29.07.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এই শরীরের ভ্যালু তখনই, যখন এর মধ্যে আত্মা প্রবেশ করে, কিন্তু সাজসজ্জা হয়ে থাকে শরীরের, আত্মার হয় না"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা তোমাদের কর্তব্য কি? তোমাদের কোন্ সেবা করতে হবে?

উত্তরঃ  
তোমাদের কর্তব্য হলো - নিজেদের সমজিনদের (হমজিন্স) নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী বানানোর যুক্তি বলে দেওয়া । তোমাদের এখন ভারতের প্রকৃত আত্মিক সেবা করতে হবে । তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পেয়েছো, তাই তোমাদের বুদ্ধি এবং আচার আচরণ অত্যন্ত রিফাইন হওয়ার প্রয়োজন । কারোর প্রতি সামান্যতম মোহও যেন না থাকে ।

গীতঃ-
নয়ন হীনকে পথ দেখাও.....

ওম্ শান্তি ।
ডবল শান্তি । বাচ্চারা, তোমাদেরও রেসপন্স করা উচিত - ওম্ শান্তি । আমাদের স্বধর্ম হলো শান্তি । তোমরা এখন শান্তির জন্য কোথাও যাবেই না । মানুষ তো মনের শান্তির জন্য সাধু - সন্তদের কাছেও যায়, তাই না । এখন মন - বুদ্ধি তো হলো আত্মার অরগ্যান্স । শরীরের যেমন অরগ্যান্স রয়েছে, তেমনই মন - বুদ্ধি এবং চক্ষু । এখন এই যে চক্ষু আছে, সেটা তা নয় । বলা হয় - হে প্রভু, নয়নহীনকে পথ দেখাও । এখন প্রভু বা ঈশ্বর বলাতে বাবার লভ আসে না । বাবার থেকে তো বাচ্চারা অবিনাশী উত্তরাধিকার পায় । এখানে তো তোমরা বাবার সামনে বসে আছো । তোমরা এই পড়াও পড়ো । তোমাদের কে পড়ায়? তোমরা এমন বলবে না যে, পরমাত্মা বা প্রভু আমাদের পড়ায় । তোমরা বলবে আমাদের শিববাবা পড়ান । বাবা শব্দ তো একেবারে সিম্পল। ইনি হলেনই বাপদাদা । আত্মাকে আত্মাই বলা হয়, তেমনই তিনি হলেন পরমাত্মা । তিনি বলেন, আমি পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা, তোমাদের বাবা । এরপর এই নাটকের নিয়ম অনুসারে আমি পরম আত্মার নাম রাখা হয়েছে শিব । ড্রামাতে তো সকলেরই নাম চাই, তাই না । শিবের মন্দিরও তো আছে । ভক্তি মার্গের লোকেরা তো একের পর এক অনেক নাম রেখে দিয়েছে । এরপর অনেক - অনেক মন্দির বানাতে থাকে । জিনিস তো একই । সোমনাথের মন্দির কতো বড়, কতো সাজায় । মহল ইত্যাদিও কতো সাজিয়ে রাখে । আত্মার তো কোনো সজ্জা নেই, তেমন পরম আত্মারও কোনো সজ্জা নেই । তিনি তো হলেন বিন্দু । বাকি যে সব সজ্জা, সবই শরীরের । বাবা বলেন যে - না আমার সাজসজ্জা আছে, আর না আত্মার সাজসজ্জা আছে । আত্মা হলোই বিন্দু । এতো ছোটো বিন্দু তো কোনো পার্ট প্লে করতে পারে না । ওই ছোটো আত্মা যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন সেই শরীরের কতো ধরনের সাজসজ্জা হয় । মানুষের কতো নাম । রাজা - রানীদের কতো সাজসজ্জা হয়, আত্মা তো অতি সিম্পল বিন্দু । বাচ্চারা, এখন তোমরা এও বুঝেছো । আত্মাই এই জ্ঞান ধারণ করে । বাবা বলেন যে, আমার মধ্যেও তো জ্ঞান আছে, তাই না । শরীরে তো জ্ঞান থাকেই না । আমি আত্মার মধ্যে জ্ঞান আছে, আমাকে এই শরীর নিতে হয় তোমাদের সেই জ্ঞান শোনানোর জন্য । শরীর ছাড়া তো তোমরা শুনতে পারো না । এখন এই গান বানানো হয়েছে - নয়নহীনকে পথ বলে দাও.... শরীরকে পথ বলতে হবে কি? তা নয় । আত্মাকে বলতে হবে । আত্মাই ডাকতে থাকে । শরীরের তো দুই নেত্র আছে । তিন তো হতে পারে না । তৃতীয় নয়নের জন্য এই ললাটে তিলকও দেওয়া হয় । কেউ বিন্দুর মতো দেয়, কেউ আবার গণ্ডির মতো দেয় । বিন্দু তো হলো আত্মা । বাকি জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পাওয়া যায় । প্রথমে আত্মার এই জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন ছিলো না । কোনো মনুষ্য মাত্রেরই এই জ্ঞান নেই, তাই জ্ঞান নেত্রহীন বলা হয় । বাকি এই চোখ তো সকলেরই আছে । সম্পূর্ণ দুনিয়ায় কারোরই এই তৃতীয় নেত্র নেই । তোমরা হলে সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ কুলের । তোমরা জানো যে, ভক্তি মার্গ আর জ্ঞান মার্গের কতো তফাৎ । তোমরা এই রচয়িতা আর রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তকে জেনে চক্রবর্তী রাজা হও । আই.সি.এস রাও তো কতো উঁচু পদ পায়, কিন্তু এখানে কেউই এই পড়াতে এম.পি ইত্যাদি হয় না । এখানে তো ভোট হয়, সেই ভোটে এম.পি. আদি হয় । এখন তোমরা আত্মারা বাবার শ্রীমৎ পাও । আর কেউই এমন বলবে না যে, আমি আত্মাদের মত দিই । ওরা তো সব হলো দেহ - অভিমানী । বাবা এসেই দেহী অভিমানী হতে শেখায় । সকলেই হলো দেহ অভিমানী । বাবা এসেই দেহী অভিমানী হতে শেখান । সকলেই দেহ অভিমানী । মানুষ শরীরের প্রতি কতো অহংকারী হয় । এখানে তো বাবা আত্মাদেরই দেখেন । শরীর তো বিনাশী, এক পয়সারও মূল্য নেই । পশুদের তো তবুও ছাল ইত্যাদি বিক্রি করা হয় । মানুষের শরীর তো কোনো কাজেই আসে না । এখন বাবা এসে একে পাউন্ড তুল্য মূল্যের করেন ।

বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এখন আমরা সেই দেবতা তৈরী হচ্ছি, তাই এই নেশা চড়ে থাকা উচিত, কিন্তু এই নেশাও পুরুষার্থের নম্বর অনুযায়ী থাকে । ধনেরও তো নেশা থাকে, তাই না । বাচ্চারা, এখন তোমরা অনেক ধনবান হও । এখন তোমাদের অনেক উপার্জন হচ্ছে । তোমাদের মহিমাও অনেক প্রকারের হয় । তোমরা ফুলের বাগান তৈরী করো । সত্যযুগকে বলা হয় গার্ডেন অফ ফ্লাওয়ার্স । এর স্যাপলিং কখন লাগে এও কেউ জানে না । বাবা তোমাদের বুঝিয়ে বলেন । মানুষ ডাকেও - বাগবান (বাগানের মালিক) এসো । তাঁকে মালী বলা হবে না । তোমরা বাচ্চারা হলে মালী, যারা সেন্টার সামালাও । মালী অনেক প্রকারের হয় । আর বাগানের মালিক একজনই হয় । মুঘল গার্ডেনের মালী তো অনেক উপার্জন করে, তাই না । সে বাগান এমন সুন্দর বানায় যে, সবাই দেখতে আসে । মুঘলরা খুব শৌখিন ছিল, শাহজাহানের স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার স্মৃতিতে তাজমহল বানানো হয়েছিলো । সেই থেকেই তার নাম চলে আসছে । তারা কতো ভালো ভালো স্মরণীয় জিনিস বানিয়েছে । তাই বাবা বুঝিয়ে বলেন, মানুষের কতো মহিমা হয় । মানুষ তো মানুষই । যুদ্ধে কতো মানুষ মারা যায়, তারপর কি করে । কেরোসিন, পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয় । কেউ তো এমনিতেই পড়ে থাকে । সৎকার করেই না । কোনো মানই থাকে না তখন । তাই বাচ্চারা, এখন তোমাদের কতো নারায়ণী নেশা চড়া উচিত । এ হলো বিশ্বের মালিক হওয়ার নেশা । সত্য নারায়ণের কথা যখন, তখন অবশ্যই নারায়ণই হবে । আত্মা জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পায় । এই দাতা হলেন বাবা । তিজরীর কথাও আছে । এই সবের অর্থও বাবা বসে বুঝিয়ে বলেন । যারা কথক, তারা তো কিছুই জানে না । বাবা অমরকথাও শোনান । এখন মানুষ কতো দূরে অমরনাথ দর্শনে যায় । বাবা তো এখানেই এসে শোনান । উপরে তো শোনান না । ওখানে তো তিনি বসে পার্বতীকে অমরকথা শোনানইনি । এই কথা ইত্যাদি যা বানানো হয়েছে, এ সবই এই ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে । এ আবারও হবে । বাচ্চারা,বাবা বসে তোমাদের ভক্তি আর জ্ঞানের কন্ট্রাস্ট (বৈপরীত্য) বুঝিয়ে বলেন । এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছো । এমন তো বলে - হে প্রভু, অন্ধকে পথ বলে দাও । ভক্তিমার্গে মানুষ ডাকতে থাকে । বাবা এসে তৃতীয় নেত্র প্রদান করেন, যা তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না । কারোর চোখ খুব সুন্দর হয়, তাতে পুরস্কারও পায় মিস ইন্ডিয়ার বা মিস অমুক । বাচ্চারা, বাবা তোমাদের এখন কি থেকে কি বানাচ্ছেন । ওখানে তো দেবী দেবতাদের ন্যাচারাল বিউটি থাকে । কৃষ্ণের এতো মহিমা কেন? কেননা তিনি সবথেকে সুন্দর তৈরী হন । তিনি এক নম্বরে কর্মাতীত অবস্থা পান, তাই এক নম্বরে তাঁর মহিমা আছে । এও বাবা বসেই বুঝিয়ে বলেন । বাবা বারবার বলেন - বাচ্চারা, মন্মনাভব । হে আত্মারা, নিজের বাবাকে স্মরণ করো । বাচ্চাদের মধ্যেও তো নম্বরের ক্রমানুসার তো আছেই, তাই না । লৌকিক বাবারও যদি পাঁচ বাচ্চা থাকে, তাদের মধ্যেও যে খুব বুদ্ধিমান, তাকে এক নম্বরে রাখবে । মালার দানা তো হলো, তাই না । বলা হবে, এ দ্বিতীয় নম্বর আর এ তৃতীয় নম্বর । একরকম কখনো হয় না । বাবার ভালোবাসাও নম্বর অনুসারেই হয় । ও হলো জাগতিক কথা । আর এ হলো অসীম জগতের কথা ।

