়। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধির তালা এখন খুলেছে। বাবা হলেন
বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি তাইনা। এখন তোমরা বুঝেছো যে ভবিষ্যতে দেখবে কার কার বুদ্ধির
তালা খুলবে। এইসব ড্রামা চলতে থাকে। আবার সত্যযুগ থেকে রিপিট হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ
যখন সিংহাসনে বসবেন তখন সম্বৎ শুরু হয়। তোমরা লিখেও থাকো ১ থেকে ১২৫০ বছর পর্যন্ত
স্বর্গ, কতখানি স্পষ্ট। সত্যনারায়ণের কাহিনী আছে। অমর নাথের কাহিনী আছে। তোমরা এখন
প্রকৃত সত্য অমর নাথের কাহিনী শুনছো পরে এরই গায়ন প্রচলিত হয়। উৎসব ইত্যাদি সবই হলো
বর্তমান সময় নিয়ে। এক নম্বর পর্ব হল শিববাবার জয়ন্তী। কলিযুগের পরে অবশ্যই বাবাকে
আসতে হয় দুনিয়াকে পরিবর্তন করার জন্য। চিত্র ইত্যাদি গুলি কেউ ভালো রীতি দেখলে দেখবে
পুরোপুরি হিসেব করে বানানো আছে। তোমাদের জন্য এই আয়োজন, কল্প পূর্বে যতখানি
পুরুষার্থ করেছো ততখানি নিশ্চয়ই করবে। সাক্ষী হয়ে অন্যদেরও দেখবে। নিজের
পুরুষার্থকেও জানে। তোমরাও জানো। স্টুডেন্ট কি নিজের পড়ার বিষয়ে জানে না ? মনে
চিন্তা আসবে আমরা এই সাবজেক্টে দুর্বল। তারপরে ফেল করবে। পরীক্ষার সময় কোনো বিষয়ে
যারা দুর্বল থাকে তাদের হৃদয়ের গতি বেড়ে যাবে। তোমরা বাচ্চারাও সাক্ষাৎকার করবে।
কিন্তু ফেল হয়ে গেলে আর কি করবে! স্কুলে ফেল করলে আত্মীয় স্বজন, টিচার ইত্যাদি সবাই
অসন্তুষ্ট হয়। তারা বলবে আমাদের স্কুল থেকে কম ছাত্র পাস করলে সবাই বলবে টিচার ভালো
পড়ায় না তাই কম পাস করেছে। বাবাও জানেন সেন্টারে কারা ভালো টিচার আছে, কেমন পড়ায়।
কারা কারা ভালো রীতি পড়িয়ে নিয়ে আসে। সবই নলেজে থাকে। বাবা বলেন - মেঘেদের আনবে।
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এলে তাদের অনেক মোহ থাকবে। একাই বেরিয়ে আসা উচিত, তবে বুদ্ধি
ভালো ভাবে লেগে থাকবে। বাচ্চাদের সেখানেও দেখতে থাকেন।
বাবা বলেন, এই পুরানো
দুনিয়া তো কবরখানা হয়ে যাবে। নতুন বাড়ি তৈরি করলে বুদ্ধিতে থাকে যে আমাদের নতুন বাড়ি
তৈরি হচ্ছে, তাইনা। ব্যবসা ইত্যাদি করাকালীন বুদ্ধি কিন্তু নতুন বাড়ির দিকেই থাকে।
চুপ করে তো কেউ বসে থাকে না। ওইসব হল জাগতিক দুনিয়ার কথা, এ হল অসীম জগতের কথা।
প্রতিটি কর্ম করতে যেন স্মৃতিতে থাকে যে এখন আমরা ঘরে ফিরে আবার নিজের রাজধানীতে
যাবো তাহলে অপার খুশী থাকবে। বাবা বলেন - বাচ্চারা, নিজের সন্তানাদিদেরও দেখাশোনা
করতে হবে। কিন্তু বুদ্ধি বাবার দিকে যেন যুক্ত থাকে। স্মরণ না করলে কিন্তু পবিত্রও
হতে পারবে না। স্মরণ দ্বারা পবিত্র, জ্ঞানের দ্বারা উপার্জন। এখানে তো সবাই পতিত।
এই দুটি তীর আছে। বাবাকে মাঝি বা কান্ডারী বলা হয় কিন্তু অর্থ বোঝে না। তোমরা জানো