যে বাচ্চারা জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পেয়েছে, তাদের বুদ্ধি আর চলন আদি খুবই রিফাইন হয় । এক হয় কিং অফ ফ্লাওয়ার, তাই এই ব্রহ্মা আর সরস্বতী হলেন কিং কুইন ফ্লাওয়ার । এরা জ্ঞান আর যোগ এই দুইয়েই তীক্ষ্ণ । তোমরা জানো যে, আমরা দেবতা হই । মুখ্য আট রত্ন তৈরী হয় । প্রথম প্রথম হলো ফুল । তারপর যুগল দানা ব্রহ্মা আর সরস্বতী । মালা জপ তো করে, তাই না । বাস্তবে তোমাদের পূজা হয় না, স্মরণ হয় । তোমাদের ফুল দেওয়া হয় না । ফুল তখনই দেওয়া হবে, যখন শরীর পবিত্র হবে । এখানে কারোর শরীরই পবিত্র নেই । সকলেরই জন্ম বিষের দ্বারা হয়, তাই তাদের বিকারী বলা হয় । এই লক্ষ্মী - নারায়ণকেই বলা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী । বাচ্চার তো জন্ম হবে, তাই না । এমন তো নয় যে কোনো টিউব থেকে বাচ্চার জন্ম হয়ে যাবে । এও সব বোঝার মতো কথা । বাচ্চারা, তোমাদের এখানে সাতদিনের ভাট্টিতে বসানো হয় । ভাট্টিতে কোনো ইট তো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, কোনটা আবার কাঁচা থেকে যায় । ভাট্টির উদাহরণ দেওয়া হয় । এখন ইটের এই ভাট্টির উদাহরণ শাস্ত্রে তো বর্ণনা হতেই পারে না । এরপরে এখানে আবার বিড়ালের কথা । গুলাবকাবলীর কাহিনীতেও বিড়ালের কথা বলা হয়েছে । ওখানে দীপকে নিভিয়ে দিতো । তোমাদেরও তো তেমনই অবস্থা হয়, তাই না । মায়া বিড়াল বিঘ্ন এনে উপস্থিত করে । তোমাদের অবস্থাই নামিয়ে দেয় । দেহ বোধ হলো এক নম্বর বিকার, তারপর অন্য অনেক বিকার আসে । মোহও অনেক হয় । বাচ্চারা বলবে, আমি ভারতকে স্বর্গ বানানোর এই আত্মিক সেবা করবো, আর মোহের বশে মা - বাবা বলবেন - আমরা অ্যালাউ করবো না । এও কতখানি মোহ । তোমরা মায়ার বিড়াল হয়ো না । তোমাদের এইম অবজেক্ট হলো এটা। বাবা এসে আমাদের মানুষ থেকে দেবতা, নর থেকে নারায়ণ বানান । তোমাদেরও দায়িত্ব হলো অন্য আত্মাদের সেবা করা, ভারতের সার্ভিস করা । তোমরা জানো যে, আমরা কি ছিলাম, এখন কি হয়েছি । এখন আবার রাজার রাজা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো । তোমরা জানো যে, আমরা নিজেদের রাজ্য স্থাপন করছি । এ কোনো সমস্যার কথা নয় । বিনাশের জন্যও ড্রামাতে যুক্তি রচনা করা হয়েছে । এর পূর্বেও মুশল বা মিশাইলের দ্বারা লড়াই হয়েছিলো । তোমরা যখন সম্পূর্ণ তৈরী হয়ে যাবে, সবাই ফুলে পরিণত হয়ে যাবে, তখনই বিনাশ হবে । কেউ হলো ফুলের রাজা, কেউ গোলাপ, কেউ আবার বেলি । প্রত্যেকেই নিজেকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে যে আমরা আকন্দ ফুল, নাকি অন্য ফুল? অনেকেই আছে, যাদের জ্ঞানের কিছুই ধারণা হয় না । নম্বরের ক্রমানুসার তো হবে, তাই না । হয় একেবারে হাইয়েস্ট, না হলে একেবারে ওয়েস্ট । রাজধানী এখানেই স্থাপন হয় । শাস্ত্রতে তো দেখানো হয়েছে যে, পাণ্ডবরা গলে মারা গিয়েছিলো, তারপর কি হয়েছিলো কিছুই জানা নেই । কথা তো অনেকই বানানো হয়েছে, এমন কোনো কথা নেই । বাচ্চারা, এখন তোমরা কতো স্বচ্ছ বুদ্ধির হও । বাবা তোমাদের অনেকপ্রকারে বোঝাতে থাকেন । এ কতো সহজ । কেবল বাবাকে আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে । বাবা বলেন যে, আমিই হলাম পতিত পাবন । তোমাদের আত্মা আর শরীর দুইই পতিত । এখন তোমাদের পবিত্র হতে হবে । আত্মা পবিত্র হলে শরীরও পবিত্র হয় । তোমাদের এখন অনেক পরিশ্রম করতে হবে । বাবা বলেন যে - বাচ্চারা অনেক দুর্বল । তারা স্মরণ করতে ভুলে যায় । বাবা নিজেই নিজের অনুভব বলেন । খাবার সময় স্মরণ করি - শিববাবা আমাদের খাওয়ান, আবারও ভুলে যাই । আবার স্মৃতিতে ফিরে আসে । তোমাদের মধ্যে এও হয় পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে । কেউ তো বন্ধনমুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আবার ফেঁসে যায় । ধর্মপুত্রও বানিয়ে নেয় । এখন বাচ্চারা, তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রদানকারী বাবাকে পেয়েছো - একে নাম দেওয়া হয়েছে তিজরীর কথা অর্থাৎ তৃতীয় নয়ন পাওয়ার কথা । এখন তোমরা নাস্তিক থেকে আস্তিক হও । বাচ্চারা জানে যে, বাবা হলো বিন্দু । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর । ওরা তো বলে দেয় নাম - রূপ থেকে পৃথক । আরে, জ্ঞানের সাগর তো অবশ্যই জ্ঞান শোনাবেন, তাই না । এর রূপও লিঙ্গ দেখানো হয়েছে, তাহলে নাম - রূপ থেকে পৃথক কিভাবে বলো ! বাবার কোটি কোটি নাম রেখে দিয়েছে । এই জ্ঞান বাচ্চাদের বুদ্ধিতে খুব ভালোভাবে থাকা উচিত । এমন বলাও হয় যে, পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর । সম্পূর্ণ জঙ্গল যদি কলম বানাও তাও এই জ্ঞানের অন্ত হতে পারে না । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) আমরা এখন বাবার দ্বারা ওয়ার্থ পাউন্ড হয়ে উঠছি, আমরাই সেই দেবতা তৈরী হবো, এই নারায়ণী নেশায় থাকতে হবে । বন্ধনমুক্ত হয়ে সেবা করতে হবে । বন্ধনে ফেঁসে যেও না ।

২ ) জ্ঞান এবং যোগে তীক্ষ্ণ হয়ে মাতা - পিতা সম কিং অফ ফ্লাওয়ার হতে হবে আর নিজের সমজিনদেরও সেবা করতে হবে ।

বরদান:-
নিজের সকল খাজানাগুলিকে অন্য আত্মাদের সেবাতে লাগিয়ে সহযোগী হওয়া সহজযোগী ভব

সহজযোগী হওয়ার সাধন হলো - সদা নিজেকে সংকল্প দ্বারা, বাণী দ্বারা আর প্রত্যেক কার্য দ্বারা বিশ্বের সকল আত্মাদের প্রতি, নিজেকে সেবাধারী মনে করে সেবাতেই সবকিছু লাগানো। ব্রাহ্মণ জীবনে যেসকল শক্তির, গুণের, জ্ঞানের বা শ্রেষ্ঠ উপার্জনের, সময়ের খাজানা বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে, সেগুলি সেবাতে লাগাও অর্থাৎ সহযোগী হও তো সহজযোগী হয়েই যাবে। কিন্তু সহযোগী সে-ই হতে পারবে যে সম্পন্ন থাকবে। সহযোগী হওয়া অর্থাৎ মহাদানী হওয়া।

স্লোগান:-
অসীমের বৈরাগী হও তাহলে আকর্ষণের সব সংস্কার সহজেই সমাপ্ত হয়ে যাবে।

অব্যক্ত ঈশারা :- সংকল্পের শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ সেবার নিমিত্ত হও

যেরকম নিজের স্থুল কার্যের প্রোগ্রাম, দৈনন্দিন চার্ট অনুসারে সেট করো, এইরকম নিজের মন্সা সমর্থ স্থিতির প্রোগ্রাম সেট করো তাে সংকল্প শক্তি জমা হতে থাকবে। নিজের মনকে সমর্থ সংকল্পে বিজি রাখলে তো মনের আপসেট হওয়ার সময়ই পাবে না। মন সদা সেট অর্থাৎ একাগ্র থাকলে স্বতঃ ভালো ভাইব্রেশন ছড়িয়ে পরবে, সেবা হতে থাকবে।