বাবা ওই পারে নিয়ে যান। আত্মা জানে আমরা এখন বাবাকে স্মরণ করে খুব কাছে চলে যাচ্ছি।
মাঝি নামে সম্বোধন করা হয় অর্থ সহ, তাইনা। এরা সবাই মহিমা করে গেছে - আমার নৌকো পার
করো। সত্যযুগে এমন বলা হবে কি? কলিযুগেই এমন প্রার্থনা করা হয়। তোমরা বাচ্চারা
বুঝেছো এখানে বুদ্ধিহীনদের আসার কথা নয়। বাবার শক্ত নিষেধ আছে। দৃঢ় নিশ্চয় না থাকলে
কখনোই আনা উচিত নয়। কিছুই বুঝবে না। প্রথমে তো ৭ দিনের কোর্স করাও। কারো তো দুই
দিনের জ্ঞানের তীর বুদ্ধিতে লেগে যায়। যদি ভালোরকম লেগে যায় তাহলে তো ছাড়বে না। তারা
বলবে আমরা ৭ দিন আরও শিখবো। তোমরা সহজে বুঝে যাবে এই আত্মাটি এই কুলের। যাদের
তীক্ষ্ণ বুদ্ধি হবে তারা কোনও কথার চিন্তা করবে না। একটি চাকরি গেলে আরেকটি পেয়ে
যাবো, শিশু হৃদয় যাদের থাকে তাদের চাকরি ইত্যাদি খোয়া যায় না। নিজেরাই আশ্চর্য হয়।
কন্যারা বলে আমাদের স্বামীদের বুদ্ধি এইদিকে ঘুরিয়ে দাও। বাবা বলেন, আমাকে বোলো না।
তোমরা যোগবলে স্থিত হয়ে বসে জ্ঞান বোঝাও। বাবা বুদ্ধি ঘোরাবেন না। তাহলে এইসব কাজই
করতে হবে। যা নিয়ম তৈরি হয়ে যায় সেটাকেই আঁকড়ে ধরে। কোনও গুরুর কাছে কারো লাভ হলে,
শোনা মাত্রই তার কাছে গিয়ে জমা হবে। নতুন আত্মার আগমন হলে একটু সুনাম তো হবেই তাইনা।
তখন অনেক ফলোয়ার হয়ে যায় তাই এইসব কিছু দেখবে না। তোমাদের শুধু দেখতে হবে- আমরা কত
ক্ষণ পড়া করছি? এইসব তো বাবা ডিটেলে বলে দিচ্ছেন। যদিও শুধু বাবাকে স্মরণ করো এই কথা
বললে তো ঘরে বসেও স্মরণ করতে পারো। কিন্তু জ্ঞানের সাগর তিনি অবশ্যই জ্ঞান প্রদান
করবেন, তাইনা। মুখ্য কথা হল - "মন্মনাভব"। তার সাথে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য
বলে দেন। চিত্র ইত্যাদিও এইসময় ভালো ভালো তৈরি হয়েছে। সেসবের অর্থও বাবা বুঝিয়ে দেন।
বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মাকে দেখানো হয়েছে। ত্রিমুর্তিও আছে তাহলে বিষ্ণুর নাভি থেকে
ব্রহ্মা এর অর্থ কি? বাবা বসে বোঝান - এই কথাটি ঠিক না ভুল? সুন্দর সুন্দর চিত্র সব
অনেক তৈরি করা হয়েছে, তাইনা। কোনও কোনও শাস্ত্রে চক্রও দেখানো হয়েছে। কিন্তু আয়ু কত,
সেই বিষয়ে কেউ কিছু লিখেছে, কেউ কিছু। অনেক মতামত আছে, তাইনা। শাস্ত্রে দৈহিক জগতের
কথা লিখে দিয়েছে, বাবা অসীম জগতের কথা বোঝান। সম্পূর্ণ দুনিয়া হল রাবণ রাজ্য।
তোমাদের বুদ্ধিতে এই জ্ঞান আছে - আমরা কীভাবে পতিত হই, তারপরে কীভাবে পবিত্র হই। পরে
অন্য ধর্ম আসে। অনেক ভ্যারাইটি আছে। একের সঙ্গে অন্যের মিল নেই। এক রকম ফিচার্স দুই
জনের হতে পারেনা। এ হলো পূর্ব নির্ধারিত খেলা যা রিপিট হতে থাকে। বাবা বসে
বাচ্চাদের বোঝান। টাইম কমতে থাকে। নিজেকে পরীক্ষা করো- আমরা কতখানি খুশীতে থাকি?
আমাদের কোনও বিকর্ম করার নেই। ঝড় তো আসবেই। বাবা বোঝান - বাচ্চারা, অন্তর্মুখী হয়ে
নিজেদের চার্ট রাখো তাহলে যা ভুল হচ্ছে সেসবের অনুতাপ করতে পারবে। এ হলো এমন যেন
যোগবলের দ্বারা নিজেকে ক্ষমা দান করা। বাবা কখনও ক্ষমা করেন না। ড্রামাতে ক্ষমা
শব্দ নেই। তোমাদেরকে নিজের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। পাপের দন্ড মানুষ নিজেই ভোগ করে।
ক্ষমা প্রার্থনা করার কোনও কথা নেই। বাবা বলেন, প্রতিটি কথায় পরিশ্রম করো। বাবা বসে
যুক্তি বলে দেন আত্মাদের। বাবাকে আহ্বান করো পুরানো রাবণের দেশে এসো, আমরা পতিত
আমাদের পবিত্র করো। কিন্তু মানুষ বোঝে না। তারা হল আসুরিক সম্প্রদায়। তোমরা হলে
ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, দৈবী সম্প্রদায় হচ্ছো। পুরুষার্থও বাচ্চারা নম্বর অনুসারে করে।
পরে বলে দেয় এদের ভাগ্যে এতটুকুই আছে। নিজের টাইম ওয়েস্ট করে। জন্ম-জন্মান্তর,
কল্প-কল্পান্তর উঁচু পদের অধিকারী হতে পারেরনা। নিজের ক্ষতি করা উচিত নয় কারণ এখনই
জমা হয় তারপরে তো লোকসানের দিকে যেতে থাকো। রাবণের রাজ্যে কতখানি ক্ষতি হয়। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
অন্তর্মুখী হয়ে নিজেকে পরীক্ষণ করতে হবে, যে সব ভুল ভ্রান্তি হয়, তার জন্য অনুতপ্ত
হয়ে যোগবলের দ্বারা ক্ষমা করতে হবে। নিজের পরিশ্রম করতে হবে।
২ ) বাবার যে রায়
প্রাপ্ত হয় সেই অনুযায়ী পুরোপুরি চলে নিজের উপরে নিজেই দয়া করতে হবে। সাক্ষী হয়ে
নিজের অথবা অন্যের পুরুষার্থকে দেখতে হবে। কখনও নিজের ক্ষতি করবে না।
বরদান:-
বিশ্ব
কল্যাণের ভাবনার দ্বারা প্রত্যেক আত্মার সেফ্টির প্ল্যান বানিয়ে সত্যিকারের দয়াবান
ভব
বর্তমান সময়ে কিছু
আত্মারা নিজেই নিজের অকল্যাণের নিমিত্ত হচ্ছে, তাদের জন্য দয়াবান হয়ে কিছু প্ল্যান
বানাও। যেকোনও আত্মার পার্টকে দেখে নিজে দোলাচলে এসো না, পরিবর্তে তাদের সেফ্টির
সাধন চিন্তা করো, এমন নয় যে এটা হতেই থাকে, ঝাড়ের পাতা ঝড়বেই। না, আগত বিঘ্নগুলিকে
সমাপ্ত করো। বিশ্ব কল্যাণকারী বা বিঘ্ন বিনাশকের যে টাইটেল আছে - সেই অনুসারে
সংকল্প, বাণী আর কর্মে দয়াবান হয়ে বায়ুমন্ডলকে চেঞ্জ করতে সহযোগী হও।
স্লোগান:-
কর্মযোগী সে-ই হতে পারবে, যে - বুদ্ধির উপরে অ্যাটেনশনের পাহারা দেবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সংকল্পের শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ সেবার নিমিত্ত হও
লাস্টে ফাইনাল
পেপারের কোশ্চেন হবে - সেকেন্ডে ফুলস্টপ, এতেই নম্বর পাওয়া যাবে। সেকেন্ডের বেশী হয়ে
গেলে ফেল হয়ে যাবে। “এক বাবা আর আমি”- তৃতীয় কোনও কথা যেন না আসে। এমন নয় যে - এটা
করে নেবো, এটা দেখে নেবো... এটা হল কি হল না। এটা কি হল, কেন হল - এরকম কোনও সংকল্প
এলে ফাইনাল পেপারে পাস হতে পারবে না।